আল ফিতন

الخسف والزلازل والرجفة والمسخ

পৃষ্ঠা - ১৬৮৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামাত দিবসের পূর্বে একটি ধূলিযুক্ত বাতাশ প্রেরণ করবেন। তা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির রুহ কবজ করবে। অতপর বলা হবে, অমুক ব্যক্তি মসজিদে থাকাবস্থায় তার রুহ কবজ করা হয়েছে। অমুক ব্যক্তি বাজারে থাকাবস্থায় তার রুহ কবজ করা হয়েছে।
ধস, ভুমিকম্প, কম্পন, বিকৃতি সম্পর্কে।
حدثنا أبو معاوية عن
الأعمش عن خيثمة
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنهما قال يبعث الله ريحا غبراء
قبل يوم القيامة فتقبض روح كل مؤمن
فيقال فلان قبض روحه وهو في مسجده وفلان قبض
روحه وهو في سوقه
পৃষ্ঠা - ১৬৯০
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রতিপালক আকাশের নিকটবর্তী হয়ে পানির মূলে পানি ফিরিয়ে নিবেন। ভূমি কাঁপাবেন। মানুষ তাদের চেহারার জন্য সিজদায় পড়ে যাবে। তারা সাধারণভাবে তাদের দাসদাসীদের মুক্ত করবে। অতপর কিছু সময় বসবাস করবে। আবার ফিরে আসবে আর প্রথমবারে থেকে আরো জোরে যমিনবাসীদের নিয়ে যমিন কম্পিত করবে। অতপর তারা সাধারাণভাবে তাদের দাসদাসীদের মুক্ত করবে। অতপর যমিন ফেটে যাবে এবং যমিনের কিছু অংশ, উহার অঞ্চল ও মানুষ নিয়ে তা ধসে যাবে। এমনকি একজন ব্যক্তি রাত্রে সফর করবে এবং তাদের অক্ষত থাকাবস্থায় সে ফিরে আসবে। আর অন্যরা তাদের সাথে ধসে যাবে। দুইজন ব্যক্তি চূর্ণ করতে থাকবে তখন তারা প্রচন্ড শব্দে বেঁহুশ হয়ে যাবে। অতপর তাদের একজন মারা যাবে। অথবা তারা দুইজন ঘুমন্ত অবস্থায় বেঁহুশ হবে। কঠিন ভারবাহী নর পশুর ন্যায় যমিন ভূমিকম্পে কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি শহর ও গ্রামবাসী পাহাড়ে অবস্থান করবে। তারা হিং¯্র পশুর সাথে থাকবে। আর যমিনের অলংকার স্বর্ণ, রৌপ্য বাইতুল মাকদাসে জমা করা হবে। এমনকি একজন পুরুষ ও একজন মহিলা তাদের ঝুড়ি ও মটকা খুলবে, অথচ তারা সেখানে তাদের কোন অলংকারই পাবে না। এমনিভাবে বাইতুল মাকদাসের গাছ ও ছাদ বিশৃংখল হয়ে যাবে। বিচরণকারী ও গৃহপালিতপশু ধ্বংস হয়ে যাবে। আরমানিয়া উপদ্বিপের রাজত্ব শেষ হয়ে যাবে। উহার গাছ শুকিয়ে যাবে। ভূমিকম্পের কারণে উহার পশু ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনকি একব্যক্তি তার ঘর হতে সমূলে উৎপাটন করার জন্য বিদ্রোহ করে তিনবার পালায়ন করবে। আর প্রত্যেক বারই সে তার জায়গায় ফিরে আসবে। তার শেষ উৎপাটন ও পালায়ন হবে তিবরিয়ার দিকে। অতপর সে সেখানে অবস্থান করবে। আর আল্লাহ তা’আলার পবিত্র নামে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। যেন আল্লাহ তা’আলা তাকে না ফিরিয়ে দেন। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাকে সেখানে অবস্থান করাবেন। ঘোড়া উঁচু হবে। তখন অনেক মূল্যের বিনিময়ে ঘোড়া চাওয়া হবে, অথচ পাওয়া যাবে না।
حدثنا الحكم بن
نافع عن جراح عن أرطاة عمن حدثه
عن كعب قال يدنو الرب إلى السماء فيرد الماء
إلى عنصره وترجف الأرض ويخر الناس لوجوههم سجدا ويعتقون عامة أرقائهم ثم تسكن زمانا
ثم تعود فتزلزل بأهلها أشد من المرة الأولى فيعتقون عامة أرقائهم ثم تتصدع ويخسف
بطائفة من الأرض وأوديتها والناس حتى إن الرجل ليسري فيمر بالحي وهم سالمون وآخرون
مخسوف بهم وإن الرجلين ليطحنان فتصيبهما الصعقة فيموت أحدهما أو تصيبهما في نومهما
كذلك وتستصعب الأرض زلزالا كالبرذون الفحل الصعب حتى يلجأ أهل المدن والقرى إلى
الجبال فيكونون مع السباع وتحشر حلية الأرض ذهبها وفضتها إلى بيت المقدس وحتى يفتح
الرجل والمرأة السفط والجونة فلا يجدان من حليهما شيئا ويتقعقع خشب بيت المقدس
وسقفه وتهلك المراعي والدواب وينقطع ملك الجزيرة وأرمينية وتيبس
شجرهما
وتلهك دوابهما من الزلزلة ويشبعهما جوعا وحتى إن جبال بثور لتنقلع من مكانه فتهرب
ثلاث مرات كل ذلك يرد إلى موضعه فيكون آخر انقلاعه [ وهلاكه ] وفراره إلى طبرية
فيثب عليها ويتعوذ إلى الله باسمه المقدس ألا يعيده فيقره وتغلوا الخيل فتطلب الفرس
بالمال الكثير فلا يصاب
পৃষ্ঠা - ১৬৯১
হযরত কাবীসা ইবনে যুআইব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, অবশ্যই অবশ্যই আমার উম্মতের একদল মানুষ বানরকে, আরেকদল মানুষ শুকরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। আর তারা সকাল অতিক্রম করবে। তখন বলা হবে, অমুক জাতির বাড়িঘর ধসে গেছে, অমুক জাতির বাড়িঘর ধসে গেছে। দুইজন ব্যক্তি হাটতে থাকবে, তাদের একজন ধসে যাবে। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. তা কিভাবে হবে? উত্তরে রাসূল সা. বললেন, তা হবে মদ পানের কারণে, রেশমি পোষাক পরিধানের কারণে, বাদ্যযন্ত্র পিটানো বাঁশি বাজানোর কারণে।
হযরত উরওয়া ইবনে রুওয়াইম রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার এক উত্তম রাতে আমি আমার বান্দাসহ যমিনকে কম্পিত করবো। সেদিন যে মুমিনের রুহ আমি কবজ করবো, সেটা তার জন্য রহমত হবে। আর তাদের যে সময় আমি দিয়েছিলাম সেটাও রহমত হবে। (এমনিভাবে) সেরাত্রে আমি যে কাফেরদের রুহ কবজ করবো, সেটা তাদের জন্য আাযাব হবে। আর তাদের যে সময় দিয়েছিলাম সেটাও আযাব হবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن أبي بكر بن أبي مريم
عن حجر بن مالك الكندي
عن قبيصة بن ذؤيب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
ليؤفكن من هذه الأمة قوم قردة وقوم خنازير وليصبحن فيقال خسف بدار بني فلان ودار
بني فلان وبينما الرجلان يمشيان يخسف بأحدهما
قالوا يا رسول الله وبم ذلك
قال بشرب الخمور ولباس الحرير والضرب بالمعازف والزمارة
قال أبو بكر وحدثني
عروة بن رويم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى يقول أنا أرجف
الأرض بعبادي في خير ليالي فمن قبضت فيها من المؤمنين كانت له رحمة وكانت آجالهم
التي كتبت عليهم ومن قبضت من الكفار كانت عذابا لهم وكانت آجالهم التي كتبت عليهم
পৃষ্ঠা - ১৬৯২
হযরত তাউস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (পৃথিবীতে) তিনটি কম্পন হবে। ইয়ামানে একটি কম্পন হবে। সাম বা সিরিয়াতে একটি কম্পন হবে। পূর্বে একটি কম্পন হবে। আর সেটা হবে উন্মোচনকারী। পূর্বের কম্পন ব্যতীত বাকি দুটি কম্পন হয়ে গেছে।
حدثنا عبد الله بن مروان عن أبيه عن أبي الخوصاء
عن طاوس قال ثلاث
رجفات رجفة باليمن ورجفة بالشام أشد منها ورجفة بالمشرق وهي الجاحف مضتا إلا التي
بالمشرق
পৃষ্ঠা - ১৬৯৩
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পৃথিবীবাসীদের নিয়ে পৃথিবী কঠিন হয়ে যাবে। কষ্টকর ভারবাহী পশুর পিঠের চেয়েও কষ্টকর হবে। অতপর তা তোমাদের নিয়ে একদিকে ধলে পড়ে। এমনকি তোমরা মনে কর যে, তা অধঃপতনশীল। এমনকি লোকজন তাদের দাসদাসিদের মুক্ত করে দিবে। অতপর তারা কিছুদিন বসবাস করবে। এমনকি তারা যা মুক্ত করেছে সে ব্যাপারে লজ্জিত হবে। অতপর (যমিন) তোমাদের নিয়ে আরেকবার হেলে পড়বে। এমনকি মানুষের মধ্যে একজন লোক বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা মুক্ত করবো, আমরা মুক্ত করবো। অতপর আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তোমরা মিথ্যা বলছো। বরং আমি মুক্ত করবো।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن
كعب قال لتستصعبن الأرض بأهلها حتى تكون أصعب من ظهر برذون صعب ثم تميل بكم ميلة
أخرى حتى تظنون أنها منكفئة حتى يعتق ناس أرقاءهم ثم تسكن زمانا حتى يندم من أعتق
على ما أعتق ثم تميل بكم ميلة أخرى
حتى يقول قائل من الناس ربنا نعتق نعتق
فيقول الله تعالى كذبتم بل أنا أعتق
পৃষ্ঠা - ১৬৯৪
হযরত আবু গাতফান রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ রা. কে বলতে শুনেছি যে, বিভিন্ন ধরণের গুপ্তধন বের হবে। হিজাযের নিকটে একটি গুপ্তধন বের হবে। যাকে ফিরআউনের স্বর্ণ বলা হবে। খারাপ লোকজন উক্ত গুপ্তধনের দিকে যাবে। অতপর যখন তারা সেখানে কাজ করতে থাকবে, তখন তাদের জন্য হঠাৎ স্বর্ণ খুলে দেয়া হবে। তখন স্বর্ণ উন্মোচন হওয়াটা তাদেরকে আশ্চার্যান্বিত করবে। তখন হঠাৎ উক্ত গুপ্তধন ও তাদের নিয়ে ধসে দেয়া হবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن أبي ذئب
عن قارظ بن شيبة عن أبي غطفان قال
سمعت عبد الله بن عمرو يقول تخرج معادن
مختلفة قريب يقال له فرعون ذهب يذهب إليه شرار الناس فبينما هم يعملون فيه إذ حسر
لهم عن الذهب فأعجبهم معتملة إذ خسف به وبهم
পৃষ্ঠা - ১৬৯৫
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হয়তো তোমরা এমন কোন ঘর পাবে না, যা তোমাদেরকে তা ভুমিকম্পের ধ্বংস হতে আশ্রয় দিবে। এবং তোমরা এমন কোন চতুস্পদ জন্তুও পাবে না, যার উপর তোমরা সফর করতে চাও। তা প্রচন্ড শব্দ তা ধ্বংস করে দিবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن عياش
عن عبيد الله بن عبيد
عن أبي هريرة قال يوشك أن لا تجدوا بيوتا تكنكم تهلكها
الرواجف ولا دوابا تبلغوا عليها في أسفاركم تهلكها الصواعق
পৃষ্ঠা - ১৬৯৬
হযরত খালেদ ইবনে মা’দান রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, আমার উম্মতের উপর আখেরাতে কোন আযাব বা শাস্তি নেই। তাদের শাস্তি হল, দুনিয়াতে ভূমিকম্প ও ফিতনা।
حدثنا بقية
وأبو المغيرة عن أبي بكر
عن خالد بن معدان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
أمتي لا عذاب عليها في الآخرة إنما عذابها الزلازل والفتن
في الدنيا
পৃষ্ঠা - ১৬৯৭
হযরত আবু হুরাইরা রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, সময় অতিবাহিত হবে না, এমনকি ফুরাত নদী স্বর্ণের পাহাড় খুলে দিবে। ফলে সেখানে অনেক হত্যাযজ্ঞ হবে। এমনকি শত শত মানুষ হত্যা করা হবে। যদি তুমি তা পাও, তাহলে কখনো উহার নিকটবর্তী হবে না।
حدثنا أبو معاوية حدثنا سهيل بن
أبي صالح عن أبيه
عن أبي هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
لا تذهب الأيام حتى تحسر الفرات عن جبل من ذهب فيكثر عنده القتل حتى يقتل من المائة
كذا وكذا فإن أدركت ذلك فلا تقربنهم
পৃষ্ঠা - ১৬৯৮
হযরত সাঈদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ রা. এর যমানায় ভূমিকম্প হয়েছে। সে যমিনকে বলল, তোমার কি হয়েছে? তখন যদি তা কথা বলতো, তাহলে কিয়ামাত সংগঠিত হয়ে যেতো।
حدثنا يحيى بن اليمان عن أشعث
القمي عن جعفر
عن سعيد قال تزلزلت الأرض على عهد عبد الله قال لها مالك ثم قال
أما إنها لو تكلمت لقامت الساعة
পৃষ্ঠা - ১৬৯৯
সূরা ইউনূসের ৮৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তা’আলার বক্তব্য- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদের ধনসম্পদ ধ্বংস করে দাও। - এর ব্যাপারে হযরত আলিয়া হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, তা পাথর হয়ে গেছে।
حدثنا يحيى بن اليمان عن أبي جعفر
الرازي عن الربيع بن أنس
عن أبي العالية في قوله تعالى ربنا اطمس على أموالهم
قال صارت حجارة
পৃষ্ঠা - ১৭০০
সূরা আন’আমের ৬৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তা’আলার বক্তব্য - তিনি তোমাদের উপর এবং নিচ থেকে শাস্তি প্রেরণ করতে সক্ষম।- এর ব্যাপারে হযরত আবু ওয়াক্কাস রা. রাসূল সা. হতে বর্ণিত যে, অতপর রাসূল সা. বলেন, আর সেটা হল সৃষ্টিজগৎ তবে তার ব্যাপারে এর পর আর কোন ব্যাখ্যা আসে নাই।
حدثنا بقية عن أبي بكر بن أبي مريم عن راشد بن سعد
عن سعد بن أبي وقاص رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله تعالى هو
القادر على أن يبعث عليكم عذابا من فوقكم او من تحت أرجلكم [ الأنعام
]
فقال
رسول الله صلى الله عليه وسلم [ أما ] إنها كائنة ولم يأت تأويلها بعد
পৃষ্ঠা - ১৭০১
হযরত মুয়াবিয়া রা. এর দেহরক্ষী কোন এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবু হুরাইরা রা. কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন, এউম্মতের উপর যে ভূমিকম্প, বিপদ, যুদ্ধ ও ফিতনার অঙ্গিকার করা হয়েছে তা এক শ’ এর উপর দুই শ’ এর উপর নয়। আর উহা তাদের উপর তিনবার ফিরিয়ে দেয়া হবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن صفوان عن رجل من البحرين عن رجل كان في حرس معاوية
سمع أبا هريرة [ عن النبي صلى الله عليه وسلم ] قال الذي وعدت هذه الأمة من
الزلازل والبلاء والقتل والفتن
فوق
المائتين ودون المائة يردها عليهم ثلاثا
পৃষ্ঠা - ১৭০২
قال صفوان وحدثني أبو
المخارق زهير بن سالم
أن عمر سأل كعبا هل يخاف على هذه الأمة عدوا يظهر عليهم
قال لا
قال الله
ولكن عدو وزلازل يبتلون بها فستكون فأما قبة الإسلام
وبيضته فلا
পৃষ্ঠা - ১৭০৩
হযরত শুরাইহ ইবনে উবাইদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন ভূমিকম্প ও যুদ্ধ হবে যা, মানুষদেরকে তাদের বসত হতে নড়িয়ে দিবে। এমনকি জুতার মূল্য বৃদ্ধি পাবে। রেওয়ায়েতকারীর একজন বলেন, গাধার মুল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে তোমরা তোমাদের শত্রুদের নিকট পৌছতে পারবেনা। এবং তোমাদের পা শিথিল হয়ে যাবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن صفوان
عن شريح بن عبيد قال
تكون الزلازل والملاحم التي تحرك الناس من أماكنهم حتى تغلوا
النعال وقال أحدهما
البغال فلا تنالون من عدوكم وتقصر الخطوة
পৃষ্ঠা - ১৭০৪
হযরত সালামা ইবনে নুফাইল সাকূবী রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চই তিনি আমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছেন যে, আমি তোমাদের মধ্যে অবস্থানকারী নই। আর আমার পর তোমরা অল্প সময়ই অবস্থানকারী। অতপর তোমরা অবস্থান করবে এমনকি বলবে, কখন? আর অচিরেই ধ্বংস আসবে। যা তোমাদের একে অপরকে ধ্বংস করে দিবে। আর কিয়ামাতের পূর্বে দুটি কঠিন মৃত্যু হবে। আর উহার পর অনেক বছর ভূমিকম্প হবে।
حدثنا أبو المغيرة عن أرطاة عن
ضمرة بن حبيب
عن سلمة بن نفيل السكوني رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى
الله عليه وسلم يقول أنه أوحي إلي إني غير لابث فيكم ولستم لابثون بعدي إلا قليلا
ثم تلبثون حتى تقولوا متى وستأتون أفنادا يفني بعضكم بعضا وبين يدي الساعة موتان
شديد وبعده سنوات الزلازل
পৃষ্ঠা - ১৭০৫
হযরত জুরাশী রা. হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবু হুরাইরা রা. কে হযরত মুয়াবিয়া রা. কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চই বিপদ, ভূমিকম্প এবং যুদ্ধ আশির পরে হবে। এক শ’ এর পরে নয়। আর আল্লাহ তা’আলাই ভালো জানেন যে, সেটা কোন আশি।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن ضمرة بن
حبيب عن الجرشي
سمع أبا هريرة يقول لمعاوية إن البلاء والزلازل والقتل ما فوق
الثمانين ودون المائة فالله أعلم أي الثمانين
পৃষ্ঠা - ১৭০৬
- হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত।
وقال عن صفوان بن عمرو عن
رجل عن أبي هريرة
পৃষ্ঠা - ১৭০৭
হযরত আবু বুরদা এর পিতা রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, আমার উম্মতের উপর দয়া করা হয়েছে। আখেরাতে তাদের উপর কোন শাস্তি নেই। বরং তাদের শাস্তি হল দুনিয়াতে ভূমিকম্প, ফিতনা এবং যুদ্ধ।
حدثنا مروان الفزاري عن حرملة بن قيس النخعي عن
أبي بردة
عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أمتي أمة مرحومة ليس عليها
عذاب في الآخرة إنما عذابها في الدنيا الزلازل والفتن
والقتل
পৃষ্ঠা - ১৭০৮
হযরত ইবনে উমর রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, তোমাদের নিয়ে পৃথিবী কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি তোমাদের শহরবাসীরা তোমাদের গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবেশ করবে। যেমনিভাবে পৃথিবীর কঠিনের কারণে বর্তমানে তোমাদের গ্রামবাসীরা তোমাদের সহরবাসীদের মধ্যে প্রবেশ করতেছে। এবং নিশ্চই তোমাদের নিয়ে পৃথিবী এমন ভাবে দুলবে যে, তাতে যে ধ্বংস হওয়ার সে ধ্বংস হবে। আর যে অবশিষ্ট থাকার সে অবশিষ্ট থাকবে। এমনকি দাসদাসি মুক্ত করা হবে। অতপর পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে কিছু সময় বিশ্রাম করবে। এমনকি দাসদাসি মুক্তিকারীগণ লজ্জিত হবে। অতপর পৃথিবী আরেকবার দুলবে। তাতে যারা ধ্বংস হওয়ার তারা ধ্বংস হবে। আর যারা অবশিষ্ট থাকার অবশিষ্ট থাকবে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা মুক্তি দিবো। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা মুক্তি দিবো। তখন আল্লাহ তা’আলা তাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করে বলবেন, বরং আমি মুক্তি দিবো। আর এ উম্মতের অবশিষ্টগণ কম্পন কর্তৃক (বিপদগ্রস্থ) পরিক্ষীত হবে। যদি তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাদের ক্ষমা করে দিবেন। আর যদি তারা ফিরে যায়, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে কম্পন দ্বারা ফিরিয়ে দিবেন। অতপর তারা যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে, আল্লাহ তা’আলা তাদের ক্ষমা করে দিবেন। আর যদি তারা ফিরে যায়, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে কম্পন, নিক্ষেপ, বিকৃতি ও প্রচন্ড শব্দ দ্বারা ফিরিয়ে দিবেন। (ধ্বংস করে দিবেন।) অতপর যখন তিনবার বলা হবে, মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে, মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আল্লাহ তা’আলা ঐসময় পর্যন্ত কোন জাতিকে শাস্তি দেন না, এমনকি উক্ত জাতির কৈফিয়ত গ্রহণকারীরা কৈফিয়ত গ্রহণ করে। এমনকি গুণাহ দ্বারা পরিচয় পাওয়া যায়, ফলে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে না। যাতে উহার মধ্যে সদাচারী ও পাপাচারী যা আছে সে ব্যাপারে অন্তর নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। যেমনিভাবে গাছ তার মধ্যে যা আছে সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়। এমনকি সৎব্যক্তি সংকর্মের বৃদ্ধি শুনতে পারবেনা। কষ্টদানকারী ভর্তসনা শুনতে পারবে না। আর সেটা হবে, কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেন, কখনো না, বরং তা যা করে তাই তাদের অন্তরে মরিচা ধরিয়ে দেয়। সূরা- মুতাফফীন, আয়াত-১৪।
حدثنا الحكم بن نافع عن سعيد بن سنان
عن حدير ابن كريب عن كثير بن مرة أبي شجرة
عن ابن عمر رضى الله عنهما عن النبي
صلى الله عليه وسلم قال لتستصعبن بكم الأرض حتى يغبط أهل حضركم أهل بدوكم كما يغبط
أهل بدوكم اليوم أهل حضركم من استصعاب الأرض ولتميلن بكم الأرض ميلة يهلك فيها من
هلك ويبقى من بقى حتى تعتق الرقاب ثم تهدأ بكم الأرض بعد ذلك حينا حتى يندم
المعتقون ثم تميل بعد ذلك ميلة أخرى فيهلك من هلك ويبقى من بقى
يقولون ربنا
نعتق ربنا نعتق فيكذبهم الله
يقول كذبتم كذبتم بل أنا أعتق وليبتلن أخريات هذه
الأمة بالرجف فإن تابوا تاب الله عليهم فإن عادوا أعاد الله عليهم بالرجف فإن تابوا
تاب الله عليهم فإن عادوا أعاد الله عليهم بالرجف والقذف والمسخ والصواعق
وإذا
قيل هلك الناس هلك الناس ثلاثا فقد هلكوا ولن يعذب الله أمة حتى يعذروا عاذرها حتى
يعرفوا بالذنوب فلا يتوبون ولتطمئن القلوب بما فيها من برها وفجورها كما تطمأن
الشجر بما فيه حتى لا يستطيع محسن يزداد إحسانا ولا يستطيع مسيء إستعتابا وذلك بأن
الله
تعالى يقول كلا بل ران على قلوبهم ما كانوا يكسبون [ المطففين
[
পৃষ্ঠা - ১৭০৯
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, আমার উম্মত হল, অনুগ্রহপ্রাপ্ত জাতি। তাদের উপর আখেরাতে কোন শাস্তি নেই। বরং তাদের শাস্তি হল দুনিয়াতে ফিতনা, ভূমিকম্প এবং বিপদ আপদ।
حدثنا بقية عن ابي العلاء عن محمد بن جحادة عن يزيد بن حصين
عن معاذ
بن جبل رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أمتي أمة مرحومة لا عذاب
عليها في الآخرة إنما عذابها في الدنيا فتن وزلازل وبلايا
পৃষ্ঠা - ১৭১০
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চই অচিরে ফুরাত নদী গুপ্তধন প্রকাশ করবে। সুতরাং যদি তুমি তা পাও, তাহলে তুমি তা হতে কিছুই গ্রহণ করিও না।
حدثنا محمد بن
جعفر عن شعبة عن خبيب بن عبد الرحمن عن حفص بن عاصم
عن أبي هريرة قال إن الفرات
ستحسر عن كنز فإن أدركته فلا تأخذ منه شيئا
পৃষ্ঠা - ১৭১১
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন অত্যাচার হবে, তখন এক বাড়ী আরেক বাড়ীর দিকে ধসে পড়বে।
حدثنا ابن عبد الوارث عن
حماد بن سلمة عن عبد الله ابن المختار عن عباس الجريري عن أبي عثمان النهدي
عن
عبد الله بن عمرو بن العاص قال ليخسفن بالدار إلى جنب الدار إذا كانت المظالم
পৃষ্ঠা - ১৭১২
হযরত কাবীসা ইবনে বারা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন পৃথিবীর অমুক অমুক জায়গা ধসে যাবে, তখন এমন এক জাতি প্রকাশ পাবে। যারা কালো রং দ্বারা রং করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের দিকে তাকাবেন না। হযরত মুজাহিদ র. বলেন, আমি সেই যমি দেখেছি, যা ধসে গেছে।
قال حماد عن عبد الله بن خيثم عن مجاهد
عن قبيصة بن البراء قال إذا
خسف بأرض كذا وكذا ظهر قوم يخضبون بالسواد لا ينظر الله إليهم
قال مجاهد فقد
رأيت تلك الأرض التي خسف بها
পৃষ্ঠা - ১৭১৩
হযরত যুহরী র. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, এমনকি অনুগ্রহে ভরা বিচরণক্ষেত্র ওয়ালা জাতি ধসে যায়। (এমনিভাবে) কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, এমনকি অধিক সম্পদ ও সন্তানওয়ালা ব্যক্তি ধসে যায়।
حدثنا عبد الرزاق أخبرنا معمر عن الزهري
قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقوم الساعة حتى يخسف بقوم من مراتع
النعم ولا تقم الساعة حتى يخسف برجل كثير المال والولد
পৃষ্ঠা - ১৭১৪
রাসূল সা. এর সাহাবী রাসূল সা. হতে বর্ণণা করে বলেন, যখন দাজ্জাল মদীনার লবনাক্ত অঞ্চলে অবতরণ করবে, তখন মদীনা একবার বা দুইবার উহার অধিবাসীদের ঝাড়া দিবে। ফলে তা হতে প্রত্যেক মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক মহিলা বের হয়ে যাবে। অর্থাৎ ভূমিকম্প হবে।
قال الزهري
أخبرني عمرو بن أبي سفيان الثقفي عن رجل من الأنصار
عن رجل من أصحاب رسول الله
صلى الله عليه وسلم عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا نزل الدجال سباخ المدينة
نفضت المدينة بأهلها نفضة أو نفضتين فيخرج منها كل منافق ومنافقة يعني الزلزلة
পৃষ্ঠা - ১৭১৫
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফুরাত নদীতে স্বর্ণের পাহাড় খোলা হবে। আর তখন প্রতেক এক শ’ জনে নিরানব্বই জনকে হত্যা করা হবে। এর একজন অবশিষ্ট থাকবে।
حدثنا الدراوردي عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه
عن أبي هريرة قال يحسر
جبل من ذهب في الفرات فيقتل من كل مائة تسعة وتسعون ويبقى واحد
পৃষ্ঠা - ১৭১৬
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সাবিত হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, নিশ্চই তোমাদের মধ্যে এমন সৃষ্ট আছে যারা বিকৃত, ধসিত ও নিক্ষেপিত। তারা জিজ্ঞাসা করলো- হে আল্লাহর রাসূল সা.! এমতবস্থায় যে, তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই- এর সাক্ষি দিবে? তিনি উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। আর এটা তখন হবে, যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র গ্রহণ করবে। মদ পান করবে। রেশমি পোষাক পরিধান করবে।
حدثنا
جرير بن عبد الحميد عن ليث بن أبي سليم عن عبد الرحمن بن سابط قال
قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم إنه كائن فيكم مسخ وخسف وقذف
قالوا يا رسول الله وهم
يشهدون أن لا إله إلا الله
قال نعم وذلك إذا اتخذت القيون والمعازف وشربوا
الخمور ولبسوا الحرير
পৃষ্ঠা - ১৭১৭
সূরা আন’আমের ৬৫ নং আয়াত- তিনি শক্তিমান যে, তিনি তোমাদের উপর কোন শাস্তি তোমাদের উপর দিক বা তোমাদের পদতল থেকে প্রেরণ করবেন। থেকে আযাব প্রেরণ করতে সক্ষম।-এর ব্যাপারে হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তা চারটি। যা প্রত্যেকটিই শাস্তি। অতপর তা রাসূল সা. এর ওফাতের পঁচিশ বছর পরে এসেছে। ফলে দলে উপদলে বিভক্ত করা হয়েছে। আর একে অপরের অনিষ্ঠ আস্বাদন করানো হয়েছে। আর দুইটি আবশিষ্ট রয়েছে। আর তা অবশ্যই সংগঠিত হবে। আর তা হল- ধস ও নিক্ষেপ।
حدثنا عبيد الله بن موسى عن أبي جعفر عن الربيع بن
أنس عن أبي العالية
عن أبي بن كعب رضى الله عنه في قوله تعالى هو القادر على أن
يبعث عليكم عذابا من فوقكم [ الأنعام65 ] الآية قال هي أربع وكلهن عذاب فجاء بعد
وفاة رسول الله صلى الله عليه وسلم بخمس وعشرين سنة فالبسوا شيعا وأذيق بعضهم بأس
بعض وبقيت اثنتان وهما لا بد واقعتان الخسف والقذف
পৃষ্ঠা - ১৭১৮
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেন, ফুরাত নদী স্বর্ণের পাহাড় খুলে দিবে। অতপর মানুষ (সেখানে) যুদ্ধ করবে। আর প্রত্যেক শতকে নব্বইজনকে হত্যা করা হবে। অথবা তিনি বলেন, নয়জন। প্রত্যেকেই দেখবে যে, সে নাজাত পাচ্ছে।
حدثنا عبد الرزاق
عن معمر عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم تحسر الفرات على جبل من ذهب فيقتتل الناس عليه فيقتل من كل
مائة تسعين أو قال تسعة كلهم يرى أنه ينجو
পৃষ্ঠা - ১৭১৯
সূরা আন’আমের ৬৫ নং আয়াত- তিনি সক্ষম।-এর ব্যাপারে হযরত আবুল আলিয়া রা. হতে অনুরুপ বর্ণিত আছে।
حدثنا ابن المبارك عن الربيع
بن أنس عن أبي العالية في قوله تعالى هو القادر بمثل ذلك سواء
পৃষ্ঠা - ১৭২০
সূরা আন’আমের ৬৫ নং আয়াত- তিনিই শক্তিমান যে, তিনি তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক বা তোমাদে পদতল থেকে প্রেরণ করবেন।-এর ব্যাপারে হযরত হাসান রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এটা মুশরিকদের জন্য। অথবা তোমাদেরকে দলে-উপদলে বিভক্ত করে মুখোমুখী করে দিবেন। এবং একে অপরের আক্রমণের স্বাদ আস্বাদন করাবেন। আর এটা মুসলমানদের জন্য।
حدثنا ابن
المبارك عن هارون عن حفص بن سليمان
عن الحسن في قوله تعالى هو القادر على أن
يبعث عليكم عذابا من فوقكم قال هذا للمشركين أو يلبسكم شيعا ويذيق بعضكم بأس بعض
قال هذا للمسلمين
পৃষ্ঠা - ১৭২১
হযরত আবু আমের রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে দুইশত বিশ বছরে ধস ও বিকৃতি হবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن الجراح عن أرطاة عن شريح ابن
عبيد وضمرة وأبي عامر
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال الخسف والمسخ في أمتي في
العشر والمائتين
পৃষ্ঠা - ১৭২২
হযরত আবু বুরদা এর পিত রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, এই উম্মত হল, অনুগ্রহপ্রান্ত উম্মত। তাদের শাস্তি তাদের হাতেই। তাদের জাতিগোষ্ঠি হতে লোক ধরা হবে। অতপর তাদের থেকেই একজন লোক দেয়া হবে। আর বলা হবে, এটা তোমার জাহান্নাম হতে বাঁচার ফিদইয়া।
حدثنا عيسى بن يونس عن طلحة بن يحيى عن أبي بردة
عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال هذه الأمة أمة مرحومة عذابها بأيديها
ويؤخذ الرجل من أهل الملل فيعطاه الرجل منهم فيقال هذا فداؤك من النار
পৃষ্ঠা - ১৭২৩
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, এমনকি ফুরাত নদী স্বর্ণের পাহাড় খুলে দিবে। আর সেখানে মানুষ যুদ্ধ করবে। কথন প্রতেক এক শ’ জনে নিরানব্বইজনকে হত্যা করা হবে। আর এক শ’ জনে একজন জীবিত থাকবে। আর প্রত্যেক ব্যক্তিই বলবে, আমিই ঐব্যক্তি যে, নাজাত পাবো।
حدثنا الدراوردي عن سهيل عن ابيه
عن أبي هريرة قال لا تقوم الساعة حتى تحسر
الفرات عن جبل من ذهب فيقتتل الناس عليه فيقتل من كل مائة تسعة وتسعون ويبقى من كل
مائة واحد فيقول كل رجل أنا الذي أنجو
পৃষ্ঠা - ১৭২৪
হযরত ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঐ সত্তরজন ব্যক্তি যাদেরকে হযরত মূসা আ. তার কওম থেকে নির্ধারণ করেছিলেন। তাদেরকে কম্পন গ্রাস করে নিয়েছে। কারণ তারা বাছুরের ক্ষেত্রে সম্মত হয় নাই এবং তারা তা থেকে নিষেধও করে নাই।
حدثنا أبو أسامة عن عوف عن سعيد
بن حيان الأزدي
عن ابن عباس قال السبعون الذي اختار موسى من قومه إنما أخذتهم
الرجفة لأنهم لم يرضوا بالعجل ولم ينهوا عنه
পৃষ্ঠা - ১৭২৫
হযরত ইবনে উমর রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার পদতল হতে কেড়ে নেয়া হতে পানাহ চাই। অর্থাৎ ধসে যাওয়া হতে।
حدثنا وكيع عن عبادة بن
مسلم الفزاري عن جبير بن أبي سليمان بن جبير بن مطعم
عن ابن عمر رضى الله عنهما
عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يقول اللهم إني أعوذ بك من أن أغتال من تحتي
يعني الخسف
পৃষ্ঠা - ১৭২৬
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন সময় নিকটবর্তী হবে, তখন অধিক বজ্রধনি হবে।
حدثنا حرمي بن عمارة عن عمارة المغولي عن أبي نضرة
عن
أبي سعيد الخدري قال إذا اقترب الزمان كثرت الصواعق
পৃষ্ঠা - ১৭২৭
হযরত হাসসান ইবনে আতিয়া রা.হতে বর্ণিত, যখন সূর্যগ্রহন হত তখন তিনি সূর্যের দিকে তাকাতে বিতৃষ্ণ ছিলেন। বিতৃষ্ণের কারণ হয়তো ঐসময় তার দৃষ্টিশক্তি চলে যাবে।
حدثنا الوليد بن
مسلم عن الأوزاعي عن حسان بن عطية
أنه كره النظر إلى الشمس إذا خسفت كراهية أن
يذهب بصره عند ذلك
পৃষ্ঠা - ১৭২৮
রাসূল সা. এর বাঁদী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. হযরত আয়েশা রা. অথবা অন্য কোন স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করলেন। আর আমি তার স্ত্রীর সাথে ছিলাম। অতপর তিনি বললেন, যখন অমঙ্গল প্রকাশ পাবে, তখন তা থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। আল্লাহ তা’আলা স্বীয় বিপদ প্রেরণ করবেন। অতপর এামি বললাম, হে আল্লাহর নবী সা.! যদিও তাদের মাঝে সৎকর্মকারীগণ থাকে? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ। অসৎকর্মকারীদের যা হবে সৎকর্মকারীদেরও তা হবে। তারপরে তারা আল্লাহ তা’আালার ক্ষমা ও রহমত পাবে।
حدثنا ابن المبارك عن سفيان عن جامع عن أبي يعلى عن
الحسن بن محمد بن علي
عن مولاة لرسول الله صلى الله عليه وسلم قالت دخل النبي
صلى الله عليه وسلم على عائشة أو بعض أزواجه وأنا عندها فقال إذا ظهر السوء فلم
ينهوا عنه أنزل الله بهم بأسه
فقلت يا نبي الله وإن كان فيهم صالحون
قال
نعم يصيبهم ما أصابهم ثم يصيرون إلى مغفرة الله ورحمته [ أو إلى مغفرة الله وجنته
]
পৃষ্ঠা - ১৭২৯
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার হযরত আয়েশা রা. এর ঘরে প্রবেশ করলাম। আর আমার সাথে আরেকজন ব্যক্তি ছিল। অতপর উক্ত ব্যক্তি বলল, হে উম্মুল মু’মিনীন আমাদের নিকট ভূমিকম্প সম্পর্কে বর্ণনা করুন। অতপর হযরত আয়েশা রা. তার হতে চেহারা ঘুরিয়ে নিলেন। হযরত আনাস রা. বলেন, অতপর আমি তাকে বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! আমাদের নিকট ভূমিকম্প সম্পর্কে বর্ণনা করুন। অতপর তিনি বললেন, হে আনাস! যদি আমি তোমাকে সেব্যাপারে কিছু বলতাম তাহলে তুমি শোকাবস্থায় জীবন যাপন করতে এবং শোকাবস্থায় মৃত্যুা বরণ করতে। এবং যখন তোমাকে পুনরায় উঠানো হবে, তখন তুমি উঠতে আর তখনও তোমার অন্তরে উহার ভয় থাকতো। অতপর সে বলল, আম্মাজান! আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। অতপর তিনি বললেন, যখন কোন মহিলা স্বামীর ঘর ব্যতীত অন্য ঘরে (পরপুরুষের সাথে) কাপড় খুলে, তখন সে তার ও আল্লাহ তা’আলার মাঝে বিদম্যান পর্দা ছিঁড়ে ফেলে। অতপর যদি সে পরপুরুষের জন্য সাজগোজ করে তাহলে তার উপর জাহান্নাম ও লজ্জা। অতপর যখন তারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, এর সাথে মদ পান করে, বাদ্যযন্ত্র পিটায় তখন আল্লাহ তা’আলা স্বীয় আসমানে নিচে নামেন। অতপর তিনি বলেন, (হে যমিন) তুমি তাদের নিয়ে কম্পিত হও। অতপর যদি তারা তওবা করে ও মুক্ত করে অন্যথায় আল্লা তা’আলা তাদের উপর তা ধ্বংস করে দিবেন। অতপর হযরত আনাস রা. বলেন, তাদের শাস্তিস্বরুপ? তিনি বললেন, বরং তা মুমিনদের জন্য রহমত, বরকত উপদেশ। আর কাফেরদের উপর পরিনাম, গোস্বা ও শাস্তি। অতপর হযরত আনাস রা. বলেন, আমি রাসূল সা. এর পরে এত আনন্দদায়ক হাদীস আমি শুনি নাই, যা আমি এ হাদীস শুনে হয়েছি। বরং আমি জীবন যাপন করবো আনন্দে, মৃত্যু বরণ করবো আনন্দে। এবং যখন আমাকে উঠানো হবে তখন আমি উঠবো আর তখনোও উহার আনন্দ আমার অন্তরে থাকবে। অথবা তিনি বলেন, আমার নফসে থাকবে।
حدثنا بقية بن الوليد عن زيد بن عبد الله الجهني عن أبي العالية
عن
أنس بن مالك قال دخلت على عائشة رضى الله عنها ورجل معي
فقال الرجل يا أم
المؤمنين حدثينا عن الزلزلة فأعرضت عنه بوجهها
قال أنس فقلت لها حدثينا يا أم
المؤمنين عن الزلزلة
فقالت يا أنس إن حدثتك عنها عشت حزينا ومت حزينا وبعثت
حين تبعت وذلك الحزن في قلبك
فقال يا أمه حدثينا فقالت إن المرأة إذا خلعت
ثيابها في غير بيت زوجها هتكت ما بينها وبين الله من حجاب فإن تطيبت لغير زوجها كان
عليها نار وشنار فإذا استفحا في الزنا وشربوا الخمور مع هذا وضربوا المعازف غار
الله في سمائه
فقال تزلزلي بهم فإن تابوا ونزعوا وإلا هدمها الله عليهم
فقال أنس عقوبة لهم
قالت بل رحمة وبركة وموعظة للمؤمنين ونكالا وسخطة
وعذابا على الكافرين
فقال أنس ما سمعت حديثا بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم
انا أشد به فرحا مني بهذا الحديث بل أعيش فرحا وأموت فرحا وأبعث حين أبعث وذلك
الفرح في قلبي أو قال في نفسي
পৃষ্ঠা - ১৭৩০
হযরত আমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি হযরত জাবের রা. কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূল সা. এর উপর - তিনিই শক্তিমান যে, তিনি তোমাদের উপর তোমাদের উপর দিক হতে শাস্তি প্রেরণ করবেন। (সূরা- আনআম, ৬৫) নাযিল হল। তখন রাসূল সা. বললেন, আমি আপনার মর্যাদা দ্বারা আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি। - অথবা তোমাদের পদতল হতে Ñ (সূরা- আনআম, ৬৫) নাযিল হল। তখন রাসূল সা. বললেন, আমি আপনার মর্যাদা দ্বারা আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি। - অথবা তোমাদেরকে দলে উপদলে বিভক্ত করা হবে। এবং তোমরা এক অপরের আক্রমণের স্বাদ আস্বাদন করবে। (সূরা- আনআম, ৬৫) নাযিল হল। তখন রাসূল সা. বললেন, এদুটি অনেক সহজতর। আর আমাকে প্রথমদুটি দেয়া হয়েছে। আর শেষটি নিষেধ করা হয়েছে।
حدثنا ابن عيينة عن عمرو
سمع جابرا
رضى الله عنه يقول نزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم هو القادر على أن يبعث
عليكم عذابا من فوقكم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أعوذ بوجهك أو من تحت
أرجلكم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أعوذ بوجهك أو يلبسكم شيعا ويذيق بعضكم
بأس بعض فقال النبي صلى الله عليه وسلم هاتان أهون قال فأعطي الأوليين ومنع
الآخرة
পৃষ্ঠা - ১৭৩১
হযরত সাফিয়া রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উমর রা. এর সময় মদীনাতে ভূমিকম্প হয়েছিল। আর হযরত ইবনে উমর রা. দাড়ানো ছিলেন, তিনি অনুভব করতে পারেন নাই। এমনকি খাট নড়ে উঠলো। অতপর যখন সকাল হল, তখন হযরত উমর রা. বললেন, হে মানুষসকল! দ্রুততম কি? তোমরা কি বানিয়েছ? হযরত ইবনে উআইনা র. বলেন, নাফে’ ব্যতীত অন্য হাদীসে আছে, যদি ফিরে আসে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমি তোমাদের মধ্য হতে বের হয়ে যাবো।
حدثنا ابن عيينة عن عبيد الله عن نافع
عن صفية قالت تزلزلت المدينة
على عهد عمر وابن عمر قائم لا يشعر حتى اصطفقت السرر فلما أصبح عمر رضى الله عنه
قال يا أيها الناس ما أسرع ما أحدثتم
قال ابن عيينة وفي غير حديث نافع لئن عادت
لأخرجن من بين أظهركم
পৃষ্ঠা - ১৭৩২
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন শেষ যমানায় গুপ্তধনসমূহ বের হবে, তখন তোমার নিকট মন্দ লোকজন আসবে।
حدثنا يحيى بن سليم عن إسماعيل بن أمية قال
قال أبو هريرة إذا ظهرت معادن في آخر الزمان يأتيك شرار الناس
পৃষ্ঠা - ১৭৩৩
হযরত আয়েশা রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেছেন, যখন পৃথিবীতে খারাপ প্রকাশ পাবে, তখন আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াবাসীদের উপর তার বিপদ পাঠাবেন। আমি বললাম, তাদের মধ্যে কি আল্লাহ তা’আলার অনূসরণকারীরা থাকবে? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতপর তারা (মুমিনরা) আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ পাবে।
حدثنا
ابن عيينة عن جامع بن أبي راشد عن منذر الثوري عن حسن بن محمد عن امرأة
عن
عائشة رضى الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا ظهر الشر بالأرض أنزل
الله تعالى بأهل الأرض بأسه
قلت وفيهم أهل طاعة الله
قال نعم ثم يصيرون إلى
رحمة الله
পৃষ্ঠা - ১৭৩৪
হযরত যায়নাব বিনতে জাহাশ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা. কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা.! আমাদের মধ্যে সৎকর্মকারীগণ থাকা সত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো? উত্তরে রাসূল সা. বললেন, হ্যাঁ। যখন মন্দ বেশি হবে।
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عروة عن زينب بنت أبي سلمة عن
أم حبيبة
عن زينب بنت جحش رضى الله عنهما قالت قلت يا رسول الله أنهلك وفينا
الصالحون
قال نعم إذا كثر الخبث
পৃষ্ঠা - ১৭৩৫
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয র. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশেষ কারো কর্মের কারণে আল্লাহ তা’আলা সকলকে পাকড়াও করবেন না। অতপর যখন অপরাধ প্রকাশ পাবে। আর তা নিষেধ করা হবে না। তখন বিশেষ ও সকলকে পাকড়াও করবেন।
حدثنا ابن عيينة عن يحيى بن
سعيد عن إسماعيل بن ابي حكيم
عن عمر بن عبد العزيز قال لا يأخذ الله تعالى
العامة بعمل الخاصة فإذا المعاصي ظهرت فلم تنكر أخذ الله العامة والخاصة
পৃষ্ঠা - ১৭৩৬
হযরত আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ব্যক্তি বলবে, মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন সেই হল তাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
حدثنا ابن عيينة عن المسعودي أراه عن القاسم قال
قال عبد الله إذا قال الرجل
هلك الناس فهو أهلكهم
পৃষ্ঠা - ১৭৩৭
হযরত মালেক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত ইবনে উমর রা. কোন ব্যক্তিকে মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে বলতে শুনতেন। তখন তিনি বলতেন, অন্যায়কারীরা ধ্বংস হয়েছে।
حدثنا ابن عيينة عن مالك قال
كان ابن عمر إذا
سمع الرجل يقول هلك الناس
يقول هلك الفجار
পৃষ্ঠা - ১৭৩৮
হযরত ইবনে উমর রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, তুমি গুপ্তধন বের কর। তাহলে তোমার সাথে মন্দ লোকেরা মিশবে।
حدثنا محمد بن الحارث عن
محمد بن عبد الرحمن عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما عن النبي صلى الله عليه
وسلم قال اخرجي معادن نلحق بك شرار الناس
পৃষ্ঠা - ১৭৩৯
হযরত আরতাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঐ মাহদীর পর যাকে একজন দাসীসহ পাঠানো হবে। দাসীর গায়ে এমন পোষাক থাকবে যা তাকে আবৃত করবে না। (এই মাহদীর পর) ঐ হাশেমী বংশের লোকের যমানায় কম্পন, বিকৃতি ও ধস হবে, যে বাইতুল মাকদাসে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن جراح
عن أرطاة قال
يكون في زمان الهاشمي الذي يتجبر في بيت المقدس بعد المهدي الذي
يبعث بجارية عليها لباس لا يواريها في زمانه يكون رجف ومسخ وخسف
পৃষ্ঠা - ১৭৪০
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পৃথিবীবাসীদের নিয়ে পৃথিবী কঠিন হয়ে যাবে। কষ্টকর ভারবাহী পশুর পিঠের চেয়েও কষ্টকর হবে। অতপর তা তোমাদের নিয়ে একদিকে ধলে পড়ে। অতপর লোকজন তাদের দাসদাসিদের মুক্ত করে দিবে। অতপর তারা কিছুদিন বসবাস করবে। তারপর যে মুক্ত করেছে, সে লজ্জিত হবে। অতপর (যমিন) আরেকবার হেলে পড়বে। এমনকি একজন লোক বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা মুক্ত করবো, আমরা মুক্ত করবো। অতপর আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তোমরা মিথ্যা বলছো। বরং আমি মুক্ত করবো।
حدثنا
بقية عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب لتستصعبن الأرض بأهلها حتى تكون أصعب من
ظهر البرذون الصعب ثم تميل بكم ميلة فتعتقون أرقاءكم ثم تسكن زمانا ثم يندم من أعتق
ثم تميل ميلة أخرى حتى يقول القائل
رنبا نعتق نعتق فيقول الله تعالى كذبتم بل
أنا أعتق
পৃষ্ঠা - ১৭৪১
حدثنا ابن المبارك وبقية عن عتبة بن أبي حكيم عن عمرو بن
جارية عن أبي أمية الشعباني
عن أبي ثعلبة الخشني رضى الله عنه عن النبي صلى
الله عليه وسلم قال إذا رأيت عجاب كل ذي رأي برأيه فعليك نفسك ودع عنك أمر العوام