ما كان من رسول االله صلى عليه وسلم من التقدم

পৃষ্ঠা - ১০০
আবু সালেহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত কা’ব মসজিদে নববীর সংস্কার কাজ চলতে দেখে বললেন, আল্লাহর কসম! আমার ইচ্ছা হচ্ছে, মসজিদে নববীর সংস্কার করা নাহোক। কেননা তার একটি গম্বুজ স্থাপন করা হলে আরেকটি গম্বুজ খসে পড়বে।
একথা শুনে কা’বকে বলা হলো, হে আবু ইসহাক উক্ত মসজিদে নামায আদায় করলে এক হাজার নামায থেকে বেশি সওয়াব দেয়া হবে একথা কি বলা হয়নি। অর্থাৎ, মসজিদে হারামের পর সওয়াবের দিক দিয়ে কি মসজিদে নববীর অবস্থান নয়।
জবাবে হযরত কা’ব রহঃ বলেন, হ্যাঁ আমি একথা বলছি, কিন্তু আসমান থেকে জমিনের দিকে যে ফিতনা ধাবমান হচ্ছে, সেটা একেবারে নিকটে এসে পড়েছে, আর মাত্র এক বিঘত পরিমান বাকি রয়েছে, যা মসজিদে নববীর সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে আছড়ে পড়বে। তখনই এই শেখ, অর্থাৎ, হযরত ওসমান ইবনে আফ্ফানকে হত্যা করা হবে। একথা শুনে জনৈক লোক বলে উঠল, তার হত্যাকারীর সাথে কি হযরত ওমর রাযিঃ এর হত্যাকারীর ন্যায় আচরন করা হবে না।
জবাবে কা’ব রহঃ বললেন, লক্ষ বার অথবা তার থেকেও বেশি। এরপর বিশাল, বিস্তৃত এলাকা জুড়ে যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে থাকবে। অতঃপর পশ্চিমা এলাকা এবং পূর্ব দিক থেকে দুই দল সৈন্যের আগমন ঘটবে। উভয়দল ‘সিফ্ফীন’ নামক স্থানে একে অপরের মুখোমুখী হবে এবং তাদের মাঝে তীব্র লড়াই সংঘটিত হবে। অতঃপর তারা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির অধীনস্থতা গ্রহণ পূর্বক যুদ্ধে বিরতী দিবে।
حدثنا ابن المبارك أخبرنا الأعمش عن أبي صالح
قال قال كعب ومسجد المدينة يبنى والله لوددت أنه لا يبنى منه برج إلا سقط برج
فقيل له يا [ ابا إسحاق ألم تقل إن صلاة فيه أفضل من ألف صلاة فيما سواه إلا
المسجد الحرام
قال وأنا أقول ذلك ولكن فتنة نزلت من السماء ليس بينها وبين أن
تقع إلا شبرا ولو قد فرغ من بناء هذا المسجد وقعت وذلك عند قتل هذا الشيخ عثمان بن
عفان
فقال قائل أو ليس قاتله كقاتل عمر
فقال كعب بلى مائة ألف أو يزيدون ثم
يحل القتل ما بين عدن أبين إلى دروب الروم وجيش يخرج من الغرب وجيش يخرج من المشرق
فيلتقون بأرض يقال لها صفين فيكون بينهم ملحمة عظيمة ثم لا يفترقون إلا عن حكيمن
إلى آخر الحديث
পৃষ্ঠা - ১০১
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি একদিন ‘সিফ্ফীন’ নামক এলাকায় রাস্তার মধ্যে কিছু পাথর দেখতে পেয়ে হঠাৎ করে দাড়িয়ে পড়লেন এবং উক্ত পাথর খন্ডকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন। তার অবস্থা দেখে সফরসঙ্গীদের একজন বলল, হে আবু ইসহাক! এভাবে কি দেখছেন?
জবাবে তিনি বলেন, উক্ত পাথরের যে বৈশিষ্ট রয়েছে সেটা আমি কিতাবে দেখতে পেরেছি যে, উক্ত পাথরের জন্য বণী ইসরাঈল নয় বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছে এবং নিঃসন্দেহে আরবরাও অতিসত্ত্বর দশমবারে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে, অথবা পাথরগুলো ছুড়ে মারতে হবে, যেমন বনী ইসরাঈল গণ ছুড়ে মেরেছিল।
حدثنا بقية والحكم بن نافع وعبد القدوس عن صفوان ابن عمرو
قال حدثني أبو المثنى ضمضم الأملوكي
عن كعب أنه أتى صفين فلما رأى الحجارة التي
على ظهر الطريق وقف ينظر إليها
فقال له صاحب له ما تنظر يا أبا إسحاق
قال
وجدت نعتها في الكتب أن بني إسرائيل اقتتلوا بها تسع مرات حتى تفانوا وأن العرب
سيقتتلون بها العاشرة حتى يتفانوا أو يتقاذفون
بالحجارة التي تقاذفت بها
بنو إسرائيل
পৃষ্ঠা - ১০২
হযরত আবুল জাল্দ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একেরপর এক ফিতনা প্রকাশ পাবে। প্রথম ফিতনা এবং দ্বিতীয় ফিতনা চাবুকের অগ্রভাগের গিঁটের মত হবে যা আঘাত করবে তরবারির ধারালো অংশের মত। এরপর এত ব্যাপক ফিতনা প্রকাশ পাবে, যার মধ্যে সব ধরনের হারাম বস্তুকে হালাল ও বৈধ মনে করা হবে। উম্মতের সকলে কল্যাণ কামনার উপর ঐক্যমত পোষণ করলেও সেটা তাদের প্রতি খুব ধীরে ধীরে আস্তে থাকবে, যেন ঘরের ভিতর বসেথেকে তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن أيوب عن ابن سيرين
عن أبي
الجلد قال تكون فتنة تكون بعدها أخرى ما الأولى في الأخرة إلا كثمر السوط يتبعه
ذباب السيف ثم تكون فتنة يستحل فيها المحارم كلها تجتمع الأمة على خيرها تأتيه هينا
وهو قاعد في بيته
পৃষ্ঠা - ১০৩
আবুল ওক্কাছ রহঃ হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্ণনা করেন, তোমাদেরকে কি আমি ‘তারাস্সুন’ ফিতনা সম্বন্ধে বলবোনা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘তারাস্সুল’ ফিতনা কি? জবাবে তিনি বললেন, যদি কাউকে বাতেলরা দশ প্রকারের বাঁধন দ্বারা কয়েদ করে রাখে তারপরও তার মাধ্যমে আহলে হক্বের অনেক ক্ষতি হবে। তেমনিভাবে যদি কেউ হক্বের কারণে পরিপূর্ণভাবে গ্রেফতার অবস্থায় থাকে তারপরও তার মাধ্যমে বাতেলদের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
حدثنا يحيى بن اليمان عن سفيان الثوري عن سلمة بن كهيل
عن أبي الوقاص
عن علي رضى الله عنه قال ألا أخبركم بفتنة الترسل قيل وما فتنة
الترسل قال لو كان الرجل مقيدا بعشرة أقياد في أهل الباطل ضير بها إلى أهل الحق ولو
كان مقيدا بعشرة أقياد في أهل الحق ضير بها إلى أهل الباطل
পৃষ্ঠা - ১০৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আউফ ইবনে মালেক আমজাঈ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, হে আউফ! কিয়ামতের পূর্বে ছয়টি ফিতনা প্রকাশ পাবে। তার মধ্যে প্রথম ফিতনা হচ্ছে, তোমাদের নবীর ওফাত পাওয়া, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা শুনে আমি কেঁদে উঠলাম। অতঃপর তিনি বললেন, দ্বিতীয় ফিতনা হচ্ছে, বায়তুল মোকাদ্দাসের বিজয় হওয়া। তৃতীয় ফিতনাটি এত ব্যাপক হবে যা শহর এবং গ্রামের প্রতিটি ঘরকেই গ্রাস করে নিবে। চতুর্থ ফিতনা হচ্ছে, মানুষের মধ্যে গণহারে মৃত্যু দেখা দিবে, যেন সকলে ছাগলের মাড়কের ন্যায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পঞ্চম ফিতনা হচ্ছে, লোকজন প্রচুর সম্পদের মালিক হবে। এমনকি কাউকে একশত দিনার দান করা হলেও যে কম মনে করে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়বে। আর ষষ্ঠ ফিতনা হলো, তোমাদের এবং রোমবাসীদের মাঝে একটা চুক্তি হবে। অতঃপর তারা আশি দলে বিভক্ত হয়ে বারো হাজার সৈন্যের বিশাল কাফেলা সহকারে তোমাদের দিকে ধেয়ে আসবে।
حدثنا هشيم عن
يعلى بن عطاء عن محمد بن أبي محمد
عن عوف بن مالك الأشجعي رضى الله عنه قال قال
لي رسول الله صلى الله عليه وسلم أمسك ستا قبل الساعة أولها وفاة نبيكم صلى الله
عليه وسلم قال فبكيت والثانية فتح بيت المقدس والثالثة فتنة تدخل كل بيت شعر ومدر
والرابعة موتان في الناس كقعاص الغنم والخامسة أن يفيض فيكم المال حتى يعطى الرجل
المائة دينار فيتسخطها والسادسة هدنة تكون
بينكم وبين بني الأصفر فيسيرون
إليكم في ثمانين غاية تحت كل غاية إثنا عشر ألفا
পৃষ্ঠা - ১০৫
সিলা ইবনে যুরার রহঃ বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন। তাঁকে একজন লোক বলল, “দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটেছে”। একথা শুনে হযরত হোজাইফা রাযিঃ বললেন, না আল্লাহর কসম! সেটা কক্ষনো হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মাঝে আল্লাহর রাসূল সাঃ এর সাহাবায়ে কেরাম উপস্থিত থাকবেন, ততক্ষণ দাজ্জাল আসতে পারে না। বিশেষ এক গোত্র দাজ্জালের আগমনের আশা করলেও তার আগমন ঘটবেনা। এমনকি কারো কারো নিকট দাজ্জালের আবির্ভাব এতই প্রিয় হবে, যেমন তীব্র গরমের দিন মানুষের কাছে ঠান্ডা পানি পান করা খুবই প্রিয় হয়। এক পর্যায়ে হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ বললেন, হে উম্মতে মুহাম্মদিয়া! অতিসত্ত্বর তোমাদের মাঝে চার প্রকারের ফিতনা প্রকাশ পাবে। তার মধ্যে এককিট হচ্ছে, সাদা-কালো মিশ্রিত ফিতনা। আরেকটি হলো, অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনা। তৃতীয়টি হচ্ছে, অমুক অমুক ফিতনা। আর চতুর্থ ফিতনা তোমাদেরকে দাজ্জালের প্রতি ঠেলে দিবে, অতঃপর উক্ত সমতল ভূমিতে দুই দল যুদ্ধে বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে পড়বে। আমার জানা নেই উভয় দল থেকে কোন দল সত্য বা হক্বের উপর রয়েছে এবং আমার তূণীরের তীর দ্বারা আমি উভয় দলের কোন দলকে সাহায্য করব।
حدثنا هشيم عن مجالد قال
حدثنا الشعبي عن صلة بن زفر
سمع حذيفة بن اليمان وقال له رجل خرج الدجال فقال
حذيفة أما ما كان فيكم أصحاب محمد صلى الله عليه وسلم فلا والله لا يخرج حتى يتمنى
قوم خروجه ولا يخرج حتى يكون خروجه أحب إلى أقوام من شرب الماء البارد في اليوم
الحار وليكونن فيكم أيتها الأمة أربع فتن الرقطاء والمظلمة وفلانة وفلانة ولتسلمنكم
الرابعة إلى الدجال وليقتتلن بهذا الغائط فئتان ما أبالي في أيهما رميت بسهم كنانتي
পৃষ্ঠা - ১০৬
বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত তাউস রহঃ বলেন, জনৈক লোক হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ এর কাছে জানতে চাইলো যে, এসব কি ঐ ফিতনা যা আপনি আমাদের সামনে বর্ণনা করতেন। উক্ত ঘটনাটি মূলতঃ তখনই যখন আবু মুসা আশআরী রাযিঃ এবং হযরত আমর ইবনুল আম রাযিঃ এর মাঝে কোনো এক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল জবাবে হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ বললেন, এগুলো হচ্ছে, ফিতনার মারাত্মক মারাত্মক অংশসমূহ হতে একটি। অতঃপর বাকি রইল, বড় বড় অন্ধকারচ্ছন্ন ফিতনা, যা গোটা জাতিকে গ্রাস করবে। যারা উক্ত ফিতনার প্রতি মনোনিবেশ কবে তাদেরকে অত্যন্ত নির্মমভাবে আকৃষ্ট করে নিবে। উক্ত ফিতনাকালীন যারা বসে থাকবে তারা দন্ডায়মান থাকা লোকজন থেকে উত্তম, আর একস্থানে দাড়িয়ে থাকা লোক চলাচলকারী থেকে ভালো। স্বাভাবিক গতি সম্পন্ন লোক দ্রুতগামী থেকে অনেক উত্তম। ফিতনা সম্বন্ধে মন্তব্যকারী থেকে নীরবতা অবলম্বনকারী উত্তম আর উক্ত ফিতনার সময় ঘুমন্ত ব্যক্তি অনেক ভালো জাগ্রত লোক থেকে।
حدثنا عبد الوهاب بن عبد المجيد عن يحيى بن سعيد قال أخبرني أبو الزبير
أن طاوسا أخبره أن رجلا اعترض لأبي موسى الأشعري
فقال أهذه الفتنة التي كانت
تذكر وذلك حين افترق هو وعمرو بن العاص حين حكما
فقال أبو موسى ما هذه إلا حيصة
من حيصات الفتن وبقيت الرداح المطبقة من أشرف لها أشرفت له القاعد فيها خير من
القائم والقائم خير من الماشي والماشي خير من الساعي والصامت خير من المتكلم
والنائم خير من المستيقظ
ما يذكر من انتقاص العقول وذهاب أحلام الناس في
الفتن