37 - كتاب الفتن

من كره الخروج في الفتنة وتعوذ عنها

الرجل يتكئ على المرافق المصورة

পৃষ্ঠা - ৪১৯১৯
§مَنْ كَرِهَ الْخُرُوجَ فِي الْفِتْنَةِ وَتَعَوَّذَ عَنْهَا
পৃষ্ঠা - ৪১৯২০
আব্দুর রহমান বিন আবদু রাব্বিল কাবা বলেছেন:

আমি আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: এর কাছে এলাম, উনি কাবার ছায়ায় বসে ছিলেন
উনার চারদিকে অনেক মানুষ জমেছিলো। 

একবার আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সংগে সফরে ছিলাম

একটা মনজিলে থামার পরে, আমাদের মাঝে কেউ তাবু টাংগানো আরম্ভ করলো, কেউ তীর চালনা প্রতিযোগিতা আরম্ভ করলো, কেউ বা জন্তুগুলো নিয়ে দৌড় আরম্ভ করলো।

এই অবস্থায় একজন ডাক দিলেন, "আসসালাতু জামিয়া"। আমরা শুনে সবাই একত্রিত হলাম।

তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমার আগের সব নবী উম্মতদের বলে দিয়ে গিয়েছেন কোনটা তাদের জন্য ভালো, আর কোনটা তাদের জন্য খারাপ। এটা জানানো ছিলো তাদের উপর আল্লাহর হক।

এই উম্মতের প্রথম যুগের মানুষেদের সঠিক পথে রাখা হবে। আর শেষ যুগের মানুষদের উপর বিপদাপদ এবং তারা যা অপছন্দ করে সেগুলো আসবে।

এর পর ফিতনা এত বাড়বে যে মু'মিন বলবেন "এটাতে আমি ধ্বংশ হয়ে যাবো"
এর পর ফিতনা চলে যাবে।
এর পর ফিতনার আবার বাড়বে।
মু'মিন বলবে "না, বরং এবার।"

তোমাদের মাঝে যে চায় আগুন থেকে বাচতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে, সে যেন আল্লাহ আর আখিরাতের উপর বিশ্বাস রেখে মৃত্যু বরন করে। এবং নিজে যেটা পেতে পছন্দ করে, সেটা যেন মানুষের জন্য পছন্দ করে।

যে লোক কোনো ইমামকে বায়াত দিলো তার হাত ও অন্তর দিয়ে, সে যেন তার আদেশ পালন করে যতটুকু পারে। এবং অন্য কেউ এসে চ্যলেঞ্জ করলে তোমরা তার ঘাড়ে আঘাত করবে।"

আমি মানুষের মাঝ থেকে মাথা বের করে জিজ্ঞাসা করলাম, "আমি আল্লাহ নামে জিজ্ঞাসা করছি। আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন?"

উনি উনার দু হাত দিয়ে উনার কান দেখালেন এবং বললেন, "আমি এই দুই কান দিয়ে শুনেছি এবং অন্তর দিয়ে খেয়াল করেছি।"

আমি বললাম, "আমি হলাম আপনার চাচার ছেলে। আমাদের বলুন নিজেদের মাল অবৈধ ভাবে খাওয়া আর নিজেদের হত্যা না করার ব্যপারে। যেমন আল্লাহ বলেছেন -- তোমরা তোমাদের মাল নিজেরা অবৈধ ভাবে ভোগ করো না, এবং ভোগ করার জন্য বিচারকের কাছে নিয়ে যেও না'..." সুরা বাকার ১৮৮ নং আয়াত তিলওয়াত করলেন শেষ পর্যন্ত।

উনি দুই হাত একত্র করলেন এবং মুখের উপর রাখলেন। এর পর হাত কিছুটা নামিয়ে বললেন: "আল্লাহর অনুসরনের ক্ষেত্রে তাদের বাধ্য হবে। আর আল্লাহর অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তাদের অবাধ্য হবে।"

আব্দুল্লাহ বিন উমার রা: রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকেও একই কথা বর্ননা করেছেন। তিনি যোগ করেছেন "এই উম্মতের শেষ যুগে একের পর এক ফিতনা দেখা যাবে যার পরেরটা আগেরটার থেকে বড় হবে।"
حَدَّثَنَا 37109 - أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ قَالَ: انْتَهَيْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ وَالنَّاسُ عَلَيْهِ مُجْتَمِعُونَ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ إِذْ نَزَلْنَا مَنْزِلًا , فَمِنَّا مَنْ يَضْرِبُ خِبَاءَهُ , وَمِنَّا مَنْ يَنْتَضِلُ , وَمِنَّا مَنْ هُوَ فِي جَشَرِهِ إِذْ نَادَى مُنَادِيهِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ , فَاجْتَمَعْنَا , فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَنَا فَقَالَ: " إِنَّهُ §لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا كَانَ حَقُّ اللَّهِ عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَهُمْ , وَيُنْذِرَهُمْ مَا يَعْلَمُهُ شَرًّا لَهُمْ , وَإِنَّ أُمَّتَكُمْ هَذِهِ جُعِلَتْ عَافِيَتُهَا فِي أَوَّلِهَا , وَإِنَّ آخِرَهَا سَيُصِيبُهُمْ بَلَاءٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ; فَمِنْ ثَمَّ تَجِيءُ الْفِتْنَةُ , فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ: هَذِهِ مُهْلِكَتِي ثُمَّ تَنْكَشِفُ ثُمَّ تَجِيءُ الْفِتْنَةُ , فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ: هَذِهِ، ثُمَّ تَنْكَشِفُ , فَمَنْ سَرَّهُ مِنْكُمْ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَيُدْخَلَ الْجَنَّةَ فَلْتُدْرِكْهُ مَنِيَّتُهُ وَهُوَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ , وَلْيَأْتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يَأْتُوا إِلَيْهِ , وَمَنْ بَايَعَ إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ مَا اسْتَطَاعَ , فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَ الْآخَرَ " , قَالَ: فَأَدْخَلْتُ رَأْسِي مِنْ بَيْنِ النَّاسِ , فَقُلْتُ: أُنْشِدُكَ بِاللَّهِ , أَسَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ فَأَشَارَ بِيَدَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ فَقَالَ: فَسَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي , قَالَ: قُلْتُ: هَذَا ابْنُ عَمِّكَ , يَأْمُرُنَا أَنْ نَأْكُلَ أَمْوَالَنَا بَيْنَنَا بِالْبَاطِلِ وَأَنْ نَقْتُلَ أَنْفُسَنَا , وَقَدْ قَالَ اللَّهُ: {لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ} [البقرة: 188] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ ; قَالَ: فَجَمَعَ يَدَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَلَى جَبْهَتِهِ ثُمَّ نَكَسَ هُنَيْهَةً , ثُمَّ قَالَ «أَطِعْهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ , وَاعْصِهِ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ» حَدَّثَنَا 37110 - وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ إِلَّا أَنَّ وَكِيعًا قَالَ: " وَسَيُصِيبُ آخِرَهَا بَلَاءٌ وَفِتَنٌ يُرَقِّقُ بَعْضُهَا بَعْضًا , وَقَالَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَيُدْخَلَ الْجَنَّةَ فَلْتُدْرِكْهُ مَنِيَّتُهُ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
পৃষ্ঠা - ৪১৯২১
حَدَّثَنَا 37111 - وَكِيعٌ، عَنْ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ فِتْنَةٌ , الْمُضْطَجِعُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْجَالِسِ , وَالْجَالِسُ خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ , وَالْقَائِمُ -[447]- خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي» , فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , مَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «مَنْ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ , وَمَنْ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ , وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ , وَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَعْمَدْ إِلَى سَيْفِهِ فَلْيَضْرِبْ بِحَدِّهِ عَلَى صَخْرَةٍ ثُمَّ لِيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاةَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২২


حَدَّثَنَا 37112 - عَبْدُ الْأَعْلَى، وَعَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَعْدٍ، رَفَعَهُ عَبِيدَةُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ عَبْدُ الْأَعْلَى قَالَ: «§تَكُونُ فِتْنَةٌ , الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ , وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي , وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي , وَالسَّاعِي خَيْرٌ مِنَ الرَّاكِبِ , وَالرَّاكِبُ خَيْرٌ مِنَ الْمَوْضِعِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৩
খালিদ বিন সুবাই বা সুবাই বিন খালিদ বলছেন:
আমি কুফায় আসলাম। সেখানে অনেক বাহনের ডাক শুনতে পারলাম। আমি কুফার মসজিদে গেলাম। একজন লোক আসলেন এবং সমস্ত লোক উনার চারদিকে জমে গেলেন।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম: উনি কে?
জবাব দিলো: হুজাইফা বিন ইয়ামান।

আমি উনার পাশে বসে পড়লাম। উনি বললেন:
মানুষজনেরা নবী ﷺ কে ভালো জিনিষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আমি জিজ্ঞাসা করতাম খারাপ সম্পর্কে।

আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম:
: ইয়া রাসুলুল্লাহ, দেখছেন আমরা এখন যে ভালোর মাঝে আছি। এর আগে কি খারাপ ছিলো? আর এর পরে কি খারাপ আসবে?
উনি ﷺ বললেন:
: হ্যা।
: এর থেকে রক্ষা কিসে?
: তলোয়ারে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, তলোয়ারের পরে কি কিছু বাকি থাকবে?
: হ্যা। এর পর সন্ধি।
: সন্ধির পরে?
: বিশৃংখলার দিকে ডাক দেয়া হবে। যদি তুমি তখন কোনো খলিফাকে দেখো, তবে তার আনুগত্য করবে। যদিও সে তোমার পিঠে বেত্রাঘাত করে, আর তোমার মাল কেড়ে নেয়। আর যদি খলিফা না থাকে, তবে পালাও যতক্ষন না তোমার মউত আসে এই অবস্থায় যে তুমি গাছ কামড়ে ধরে আছো।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পর কি হবে?
: দাজ্জাল বের হবে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, দাজ্জাল কি নিয়ে আসবে?
: সে আসবে আগুন আর ঝর্না নিয়ে। যে তার আগুনে পড়বে সে পুরস্কার পাবে, তার গুনাহ কমে যাবে। যে তার ঝর্নায় পড়বে, তার পুরস্কার কমে যাবে, সে গুনাহ পাবে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, দাজ্জালের পর কি?
: তোমাদের কোন একজন ঘোড়ায় জিন চড়িয়ে তাতে উঠার সময় পাবে না, কিয়ামত চলে আসবে।
حَدَّثَنَا 37113 - وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ نَجِيحٍ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ صَخْرِ بْنِ بَدْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سُبَيْعٍ، أَوْ سُبَيْعِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: أَتَيْتُ الْكُوفَةَ فَجَلَبْتُ مِنْهَا دَوَابَّ ; فَإِنِّي لَفِي مَسْجِدِهَا إِذْ جَاءَ رَجُلٌ قَدِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ , فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ , قَالَ: فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ: كَانَ §النَّاسُ يَسْأَلُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْخَيْرِ , وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , أَرَأَيْتَ هَذَا الْخَيْرَ الَّذِي كُنَّا فِيهِ هَلْ كَانَ قَبْلَهُ شَرٌّ وَهَلْ كَائِنٌ بَعْدَهُ شَرٌّ , قَالَ: «نَعَمْ» , قُلْتُ: فَمَا الْعِصْمَةُ مِنْهُ؟ قَالَ: «السَّيْفُ» , قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , فَهَلْ بَعْدَ السَّيْفِ مِنْ بَقِيَّةٍ؟ قَالَ: «نَعَمْ , هُدْنَةٌ» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , فَمَا بَعْدَ الْهُدْنَةِ؟ قَالَ: «دُعَاةُ الضَّلَالَةِ , فَإِنْ رَأَيْتَ خَلِيفَةً فَالْزَمْهُ وَإِنْ نَهَكَ ظَهْرَكَ ضَرْبًا وَأَخَذَ مَالَكَ , فَإِنْ لَمْ يَكُنْ خَلِيفَةٌ فَالْهَرَبُ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَاضٌّ عَلَى شَجَرَةٍ» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , فَمَا بَعْدَ ذَلِكَ؟ قَالَ: «خُرُوجُ الدَّجَّالِ» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , فَمَا يَجِيءُ بِهِ الدَّجَّالُ؟ قَالَ: «يَجِيءُ بِنَارٍ وَنَهْرٍ , فَمَنْ وَقَعَ فِي نَارِهِ وَجَبَ أَجْرُهُ , وَحُطَّ وِزْرُهُ , وَمَنْ وَقَعَ فِي نَهْرِهِ حُطَّ أَجْرُهُ , وَوَجَبَ وِزْرُهُ» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , فَمَا بَعْدَ الدَّجَّالِ؟ قَالَ: «لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْتَجَ فَرَسَهُ مَا رَكِبَ مُهْرَهَا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৪
হুজাইফা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ কে মানুষ ভালো জিনিষ নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন। আমি খারাপ জিনিষ নিয়ে জিজ্ঞাসা করতাম। ভালো গুলো সম্পর্কে [মানুষদের কাছ থেকে] জেনে নিতাম যেগুলো শুনিনি।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম: 'ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?"
উনি ﷺ জবাব দিলেন, "হ্যা হুজাইফা! আল্লাহর কিতাব, এতে যা আছে তা অনুসরন করবে।"

আমি এটা তিন বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম: "ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?"
উনি ﷺ জবাব দিলেন, "ফিতনা আর খারাপ"
: ঐ খারাপের পর কি ভালো আসবে?
: হ্যা, হুজাইফা! আল্লাহর কিতাব, এতে যা আছে তা অনুসরন করবে।" তিনবার বললেন।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম: "ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?"
জবাব দিলেন, "অন্ধ আর বধির ফিতনা। তখন [কিছু লোক] মানুষকে জাহান্নামের দরজার দিকে ডাকবে। হুজাইফা! তুমি যদি গাছের শেকড় কামড় দেয়া অবস্থায় মরেও যাও তবে সেটা তোমার জন্য ভালো, ঐ লোকদের কাউকে অনুসরন করা থেকে।
حَدَّثَنَا 37114 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: قَالَ حُمَيْدٌ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ اللَّيْثِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، يَقُولُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُهُ النَّاسُ عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ , وَعَرَفْتُ أَنَّ الْخَيْرَ لَنْ يَسْبِقَنِي , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , §هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: «يَا حُذَيْفَةُ , تَعَلَّمْ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبِعْ مَا فِيهِ ثَلَاثًا» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ؟ قَالَ: «يَا حُذَيْفَةُ , تَعَلَّمْ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبِعْ مَا فِيهِ ثَلَاثَ مِرَارٍ» , قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ؟ قَالَ: «فِتْنَةٌ عَمْيَاءُ صَمَّاءُ، عَلَيْهَا دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ النَّارِ , فَإِنْ تَمُتْ يَا حُذَيْفَةُ , وَأَنْتَ عَاضٌّ عَلَى جِذْلٍ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَتْبَعَ أَحَدًا مِنْهُمْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৫
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলেছেন,
আমরা একসময় রাসুলুল্লাহ ﷺ এর চারদিকে বসা ছিলাম।
উনি ﷺ ফিতনার কথা আলোচনা করলেন বা অন্য কেউ প্রসংগ তুললো।
তিনি ﷺ বললেন,

: যখন দেখবে মানুষ তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করছে,
আমানত খিয়ানত করছে,
এবং এই রকম হয়ে গিয়েছে
বলে উনি উনার আংগুলগুলো একে অন্যটার ভেতর ঢুকালেন।

তখন আমি দাড়িয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
: ঐ সময়ে আমি কি করবো? আল্লাহ আমাকে আপনার মুক্তিপন বানান।

উনি ﷺ আমাকে বললেন,
: তখন নিজের বাসায় থাকবে,
নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখবে,
যেটা জানো সেটা গ্রহন করবে,
যেটা খারাপ জানো,  সেটা পরিত্যাগ  করবে,
তোমার দায়িত্ব শুধু তোমার নিজের বিষয় দেখা,
আর জনসাধারনের কাজ পরিত্যাগ করবে। 
حَدَّثَنَا 37115 - الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ حَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ ذَكَرَ الْفِتْنَةَ أَوْ ذُكِرَتْ عِنْدَهُ , قَالَ: فَقَالَ: «§إِذَا رَأَيْتَ النَّاسَ مَرَجَتْ عُهُودُهُمْ وَخَفَّتْ أَمَانَاتُهُمْ , وَكَانُوا هَكَذَا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ» قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: كَيْفَ أَفْعَلُ عِنْدَ ذَلِكَ جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاءَكَ؟ قَالَ: فَقَالَ لِيَ: «الْزَمْ بَيْتَكَ وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَخُذْ بِمَا تَعْرِفُ وَذَرْ مَا تُنْكِرُ , وَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ , وَذَرْ عَنْكَ أَمْرَ الْعَامَّةِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৬
আবু সাইদ রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
এটা হতে যাচ্ছে যে কোনো মুসলিমের উত্তম সম্পদ হবে ভেড়া যেটা নিয়ে সে ভালো লাগা কোনো পাহাড়ে চলে যাবে যেখানে বৃস্টি পড়ে। তার দ্বীন নিয়ে ফিতনা থেকে পলানোর জন্য।
حَدَّثَنَا -[448]- 37116 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§يُوشِكُ أَنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ , مَوَاقِعَ الْقَطْرِ , يَفِرُّ بِدِينِهِ مِنَ الْفِتَنِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৭

হুজাইর বিন রাবী বলেছেন:
ইমরান বিন হুসাইন আমাকে বললেন,
তোমার কওম এসেছিলো, এর পর এই বিষয়ে কম করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছিলো।

আমি বললাম,
আমি তাদের মাঝে থাকি, তবে তাদের অনুসারি না।

উনি বললেন,
তাহলে আমার পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দিও যে, এক জন হাবশি গোলাম হয়ে পাহাড়ের চুড়ায় ছাগল পালন করা যতক্ষন না আমার মৃত্যু আসে, আমার কাছে বেশি প্রিয়, কোনো কাতারে ভুল কোনো তীর নিক্ষেপ বা আঘাত করার থেকে।

حَدَّثَنَا 37117 - ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ حُجَيْرِ بْنِ الرَّبِيعِ، قَالَ: قَالَ لِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، «ائْتِ قَوْمَكَ فَانْهَهُمْ أَنْ يُخْفُوا، فِي هَذَا الْأَمْرَ» , فَقُلْتُ: إِنِّي فِيهِمْ لَمَغْمُورٌ وَمَا أَنَا فِيهِمْ بِالْمُطَاعِ , «فَأَبْلِغْهُمْ عَنِّي §لَأَنْ أَكُونَ عَبْدًا حَبَشِيًّا فِي أَعْنُزٍ حَصَبَاتٍ أَرْعَاهَا فِي رَأْسِ جَبَلٍ حَتَّى يُدْرِكَنِي الْمَوْتُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَرْمِيَ فِي وَاحِدٍ مِنَ الصَّفَّيْنِ بِسَهْمٍ أَخْطَأْتَ أَوْ أَصَبْتَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৮
হুজাইফা রা: বলেছেন,
ফিতনা হবে।
থামবে, আবার আরম্ভ হবে।
তুমি যদি এটা থেমে থাকার সময়ে মরে যেতে পারো, তবে তাই করো।
حَدَّثَنَا 37118 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «إِنَّ §لِلْفِتْنَةِ وَقَفَاتٍ وَبَعَثَاتٍ , فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَمُوتَ فِي وَقَفَاتِهَا فَافْعَلْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯২৯
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলেছেন,
ফিতনা দেখা দিবে। আরবদের উপর ফোটায় ফোটায় পড়বে।
সে সময় কতলকারী জাহান্নামে যাবে।
সে সময় জিহ্বা, তলোয়ারের আঘাত থেকেও প্রচন্ড হবে।
حَدَّثَنَا 37119 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سِيمِينَ كُوشَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: «§تَكُونُ فِتْنَةٌ أَوْ فِتَنٌ تَسْتَنْظِفُ الْعَرَبَ , قَتْلَاهَا فِي النَّارِ , اللِّسَانُ فِيهَا أَشَدُّ مِنْ وَقْعِ السَّيْفِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩০
আবি মুসা রা: বলেছেন,
উনি ﷺ আমাদেরকে খুতবা দিলেন এবং বললেন,
সাবধান! তোমাদের পেছনে আধার রাত্রির টুকরার মত ফিতনা আছে।
তখন এক লোক সকালে মু'মিন থাকবে তো সন্ধায় কাফির হবে।
সন্ধায় কাফির থাকলে সকালে মু'মিন হবে।
ঐ সময়ে বসে থাকা লোক দাড়ানো লোকের থেকে ভালো।
দাড়ানো লোক হেটে চলা লোকের থেকে ভালো।
হেটে চলা লোক আরোহী থেকে ভালো।

লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো:
আমাদের কি করতে বলেন?

উনি ﷺ বললেন,
বাসায় বসে থাকবে।
حَدَّثَنَا 37120 - عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّدُوسِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: خَطَبَنَا فَقَالَ: " أَلَا وَإِنَّ §مِنْ وَرَائِكُمْ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ , يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا , وَيُصْبِحُ كَافِرًا وَيُمْسِي مُؤْمِنًا , الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ , وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي , وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ الرَّاكِبِ , قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «كُونُوا أَحْلَاسَ الْبُيُوتِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩১
মুজাহিদ রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
কিয়ামতের আগে রাতের আধার টুকরার মত ফিতনা দেখা দিবে।
সকালে এক জন মুমিন থাকবে, তো সন্ধায় সে কাফির হয়ে যাবে।
সন্ধায় মুমিন থাকবে, তো সকালে কাফির হয়ে যাবে।
মানুষ তার দ্বীনকে দুনিয়ার মালের বিনিময়ে বিক্রি করে দেবে।
حَدَّثَنَا 37121 - ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ فِتَنٌ كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ , يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا ; وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا , وَيَبِيعُ أَقْوَامٌ دِينَهُمْ بِعَرَضِ الدُّنْيَا»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩২
হুজাইফা রা: বর্ননা করেছেন আবি মুসা রা: থেকে:
নবী ﷺ বলেছেন:
তোমাদের ধনুক ভেঙ্গে ফেলো, অর্থাৎ ফিতনার সময়।
আর ধনুকের তারগুলো কেটে ফেলো।
আর নিজেদেরকে বাসায় আবদ্ধ করে ফেলো।
এবং সে সময় আদমের সন্তানদের মাঝে উত্তম জনের মত হয়ে যাও।
حَدَّثَنَا 37122 - عَفَّانُ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَرْوَانَ، عَنِ الْهُذَيْلِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «§اكْسِرُوا قُسِيَّكُمْ، يَعْنِي فِي الْفِتْنَةِ , وَاقْطَعُوا الْأَوْتَارَ، وَالْزَمُوا أَجْوَافَ الْبُيُوتِ , وَكُونُوا فِيهَا كَالْخَيِّرِ مِنَ ابْنَيْ آدَمَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৩
আবু জর রা: বলছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন
: হে আবু যর। যখন তুমি দেখবে মানুষ একে অন্যকে কতল করছে এমন কি "হিজারাতু জাইত" পর্যন্ত রক্তে ডুবে গিয়েছে তখন তুমি কি করবে?
: আল্লাহ আর উনার রাসুল ভালো জানেন।
: তুমি নিজের বাসায় ঢুকে যাবে।
: আমি কি অস্ত্র বহন করবো না?
: যদি এটা তোমার বিষয় হয়।
: তখন আমি কি করবো, ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ ?
: যদি ভয় পাও সূর্যরশ্মি তোমাকে পরাজিত করছে তবে তোমার জামার অংশ দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলবে। সে তোমার আর তার নিজের পাপের বোঝা নেবে।
حَدَّثَنَا 37123 - عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ , أَرَأَيْتَ §إِنِ اقْتَتَلَ النَّاسُ حَتَّى تَغْرَقَ حِجَارَةُ الزَّيْتِ مِنَ الدِّمَاءِ كَيْفَ أَنْتَ صَانِعٌ؟» قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ , قَالَ: «تَدْخُلُ بَيْتَكَ» , قَالَ: قُلْتُ: أَفَأَحْمِلُ السِّلَاحَ؟ قَالَ: «إِذًا شَارَكْتَ» , قَالَ: قُلْتُ: فَمَا أَصْنَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «إِنْ خِفْتَ أَنْ يَغْلِبَ شُعَاعُ الشَّمْسِ فَأَلْقِ مِنْ رِدَائِكَ عَلَى وَجْهِكَ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৪
আবি মুসা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
তোমাদের পরে এমন দিন আসবে যখন অজ্ঞতা নেমে আসবে। ইলম তুলে নেয়া হবে। আর হারজ বেড়ে যাবে।

সবাই জিজ্ঞাসা করলো:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, হারজ কি?

উনি ﷺ বললেন:
কতল করা।
حَدَّثَنَا 37124 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -[449]-: «إِنَّ §مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامًا يَنْزِلُ فِيهَا الْجَهْلُ، وَيُرْفَعُ فِيهَا الْعِلْمُ، وَيَكْثُرُ فِيهَا الْهَرْجُ» ; قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ , وَمَا الْهَرْجُ؟ قَالَ: «الْقَتْلُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৫
হুজাইফা রা: বলেছেন:

আধার রাত্রির টুকরার মত তোমাদের উপর ফিতনা আসবে। তাতে ধ্বংশ হয়ে যাবে প্রত্যেক সাহসী বীর, প্রত্যেক স্থির সাওয়ারী আর প্রত্যেক দক্ষ বক্তা।
حَدَّثَنَا 37125 - مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «§أَتَتْكُمُ الْفِتَنُ مِثْلَ قِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ , يَهْلَكُ فِيهَا كُلُّ شُجَاعٍ بَطَلٍ، وَكُلُّ رَاكِبٍ مُوضِعٍ وَكُلُّ خَطِيبٍ مُصْقِعٍ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৬

কুরযি বিন আলকামা আল-খুজাই বলেছেন:
এক লোক বললেন:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, ইসলামের কি সমাপ্তি আছে?

উনি ﷺ বললেন,
: হ্যা। যখন আল্লাহ তায়ালা কোনো আরব বা অনারব কোনো পরিবারের ভালো চান তখন উনি তাদের ইসলামে প্রবেশ করান।
: এর পর?
: এর পর ফিতনা যেটা ছায়ার মত ঢেকে ফেলবে। সে সময়ে সিংহরা গড়িয়ে পড়ে যাবে। তোমাদের এক দল অন্য দলের গলায় আঘাত করবে।

সিংহ হলো: জীবিত লোক যারা জেগে উঠবে, এর পর আবার গড়িয়ে পড়বে।

حَدَّثَنَا 37126 - ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ كُرْزِ بْنِ عَلْقَمَةَ الْخُزَاعِيِّ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ , هَلْ لِلْإِسْلَامِ مُنْتَهًى؟ قَالَ: «نَعَمْ , أَيُّمَا أَهْلِ بَيْتٍ مِنَ الْعَرَبِ أَوِ الْعَجَمِ أَرَادَ اللَّهُ بِهِمْ خَيْرًا أَدْخَلَ عَلَيْهِمُ الْإِسْلَامَ» , قَالَ: ثُمَّ مَهْ؟ قَالَ: " ثُمَّ §الْفِتَنُ تَقَعُ كَالظِّلِّ تَعُودُونَ فِيهَا أَسَاوِدَ صُبًّا , يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ , وَالْأَسْوَدُ: الْحَيَّةُ تَرْتَفِعُ ثُمَّ تَنْصَبُّ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৭
আসমা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার মদিনার উচু ঘরগুলোর মাঝে একটা উচু ঘরে দাড়ালেন এবং বললেন,
তোমরা কি দেখছো যা আমি দেখছি?
আমি ফিতনার দেখছি তোমাদের বাসাগুলোর মাঝ দিয়ে পড়ছে, যেমন করে বৃস্টি ঐ জায়গায় পড়ে।
حَدَّثَنَا 37127 - ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَفَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى؟ إِنِّي §لَأَرَى مَوَاقِعَ الْفِتَنِ خِلَالَ بُيُوتِكُمْ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৮

আউফ বলছেন আবু মিনহাল সাইয়ার বিন সালামা থেকে:
যে সময়ে ইবনে জিয়াদ বেরুলেন তখন
সিরিয়ায় মারওয়ান উঠে দাড়ালেন
মক্কায় ইবনে জুবাইর উঠে দাড়ালেন
বসরায় দুনিয়া ত্যগিরা দাড়িয়ে গেলেন।

তখন আমার পিতা প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন।
উনার বেশ প্রসংসা ছিলো ঐ সময়ে।

আমার পিতা আমাকে বললেন:
হে আমার ছেলে, আমার সাথে চলো। আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর এক সাহাবির কাছে যাবো।

এর পর আমরা আবি বারযাহ আল-আসলামি রা: এর কাছে গেলাম প্রচন্ড এক গরম দিনে।

উনি আখের ছালের তৈরি একটা কিছুর ছায়ায় বসে ছিলেন।
আমার আব্বা উনাকে পেয়ে উনার সাথে কথপোকথন আরম্ভ করলেন,

এটা দিয়ে কথা আরম্ভ করলেন।
: হে আবি বারযাহ! আপনি দেখছেন না? দেখছেন না?

উনি বললেন,
: আমি কুরাইশদের কাজকর্মের উপর অসন্তুস্ট।
তোমরা আরব জাতীরা কিরকম জাহিলিয়াত আর অধ্বঃপতনে ছিলে সেটা তোমরা জানো।
আল্লাহ তোমাদের ইসলাম দিয়ে তুলে এনেছে, আর মুহাম্মদ ﷺ কে দিয়েছেন যিনি তোমাদের কাছে কি নিয়ে এসেছেন দেখেছো।
আর এই দুনিয়া তোমাদের মাঝে ফাসাদ [ঝগড়া] সৃস্টি করছে।
এবং শামে একই অবস্থা -- মানে মারওয়ান।
ওয়াল্লাহ! দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।
এবং মক্কাতেও একই অবস্থা -- মানে ইবন জুবাইর।
ওয়াল্লাহ! দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।
একই অবস্থা তোমাদের আশেপাশে যারা আছে তাদেরও, যাদের তোমরা দুনিয়া ত্যগি ডাকো।
ওয়াল্লাহ! তারা দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।

যখন উনি কারো পক্ষে বললেন না তখন আমার পিতা উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
: হে আবি বারজাহ! তাহলে আপনার মত কি?

উনি বললেন,
: দুনিয়া ত্যগিদের ভালোগুলো এখন আর দেখা যায় না।
যাদের পেটে মানুষের মাল নেই।
যাদের গায়ে অন্যের রক্ত নেই।

حَدَّثَنَا 37128 - مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ، قَالَ: لَمَّا كَانَ زَمَنُ خَرَجَ ابْنُ زِيَادٍ وَثَبَ مَرْوَانُ بِالشَّامِ حِينَ وَثَبَ , وَوَثَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ , وَوَثَبَتِ الْقُرَّاءُ بِالْبَصْرَةِ ; قَالَ: قَالَ أَبُو الْمِنْهَالِ: غُمَّ أَبِي غَمًّا شَدِيدًا , قَالَ: وَكَانَ يُثْنِي عَلَى أَبِيهِ خَيْرًا , قَالَ: قَالَ لِي أَبِي: أَيْ بُنَيَّ , انْطَلِقْ بِنَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ مِنْ صَحَابَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْطَلَقْنَا إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ فِي يَوْمٍ حَارٍّ شَدِيدِ الْحَرِّ وَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ عُلُوٍّ لَهُ مِنْ قَصَبٍ , فَأَنْشَأَ أَبِي يَسْتَطْعِمُهُ الْحَدِيثَ , فَقَالَ: يَا أَبَا بَرْزَةَ , أَلَا تَرَى؟ أَلَا تَرَى؟ فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ تَكَلَّمَ بِهِ , قَالَ: " إِنِّي أَصْبَحْتُ سَاخِطًا عَلَى أَحْيَاءِ قُرَيْشٍ , إِنَّكُمْ مَعْشَرَ الْعَرَبِ كُنْتُمْ عَلَى الْحَالِ الَّتِي قَدْ عَلِمْتُمْ مِنْ قِلَّتِكُمْ وَجَاهِلِيَّتِكُمْ , وَإِنَّ اللَّهَ نَعَشَكُمْ بِالْإِسْلَامِ وَبِمُحَمَّدٍ حَتَّى بَلَغَ بِكُمْ مَا تَرَوْنَ , وَإِنَّ هَذِهِ الدُّنْيَا هِيَ الَّتِي قَدْ أَفْسَدَتْ بَيْنَكُمْ , إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِالشَّامِ يَعْنِي مَرْوَانَ وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا , وَإِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِمَكَّةَ يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا , وَإِنَّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ حَوْلَكُمْ تَدْعُونَهُمْ قُرَّاءَكُمْ وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُونَ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا , قَالَ: فَلَمَّا لَمْ يَدَعْ أَحَدًا " قَالَ لَهُ أَبِي: يَا أَبَا بَرْزَةَ , مَا تَرَى؟ قَالَ: «§لَا أَرَى الْيَوْمَ خَيْرًا مِنْ عِصَابَةٍ مُلَبَّدَةٍ , خِمَاصُ بُطُونِهِمْ مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ , خِفَافُ ظُهُورِهِمْ مِنْ دِمَائِهِمْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩৯
শাকিক বলেছেন:
হুজাইফা রা: বলেছেন:
আমরা ওমর রা: এর সাথে বসে ছিলাম। উনি জিজ্ঞাসা করলেন:
"তোমাদের মাঝে কে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ফিতনা সম্পর্কিত হাদিস মুখস্ত করে রেখেছো যেভাবে উনি বলেছিলেন?"

বললাম, "আমি।"

: তুমি তো দুঃসাহসী। কিভাবে?

: আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: একজন মানুষের ফিতনা হলো তার পরিবার, তার মাল, সে নিজে, তার সন্তান আর তার প্রতিবেশি। এর ক্ষমা হলো রোজা আর সদকা।

: আমি এটা জানতে চাইনি। আমি জানতে চাইছি ওটা সম্পর্কে যেটার ঢেউ হবে সমূদ্রের ঢেউয়ের মত।

: তাতে আপনার আর তার কি আমিরুল মু'মিনিন? আপনার আর তার মাঝে একটা দরজা আছে, বন্ধ।

: দরজাটা কি ভাঙ্গা হবে নাকি খুলা হবে?

: না। বরং ভাঙ্গা হবে।

: সেটা হলে, চেস্টা করলেও সেই দরজা আর কখনো বন্ধ করতে পারবে না।

আমরা হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করলাম,
: ওমর রা: কি জানতেন দরজাটা কে?

: হ্যা। যে রকম আমি জানি রাতের পরে দিন। আমি উনাকে এমন হাদিস বর্ননা করেছি যেটাতে প্রশ্ন তোলার মত কিছু ছিলো না।

শাকিক বলছেন:
আমরা ভয় পেলাম হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করতে, ঐ দরজাটা আসলে কে? তাই আমরা মাসরুককে বললাম, আপনি বরং উনাকে জিজ্ঞাসা করেন।

উনি জিজ্ঞাসা করলেন।

হুজাইফা রা: জবাব দিলেন: "ওমর।"
حَدَّثَنَا 37129 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَابْنُ نُمَيْرٍ وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفِتْنَةِ كَمَا قَالَ؟ فَقُلْتُ: أَنَا , قَالَ: فَقَالَ: إِنَّكَ لَجَرِيءٌ , وَكَيْفَ؟ قَالَ: قُلْتُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «§فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَنَفْسِهِ وَجَارِهِ يُكَفِّرُهَا الصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ». فَقَالَ عُمَرُ: لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ , إِنَّمَا أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ , قَالَ: قُلْتُ: مَالَكَ وَلَهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا , قَالَ: فَيُكْسَرُ الْبَابُ , أَمْ يُفْتَحُ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا , بَلْ يُكْسَرُ , قَالَ: ذَاكَ أَحْرَى أَنْ لَا -[450]- يُغْلَقَ أَبَدًا ". قَالَ: قُلْنَا لِحُذَيْفَةَ: هَلْ كَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ؟ قَالَ: نَعَمْ , كَمَا أَعْلَمُ أَنَّ غَدًا دُونَ اللَّيْلَةِ , إِنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالْأَغَالِيطِ , قَالَ: فَهَبْنَا حُذَيْفَةَ أَنْ نَسْأَلَهُ مَنِ الْبَابُ , فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ: سَلْهُ , فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: عُمَرُ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪০

হুজাইফা রা: বলেছেন:
চাবুকের ফিতনা হবে তলোয়ারের ফিতনা থেকেও প্রচন্ড।

জিজ্ঞাসা করা হলো:
কিভাবে?

বললেন:
মানুষকে চাবুক দিয়ে মারা হবে যতক্ষন না সে কাঠের তক্তায় আরোহন করে।

حَدَّثَنَا 37130 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «§لَفِتْنَةُ السَّوْطِ أَشَدُّ مِنْ فِتْنَةِ السَّيْفِ» , قَالُوا: وَكَيْفَ ذَاكَ؟ قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيُضْرَبُ بِالسَّوْطِ حَتَّى يَرْكَبَ الْخَشَبَةَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪১

সাইদ বিন যাইদ রা: বলেছেন:
আমরা নবী ﷺ এর সংগে বসে ছিলাম।
উনি ফিতনার কথা আলোচনা করলেন এবং ঐ সময়ের বিপদের প্রচন্ডতা বর্ননা করলেন।

আমরা বললাম:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, যদি এটা আমরা পাই তাহলে এটা তো আমাদের ধংশ করে দেবে।

উনি বললেন:
না! বরং, কতল হয়ে যাওয়া তোমাদের জন্য যথেষ্ট।

সাইদ রা: বলছেন:
আমি দেখেছি আমার ভাইদের কতল হয়ে যেতে।

حَدَّثَنَا 37131 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ فِتْنَةً فَعَظَّمَ أَمْرَهَا , قَالَ: فَقُلْنَا أَوْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ , لَئِنْ أَدْرَكْنَا هَذَا لَنُهْلِكَنَّ ; قَالَ: «كَلًّا , إِنَّ §بِحَسْبِكُمُ الْقَتْلَ» , قَالَ سَعِيدٌ: فَرَأَيْتُ إِخْوَانِي قُتِلُوا
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪২
হুজাইফা রা: বলেছেন:
তিনটা ফিতনা হবে। চতুর্থটা দাজ্জালের দিকে নিয়ে যাবে।
তখন কালো পাথর ছুড়ে মারা হবে। এবং অগ্নি পাথর ছুড়ে মারা হবে।
ঢেউয়ের মত অন্ধকার আসবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মত।
حَدَّثَنَا 37132 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ قَالَ قَالَ حُذَيْفَةُ: «§تَكُونُ ثَلَاثُ فِتَنٍ , الرَّابِعَةُ تَسُوقُهُمْ إِلَى الدَّجَّالِ , الَّتِي تَرْمِي بِالنَّشْفِ، وَالَّتِي تَرْمِي بِالرَّضْفِ , وَالْمُظْلِمَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৩
হুজাইফা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন,

ফিতনা দেখা দিবে
অন্ধ ও বধির হয়ে যাওয়া মানুষদের জাহান্নামের দরজার দিকে ডাকা হবে।

হুজাইফা! তুমি যদি গাছের শেকড় কামড় দেয়া অবস্থায় মরেও যাও তবে সেটা তোমার জন্য ভালো, ঐ লোকদের কাউকে অনুসরন করা থেকে।
حَدَّثَنَا 37133 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: قَالَ حُمَيْدٌ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْيَشْكُرِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§فِتْنَةٌ عَمْيَاءُ صَمَّاءُ، عَلَيْهَا دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ النَّارِ , فَإِنْ تَمُتْ يَا حُذَيْفَةُ وَأَنْتَ عَاضٌّ عَلَى جِذْلٍ خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تَتْبَعَ أَحَدًا مِنْهُمْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৪
এক ব্যক্তি হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করলো,
: যখন মুসুল্লিদের কতল করা হবে তখন আমি কি করবো?
: নিজের বাসায় ঢুকে যাবে।
: সে যদি আমার বাসায় ঢুকে পড়ে তখন কি করবো?
: বলে দিবে, আমি তোমাকে হত্যা করবো না, আমি রাব্বুল আলামিন আল্লাহকে ভয় করি।
حَدَّثَنَا 37134 - وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِحُذَيْفَةَ: §كَيْفَ أَصْنَعُ إِذَا اقْتَتَلَ الْمُصَلُّونَ؟ قَالَ: «تَدْخُلْ بَيْتَكَ» , قَالَ: قُلْتُ: كَيْفَ أَصْنَعُ إِنْ دَخَلَ بَيْتِي؟ قَالَ: قُلْ: «لَنْ أَقْتُلَكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৫
হুজাইফা রা: বলেছেন:
তিনটা জিনিস দিয়ে ফিতনা বাড়বে।

এমন লোকের হাতে রক্তপাত বৃদ্ধির কারনে, যে ফিতনা বাড়ুক সেটা চায় না, বরং তলোয়ার দ্বারা কমাতে চায়।
এমন খতিবের কারনে যে সবকিছু নিজের দিকে ডাকে।
এবং প্রশংসিত শরিফ লোকের কারনে।

এর পর রক্তপাত যখন বেড়ে যাবে, তখন সেটা তাদেরকে ফেলে দেবে।
এরপর তাদেরকে উপড়ে ফেলবে এবং তাদের নিকট যা ছিলো সেটা তাদের ক্ষতি করবে।
حَدَّثَنَا 37135 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: " §وُكِّلَتِ الْفِتْنَةُ بِثَلَاثَةٍ: بِالْجَادِّ النِّحْرِيرِ الَّذِي لَا يُرِيدُ أَنْ يَرْتَفِعَ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا قَمَعَهُ بِالسَّيْفِ ; وَبِالْخَطِيبِ الَّذِي يَدْعُو إِلَيْهِ الْأُمُورَ , وَبِالشَّرِيفِ الْمَذْكُورِ , فَأَمَّا الْجَادُّ النِّحْرِيرُ فَتَصْرَعُهُ , وَأَمَّا هَذَانِ فَتَجُثُّهُمَا فَتَبْلُو مَا عِنْدَهُمَا "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৬

হুজাইফা রা: বলেছেন:
: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন উট তার লাগাম সহ এসে তোমাদের মাঝে হাটু গেড়ে বসবে, এবং তোমাদের কাছে এখান থেকে, ওখান থেকে লোকেরা আসবে?

: ওয়াল্লাহ আমরা জানি না।

: তবে ওয়াল্লাহ। আমি জানি। তোমারা তখন গোলাম আর তার মালিকের মত হয়ে যাবে। মালিক গোলামকে ধমক দিলেও গোলাম পাল্টা ধমক দেয় না। আর পিটালেও গোলাম পাল্টা পিটায় না।

حَدَّثَنَا 37136 - مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنِ الصَّلْتِ بْنِ بَهْرَامُ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ هَوْذَةَ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «§كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا بَرَكَتْ تَجُرُّ خِطَامَهَا فَأَتَتْكُمْ مِنْ هَاهُنَا وَمِنْ هَاهُنَا» , قَالُوا: لَا نَدْرِي وَاللَّهِ , قَالَ: «لَكِنِّي وَاللَّهِ أَدْرِي , أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَالْعَبْدِ وَسَيِّدِهِ ; إِنْ سَبَّهُ السَّيِّدُ لَمْ يَسْتَطِعِ الْعَبْدُ أَنْ يَسُبَّهُ , وَإِنْ ضَرَبَهُ لَمْ يَسْتَطِعِ الْعَبْدُ أَنْ يَضْرِبَهُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৭
হুজাইফা রা: লোকদের বলছেন,
: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন তোমরা দ্বীনের ব্যপারে এরকম উদার হয়ে যাবে, যেমন এক মহিলা কবুল বলার পর উদার হয়ে যায়। তার কাছে যে আসে তাকে মানা করে না?

: আমরা জানি না।

: কিন্তু ওয়াল্লাহ! আমি জানি। তোমরা সেদিন থাকবে অক্ষম আর অসৎ হবার মাঝে।

ঐ কওম থেকে এক লোক বললেন,

: এর অক্ষমতাকে ঘৃনা করে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

হুজাইফা রা: তখন ঐ লোকের গায়ে কয়েকবার আঘাত করলেন। এর পর বললেন,

: যেভাবে তুমি এ থেকে দূরে থাকলে। যেভাবে তুমি এ থেকে দূরে থাকলে।
حَدَّثَنَا 37137 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ بَهْرَامُ، عَنْ مُنْذِرِ بْنِ هَوْذَةَ، عَنْ خَرَشَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «§كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا انْفَرَجْتُمْ عَنْ دِينِكُمْ، كَمَا تَنْفَرِجُ الْمَرْأَةُ عَنْ قُبُلِهَا، لَا تَمْنَعُ مَنْ يَأْتِيهَا» , قَالُوا: لَا نَدْرِي , قَالَ: " لَكِنِّي وَاللَّهِ أَدْرِي , أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ بَيْنَ عَاجِزٍ وَفَاجِرٍ , فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: قُبِّحَ الْعَاجِزُ عَنْ ذَاكَ , قَالَ: فَضَرَبَ ظَهْرَهُ حُذَيْفَةُ مِرَارًا , ثُمَّ قَالَ: قُبِّحْتَ أَنْتَ , قُبِّحْتَ أَنْتَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৮

খারাশাহ বলছেন:
হুজাইফা রা: একবার মসজিদে ঢুকলেন।
দেখলেন এক কওমের কিছু লোক অন্য লোককে পড়াচ্ছেন।
বললেন,
: তোমরা যদি পথের উপর থাকতে! তোমরা অনেক দূরের জিনিষকে জরুরী বানিয়ে ফেলেছো।

এর পর উনি রা: তাদের সাথে বসলেন এবং বললেন,
: আমরা ছিলাম সেই কওম যারা পড়া শেখার আগে ঈমান এনেছি। শিগ্রই এমন কওম আসবে যারা ঈমান আনার আগে পড়া শিখবে।

ঐ কওম থেকে একজন বললেন,
: এটা ফিতনা?

উনি বললেন,
: দ্রুতই, তোমাদের সামনে থেকে কিছু এসে তোমাদের চেহারাকে অপরাধি করে দিবে। এর পর অনবরত আসতে থাকবে আসতে থাকবে। লোকজন ফিরে গিয়ে পরামর্শ নেবে এমন দুব্যক্তি থেকে, তাদের একজন অথর্ব, অন্যজন অসৎ।

খারাশাহ বললেন,
: এর পর কিছু সময় যায় নি। আমি দেখলাম লোকটা তার তলোয়ার নিয়ে বেরিয়ে মানুষকে পর্যবেক্ষন করছে।

حَدَّثَنَا -[451]- 37138 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ بَهْرَامُ، قَالَ أَخْبَرَنَا الْمُنْذِرُ بْنُ هَوْذَةَ، عَنْ خَرَشَةَ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ , فَمَرَّ عَلَى قَوْمٍ يُقْرِئُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا , فَقَالَ: «إِنْ تَكُونُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ , لَقَدْ سَبَقْتُمْ سَبْقًا بَعِيدًا , وَإِنْ تَدَعُوهُ فَقَدْ ضَلَلْتُمْ» , قَالَ: ثُمَّ جَلَسَ إِلَى حَلْقَةٍ , فَقَالَ: «إِنَّا كُنَّا قَوْمًا آمَنَّا قَبْلَ أَنْ نَقْرَأَ , وَإِنَّ قَوْمًا سَيَقْرَءُونَ قَبْلَ أَنْ يُؤْمِنُوا ,» فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: تِلْكَ الْفِتْنَةُ , قَالَ: أَجَلْ , " قَدْ §أَتَتْكُمْ مِنْ أَمَامِكُمْ حَيْثُ تَسُوءُ وُجُوهَكُمْ ثُمَّ لَتَأْتِيَنَّكُمْ دِيَمًا دِيَمًا , إِنَّ الرَّجُلَ لَيَرْجِعُ فَيَأْتَمِرُ الْأَمْرَيْنِ: أَحَدُهُمَا عَجْزٌ وَالْآخَرُ فُجُورٌ " , قَالَ خَرَشَةُ: فَمَا بَرِحْتُ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى رَأَيْتَ الرَّجُلَ يَخْرُجُ بِسَيْفِهِ يَسْتَعْرِضُ النَّاسَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪৯

যাইদ বিন ওয়াহাব বলেছেন:
হুজাইফা রা: কে প্রশ্ন করা হলো:
ফিতনা "আরম্ভ হওয়া" আর "থেমে যাওয়া" মানে কি?

বললেন:
আরম্ভ হওয়া মানে তলোয়ারকে খাপমুক্ত করা।
থেমে যাওয়া মানে সেটাকে কোষবদ্ধ করা।

حَدَّثَنَا 37139 - وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الْحَارِثِ بْنِ حَصِيرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: قِيلَ لِحُذَيْفَةَ: مَا §وَقَفَاتُ الْفِتْنَةِ وَمَا بَعَثَاتُهَا؟ قَالَ: «بَعَثَاتُهَا سَلُّ السَّيْفِ , وَوَقَفَاتُهَا إِغْمَادُهُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫০

আবি আল-তাফাইল আমির বিন ওয়াথিলা বলেছেন:
হুজাইফা রা: আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
: তোমার কি অবস্থা হবে যখন ফিতনা দেখা দেবে -- যাদের চাহিদা নেই এবং নিজেদেরকে গোপন রাখে -- এরকম উত্তম মানুষদের মাঝে?

: আর কেমন? একে একে এটা আমাদের সামনে পরিবেশন করা হবে। প্রত্যেক বিচ্ছিন্ন লোককে এটা বিচ্ছিন্ন করে দেবে। প্রতিটা লক্ষ্যেকে কেন্দ্র করে ছুড়ে মারা হবে।

: তুমি তখন সদ্যজাত শিশুর মত হয়ে যাবে
সে চড়ে বসে না, তাকে বহন করা হয়।
সে দুধ খায় না, তাকে খাওয়ানো হয়।

حَدَّثَنَا 37140 - يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَالَ لَهُ: «§كَيْفَ أَنْتَ وَفِتْنَةُ؟ خَيْرُ النَّاسِ فِيهَا غَنِيٌّ خَفِيٌّ» , قَالَ: قُلْتُ: وَكَيْفَ وَإِنَّمَا هُوَ عَطَاءٌ أَحَدُنَا يَطْرَحُ بِهِ كُلَّ مَطْرَحٍ , وَيَرْمِي بِهِ كُلَّ مَرْمًى؟ قَالَ: «كُنْ إِذًا كَابْنِ الْمَخَاضِ لَا رَكُوبَةَ فَتُرْكَبُ، وَلَا حَلُوبَةَ فَتُحْلَبُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫১
হুজাইফা রা: বলেছেন,
ফিতনা আসবে।
তখন সন্দেহ জনক বিষয় বাড়বে, পরিস্কার বিষয় চলে যাবে।
তখন ঐ বেদুইন সম্মানিত হবে, যে লাঠিতে ভর করে তার ভেড়ার পেছনে থাকবে।
এবং সে তোমাদের স্রোতের সাথে চলবে না।
حَدَّثَنَا 37141 - يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الرَّوَاعِ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «§تَكُونُ فِتْنَةٌ تُقْبِلُ مُشَبَّهَةً وَتُدْبِرُ مُمِيتَةً , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ فَالْبَدُوا , يَجُودُ الرَّاعِي عَلَى عَصَاهُ خَلْفَ غَنَمِهِ , لَا يَذْهَبُ بِكُمُ السَّيْلُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫২

হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করা হলো,
: বনি ইসরাইল কি একদিনেই কুফরিতে চলে গিয়েছিলো?

বললেন,
: না। বরং তাদের উপর ফিতনা আসে। তারা এতে পড়ে যায়।
কিন্তু ফিতনাকে তারা খারাপ বুঝতে পারে।

এর পর আবার ফিতনা আসে, এতে আবার পড়ে যায়।
এভাবে,
এক পর্যায়ে তারা চাবুক আর তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে তারা সাওয়ারী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে তারা জানা জিনিস ভুলে যায়।
এবং খারাপকে আর খারাপ বুঝতে পারে না।

حَدَّثَنَا 37142 - وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، قَالَ: قِيلَ لِحُذَيْفَةَ: أَكَفَرَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ؟ قَالَ: «لَا , وَلَكِنْ §كَانَتْ تُعْرَضُ عَلَيْهِمُ الْفِتْنَةُ فَيَأْتُونَهَا فَيُكْرَهُونَ عَلَيْهَا , ثُمَّ تُعْرَضُ عَلَيْهِمْ فَيَأْتُونَهَا حَتَّى ضُرِبُوا عَلَيْهَا بِالسِّيَاطِ وَالسُّيُوفِ حَتَّى خَاضُوا الْمَاءَ، حَتَّى لَمْ يَعْرِفُوا مَعْرُوفًا وَلَمْ يُنْكِرُوا مُنْكَرًا»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৩
রিবয়ি বলেছেন:
আমি শুনেছি হুজাইফা রা: এর জানাজায় এক লোক বলছেন:
আমি এই খাটিয়ার লোকের কাছে শুনেছি উনি বলেছেন:
আমার সামান্য কস্টও নেই।
কারন আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে শুনেছি,
: তোমাদের যদি হত্যা করা হয়, তবে তোমরা আমার ঘরে প্রবেশ করবে। তাই, তারা যদি আমার ঘরে প্রবেশ করে তবে আমি তাদেরকে বলবো: আসো! আমার আর তোমার গুনাহ নিয়ে ফিরে যাও।
حَدَّثَنَا 37143 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا، فِي جِنَازَةِ حُذَيْفَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ صَاحِبَ هَذَا السَّرِيرِ يَقُولُ: مَا بِي بَأْسٌ مُذْ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " §وَلَئِنِ اقْتَتَلْتُمْ لَأَدْخُلَنَّ بَيْتِي , فَلَئِنْ دَخَلَ عَلَيَّ لَأَقُولَنَّ: هَا بُؤْ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৪
হুজাইফা রা: বলেছেন:
যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো সে যেনো ইসলাম থেকে দূরে চলে গেলো।
حَدَّثَنَا 37144 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «§مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَارَقَ الْإِسْلَامَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৫
হুজাইফা রা: বলেছেন,
মানুষের উপর এমন যুগ আসবে, ডুবন্ত মানুষের মত যে দোয়া করছে, সে ছাড়া আর কেউ তখন বাচতে পারবে না।
حَدَّثَنَا 37145 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «§لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَنْجُو فِيهِ إِلَّا الَّذِي يَدْعُو بِدُعَاءٍ كَدُعَاءِ الْغَرِيقِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৬
হুজাইফা রা: বলেছেন:
মানুষের উপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মত।
حَدَّثَنَا 37146 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «§لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَنْجُو فِيهِ إِلَّا مَنْ دَعَا بِدُعَاءٍ كَدُعَاءِ الْغَرِيقِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৭
হুজাইফা রা: বলেছেন:
ওয়াল্লাহ! এক জন সকাল অতিবাহিত করবে দৃস্টি ক্ষমতা নিয়ে। এর পর সন্ধায় সে থাকবে অন্ধ।
حَدَّثَنَا -[452]- 37147 - أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «وَاللَّهِ إِنَّ §الرَّجُلَ لَيُصْبِحُ بَصِيرًا ثُمَّ يُمْسِي وَمَا يَنْظُرُ بِشَفْرٍ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৮

হুজাইফা রা: সুরা তৌবার ১২ নং আয়াত পাঠ করলেন,
অর্থ: আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের কেন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে

এর পর বললেন,
: পরবর্তিতে এই আয়াতে যাদের কথা আছে তাদের সাথে আর যুদ্ধ হয় নি।

حَدَّثَنَا 37148 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَرَأَ حُذَيْفَةُ هَذِهِ الْآيَةَ {§فَقَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ} [التوبة: 12] , قَالَ: «مَا قُوتِلَ أَهْلُ هَذِهِ الْآيَةِ بَعْدُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫৯
মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে একটা তলোয়ার দিয়ে বললেন:

এটা দিয়ে তুমি মুশরিকদের কতল কর, যাদের কতল করা হয়।
আর যখন দেখবে মানুষদের একদল অন্যদলকে মারছে -- বা এরকম কোনো কথা বললেন,
তখন এটা নিয়ে তুমি পাথরের কাছে চলে যাও এবং এটা দিয়ে পাথরের উপর মারতে থাকো যতক্ষন না এটা ভেঙ্গে যায়।

এর পর নিজেকে নিজের বাসায় আটকে রাখো যতক্ষন না তোমার কাছে খারাপ কোনো হাত আসে বা মৃত্যুর লিখনি চলে আসে।
حَدَّثَنَا 37149 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ: أَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفًا فَقَالَ: «قَاتِلْ بِهِ الْمُشْرِكِينَ مَا قُوتِلُوا , §فَإِذَا رَأَيْتَ النَّاسَ يَضْرِبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا فَاعْمِدْ بِهِ إِلَى صَخْرَةٍ فَاضْرِبْهُ بِهَا حَتَّى يَنْكَسِرَ ثُمَّ اقْعُدْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬০
আবু সাইদ খুদরী রা: লোকদেরকে বলেছেন,
: সাবধান! অন্ধ কতল আর জাহেলিয়াতের উপর মৃত্যু থেকে।
: অন্ধ কতল কি?
: যখন বলা হয় হে অমুকের লোক! হে অমুকের বংশ!
: আর জাহেলিয়াতের মৃত্যু কি?
: তুমি যদি মারা যাও এমন অবস্থায় যে তোমার কোনো ইমাম নেই।
حَدَّثَنَا 37150 - أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِي، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: «§إِيَّاكُمْ وَقِتَالَ عِمِّيَّةٍ وَمِيتَةَ جَاهِلِيَّةٍ» , قَالَ: قُلْتُ: مَا قِتَالُ عِمِّيَّةٍ؟ قَالَ: " إِذَا قِيلَ: يَا لَفُلَانُ , يَا بَنِي فُلَانٍ , " قَالَ: قُلْتُ: مَا مِيتَةُ جَاهِلِيَّةٍ؟ قَالَ: «أَنْ تَمُوتَ وَلَا إِمَامَ عَلَيْكَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬১
হাসান রা: বলেছেন:
অন্ধ যুদ্ধে যে মারা যাবে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের উপর হলো।
حَدَّثَنَا 37151 - أَبُو خَالِدٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «§مَنْ قُتِلَ فِي قِتَالِ عِمِّيَّةٍ فَمِيتَتُهُ مِيتَةُ جَاهِلِيَّةٍ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬২
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলছেন,
যখন উথমান রা: এর বিরোধিতায় মানুষ বিভক্ত হয়ে গেলো তখন আমার পিতা দাড়িয়ে গেলেন।
রাতে নামাজ পড়লেন।
এর পর ঘুমালেন।
তাকে বলা হলো,
: দাড়াও! আর আল্লার কাছে চাও যেন উনি তোমাকে ফিতনা থেকে রক্ষা করেন। যে ফিতনা থেকে উনি উনার নেক বান্দাদের রক্ষা করেন।

উনি দাড়ালেন।
এক সময় অসুস্থ হয়ে গেলেন।

 
মৃত্যু পর্যন্ত উনাকে আর বের হতে দেখি নি।
حَدَّثَنَا 37152 - أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: " لَمَّا تَشَعَّبَ النَّاسُ فِي الطَّعْنِ عَلَى عُثْمَانَ قَامَ أَبِي يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ نَامَ , قَالَ: فَقِيلَ لَهُ: §قُمْ فَاسْأَلِ اللَّهَ أَنْ يُعِيذَكَ مِنَ الْفِتْنَةِ الَّتِي أَعَاذَ مِنْهَا عِبَادَهُ الصَّالِحِينَ , قَالَ: فَقَامَ فَمَرِضَ فَمَا رُئِيَ خَارِجًا حَتَّى مَاتَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৩
আলী রা: বলেছেন:
ইসলাম কমে যেতে থাকবে।
এমন কি "আল্লাহ, আল্লাহ" বলার মত মানুষ থাকবে না।
এ অবস্থা হলে দ্বীনের এক শীর্ষ নেতা দাড়িয়ে যাবে তার পাপ নিয়ে।
এর পর মানুষ বেরিয়ে তার চারিদিকে জড়ো হত থাকবে যেভাবে শরৎ কালে মেঘ জমা হয়।
ওয়াল্লাহ! আমি তাদের আমিরের নাম জানি এবং তাদের ঘোড়ার জাতও জানি।
حَدَّثَنَا 37153 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: " §يَنْقُصُ الْإِسْلَامُ حَتَّى لَا يُقَالَ: اللَّهُ اللَّهُ , فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ ضَرَبَ يَعْسُوبُ الدِّينَ بِذَنَبِهِ , فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ بُعِثَ قَوْمٌ يَجْتَمِعُونَ كَمَا يَجْتَمِعُ فَرْعُ الْخَرِيفِ , وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ اسْمَ أَمِيرِهِمْ وَمُنَاخَ رِكَابِهِمْ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৪
হুজাইফা রা: বলেছেন,
যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো, সে নিজের গলা থেকে ইসলামের বেড়িকে খুলে ফেললো।
حَدَّثَنَا 37154 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «§مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৫
আলী রা: বলেছেন:
নেতৃত্ব হবে কুরাইশ থেকে।
আর যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো সে যেন নিজের ঘাড় থেকে ইসলামের বন্ধনকে খুলে ফেললো।
حَدَّثَنَا 37155 - وَكِيعٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَرْثَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي أَبُو صَادِقٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: «§الْأَئِمَّةُ مِنْ قُرَيْشٍ , وَمَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ نَزَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৬
আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,
: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন ফিতনার কাপড় তোমাদের পড়ানো হবে?
অল্প বয়সীরা সে সময় সীমা ছাড়াবে, এবং বয়স্করা দুর্বল হয়ে পড়বে।
মানুষ এটাকে সুন্নাহ হিসাবে নিবে।
এর মাঝে কিছু পরিবর্তন করলে মানুষ বলবে, "তুমি সুন্নাহকে বদলাচ্ছো।"

লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো,
: এটা কখন হবে, আবি আব্দুর রহমান?

: যখন তোমাদের মাঝে লিখাপড়া জানা লোক বেড়ে যাবে কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কমে যাবে।
যখন তোমাদের মাঝে নেতা বেড়ে যাবে কিন্তু ফকিহ কমে যাবে।
যখন তোমরা আখেরাতের আমল দ্বারা দুনিয়ার সন্ধান করবে।
حَدَّثَنَا 37156 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: " §كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا لَبِسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ وَيَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ وَيَتَّخِذُهَا النَّاسُ سُنَّةً , فَإِنْ غُيِّرَ مِنْهَا شَيْءٌ قِيلَ: غُيِّرَتِ السُّنَّةُ , قَالُوا: مَتَى يَكُونُ ذَلِكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: إِذَا كَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ وَقَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ , وَكَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ وَقَلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ , وَالْتُمِسَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৭
আলী রা: বলেছেন,
এই উম্মার জন্য আল্লাহ তায়ালা পাচটি ফিতনা রেখেছেন।
সর্বসাধারনদের ফিতনা,
এর পর বিশেষ ব্যক্তিদের ফিতনা,
এর পর সর্বসাধারনদের ফিতনা,
এর পর বিশেষ ব্যক্তিদের ফিতনা,
এর পর ঢেউয়ের মত ফিতনা, সমূদ্রের ঢেউয়ের মত।
মানুষ তাতে সাতার কাটবে গরু-ছাগলের মত।
حَدَّثَنَا -[453]- 37157 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُنْذِرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: " §وَضَعَ اللَّهُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ خَمْسَ فِتَنٍ: فِتْنَةً عَامَّةً ثُمَّ فِتْنَةً خَاصَّةً ثُمَّ فِتْنَةً عَامَّةً ثُمَّ فِتْنَةً خَاصَّةً , ثُمَّ فِتْنَةً تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ , يُصْبِحُ النَّاسُ فِيهَا كَالْبَهَائِمِ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৮

ইবনে আব্বাস রা: মিম্বরে দাড়িয়ে বলেছেন:

যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো এর পর মারা গেলো, সে জাহেলিয়াতের উপর মরলো।

حَدَّثَنَا 37158 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَحْمَرَ أَوِ ابْنَ أَحْمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: «§مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬৯
জাইদ বিন উথাইয়ি বলেছেন:
হুজাইফা রা: বলেছেন,
: তোমরা তখন কি করবে যখন তোমাদের কাছে অন্যে হক চাবে তখন তোমরা তাকে দিয়ে দেবে, কিন্তু তোমাদের হক তোমাদেরকে দিতে তারা আস্বিকার করবে?

লোকেরা জবাব দিলো,
: আমরা সবর করবো।

হুজাইফা রা: বললেন,
: তোমরা প্রবেশ করেছো! কাবার রবের শপথ।
حَدَّثَنَا 37159 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: " §كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا سُئِلْتُمُ الْحَقَّ فَأَعْطَيْتُمُوهُ , وَمُنِعْتُمْ حَقَّكُمْ , قَالَ: إِذًا نَصْبِرُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭০
হুজাইফা রা: এবং আবু মাসউদ রা: মসজিদে বসে ছিলেন। ঐ সময়ে কুফাবাসীরা সাইদ ইবনে আস রা: কে মাত্র বহিস্কার করেছে।

এক লোক উনাদের দুজনের কাছে আসলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন,
: আপনাদের কি জিনিস আটকিয়ে রেখেছে? অথচ সমস্ত মানুষ বেরিয়ে পড়েছে! ওয়াল্লাহ আমরাই সুন্নাহর উপর আছি।

তারা জবাব দিলো,
: তোমরা কি করে সুন্নাহর উপর আছো, যেখানে তোমরা তোমাদের ইমামকে বহিস্কার করেছো? ওয়াল্লাহ তোমরা সুন্নাহর উপর নেই যতক্ষন না তোমাদের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করে জনগনকে নসিহা করে।

: যদি নেতারা দুঃখ প্রকাশ না করে, এবং জনগনকে নসিহা না করে -- তবে আমাদের কি বলেবেন?

: তবে আমরা বেরিয়ে যাবো, এবং তোমাদের বিদায় জানাবো।
حَدَّثَنَا 37160 - عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْحَنَفِيِّ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حُذَيْفَةَ، وَإِلَى أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ وَهُمَا جَالِسَانِ فِي الْمَسْجِدِ وَقَدْ طَرَدَ أَهْلُ الْكُوفَةِ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ فَقَالَ: مَا يَحْبِسُكُمْ وَقَدْ خَرَجَ النَّاسُ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّا لَعَلَى السُّنَّةِ , فَقَالَا: «وَكَيْفَ تَكُونُونَ عَلَى السُّنَّةِ وَقَدْ طَرَدْتُمْ إِمَامَكُمْ , وَاللَّهِ §لَا تَكُونُونَ عَلَى السُّنَّةِ حَتَّى يُشْفِقَ الرَّاعِي وَتَنْصَحَ الرَّعِيَّةُ» , قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: فَإِنْ لَمْ يُشْفِقِ الرَّاعِي وَتُنْصَحِ الرَّعِيَّةُ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: نَخْرُجُ وَنَدَعُكُمْ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭১
ইয়াজিদ বিন সুহাইব আল-ফকির বলেছেন:
আমার কাছে এই কথা পৌছেছে যে, ফিতনার সময় যে তার তলোয়ারের অনুসরন করবে সেই ভুলের মাঝে পড়ে গিয়ে আফসো করবে এবং সে লাঞ্চিত হবে।
حَدَّثَنَا 37161 - كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ صُهَيْبٍ الْفَقِيرِ، قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّهُ §مَا تَقَلَّدَ رَجُلٌ سَيْفًا فِي فِتْنَةٍ إِلَّا لَمْ يَزَلْ مَسْخُوطًا عَلَيْهِ حَتَّى يَضَعَهُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭২

সুলাইমান বিন আমর বর্ননা করেছে উনার পিতা থেকে:
নবী ﷺ বিদায়ী হজ্জে বলেছেন,
: এটা কোন দিন?
তিন বার জিজ্ঞাসা করলেন।

লোকেরা জবাব দিলো,
: বড় হজ্জের দিন।

: নিশ্চই, তোমাদের রক্ত, মাল, সম্মান হারাম, যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই মাসে, তোমাদের এই শহরে।

সাবধান! অপরাধির অপরাধের দায়িত্ব শুধু তার উপর। পিতার অপরাধের দায়িত্ব সন্তানের উপর না, আবার সন্তানের অপরাধের দায়িত্ব পিতার উপর না।

সাবধান! হে উম্মতেরা আমি কি তোমাদের কাছে পৌছেছি?

তারা বললো,
: হ্যা।

উনি ﷺ বললেন,

: হে আল্লাহ! সাক্ষি থাকবেন।
তিন বার বললেন।

حَدَّثَنَا 37162 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: «أَيُّ يَوْمٍ هَذَا؟» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ , فَقَالُوا: يَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ , قَالَ: «§فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا , أَلَا لَا يَجْنِي جَانٍ إِلَّا عَلَى نَفْسِهِ , لَا يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلَا مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ , أَلَا يَا أُمَّتَاهُ هَلْ بَلَّغْتُ» قَالُوا: نَعَمْ , قَالَ: «اللَّهُمَّ اشْهَدْ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৩

আদ্দা বিন খালিদ বিন হাওদাহ রা: বলেছেন:
নবী ﷺ এর সংগে আমি বিদায় হজ্জ করেছি। দেখেছি নবী ﷺ দুটো বাহনের উপর দাড়িয়ে বলছেন,

: তোমরা জানো এটা কোন মাস? এটা কোন শহর?
তাহলে জেনে রাখো, তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল হারাম যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই মাসের মাঝে, তোমাদের এই শহরের মাঝে।

তোমাদের কাছে কি কথাটি পৌছেছি?

: হ্যা।

: হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষি থাকেন।

حَدَّثَنَا 37163 - وَكِيعٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ الْعَدَّاءَ بْنَ خَالِدِ بْنِ هَوْذَةَ، قَالَ: حَجَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ , فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا فِي الرِّكَابَيْنِ وَهُوَ يَقُولُ: «تَدْرُونَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟ أَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟» قَالَ: «§فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا , هَلْ بَلَّغْتُ؟» قَالُوا: نَعَمْ , قَالَ: «اللَّهُمَّ اشْهَدْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৪

আবু বকর রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের বলেছেন,
: এটা কোন মাস?
: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ ভালো জানেন।
এর পর এত লম্বা সময় উনি চুপ করে থাকলেন, যে আমাদের ধারনা হলো উনি হয়তো নতুন কোনো নাম দিবেন।
এর পর উনি বললেন,

: এটা কি জিলহজ্জ মাস না?
: নিশ্চই।
: এটা কোন শহর?
: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ জানেন।
এর পর উনি আবার এত লম্বা সময় চুপ থাকলেন যে আমার ধারনা করলাম উনি হয়তো নতুন কোনো নাম রাখবেন।

এর পর বললেন,
: এটা কি হারাম শহর না?
: হ্যা।
: এটা কোন দিন?
: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ জানেন।
এর পর উনি আবার এত লম্বা সময় চুপ থাকলেন যে আমরা ধারনা করলাম উনি হয়তো নতুন কোনো নাম রাখবেন।

এর পর বললেন,
: এটা কি কোরবানীর দিন না?
: নিশ্চই, ইয়া রাসুলুল্লাহ!
: তাহলে নিশ্চই তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল, তোমাদের সম্মান তোমাদের উপর হারাম যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে। এর পর তোমাদের আমলের ব্যপারে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।

حَدَّثَنَا 37164 - الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ؟ قَالَ: فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ , قَالَ: «أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ؟» قُلْنَا: بَلَى , قَالَ: «فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ , فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ , قَالَ: «أَلَيْسَ الْبَلَدَ؟» قُلْنَا: نَعَمْ , قَالَ: «أَيُّ يَوْمٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ; قَالَ -[454]-: فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ , قَالَ: «أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ ,» قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ , قَالَ: «§فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ» قَالَ مُحَمَّدٌ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: «وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا , وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৫

হযরত জাবের রা: বলেছেন,
নবী ﷺ হজ্জে বলেছেন,
: তোমরা জানো কোন দিন সবচেয়ে বেশি হারাম?
আমরা বললাম,
: আমাদের এই দিনটি।

: কোন শহর সবচেয়ে বেশি হারাম?
: আমাদের এই শহর।

: কোন মাস সবচেয়ে বেশি হারাম?
: আমাদের এই মাস।

তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন,
: নিশ্চই তোমাদের রক্ত আর মালও হারাম, যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে।

حَدَّثَنَا 37165 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةٍ: «أَتَدْرُونَ أَيُّ يَوْمٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً؟» قَالَ: فَقُلْنَا: يَوْمَنَا هَذَا , قَالَ: «فَأَيُّ بَلَدٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً؟» قَالَ: قُلْنَا: بَلَدُنَا هَذَا , قَالَ: «فَأَيُّ شَهْرٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً؟» قُلْنَا: شَهْرُنَا هَذَا , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৬

মুররাহ একজন সাহাবী থেকে শুনে বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে দাড়ালেন একটা বয়স্ক লাল উটনির উপর। এর পর বললেন,

: তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন দিন? তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন মাস? তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন শহর?
নিশ্চই তোমাদের রক্ত, মাল তোমাদের উপর হারাম যেরকম হারাম এই এই দিন, এই শহরে, এই মাসে।

حَدَّثَنَا 37166 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاقَةٍ حَمْرَاءَ مُخَضْرَمَةٍ , فَقَالَ: «أَتَدْرُونَ أَيُّ يَوْمِكُمْ هَذَا؟ أَتَدْرُونَ أَيُّ شَهْرِكُمْ هَذَا؟ أَتَدْرُونَ أَيُّ بَلَدِكُمْ هَذَا؟» قَالَ: «§فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৭

যাইদ বলেছেন:
ইমুল যারআর দিনে হুজাইফা রা: কে কেউ বললেন,
: আপনিও কি মানুষদের সঙ্গে বের হবেন না?

উনি বললেন,
: তাদের সাথে আমার বের হওয়ায় কি? আমি জেনেছি যে তাদের মাঝে সামান্য রক্তপাত হবে না, যতক্ষন না তারা ফিরে আসে। তিনি ﷺ যারআর কথা বলেছেন হাদিসে। অনেক হাদিসে।
আমি চাই না যে এর কিছু আমার গায়ে লাগুক, যা তোমাদের ঘরে আছে।
ফিতনার দিকে যে তাকিয়ে দেখবে তাকে ফিতনায় ধরবে।

حَدَّثَنَا 37167 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدٍ، قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُرْعَةِ قِيلَ لِحُذَيْفَةَ: أَلَا تَخْرُجُ مَعَ النَّاسِ؟ قَالَ: «مَا يُخْرِجُنِي مَعَهُمْ؟» قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُمْ لَمْ يُهْرِيقُوا بَيْنَهُمْ مُحْجِمًا مِنْ دَمٍ حَتَّى يَرْجِعُوا , وَلَقَدْ ذُكِرَ فِي حَدِيثِ الْجُرْعَةِ حَدِيثُ كَثِيرٌ: «مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِهِ مَا فِي بَيْتِكُمْ , إِنَّ §الْفِتْنَةَ تَسْتَشْرِفُ مَنِ اسْتَشْرَفَ لَهَا»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৮
হুজাইফা রা: বলেছেন,
: আমার ইচ্ছে হয় আমার সাথে ১০০ জন লোক থাকবে যাদের অন্তর হবে স্বর্নের।
এর পর আমি একটা পাথরের উপর উঠে তাদেরকে হাদিস বর্ননা করবো যে এর পর তারা আর কখনো ফিতনায় পড়বে না।
এর পর অল্প অল্প করে আমি চলে যাবো। আমি আর তাদের দেখবো না, তারাও আমাকে দেখবে না।
حَدَّثَنَا 37168 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «§وَدِدْتُ أَنَّ عِنْدِي، مِائَةَ رَجُلٍ قُلُوبُهُمْ مِنْ ذَهَبٍ فَأَصْعَدُ عَلَى صَخْرَةٍ فَأُحَدِّثُهُمْ حَدِيثًا لَا تَضُرُّهُمْ فِتْنَةٌ بَعْدَهُ أَبَدًا ثُمَّ أَذْهَبُ قَلِيلًا قَلِيلًا فَلَا أَرَاهُمْ وَلَا يَرَوْنَنِي»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭৯

হুজাইফা রা: বলেছেন:
আমি যদি তোমাদের বলি যা আমি জানি, তবে তোমরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে।

এক ভাগ আমাকে কতল করবে।
এক ভাগ আমাকে কোনো সাহায্য করবে না।
আর এক ভাগ আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।

حَدَّثَنَا 37169 - أَبُو بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: " §لَوْ حَدَّثْتُكُمْ مَا أَعْلَمُ لَافْتَرَقْتُمْ عَلَى ثَلَاثِ فِرَقٍ: فِرْقَةٍ تُقَاتِلُنِي , وَفِرْقَةٍ لَا تَنْصُرُنِي , وَفِرْقَةٍ تُكَذِّبُنِي "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮০
হুজাইফা রা: বলেছেন,
এক লোকের বিজয়ে যদি উম্মাহ ময়লা হয়, তবে দুই লোক থাকে।
তাদের একজন আশাতীত করেন।
অন্যজন মুশকিলে পড়েন।
যিনি আশাতীত করেছেন, উনি হলেন উমর রা:।
যিনি মুশকিলে পড়েছেন উনি হলেন আলী রা:।
حَدَّثَنَا 37170 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: " §مَا مِنْ رَجُلٍ إِلَّا بِهِ أُمَّةٌ يُنَجِّسُهَا الظَّفَرُ إِلَّا رَجُلَيْنِ: أَحَدُهُمَا قَدْ بَرَزَ وَالْآخَرُ فِيهِ مُنَازَعَةٌ , فَأَمَّا الَّذِي بَرَزَ فَعُمَرُ , وَأَمَّا الَّذِي فِيهِ مُنَازَعَةٌ فَعَلِيٌّ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮১
ইবনে হানাফীয়া রা: বলেছেন:
আল্লাহ রহম করুন ঐ লোকের উপর যে
তার হাত গুটিয়ে রাখে,
জিহ্বাকে আটকিয়ে রাখে,
অন্তরকে চাহিদাশূন্য রাখে
নিজের ঘরে বসে থাকে
আর তার নিজ দায়িত্ব নিজের উপর।
সে কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সাথে থাকবে, যাদেরকে ভালোবাসা হবে।
সাবধান! মুমিনদের তলোয়ার তাদের দিকে সবচেয়ে দ্রুত আসে।
সাবধান! বিজয় হক্বের জন্য। আল্লাহ তায়ালা যখন চান দিবেন।
حَدَّثَنَا 37171 - مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَزْدِيِّ، عَنِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، قَالَ: «§رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً كَفَّ يَدَهُ وَأَمْسَكَ لِسَانَهُ وَأَغْنَى نَفْسَهُ وَجَلَسَ فِي بَيْتِهِ , لَهُ مَا احْتَسَبَ , وَهُوَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ مَعَ مَنْ أَحَبَّ , أَلَا إِنَّ الْأَعْمَالَ أَسْرَعُ إِلَيْهِمْ مِنْ سُيُوفِ الْمُؤْمِنِينَ , أَلَا إِنَّ لِلْحَقِّ دَوْلَةً يَأْتِي بِهَا اللَّهُ إِذَا شَاءَ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮২

সুনাবিহ রা: বলেছেন,
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
: আমি তোমাদের আগে হাউজে থাকবো। আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য দেখে আনন্দিত হবো। আমার পরে তোমরা একে অন্যকে হত্যা করো না।

দ্বিতীয় একটা সুত্র থেকে একই হাদিস বর্নিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا -[455]- 37172 - عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَوَكِيعٌ، وَابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ الصُّنَابِحِيّ، قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «§أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ , وَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الْأُمَمَ، فَلَا تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي» حَدَّثَنَا 37173 - ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ الْأَحْمَسِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৩

আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজ্জে বলেছেন,

সাবধান! আমার পরে তোমরা একে অন্যের ঘাড়ে আঘাত করে কুফরিতে ফিরে যেও না।

حَدَّثَنَا 37174 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: " وَيْحَكُمْ , أَوْ قَالَ: وَيْلَكُمْ , §لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৪
জারির বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন,
: মানুষ শান্ত হোক।
এর পর মানুষ শান্ত হলে বললেন,
: আমি তোমাদের আশংকা জানাচ্ছি যেটা আমি ভবিষ্যতে দেখছি। তোমরা আমার পরে কুফরিতে ফিরে যাবে। এক দল লোক অন্য দলের গলায় আঘাত করে।
حَدَّثَنَا 37175 - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ جَرِيرًا، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَنْصِتِ النَّاسَ» ثُمَّ قَالَ عِنْدَ ذَلِكَ: لَأُعَرِّفَنَّكُمْ بَعْدُ مَا أَرَى , §تَرْجِعُونَ بَعْدِي كُفَّارًا , يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৫
আবা জুরআহ বিন আমর বিন জারির রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বিদায়ী হজ্জে বলেছেন,
: হে মানুষ, চুপ করে মনোযোগ দিয়ে শুনো। আমার পরে তোমরা একে অন্যের গলায় আঘাত করে কুফরিতে ফিরে যেও না।
حَدَّثَنَا 37176 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: اسْتَنْصِتِ النَّاسَ , وَقَالَ: «§لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৬

হুজাইফা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন,
আমি তোমাদের আগে হাউজে পৌছে যাবো। আমার কওম নিয়ে আমি ঝগড়া করবো এবং তাদের উপর জয়ী হবো। আমি বলবো,
: ইয়া রব! আমার আসহাব!

আমাকে বলা হবে,
: আপনি জানেন না, আপনার পরে তারা কি করেছে।

حَدَّثَنَا 37177 - ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " §أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَلَأُنَازِعَنَّ أَقْوَامًا ثُمَّ لَأَغْلِبَنَّ عَلَيْهِمْ , فَأَقُولُ: يَا رَبِّ , أَصْحَابِي , فَيُقَالُ: إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৭

আনাস বিন মালিক রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন:
কাউছার হলো একটা নহর যেটা আমার রব আমাকে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন।
এতে অনেক ভালো কিছু আছে।
ওটা আমার হাউজ।

কিয়ামতের দিন এখান থেকে আমি আমার উম্মাহর জবাব দেবো।
এর পাত্রের সংখ্যা হলো তারকার সংখ্যার সমান।

কিছু আবদদের এখানে আসতে বাধা দেয়া হবে।

আমি বলবো: এরা তো আমার উম্মত!
আমাকে বলা হবে: আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি করেছিলো।

حَدَّثَنَا 37178 - عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " §الْكَوْثَرُ نَهْرٌ وَعَدَنِي رَبِّي , عَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ , هُوَ حَوْضِي تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ , آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ , فَيُخْتَلَجُ الْعَبْدُ مِنْهُمْ فَأَقُولُ: رَبِّ , إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي , فَيَقُولُ: لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ بَعْدَكَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৮

উম্মে সালমা রা: বলেছেন,
আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে শুনেই এই মিম্বরের উপর বলতে
আমি কাউছারে তোমাদের আগেই থাকবো।
যখন আমি সেখানে থাকবো তখন আমি তোমাদের কাছে যেতে গেলে তোমাদের মাঝে একটা দূরত্ব চলে আসবে। আমি ডাক দিবো, তোমরা আসো!

তখন একজন ডেকে বলবে,
: না! তারা আপনার পরে বদলিয়ে গিয়েছিলো।
এর পর আমি বলবো,
: এসো না! তোমরা দুরের লোক! তোমরা দুরের লোক!

حَدَّثَنَا 37179 - عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ: " §إِنِّي سَلَفٌ لَكُمْ عَلَى الْكَوْثَرِ , فَبَيْنَمَا أَنَا عَلَيْهِ إِذْ مَرَّ بِكُمْ أَرْسَالًا مُخَالِفًا لَكُمْ , فَأُنَادِي: هَلُمَّ , فَيُنَادِي مُنَادٍ فَيَقُولُ: أَلَا إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ , فَأَقُولُ: أَلَا سُحْقًا "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮৯

মুররাহ বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর একজন সাহাবি বলছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার আমাদের মাঝে দাড়ালেন, এবং বললেন:

সাবধান! আমি তোমাদের আগে হাউজে পৌছে যাবো।
তোমাদের দেখবো, এবং তোমাদের বিশাল সংখ্যা দেখে অনন্দিত হবো।
তাই তোমরা আমার মুখকে কালো করো না।

حَدَّثَنَا 37180 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ «أَلَا §إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ , أَنْظُرُكُمْ وَأُكَاثِرُ بِكُمُ الْأُمَمَ، فَلَا تُسَوِّدُوا وَجْهِي»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯০

উমর রা: আবি মুসা রা: কে লিখে পাঠান,
স্বভাবতঃ মানুষ তাদের সুলতানকে অপছন্দ করে। তাই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই আমার আর তোমার মাঝে ঘৃনা আসা থেকে,
দুনিয়া দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে,
মনের ইচ্ছার অনুসরন করা থেকে।

কাবিলাগুলো একটা অন্যটার বিরুদ্ধে লাগতে যাচ্ছে।
এটাই হলো অহংকার যে শয়তান থেকে আসে।
এরকম হলে: তখন তলোয়ার তলোয়ার, কতল কতল হবে।
তারা বলবে: হে ইসলামের পরিবার, হে ইসলামের পরিবার।

حَدَّثَنَا 37181 - مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي مُوسَى: " إِنَّ §لِلنَّاسِ نَفْرَةً عَنْ سُلْطَانِهِمْ، , فَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكَنِي، وَإِيَّاكُمْ، ضَغَائِنَ مَحْمُولَةً وَدُنْيَا مُؤْثَرَةً وَأَهْوَاءَ مُتَّبَعَةً , وَإِنَّهُ سَتَدَاعَى الْقَبَائِلُ ; وَذَلِكَ نَخْوَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ فَالسَّيْفُ السَّيْفُ , الْقَتْلُ الْقَتْلُ , يَقُولُونَ: يَا أَهْلَ الْإِسْلَامِ , يَا أَهْلَ الْإِسْلَامِ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯১
উবাই বিন কাব রা: বলেছেন,
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যে তার নিজের গোত্রে দিকে ডাকে, সে যেন তার পিতার অঙ্গ কামড় দিলো। এবং এটা সরাসরি বলো।
حَدَّثَنَا -[456]- 37182 - وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «§مَنِ اتَّصَلَ بِالْقَبَائِلِ فَأَعْضُوهُ بِهَنِ أَبِيهِ، وَلَا تُكَنُّوا» حَدَّثَنَا 37183 - عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُتَيِّ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ أُبَيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯২
উমর রা: বলেছেন,
যে তার গোত্রের জন্য গর্বিত হলো সে অংগ কামড় দিয়ে চুষলো।
حَدَّثَنَا 37184 - وَكِيعٌ، عَنْ عِمْرَانَ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ: «§مَنِ اعْتَزَّ بِالْقَبَائِلِ فَاعْضُوهُ أَوْ فَامْضُوهُ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৩

তালহা বিন উবাইদিল্লাহ বিন কুরাইজ বলেছেন:
উমর রা: সেনাপ্রধানদের লিখে দিয়েছিলেন:

যদি গোত্রগুলো একে অন্যের সংগে সংঘর্ষে নামে তবে তলোয়ার দিয়ে তাদের তাড়া করো যতক্ষন না তারা ইসলামের শিক্ষার দিকে ফিরে আসে।

حَدَّثَنَا 37185 - وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كُرَيْزٍ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ: «§إِذَا تَدَاعَتِ الْقَبَائِلُ فَاضْرِبُوهُمْ بِالسَّيْفِ حَتَّى يَصِيرُوا إِلَى دَعْوَةِ الْإِسْلَامِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৪
আবি সালেহ বলেছেন,
যে বললো: হে ওমুকের বংশধর!
তবে সে আগুনের শাস্তির দিকে ডাকলো।
حَدَّثَنَا 37186 - وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ سَهْلٍ أَبِي الْأَسَدِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ: " §مَنْ قَالَ: يَا آلَ بَنِي فُلَانٍ , فَإِنَّمَا يَدْعُو إِلَى جُثَاءِ النَّارِ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৫
মাসরুক রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
আমি যেন তোমাদেরকে এই ভাবে না পাই যে আমার পরে তোমরা একদল অন্যদলের ঘাড়ে আঘাত করে কুফরিতে ফিরে গিয়েছো।
কোনো মানুষকে তার ভাইয়ের পাপ বা পিতার পাপের জন্য ধরা হবে না।
حَدَّثَنَا 37187 - حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§لَا أُلْفِيَنَّكُمْ بِهِ , تَرْجِعُونَ بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ , لَا يُؤْخَذُ الرَّجُلُ بِجَرِيرَةِ أَخِيهِ وَلَا بِجَرِيرَةِ أَبِيهِ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৬
আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,
শিগ্রই উপেক্ষা করা হবে এবং ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবে।
তখন তুমি ধীরে চলবে এবং ভালোর অনুসরন করবে।
খারাপ রাষ্ট্রপ্রধানের মাঝে যতটুকু ভালো আছে, সেটার।
حَدَّثَنَا 37188 - أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ هَنَاتٌ وَأُمُورٌ مُشْبِهَاتٌ , فَعَلَيْكَ بِالتُّؤَدَةِ فَتَكُونُ تَابِعًا فِي الْخَيْرِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَكُونَ رَأْسًا فِي الشَّرِّ»
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৭

শায়বি বলেছেন,
এক লোক অন্যকে ডাকলো,
: এই! যে দাব্বার জন্য!

ওমর রা: কে এটা লিখে পাঠনো হলো। উনি জবাব দিলেন,
: তাকে শাস্তি দাও। আর তাকে আদব শিখাও।
দাব্বা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর কোনো উপকারও তাদের থেকে নিতে পারে না।

حَدَّثَنَا 37189 - شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ رَجُلًا، قَالَ: يَا لِضَبَّةَ , قَالَ: فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ , قَالَ: فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ أَنْ عَاقِبْهُ , أَوْ قَالَ: أَدِّبْهُ , فَإِنَّ §ضَبَّةَ لَمْ يَدْفَعْ عَنْهُمْ سُوءًا قَطُّ وَلَمْ يَجُرَّ إِلَيْهِمْ خَيْرًا قَطُّ "
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৮

জাইদ বিন থাবিত রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার বললেন,
আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও প্রকাশ পাওয়া আর গোপন থাকা ফিতনা থেকে।

আমরা বললাম,
আমরা আশ্রয় চাইছি আল্লাহর কাছে, প্রকাশ পাওয়া আর গোপন থাকা ফিতনা থেকে।

حَدَّثَنَا 37190 - ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «§تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ» , قُلْنَا: نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯৯
আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,
যখন উসমান রা: উনার কাছে হুকুম পাঠালেন মদিনার দিকে বেরিয়ে যেতে।
তখন মানুষেরা উনার কাছে আসলো।

তারা তাকে বললো:
দাড়ান। আপনি বের হবেন না। আমরা আপনাকে নিষেধ করছি।
উনার কাছ থেকে আপনার কাছে অপছন্দনীয় কিছু আসবে না।

আব্দুল্লাহ বললেন:
শিগ্রি ঘটনা ঘটবে এবং ফিতনা দেখা দিবে।
আমি এটা পছন্দ করি না যে আমি প্রথম এটা খুলবো, অথচ উনি আমার আনুগত্য প্রাপ্য।

মানুষ এর পর একে একে চলে গেল এবং উনি বের হলেন।
حَدَّثَنَا 37191 - أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: لَمَّا بَعَثَ عُثْمَانُ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ بِالْخُرُوجِ إِلَى الْمَدِينَةِ اجْتَمَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَقَالُوا لَهُ: أَقِمْ لَا تَخْرُجْ , فَنَحْنُ نَمْنَعُكَ , لَا يَصِلُ إِلَيْكَ مِنْهُ شَيْءٌ تَكْرَهُهُ , فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ أُمُورٌ وَفِتَنٌ , لَا أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ أَنَا أَوَّلَ مَنْ فَتَحَهَا وَلَهُ عَلَيَّ طَاقَةٌ» , قَالَ: فَرَدَّ النَّاسَ وَخَرَجَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৪২০০০

ইবনে মাসউদ রা: আমাদের এগিয়ে নিয়ে চললেন। এর পর কাদিসিয়ার রাস্তায় নামলেন। বুস্তান শহরে প্রবেশ করলেন। উনার হাজত পূর্ন করলেন। এর পর উনি ওজু করলেন এবং মুজার উপর মসেহ করলেন। এর পর বের হলেন। উনার দাড়ি থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছিলো।

আমরা উনাকে বললাম,
: আমাদের সমাধান দিন। মানুষ ফিতনাতে পড়ে যাচ্ছে, এই দিকে আমরা আপনার সাক্ষাৎ পবো নাকি পাবো না সেটা জানি না।

উনি বললেন,
: আল্লাহকে ভয় করো। এবং সবর কর। যতক্ষন না বিপদ চলে যায়। অথবা অসৎ লোকদের থেকে পরিত্রান পাও। আর তোমাদের উপর হুকুম জামাতের সংগে থাকা। কারন আল্লাহ মুহাম্মদ ﷺ এর উম্মতকে পথভ্রস্টতার উপর জামাতবদ্ধ করেন না।

حَدَّثَنَا -[457]- 37192 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنِ الْمُسَيِّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ يَسِيرَ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: شَيَّعْنَا ابْنَ مَسْعُودٍ حِينَ خَرَجَ , فَنَزَلَ فِي طَرِيقِ الْقَادِسِيَّةِ فَدَخَلَ بُسْتَانًا , فَقَضَى الْحَاجَةَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى جَوْرَبَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ وَإِنَّ لِحْيَتَهُ لَيَقْطُرُ مِنْهَا الْمَاءُ , فَقُلْنَا لَهُ: اعْهَدْ إِلَيْنَا فَإِنَّ النَّاسَ قَدْ وَقَعُوا فِي الْفِتَنِ وَلَا نَدْرِي هَلْ نَلْقَاكَ أَمْ لَا , قَالَ: «اتَّقُوا اللَّهَ وَاصْبِرُوا حَتَّى يَسْتَرِيحَ بَرٌّ أَوْ يُسْتَرَاحَ مِنْ فَاجِرٍ , §وَعَلَيْكُمْ بِالْجَمَاعَةِ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَجْمَعُ أُمَّةَ مُحَمَّدٍ عَلَى ضَلَالَةٍ»
পৃষ্ঠা - ৪২০০১
আনাস বিন মালিক রা: বলেছেন,
: শিগ্রই প্রথমে রাজা-বাদশাহরা আসবে, এর পর আসবে স্বৈরাচাররা, এর পর আসবে ত্বাগুতরা।
حَدَّثَنَا 37193 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ مُلُوكٌ، ثُمَّ جَبَابِرَةٌ، ثُمَّ الطَّوَاغِيتُ»
পৃষ্ঠা - ৪২০০২
রাসুলুল্লাহ ﷺ উনার হুজুরাত থেকে বের হলেন এবং বললেন:
আগুন জ্বালানো হয়েছে।
ফিতনা এসেছে যেন এটা রাতের অন্ধকার টুকরা।
আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তবে তোমরা হাসতে কম, কাদতে বেশি।
حَدَّثَنَا 37194 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ الْحُجُرَاتِ فَقَالَ: «§سُعِّرَتِ النَّارُ، وَجَاءَتِ الْفِتَنُ كَأَنَّهَا قِطَعُ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ , لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا»
পৃষ্ঠা - ৪২০০৩
আবি ইদরিস রা: বলেছেন:
ফিতনা হবে যেগুলোর ছায়া হবে গরুর চেহারার মত। অধিকাংশ মানুষ তাতে পড়ে ধ্বংশ হয়ে যাবে।
যারা আগেই এটাকে চিনবে তারা ছাড়া।
حَدَّثَنَا 37195 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ مُبَارَكٍ، وَمُفَضَّلِ بْنِ يُونُسَ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، قَالَ: «إِنَّهَا §فِتَنٌ قَدْ أَظَلَّتْ كَجِبَاهِ الْبَقَرِ يَهْلَكُ فِيهَا أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَّا مَنْ كَانَ يَعْرِفُهَا قَبْلَ ذَلِكَ»
পৃষ্ঠা - ৪২০০৪
হুজাইফা রা: আমাদের বললেন,
: তখন তোমাদের কি হবে যখন আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদিকে ﷺ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন?
এক লোক বললো,
: আমারা অস্বিকার করলেও উনি দেয়া বন্ধ করে দেন না। আর আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদকে ﷺ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন?
: আল্লাহর কাছে মশার পাখা সমান দামও যার নেই, সেও যখন উনার উত্তরাধিকার পায় সেটা দেখেছো? উম্মতে মুহাম্মদি ﷺ কে আল্লাহ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন ঐ দিনে এটি কি এখন বিশ্বাস হয়?
حَدَّثَنَا 37196 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَبْسٍ قَالَ: قَالَ لَنَا حُذَيْفَةُ: «§كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا ضَيَّعَ اللَّهُ أَمْرَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» فَقَالَ رَجُلٌ: مَا تَزَالُ تَأْتِينَا بِمُنْكَرَةٍ , يُضَيِّعُ اللَّهُ أَمْرَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ؟ قَالَ: " أَرَأَيْتُمْ إِذَا وَلِيَهَا مَنْ لَا يَزِنُ عِنْدَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ: أَفَتَرَوْنَ أَمْرَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ضَاعَ يَوْمَئِذٍ "
পৃষ্ঠা - ৪২০০৫
খালিদ বিন উরফুতাহ রা: বলেছেন,
নবী ﷺ বলেছেন,
: হে খালেদ! শিগ্রই মতবিরোধের ঘটনা ঘটবে। বিভাজন দেখা দেবে। যখন সেটা হবে তখন তুমি কতল হয়ে যেতে পারলে হযে যাও, কিন্তু কতল করো না।
حَدَّثَنَا 37197 - عَفَّانُ، وَأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَا: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " يَا خَالِدُ , إِنَّهَا §سَتَكُونُ أَحْدَاثٌ وَاخْتِلَافٌ وَقَالَ عَفَّانُ: وَفُرْقَةٌ فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَكُونَ الْمَقْتُولَ لَا الْقَاتِلَ , قَالَ عَفَّانُ: فَافْعَلْ "
পৃষ্ঠা - ৪২০০৬

আবি বুরদাহ বলছেন,
মুহাম্মাদ ইবনে মুসলেমা রা: এর ঘরে গিয়ে আমি বললাম,
: আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। এই সময় আপনি ঘরে আছেন। আপনি কেন মানুষের কাছে গিয়ে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ করছেন না?

উনি বললেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
অতি সত্বর ফিতনা, বিভাজন আর দ্বিমত দেখা দিবে। এরকম হলে তুমি তোমার তলোয়ার নিয়ে উহুদ পাহাড়ে চলে যাবে। এর পর এটা মারতে থাকবে যতক্ষন না তলোয়ার ভেঙ্গে যায়। এর পর বাসায় বসে থাকবে যতক্ষনা না তোমার কাছে কোনো অপরাধীর হাত অথবা মৃত্যুর লিখনি আসে।

এখন এটা হয়েছে। এজন্য আমাকে রাসুলুল্লাহ ﷺ যা করতে বলেছেন সেটা করেছি।

حَدَّثَنَا 37198 - يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَقُلْتُ لَهُ: رَحِمَكَ اللَّهُ , إِنَّكَ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ بِمَكَانٍ , فَلَوْ خَرَجْتَ إِلَى النَّاسِ فَأَمَرْتَ وَنَهَيْتَ؟ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ فِتْنَةٌ وَفُرْقَةٌ وَاخْتِلَافٌ , فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأْتِ بِسَيْفِكَ أُحُدًا فَاضْرِبْهُ حَتَّى تَقْطَعَهُ ثُمَّ اجْلِسْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ» , فَقَدْ وَقَعَتْ وَفَعَلْتُ مَا قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪২০০৭
ইবনে সিরিন বলেছেন,
আমার কাছে এই কথা পৌছেছে যে সিরিয়ার ঐক্যকে কেউ নস্ট করতে পারবে না সিরিয়ার বেদুইনরা যা করবে তা ছাড়া।
حَدَّثَنَا 37199 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّ §الشَّامَ لَا تَزَالُ مُوَائِمَةً مَا لَمْ يَكُنْ بَدْوُهَا مِنَ الشَّامِ»
পৃষ্ঠা - ৪২০০৮

আব্দুল্লাহ বিন আমির উনার পিতা থেকে বর্ননা করছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

যে মারা গেলো কিন্তু সে কারো নেতৃত্ব মেনে চলতো না, তবে সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরন করলো। আর যে এই বন্ধন করে ভঙ্গ করলো, সে ওজর খুজে পাবে না।

حَدَّثَنَا 37200 - عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «§مَنْ مَاتَ وَلَا طَاعَةَ عَلَيْهِ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً , وَمَنْ خَلَعَهَا بَعْدَ عَقْدِهِ إِيَّاهَا فَلَا حُجَّةَ لَهُ»
পৃষ্ঠা - ৪২০০৯
আসিম আল বাজালি বলেছেন,
: তোমাদের মালামাল থেকে তোমরা মুক্ত হও যখন তোমরা দেখবে
শাবান মাসে একটা নিদর্শন,
রমজানে দুটো হটাৎ প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা,
শাওয়াল মাসে মানুষের দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া,
জিলকদ মাসে যুদ্ধ ও বিশৃংখলা,
আর জিলহজ্জ মাসে ধংশ বা বিচার।।
حَدَّثَنَا -[458]- 37201 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ عَاصِمٌ الْبَجَلِيُّ: «§سَلُوا بِكَيْلِيكُمْ يَعْنِي نَوْفًا عَنِ الْآيَةِ فِي شَعْبَانَ وَالْحَدَثَانِ فِي رَمَضَانَ وَالتَّمْيِيزِ فِي شَوَّالَ , وَالْحَسْنِ - يَعْنِي الْقَتْلَ وَالْمَعْمَعَةَ - فِي ذِي الْقَعْدَةِ , وَالْقَضَاءِ فِي ذِي الْحِجَّةِ»
পৃষ্ঠা - ৪২০১০

সালমান বিন রাবী বলেছেন:
উমর রা: বলেছেন,
: শিগ্রই আমির আর কর্মিদের অবির্ভাব হবে। তাদের নৈকট্য হবে ফিতনা। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া হবে কুফর।

আমি বললাম,
: আল্লাহু আকবার! আরেকবার বলেন হে আমিরুল মু'মিনিন। আমি বুঝতে পরি নি।

উনি আবার একই কথা বললেন।

সালমান বিন রাবী বলেন,
: আল্লাহ বলেছেন, ফিতনা কতলের থেকেও খারাপ, সুরা বাকারা - ১৯১। আর ফিতনা আমার কাছে কতলের থেকে প্রীয়।

حَدَّثَنَا 37202 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ: «إِنَّهَا §سَتَكُونُ أُمَرَاءُ وَعُمَّالٌ صُحْبَتُهُمْ فِتْنَةٌ وَمُفَارَقَتُهُمْ كُفْرٌ» , قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ أَكْبَرُ , أَعِدْ عَلَيَّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , فَرَّجْتَ عَنِّي , فَأَعَادَ عَلَيْهِ , قَالَ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ: قَالَ اللَّهُ: {وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ} [البقرة: 191] وَالْفِتْنَةُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنَ الْقَتْلِ "
পৃষ্ঠা - ৪২০১১

হুজাইফা রা: এর অসুস্থাতার সময় আবু মাসউদ আল-আনসারি উনার বাড়িতে গেলেন। যেই অসুস্থতায় উনি শেষ পর্যন্ত মারা যান।

বললেন,
: এটাই কি আলাদা হবার সময়?
: হ্যা। আমার প্রীয় জিনিস এসেছে আমার প্রয়োজনের সময়।
যে অনুশোচনা করলো সে সফল হলো -- একিন শেখার পর আমি শিখেছিলাম।

حَدَّثَنَا 37203 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ: دَخَلَ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ عَلَى حُذَيْفَةَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَاعْتَنَقَهُ فَقَالَ: الْفِرَاقُ , فَقَالَ: «نَعَمْ §حَبِيبٌ جَاءَ عَلَى فَاقَةٍ , أَلَا , أَفْلَحَ مَنْ نَدِمَ , أَلَيْسَ بَعْدَ مَا أَعْلَمُ مِنَ الْيَقِينِ»
পৃষ্ঠা - ৪২০১২
হুজাইফা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের উদাহরন দেখিয়েছেন:
এক, তিন, পাচ, সাত, নয়, এগার। এর পর এর থেকে উনি এক ব্যখ্যা করেছেন। এবং বাকিগুলো সম্পর্কে চুপ ছিলেন। এর পর উনি বলেন,
: একটা কওম ছিলো দুর্বল আর দরিদ্র। এরা যুদ্ধ করে এমন কওমের সাথে যারা সুদক্ষ ও আক্রমনাত্বক।
তারা মুখোমুখি হয়। তাদেরকে কাজে লাগায়। তাদের উপর চাপিয়ে দেয়।
তাই তাদের রব তাদের উপর অসন্তুস্ট হয়।
حَدَّثَنَا 37204 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: ضَرَبَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْثَالًا وَاحِدًا وَثَلَاثَةً وَخَمْسَةً وَسَبْعَةً وَتِسْعَةً وَأَحَدَ عَشَرَ , وَفَسَّرَ لَنَا مِنْهَا وَاحِدًا وَسَكَتَ عَنْ سَائِرِهَا , فَقَالَ: «إِنَّ §قَوْمًا كَانُوا أَهْلَ ضَعْفٍ وَمَسْكَنَةٍ فَقَاتَلُوا قَوْمًا أَهْلَ حِيلَةٍ وَعَدَاءٍ , فَظَهَرُوا عَلَيْهِمْ فَاسْتَعْمَلُوهُمْ وَسَلَّطُوهُمْ، فَأَسْخَطُوا رَبَّهُمْ عَلَيْهِمْ»
পৃষ্ঠা - ৪২০১৩

আলা ইবনে আব্দুল করিম বলেছেন,
এক বেদুইন আমাদের বলেছে,
: আমি কুফাতে হিজরত [মাইগ্রেট] করলাম। এর পর আমাকে দেয়া সব জিনিস নিয়ে বের হয়ে যেতে চাইলাম।

মানুষেরা বললো,
: তোমার হিজরত মানা।

এর পর সুয়াইদ বিন গাফলার সাথে দেখা হলে আমি তাকে এটা বললাম।
উনি বললেন,
: আমার ইচ্ছে করে যদি আমার কোনো বাহন থাকতো, সম্পদ না থাকতো। তবে আমি এই এলাকা থেকে অনেক দূরে চলে যেতাম।

حَدَّثَنَا 37205 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَعْرَابِيٌّ، لَنَا قَالَ: هَاجَرْتُ إِلَى الْكُوفَةِ فَأَخَذْتُ أَعْطِيَةً لِي ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ أَخْرُجَ , فَقَالَ النَّاسُ: لَا هِجْرَةَ لَكَ , فَلَقِيتُ سُوَيْدَ بْنَ غَفَلَةَ فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَقَالَ: «§لَوَدِدْتُ أَنَّ لِي حُمُولَةً وَمَا أَعِيشُ بِهِ وَأَنِّي فِي بَعْضِ هَذِهِ النَّوَاحِي»
পৃষ্ঠা - ৪২০১৪

সাইদ বিন জুবাই রা: কে জিজ্ঞাসা করা হলো,

: হে আবু আব্দুলুল্লাহ! মানুষের ধ্বংশ হবার আলামত কি?

বললেন,
: যখন তাদের উলামাগন ধ্বংশ হয়ে যায়।

حَدَّثَنَا 37206 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا هِلَالُ بْنُ خَبَّابٍ أَبُو الْعَلَاءِ، قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ , قُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ , مَا §عَلَامَةُ هَلَاكِ النَّاسِ؟ قَالَ: إِذَا هَلَكَ عُلَمَاؤُهُمْ "
পৃষ্ঠা - ৪২০১৫
হুজাইফা রা: বলেছেন,
আল্লার শপথ!
তাদের উপর কোনো হুকুম আসার পর তারা এটা নিয়ে শোরগোল করলে,
সবসময় এর পরে এমন হুকুম আসবে যেটার কারনে তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাবে।
حَدَّثَنَا 37207 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «وَاللَّهِ §لَا يَأْتِيهِمْ أَمْرٌ يَضِجُّونَ مِنْهُ إِلَّا أَرْدَفَهُمْ أَمْرٌ يُشْغِلُهُمْ عَنْهُ»
পৃষ্ঠা - ৪২০১৬
মাকহুল বলেছেন:
মালাহামা, কুসতুনতুনিয়া বিজয় আর দাজ্জালের বের হওয়ার মাঝে সাত মাস সময়।
চুক্তি হওয়া আর ভঙ্গ হওয়া মাঝেও একই সময়। একটা আরেকটার পর পর হবে।
حَدَّثَنَا 37208 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، قَالَ: «§مَا بَيْنَ الْمَلْحَمَةِ وَفَتْحِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَخُرُوجِ الدَّجَّالِ إِلَّا سَبْعَةَ أَشْهُرٍ , وَمَا ذَاكَ إِلَّا كَهَيْئَةِ الْعِقْدِ يَنْقَطِعُ فَيَتْبَعُ بَعْضُهُ بَعْضًا»
পৃষ্ঠা - ৪২০১৭

মুয়াজ বিন জাবাল রা: বলেছেন
: বাইতুল মুকাদ্দাসের উন্নয়নের হলে, ইয়াথরিব [মদিনা] ধ্বংশ হবে।
মালহামার জন্য রওনা দিলে পর কুসতুনতুনিয়া [ইস্তাম্বুল] জয় হবে।
কুসতুনতুনিয়া জয় হলে দাজ্জাল বের হবে।

এর পর উনার হাত দিয়ে লোকের কাধে বাড়ি দিয়ে বললেন
: ওয়াল্লাহ! এটা সত্য!

حَدَّثَنَا 37209 - أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، قَالَ: " §عِمْرَانُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ خَرَابُ يَثْرِبَ وَخَرَابُ يَثْرِبَ خُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ , وَخُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ فَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ , وَفَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ خُرُوجُ الدَّجَّالِ , ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى مَنْكِبِ رَجُلِ وَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ ذَلِكَ لَحَقٌّ "