আল ফিতন

الترك

পৃষ্ঠা - ১৯০০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কেমনযেন আমি বাকা গ্রন্থি ও শীর্ণ দুই পায়ের গোছা বিশিষ্ট এক ব্যক্তিকে দেখতেছি যে তার হাতুড়ি নিয়ে কা’বার উপরে বসে আছে। আর সেই উহা ধ্বংস করবে।
অধ্যায়
তুর্কি সম্পর্কে
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن مجاهد
عن عبد الله بن عمرو قال كأني أنظر إلى حبشي أفدع حمش الساقين جالس على الكعبة
بمسحاته وهي تهدم
الترك
পৃষ্ঠা - ১৯০১
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তুর্কিরা আমাদে অবস্থান নিবে এবং দাজলা ও ফুরাত নদী হতে পানি পান করবে। আর তারা জাযিরাতে ধ্বংশযজ্ঞ চালাবে। আর হিরার মুসলমানগণ তাদের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠবে না। ফলে আল্লাহ কাইল তথা মাপ বিহীন শিলা প্রেরণ করবেন। উহাতে তীব্র বাতাশ ও ঝঞ্চা বায়ু থাকবে। অতপর তারা যখন প্রায় শেষ হয়ে যাবে, কিছুদিন অবস্থান করবে তখন মানুষের মাঝে মুসলমানদের আমীর বা নেতা দাড়াবে। আর সে বলবে হে ইসলামের অধিবসী, তোমরা ভালভাবে জেনে রাখ যে, একটি জাতি তারা নিজেদেরকে আল্লাহ তা’আলার জন্য দান করেছে। অতএব তোমরা দেখ কওম বা জাতি কি করছে। ফলে তাদের দশজন অশ্বরোহী সৈন্য (তুর্কিদের) বিরুদ্ধে দাড়াবে এবং তাদের দিকে ঝাপিয়ে পড়বে। অতপর তারা যখন শেষ হয়ে যাবে। তখন তারা ফিরে আসবে। অতপর বলবে নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ধ্বংস করেছেন আর তোমাদের পর্যাপ্ত করেছেন যে, তারা তাদের শেষজনকে ধ্বংস করেছে।
حدثنا يحيى بن سعيد العطار وأبو المغيرة
عن ابن عياش عن عبد الله بن دينار
عن كعب قال تنزل الترك آمد وتشرب من الدجلة
والفرات ويسعون في الجزيرة وأهل الإسلام من الحيرة لا يستطيعون لهم شيئا
فيبعث الله
عليهم ثلجا
بغير كيل فيه صر
من ريح شديدة وجليد
فإذا هم خامدون فإذا أقاموا أياما
قام أمير أهل الإسلام في الناس
فيقول يا أهل الإسلام ألا قوم يهبون أنفسهم لله
فينظروا ما فعل القوم فينتدب عشرة فوارس فيجيزون إليهم فإذا هم خامدون فيرجعون
فيقولون إن الله قد اهلكهم وكفاكم هلكوا من عند آخرهم
পৃষ্ঠা - ১৯০২
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তুর্কিরা জাযিরাতে অবস্থান নিবে। এমনকি তাদের ঘোড়াগুলো ফুরাত হতে পানি পান করবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর মহামারী রোগ প্রেরণ করবেন। ফলে উহা তাদের কতল করে দিবে। ফলে তাদের থেকে একজন ব্যতীত আর কেউ বাচবে না।
قال ابن عياش
وأخبرني عتبة بن تميم عن الوليد بن عامر اليزني عن يزيد بن خمير
عن كعب قال
ليردن الترك الجزيرة حتى يسقوا خيلهم من الفرات
فيبعث الله عليهم الطاعون
فيقتلهم
فلا يفلت منهم إلا رجل واحد
পৃষ্ঠা - ১৯০৩
হযরত আবু হালীমা গানায়ী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তারা জাযীরা এর পাহাড়ে অবস্থান নিবে, যাতে গানার মহিলাদের বন্দি করতে পারে। এমনকি নিশ্চই কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর পায়ে (বন্দিত্বের) নুপুরের শুভ্রতা দেখবে কিন্তু তা থেকে তাকে রক্ষা করতে পারবে না।
قال ابن عياش وأخبرني عصمة بن راشد عن بسر
بن عبيد الله
عن أبي حليمة الغنوي قال يقفون على تلال الجزيرة
ليسبوا نساء
غنى
حتى إن الرجل ليرى بياض خلخال امرأته لا يقدر يدفع عنها
পৃষ্ঠা - ১৯০৪
হযরত হাকাম ইবনে আতীয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তারা বের হবে, তাদেরকে ফুরাত ব্যতীত অন্য কোন কিছু ফেরাতে পারবে না। তাদের নাবিকগণ ও দুটি ঘোঢ়া তাদের নিকট পৌছবে। সেদিন তারা দুটি বিপদ পরিমাপ করবে। আর তারা তাদেরকে মুলোৎপাটন করতে চাইবে। উহার পর আর তুর্ক থাকবে না।
قال ابن
عياش وأخبرني رجل من آل حبيب بن مسلمة
عن الحكم بن عتيبة قال يخرجون فلا
ينهينهم دون الفرات شيء أصاب ملاحهم وفرسان الناس يومئذ قيس عيلان فيستأصلهم لا ترك
بعدها
পৃষ্ঠা - ১৯০৫
হযরত মাকহুল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তুর্কিদের দুইবার বহিপ্রকাশ ঘটবে। এক বহিপ্রকাশে আজারবাইজান ধ্বংস করবে। দ্বিতীয় বহিপ্রকাশে তারা জাযিরা তথা উপদ্বীপে বের হবে। তারা হিজালবাসীদের বন্দি করবে। আর তখন আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের সাহায্য করবেন। আর তাদের মাঝে আল্লাহ তা’আলার (নামে) বড় যুদ্ধ হবে। এর পর আর তুর্ক থাকবে না।
قال ابن عياش وأخبرني من سمع مكحولا
عن النبي صلى الله عليه
وسلم
للترك خرجتان
خرجة منها خراب أذربيجان وخرجة يخرجون في الجزيرة يحتقبون ذوات
الحجال فينصر الله المسلمين فيهم ذبح الله الأعظم لا ترك بعدها
পৃষ্ঠা - ১৯০৬
বসরাবাসী নিসাক বর্ণনা করে বলেন যে, আমাদের নিকট আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু আসলেন। আর তখন আমি তাকে বলতে শুনেছি যে, সম্ভবত বনু কানতূর খোরাসানবাসী ও সিজিস্তানবাসীদের প্রচন্ডভাবে ধাওয়া করবে এমনকি তারা তাদের পশুগুলি ইবলার গাছের সাথে বাধবে। অতপর তারা বসরাবাসীদের নিকট একটি পত্র পাঠাবে যে, তোমরা আমাদের জন্য তোমাদের যমিন খালি করে দাও। অথবা তোমাদের উপর আক্রমন করা হবে। তখন বসরাবাসীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। একভাগ আরবের সাথে মিশে যাবে। একভাগ সিরিয়ার সাথে। আরেক দল উহার শত্রুদের সাথে। আর উহার আলামত বা নিদর্শন হল যখন যমিন সমান হয়ে যাবে সেটাই নির্বোধের আলামত।
قال ابن
عياش حدثنا نافع وسعيد بن أبي عروبة جميعا عن قتادة حدثنا عبد الله بن بريدة عن
سليمان بن ربيعة من نساك أهل البصرة قال
أتينا عبد الله بن عمر فسمعته يقول
يوشك بني قنطورا يسوقوا أهل خراسان وأهل سجستان سوقا عنيفا
حتى يربطوا دوابهم بنخل
الأبلة فيبعثون إلى أهل البصرة أن خلوا لنا أرضكم أو تنزل بكم فيفرقو [ ن ] على
ثلاث فرق
فرقة تلحق بالعرب
وفرقة بالشام وفرقة بعدوها وأمارة ذلك إذا طبقت الأرض
أمارة السفهاء
পৃষ্ঠা - ১৯০৭
হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন এমন একটি জায়গা আছে যার নাম হল বসরা বা বসীরা, যেখানে বনু কানতুরের লোকজন অবস্থান নিবে। এমনকি তারা একটি নদীতে নামবে যার নাম হল গাছ ওয়ালা দাজলা। তখন মানুষ তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। একদল উহার মূলের সাথে মিলিত হবে। ফলে তারা হালাক বা ধ্বংস হবে। আরেকদল তাদের নিজেদের আকড়ে ধরবে। ফলে তারা কুফুরী করবে। এবং আরেকদল যারা তাদের পরিবারদিগকে পিছনে রাখবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের অবশিষ্টদের উপর বিজয় দান করবেন।
قال ابن عياش وأخبرني جعفر الحارث عن سعيد بن جمهان
عن أبي بكرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
أرض يقال لها البصرة أو البصيرة
يأتيهم بنو قنطورا حتى ينزلوا بنهر يقال له دجلة
ذي نخل فيتفرق الناس فيه ثلاث فرق
فرقة تلحق بأصلها فهلكوا وفرقة تأخذ على أنفسها فكفروا وفرقة تجعل عيالاتها خلف
ظهورها فيقاتلونهم فيفتح الله على بقيتهم
পৃষ্ঠা - ১৯০৮
হযরত আবু কিলাবা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করে বলেন যে, অতপর তারা তিনভাগে বিভক্ত হবে। একভাগ অবস্থান করবে। আরেকভাগ তাদের পূর্বপুরুষের আবাসস্থল মানাবিতুশ শাইহ ও কাইসূমের সাথে মিলিত হবে। আরেকভাগ সিরিয়ার সাথে মিলিত হবে। আর তারাই হল উত্তম ভাগ বা দল।
قال ابن عياش وأخبرني خالد
بن عبد الملك على أبي قلابة
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
فيفترقون ثلاث فرق
فرقة تمكث وفرقة تلحق بآبائها منابت الشيح والقيصوم وفرقة تلحق بالشام وهي خير
الفرق
পৃষ্ঠা - ১৯০৯
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তাদের চোখগুলো হবে শামুকের এর মত। তাদের চেহারা হবে হুজুফের (ঢাল) মত। আর ঘটনা ঘটবে দাজলা ও ফুরাত নদীর মাঝখানে। আরেকটি ঘটনা ঘটবে মারজে হিমারে। আরেকটি দাজলাতে। এমনকি দিনের শুরুতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরণের জন্য যথেষ্ঠ হবে। অতপর দিনের শেষে বৃদ্ধি পাবে।
حدثنا يحيى بن سعيد أخبرني أبو اليسع عن ضرار بن عمرو عن محمد بن
كعب القرظي
عن ابي هريرة قال أعنيهم كالودع ووجوههم كالحجف
لهم وقعة بين الدجلة
والفرات
ووقعة بمرج حمار ووقعة بدجلة حتى يكون الجواز أول النهار بمائة دينار
للعبور إلى الشام ثم يزيد آخر النهار
পৃষ্ঠা - ১৯১০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বারীদা রাযিয়াল্লাহু আনহু তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, আমার উম্মত এমন এক কওম বা জাতি যাদের চেহারা হবে প্রসস্ত। চোখ হবে ছোট ছোট। কেমনযেন তাদের চেহারা হবে হুজুফ (ঢাল এর মত)। এমনকি তারা তাদেরকে আরব উপদ্বিপের সাথে তিনবার মিলাবে। আর প্রথমবার ধাওয়াকারী বেচে যাবে। দ্বিতীয়বার কিছু লোক ধ্বংস হবে, আর কিছু বেচে যাবে। আর তৃতীয়বারে একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তারা হল তুর্কি জাতি। ঐ সত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। নিশ্চই তাদের ঘোড়া মুসলমানদের মসজিদের উচ্চতার সাথে মিলিত হবে। আর তখন দুই বায়ীর বা তিন বায়ীর তারা পৃথক হবে না। আর পালায়নকারীদের সফরের সরঞ্জাম হবে যা তুর্কিদের বিষয়ে শোনা হয়েছে।
قال يحيى وأخبرني الحسن بن بشير بن
المهاجر عن عبد الله بن بريدة
عن ابيه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول
يسوق
أمتي قوم عراض الوجوه صغار الأعين
كأن وجوههم الحجف
حتى يلحقوهم بجزيرة العرب
ثلاث
مرات
أما الساقة الأولى فينجو من يهرب والثانية يهلك بعض وينجو بعض وتصطلم الثالثة
وهم الترك
والذي نفسي بيده ليربطن خيولهم إلى سواري مسجد المسلمين
فكان
بريدة لا يفارقه بعيرين أو ثلاث ومتاع السفر للهرب مما سمع من أمر الترك
পৃষ্ঠা - ১৯১১
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হয়তো বনু কানতুরের লোকজন ইরাক হতে তোমাদেরকে বের করে দিবে। (রাবী বলেন) আমি বললাম আমরা ফিরে যাবো। তিনি বললেন তুমি কি তা আশা কর। আমি বললাম হ্যা। তিনি বললেন হ্যা, আর তাদের জন্য জীবন যাপন হবে শান্তিময়।
حدثنا ابن علية عن أيوب عن محمد بن سيرين عن عبد الرحمن بن أبي بكرة
عن عبد
الله بن عمرو قال
يوشك بنو قنطورا أن
يخرجوكم من أرض العراق
قلت ثم نعود
قال أنت تشتهي ذاك
قلت أجل
قال نعم ويكون لهم سلوة من عيش
পৃষ্ঠা - ১৯১২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মানুষের মাঝে পাঁচটি যুদ্ধ হবে। দুটি যুদ্ধ অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর তিনটি এই উম্মতের মধ্যে ঘটবে। আর তা হল তুর্কিদের যুদ্ধ, রোমের যুদ্ধ আর দাজ্জালের যুদ্ধ। আর দাজ্জালের যুদ্ধের পর আর কোন যুদ্ধ নেই।
حدثنا ابن علية أخبرني عوف عن أبي المغيرة القواس
عن عبد الله بن عمرو قال
ملاحم الناس خمس قد مضت ثنتان وثلاث في هذه الأمة
ملحمة الترك
و
ملحمة الروم
و
ملحمة
الدجال
ليس بعد ملحمة الدجال ملحمة
পৃষ্ঠা - ১৯১৩
হযরত আব্দুর রহমান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন নিশ্চই দাজ্জাল খুয ও কিরমানে আশি হাজার সৈন্যের মধ্যে অবতরণ করবে। তাদের চেহারাগুলো হবে বড় মুগুরের ন্যায়। তারা তয়ালিসা (সবুজ এক ধরণের পোষাক) পরিধান করবে। আর তারা তাদের পায়ে চুল বা পশম ব্যবহার করবে।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن
جعفر بن الحارث عن محمد بن إسحاق عن محمد بن إبراهيم
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن
قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
ليهبطن الدجال
خوز وكرمان في ثمانين ألفا كأن
وجوههم المجان المطرقة يلبسون الطيالسة وينتعلون الشعر
পৃষ্ঠা - ১৯১৪
হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তোমরা রাবেযা পরিত্যাগ কর। যা তোমাদেরকে ত্যাগ করেছে। অর্থাৎ খুর।
حدثنا بقية عن
صفوان عن مشيخة
عن معاوية قال اتركوا الرابضة ما تركوكم يعني
الخزر
পৃষ্ঠা - ১৯১৫
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একবার তুর্কিরা এমনভাবে বের হবে যে তাদেরকে কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। তবে দল ব্যতিত যাতে আল্লাহ তা’আলা বড় য্দ্ধু থাকবে।
حدثنا بقية عن صفوان قال وأخبرني أبو الزاهرية عن أبي عطية المذبوح
عن كعب لتخرجن الترك خرجة لا ينهينهم شيء دون القطيعة فيهم ذبح الله الأعظم
পৃষ্ঠা - ১৯১৬
হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি কূফাবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন অবশ্যই অবশ্যই এমন এক জাতি তোমাদেরকে কূফা হতে বের করে দিবে, যাদের চক্ষু হবে ছোট. যাদের নাক হবে চ্যাপ্টা, তাদের চেহারা হবে বড় মুগুরের ন্যায়. তারা পায়ে পশম বা চুল ব্যবহার করবে। তারা জূফার গাছের সাথে তাদের ঘোড়া বাধবে। আর তারা ফুরাত নদী হতে পানি পান করবে।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن أبي وهب الكلاعي عن بسر
عن حذيفة
قال لأهل الكوفة ليخرجنكم منها قوم صغار الأعين فطس الأنف كأن وجوههم المجان
المطرقة ينتعلون الشعر يربطون خيولهم بنخل جوخا ويشربون من فرض الفرات
পৃষ্ঠা - ১৯১৭
হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তোমরা রাবেযা পরিত্যাগ কর যা তোমাদেরকে পরিত্যাগ করেছে। কেননা তারা অচিরেই বের হবে এমনকি ফুরাতের দিকে আসবে। অতপর তাদের প্রথমজন ফুরাত হতে পানি পান করবে। এবং তাদের শেষজনও আসবে। অতপর তারা বলবে এখানে পানি ছিল।!
حدثنا بقية عن أم عبد الله عن أخيها عبد الله بن خالد عن أبيه خالد بن معدان
عن
معاوية قال
اتركوا الرابضة
ما تركوكم فإنهم سيخرجون حتى ينتهوا إلى الفرات فيشرب
منه أولهم ويجيء آخرهم
فيقولون قد كان هاهنا ماء
পৃষ্ঠা - ১৯১৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমরা তাদের নিকট গেলাম। অতপর তিনি বললেন তোমরা (কাদের হতে) কোথা হতে এসেছ? আমরা বললাম আমরা ইরাকবাসীদের হতে। তিনি বললেন ঐ আল্লাহ তা’আলার কসম! যিনি ব্যতিত আর কোন উপাস্য নেই। বনু কানতুর খোরাসান ও সিজিস্তান হতে তোমাদেরকে প্রবলভাবে ধাওয়া করবে। এমনকি তারা আবলাতে অবস্থান নিবে। আর তারা সেখানের প্রত্যেকটি গাছের সাথে তাদের ঘোড়া বাধবে। অতপর তারা বসরাবাসীদের নিকট পত্র প্রেরণ করবে। (যাতে লিখা থাকবে) হয়তো তোমরা আমাদের দেশ হতে বের হয়ে যাও অন্যথায় আমরা তোমাদের উপর আক্রমন করবো। তিনি বলেন তখন তারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। একভাগ কূফার সাথে মিলিত হবে। একভাগ হিজাজের সাথে মিলিত হবে। আরেকভাগ আরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে মিলিত হবে। অতপর তারা বসরায় প্রবেশ করবে। আর সেখানে এক বছর অবস্থান করবে। অতপর কূফায় পত্র পেরণ করবে। (যাতে লিখা থাকবে) হয়তো তোমরা আমাদের দেশ হতে চলে যাও অন্যথায় আমরা তোমাদের উপর আক্রমন করবো। তখন কূফাবাসীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। একভাগ সিরিয়ার সাথে মিলিত হবে। একভাগ হিজাজের সাথে মিলিত হবে। আরেকভাগ আরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে মিলিত হবে। আর এদিকে ইরাক অবশিষ্ট থাকবে অথচ সেখানে কোন মানুষ পাওয়া যাবে না। টুকরি ও দিরহামও না। তিনি বলেন আর সেটা হবে যখন শিশুদের দালান কোঠা হবে। আর নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা উহা তিনবার প্রতিহত করবেন।
حدثنا أبو المغيرة
عن عبد الملك بن حميد بن أبي غنية عن سلامة بن مليح الضبي
عن عبد الله بن عمرو
قال أتيناه فقال
أممن أنتم
فقلنا من أهل العراق
قال والله الذي لا
إله إلا هو ليسوقنكم
بنو قنطورا
من خراسان وسجستان سوقا عنيفا حتى ينزلوا بالأبلة
فلا يدعوا بها نخلة إلا ربطوا بها فرسا ثم
يبعثون إلى أهل البصرة إما
أ
ن تخرجوا من
بلادنا
وإما ان ننزل عليكم
قال فيفترقون ثلاث فرق فرقة تلحق بالكوفة وفرقة
بالحجاز وفرقة بأرض العرب البادية ثم يدخلون البصرة فيقيمون بها سنة ثم
يبعثون الى
الكوفة إما أن ترتحلوا عن بلادنا
واما ان ننزل عليكم
فيفترقون ثلاث فرق فرقة
تلحق بالشام وفرقة بالحجاز وفرقة بالبادية أرض العرب و
تبقى العراق لا يجد أحد فيها
قفيزا ولا درهما
قال وذلك إذا كانت إمارة الصبيان فوالله ليوكنن رددها ثلاث
مرات
পৃষ্ঠা - ১৯১৯
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তোমরা লাল চেহারাবিশিষ্ট, ছোট চক্ষু ও চ্যাপ্টা নাকওয়ালা তুর্ক বাসীদের সাথে যুদ্ধ করবে। তাদের চেহারা হবে কেমনযেন কাদাকার।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة أن الأعرج حدثه عبد الرحمن
عن أبي
هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ل
ا تقوم الساعة حتى تقاتلوا
الترك حمر الوجوه
صغار الأعين فطس الأنف كأن وجوههم المجان المطرقة
পৃষ্ঠা - ১৯২০
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আরবের বিভিন্ন প্রান্তের ভুমি যারা প্রথম করায়ত্ব করবে তাদের চেহারা হবে লাল এবং বড় হাতুড়ী বা মুগুরের ন্যায়।
حدثنا ابن وهب عن ابن عياش عن عقبة الحضرمي عن الفضل بن عمرو بن أمية الضمري
عن
أبي هريرة قال أول ما يزوى من أقطار أرضها العرب
لقوم حمر الوجوه
كأن وجوههم المجان
المطرقة
পৃষ্ঠা - ১৯২১
হযরত আবু হুরাইরা হতে (পূর্বের হাদীসের) মত বর্ণিত হয়েছে। আর হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলতেন যে, তোমরা তাদের চেহারা পাবে কঠিন বস্তুর মত। তাদের চক্ষু তীরান্দাজির নিশানার মত। সুতরাং তোমরা তাদের ত্যাগ কর যা তোমাদের ত্যাগ করেছে।
قال ابن وهب وأخبرني يونس عن ابن شهاب عن أبي هريرة مثله
وكان عمر يقول للمسلمين تجدوا وجوههم كالدرق أعينهم كالودع فاتركوهم ما تركوكم
পৃষ্ঠা - ১৯২২
হযরত হাসান ইবনে কুরাইব হতে বর্ণিত যে, তিনি ইবনে যুল কিলাকে কে বলতে শুনেছেন যে, আমি হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট ছিলাম। তখন তার নিকট আরমিনিয়া হতে উহার অধিবাসীদের একজন দূত এসে (প্রেরিত) পত্র পাঠ করলো। অতপর তিনি রাগান্বিত হলেন এবং পত্র লেখককে ডাকলেন। অতপর তিনি বললেন, পত্র লিখকের নিকট তার পত্রের উত্তর লিখ। আর এটা উল্লেখ কর যে, তুর্কিরা তোমার এলাকার একদিক দিয়ে আক্রমন করেছে অতপর তারা তা হতে পেয়েছে। অতপর আমি তাদের অনুসন্ধানে মানুষ প্রেরণ করেছি। আর তখন ঐসমস্ত লোক রক্ষা পেয়ে যায় যারা পেয়েছে। তোমার উপর তোমার মা ভারি হোক! ফলে উহার অনুরুপ তুমি আর ফিরিয়ে দিবে না। আর তুমি তাদের কোন ভাবেই তরান্বিত করবে না। আর কোন ভাবেই তাদেরকে বাচাবে না। কেননা আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চই তারা আমাদেরকে মানাবিতুশ শাইহ এর সাথে মিলাবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة حدثني كعب بن علقمة حدثني حسان بن كريب أنه
سمع ابن ذي الكلاع يقول
كنت عند معاوية فجاءه بريد من أرمينية من صاحبها فقرأ
الكتاب
فغضب ثم دعا كاتبه
فقال
اكتب إليه جواب
كتابه تذكر أن
الترك أغاروا على طرف أرضك فأصابوا منها ثم بعثت رجالا في طلبهم فاستنقذوا الذي
أصابوا ثكلتك أمك فلا تعودن لمثلها ولا تحركنهم بشيء ولا تستنقذ منهم شيئا فإني
سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم [ يقول ] إنهم سيلحقونا بمنابت الشيح
পৃষ্ঠা - ১৯২৩
হযরত আবু কুবাইল রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্য এক সাহাবী হতে বর্ণনা করে বলেন যে, বড় যুদ্ধের সময় রোম বের হবে। আর তাদের সাথে তুর্কি, বারজান এবং ছাকালাবারাও বের হবে।
حدثنا رشدين عن ليث بن سعد عن أبي قبيل
عن غير واحد من أصحاب النبي
صلى الله عليه وسلم قال
تخرج الروم
في الملحمة العظمى
ومعهم الترك
وبرجان والصقالبة
পৃষ্ঠা - ১৯২৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তিনটি যুদ্ধ হবে। দুটি অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর একটি বাকী আছে আর তা হল উপদ্বীপে তুর্কিদের যুদ্ধ।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن أبي المغيرة عبيد الله بن المغيرة
عن
عبد الله بن عمرو قال الملاحم ثلاث مضت ثنتان وبقيت واحدة
ملحمة الترك
بالجزيرة
পৃষ্ঠা - ১৯২৫
হযরত মাকহুল রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তুর্কিরা দুই বার বের হবে। একবার তারা আজারবাইজানে বের হবে। আরেকবার তথা হতে ফুরাত নদীর পার পর্যন্ত ছড়াবে।
حدثنا الوليد عن ابن جابر وغيره عن مكحول
عن النبي صلى الله عليه
وسلم قال للترك خرجتان إحداهما يخرجون أذربيجان والثانية يشرعون منها على شط الفرات
পৃষ্ঠা - ১৯২৬
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তুর্কিরা ফুরাত নদীর উপর ছড়াবে। যেন আমি মুয়াসফারাতের পাড়ে, আর উহা নদীর উপর আন্দোলিত হচ্ছে।
حدثنا الوليد عن ابن آدم عن أبي الأعيس
عن كعب قال
يشرع الترك على
نهر الفرات
فكأني بذوات المعصفرات يصطفقن على نهر الفرات
পৃষ্ঠা - ১৯২৭
হযরত মাকহুল রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের জাসাস এর উপর মৃত্যু প্রেরণ করবেন। অর্থাৎ তাদের চতুস্পদ জন্তু মারা যাবে। ফলে তাদের হাটিয়ে আনবেন। অতপর উহাদের মাঝে আল্লাহ তা’আলার কঠিন যুদ্ধ বা হত্যা হবে। এর পর আর কোন তুর্কি থাকবে না।
حدثنا الوليد
عن ابن جابر عن مكحول
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
فيرسل الله على جثثهم
الموت يعني دوابهم فترجلهم
فيكون فيهم ذبح الله الأعظم لا ترك بعدها
পৃষ্ঠা - ১৯২৮
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কেমন যেন আমি তুর্কিদের সাথে আছি। (তাদের দেখছি) তারা মাখদামাতুল আযানে দুই বারায উপরে এমনকি তারা উহা ফুরাত নদীর কিনারার সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أيوب عن ابن سيرين
عن ابن مسعود قال كأني بالترك
على براذين مخدمة الآذان حتى يربطوها بشط الفرات
পৃষ্ঠা - ১৯২৯
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যে, আমাকে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে, হয়তো বনু কানতুর ইরাকের যমিন হতে তোমাদেরকে বের করে দিবে। তিনি বলেন আমি বললাম আমরা পুনরায় ফিরে আসবো। তিনি বললেন সেটা তোমার নিকট প্রিয়। অতপর তোমরা ফিরিয়ে দিবে। ফলে উক্ত জায়গা তোমাদের জীবন যাপনের জন্য আরামদায়ক হবে।
قال ابن سيرين عن عبد
الرحمن بن أبي بكرة قال
قال لي عبد الله بن عمرو بن العاص أوشك بنو قنطورا أن
يخرجوكم من أرض العراق
قال قلت ثم نعود
قال ذاك أحب إليك ثم تعودن فتكون
لكم بها سلوة من عيش
পৃষ্ঠা - ১৯৩০
হযরত হাসান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, নিশ্চই কিয়ামাতের নিদর্শণ সমূহ হতে (কয়েকটি) হল যে, তোমরা এমন কতিপয় জাতির সাথে যুদ্ধ করবে যাদের চেহারা হবে বড় মুগুরের ন্যায়। আর তোমরা এমন জাতির সাথে যুদ্ধ করবে যাদের পায়ের জুতা থাকবে পশমের। আর আমরা প্রথম জাতিদের দেখেছি আর তারা হল তুর্কি জাতি। আর আমরা তাদের দেখেছি এমতবস্থায় যে, তারা কুর্দিজাতি। হযরত হাসান রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন আর যখন তুর্কি কিয়ামাতের লক্ষণের মধ্যে থাকবে তখন কেমনযেন তুমি তাদের দেখবে।
حدثنا عبد الوهاب عن يونس عن الحسن قال
قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم إن من أشراط الساعة أن تقاتلوا أقواما وجوههم كالمجان
المطرقة وأن تقاتلوا قوما نعالهم الشعر
قد رأينا الأول وهم
الترك
ورأينا هؤلاء
وهم
الأكراد
قال الحسن فإذا كنت في أشراط الساعة فكأنك قد عاينته
পৃষ্ঠা - ১৯৩১
হযরত জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হযরত হুযাইফা (রা:) বলেন সম্ভবত ইরাকবাসীরা তাদের দিরহাম এবং টুকরি তাদের দিকে টেনে আনতে পারবে না (সংগ্রহ করতে পারবে না)। কেননা তাদেরকে (উহা সংগ্রহ করা হতে) উক্ত অনারবীরা বাধা দিবে। (এমনিভাবে) সম্ভবত সিরিয়াবাসীও দিনার ও মাদা তাদের দিকে টেনে আনতে পারবে না। কেননা তাদেরকে উক্ত রোম (বাসীরা) বাধা প্রদান করবে।
حدثنا عبد الوهاب عن الجريري عن ابي نضرة عن جابر بن عبد الله قال
قال حذيفة
يوشك أهل العراق أن لا يجبى إليهم درهم ولا قفيز
يمنعهم من ذلك العجم
ويوشك أهل
الشام أن لا يجبى اليهم دينار ولا مدى يمنعهم من ذلك الروم
পৃষ্ঠা - ১৯৩২
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তখন কেমন হবে যখন তোমরা তোমাদের এই যমিন হতে বের হয়ে আরব উপদ্বীপের মানাবিতুশ শাইহে যাবে? তারা বললেন আমাদেরকে কে বের করবে? তিনি বললেন শত্রু।
حدثنا عبدة
بن سليمان عن زكريا عن أبي إسحاق عن أرقم بن يعقوب
عن ابن مسعود قال كيف أنتم
إذا خرجتم من أرضكم هذه إلى جزيرة العرب منابت الشيح
قالوا ومن يخرجنا
قال
العدو
পৃষ্ঠা - ১৯৩৩
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ঐ সময় পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা এমন এক জাতির সাথে যুদ্ধ কর যাদের চেহারা হবে বড় মুগুরের ন্যায়। আর এমনিভাবে ঐ সময় পর্যন্ত কিয়ামাত হবে না যতক্ষণ না তোমরা এমন এক জাতির সাথে যুদ্ধ কর যাদের পায়ের জুতা হবে পশমের।
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن سعيد بن المسيب
عن أبي هريرة
رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تقوم الساعة
حتى تقاتلوا قوما
كأن وجوههم المجان المطرقة ولا تقوم الساعة حتى تقاتلوا قوما نعالهم الشعر