আল ফিতন

علامات الساعة بعد طلوع الشمس من مغرﺑﻬا

পৃষ্ঠা - ১৭৮৩
উরওয়া রা: বলেছেন,
নবী ﷺ কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা বন্ধ করেন নি যতক্ষন পর্যন্ত না এই আয়াত অবতির্ন হয়, "এতে আপনার কি? এর জ্ঞান আপনার রবের কাছে।" সুরা নাজিয়া। এর পর উনি বন্ধ করেন।
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن
عروة قال
لم يزل النبي صلى الله عليه وسلم يسأل عن الساعة حتى نزلت فيم أنت من
ذكراها إلى ربك منتهاها [ النازعات ] فانتهى
علامات الساعة بعد طلوع الشمس
من مغربها
পৃষ্ঠা - ১৭৮৪
জাবের রা: বলেছেন,
নবী ﷺ উনার মৃত্যুর একমাস আগে বলেছিলেন, "তোমরা আমাকে কিয়ামত কখন হবে জিজ্ঞাসা কর, অথচ এর ইলম শুধু আল্লাহর কাছে আছে।"
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن أبي الزبير
عن جابر رضي
الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال قبل موته بشهر تسألونني عن الساعة
وإنما علمها عند الله
পৃষ্ঠা - ১৭৮৫
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح عن أرطاة عن كثير بن
مرة ويزيد بن شريح وعمر بن سليمان
قالوا أخر طلوع الشمس من المغرب يوما واحدا
قط وترفع الحفظة وتؤمر بأن لايكتبوا شيئا فإذا كان ذلك سجدوا لله وتستوحش الملائكة
بحضور الساعة وتفزع الشمس والقمر وتحرس السماء حرسا شديدا لا يستطيع شيطان ولا جان
أن يدنو وتستوحش الجن وتموج الجن والإنس والطير والوحش والسباع بعضها من بعض فتأتي
الجن الخافقين والشياطين لتستمع فيرمون بشهب النار فلا يسمعون شيئا ويتغير لون
السماء وتهد الأرض وتنسف الجبال إلا أربعة طور سينا والجودي وجبل لبنان وجبل ثابور
الذي فوق طبرية فإن الله تعالى نصبها روضة خضراء ذات شجر بين الجنة والنار عليها
بناء اللؤلؤ والزبرجد والدر والياقوت فيجعل عرشه عليها ليدنن الخلق وإن رجل الملك
صاحب
الصور عند القلزم وإنه لينفخ النفخة الأولى فيصعق من في السماوات
والأرض فيمكثون أربعين عاما وتنفطر السماء وتناثر نجومها ويرسل الله ماء الحياة
فينبت البشر وإن كل بشر منهم لعلى مثل عين الجرادة من عجب الذنب وعلى الذرة التي في
السرة
وقال قال عبد الله بن عمرو فينفخ النفخة الأخرى من عند باب مدين الغربي
فإذا هم قيام ينظرون يبعثون في دخن وظلمة
قال وقال أبو الدرداء فمن كان له عمل
صالح يفرح عند الدخن والظلمة حتى يصير في رخاء ويقسم النور بين الناس على قدر
الأعمال
পৃষ্ঠা - ১৭৮৬
হযরত ওহাব ইবনে মানবাহ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন কিয়ামাতের সময় নিকটবর্তী হবে তখন সমুদ্রের পাহাড় স্থলের দিকে বের হবে। আর স্থলের পাহাড় সমুদ্রে পতিত হবে। আর সমুদ্র (তার নিজের জায়গা হতে) বের হয়ে যাবে। ফলে তা পৃথীবির উপর প্লাবিত হবে। আর এর কারণে পৃথীবির উপর দালান কোঠা. পাহাড় পর্বত কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বরং সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে এবং হেলে পড়বে। আর কিয়ামাতের অনুষ্ঠিত হওয়ার ভয়ের কারণে নক্ষত্ররাজি ছড়িয়ে পড়বে, আকাশ পরিবর্তন হয়ে যাবে, যমিন ফেটে যাবে। অতপর কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে।
حدثنا عبد الملك بن الصباح عن بكار
عن وهب بن منبه قال إذا
كان عند قيام الساعة خرجت جبال البحر إلى البر ووقعت جبال البر في البحر وخرج البحر
ففاض على الأرض ولم يبق على وجه الأرض بنيان ولا جبل إلا انهدم وخر وانتثرت النجوم
وتغيرت السماء وتشققت الأرض خوفا من قيام الساعة ثم تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৭৮৭
হযরত জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মৃত্যুর এক মাস পূর্বে বলেন আমি আল্লাহ তা’আলার কসম করে বলছি যে, আজ পৃথীবির উপর এমন কোন মানুষ জীবিত নেই যে, তার উপর একশ বছর আসবে। (অতিবাহিত হবে।)
حدثنا
ابن وهب عن ابن لهيعة عن أبي الزبير
عن جابر رضي الله عنه قال قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم قبل موته بشهر أقسم بالله ما على الأرض نفس منفوسة اليوم يأتي
عليها مئة سنة
পৃষ্ঠা - ১৭৮৮
হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সা, হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আমি নিশ্চই এটা আশা করি যে, আমার উম্মত আমার প্রতিপালকের নিকট অক্ষম হবে না যে, তাদের কে অর্ধ দিবস বিলম্ব করা হবে। অতপর সা’দ রাযিয়াল্লাহু আনহু কে প্রশ্ন করা হল, অর্ধ দিবস কতটুকু? (অর্ধ দিবসের পরিমান কতটুকু?) উত্তরে তিনি বললেন পাঁচশত বছর।
حدثنا بقية بن الوليد عن أبي بكر عن راشد بن سعد
عن
سعد بن أبي وقاص رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إني لأرجو أن لا
تعجز أمتي عند ربي ان يؤخرهم نصف يوم
فقيل لسعد كم نصف [ يوم
]
قال خمسمائة
سنة
পৃষ্ঠা - ১৭৮৯
হযরত যুবাইর ইবনে নুফাইর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময়ে ইহুদি ও তাদের অন্যান্যরা (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটে) বেশী বেশী কিয়ামাত সম্পর্কে প্রশ্ন করতো। অতপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটে জীবরাঈল আলাইহিস সালাম আসল। তখন তিনি তাকে বললেন, হে জীবরাঈল! আমার নিকট অধিকাংশ ইহুদি ও তাদের অন্যান্যরা (আমার নিকট) কিয়ামাত সম্পর্কে বেশী বেশী প্রশ্ন করছে। তখন উত্তরে জীবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন (কিয়ামাত সম্পর্কে) প্রশ্নকারী হতে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশী জানে না।
حدثنا بقية عن صفوان عن شريح بن عبيد عن جبير ابن نفير قال
أكثروا اليهود وغيرهم على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم في السؤال عن
الساعة فأتاه جبريل عليه السلام
فقال يا جبريل قد اكثر علي اليهود وغيرهم في
السؤال عن الساعة
فقال ما المسئول عنها بأعلم من السائل
পৃষ্ঠা - ১৭৯০
হযরত ফারয কালায়ী হতে বর্ণিত যে, তিনি হযরত আবু যামরাহ কালায়ীকে বলতে শুনেছেন যে, মদীনাবাসী রাত্রি যাপন করবে। অতপর তারা সকাল করবে। অর্থাৎ হিমস (এ রাত্রি যাপন করবে।) অতপর পূর্ব দিকের দরজা দিয়ে এক বহির্গামী বের হয়ে সিন্নীরকে দেখবে পাবে না। ফলে সে তার নফসকে মিথ্যারোপ করবে। অতপর সে উহার অধিবাসীদের আহবান করবে। ফলে তারা বাহির হবে। অতপর তারা উহার দিকে তাকাবে যার দিকে সে তাকিয়ে ছিল। অতপর তারা যখন তার স্থানে লেবাননে অবস্থান করবে। আর যখন সিন্নীর তার স্থান হতে অপসারণ হবে। ঐ দিন সেখানে তারা আল্লাহ তা’আলা যতক্ষণ চান ততক্ষণ অবস্থান করবে। এমনকি তাদের নিকট একজন ব্যক্তি জাওয়ারিন এর দিক হতে এসে বলবে, গতকাল রাত্রে সিন্নীর আমাদের পাশ দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। আর আমরা জানিনা সে কোথায় গিয়েছে। (তখন) বলা হবে, সে হল জাহান্নামের খুটি সমূহের মধ্যে হতে একটি খুটি।
حدثنا بقية
عن صفوان وأبو المغيرة قال حدثني الفرج الكلاعي سمع أبا ضمرة الكلاعي يقول
ليبيتن أهل هذه المدينة ثم ليصبحن يعني حمص فيخرج خارج من باب الشرقي فلا يرى
سنير فيكذب نفسه فيؤذن أهلها فيخرجون فينظرون إلى ما نظر إليه فإذا هم بلبنان مكانه
وإذا سنير قد زال عن مكانه فيمكثون ما شاء الله يومهم ذلك حتى يأتيهم آت من قبل
جوارين فيقول مر بنا سنير أمس سائرا منطلقا به ما ندري أين سلك به ويقال إنه وتد من
أوتاد جهنم
পৃষ্ঠা - ১৭৯১
হযরত ওহাব ইবনে মানবাহ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সপ্তম পশুর পর আল্লাহ তা’আলা বালাকের সৈন্যদের উপর ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। তারা আসমান ও যমিনের মাঝখানে উড়তে থাকবে। যমিন ও তার মধ্যে ও উপরে অবস্থিত যা থাকবে তা বাকী বা অবশিষ্ট থাকবে। আর অষ্টম আলামত বা নিদর্শন হল, যমিনের উপর কোন গাছ বাকী থাকবে না। বরং তা রক্তের কারণে কাঁদবে। আর নবম আলামত হল, যমিনের উপর কোন শিলা অবশিষ্ট থাকবে না। বরং তা মহিলাদের আওয়াজের ন্যায় আওয়াজ করবে। আর দশম আলামত হল, পৃথীবির পশ্চিম দিক হতে সূর্য্যদয় হওয়া।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن شيخ له عن وهب ابن
منبه قال
بعد الدابة السابعة أن يبعث الله ملائكة على خيل بلق تطير بين السماء
والأرض تبقى الأرض ومن عليها ومن فيها
والآية الثامنة أنه لايبقى على الأرض
شجرة إلا بكت دما
والتاسعة أنه لا يبقى على الأرض صخرة إلا رنت رنين النساء
والعاشرة طلوع الشمس من مغربها
পৃষ্ঠা - ১৭৯২
হযরত ইরয়ান ইবনে হাইসাম হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি আমার পিতার সাথে হযরত ইয়াযিদ ইবনে মুয়াবিয়া এর নিকট আসলাম। অতপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু (এর আওয়াজ) শুনলাম। এবং আমি তাকে বললাম, তারা ধারণা করে যে, সত্তর জন ব্যক্তির উপর কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে। অতপর তিনি আমাকে বললেন তারা আমার উপর মিথ্যা আরোপ করে। আমি এরূপ বলিনি। বরং আমি বলেছি যে, সত্তর জন হবে না। উহার নিকট বর্তী (সময়ে) অনেক কঠিন ও অনেক বড় বড় বিষয় সংগঠিত হবে।
حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث عن
حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن العريان بن الهيثم قال
وفدت مع أبي إلى يزيد بن
معاوية فسمعت عبد الله بن عمرو
فقلت له تزعم أنه تقوم الساعة على رأس السبعين
فقال إنهم يكذبون علي ليس هكذا قلت ولكني قلت لا تكون السبعين إلا كان عندها
شدائد وأمور عظام
পৃষ্ঠা - ১৭৯৩
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি বছর একটি মাসের সমান হবে। একটি মাস একটি সপ্তাহের সমান হবে। একটি সপ্তাহ হবে একটি দিনের সমান। আর একটি দিন হবে আগুনের শিখার সমান (আগুনের শিখার পরিমানের সময়ের সমান)।
حدثنا ابن وهب عن عبد الله بن عمر عن سعد بن سعيد
الأنصاري
عن أنس بن مالك رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تقوم
الساعة حتى تكون السنة كالشهر والشهر كالجمعة والجمعة كاليوم واليوم كاضطرام النار
পৃষ্ঠা - ১৭৯৪
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ রাস্তায় বা পথে যৌনকর্ম করবে করবে। যেমন নাকি চতুস্পদ জন্তু যৌনকর্ম করে। তখন পুরুষেরা পুরুষের থেকে, মহিলারা মহিলাদের থেকে অমুক্ষাপেক্ষী হবে। তোমরা কি মনে কর, অভিভূত কি? তারা বলবে (জানি) না। নারীরা নারীদের আরোপ করবে। অতপর সে উহার হকদার হবে।
حدثنا ابن وهب عن عمرو بن الحارث عن سعيد بن أبي هلال عن عياش بن عبد
الله بن معبد عن أبي معبد مولى ابن عباس
عن أبي هريرة قال لا تقوم الساعة
حتى يتسافد الناس في الطرق كما يتسافد الدواب يستغني الرجال بالرجال والنساء
بالنساء أتدرون ما التساحق
قالوا لا
قال تركب المرأة المرأة ثم تسحقها
পৃষ্ঠা - ১৭৯৫
হযরত সাঈদ ইবনে মাসরুক রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন পৃথীবির সমস্ত পানি গর্তে চলে যাবে। অতপর আরদান নদী ও মিসরের নীল নদ ব্যতীত পুনরায় সমস্ত নদীর পানি তার স্থানে ফিরে আসবে।
حدثنا ابن وهب عن يحيى بن أيوب عن أبي الحارث الكوفي
عن سعيد بن
مسروق قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تغور المياه كلها وترجع إلى أماكنها
إلا نهر الأردن ونيل مصر
পৃষ্ঠা - ১৭৯৬
হযরত মাকহুল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একবার এক গ্রাম্য ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল যে, কিয়ামাত কখন অনুষ্ঠিত হবে? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন কিয়ামাত সম্পর্কে প্রশ্নকারীর থেকে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশী জানে না। তবে উহার আলামত হল, বাজার, বৃষ্টি নিকটবর্তী হওয়া। (অতি বৃষ্টি।) শস্য উৎপাদন না হওয়া। গীবতের প্রকাশ্যতা। (পথ) ভ্রষ্ট সন্তানদের প্রকাশ্যতা। সম্পদের মালিকের সম্মান। মসজিদে ফাসেক ব্যক্তির উচ্চ আওয়াজ। সৎকাজকারীদের উপর মন্দ কাজকারীদের প্রকাশ্যতা। (মন্দ লোকের নেতৃত্ব)। অতএব যে ব্যক্তি উক্ত যমানা পাবে, সে যেন তার দ্বীন নিয়ে নিভৃতে থাকে। আর সে যেন ঘরের মোটা চাদর হয়ে থাকে। (ঘরে অবস্থান করে।)
حدثنا يحيى بن سليم الطائفي عن الحجاج بن
فرافصة عن مكحول قال
قال أعرابي يا رسول الله متى الساعة
فقال رسول الله
صلى الله عليه وسلم ما المسئول عنها بأعلم من السائل ولكن أشراطها تقارب الأسواق
ومطر ولا نبات وظهور الغيبة وظهور أولاد الغية والتعظيم لرب المال وعلو أصوات
الفساق في المساجد وظهور أهل المنكر على أهل المعروف فمن أدرك ذلك الزمان فليرغ
بدينه وليكن حلسا من أحلاس بيته
পৃষ্ঠা - ১৭৯৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন তুমি দেখবে যে, মানুষ নামাজ ছেড়ে দিবে, আমানতকে নষ্ট করবে, মিথ্যাকে হালাল মনে করবে, তারা অধিক হারে অঙ্গিকার করবে. অধিক হারে সুদ খাবে, ঘুষ গ্রহণ করবে, (বড় বড়) ঘর বাড়ী নির্মাণ করবে, মন প্রবৃত্তির অনুসরণ করবে, দ্বীন ধর্মকে দুনিয়ার পরিবর্তে বিক্রয় করবে, তখনই নিস্কৃতি তারপর নিস্কৃতি। তোমার মা তোমাকে বোঝা মনে করবে।
حدثنا مروان الفزاري عن زياد بن المنذر
الثقفي حدثني نافع الهمداني عن الحارث الأعور قال
قال عبد الله بن مسعود إذا
رأيت الناس قد أماتوا الصلاة وأضاعوا الأمانة واستحلوا الكذب وأكثروا الحلف وأكلوا
الربا وأخذوا الرشى
وشيدوا البناء واتبعوا الهوى وباعوا الدين بالدنيا فالنجا
ثم النجا ثكلتك أمك
পৃষ্ঠা - ১৭৯৮
হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন প্রাথমিক নিদর্শনাবলী বের হবে তখন কলম প্রত্যাখিত হবে। সংরক্ষণতা বন্ধ হয়ে যাবে। শরীর সমূহ আমলের উপর শহীদ হবে।
حدثنا عبد الرزاق عن سفيان عن منصور عن عامر
عن عائشة قالت إذا خرجت أول الآيات طرحت الأقلام وحبست الحفظة وشهدت الأجساد
على الأعمال
পৃষ্ঠা - ১৭৯৯
হযরত আবু উমামা ইবনে সাহল হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ রাস্তা ঘাটে গাধার যৌনকর্মের ন্যায় রাস্তায় যৌনকর্ম করবে।
حدثنا عبدة بن سليمان عن عثمان بن حكيم عن أبي أمامة بن سهل
قال
سمعت عبد الله بن عمرو يقول لا تقوم الساعة حتى يتسافد الناس في الطرق
تسافد الحمير
পৃষ্ঠা - ১৮০০
হযরত আবু হারুন আবদী হতে বর্র্ণিত যে, তিনি বলেন নওফকে বলা হল নিশ্চই আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন নব্বই এর পরে অল্প সংখ্যাক মানুষ বসবাস করবে। অতপর নওফ বললেন আমি নিশ্চই তাদের পেয়েছি তারা উহার পর দীর্ঘ সময় জীবন যাপন করেছে। তবে অধিকাংশ জীবনাপোকরণ হবে সিরিয়ায়।তখন  বলা হল কূফা ও বসরায়। তিনি বললেন উহা নতুন উদ্ভাবিত।
حدثنا ابن عبد الوارث عن حماد بن سلمة عن أبي هارون العبدي
قال
قيل لنوف إن عبد الله بن عمرو يقول لا يلبث الناس بعد التسعين إلا قليلا
فقال نوف إني لأجدهم يعيشون بعد ذلك زمانا طويلا ولكن عامة المعيشة تكون بالشام
قيل الكوفة والبصرة
قال هي محدثة
পৃষ্ঠা - ১৮০১
হযরত শাহর ইবনে হাওসাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন) একজন লোক তার ঘর থেকে বের হবে, তখন তার লাঠি ও চাবুক তাকে তার পরিবারের লোকজন তার ঘরে যা কিছু করেছে তার ব্যাপারে তাকে খবর দিবে।
قال حماد عن حجاج الأسود عن شهر بن حوشب
عن النبي صلى الله عليه
وسلم يوشك أن يخرج الرجل من بيته فتخبره عصاه وسوطه بما أحدث أهله في بيته
পৃষ্ঠা - ১৮০২
হযরত আরিয়ান ইবনে হাইসাম হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি যে, একশত বিশ বছর (পর) ভালোর পর অমঙ্গল হবে। আর কেউ জানেনা যে, উহার শুরু হবে কখন।
حدثنا عيسى بن يونس عن الأعمش عن عبد الرحمن بن ثروان عن العريان بن
الهيثم قال
سمعت عبد الله بن عمرو يقول إن الأشرار بعد الأخيار عشرين ومئة سنة
لا يدري أحد من الناس متى أولها
পৃষ্ঠা - ১৮০৩
হযরত মুজাহিদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলনে ওয়ালার উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে না। আর ফেরেশতা সিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার ইচ্ছা করবে। আর তখনই একজনকে লা ইলাহা ইল্লাল্ল্হা বলতে শুনবে। ফলে সে সিঙ্গায় ফুঁক দেয়াকে সত্তর শরৎকাল পিছিয়ে দিবে (সত্তর বছর পিছিয়ে দিবে)।
حدثنا المعتمر بن سليمان عن ليث عن
مجاهد قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقوم الساعة على من يقول لا إله
إلا الله وإن الملك يريد أن ينفخ في الصور فإذا سمع أحدا يقول لا إله إلا الله
أخرها سبعين خريفا
পৃষ্ঠা - ১৮০৪
হযরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ আল্লাহ বলনে ওয়ালা ব্যক্তির উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে না।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ثابت
عن انس عن
النبي صلى الله عليه وسلم لا تقوم الساعة على أحد يقول الله الله
পৃষ্ঠা - ১৮০৫
হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন নিশ্চই নিকৃষ্ট বা নিকৃষ্ট মানব হল ঐসমস্ত লোক যাদের জীবিত অবস্থায় কিয়ামাত তাদেরকে পেল।
حدثنا
عبد الرزاق عن معمر عن أبي إسحاق
عن علي قال إن شرار أو من شرار الناس من
تدركهم الساعة وهم أحياء
পৃষ্ঠা - ১৮০৬
হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আমার ও কিয়ামাতের উদাহরণ হল ঐ কওম বা জাতির উদাহরণের ন্যায়, যারা গুপ্তচর প্রেরণ করবে। আর গুপ্তচররা শত্রুদের দেখবে। ফলে তারা ভয় পাবে যে, তাদের পূর্বে উক্ত শত্রুদল তাদের সাথীদের নিকট পৌছে যাবে। ফলে সে তার তরবারীকে ঝলকাবে। কিয়ামাতের পূর্বক্ষণে তোমাদেরকে আনা হয়েছে এবং আমি প্রেরিত হয়ে এসেছি।
قال معمر وأخبرنا زيد بن أسلم
أن رسول الله
صلى الله عليه وسلم قال مثلي ومثل الساعة كمثل قوم بعثوا عينا فبصر بالعدو فخاف أن
يسبقه العدو إلى أصحابه فألاح بسيفه أتيتم وإني جئت مبعوثا بين يدي الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮০৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সমুদ্রের ভিতর অনে শয়তান বন্দি অবস্থায় আছে। আর সম্ভাবনা আছে যে, উক্ত শয়তানগুলি মানুষের মধ্যে বের হবে এবং মানুষের নিকট কুরআন তেলাওয়াত করবে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ابن طاوس عن أبيه
عن عبد الله بن عمرو قال إن في
البحر شياطين مسجونة يوشك أن تخرج فتقرأ على الناس قرآنا
পৃষ্ঠা - ১৮০৮
হযরত আরইয়ান ইবনে হাইসামা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি একবার হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট প্রতিনিধি হিসাবে গেলাম। আমি তার সামনে ছিলাম। আর এরই মাঝে একজন লোক তার নিকট আসলো। তার উপর দুটি কাপড় ছিল। হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকে সাদর সম্ভাষণ জানালেন এবং তার সাথে তার খাটে বসালেন। তখন আমি প্রশ্ন করলাম, হে আমীরুল মুমিনীন! এই ব্যক্তি কে? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি কি তাকে চিন না? ইনি হলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাযিয়াল্লাহু আনহু। (বর্ণনাকারী) বলেন আমি বললাম, এই সেই ব্যক্তি যিনি একথা বলেন যে, একশত বছর পর মানুষ জিবীত থাকবে না। তিনি বলেন তিনি আমার নিকট আসলেন, (এবং বললেন) আমি কি তোমার নিকট এটা বলেছি? নিশ্চই আমরা তাদেরকে পাব, যারা একশত (বছর) পর অনেক লম্বা যুগ জীবন যাপন করবে। কিন্তু এই (বর্তমান) জাতি একশত ত্রিশ বছর আলোকিত করবে (জীবন যাপন করবে)।
حدثنا عبد
الرزاق عن معمر عن محمد بن شبيب عن العريان بن الهيثم قال
وفدت على معاوية
فبينا أنا عنده إذ جاء رجل عليه حلتان فرحب به معاوية وأجلسه على السرير معه
فقلت من هذا يا أمير المؤمنين
قال أما تعرفه هذا عبد الله بن عمرو بن العاص
قال قلت أهذا الذي يقول لا يعيش الناس بعد مئة سنة
قال فأقبل علي وقلت لك
ذاك إنا لنجدهم يعيشون بعد المئة دهرا طويلا ولكن هذه الأمة أجلت ثلاثين ومئة سنة
পৃষ্ঠা - ১৮০৯
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন কিয়ামাত সংগঠিত হবে এমতবস্থায় যে, দুই জন ব্যক্তি কাপড় ক্রয় বিক্রয় করতে থাকবে। তারা দুই জন উক্ত কাপড় ভাজ করতে পারবে না, এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন করতে পারবে না। এরই মধ্যে কিয়ামাত সংগঠিত হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি দুধ দোহন করবে আর সে উহার মুখে পাত্র রাখতে পারবে না। আর এরই মাঝে কিয়ামাত সংগঠিত হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি হাউজে নামবে আর সে সেখানে পানি পান করতে পারবে না। কারণ এরই মাঝে কিয়ামাত সংগঠিত হয়ে যাবে।
حدثنا ابن عيينة عن أبي الزناد عن الأعرج
عن أبي هريرة رضى الله عنه
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تقوم الساعة والرجلان يتبايعان الثوب ولا يطويانه
ولا يتبايعانه حتى تقوم الساعة والرجل يحلب فلا يضع الإناء على فيه حتى تقوم الساعة
والرجل يلط الحوض فلا يسقي فيه حتى تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮১০
হযরত আবু ফিরাস আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামাত কখন সংগঠিত হবে? উত্তরে তিনি বললেন (কিয়ামাত সম্পর্কে) প্রশ্নকারী অপেক্ষা প্রশ্নকৃত ব্যক্তি বেশী জানে না। তাবে কিয়াামতের অনেক আলামত বা নিদর্শন রয়েছে। আর তা হল যখন রাখালেরা বড় বড় দালান কোঠা নিয়ে পরস্পরে গর্ব করবে। এবং যখন কালের নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর দরিদ্র ব্যক্তি বাদশা হবে। আর তারা হল আরীব।
حدثنا أبو عبد الصمد عن
أبي عمران الجوني عن أبي فراس رجل من أسلم قال
قال رجل يا رسول الله متى الساعة
قال ما المسئول عنها بأعلم من السائل ولكن لها أعلام إذا رعاء الشاء تطاولوا في
البنيان وإذا الحفاة العراة كانوا ملوكا وهم العريب
পৃষ্ঠা - ১৮১১
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন নিশ্চই কিয়ামাতের অনেক নির্দশন রয়েছে। আর তার নির্দশন আসা ব্যতিত কখনোই কিয়ামাত সংগঠিত হবে না।
حدثنا عبد الوهاب عن
يونس عن الحسن
عن ابن مسعود قال إن للساعة أشراطا ولن تقوم الساعة حتى يجيء
أشراطها
পৃষ্ঠা - ১৮১২
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ততক্ষন পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত না মানুষের উপর প্রচন্ড বৃষ্টি বর্ষন হবে। যে বৃষ্টি জনবসতির প্রত্যেকটি মাটির ঘরে পৌছবে। তবে পশমের ঘরে পৌছবে না। হযরত সুহাইল রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত) আমার পিতা পশমের ঘরের ব্যপারে পৃথক করেন নাই।
حدثنا الدراوردي عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه
عن أبي
هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لاتقوم الساعة حتى يمطر الناس
مطرا لا يكن منه بيوت المدر لا يكن منه إلا بيوت الشعر
قال سهيل فما فارق أبي
بيت شعر حتى لقي الله تعالى
পৃষ্ঠা - ১৮১৩
হযরত সাহল ইবনে আবু সাঈদ রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আমি ও কিয়ামাত এভাবে প্রেরিত হয়েছি। একথা বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙ্গুলি এর সাথে মিলিত দুটি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করেন এবং ঐ দুটির মাঝে পৃথক করলেন।
حدثنا ابن ابي حازم عن أبيه
عن سهل بن
سعد رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال بعثت أنا والساعة هكذا وأشار
بأصبعيه التي تلي الإبهام والوسطى وفرق بينهما
পৃষ্ঠা - ১৮১৪
হযরত আবু হুযাইল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যদি তোমাদের কেউ প্রশাব করে, সে যেন মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নেয়। একথা ভয় করে যে, কিয়ামাত তাকে ধরে ফেলবে।
حدثنا وكيع عن سفيان عن
ضرار بن مرة عن ابن أبي الهذيل قال
إن كان أحدهم ليبول فيتيمم بالتراب مخافة أن
تدركه الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮১৫
হযরত হানাস ইবনে হারেস তার পিতা হতে বর্ণনা করে বলেন যে, তার পিতা বলেন আমরা কাদেসিয়াতে আসলাম। আর আমাদের একজন সাথীর রাতের বেলায় ঘোড়ার বাচ্চা হবে। অতপর যখন সকাল হবে তখন সে তার ঘোড়ার বাচ্চাকে যবাহ করে দিবে। অতপর এখবর হযরত ওমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু আনহু এর নিকটে পৌছল। অতপর আমাদের নিকট হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এর পত্র আসলো। তাতে লিখা ছিল, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছেন তার দিকে সংশোধিত হও। নিশ্চই উক্ত বিষয়ে একটি নফস রয়েছে।
حدثنا وكيع عن حنش بن الحارث عن أبيه قال
قدمنا
القادسية وكان أحدنا ينتج مهره من الليل فإذا أصبح نحر مهره فبلغ ذلك عمر فأتانا
كتاب
ه
أن أصلحوا إلى ما رزقكم
الله فإن في الأمر نفسا
পৃষ্ঠা - ১৮১৬
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না বাইতুল্লাহ এর হজ্ব করা হবে।
حدثنا وكيع عن شعبة عن قتادة عن عبد الله بن
عتبة
عن أبي سعيد الخدري قال لا تقوم الساعة حتى لا يحج البيت
পৃষ্ঠা - ১৮১৭
আমাদের নিকট একজন গল্প বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন যিনি মদীনায় তার পিতা হতে জামা’য়াত সম্পর্কে গল্প বলতেন। তিনি বলেন আমি হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামাত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হল, গুপ্তধন সমূহের প্রকাশ পাওয়া, অতিবৃষ্টি, শস্যাদির উৎপন্ন কম হওয়া অর্থাৎ দূভিক্ষ। একজন ব্যক্তি একজন বা দুইজন প্রতিরক্ষা নিয়ে হাটবে। তার সম্মুখে আসার মত কাউকে সে পাবে না। এমনকি প্রত্যেক ব্যক্তিই অমুক্ষাপেক্ষী হয়ে যাবে। আর তারা সেদিন তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কঠিন হবে। আর এগুলোই হল আয়াত বা নিদর্শন যা প্রকাশ পাবে। অতপর ধনীরা গরীবদের থেকে ভয় পাবে। অতপর বলবে আমি এগুলো দ্বারা কি করবো? আর এই হল কিয়ামাত। যা অনুষ্ঠিত হবে এমনকি কোন এক ব্যক্তি দল নিয়ে বের হবে। যার মালিক সে ব্যতীত অন্য কেউ হবে না। সে উহা নিয়ে সফর করবে। সুতরাং এমন কোন লোক পাওয়া যাবে না, যে উহা গ্রহণ করবে। আর এটা ঘটবে এমন দিনে যে দিনে এমন ব্যক্তির ঈমান তাকে কোন কাজ দিবেনা, যে ব্যক্তি ইহার পূর্বে ঈমান আনায়ন করে নাই। অথবা তার ঈমানের মধ্যে সে কোন মঙ্গল অর্জন করে নাই। (আনআম)।
حدثنا
قاص كان بالمدينة يقص قصص الجماعة عن أبيه قال
سمعت أنس بن مالك يقول من
اقتراب الساعة ظهور المعادن وكثرة المطر وقلة النبات ويمشي الرجل بالوقية والوقيتين
لا يجد أحدا يقبله حتى يستغني كل أحد وهم يومئذ أشد ما كانوا تنافسا على دنياهم
وذلك لآيات تظهر فيفزغ الغني إلى الفقير
فيقول ما أصنع بهذا وهذه الساعة تقوم
حتى إن الرجل ليذهب بالرغيف ما يملك غيره يجول به فلا يجد من يأخذه وذلك يوم لا
ينفع نفسا إيمانها لم تكن آمنت من قبل أو كسبت في إيمانها خيرا [ االأنعام
]
পৃষ্ঠা - ১৮১৮
হযরত রজা’ ইবনে হাইওয়া কিনদি হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মানুষের উপর এমন এক যমানা আসবে, যখন খেজুর গাছ খেজুর ব্যতীত অন্য কিছু বহন করবে না।
حدثنا وكيع عن سفيان عن أبي إسحاق عن رجاء بن حيوة الكندي
قال يأتي
على الناس زمان لا تحمل النخلة فيه إلا تمرة
পৃষ্ঠা - ১৮১৯
হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন কিয়ামাতের প্রথম আলামত বা নিদর্শণের অবির্ভাব হবে তখন কলম সমূহ প্রত্যাখ্যান করবে, হিফয তথা মুখস্ততা আটকে যাবে, শরীর সমূহ আমলের উপর সাক্ষি দিবে।
حدثنا وكيع عن سفيان عن
منصور عن عامر
عن عائشة قالت إذا خرجت أول الآيات طرحت الأقلام وحبست الحفظة
وشهدت الأجساد على الأعمال
পৃষ্ঠা - ১৮২০
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন একবার হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার নিকট একটি সাদা আয়না নিয়ে আসলেন। যার ভিতর একটি কালো রংয়ের ফোঁটা ছিল। অতপর আমি হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? উত্তরে তিনি বললেন এটা হল জুমআ’। অতপর আমি বললাম এই কালো ফোঁটাটা কি? উত্তরে তিনি বললেন সেখানে কিয়ামাত সংগঠিত হবে।
حدثنا وكيع عن الأعمش عن يزيد الرقاشي
عن
أنس بن مالك رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال جاءني جبريل عليه السلام
بمرآة بيضاء فيها نكتة سوداء
فقلت ما هذه
قال هذه الجمعة
قلت فما هذه
النكتة السوداء
قال فيها تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮২১
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন যমানা (কিয়ামাত) নিকটবর্তী হবে তখন বজ্রপাত বেশি হবে।
حدثنا أبو روح الجرمي عن
عمارة بن أبي حفصة عن عمارة المعولي عن أبي نضرة
عن أبي سعيد الخدري قال إذا
اقترب الزمان كثرت الصواعق
পৃষ্ঠা - ১৮২২
হযরত শা’বী হতে বর্ণিত যে, হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, যখন অবির্ভাব হবে, অথবা কিয়ামাতের নিদর্শন হল, কলম সমূহ প্রত্যাখিত হবে, হিফয তথা মুখস্ততা আটকে যাবে, আর শরীর সমূহ আমলের উপর সাক্ষি দিবে।
حدثنا جرير بن عبد الحميد عن منصور عن الشعبي
قال
قالت عائشة إذا خرج أو الآيات طرحت الأقلام وحبست الحفظة وشهدت الأجساد على
الأعمال
পৃষ্ঠা - ১৮২৩
হযরত কায়েস অন্য এক ব্যক্তি হতে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আমি ও কিয়ামাত এইভাবে অবতীর্ণ হয়েছি। অর্থাৎ তার আঙ্গুলের ন্যায়।
حدثنا ابن علية عن إسماعيل عن قيس عن آخر
عن النبي صلى الله
عليه وسلم سمعه بعثت أنا والساعة كهذه من هذه يعني إصبعه
পৃষ্ঠা - ১৮২৪
হযরত ইবনে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্তনা তিকান ও দালান কোঠা বেশী হয়। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না সিমারুল ওরাক উদগত না হয়।
حدثنا محمد بن
الحارث عن محمد بن عبد الرحمن عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما عن النبي صلى
الله عليه وسلم قال لا تقوم الساعة حتى يكثر الطيقان والبنيان ولا تنبت السمر الورق
পৃষ্ঠা - ১৮২৫
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মানুষের মন্দের উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে। অতপর একজন ফেরেস্তা আকাশ ও যমিনের মাঝখানে সিঙ্গায় ফুঁক দিবে। আর তখন আকাশ ও যমিনের মধ্যে কোন সৃষ্ট অবশিষ্ট থাকবে না। বরং সকলেই মারা যাবে। তবে তোমার প্রতিপালক যাকে চান তাকে ব্যতীত। অতপর সিঙ্গায় দুইবার ফুঁক দেয়ার মাঝে আল্লাহ তা’আলা যা চান তা হবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা আরশের নিচ হতে পুরুষের মনির মত পানি প্রেরণ করবেন। পৃথীবিতে বনী আদম হতে কোন সৃষ্টি হবে না। তবে উক্ত মনি থেকে সৃষ্টি হবে। অতপর তাদের শরীর ও গোস্ত উক্ত পানি হতে উদগত হবে। যেমন নাকি যমিনের কাদা মাটি হতে যমিন উদগত হয়। অতপর আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু ’’ আর আল্লাহ হলেন ঐ সত্বা যিনি বাতাশ প্রেরন করে মেঘ পরিচালিত করেন। অতপর আমি উহাকে মৃত গ্রামের উপর ঢেলে দেই। আর উহা দ্বারা যমিনকে মৃত্যুর পর জীবিত করি। এভাবেই হবে প্রত্যাবর্তন।” (সূরা ফাতির) অতপর একজন ফেরেশতা আসমান ও যমিনের মাঝামাঝি স্থানে দাড়াবে। অতপর সিঙ্গায় ফুঁক দিবে। অতপর প্রত্যেক নফস তার শরীরের দিকে যাবে। অতপর তাতে প্রবেশ করবে। অতপর তারা জীবিত একজন ব্যক্তির ন্যায় জীবিত হয়ে আল্লাহ তা’আলার জন্য দাড়াবে।
حدثنا ابن نمير عن سفيان الثوري عن سلمة بن كهيل عن أبي الزعراء
عن
عبد الله قال تقوم الساعة على شرار الناس ثم ينفخ ملك في الصور الصور قرن بين
السماء والأرض فلا يبقى خلق في السماوات والأرض إلا مات إلا ما شاء ربك ثم يكون بين
النفختين ما شاء الله أن يكون ثم يرسل الله ماء من تحت العرش منيا كمني الرجال وليس
من
بني آدم خلق في الأرض إلا منه شيء فتنبت جسمانهم ولحمانهم من ذلك الماء
كما تنبت الأرض من الثرى ثم قرأ عبد الله والله الذي أرسل الرياح فتثير سحابا
فسقناه إلى بلد ميت فأحيينا به الأرض بعد موتها كذلك النشور [ فاطر ] ثم يقوم ملك
بين السماء والأرض فينفخ فيه فتنطلق كل نفس إلى جسدها فتدخل فيه ثم يقومون فيحيون
حية رجل واحد قياما لرب العالمين
পৃষ্ঠা - ১৮২৬
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন পুরুষ পঞ্চাশ জন মহিলার বিষয়ে কার্য সম্পাদন করে।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن شمر بن
عطية عن أبي يحيى الأعرج
عن كعب قال لا تقوم الساعة حتى يدبر الرجل أمر خمسين
امرأة
পৃষ্ঠা - ১৮২৭
হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যদি কোন ব্যক্তি সীমানন্ত রক্ষার জন্য ঘোড়া প্রস্তুত করে। অতপর উক্ত ঘোড়া প্রথম আলামতের সময় বাচ্চা জন্ম দেয়। তখন ঘোড়ার বাচ্চার উপর আরোহন করার পূর্বেই সে শেষ আলামত দেখবে।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن عبد الله بن مرة
عن حذيفة قال
لو ان رجلا ارتبط فرسا فأنتجت مهرا عند أول الآيات ما ركب المهر حتى يرى آخرها
পৃষ্ঠা - ১৮২৮
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষন পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ পযন্ত না একটি বছর একটি মাসের সমান হয়। একটি মাস একটি সপ্তাহের সমান হয়। একটি সপ্তাহ একটি দিনের সমান হয়। একটি দিন একটি ঘন্টার সমান হয়। একটি ঘন্টা খেজুর গাছের পাতার জ্বলার সময়ের পরিমানের মত সময় হয়।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح عن عبد الله بن ضمرة
عن كعب
قال لا تقوم الساعة حتى تكون السنة كالشهر والشهر كالجمعة والجمعة كاليوم واليوم
كالساعة والساعة كاحتراق السعفة
পৃষ্ঠা - ১৮২৯
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন দুই ফুঁৎকারের মাঝে ব্যবধান হবে চল্লিশ এর। তারা (শ্রোতারা) প্রশ্ন করলেন, হে আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু চল্লিশ দিনের?। তিনি বলেন আমি অস্বীকার করলাম। তিনি বললেন চল্লিশ মাস? তিনি বলেন আমি অস্বীকার করলাম। তিনি বললেন চল্লিশ বৎসর? তিনি বলেন আমি অস্বীকার করলাম। তিনি বললেন অতপর আকাশ হতে পানি বর্ষণ হবে। আর তার দ্বারা উদ্ভিদ জন্মানোর ন্যায় তারা জন্মাবে। আর মানুষের হতে একটি হাড় ব্যতিত আর কিছুই থাকবে না। আর তা হল আযাবুয যানব (পিছনের দিকের মূল হাড্ডি।) আর তার থেকে সৃষ্টিজীব কিয়ামাতের দিনে আরোহন করবে।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح
عن أبي هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما بين النفختين
أربعون
قالوا يا أبا هريرة أربعون يوما
قال أبيت
قال اربعون شهرا
قال أبيت
قال أربعون سنة
قال أبيت
قال ثم ينزل من السماء ماء
فينبتون به كما ينبت البقل وليس من الإنسان شيء إلا عظم واحد وهو عجب الذنب ومنه
يركب الخلق يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ১৮৩০
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন এমন একদিন আসবে যেদিন যদি এক বাটি পানিও তলব করা হয় তাহলে পাওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ পানি তার মূলে ফিরে যাবে। আর অবশিষ্ট পানি ও মুমিনগণ সিরিয়ায় থাকবে।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن القاسم عن أبيه
عن عبد الله قال ليأتين على الفرات يوما ولو طلب فيه طست من ماء لم يوجد يرجع
كل ماء إلى عنصره وبقية الماء والمؤمنون بالشام
পৃষ্ঠা - ১৮৩১
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সব থেকে খারাপ রাত, দিন, মাস, যুগ হল কিয়ামাতের নিকটবর্তী রাত, দিন, মাস ও যুগ।
حدثنا أبو المغيرة وغيره
عن المسعودي عن حبيب عن ابن باباه
عن ابن مسعود قال أشر الليالي والأيام
والشهور والأزمنة أقربها إلى الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮৩২
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মন্দ মানুষের উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে। যারা সৎ কাজে আদেশ দিবে না এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে না। তারা গাধার ন্যায় একে অপরকে ছেড়ে চলে যাবে। একজন পুরুষ একজন মহিলার হাত ধরবে অতপর তার সাথে নির্জন স্থানে সময় কাটাবে। অতপর তার থেকে তার প্রয়োজন পূরণ করবে। অতপর তাদের নিকট ফিরে যাবে। এমতবস্থায় যে, তারা তার প্রতি হাসতে থাকবে। আর সেও তাদের প্রতি হাসতে থাকবে।
حدثنا ابن المبارك عن المسعودي عن
عبد الرحمن بن ثروان بن قيس الأودي عن هزيل بن شرحبيل
عن عبد الله قال تقوم
الساعة على شرار الناس لا يأمرون بمعروف ولا ينهون عن منكر يتهارجون كما تهارج
الحمر أخذ رجل بيد امرأة فخلا بها فقضى حاجته منها ثم رجع إليهم يضحكون إليه ويضحك
إليهم
পৃষ্ঠা - ১৮৩৩
হযরত কাসীর ইবনে মাররা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বিপদের আলামত ও কিয়ামাতের শর্তাবলীর মধ্যে থেকে হচ্ছে, তাদেরকে আকাশ হতে রাত্রি বেলায় একটি আওয়াজ ঘিরে নিবে। আর উক্ত আওয়াজ তাদেরকে শিহরিত করবে। তারা উক্ত আওয়াজের কারণে সৃষ্ট শিহরিত থাকা অবস্থায় হঠাৎ আল্লাহ তা’আলা আকাশ হতে সিংহের আওয়াজের ন্যায় অনেক আওয়াজ প্রেরণ করবেন। যা তাদের অন্তরগুলোকে শিহরিত করবে। তাদের নফসকে ছিনিয়ে নিবে। তারা উক্ত আওয়াজের কারণে সৃষ্ট শিহরিত থাকা অবস্থায় হঠাৎ আকাশ হতে আলামত বের হবে যার জন্য তাদের মুমিনগণ ও কাফেরগণ ঈমান সহকারে ছুটে যাবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن سعيد بن سنان عن أبي الزاهرية
عن
كثير بن مرة قال من علامات البلاء وأشراط الساعة أن يطرقهم صوت من السماء ليلا
فيروعهم الصوت فبيناهم في روعتهم إذ بعث الله أصواتا من السماء كأصوات الأسد تروع
القلوب وتخطف الأنفس فبيناهم في روعتهم إذ تحدث علامة من السماء يتبادرون لها
بالإيمان مؤمنهم وكافرهم
পৃষ্ঠা - ১৮৩৪
হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহান উম্মত হবে বনী ইসরাঈলের বয়সের ন্যায় তিন শত বছর ।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن قيس بن شريح عن
حنش الصنعاني
عن ابن عباس قال أجل أمة محمد صلى الله عليه وسلم ثلثمائة سنة
كسني بني إسرائيل
পৃষ্ঠা - ১৮৩৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কিয়ামাতের নিদর্শনের মধ্যে এক জুমআ’ হতে আরেক জুমআ’র মত উহার প্রথম বা উহার শেষ। অথবা সাতটি ছোট দানা একটি দূর্বল সূতার ভিতর ভারী হবে। যখন ছিড়ে যায় তখন একে অপরের সাথে চলে আসবে।
معمر عن ليث عن شهر بن حوشب ومجاهد
عن عبد الله بن
عمرو قال ما بين الآيات كالجمعة إلى الجمعة أولها وآخرها أو سبع خرزات ثقال في خيط
ضعيف إذا انقطع تتابعن
পৃষ্ঠা - ১৮৩৬
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হেত বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন মানুষের অন্তর থেকে কুরআনকে উঠিয়ে নেয়া হবে তখন তারা কবিতার দিকে ঝুঁকে যাবে।
حدثنا ابن المبارك عن ابن لهيعة عن يزيد بن أبي
حبيب عن موسى بن سعد بن زيد
عن ابن مسعود قال إذا رفع القرآن من صدور الرجال
فاضوا في الشعر