সুরা মুদ্দাসসির

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ
হে চাদরাবৃত! [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১]
قُمْ فَأَنذِرْ
উঠুন, সতর্ক করুন, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২]
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ
আপন পালনকর্তার মাহাত্ম্য ঘোষনা করুন, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩]
وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ
আপন পোশাক পবিত্র করুন [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪]
وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ
এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫]
وَلَا تَمْنُن تَسْتَكْثِرُ
অধিক প্রতিদানের আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৬]
وَلِرَبِّكَ فَاصْبِرْ
এবং আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে সবর করুন। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৭]
فَإِذَا نُقِرَ فِي النَّاقُورِ
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে; [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৮]
فَذَلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ
সেদিন হবে কঠিন দিন, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৯]
عَلَى الْكَافِرِينَ غَيْرُ يَسِيرٍ
কাফেরদের জন্যে এটা সহজ নয়। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১০]
ذَرْنِي وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا
যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিন। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১১]
وَجَعَلْتُ لَهُ مَالًا مَّمْدُودًا
আমি তাকে বিপুল ধন-সম্পদ দিয়েছি। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১২]
وَبَنِينَ شُهُودًا
এবং সদা সংগী পুত্রবর্গ দিয়েছি, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৩]
وَمَهَّدتُّ لَهُ تَمْهِيدًا
এবং তাকে খুব সচ্ছলতা দিয়েছি। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৪]
ثُمَّ يَطْمَعُ أَنْ أَزِيدَ
এরপরও সে আশা করে যে, আমি তাকে আরও বেশী দেই। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৫]
كَلَّا إِنَّهُ كَانَ لِآيَاتِنَا عَنِيدًا
কখনই নয়! সে আমার নিদর্শনসমূহের বিরুদ্ধাচরণকারী। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৬]
سَأُرْهِقُهُ صَعُودًا
আমি সত্ত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহণ করাব। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৭]
إِنَّهُ فَكَّرَ وَقَدَّرَ
সে চিন্তা করেছে এবং মনঃস্থির করেছে, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৮]
فَقُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ
ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে! [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:১৯]
ثُمَّ قُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ
আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে! [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২০]
ثُمَّ نَظَرَ
সে আবার দৃষ্টিপাত করেছে, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২১]
ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ
অতঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত করেছে ও মুখ বিকৃত করেছে, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২২]
ثُمَّ أَدْبَرَ وَاسْتَكْبَرَ
অতঃপর পৃষ্ঠপ্রদশন করেছে ও অহংকার করেছে। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৩]
فَقَالَ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ يُؤْثَرُ
এরপর বলেছেঃ এতো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৪]
إِنْ هَذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ
এতো মানুষের উক্তি বৈ নয়। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৫]
سَأُصْلِيهِ سَقَرَ
আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৬]
وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ
আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি? [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৭]
لَا تُبْقِي وَلَا تَذَرُ
এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৮]
لَوَّاحَةٌ لِّلْبَشَرِ
মানুষকে দগ্ধ করবে। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:২৯]
عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ
এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ (ফেরেশতা)। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩০]
وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِينَ آمَنُوا إِيمَانًا وَلَا يَرْتَابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُونَ وَلِيَقُولَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَالْكَافِرُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَى لِلْبَشَرِ
আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাই রেখেছি। আমি কাফেরদেরকে পরীক্ষা করার জন্যেই তার এই সংখ্যা করেছি-যাতে কিতাবীরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়, মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীরা ও মুমিনগণ সন্দেহ পোষণ না করে এবং যাতে যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন। এমনিভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে চালান। আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩১]
كَلَّا وَالْقَمَرِ
কখনই নয়। চন্দ্রের শপথ, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩২]
وَاللَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ
শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৩]
وَالصُّبْحِ إِذَا أَسْفَرَ
শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৪]
إِنَّهَا لَإِحْدَى الْكُبَرِ
নিশ্চয় জাহান্নাম গুরুতর বিপদসমূহের অন্যতম, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৫]
نَذِيرًا لِّلْبَشَرِ
মানুষের জন্যে সতর্ককারী। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৬]
لِمَن شَاء مِنكُمْ أَن يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ
তোমাদের মধ্যে যে সামনে অগ্রসর হয় অথবা পশ্চাতে থাকে। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৭]
كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী; [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৮]
إِلَّا أَصْحَابَ الْيَمِينِ
কিন্তু ডানদিকস্থরা, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৩৯]
فِي جَنَّاتٍ يَتَسَاءلُونَ
তারা থাকবে জান্নাতে এবং পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪০]
عَنِ الْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সম্পর্কে [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪১]
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ
বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪২]
قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ
তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৩]
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ
অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না, [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৪]
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ
আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৫]
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ
এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৬]
حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ
আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৭]
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
অতএব, সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৮]
فَمَا لَهُمْ عَنِ التَّذْكِرَةِ مُعْرِضِينَ
তাদের কি হল যে, তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪৯]
كَأَنَّهُمْ حُمُرٌ مُّسْتَنفِرَةٌ
যেন তারা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত গর্দভ। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫০]
فَرَّتْ مِن قَسْوَرَةٍ
হট্টগোলের কারণে পলায়নপর। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫১]
بَلْ يُرِيدُ كُلُّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُؤْتَى صُحُفًا مُّنَشَّرَةً
বরং তাদের প্রত্যেকেই চায় তাদের প্রত্যেককে একটি উম্মুক্ত গ্রন্থ দেয়া হোক। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫২]
كَلَّا بَل لَا يَخَافُونَ الْآخِرَةَ
কখনও না, বরং তারা পরকালকে ভয় করে না। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫৩]
كَلَّا إِنَّهُ تَذْكِرَةٌ
কখনও না, এটা তো উপদেশ মাত্র। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫৪]
فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
অতএব, যার ইচ্ছা, সে একে স্মরণ করুক। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫৫]
وَمَا يَذْكُرُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ
তারা স্মরণ করবে না, কিন্তু যদি আল্লাহ চান। তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী। [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৫৬]