العصمة من الفتن وما يستحب فيها من الكف والإمساك عن القتال والعزلة فيها

পৃষ্ঠা - ৪৪১
হযরত ইয়াহইয়া রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমেরকে বলতে শুনেছি, আমান রাযিঃ অবরুদ্ধ হওয়ার দিন আমি তার সাথে ছিলাম, তিনি ঐসময় বলতেছিলেন,যারা আমার কথা মেনে চলে এবং আনুগত্য করে তাদের ক্ষেত্রে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হচ্ছে যে, তারা নিজের হাত এবং অস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কেননা ঐলোক আমার সবচাইতে বেশি কল্যাণকামী যে নিজের অস্ত্র ও হাতকে কন্ট্রোল করে। অতঃপর তিনি বললেন, হে ইবনে ওমর! তুমি দাড়াও এবং মানুষের মাঝে সেটা ঘোষণা করে দাও। এরপর সেখান থেকে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর উঠে দাড়ালেন। অতঃপর তার গোত্রের কতক লোক, যারা বনুআদী, বনুসুরাকা ও বনু মুতী থেকে ছিলেন তারা দাড়িয়ে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললে বিদ্রোহীরা একযুগে ভিতরে ঢুকে পড়ে হযরত ওসমান রাযিঃকে হত্যা করে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমের বলেন,একদিন আমের ইবনে রবীয়াহ রাত্রে নামায আদায় করতে দাড়িয়ে গেলেন, এদিকে লোকজন হযরত ওসমান রাযিঃ এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশৃংখলায় ব্যস্ত। রাত্রে নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়লে স্বপ্নে দেখলেন যে, তাকে বলা হচ্ছে, তুমি আল্লাহ তাআলার কাছে তোমাকে ফেৎনা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য দোয়া করতে থাক, যে ফেৎনা থেকে আল্লাহ তাআলা তার নেক্কার বান্দাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। অতঃপর ঘুম থেকে নামাযে দাড়িয়ে গেলেন, এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। পরবর্তীতে জানাযার আগে আর বের হলেননা।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن يحيى بن سعيد قال
سمعت
عبد الله بن عامر يقول كنت مع عثمان رضى الله عنه في الدار فقال أعزم على كل من رأى
أن لي عليه سمعا وطاعة إلا كف يده وسلاحه فإن أفضلكم عني عناء من كف يده وسلاحه ثم
قال قم يا ابن عمر فاجر بين الناس فقام ابن عمر وقام معه رجال من قومه من بني عدي
وبني سراقة وبني مطيع ففتحوا الباب فدخل الناس فقتلوا عثمان
قال عبد الله
بن عامر قام عامر بن ربيعة يصلي من الليل حيث شغب الناس في الطعن على عثمان رضى
الله عنه فصلى من الليل ثم نام فأتي في المنام فقيل له قم فسل الله أن يعيذك من
الفتنة التي أعاذ الله منها صالح عباده فقام فصلى ثم اشتكى فما خرج قط إلا جنازة
পৃষ্ঠা - ৪৪২
হযরত যুনদুব গিফারী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর মারাত্মক ফেৎনার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তার কথা শুনে আমরা বললাম, হে আবু আব্দুল্লাহ! এমন ফেৎনাকালীন আমাদের প্রতি আপনার কি নির্দেশনা রয়েছে? জবাবে তিনি বললেন, জমীন-জমীন, যেন তোমরা সকলে ঘরের ভিতরে অবস্থান কর। কেননা, উক্ত ফেৎনার প্রতি ধাবিত হওয়া ছাড়া সেটা কারো প্রতি প্রবাহিত হবেনা।
حدثناا سهل بن يوسف عن حميد عن ميمون بن سياه
عن جندب قال ستكون فتن
قلنا يا أبا عبد الله فما تأمرنا قال الأرض الأرض ليكن أحدكم حلس بيته فإنه لا
ينبجس لها أحد إلا أردته
পৃষ্ঠা - ৪৪৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন হযরত আলী রাযিঃ কে শহীদ করে দেয়া হলো এবং হযরত হাসান ইবনে রাযিঃ লোকজনকে বাইয়াত করেছিলেন তখন যিয়াদ এসে আমাকে বলেন, তোমাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকার ব্যাপারে কি তুমি সন্তুষ্ট। জবাবে আমি হ্যাঁ বললে তিনি বললেন, তাহলে অমুক,অমুক অমুককে হত্যা করতে হবে। তার কথা শুনে আমি বললাম তারাকি ফজরের নামায আদায় করেন নি? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, তখন আমি বললাম তাহলেতো সেটা করা যাবেনা, আল্লাহর কসম! একাজটি কখনো হতে পারেনা।
حدثنا صدقة الصنعاني عن رباح بن زيد عن معمر عن
ابن طاووس عن أبيه
عن ابن عباس رضى الله عنهما قال لما أصيب علي رضى الله عنه
وبايع الناس الحسن قال قال لي زياد أتريد أن يستقيم لكم الأمر قال قلت نعم قال
فاقتل فلانا وفلانا ثلاثة من أصحابه قال قلت أليس قد صلوا صلاة الغداة قال بلى قال
قلت فلا والله ما إلى ذلك سبيل
পৃষ্ঠা - ৪৪৪
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত নাফে রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি কখনো কোনো আহলে কেবলার সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেননা। তবে নাজদায়ে হারূরী যখন তাকে বায়তুল্লাহ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছিল তখন তিনি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন।
حدثنا صدقة عن رباح عن معمر عن أيوب عن
نافع
عن ابن عمر رضى الله عنهما أنه لم يتهيأ لقتال احد من أهل القبلة إلا
لقتال نجدة الحروري حين خاف أن يصدوه عن البيت
পৃষ্ঠা - ৪৪৫
হযরত আব্দুর রহমান ইব্নে আবু লাইলা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাযিঃ কে অমুক গোত্রের পার্শ্বে অবস্থিত পাহাড়ের পার্শ্ব দিয়ে হাত উত্তোলন করা অবস্থায় দেখেছি। তিনি বলতেছিলেন, হে আল্লাহ! হযরত ওসমান রাযিঃ রক্ত থেকে আমি নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করছি।
حدثنا المطلب بن زياد عن
عبدالله بن عيسى
عن عبد الرحمن بن أبي ليلى قال رأيت عليا رضى الله عنه رافعا
حضنية في سكة بني فلان يقول اللهم إني أبرأ إليك من دم عثمان
পৃষ্ঠা - ৪৪৬
হযরত যায়েদ ইব্নে ওয়াহাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, এই মসৃণ এলাকায় মুসলমানাদের দুইটি দল ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তাদের উভয় দলের যারা মারা যাবে তাদের মৃত্যু হবে জাহেলী যুগের মৃত্যুর ন্যায়।
حدثنا
عيسى بن يونس عن إسماعيل بن أبي خالد عن زيد ابن وهب
سمع حذيفة بن اليمان رضى
الله عنه يقول يقتتل بهذا الغائط يعني فئتان من المسلمين قتلاهما قتلى جاهلية
পৃষ্ঠা - ৪৪৭
যিয়াদ ইব্নে আবু মরইয়ম থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ সম্বন্ধে বলছিলেন, যখন তার কাছে হযরত ওসমান রাযিঃ কে শহীদ করার সংবাদ পৌঁছে, তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন। তিনি সংবাদটি শুনে বললেন, তোমরা আমাকে বসাও, যখন তাকে বসানো হলো তখন তিনি আসমানের দিকে উভয় হাত উত্তোলন করে বললেন, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনাকে স্বাক্ষী রেখে বলছি,আমি ওসমানকে হত্যা করতে নির্দেশ দিইনি, হত্যাকান্ডে শরীকও ছিলামনা এবং উক্ত কাজের উপর আমি রাজীও নই। কথাটি তিনি মোট তিনবার বলেন।
حدثنا عتاب بن بشير الجرزي عن خصيف عن زياد بن أبي مريم
عن حذيفة بن
اليمان أنه لما أتاه قتل عثمان رضى الله عنه وهو مريض قال أجلسوني فأجلسوه فرفع
يديه ثم قال اللهم إني أشهدك أني لم آمر ولم أشرك ولم أرض يقولها ثلاث مرات
পৃষ্ঠা - ৪৪৮
হযরত ইবনুল হানাফিয়্যাহ এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তারা উভয়জন বলেন, হযরত আলী রাযিঃ কে বলা হলো, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযিঃ ওসমান রাযিঃ এর হত্যকারীদেরকে অভিশাপ দিচ্ছেন। একথা শুনার সাথে সাথে হযরত আলী রাযিঃ তার উভয় হাতকে উপরের দিকে উত্তোলন করতে করতে চেহারা পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বললেন, আমি নিজেও হযরত ওসমান রাযিঃ এ্র হত্যাকারীদেরকে লানত করছি। আল্লাহ তাআলাও তাদেরকে পাহাড়ে, পর্বতে, সমতল ভূমিসহ সর্বস্তরে লা’নত করছেন। কথাটি তিনি দুইবার কিং বা তিনবার বলেছেন। একথা বর্ণনা করে ইবনুল হানাফিয়্যাহ রহঃ আমাদের দিকে তাকায়ে বললেন, তবে এক্ষেত্রে ইনসাফপূর্ণ স্বাক্ষী হলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রযিঃ।
حدثنا أبو معاوية عن أبي مالك الأشجعي عن سالم بن أبي الجعد
عن ابن الحنفية
وابن عباس قالا قيل لعلي رضى الله عنه هذه عائشة تلعن قتلة عثمان فرفع علي يديه حتى
بلغ بهما وجهه وقال وأنا ألعن قتلة عثمان لعنهم الله في السهل والجبل يقولها مرتين
أو ثلاثا ثم التفت إلينا ابن الحنفية فقال أما في وفي هذا يعني ابن عباس شاهدا عدل
পৃষ্ঠা - ৪৪৯
হযরত আবু কাব্শা সাদুসী // রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবু মুসা আশতারী রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় তোমাদের দিকে অন্ধকার রাত্রির ন্যায় ভয়াবহ এক ফেৎনা ধেয়ে আসছে। তখন কোনো মানুষ সকালে মুমিন থাকলেও সন্ধ্যাবেলা কাফের হয়ে যাবে এবং সন্ধ্যায় মুমিন হিসেবে দৃঢ় থাকা সত্ত্বেও পরের দিন সকাল হতে হতে কাফের হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তখন বসা অবস্থায় থাকা দাড়ানো থেকে উত্তম, এবং দাড়িয়ে থাকা সামনে অগ্রসর হওয়া থেকে উত্তম। সামনের দিকে পায়দল চলা বাহনের উপর সওয়ার হয়ে চলা থেকে উত্তম। একথা শুনে উপ্িস্থত সকলে বলল, তাহলে আমাদের প্রতি আপনার কি দিক নির্দেশনা রয়েছে, জবাবে তিনি বললেন, এমন ভয়াবহ ফেৎনার আত্মপ্রকাশ হলে তোমরা ঘরের মধ্যে অবস্থানকারী হয়ে যাও।
حدثنا أبو معاوية عن عاصم الأحول
عن أبي كبشة السدوسي قال سمعت أبا
موسى إن من ورائكم فتنا كقطع الليل المظلم يصبح الرجل فيها مؤمنا ويمسي كافرا ويمسي
مؤمنا ويصبح كافرا القاعد فيها خير من القائم والقائم خير من الماشي والماشي خير من
الراكب قالوا فما تأمرنا قال كونوا أحلاس البيوت
পৃষ্ঠা - ৪৫০
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত ওসমান রাযিঃ কে হত্যা করার দিন বলেছিলেন, আল্লাহর কসম! যদি তোমরা হত্যা করো তাহলে তোমাদের জন্য একসাথে নামায আদায় করা, একসাথে হজ্ব করা এবং একসাথে যুদ্ধ করা ঠিক হবেনা। যদি করে তাহলে তোমরা শারীরিকভাবে এক হলেও কিন্তু আন্তরিকভাবে মতপার্থক্যপূর্ণ থাকবে।
حدثنا أبو معاوية حدثنا عاصم بن محمد عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله
عنهما أنه قال يوم قتل عثمان رضى الله عنه والله لئن قتلتموه لا تصلوا جميعا أبدا
ولا تحجوا جميعا أبدا ولا تجبون فيئا جميعا أبدا إلا أن تحضر الأبدان والأهواء
مختلفة
পৃষ্ঠা - ৪৫১
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আবুল হুজাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত খাব্বাব ইবনুল আরাত রাযিঃ যেদিন লোকজন হযরত ওসমান রাযিঃ এর ব্যাপার নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে যায় তখন তার ছেলেকে বললেন, যেন তারা নিকৃষ্টতম একটি ফেৎনার সামনে দাড়িয়ে। তোমরা যদি উক্ত ফেৎনার সম্মুখিন হও তাহলে হযরত আদম আঃ এর দুই সন্তানদের উত্তম সন্তানের ন্যায় হয়ে যাবে।
حدثنا محمد بن يزيد الواسطي عن العوام بن حوشب عن عبد الله بن أبي الهذيل قال خباب بن الأرب لابنه حين وقع الناس في أمرعثمان رضى الله عنه فقال كأني بهؤلاء قد خرجوا في أدنى فتنة فإذا لقيتهم فيها فكن كخير ابني آدم
পৃষ্ঠা - ৪৫২
হযরত যুরারা এবং আবু আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তারা উভয়জন হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, আল্লাহর কসম! আমি ওসমান রাযিঃ কে হত্যা করতে নির্দেশ দিইনি, আল্লাহর কসম! আমি তার হত্যাকান্ডে শরীক ছিলামনা। আমি তাকে হত্যা করিনি এবং তাকে হত্যাকরার উপর রাজীও ছিলামনা।
حدثنا
عبدة بن سليمان الكلابي عن عاصم الأحوال
عن زرارة وأبي عبد الله سمعا عليا رضى
الله عنه يقول والله ما أمرت والله ما شركت ولا قتلت ولا رضيت يعني قتل عثمان رضى
الله عنه
পৃষ্ঠা - ৪৫৩
হযরত ইবনে আবু বকরা তার পিতা আবু বকরা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে রিওয়ায়েত করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, খবরদার! তোমরা আমার পর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়োনা। নিশ্চয় একথাটি তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছ তারা অনুপস্থিতদের কাছে পৌছে দিবে। খবরদার! নিঃসন্দেহে তোমাদের খুন, তোমাদের সম্পদ, এবং তোমাদের ইজ্জত-সম্মান তোমাদের উপর এমনভাবে হারাম যেমন হারাম এই মাসে, এই শহরে এই দিনে কোনো রক্তপাত করা। আল্লাহ তাআলার সাথে তোমাদের স্বাক্ষাৎ হলে তোমাদের আমল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে। খবরদার! তোমরা কেউ আমার পর পথভ্রষ্ট হবেনা, যার কারণে তোমরা পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যেওনা। নিঃসন্দেহে, তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছো তারা অবশ্যই অনুপস্থিতদের কাছে আমার কথাটি পৌঁছে দিবে।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن أيوب عن محمد عن ابن أبي بكرة
عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ألا لا ترجعن بعدي ضلالا يضرب بعضكم
رقاب بعض ألا ليبلغ الشاهد منكم الغائب ألا إن دماءكم وأموالكم وأحسبه قال وأعراضكم
عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا وستلقون ربكم فيسألكم عن
أعمالكم ألا فلا ترجعن بعدي ضلالا يضرب بعضكم رقاب بعض ألا ليبلغ الشاهد منكم
الغائب
পৃষ্ঠা - ৪৫৪
সায়্যার ইবনে সাল্লামা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলে আমরা আবু বরজার কাছে প্রবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, নিঃ সন্দেহে তিনি আমার নিকট বংশীয়ভাবে খুবই ইর্শান্বীয় বংশের অদিকারী। তালিযুক্ত কাপড় পরিহিত, পেট দেখে খুবই ক্ষুদার্থ মনে হয়। তার শরীর এবং পিটে রক্তশুন্য অনুভব হয়।
حدثنا حفص بن غياث عن عاصم
عن سيار بن سلامة قال دخلنا
على أبي برزة حين تفرق الناس فقال إنه أغبط الناس عندي عصابة ملبدة خماص البطون من
أوموالهم خفبف ظهورهم من دمائهم
পৃষ্ঠা - ৪৫৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, অতিসত্ত্বর আত্মপ্রকাশকারী খারাপির ফলে গোটা আরব ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে যেলোক তার হাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে সেই সফলকাম হয়ে যাবে।
حدثنا حفص بن غياث عن الأعمش عن أبي صالح
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ويل للعرب من
شر قد اقرتب قد أفلح من كف يده
পৃষ্ঠা - ৪৫৬
হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী যায়েদ বিন সাবেত রাযিঃ হযরত ওসমান রাযিঃ এর ঘরে প্রবেশ করে বললেন, আনসারগন আপনার ঘরের দরজায় উপস্থিত, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, আপনি চাইলে তারা সকলে আনসারুল্লাহ হয়ে যাবে। একথাটি ওসমান রাযিঃ এর সামনে প্রায় দুইবার বলা হলে জবাবে তিনি বললেন, তোমরা যদি যুদ্ধ করার অনুমতি চাও তাহলে কিন্তু আমি তার অনুমতি দিবনা।
حدثنا ابن إدريس عن هشام
عن محمد بن
سيرين قال دخل زيد بن ثابت على عثمان رضى الله عنهما فقال هذه الأنصار بالباب
يقولون إن شئت كنا أنصار الله مرتين فقال أما القتال فلا
পৃষ্ঠা - ৪৫৭
হযরত রাবাহ ইবনুল হারেছ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মাদায়েন এলাকায় লোকজনকে হযরত হাসান ইব্নে আলী রাযিঃ একথা বলতে শুনেছি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবেই, যদিও লোকজন সেটা অপছন্দ করে। নিশ্চয় আমি একথা কখনো পছন্দ করিনা যে, আমার জন্য মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত থেকে কোনো উম্মতের সরিশার দানা পরিমান সামান্য রক্তপাত হোক। কেননা আমি জানি, যার মধ্যে আমার ক্ষতিসাধন নিহীত রয়েছে সেখানে আমার জন্য কোনো কল্যাণ কামনা করা যায়না। এবং আমি আমার এবং তোমাদের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য হবেনা। সুতরাং তোমরা নিরাপদে যার যার স্থানে অবস্থান করতে থাকো।
حدثنا ابن أبي
غنية عن صدقة بن المثنى عن جده رباح بن الحارث قال
سمعت الحسن بن علي رضى الله
عنهما وهو يخطب الناس بالمدائن فقال ألا إن أمر الله واقع وإن كره الناس وإني ما
أحب أن لي من أمة محمد صلى الله عليه وسلم مثقال حبة خردل يهراق ملء محجمة من دم إذ
علمت ما ينفعني مما يضرني وإني لا أجد لي ولكم فالحقوا بطمأنيتكم يعني مأمنكم
পৃষ্ঠা - ৪৫৮
হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ বলেন, যদি তোমার এমন কোনো ইমাম থাকে, যে কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাতে রাসূল সাঃ এর উপর আমল করে তাহলে তুমি তোমার ইমামের সাথে যুদ্ধ করবে আর যদি তোমাদের দায়িত্বে এমন কোনো ইমাম থাকে যে কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাতে রাসূলের উপর আমল না করে, তখন যদি এমন কারো আত্মপ্রকাশ করে যিনি কিতাবুল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল সাঃ এর প্রতি আহবান করে তাহলে তুমি তোমার ঘরেই অবস্থান করতে থাক।
حدثنا ابن أبي غنية عن حفص بن عمر بن أبي الزبير قال
قال عمر بن
عبد العزيز إذا كان لك إمام يعمل ب
كتاب
الله وسنة رسول الله فقاتل مع إمامك وإذا كان عليك إمام
لا يعمل ب
كتاب
الله ولا سنة رسول
الله فخرج عليه خارجي يدعو إلى
كتاب
الله وسنة رسول الله فاجلس في بيتك
পৃষ্ঠা - ৪৫৯
হযরত আহনাফ ইব্নে কাইস রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী ইব্নে আবু তালেব রাযিঃ এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করলে হযরত আবু বকরা আমাকে স্বসস্ত্র অবস্থায় দেখে বললেন, হে ভাতিজা! এই আবার কি? জবাবে আমি বললাম, আমি আলী ইব্নে আবু তালেবের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছি। আমার কথা শুনে তিনি বাইয়াত হতে সরাসরি নিষেধ করে দেয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে লোকজন দুনিয়ার জন্য যুদ্ধ করছে এবং তাকে কোনো ধরনের পরামর্শ করা ব্যতীত খলীফা বানানো হয়েছে। জবাবে আমি বললাম, উম্মুল মুমিনীনের সিদ্ধান্ত কি হবে। তিনি বললেন, উম্মুল মুমিনীন তো একজন দূর্বল, অবলা নারী। তিনি আরো বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে জাতি কোনো নারীকে তাদের জিম্মাদার নিযুক্ত করে তারা কখনো সফলকাম হতে পারেনা।
حدثنا بقية
بن الوليد عن سليمان الأنصاري عن الحسن
عن الأحنف بن قيس قال بايعت علي بن أبي
طالب رضى الله عنه قال فرآني أبو بكرة وأنا متقلد سيفا فقال ما هذا يا ابن أخي قلت
بايعت عليا قال لا تفعل يابن أخي فإن القوم يقتتلون على الدنيا وإنما أخذوها بغير
مشورة قلت فأم المؤمنين قال امرأة ضعيفة
سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم
يقول لا يفلح قوم يلي أمرهم امرأة
পৃষ্ঠা - ৪৬০
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, আমি হাউজে কাউসারের সামনে অবস্থানকালীন কিছু লোকজনকে আমার সামনে পেশ করা হবে। তারা আমাদেরকে চিনবে এবং আমিও তাদেরকে চিনতে থাকবো। হঠাৎ করে তাদের এবং আমাদের মাঝে পর্দা হয়ে যায়। এই অবস্থা দেখে আমি বলবো, হে আল্লাহ! এরা তো আমার সাহাবী, আমার উম্মত। একথা বলার পর কোনো জবাব দাতার পক্ষ থেকে জবাব আসবে, আপনিতো জানেননা, এরা আপনার পর কি বিদআত না আবিষ্কার করেছিলো।
حدثنا أبو خالد الأحمر عن أبي مالك
الأشجعي عن أبي حازم
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله
عليه وسلم ليرفعن لي رجال وأنا على الحوض حتى إذا عرفوني وعرفتهم اختلجوا دوني
فأقول يا رب أصحابي فيجيبني مجيب إنك لا تدري ما أحدثوا بعدك
পৃষ্ঠা - ৪৬১
হযরত কা’ব ইব্নে মুররা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ সমসাময়িক ফেৎনা সম্বন্ধে আলোচনা করতেছিলেন। তখন চাদর দ্বারা মাথাআবৃত একলোক দিনদুপুরে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল, তাকে দেখে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এই লোকটি সেদিন হেদায়েতের উপর থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, একথাটি শুনেই আমি দাড়িয়ে লোকটির পিছু নিলাম, তার কাঁধের উপর হাত রেখে তার চেহারা থেকে চাদর সরিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ দিকে তাকে মুখোমুখি করে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই লোক? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, হ্যাঁ। এরপর আমি লোকটিকে দেখলাম, লোকটি হলেন, হযরত ওসমান ইবনে আফ্ফান রাযিঃ।
حدثنا عبد
الوهاب عن خالد الحذاء عن أبي قلابة
عن كعب بن مرة أن رسول الله صلى الله عليه
وسلم ذكر فتنة حاضرة فمر رجل مقنع رأسه نصف النهار في شدة الحر فقال رسول الله صلى
الله عليه وسلم هذا يومئذ على الهدي قال فقمت فأخذت بمنكبيه وحسرت عن رأسه وأقبلت
بوجهه إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله هذا قال نعم فإذا هو
عثمان رضى الله عنه
পৃষ্ঠা - ৪৬২
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনে রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, যদি কেউ কাউকে জুলুমের মাধ্যমে নাহক্বভাবে হত্যা করে তাহলে তার গুনাহের একটি অংশ হযরত আদম আঃ এর প্রথম ছেলের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। যেহেতু তার মাধ্যমেই সর্বপ্রথম পৃথিবীতে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল।
حدثنا وكيع عن سفيان عن الأعمش عن عبد الله بن
مرة عن مسروق
عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما من نفس تقتل ظلما
إلا كان على ابن آدم الأول كفل منها لأنه أول من سن القتل
পৃষ্ঠা - ৪৬৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনে রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে পূর্বের মত বর্ণনা করেন, তবে এই হাদীসে ‘মিন্হা’ এর পরিবর্তে, ‘মিন দামিহা’ উল্লেখ করা হয়েছে।
حدثنا عيسى عن
الأعمش عن عبد الله بن مرة عن مسروق
عن عبدالله عن النبي صلى الله عليه وسلم
مثله إلا أنه قال كفل من دمها
পৃষ্ঠা - ৪৬৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে সর্বপ্রথম হত্যাকান্ড সম্বন্ধে ফায়শালা হবে। সেদিন একজন লোক আরেকজন লোকের হাত ধরে আল্লাহ তাআলার দরবারে উপস্থিত করে বলবে, হে আল্লাহ! এই লোকটি আমাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাআলা ঐ লোককে বলবে, তুমি তাকে কেন হত্যা করেছ, জবাবে সে বলবে, ইয়া রব! অমুক লোকের সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য আমি তাকে হত্যা করেছি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, নিঃসন্দেহে তুমি তোমার আমলকে বরবাদ করে দিয়েছ। তেমনিভাবে অন্য আরেকজন লোক আরেকজনকে পাকড়াও করে বলবে, হে আল্লাহ! এই লোকটি আমাকে হত্যা করেছে। তাকে দেখে আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি তাকে কেন হত্যা করেছ? সে জবাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমি আপনার সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য মূলতঃ তাকে হত্যা করেছি। জবাবে আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার সম্মানতো আগে থেকে বৃদ্ধি হয়ে আছে।
حدثنا وكيع عن الأعمش عن أبي وائل
عن
عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أول ما يقضي بين الناس يوم القيامة
في الدماء يجيء الرجل آخذا بيد الرجل يقول يا رب هذا قتلني فيقول فيم قتلته فيقول
يا رب قتلته لتكون العزة لفلان قال فيقول فإنها ليست له بؤ بعملك ويجيء الرجل آخذ
بيد الرجل فيقول هذا قتلني فيقول فيم قتلته فيقول لتكون العزة لله قال فيقول فإن
العزة لي
পৃষ্ঠা - ৪৬৫
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, মানুষ তার দ্বীনের উপর পুরোপরিভাবে বহাল থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত কাউকে নাহক্বভাবে হত্যা করবেনা। পক্ষান্তরে যখনই কেউ অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করার মাধ্যমে নিজের হাতকে রঞ্জিত করে তাহলে তার থেকে যাবতীয় লজ্জা তুলে নেয়া হবে।
حدثنا وكيع وعيسى بن يونس عن الأعمش عن إبراهيم
عن عبدالله
قال لا يزال الرجل في فسحة من دينه ما نقيت كفه من الدم فإذا غمس يده في دم حرام
نزع منه الحياء
পৃষ্ঠা - ৪৬৬
হযরত আবু বকরা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, উল্লেখযোগ্য কারন ছাড়া যদি কেউ কোনো নিরাপত্ত্বা দেয়া হয়েছে এমন লোককে হত্যা করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার উপর জান্নাতকে হারাম করে দিবেন।
حدثنا وكيع عن عيينة بن عبد الرحمن عن أبيه
عن
أبي بكرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قتل معاهدا في غير
كنهه حرم الله عليه الجنة
পৃষ্ঠা - ৪৬৭
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, অতি সন্নিকটে ধাবমান ফেৎনায় আক্রান্ত হয়ে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। যে ফেৎনা হবে অন্ধ, বধীর এবং বোবাদের ন্যায়। যার থেকে পরিত্রানের কোনো উপায় থাকবেনা। উক্ত ফেৎনাকালীন যারা বসে থাকবে তারা দন্ডায়মান লোকের তুলনায় অনেক উত্তম হবে, দাড়ানো অবস্থায় থাকা লোকজন চলমান লোকের চাইতে উত্তম হবে, স্বাভাবিকভাবে যারা চলাফেরা করে তার দৌড়ে ফেৎনার প্রতি ধাবিত হওয়া লোকের তুলনায় অনেক ভালো হবে। সুতরাং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে নিকৃষ্টতম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা এধরনের ফেৎনার প্রতি দৌড় দিয়ে যাবে।
حدثنا عبد العزيز بن محمد الدراوردي عن ثور بن
زيد عن أبي الغيث
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم ويل للعرب من شر قد اقترب من فتنة عمياء صماء بكماء القاعد فيها خير من القائم
والقائم فيها حير من الماشي والماشي فيها خير من الساعي ويل للساعي فيها من الله
تعالى يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ৪৬৮
হযরত যায়েদ ইব্নে আসলাম রহঃ জনৈক সাহাবা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায় করল, অতঃপর আল্লাহর ওয়াস্তে তার প্রতিবেশিদের কেউ তাকে আশ্রয় দিবেনা। কেননা যদি কেউ তাকে আশ্রয় দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে তালাশ করে নিয়ে আসবেন, অতঃপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামের মাঝখানে নিক্ষেপ করবেন।
حدثنا عبد العزيز عن زيد بن أسلم عن من حدثه
أن
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من صلى صلاة الصبح فلا تخفروا الله في جواره فإنه
من خفر الله في جواره طلبه الله ثم أدركه ثم كبه على منخره في جهنم
পৃষ্ঠা - ৪৬৯
হযরত উমায়র ইব্নে হানী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযিঃ বারবার বলতে শুনেছি, আব্দুল্লাহ ইব্নে যুবায়ের, নাজ্দা এবং হাজ্জাজ সকলে জাহান্নামের আগুনে এমনভাবে ঝাপিয়ে পড়বে, যেমন খাবারের বস্তুতে মাছি এসে ঝাপিঁয়ে পড়ে, তবে কেউ ঘোষকের ঘোষণা শুনার সাথে সাথে সেদিকে দৌড় দিয়ে যাবে।
حدثنا
عبد الرزاق عن الأوزاعي عن عمير بن هانىء قال
رأيت ابن عمر رضى الله عنهما يقول
ابن الزبير ونجدة والحجاج يتهافتون في النار تهافت الذباب في المرق فإذا سمع
المنادي أسرع إليه
পৃষ্ঠা - ৪৭০
হযরত আবুল হোসাইন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কা’বার পার্শ্বে, হাজরে আসওদের নিকটে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ কে সেজদারত অবস্থায় দেখেছি, তিনি বলতেছিলেন, হে আল্লাহ! আমি এমন ফেৎনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যা কুরাইশের দিকে ধেয়ে আসছে।
حدثنا وكيع عن عثمان بن واقد عن أبي الحصين قال
رأيت ابن عمر ساجدا عند الكعبة بحيال الحجر وهو يقول اللهم إني أعوذ بك من شر
ما تسوط به قريش
পৃষ্ঠা - ৪৭১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত আলী রাযিঃ কে শহীদ করা হয় এবং লোকজন হযরত হাসান রাযিঃ এর হাতে বাইয়াত গ্রহন করছিল তখন যিয়াদ হযরত ইবনে আব্বাছ রাযিঃ এর কাছে এসে বললেন, তোমাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সর্বদা থাকবে একথাটি কি আপনারা কামনা করেন। জবাবে ইবনে আব্বাছ বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই। একথা শুনে যিয়াদ বলে উঠলো, যদি তোমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে চাও তাহলে অমুক, অমুককে হত্যা করতে হবে। একথা শুনে হযরত ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ বললেন, তারা কি আজকে ফজরের নামায আদায় করেছিল, রিয়াদ জবাব দিল, হ্যাঁ তারাতো ফজরের নামায আদায় করেছে। তখন আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ বললেন, তাহলে তাদেরকে অযথা হত্যা করার প্রশ্নই আসেনা, যেহেতু আমি তাদেরকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিরাপত্ত্বার মধ্যে রয়েছে বলে দেখছি। পরবর্তীতে যখন হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ যিয়াদের ভুমিকা সম্বন্ধে জানতে পারলেন, তখন তিনি সহসা বলে উঠলেন, এ ভুমিকা তো সেটারই অংশ যা তার সিদ্ধান্ত ছিল এবং আমাকেও সেটার প্রতি ইঙ্গিত করেছিল।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ابن طاوس عن عكرمة ابن
خالد
عن ابن عباس قال لما قتل علي وبايع الناس ابنه الحسن رضى الله عنهما جاء
زياد إلى ابن عباس
فقال أتريدون أن يثبت لكم هذا الأمر
قال نعم
قال
فأرسل إلى فلان وفلان فاضرب أعناقهم
قال ابن عباس أصلوا الغداة اليوم
قال
نعم
قال فلا سبيل إليهم أراهم في ذمة الله فلما بلغ ابن عباس ما صنع زياد بعد
قال ما أراه إلا قد كان أشار علينا بالذي هو رائيه
পৃষ্ঠা - ৪৭২
হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা যাবতীয় ফেৎনা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখ, প্রথমতঃ উক্ত ফেৎনাকে কেউ চিহ্নিত করতে পারবেনা। আল্লাহর কসম! কেউ উক্ত ফেৎনার সম্মুখিন হলে তাকে এমনভাবে ধ্বংস করবে,যেমন পাহাড়ী ঢেউ সবকিছুকে ধ্বংস করে নিয়ে যায়। উক্ত ফেৎনা প্রথম খুবই সুন্দরভাবে প্রকাশ পাবে, ফলে মূর্খপ্রকৃতির লোকজন মনে করবে, বাহ! এটা তো দেখি খুবই সুন্দর, তবে যাওয়ার সময় সবকিছু ধুলিস্যাৎ করে নিয়ে যাবে।
حدثنا عبد الرزاق عن
معمر عن أبي إسحاق عن عمارة بن عبد
عن حذيفة رضى الله عنه قال إياكم والفتن
لا يشخص لها أحد فوالله ما شخص
لها أحد إلا نسفته كما ينسف السيل إنها تشبه مقبلة حتى يقول الجاهل هذا يشبه وتبين
مدبرة
পৃষ্ঠা - ৪৭৩
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়েরের ফেৎনা হচ্ছে, বড় বড় ফেৎনার একটি অংশ। তবে সেটা গত হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত অন্য ফেৎনাগুলা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাবে। উক্ত ফেৎনার প্রতি কেউ এগিয়ে গেলে ফেৎনাও তার দিকে এগিয়ে আসবে এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় এগিয়ে গেলে ফেৎনাও তার দিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় ধবিত হবে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن عبد الله بن عثمان بن خثيم عن عمرو
بن دينار
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال فتنة ابن الزبير حيصة من حيصات
الفتن
وبقيت الرداح المطبقة من أشرف
لها أشرفت له ومن ماج فيها ماجت به
পৃষ্ঠা - ৪৭৪
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, অতিসত্ত্বর প্রকাশ পাওয়া ফেৎনা সম্বন্ধে আমি খুব ভালোভাবে অবগত আছি। যার অগ্রে থাকবে উত্যক্ত করে যারা মানুষকে ঘর বাড়ি থেকে বের করে আনবে, যেমন খোরগোশকে তার গর্ত থেকে উত্যক্ত করে বের করা হয়। আমি উক্ত ফেৎনা থেকে মুক্তির উপায়ও জানি। উপস্থিত লোকজন বললেন, সেটা কিভাবে হতে পারে, জবাবে তিনি বললেন, আমি আমার হাতকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, এক পর্যায়ে কেউ এসে আমাকে হত্যা করলেও আমি কিছুই বলবনা।
قال معمر وقال يحيى بن أبي كثير
عن أبي هريرة قال إني لأعلم فتنة يوشك أن تكون التي قبلها معها كنفجة أرنب وأني
لأعلم المخرج منها قالوا وما المخرج منها قال أن أمسك بيدي حتى يجيء من يقتلني
পৃষ্ঠা - ৪৭৫
হযরত হাসান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুনদুব ইব্নে আব্দুল্লাহ রাযিঃ বলেছেন, আমীরদের কেউ কতক ফেৎনার সময় তাকে বাধ্য করে এবং বের করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন জনৈক শামের বাসিন্দা আত্মপ্রকাশ করে ঘোষণা করল, কে তার সাথে মোকাবেলা করবে, তার কথা শুনে জনৈক ইরাকী মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে আমি শামীর প্রতি আমার তীর তাক করি। আল্লাহর কসম! এর দ্বারা আমার উদ্দেশ্য ছিল তাদের উভয়ের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করা, যেন তারা মোকাবেলা করা থেকে বিরত থাকে। এভাবে আমি বললাম, এদিকে, এদিকে, এভাবে বলতে থাকলে তারা মোকাবেলা করা থেকে ফিরে গেল। আল্লাহর কসম! যখনই আমি ঘুমাতে যায় আমার সেই তীর তাক করাটা বার বার স্মরণ হতে থাকে। যার কারণে অনেক রাত্র আমার চোখে ঘুম আসেনা। তেমনিভাবে আমার খাবার রাখা হলেও সেটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। যার কারনে ঘুমের মত খাবারও আমার উপর হারাম হয়ে যায়।
حدثنا محمد بن منيب العدني عن السري بن يحيى عن الحسن قال
قال جندب
بن عبد الله واستكرهه بعض تلك الأمراء في بعض تلك
الفتن
فخرج به قال فبرز رجل من أهل الشام فقال من يبارز فبرز
له رجل من أهل العراق قال فعدوت على الشامي بالرمح وأيم الله ما أريد إلا
أن أحجز بينهما قال فقلت إليك إليك فلم أزل به حتى انصرف قال فوالله إني لأذكر
عدوتي تلك بعدما أنام نومة فيمتنع مني نومي بقية ليلتي وإني لأذكرها بعدما يوضع
طعامي بين يدي فيمتنع مني حتى ما أصل إليه
পৃষ্ঠা - ৪৭৬
হযরত ইবনে দীনার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মদীনাতে রক্তপাত করা বৈধ ঘোষণা দেয় তখন হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ রক্তপাত বর্জন করে পাহাড়ের দিকে যেতে থাকলে জনৈক শামের বাসিন্দা তার পিছু নেয়। হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ যখন বুঝতে পারলেন যে, লোকটি তার পিছু ছাড়বেনা তখন তিনি নিজের তলোয়ার নিয়ে ঘুরে দাড়িয়ে বললেন,আমার পিছু নেয়া ছেড়ে দাও এবং এখান থেকে সরে যাও। কিন্তু শামী লোকটি যুদ্ধ করা ছাড়া সরে যেতে অস্বীকার করলেন। তার অবস্থা দেখে হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ নিরুপায় হয়ে নিজের হাতিয়ার ফেলে দিয়ে বললেন, তুমি যদি আমাকে হত্যা করার জন্য আমার প্রতি তোমার হাত প্রসারিত কর, আমি কিন্তু তোমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার হাত তোমার দিকে প্রসারিত করবোনা। আমি নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করি। যিনি বিশ্বজাহানের পালনকর্তা। একথা শুনে শামের বাসিন্দা লোকটি হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ এর হাত ধরে পাহাড় থেকে নিচে নামিয়ে আনলেন। এক পর্যায়ে হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ বললেন, এই স্থানে আমি যেন আমাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথী হয়ে যুদ্ধ করতে দেখছি। একথা শুনে উক্ত শামী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? জবাবে তিনি বললেন, আমি আবু সাঈদ খুদূরী। এরপর উল্লিখিত শামী বললেন, চলে যাও, তোমার জন্য বরকতের দোয়া রইল।
حدثنا محمد بن منيب عن السرى
بن يحيى عن مالك بن دينار قال
لما أبيحت المدينة أخذ أبو سعيد الخدري رضى الله
عنه في الجبل فتبعه رجل من أهل الشام فلما رآه أبو سعيد أنه لا ينصرف عنه أقبل عليه
بالسيف فقال إليك إليك قال فأبي الشامي إلا أن يواقعه فلما رأى ذلك أبو سعيد ألقى
السيف وقال لئن بسطت إلي يدك لتقتلني ما أنا بباسط يدي إليك لأقتلك إني أخاف الله
رب العالمين قال فأخذ الشامي بيده فأنزله من الجبل قال أبو سعيد لقد رأيتني أقاتل
مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في هذا المكان المشركين قال فقال له الشامي من أنت
قال أنا أبو سعيد الخدري قال فقال له اذهب بارك الله فيك
পৃষ্ঠা - ৪৭৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আলী রাযিঃ বলেন, আল্লাহর কসম! আমি তাকে হত্যা করিনি, এবং হত্যার নির্দেশও দিইনি, তবে আমি বিজয়ী হয়েছি।
حدثنا جرير عن
ليث عن طاوس عن ابن عباس قال قال علي رضى الله عنهم والله ما قتلت ولا أمرت ولكني
غلبت
পৃষ্ঠা - ৪৭৮
হযরত জাহ্হাক থেকে বর্ণিত, জনৈক লোক যে সর্বদা বাদশাহর মাথার কাছে অবস্থান করে সে তাকে জিজ্ঞাসা করে, যদি এমন কাউকে বাদশাহ হত্যার নির্দেশ দেয় যার সম্বন্ধে আমি কিছুই জানিনা, তাহলে আমি কি করব? জবাবে জাহ্হাক বলেন, তাকে হত্যা করোনা। একথা শুনে ঐ লোক বললেন, এখানে তো জনাব বাদশাহ নামদার হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন! জাহ্হাক জবাব দেন, হ্যাঁ বাদশাহ হত্যা করার নির্দেশ দিলেও তোমার জন্য তার কথা মান্য করা ঠিক হবেনা। ঐ লোক বলল, বাদশাহর কথা না মানলে তো আমাকেই হত্যা করা হবে। জবাবে জাহ্হার বললেন, তখনতো তুমি হত্যাকারী হবেনা, বরং হত্যাকৃতদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
حدثنا مروان بن معاوية عن سلمة بن نبيط
عن الضحاك أن رجلا كان
يقوم على رأس الأمير سأله قال يؤتى بالرجل إلى الأمير لا أدري ما حاله فيأمرني أن
أضرب عنقه قال لا تضرب عنقه قال فإن الأمير يأمرني قال وإن أمرك الأمير فلا تطعه
قال إذا يضرب عنقي قال فكن أنت المضروب عنقه
পৃষ্ঠা - ৪৭৯
মাছরূক রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিদায় হজ্বের ভাষণে উল্লেখ করেছেন, আমার পর তোমরা কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়োনা যে, পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
حدثنا عيسى بن يونس
عن الأعمش عن أبي الضحى
عن مسروق قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة
الوداع لا ترجعن بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض
পৃষ্ঠা - ৪৮০
হযরত মুজাহিদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুদ্ধরত ছিলাম। যখন আমি যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করি তখন আমাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযিঃ ডেকে বললেন, হে মুজাহিদ! তোমার পর লোকজন কাফের হয়ে গিয়েছে, এইতো ইব্নে যুবাইর এবং আহলে শাম পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
حدثنا عيسى بن يونس عن
الأعمش
عن مجاهد قال كنت في الغزو فلما رجعت قال لي ابن عمر رضى الله عنه يا
مجاهد كفر الناس بعدك هذا ابن الزبير وأهل الشام يقتل بعضهم بعضا
পৃষ্ঠা - ৪৮১
হযরত আবু জাফর আল-আনসারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি চাদর আবৃত অবস্থায় নিজের তলোয়ার সহকারে হযরত আলী রাযিঃ কে দেখলাম তিনি নারীদের ছায়ার মাঝে বসে রয়েছেন যখন হযরত ওসমান রাযিঃ কে শহীদ করা হয়েছে, তখন তিনি বলতেছিলেন, গোটা দিন তোমাদের ধ্বংস হোক।
حدثنا
وكيع عن الأعمش عن ثابت بن عبيد
عن أبي جعفرالأنصاري قال رأيت عليا رضى الله
عنه مختبئا بسيفه جالسا في ظلة النساء قال فسمعته يقول حين قتل عثمان رضى الله عنه
تبا لكم سائر اليوم
পৃষ্ঠা - ৪৮২
হযরত কুলসুম খোযায়ী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় আমি কোনো ভাবে পছন্দ করিনা যে হযরত ওসমানের প্রতি কোনো তীর নিক্ষেপ করব। বর্ণনাকারী মিস্আর বলেন, আমি মনে করছি, তাকে হত্যা করা আমি পছন্দ করিনা যদিও এরজন্য কেউ আমাকে উহুদ পরিমান স্বর্ণ দিয়ে থাকে।
حدثنا وكيع عن مسعر عن عمران بن عمير عن كلثوم
الخزاعي قال
سمعت ابن مسعود يقول ما أحب أني رميت عثمان بسهم قال مسعر آراه قال
أريد قتله ولا أن لي مثل أحد ذهبا
পৃষ্ঠা - ৪৮৩
হযরত সাফওয়ান ইব্নে আমর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কা’ব রহঃ থেকে কতক মাশায়েখ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কোনো গোত্রের মাঝে যদি ফেৎনা প্রকাশ পায় তাহলে সেটা তাদেরকে টুকরো টুকরো করে ছাড়বে।
حدثنا بقية بن الوليد عن صفوان بن عمرو
قال حدثني بعض الأشياح عن كعب أنه كان يقول ما أثار
الفتنة قوم إلا كانوا لها جزرا
পৃষ্ঠা - ৪৮৪
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, যে লোক কোনো মুসলমানকে হত্যা করার ক্ষেত্রে সামান্য পরিমান সহযোগিতা করে তাহলে কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে, তার দু চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত।
حدثنا بقية بن
الوليد عن الأحوص عن أبي عون
عن سعيد بن المسيب قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم من أعان على قتل مسلم بشطر كلمة جاء يوم القيامة مكتوبا بين عينيه آيس من رحمة
الله
পৃষ্ঠা - ৪৮৫
হযরত কাতাদাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মুসা আশ্আরী রাযিঃ বলেন, ফেৎনা চলাকালীন মানুষের অবস্থা হচ্ছে, সে কওমের ন্যায় যারা সফর করতে গেলে তাদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্নতা গ্রাস করে নেয়। যার কারনে তাদের একদল সে স্থানে দাড়িয়ে থাকে অপর দল সামনের দিকে চলতে থাকে। পরবর্তীতে যখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন দুর হয় তারা নিজেদেরকে মূল রাস্তা থেকে বিচ্যুত অবস্থায় দেখতে পায়।
حدثنا ابن المهدي عن همام بن يحيى عن قتادة قال قال أبو موسى
الأشعري رضى الله عنه مثل الناس في
الفتنة كمثل قوم كانوا في سفر فغشيتهم ظلمة فقام بعضهم وتعسف
بعضهم فانجلت وقد حادوا عن الطريق
পৃষ্ঠা - ৪৮৬
কাশেম ইবনে আবু আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,আমি কি তোমাদেরকে ফেৎনার চিকিৎসা সম্বন্ধে বলবোনা। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা এমন কোনো জিনিসকে হালাল করেননা, যা ইতিপূর্বে হারাম ছিল। তোমাদের অবস্থা কেমন হবে যখন তোমাদের কোনো ভাই আজকে তোমার ঘরের দরজায় এসে অনুমতি চাইবে এবং পরের দিন এসে তাকে হত্যা করবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن ابن جابر
عن القاسم أبي عبد الرحمن قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألا انبئكم
بدواء
الفتنة
إن الله لا يحل فيها
شيئا حرمة قبل ذلك فما بال أحدكم يستأذن بباب أخيه ثم يأتيه الغد فيقتله
পৃষ্ঠা - ৪৮৭
হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সকালে হযরত ওসমান রাযিঃ এর ঘরের দরজায় জমায়েত হলে বাহিনী সহকারে বেরিয়ে আসেন তাহলে বিদ্রোহীরা হয়তো তাদেরকে দেখে সরে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, তাদের কথা মত হযরত ওসমান রাযিঃ সৈন্য বাহিনী সহ বের হয়ে আসলেন। এক পর্যায়ে উভয়দল থেকে তলোয়ার উম্মোচন করে একে অপরের উপর হামলা করে। যা ওসমান রাযিঃ ও দেখতে থাকেন এ অবস্থা দেখে ওসমান রাযিঃ বলেন, আমাকে উৎখ্যাত এবং আমার আমীর থাকা নিয়ে তারা যুদ্ধ করছে। এক পর্যায়ে তিনি ঘরে ফিরে গেলেন । বর্ণনাকারী বলেন, আমার জানামতে তিনি আর ঘর থেকে মারা যাওয়ার পূর্ব পযর্ন্ত বের হয়নি।
মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ এর হত্যার ফেৎনাটি এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবায়ে কেরামের দশ হাজারেরও বেশি সংখ্যক উপস্থিত ছিলেন। যদি ওসমান রাযিঃ তাদেরকে অনুমতি দিতেন তাহলে তারা বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে তাদেরকে মদীনার অলি-গলি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারতেন। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ আরো বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্নে যুবাইর রাযিঃ আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ হযরত হাসান ইবনে আলী রাযিঃ দশহাজারেরও বেশি সাহাবায়ে কেরামের কাফেলা নিয়ে হযরত ওসমান রাযিঃ এর কাছে এসেছিলেন যেন তাদেরকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই তারা বিদ্রোহীদেরকে মদীনার অলি-গলি থেকে বের করে দিতে সক্ষম হতেন। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইব্নে যুবাইর, ইবনে ওমর ও হাসান ইবনে আলী রাযিঃ প্রমুখের আগমনের কথা বললেও হযরত ইবনে আওনের বর্ণনা এসেছে, হযরত নাফে রহঃ বলেন, সেদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাযিঃ দুইবার লৌহবর্ম পরিধান করেছেন। আমি তাকে সংবাদ দিলাম,হযরত আবু হোরায়রা রাযিঃ ওসমান রাযিঃ এর ঘরের আর্শ্বে পার্শ্বে হাটাহাটি করছে, একথা শুনে তিনি বললেন, জানিনা শেষ ফলাফল কি দাড়ায়।
حدثنا ابن أبي عدي عن ابن عون
عن محمد قال لما اجتمعوا على باب عثمان رضى الله
عنه قيل له لو خرجت في كتيبتك عسى إن رأوها رجعوا قال فخرج عثمان في كتيبته قال
فيستل من أولئك رجل ويستل من هؤلاء رجل فاضطربا بأسيافهما فحانت من عثمان التفاتة
فقال في نزعي وتأميري يقتتلون فرجع فدخل الدار فما أعلمه خرج بعد ذلك حتى قتل
قال محمد وقعت
الفتن
ة
حين وقعت
وأصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لعشرة ألف أو أكثر فلو أذن لهم لضربوهم حتى
يخرجوهم من أقطار المدينة قال محمد فأتاه ابن الزبير وابن عمر والحسن بن علي
قال ابن عون وقال نافع لبس ابن
عمر الدرع مرتين ونبئت أن أبا هريرة كان يطيف بالدار فيقول أم طاب أم ضربا
পৃষ্ঠা - ৪৮৮
হযরত আব্দুর রহমান ইব্নে যুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবরুদ্ধ হওয়ার দিন হযরত ওসমান রাযিঃ অবরোধকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা আমাকে হত্যা করা কেন বৈধ মনে করছ, অথচ তিনটি কারন পাওয়া যাওয়া ব্যতীত কাউকে হত্যা করা বৈধ নয়। একটি হচ্ছে, কেউ যদি ইসলাম কবুল করার পর মুরতাদ হয়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও যিনা করলে, তৃতীয়তঃ কাউকে নাহক্বভাবে হত্যা করলে। আমি কিন্তু উল্লিখিত তিনটি অপরাধের একটিও কখনো করিনি। আল্লাহর কসম! যদি তোমরা আমাকে হত্যা কর তাহলে পরস্পরের সাথে বিরোধের কারনে তোমরা কখনো একত্রে নামায আদায় করতে পারবেনা এবং একসাথে যুদ্ধ করাও সম্ভব হবেনা। তার মাঝে কারো মধ্যে অবশ্যই জাগতিক বাসনা থাকবে।
حدثنا أبو المغيرة عن صفوان عن عبد الرحمن بن جبير
أن عثمان رضى الله عنه قال
يوم حوصر بم يستحلون قتلي وإنما يحل القتل على ثلاثة من كفر بعد إيمان وزنا بعد
أحصان أو قتل نفسا بغير نفس ولم آت من ذلك شيئا والله لئن قتلتموني لا تصلوا جميعا
ولا تجاهدوا عدوا جميعا إلا عن أهواء متفرقة
পৃষ্ঠা - ৪৮৯
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে জুবাইর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহর কসম! হযরত ওসমান রাযিঃ এর ব্যাপার নিয়ে যুগযুগ পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে। এমনকি যারা এখনো পিতার ঔরশে রয়েছে তারাও পরবর্তীতে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
حدثنا أبو المغيرة عن صفوان
عن عبد الرحمن بن جبير قال
قال عبد الله بن سلام والله ليقتلن في عثمان قوم هم
اليوم في أصلاب أبائهم ما ولدوا بعد
পৃষ্ঠা - ৪৯০
হযরত আব্দুর রহমান ইব্নে ফুজালা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আদম আঃ এর পুত্র কাবিল যখন তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে তখন আল্লাহ তাআলা তার আকলকে পরিবর্তন করে দেন এবং তার অন্তরের দয়া মায়া দূর করে দেয়া হয়। তার এ অবস্থা মৃত্যু পর্যন্ত বহাল থাকে এবং তার জ্ঞান-বুদ্ধি আর ফিরে আসেনি।
حدثنا أبو المغيرة عن أبي بكر بن أبي
مريم عن عبد الرحمن بن فضالة قال لما قتل قابيل أخاه هابيل مسخ الله عقله وخلع
فؤاده فلم يزل تائها حتى مات
পৃষ্ঠা - ৪৯১
হযরত হাসান রহঃ থেকে বর্র্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিভিন্ন অসচ্চরিত্রের আমীর এবং খারাপ চরিত্রের অধিকারী ইমামদের কথা উল্লেখ করে এ কথাও বলেছেন তাদের কারো কারো পথভ্রষ্টতা এত ব্যাপক হবে, যার কারনে আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান ভরে যাবে। একথা শুনে কেউ কেউ জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা তাদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা করবোনা? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সকলে নামায আদায় করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করা যাবেনা।
حدثنا المعتمر بن سليمان عن أبيه عن خليفة
عن الحسن قال ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم أمراء أمراء سوء وأئمة أئمة سوء
وذكر ضلالة بعضهم تملأ ما بين السماء والأرض قال
قيل يا رسول الله ألا نضرب
وجهه بالسيف
قال لا ما صلى أو قال ما صلوا الصلاة فلا
পৃষ্ঠা - ৪৯২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু দারদা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর তোমরা এমন কতক বিষয় দেখতে পাবে যা তোমরা মারাত্মকভাবে ঘৃণা করবে। এমন অবস্থার সম্মুখিন হলে তোমরা ধৈর্য্যধারন করবে, এবং কোনো ধরনের প্রতিবাদÑবিরোধীতা করবেনা। বিরোধীতা সূলভ কোনো ভাষাও প্রকাশ করবেনা। যেহেতু এগুলোর শাস্তি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদেরকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে।
حدثنا
المعتمر بن سليمان عن الحجاج ابن فرافصة عن محمد بن عجلان عن رجل من جهينة
عن
أبى الدرداء رضى الله عنه قال سترون أمورا تنكرونها فعليكم بالصبر ولا تغيروا ولا
تقولوا نغير حتي يكون الله تعالى هو المغير
পৃষ্ঠা - ৪৯৩
হযরত কা’ব রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা রাজা-বাদশাদের সত্য কথা শুনা থেকে বেঁচে থাক, কেননা, রাজা-বাদশাহগন তাদের এ অবস্থায় মাত্র একদিন স্থীর থাকে। ঐ দিনের পরই তার পরিবার-পরিজন ধ্বংস হয়ে যায়। কেননা, উঁচু কোনো পাহাড় ধসে পড়া কোনো রাজা-বাদশাহর অবস্থা পরিবর্তন করা থেকে অনেক সহজ।
قال حجاج وحدثنى محمد بن
سيرين
عن كعب قال اتقوا السلطان بتقيته فإن السلطان لا يبقي من مدته إلا يوم
واحد فهلك في ذلك اليوم الرجل واهله فإن إزالة جبل راسيا أهون من إزالة ملك مؤجل
পৃষ্ঠা - ৪৯৪
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যির রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যদি কেউ মুসলানকে হত্যা করার ক্ষেত্রে সামান্য পরিমান সহযোগিতা করে তাহলে কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে আত্মপ্রকাশ করবে, তার দুই চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে ‘আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত’। তবে ঈসা ইব্নে ইউনুসের বক্তব্যে ‘যে ব্যক্তি’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে।
حدثنا بقية بن الوليد وعيسي بن يونس عن الأحوص بن حكيم عن أبي عون
الأنصاري عن سعيد بن المسيب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أعان على قتل
مؤمن بشطر كلمة جاء يوم القيامة مكتوبا بين عينيه آيس من رحمة الله إلا أن عيسى زاد
رجلا
পৃষ্ঠা - ৪৯৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! নিঃসন্দেহে আলী রাযিঃ এর হত্যাকান্ডে শরীক হয়েছেন কিনা আমি জানিনা। তবে তিনি তখন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন, যার কারনে সকলে তাকে আমীরুল মুমিনীনের দায়িত্ব দিয়ে দেয়, ফলে তিনি যা করেন নি সেগুলোর নিসবত তার প্রতি করা হয়।
حدثنا عيسى بن يونس عن الأفريقي عن ابن يسار
عن ابن عمر رضى
الله عنهما قال لا والله ما علمنا عليا شرك في قتل عثمان سرا ولا علانية ولكن كان
رأسا ففزع الناس إليه فولي الأمر فألحق به مالم يصنع
باب من كان يرى
الاعتزال في
الفتن