আল ফিতন

معرفة الخلفاء من الملوك

পৃষ্ঠা - ২৪০
হযরত আওয়াম ইবনে হাওশাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রোম দেশে বনু আসাদের জনৈক ব্যক্তি বলেন, তিনি তার গোত্রের এমন একজন থেকে বর্ণনা করেন যিনি ওমর রাযিঃ কে পেয়েছন। তিনি একদিন তার আসহাব অর্থাৎ, তালহা, যুবাইর, সালমান ও কাব রহঃ কে বললেন, আমি তোমাদেরকে এমন এক বিষয় সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা এ ব্যাপারে আমাকে মিথ্যা বল, তাহলে আমি, তোমরা সকলে ধ্বংস হয়ে যাবো। আমি তোমাদেরকে কসম দানের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করছি, আমার ব্যাপারে তোমাদের কিতাবে কি পেয়েছ, আমি খলীফা, নাকি বাদশাহ?
জবাবে তালহা এবং যুবায়ের রহঃ বলেন, নিঃসন্দেহে আপনি আমাদেরকে এমন এক বিষয় সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছেন, যেটা আমরা জানিনা, আমরা অতটুকু জানিনা যে, আপনি একজন খলীফা নাকি বাদশাহ। জবাবে হযরত ওমর রাযিঃ বললেন, যদি এটা বলে থাকো, তাহলে তুমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে কেনো বসে থাকতে। অতঃপর হযরত সালমান রহঃ বলেন, নিঃসন্দেহে আপনি প্রজাদের প্রতি ইনসাফের আচরন করেন, সকলের মাঝে বরাবর বন্টন করেন, প্রত্যেক প্রজাকে আপনি নিজের পরিবারের সদস্যের ন্যায় ভালোবসেন। মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ আরো বলেন, এবং আপনি কিতাবুল্লাহর বিধান মতে ফায়সালা করেন।
এপর্যায়ে কাব রহঃ বলেন, আমার ধারনা মতে এই মজলিসে বাদশাহ খলীফার পরিচয় সম্বন্ধে আমার চেয়ে কেউ বেশি জানেনা। তবে সালমানকে আল্লাহ তাআলা ইলম এবং হেকমত পুরোপুরি ভাবে দান করেছেন। অতঃপর কাব রহঃ বলেন, আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় আপনি খলীফা, বাদশাহ নন। একথা শুনে হযরত ওমর রাযিঃ তাকে বললেন, তুমি সেটা কী ভাবে জানতে পারলে? জবাবে হযরত কাব রাযিঃ বললেন, আপনার সম্বন্ধে আমি কিতাবুল্লাহতে পেয়েছি। আতঃপর ওমর রাযিঃ বলেন, কিতাবুল্লাহতে কি আমার নাম উল্লেখ আছে? জবাবে হযরত কাব রহঃ বললেন, না, কিতাবুল্লাহতে আপনার নাম উল্লেখ না থাকলেও আপনার বৈশিষ্ট উল্লেখ রয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, প্রথমে নবুওয়ত হবে অতঃপর খেলাফত এবং রহমতে রুপান্তরিত হবে। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ রহঃ বলেন, খেলাফত আলা মিনহাজিন্নুযুওয়ত হবে। অতঃপর পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইকারী বাদশাহ রাষ্ট্র নায়ক হবে। বর্ননাকারী হুশাইম রহঃ আরো বলেন, জালেম এবং লড়াইকারী বাদশাহ ক্ষমতা গ্রহন করবে। এসব কথাশুনে হযরত ওমর রাযিঃ বলেন, সেসব কিছু আমার মাথার উপর দিকে অতিক্রম করলেও আমার আর আফসোস থাকবেনা।
حدثنا محمد بن يزيد وهشيم عن العوام بن حوشب قال أخبرني شيخ من بني أسد
في أرض الروم عن رجل من قومه
شهد عمر بن الخطاب رضي الله عنه سأل أصحابه وفيهم
طلحة والزبير وسلمان وكعب
فقال إني سائلكم عن شيء وإياكم أن تكذبوني فتهلكوني
وتهلكوا أنفسكم أنشدكم بالله ماذا تجدوني في كتبكم أخليفة أنا أم ملك
فقال طلحة
والزبير إنك لتسألنا عن أمر ما نعرفه ما ندري ما الخليفة ولست بملك
فقال عمر إن
يقل فقد كنت تدخل فتجلس مع رسول الله صلى الله عليه وسلم
ثم قال سلمان وذلك أنك
تعدل في الرعية وتقسم بينهم بالسوية وتشفق عليهم شفقة الرجل على أهله وقال محمد بن
يزيد وتقضي بكتاب الله
فقال كعب ما كنت أحسب أن في المجلس أحدا يعرف الخليفة من
الملك غيري ولكن الله ملأ سلمان حكما وعلما
ثم قال كعب أشهد أنك خليفة ولست
بملك
فقال له عمر وكيف ذاك
قال أجدك في كتاب الله
قال عمر تجدني
باسمي
قال كعب لا ولكن بنعتك أجد نبوة ثم خلافة ورحمة
وقال محمد بن يزيد
خلافة على منهاج نبوة ثم ملكا عضوضا قال وقال هشيم وجبرية وملكا عضوضا
فقال عمر
ما أبالي إذا جاوز ذلك رأسي
পৃষ্ঠা - ২৪১
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ বলেছেন, হে কাব! তোমাকে আমি আল্লাহর নামে কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আমাকে তুমি খলীফা হিসেবে পেয়েছ, নাকি বাদশাহ হিসেবে? কাব রহঃ বলেন, বরং আমি তোমাকে খলীফা হিসেবে পেয়েছি। একথা শুনে হযরত ওমর রাযি তাকে কসম করতে বললে তিনি বলেন, আল্লাহর কসম!সর্বোত্তম খলীফাদের একজন এবং বরং যুগের মধ্যে উত্তম যুগের একজন ব্যক্তিত্ব।
حدثنا الحكم بن نافع أخبرنا صفوان بن عمرو عن
أبي اليمان وشريح بن عبيد عن كعب قال
قال عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنشدك
الله يا كعب أتجدني خليفة أم ملكا
قال قلت بل خليفة فاستحلفه
فقال كعب
خليفة والله من خير الخلفاء وزمانك خير زمان
পৃষ্ঠা - ২৪২
হযরত মুগীস আল আওযাঈ রহঃ বর্ণনা করেন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ হযরত কাবকে ডেকে পাঠালে তিনি উপস্থিত হওয়ার পর তাকে বললেন, হে কাব! তুমি আমার কি বৈশিষ্ট পেয়েছ, জবাবে কাব রহঃ বলেন, একজন লৌহ মানব খলীফা, যিনি আল্লাহর বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে কাউকে ভয় করবেন না। তারপর এমন একজন খলীফা হবেন যাকে তার প্রজাগন খুবই নির্মম ভাবে হত্যা করবে। এরপর পর উক্ত উম্মতের উপর বিভিন্ন বালা মসিবত আসতে থাকবে।
حدثنا عثمان بن كثير عن محمد
بن مهاجر عن العباس بن سالم قال حدثني عمير بن ربيعة قال حدثني مغيث الأوزعي
أن
عمر بن الخطاب رضي الله عنه أرسل إلى كعب فقال له يا كعب كيف تجد نعتي
قال
خليفة قرن من حديد لا تخاف في الله لومة لائم ثم خليفة تقتله أمته ظالمين له ثم يقع
البلاء بعد
পৃষ্ঠা - ২৪৩
সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন খলীফা তিনজন এবং অন্য সকল বাদশাহ, ১. আবু বকর রা. ২. উমর রা. ৩. উসমান রা. তখন তাকে বলা হল, আমরা আবু বকর রা. এবং উমর রা. কে চিনি তবে দ্বিতীয় উমর রা. কে? তখন তিনি বললেন যদি তোমরা বেঁচে থাক, তাহলে তার সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ ঘটবে আর যদি তোমরা মৃত্যবরণ কর, তাহলে তোমাদের পরবর্তীতে তার আগমন ঘটবে।
حدثنا محمد بن عبد الله التيهرتي عن محمد بن إسحاق عن إبراهيم
بن عقبة عن عطاء مولى ام بكرة الأسلمية
عن سعيد بن المسيب قال الخلفاء
ثلاثة وسائرهم ملوك أبو بكر وعمر وعمر
قيل له قد عرفنا أبا بكر وعمر فمن عمر
الثاني
قال إن عشتم أدركتموه وإن متم كان بعدكم
পৃষ্ঠা - ২৪৪
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক থেকে এরূপই বর্ণিত আছে, তবে তার সনদের মধ্যে হাবীব ইবনে হিন্দা আসলামী সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব থেকে বর্ণনা করেন, এ কথাটি বৃদ্ধি করেছেন।
حدثنا أبو المغيرة عن
ابن عياش عن محمد بن إسحاق نحوه وزاد فيه عن حبيب بن هند الأسلمي عن سعيد بن المسيب
পৃষ্ঠা - ২৪৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে নুআঈম আল মুআফরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কতিপয় শেখকে বলতে শুনেছি, যিনি সৎকাজের আদেশ করবেন এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবেন তিনিই হবেন জমিনের উপর আল্লাহর খলীফা, আল্লাহর কিতাবের খলীফা এবং আল্লাহর রাসূলের খলীফা।
حدثنا نعيم حدثنا بقية بن الوليد عن عبد الله بن نعيم المعافري قال
سمعت المشيخة
يقولون من أمر بمعروف ونهى عن منكر فهو خليفة الله في الأرض
وخليفة كتابه وخليفة رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ২৪৬
হযরত আশআর ইবনে বুজাইর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু মুহাম্মদ আন নাহদী রহঃ এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পর কোনো বাদশাহ হবেনা।
حدثنا المعتمر بن
سليمان عن الأشعر بن بجير قال
قال أبو محمد النهدي لا يكون في عقب النبي صلى
الله عليه وسلم ملك
পৃষ্ঠা - ২৪৭
হযরত হাম্মাম রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা আহলে কিতাবের একজন লোক এসে হযরত ওমর রাযিঃ কে বললেন, আসসালামু আলাইকুম, হে আরবদের বাদশাহ! তার কথা শুনে হযরত ওমর রাযিঃ বললেন, তোমাদের কিতাবে কি এমনই পেয়েছ? তোমরা কি এমন পাওনি যে প্রথমে নবী, অতঃপর খলীফা, এরপর আমীরুল মুমিনীন, তারপর হবে বাদশাহ। জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن إبراهيم عن همام أن
عمر بن الخطاب رضي الله عنه أتاه رجل من أهل الكتاب فقال السلام عليك يا ملك العرب
فقال عمر وهكذا تجدونه في كتابكم ألستم تجدون النبي ثم الخليفة ثم أمير
المؤمنين ثم الملوك بعد
فقال بلى بلى
পৃষ্ঠা - ২৪৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খেলাফত মদীনা থেকে পরিচালিত হলেও বাদশাহী হবে শাম দেশ থেকে পরিচালিত।
حدثننا محمد بن يزيد
الواسطي عن العوام بن حوشب عن رجل
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال الخلافة
بالمدينة والملك بالشام
পৃষ্ঠা - ২৪৯
হযরত সাঈদ ইবনে জুমহান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর খাদেম সাফীনা রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, দীর্ঘ ত্রিশ বৎসর পর্যন্ত আমার উম্মতের মধ্যে খলীফা থাকবে। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযীদ রহঃ বলেন, ত্রিশ বৎসর হিসাব করলে দেখা যায়, সেটা হযরত আলী রাযঃ এর খেলাফতের সর্বশেষ সময় পর্যন্ত। অতঃপর তারা হযরত সাফীনা রাযিঃ কে বললেন, এরা তো মনে করে হযরত আলী খলীফা নন। জবাবে হযরত সাফীনা রাযিঃ বলেন, একথাটি একমাত্র মারাত্নক অপরাধীগনই বলে থাকে।
حدثنا هشيم ومحمد بن يزيد عن العوام بن حوشب قال
حدثنا سعيد بن جمهان قال
سمعت سفينة مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الخلافة بعدي في أمتي ثلاثون سنة
قال محمد بن
يزيد في حديثه فحسبوا ذلك فكان تمام ولاية علي
فقالوا لسفينة إنهم يزعمون أن
عليا لم يكن خليفة
فقال من يزعم ذلك أبنوا الزرقاء أولى بذلك وأحق
পৃষ্ঠা - ২৫০
হযরত ইয়াহ ইয়া ইবনে আবু আমর আস শায়বানী রহঃ বলেন, যারা মসজিদে হারাম এবং মসজিদে বায়তুল মোকাদ্দাসের মালিক হতে পারেনি তারা খলীফাও হতে পারবেনা।
حدثنا ضمرة عن ابن شوذب
عن يحيى بن أبي عمرو السيباني قال ليس من الخلفاء من لم
يملك المسجدين مسجد الحرام ومسجد بيت المقدس
পৃষ্ঠা - ২৫১
হযরত সাবাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু উমাইয়া রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পর আর খেলাফত থাকবেনা। এভাবে মাহদী আঃ এর আগমন পর্যন্ত চলতে থাকবে।
حدثنا الوليد ورشدين عن ابن
لهيعة عن أبي زرعة
عن صباح قال لا خلافة بعد حمل بني أمية حتى يخرج المهدي
পৃষ্ঠা - ২৫২
হযরত উতবা ইবনে গাযওয়ান আসসুলামী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, খবরদার! এক সময় নবুওয়তের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর থেকে বাদশাহদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলে যাবে।
حدثنا حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أيوب عن حميد ابن هلال
عن عتبة بن
غزوان السلمي قال ألا إنها لم تكن نبوة إلا تناسخت حتى تكون ملكا
পৃষ্ঠা - ২৫৩
হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে হযরত উসমান রাযিঃ এর পর থেকে বনু উমাইয়ার মোট বারোজন বাদশাহ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করবে। তাকে বলা হলো, খলীফা! জবাবে তিনি বললেন, না বরং বাদশাহ হবে।
حدثنا رشدين بن سعيد عن ابن لهيعة عن خالد بن أبي عمران
عن الحذيفة بن اليمان
رضي الله عنه قال ليكونن بعد عثمان رضي الله عنه إثنا عشر ملكا من بني أمية
قيل
له خلفاء
قال بل ملوك
পৃষ্ঠা - ২৫৪
উতবা ইবনে গাযওয়ান সুলামী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখনই কোনো নবুওয়তের আবির্ভাব হয়েছে তখনই তার পরবর্তী বাদশাহর আবির্ভাব ঘটেছে।
حدثنا فضالة بن حصين الضبي سمعت يزيد بن نعامة
أبا مودود الضبي قال
سمعت عتبة بن غزوان السلمي صاحب رسول الله صلى الله عليه
وسلم يقول لم تكن نبوة قط إلا كان بعدها ملكا
পৃষ্ঠা - ২৫৫
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খলীফা হবেন, সর্বমোট তিনজন। এছাড়া বাকিরা হবেন বাদশাহ। তাকে সেই তিনজনের নাম জানাতে বলা হলে তিনি বলেন, আবু বকর, ওমর এবং ওমর। তাকে বলা হলো, আমরা আবু বকর ও ওমরকে চিনতে পারলেও দ্বিতীয় ওমরকে তো চিনতে পারলামনা। জবাবে তিনি বলেন, যদি তোমা বেচে থাকো তাহলে অবশ্যই তার যুগ প্রাপ্ত হবে। আর যদি তোমরা জীবিত না থাকো তাহলে তোমাদের পরবর্তী সময়ে তার আগমন হবে।
حدثنا محمد بن عبد الله
التيهرتي عن محمد بن إسحاق عن إبراهيم بن عقبة عن عطاء مولى أم بكرة الأسلمية
عن سعيد بن المسيب قال الخلفاء ثلاث وسائرهم ملوك
قيل من هؤلاء الثلاثة
قال أبو بكر وعمر وعمر
قيل له قد عرفنا أبا بكر وعمر فمن عمر الثاني
قال إن عشتم أدركتموه وإن متم كان بعدكم
পৃষ্ঠা - ২৫৬
পূর্বের হাদীসের ন্যায়।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن
عياش عن محمد بن إسحاق نحوه وزاد فيه عن حبيب بن هند الأسلمي عن ابن المسيب
পৃষ্ঠা - ২৫৭
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার পররর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার এই দায়িত্ব কী ভাবে আদায় করা হবে। জবাবে তিনি বললেন, তোমার গোত্রে যতক্ষন কল্যান থাকবে ততক্ষন সেই দায়িত্ব পালনের যোগ্য তারাই হবে। অতঃপর ধ্বংস প্রাপ্ত হবে? জবাবে তিনি বললেন, তোমার গোত্র। আমি জানতে চাইলাম সেটা কেমনে? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মৃত্যু তাদেরকে গ্রাস করে নিবে। এবং মানুষ তাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্নক হয়ে উঠবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী খলীফা বাদশাহর তালিকা
حدثنا هشيم عن مجالد عن عامر أخبرنا مسروق
عن عائشة رضي الله
عنها قالت قلت يا رسول الله كيف هذا الأمر من بعدك
قال في قومك ما كان فيهم خير
قلت فأي العرب أسرع فناء
قال قومك
قال قلت وكيف ذاك
قال يستحلهم
الموت وينفسهم الناس
تسمية من يملك بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ২৫৮
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর খাদেম হযরত সাফীনা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলরল্লাহ সাঃ মদীনার মসজিদ প্রতিষ্ঠাকালীন হযরত আবু বকর রাযিঃ একটি পাথর এনে রাখেন, অতঃপর হযরত ওসমান রাযিঃ এসে আরেকটি পাথর রাখেন। এই অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, এরা আমার পর খেলাফতের জিম্মাদারী করবে।
حدثنا ابن المبارك أخبرنا حشرج بن نباتة عن سعيد بن جمهان عن سفينة مولى
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لما بنى رسول الله صلى الله عليه وسلم مسجد
المدينة جاء أبو بكر بحجر فوضعه ثم جاء عمر بحجر فوضعه ثم جاء عثمان بحجر فوضعه
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هؤلاء يلون الخلافة بعدي
পৃষ্ঠা - ২৫৯
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন মদীনার মসজিদ স্থাপন করছিলেন তখন হযরত আবু বকর রাযিঃ একটি পাথর নিয়ে এসে রেখ দেন, এরপর হযরত ওসমান রাযিঃ আরেকটি পাথর রাখেন এঅবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন এরা আমার পর ধারাবাহিক ভাবে খেলাফতের জিম্মাদারী পালন করবে।
حدثنا
هشيم عن العوام بن حوشب عمن حدثه
عن عائشة رضى الله عنها قالت لما أسس رسول
الله صلى الله عليه وسلم مسجد المدينة جاء أبو بكر بحجر فوضعه ثم جاء عمر بحجر
فوضعه ثم جاء عثمان بحجر فوضعه
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هؤلاء يلون
الخلافة بعدي
পৃষ্ঠা - ২৬০
হযরত আমের শাবী রহঃ বনু মুসতালিকের এক লোক থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার গোত্র বনু মুসতালিক আমাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট প্রেরন করেন, যেন একথা জিজ্ঞাসা করা হয়, রাসূলুল্লাহ সাঃ পরবর্তী আমরা সাদকা ইত্যাদি কার কাছে দিবে, অতঃপর আমি তার কাছে আসলে, আমার সাথে হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিঃ এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আমার আসার কারন জিজ্ঞাসা করলে আমি বললাম যে, আমার গোত্র বনু মুসতালিক আমাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে প্রেরন করেছে, যেন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি যে, তার পর আমরা কার হাতে সাদকা দিব। একথা শুনে হযরত আলী রাযিঃ বললেন, হ্যা তুমি তার কাছে জিজ্ঞাসা করে আমার কাছে এসে সে সম্বন্ধে জানাবে। অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে এসে বললেন, আমাকে আমার গোত্র পাঠিয়েছে, যেন আপনাকে জিজ্ঞাসা করি যে, আপনার পর সাদকা ইত্যাদি আমরা কার হাতে দিব। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমার পরবর্তী সাদকা ইত্যাদি তোমরা আবু বকরের হাতে প্রদান করবে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছ থেকে জবাব শুনে তিনি হযরত আলী রাযিঃ এর কাছে এসে কথাটি জানালেন। অতঃপর আলি রাযিঃ বললেন, আবার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো, হযরত আবু বকর রাযিঃ এরপর কার হাতে সাদকা প্রদান করবে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাব দিলেন, আবু বকর এর মৃত্যুর পর তোমরা সাদকা ওমরের হাতে দিবে। কথাটি এসে হযরত আলী রাযিঃ কে বললে, তিনি বলেন তুমি আবারো গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জানতে চাও ওমরের মারা যাওয়ার পর সাদকা কার হাতে দিবে। এ প্রস্তাব নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে আসলে জবাবে তিনি বলেন, তোমরা ওমরের পর ওসমান ইবনে আফফান এর হাতে সাদকা ইত্যাদি প্রদান করো। ঐ লোক রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছ থেকে ফিরে এসে হযরত আলী ইবে আবু তালেব রাযিঃ এর কাছে এসে কথাটি বললে তিনি বললেন, তুমি আবারো গিয়ে জিজ্ঞাসা করো ওসমান ইবনে আফফান এর পর কার কাছে সাদকা দিবে। জবাবে বনু মুসতালিকের লোকটি বললেন, এরপর পূনরায় তার কাছে যেতে আমার লজ্জা বোধ হচ্ছে।
حدثنا يزيد بن هارون حدثنا عبد الأعلى بن أبي المساور عن
عامر الشعبي
عن رجل من بني المصطلق قال بعثني قومي بنوا المصطلق إلى رسول الله
صلى الله عليه وسلم إلى من يدفعون صدقاتهم بعده فأتيته فلقيني علي بن أبي طالب رضى
الله عنه فسلألني
فقلت أرسلني قومي بنوا المصطلق إلى رسول الله صلى الله عليه
وسلم يسألونه إلى
من يدفعون صدقاتهم بعده
فقال له علي سله ثم إتني
فأخبرني فأتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره أن قومه أرسلوه يسألونه إلى من
يدفعون صدقاتهم بعده
فقال أدفعوها إلى أبي بكر فرجع إلى علي فأخبره
فقال له
علي ارجع إليه إلى من يدفعونها بعد ابي بكر
فسأله فقال ادفعوها إلى عمر بعده
فأتى عليا فأخبره
فقال ارجع إليه فسأله إلى من يدفعونها بعد عمر فأتاه فسأله
فقال ادفعوها إلى عثمان بن عفان فرجع إلى علي فأخبره
فقال له علي ارجع إليه
فسأله إلى من يدفعونها بعد عثمان
فقال الرجل إني لأستحيي أن أرجع إلى رسول الله
صلى الله عليه وسلم بعد هذا
পৃষ্ঠা - ২৬১
হযরত আমর ইবনে লাবীদ রাযিঃ বর্ননা করেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ জনৈক গ্রাম্য লোক থেকে বাকিতে একটি উট ক্রয় করে। লোকটি ফিরে যাওয়ার সময় হযরত আলি ইবনে আবু তালেব রযিঃ এর সাথে তার সাক্ষাৎ হলে তিনি লোকটিকে বললেন, যদি আল্লাহ তাআলা তার রাসূল কে মৃত্যু দান করেন তাহলে তোমার পাওনা কার কাছ থেকে উসূল করবেন একথা শুনে লোকটি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, যদি আপনার মৃত্যু এসে যায় তাহলে আমার পাওনা কার কাছ থেকে উসূল করবো? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তোমার হক্ব আবু বকরের কাছ থেকে নিবে। অতঃপর লোকটি ফিরে আসলে আবারো আলী রাযিঃ এর সাথে তার দেখা হয়। তার কাছে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পরবর্তী হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযিঃ থেকে আমার পাওনা উসুল করতে বলেছন, একথা বলে তিনি চলে যেতে চাইলে হযরত আলী রাযিঃ বললেন, যদি আবু বকর আবু বকর মৃত্যু বরন করে তাহলে কার কাছ থেকে উসূল করবে। অতঃপর গ্রাম্য লোকটি আবারো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে বললেন, যদ আবু বকর মারা যায় তাহলে কার কাছ আমার পাওনা উসূল করব? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ওমরের কাছ থেকে তোমার পাওনা বুঝে নিবে। লোকটি ফিরে আসলে তার সাথে পূনরায় আলীর সাক্ষাৎ হয়। এবং আল্লাহর রাসূলের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আবু বকর মারা গেলে ওমরই তোমার পাওনা পরিশোধ করবে। একথা শুনে হযরত আলী রাযিঃ বললেন, যদি ওমর মারা যায় তাহলে কার কাছে চাইবে? লোকটি বললেন তুমি ঠিকই বলেছ, অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ যদি ওমর মৃত্যু বরন করে তাহলে আমার হক্ব কে দিবে? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তখন তোমার পাওনা ওসমান ইবনে আফফান থেকে বুঝে নিবে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথাটি শুনে উক্ত লোকটি চলে আসার সময় আবারো হযরত আলী রাযিঃ এর সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জবাবের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি তখন আমার পাওনা ওসমান ইবনে আফফান থেকে উসূল করব। অতঃপর আলী রাযিঃ বললেন, যদি ওসমান ইবনে আফফান মারা গেলে কি করবে? একথা শুনে লোকটি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ যদি ওসমান ইবনে আফফান মৃত্যু বরন করে তাহলে আমার পাওনা কার কাছ থেকে উসূল করব। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, যদি ওসমান ইবনে আফফান মত্যু বরন করে তখন তোমাকে আমার নিকট প্রেরন কারী থেকে তোমার পাওনা উসূল করবে।
حدثنا أسد بن موسى حدثنا عبد الرحمن بن زياد
قال حدثني أبو يزيد عبد الملك بن أبي كريمة قال
حدثني عمرو بن لبيد أن رسول
الله صلى الله عليه وسلم اشترى بكرا من أعرابي بدين نظره فأدبر الأعرابي فلقي علي
بن أبي طالب رضى الله عنه
فقال علي للأعرابي إن قبض الله رسوله حقك إلى من فرجع
الأعرابي إلى رسول الله
فقال من لي بحقي إن أتى عليك الموت
قال أبو بكر
الصديق لك بحقك فأدبر الأعرابي فلقيه علي أيضا
فقال ما قال لك رسول الله
قال حقي إلى أبي بكر الصديق
قال فإن أبا بكر يموت
قال فرجع الأعرابي
فقال يا رسول الله إن مات أبو بكر فإلى من حقي
فقال إلى عمر بن الخطاب فأدبر
الأعرابي فلقيه علي
فقال ما قال لك رسول الله
قال حقي إلى عمر
قال فإن
عمر يموت
قال صدقت فرجع فقال يا رسول الله فإن عمر يموت فمن لي به
قال حقك
إلى عثمان
قال فأدبر الأعرابي فلقيه علي
فقال ما قال لك رسول الله
قال
حقي إلى عثمان
قال فإن مات عثمان
قال فرجع إلى النبي قال فإن عثمان
يموت يا رسول الله فإلى من حقيقال فإلى الذي أرسلك
পৃষ্ঠা - ২৬২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাত্রে জনৈক নেককার লোক আবু বকর রাযিঃ এর ন্যায় এক লোককে স্বপ্নে দেখেন, যিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মৃত্যুর পর হযরত ওমর রাষ্ট্রীয় দায়ীত্ব গ্রহন করেন, তার মৃত্যুর পরপরই হযরত ওসমান রাযিঃ ক্ষমতাসীন হন। হযরত জাবের রাযিঃ বলেন, আমরা সেখান থেকে দাড়িয়ে গেলে বলতে থাকলাম, নেককার লোকটি হচ্ছেন হযরত রসূলুল্লাহ সাঃ আর অন্যরা হলেন, তার পরবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত খোলাফায়ে কেরাম।
حدثنا ابن المبارك عن يونس عن الزهري قال حدثني من سمع جابر بن عبد الله
رضى عنهما يقول رأى رجل صالح الليلة كأن أبا بكر نيط برسول الله ثم نيط عمر بأبي
بكر ثم نيط عثمان بعمر
قال جابر فلما قمنا قلنا الرجل الصالح رسول الله وهؤلاء
ولاة الأمر من بعده بعده
পৃষ্ঠা - ২৬৩
হযরত ওকবা ইবনে আওস আস সাদুসী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ এরশাদ করেছন, আবু বকর পরবর্তী হযরত ওমর দায়িত্বশীল হবেন, তিনি একজন লৌহ মানব তুল্য। তারপর যিনি খলীফা হবেন, তার নাম হচ্ছে ওসমান ইবনে আফফান, তিনি হচ্ছেন যুননূর। তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হবে। তাকে আল্লাহ তাআলার রহমতের বিরাট একটি অংশ দান করা হবে। হযরত মুআবিয়া রাযিঃ এবং তার পুত্র মুকাদ্দাস এলাকার অধিকারী হবেন। উপস্থিত লোকজন বললেন, আপনি কি হাসান হুসাইন রাযি এর কথা বলবেন না। এ প্রশ্ন শুনে তিনি তার কথাটি আবারো বললেন, এক পর্যায়ে তিনি মোয়াবিয়া ও তার পুত্রের কথা বলে সিফাহ, সালাম, মনসূর, জাবের, আল আমীন, গোত্রপতি সহ আরো অনেকের কথা বলেন, প্রত্যেকে একেকজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হবে এবং একজনের সাথে আরেকজনের কোনো মিল থাকবেনা। তাদের প্রত্যেকজন কাব ইবনে লুআই এর বংশ ধর হবেন। তাদের মধ্যে জনৈক লোক হবেন কাহতানের বাসিন্দা। তাদের কেউ কেউ মাত্র দুই দিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তাদের একজনকে বলা হবে, আপনি আমাদের অনুগত হয়ে যান, না হয় অবশ্যই তোমাকে হত্যা করবো। এভাবে বলার পরও আনুগত্য স্বীকার না করায় তাকে হত্যা করা হয়।
حدثنا ابن علية عن ابن عون عن محمد بن سيرين عن
عقبة بن أوس السدوسي قال قال عبد الله بن عمرو أبو بكر الصديق أصبتم اسمه عمر
الفاروق قرن من حديد أصبتم اسمه ابن عفان ذو النور قتل مظلوما أوتى كفلين من الرحمة
ملك الأرض المقدسة معاوية وابنه قالوا ألا تذكر حسنا ألا تذكر حسينا
قال فعاد
لمثل كلامه حتى بلغ معاوية وابنه وزاد السفاح وسلام ومنصور وجابر والأمين وأمير
العصب كلهم لا يرا مثله ولا
يدرك مثله كلهم من بني كعب بن لؤي فيهم رجل من
قحطان منهم من لا يكون إلا يومين منهم من يقال له لتبايعنا أو لنقتلنك فإن لم
يبايعهم قتلوه
حدثنا محمد بن ثور وعبد الرزاق والحمد لله وحده وصلى الله على سيدنا محمد
واله وصحبه وسلم تسليما
পৃষ্ঠা - ২৬৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ারমুকের যুদ্ধের দিন একটি বইয়ে দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরপর হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর মৃত্যু বরন করলে যিনি খলীফা হবেন, তার নাম হচ্ছে, ওমর আল ফারুক। তিনি লৌহ মানবের মধ্যে গন্য হবেন। তার পরবর্তী যিনি খলীফা নিযুক্ত হবেন, তার নাম হচ্ছে, ওসমান যুননূরাইন। তাকে রহমতের বিরাট একটি অংশ দেয়া হবে, কেননা তাকে নির্মম ভাবে শহীদ করা হবে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন, সিফাহ, মানসূর, মাহদী, আল আমীন, সালাহ, আফিয়া। অতঃপর খুবই অত্যাচারীগন ক্ষমতা লাভ করবে। তাদের ছয়জন হবেন, কাব ইবনে লুআই এর বংশধর। আরেকজন হবেন, কাহতান গোত্রের। এদের প্রত্যেকে এমন নেককার হবেন, যার ন্যায় দ্বিতীয় কাউকে দেখা যাবেনা, বর্ননাকারী মুহাম্মদ ইবনে সিরীন রহঃ বলেন, আবুল জিলদ এরশাদ করেছেন, মানুষের আমল অনুযায়ী তাদের উপর বাদশাহ দেয়া হবে।
حدثنا محمد بن ثور
وعبد الرزاق عن معمر عن أيوب عن محمد بن سيرين عن عقبة بن أوس
عن عبد الله بن
عمرو بن العاص رضى الله عنهما قال وجدت في بعض الكتب يوم غزونا يوم اليرموك أبو بكر
الصديق أصبتم اسمه عمر الفاروق قرن من حديد أصبتم اسمه عثمان ذو النورين أوتي كفلين
من الرحمة لأنه قتل مظلوما أصبتم اسمه ثم يكون سفاح ثم يكون منصور ثم يكون مهدي ثم
يكون الأمين ثم يكون سين وسلام يعني صلاحا وعافية ثم يكون أمير الغضب ستة منهم من
ولد كعب بن لؤي ورجل من قحطان كلهم صالح لا يرى مثله
قال محمد وقال أبو الجلد
يكون على الناس ملوك بأعمالهم
পৃষ্ঠা - ২৬৫
পূর্বের ন্যায়।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن هشام عن ابن
سيرين عن عقبة بن أوس عن عبد الله بن عمرو نحوه
পৃষ্ঠা - ২৬৬
পূর্বের ন্যায়, তবে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তোমরা তাদের পর আর তাদের মত কাউকে পাবেনা।
حدثنا الوليد بن مسلم
عن سعيد عن قتادة عن عبد الله ابن عمرو نحوه إلا أنه قال لا ترون بعدهم مثلهم
পৃষ্ঠা - ২৬৭
হযরত সাঈদ ইবনে আব্দুল আজীজ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, দুইজন ওমর তোমাদের জিম্মাদারী পালন করেন,, এরপর দুই ইয়াযিদ ক্ষমতাসীন হবেন, দুই ওলীদ ক্ষমতার অধিকারী হবেন, অতঃপর দুই মারওয়ান ক্ষমতার মালিক হবেন, অতঃপর দুই মুহাম্মদ ক্ষমতাসীন হবেন। হযরত সুফিয়ান ইবনুল লাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসান ইবনে আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন, এমন এক লোক ক্ষমতার মালিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা, যে লোকের মলনালী হবে প্রসস্থ, তার খাদ্যনালী খুবই বড় হবে, যার কারনে সে অধিক ভক্ষন করলেও পেট ভরবেনা এবং তৃপ্ত হতে পারবেনা।
حدثنا الوليد حدثنا سعيد بن عبد العزيز عمن حدثه
أن رسول الله صلى
الله عليه وسلم قال يليكم عمر وعمر ويزيد ويزيد والوليد والوليد ومروان ومروان
ومحمد ومحمد
سمعت محمد بن فضيل عن السري بن إسماعيل عن عامر الشعبي عن سفيان بن
الليل قال سمعت حسن بن علي رضى الله عنهما يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم
يقول لا تذهب الأيام والليالي حتى يجتمع أمر هذه الأمة على رجل واسع السرم ضخم
البلعم يأكل ولا يشبع وهو م ع و ي
পৃষ্ঠা - ২৬৮
হযরত হেলাল ইবনে ইয়াসাফ রহঃ বর্ণনা করেন, তিনি হচ্ছেন, ঐ লোক যাকে হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ ওসমান রাযিঃ, পরবর্তী খলীফা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্য রোমের আমীরের নিকট পাঠিয়েছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রোমের শাসক একটি পুস্তক আনতে বললে সেটা দেখে বললেন, ওসমান ইবনে আফফান পরবর্তী খলীফা হবেন তোমাকে প্রেরনকারী মোয়াবিয়া।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن شمر بن
عطية عن هلال بن يساف قال حدثني البريد الذي بعثه معاوية إلى صاحب الروم يسأله من
الخليفة بعد عثمان
قال فدعى صاحب الروم مصحفا فنظر فيه
فقال الخليفة بعده
معاوية صاحبك الذي أرسلك
পৃষ্ঠা - ২৬৯
হযরত আবু সালেহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, একদা খলীফা ওসমান ইবনে আফফানের সাথে মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাযিঃ ভ্রমন করছিলেন, চলার পথে জনৈক গায়ক কবিতা আকারে বলছিলেন, ওসমান ইবনে আফফান পরবর্তী আমীর হবেন, আলী ইবনে আবি তালেব, শক্ত সমর্থ পুরুষ সকলে তার উপর রাজী থাকবে।
বর্ণনাকারী কাব রহঃ বলেন, কাফেলার এক পার্শ্বে হযরত মোয়াবিয়া ধূসর রংয়ের একটি খচ্চরের উপর আরোহন করে চলছিলেন। ঐ সময় কাব বলেন, আলীর পরবর্তীতে আমীর হবেন, ধূসর রংয়ের বাহনের উপর আরোহী লোকটি।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح قال كان
معاوية يسير مع عثمان فجعل الحادي يقول ... إن الأمير بعده علي ... وفي الزبير خلف
رضي
فقال كعب ومعاوية يسير في ناحية الموكب على بغلة شهباء فقال كعب الأمير
بعده صاحب البغلة الشهباء
পৃষ্ঠা - ২৭০
হযরত হারেস ইবনে ইয়াযিদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি উতবা ইবনে রাশেদ আস সাদাফী কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমরের বের হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম তিনি বলেন, আমি এক্ষুনি আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, জাব্বারদের পর জনৈক জাব্বারের আবির্ভাব হবে, যদ্বারা আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিয়াদেরকে শাস্তি দিবেন। এরপর মাহদী, মানসূর সালাম এবং গোত্রের জিম্মাদারগন ক্ষমতাশালী হবেন। এসময় পার হওয়ার পর যদি তোমার মৃত্যুর সামর্থ্য থাকে তাহলে যেন সে মারা যায়।
حدثنا ابن وهب حدثنا ابن لهيعة عن الحارث بن
يزيد قال سمعت عتبة بن راشد الصدفي قال سمعت عبد الله بن الحجاج ونحن ننتظر عبد
الله بن عمرو يخرج علينا قال
سمعت الآن عبد الله بن عمرو يقول يكون بعد
الجبارين الجابر يجبر الله به أمة محمد صلى الله عليه وسلم ثم المهدي ثم المنصور ثم
السلام ثم أمير العصب فمن قدر على الموت بعد ذلك فليمت
পৃষ্ঠা - ২৭১
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা হযরত ইসমাঈল আঃ এর বংশধরদের মধ্যে মোট বারোজন জিম্মাদার প্রেরন করবেন। তাদের সর্বোত্তম ও আফজাল হচ্ছেন, হযরত আবু বকর রাযিঃ হযরত ওমর রাযিঃ হযরত ওসমান যুননূরাইন রাযিঃ যাকে মাজলূম ও নির্মমভাবে শহীদ করা হবে। যিনি দ্বিগুন প্রতিদান প্রাপ্ত হবেন।
আরেকজন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে শাম দেশের শাসক থাকবেন, তার পুত্র, সিফাহ, মানসূর, সালাহ এবং আফিয়াহ।
حدثنا ضمرة عن ابن
شوذب عن أبي المنهال عن أبي زياد عن كعب قال
إن الله تعالى وهب لإسماعيل عليه
السلام من صلبه اثني عشر قيما أفضلهم وخيرهم أبو بكر الصديق وعمر بن الخطاب وعثمان
ذو النور يقتل مظلوما يؤتى أجره مرتين [ و ] ملك الشام وابنه والسفاح ومنصور وسين
وسلام يعني صلاحا وعافية
পৃষ্ঠা - ২৭২
ইয়াদূম আল হিময়ারী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি তাবী ইবনে আমের রহঃ কে বলতে শুনেছেন, সিফাহ নামক শাসক দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত জীবিত থাকবেন তাওরাত নামক আসমানী কিতাবে তার নাম তাইরুস সামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن يزيد بن عمرو
المعافري عن يدوم الحميري سمع تبيع بن عامر يقول يعيش السفاح أربعين سنة اسمه في
التوراة طائر السماء
পৃষ্ঠা - ২৭৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, অতিসত্ত্বর বেশ কয়েকজন খলীফা এই উম্মতের দায়িত্বভার গ্রহন করবেন, তাদের প্রত্যেকে নেককার এবং সালেহ হবেন। তাদের হাতেই অনেক ভূখন্ড জয় হবে। প্রথম বাদশাহ এর নাম হবে জাবের। বর্ণনাকারী ইবনে নুআইম রহঃ বলেন, তার হাতে আল্লাহ তাআলা মানুষদের উপর জুলুম করবেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি হবেন আল মুফরাহ। তিনি ছানা বিশিষ্ট পাখির মত হবেন।তৃতীয় বাদশাহ হবেন, যুল আসাব, তিনি দ্বীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতাসীন থাকবে। তাদের পর পৃথিবীতে আর কোনো কল্যান বাকি থাকবেনা। বর্ননাকারী বলেন, যুল আসাব আর কি বলা হয়েছে সেটা আমি ভুলে গিয়েছে। তবে তিনি ভাল লোক ছিলেন।
حدثنا ابن وهب عن عبد الرحمن بن زياد بن أنعم عن أبي
عبد الرحمن الحبلي عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضى الله عنهما قال سيلي أمر هذه
الأمة خلفاء يتوالون كلهم صالح وعليهم تفتح الأرضين كلها أولهم جابر قال ابن أنعم
يجبر الله الناس على يديه والثاني المفرح وهو كالطيرة لفروخها والثالث ذو العصب
يمكث أربعين سنة لا خير في الدنيا بعدهم قال ونسيت ما قال في ذي العصب وهو رجل صالح
পৃষ্ঠা - ২৭৪
হযরত মুগীছ আল আওযায়ী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ননা করেন, একদিন হযরত ওমর রাযিঃ কাব রহঃ কে জিজ্ঞাসা করেন যে, তার সম্বন্ধে কাব কি জানতে পেরেছে, জবাবে কাব রহঃ বলেন, সে একজন লৌহ মানব হবে এবং আল্লাহ তাআলার বিধান সাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনাকে ভয় পাবেনা। অতঃপর ওমর বললেন, এরপর কি বলা হয়েছে? জবাবে হযরত কাব রহঃ বললেন, আপনার পর এমন একজন খলীফা হবেন, যাকে তার উম্মতও প্রজাগন নির্মমভাবে হত্যা করবে। অতঃপর ওমর রাযিঃ জিজ্ঞাসা করেন, এরপর কি হবে। জবাবে হযরত কাব রহঃ বলেন, হযরত ওসমান কে হত্যা করার পর বিভিন্ন ধরনের ফেৎনাও বালা মসীবতের আত্নপ্রকাশ হবে।
حدثنا عثمان بن كثير بن دينار عن محمد بن مهاجر عن العباس بن سالم أن
عمير بن ربيعة حدثه عن مغيث الأوزاعي حدثه أن عمر سأل كعبا
كيف يجد نعته قال
قرن من حديد قال لا يخاف في الله لومة لائم
قال ثم مه
قال ثم يكون من بعدك
خليفة تقتله أمته ظالمين له
قال ثم مه
قال يم يقع البلاء بعد
পৃষ্ঠা - ২৭৫
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এবং ইয়াশু স্বাক্ষাৎ করেন, যিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নবী হিসেবে প্রেরীত হওয়ার পূর্বের কিতাব সমূহের আলেম ছিলেন, তারা উভয়জন পৃথিবীতে সংঘটিত হওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এক পর্যায়ে ইয়াশু রহঃ বলেন, জনৈক নবীর আত্নপজকাশ হবে এবং তার দ্বীন অন্যান্য দ্বীনের উপর প্রাধান্য বিস্তার করবে। তার উম্মতগন ও অন্য সকল উম্মতের উপর আধিক্য অর্জন করবে। তারা সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে। এসব কথা শুনে কাব বললেন, আপনি সঠিক কথাই বলেছেন, অতঃপর ইয়াশু তাকে বললেন, হে কাব! তাদের বাদশাহদের সম্বন্ধে আপনি কি কিছু জানেন? জবাবে হযরত কাব রহঃ বলেন, হ্যা, তাদের মধ্যে মোট বারোজন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহ করবেন। তাকে শহীদ করার পর আল আমীন ক্ষমতাধীন হবেন। তাকেও নির্মম ভাবে শহীদ করা হবে, অতঃপর বাদশাহদের প্রথম ব্যক্তি রাষ্ট্র পরিচালনা করার পর মৃত্যু বরন করবেন। এরপর সাহেবুল আহরাছ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মারা যাবেন। অতঃপর সাহেবুল আসাব ক্ষমতার মালিক হবেন। তিনিই হচ্ছেন, বাদশাহদের মধ্যে সর্বশেষ মৃত্যু বরনকারী। তারপর সাহেবুল আলামাত ক্ষমতার মালিক হওয়ার পর মারা যাবে। ইবনু মাহেক আযযাহাবিয়্যাতকে হত্যা করার পর পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ফেৎনা ফাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। ঐ সময় থেকে যাবতীয় বালা মসীবত দেখা যাবে এবং মানুষের কাছ থেকে ভ্রাতৃত্ববোধ উঠে যাবে। অতঃপর সাহেবুল আলামতের বংশধর থেকে চারজন বাদশাহ ধারাবাহিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের দুইজন এমন হবেন যাদের জন্য কোনো বই পুস্তক পাঠ করা হবেনা, আরেকজন কয়েক মাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ার পর নিজের বিছানায় মৃত্যু বরন করবেন। আরেকজন বাদশাহর আবির্ভাব হবে জারফ নামক এলাকার দিক থেকে তার হাতেই যাবতীয় বিশৃঙ্খলার সূচনা হবে এবং তার অধীনে শাহী মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। তিনি একশত বিশদিন পর্যন্ত হিমসের শাসনভার পালন করবেন। তার প্রতি তার ভূখন্ড থেকে এক ধরনের আতংক এগিয়ে আসবে যা তাকে এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করবে। অতঃপর জারফ নামক এলাকাতেও বালা মসীবত প্রকাশ পাবে। যার কারনে তাদের পরস্পরের মাঝে মারাত্নক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
حدثني أبو المغيرة عن ابن عياش قال حدثنا الثقات من مشايخنا عن كعب أنه التقى هو
ويشوع وكان عالما قارئا للكتب قبل مبعث النبي صلى الله عليه وسلم فتذاكرا أمر
الدنيا وما يحدث فيها
فقال يشوع يظهر نبي يظهر دينه على ألديان كلها وأمته على
الأمم يأمرون بالعروف وينهون عن المنكر
قال كعب صدقت
فقال له يشوع هل
عندك علم من ملوكهم يا كعب
قال نعم يملك اثنا عشر ملكا منهم أولهم صديق يموت
موتا ثم الفاروق يقتل قتلا ثم الأمين يقتل قتلا ثم رأس الملوك يموت موتا ثم صاحب
الأحراس يموت موتا ثم جبار يموت موتا ثم صاحب العصب وهو آخر الملوك يموت موتا ثم
يملك صاحب العلامة يموت موتا فأما الفتن فإنها تكون إذا قتل ابن ماحق الذهبيات فعند
ذلك يسلط البلاء ويرفع الرخاء وعند ذلك يكون أربعة ملوك من أهل بيت صاحب العلامة
ملكان لا يقرأ لهما كتاب وملك يموت على فراشه يكون مكثه قليل وملك يجيء من قبل
الجرف على يديه يكون البلاء وعلى يديه تكسر الأكاليل يقيم على حمص عشرين ومائة صباح
يأتيه الفزع من قبل أرضه فيرتحل منها فيقع البلاء بالجرف ويقع البلاء بينهم
পৃষ্ঠা - ২৭৬
হযরত ইউনুছ ইবনে মায়সারা আল জাবলানী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন। উক্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা মদীনা থেকে পরিচালিত হবে, পরবর্তীতে সেটা শাম দেশের দিকে চলে যাবে, অতঃপর জাযিরা থেকে পরিচালিত হবে অতঃপর ইরাক থেকে অতঃপর বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে, যখন রাষ্ট্র ক্ষমতা বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে পরিচালনা হতে থাকবে মূলতঃ তখনই সেটা ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। যারাই সেখান থেকে বের হবে উক্ত সমস্যা তাদেরকেও গ্রাস করে নিবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن مروان بن جناح عن يونس بن ميسرة الجبلاني قال
قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم هذا الأمر كائن بالمدينة ثم بالشام ثم بالجزيرة ثم
بالعراق ثم بالمدينة ثم ببيت المقدس فإذا كانت ببيت المقدس فثم عقر دارها ولا يخرج
من قوم فيعود إليهم
পৃষ্ঠা - ২৭৭
হযরত আরতাত ইবনে মুনজির রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে সংবাদ পৌছেছে, তিনি এরশাদ করেন, নবুওয়াতী দায়িত্ব আমার পরে তিন স্থান থেকে পরিচালিত হবে, মক্কা, মদীনা এবং শাম। এই তিন স্থান থেকে উক্ত দায়িত্ব সরে আসলে, সেটা আর কিয়ামত পর্যন্ত ফিরে আসবেনা।
حدثنا عبد القدوس عن أرطاة بن المنذر قال
بلغني
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أنزلت النبوة علي في ثلاثة أمكنة مكة والمدينة
والشام فإذا خرجت من أحدهن لم ترجع إلى يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ২৭৮
হযরত কুরাব ইবনে আবদে কুলাল থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত কাব এ আহবার রহঃ আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন, নিশ্চয় খলীফা মানসূর পনের খলীফার পাচ নম্বর খলীফা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
حدثنا ابن وهب
حدثنا ابن لهيعة عن عياش بن عباس قال سمعت يعفر بن حمرة يقول أخبرني عمي معدي كرب
بن عبد كلال يقول
قال لنا كعب الأحبار إن منصور خامس خمس عشرة خليفة
পৃষ্ঠা - ২৭৯
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, মানসূর সংবাদ দিয়েছেন, খলীফা মানসূর বনূ হাশেম থেকে হবেন।
حدثنا الوليد بن مسلم عن ابن لهيعة عن يزيد بن قوذر عن تبيع عن كعب قال
المنصور
منصور بني هاشم
পৃষ্ঠা - ২৮০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে ইয়ামান বাসী তোমাদের দাবি হচ্ছে, খলীফা মানসূর তোমাদের গোত্রের। না, কখনো নয় কসম সে সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রান রয়েছে, নিঃসন্দেহে খলীফা মানসূর এর পিতা কুরাইশ বংশের হবে। যদি আমি ইচ্ছা করি তার আখেরী দাদার প্রতি তাকে নিসবত করতে তাহলে অবশ্যই আমি সেটা করতে পারব।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن الحارث بن يزيد الحضرمي عن
الفضل بن عفيف الدؤلي
عن عبد الله بن عمرو أنه قال يا معشر اليمن تقولون إن
المنصور منكم فلا والذي نفسي بيده إنه لقرشي أبوه ولو شاء أن أنسبه إلى أقصى جد هو
له فعلت
পৃষ্ঠা - ২৮১
হযরত ইবনে আউন রহঃ মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, মোয়াবিয়া রাযিঃ এর পর যিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পালন করবেন, তার নাম হবে সালাম।
قال نعيم سمعت من يذكر عن ابن عون عن محمد قال السلام الذي يكون
بعد معاوية
পৃষ্ঠা - ২৮২
হযরত ইয়াদুম আল হিময়ারী রহঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি তাবী ইবনে আমের কে বলতে শুনেছি, সিফাহ নামক বাদশাহ দীর্ঘ চল্লিস বৎসর পর্যন্ত জীবিত থাকবেন, তার নাম তাওরাত নামক আসমানী কিতাবে আসমানের পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن يزيد بن عمرو المعافري عن يدوم
الحميري سمع تبيع بن عامر يقول السفاح يعيش أربعين سنة اسمه في التوراة طائر السماء
পৃষ্ঠা - ২৮৩
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গোত্রের আমীরগন তেমন কোনো যোগ্যতা সম্পন্ন না হলেও জিন ইনসান সকলের কথা শুনবে। তারা এমন এক লোকের হাতে বাইয়াত গ্রহন করবেন, যার নামে কোনো প্রকারের কলঙ্ক থাকবেনা। তবে তারা হবেন ইয়ামানী খলীফা। বর্ণনাকারী ওলীদ ইবনে মুসলিম রহঃ বললেন, কাবে আহবারের জানা মতে, তিনি হবেন ইয়ামানী, কুরাইশী এবং গোত্রের আমীর। তিনিও ইয়ামানী হবেন। তারা এবং তাদের অনুসারীগনকে বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে বের করে দেয়া হবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن جراح عن أرطاة قال أمير العصب ليس من ذي ولاذو
ولكنهم يسمعون صوتا ما قاله إنس ولا جان بايعوا فلانا باسمه ليس من ذي ولاذو ولكنه
خليفة يماني قال الوليد وفي علم كعب أنه يماني قرشي وهو أمير العصب و
العصب أهل
اليمن
ومن تبعهم من سائر الذين أخرجوا من بيت المقدس
পৃষ্ঠা - ২৮৪
হযরত আবু হোরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, কাহতানের এক লোক লোকজনকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবেনা।
حدثنا عبد
الرزاق عن معمر عن ابن أبي ذئب عن سعيد بن أبي سعيد المقبري
عن أبي هريرة رضى
الله عنه قال لا تذهب الأيام والليالي حتى يسوق الناس رجل من قحطان
পৃষ্ঠা - ২৮৫
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্বাছ রাযিঃ এর বংশধর থেকে মোট তিনজন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করবে, মানসূর, মাহদীও সিফাহ।
حدثنا
الوليد بن مسلم عن شيخ عن يزيد بن الوليد الخزاعي عن كعب قال
يملك ثلاثة من ولد
العباس المنصور والمهدي والسفاح
পৃষ্ঠা - ২৮৬
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে কাইস ইবনে জাবের আসসাদাফী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, পৃথিবীর বেশ কয়েকজন প্রতাপশালী ক্ষমতা পরিচালনা করার পর আমার বংশের জনৈক ন্যায়পরায়ন লোক ক্ষমতা গ্রহন করবেন। তিনি গোটা পৃথিবীতে ইনসাফে পরিপূর্ন করে দিবেন। অতঃপর কাহতানের একলোক ক্ষমতার মালিক হবেন। কসম সে সত্ত্বার যিনি আমাকে হক্ব নিয়ে প্রেরন করেছেন, দ্বিতীয়জন প্রথম খলীফা থেকে নিম্নমানের হবেন,
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن عبد الرحمن
بن قيس بن جابر الصدفي قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكون بعد الجبابرة
رجل من أهل بيتي يملأ الأرض عدلا ثم القحطاني بعده والذي بعثني بالحق ما هو دونه
পৃষ্ঠা - ২৮৭
হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ইমামগন কুরাইশ বংশ থেকে হবেন, তাদের উত্তম প্রজাদের খলীফাও উত্তম হবেন, এবং খারাপ প্রজাদের ইমামও খারাপ। নিঃসন্দেহে কুরাইশদের পর জাহিলিয়্যত বিহীন আর কিছুই থাকবেনা।
حدثنا هشيم عن العوام بن حوشب عمن حدثه
عن علي قال الأئمة من قريش
خيارهم على خيارهم وشرارهم على شرارهم ألا وليس بعد قريش إلا الجاهلية
পৃষ্ঠা - ২৮৮
হযরত ওমর ইবনে আব্দুর রহমান আয যিমারী রহঃ বর্ণনা করেন যে, নিতফানের কবরে একটি লিখিত পাথর পাওয়া যায়। আব্দুর রহমান বলেন, সেখানে আমি লিখিত দেখতে পেলাম যে, ক্ষমতায় থাকবে কোমল হৃদয়ের জোতিষি। এবাদত ইত্যাদিতে থাকবে দৃঢ়তাও উদ্যমী। তার সাথে পাওয়া যাবে অলঙ্কার ও সঞ্চিত বিষয় সমূহ। বৈধ করা হবে আগত ষাড়ের মাধ্যমে। তোমার সাথে হবে আমার হিযরত উত্তম হিমইয়ারের সহযোগিতায় অতঃপর নিকৃষ্ঠত হাবশীগন ক্ষমতার মালিক হবে। তাদের পর আযাদ পারস্য বাসিরা ক্ষমতাসীন হবেন। এরপর আশ্রয় গ্রহনকারী কুরাইশগন ক্ষমতার মালিক হবেন। এরপর নানান ধরনের বিশৃঙ্খলা সমাজে ছড়িয়ে পড়বে। প্রত্যেকবার যারা ক্ষমতার মসনদে বসবেন তারা হবেন খুবই বিচক্ষন এবং পরস্পরের সাথে শত্রুতা পোষনকারী। যারা তার বিরোধীতা কারীদেরকে কোনঠাসা করে রাখবেন।
حدثنا عبد الملك بن عبد الرحمن أبو هشام الذماري قال
حدثني عمر بن عبد الرحمن
الذماري قال وجد حجر في قبر نطفان
قال عبد الرحمن أدركت ذلك مكتوب فيه بالمسند
خورى وطرى كيل نسك زعلى وجمادى وبنلك حلى ومحرزى بح بثور عاد تكونن بك هجرى بحمير
الأخيار ثم للحبش الشرار ثم لفارس الأحرار ثم لقريش اتجار ثم حار محار جنح حار وكل
مره ذو شعتير زحر وهعدي زجره عنه مخوار
পৃষ্ঠা - ২৮৯
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন বাদশাহ সফলকাম জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয় হিমইয়ারুল আখইয়ার, অতঃপর যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, কোন শাসক সফলতার শীর্ষে অবস্থানকারী জবাব দেয়া হয় যে নিকৃষ্ঠতম হাবশী সম্প্রদায়। আবারো যখন জানতে চাওয়া হয় যে, কে সফল বাদশাহ, জবাবে তিনি বলেন, আসাদ পারস্যদের জন্য যাকে নির্বাচন করা হয়। আবারো জিজ্ঞাসা করা হয় যে, কোন বাদশাহ সফলকাম। জবাবে বলা হয় আশ্রয় দাতা কুরাইশের জন্য যাকে নির্বাচন করা হয়েছে। আবারো যখন জানতে চাওয়া হয় যে, কোন বাদশাহ সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছে, জবাবে বলা হলো, সামুদ্রীক হিমইয়ার বাসীদের জন্য যাকে নির্বাচন করা হবে। বর্ণনাকারী হাকাম রহঃ বলেন, হিমইয়ারের অর্থ হচ্ছে, ব্যবসায়ীগন।
حدثنا عثمان بن كثير والحكم
بن نافع عن سعيد بن سنان عن الوليد بن عامر النوني عن يزيد بن حمير
عن كعب قال
قيل لمن الملك ظفار قال لحمير الأخيار قيل لمن الملك ظفار قال للحبش الشرار قيل لمن
الملك ظفار قال لفارس الأحرار قيل لمن الملك ظفار قال لقريش اتجار قيل لمن الملك
ظفار قال إلى حمير بحار وقال الحكم لحمير التجار
পৃষ্ঠা - ২৯০
হযরত নাফে রহঃ থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রাযিঃ এরশাদ করেন, আমার সন্তানদের একজন যার চেহারা দাগ বিশিষ্ট থাকবে, তিনি ক্ষমতাসীন হবে। তিনি গোটাজগতে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে। হযরত নাফে রহঃ বলেন, আমার ধারনা হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ।
حدثنا عثمان بن عبد
الحميد عن بشر بن المفضل عن جويرية بن أسماء عن نافع قال
قال عمر بن الخطاب رضى
الله عنه يكون رجل من ولدي بوجهه شين يلي فيملأها عدلا قال نافع ولا أحسبه إلا عمر
بن عبد العزيز
পৃষ্ঠা - ২৯১
হযরত কাতাদাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ কে স্বপ্নে দেখলাম, তার পার্শ্বে ছিলেন, আবু বকর, ওমর, ওসমান ও আলী রাযিঃ আমাকে দেখে তিনি বলেন, কাছে এসো, একথা শুনে যখন আমি তার কাছে গিয়ে দাড়ালাম তখন তিনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, নিঃসন্দেহে তুমি অতিসত্ত্বর এই উম্মতের জিম্মাদারী গ্রহন করবে, এবং তাদের উপর ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে।
حدثنا روح بن عبادة عن سعيد بن أبي عروبة عن قتادة قال
قال عمر بن عبد العزيز رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في النوم وعنده أبو
بكر وعمر وعثمان وعلي رضى الله عنهم فقال لي أدنه فدنوت حتى قمت بين يديه فرفع إلي
بصره
فقال أما إنك ستلي هذه الأمة وستعدل عليهم
পৃষ্ঠা - ২৯২
হযরত ওলীদ ইবনে হিশাম রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন ইহুদীর সাথে আমার স্বাক্ষাৎ হলে তিনি আমাকে বললেন, হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ অতি সত্ত্বর এই জিম্মাদারী গ্রহন করবে এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন। পরবর্তীতে আবারো তার সাথে স্বাক্ষাৎ হলে তিনি আমাকে বলেন, নিঃসন্দেহে তোমার সাহেব দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন, আপনি তাকে বলেন, যেন সে নিজেকে সংস্কার করতে পারে। আমি তার সাথে স্বাক্ষাৎ করে ঘটনাটি বললাম, আমার কথা শুনে তিনি বললেন, তোমার ধ্বংস হোক, আমি সে ব্যাপারে কিছুই জানিনা। তবে আমি এতটুকু জানি যে, একটি সময় আসবে আমি তখন পানি পান করাবো। যদি ঘোষনা দেয়া হয় যে, আমার সুস্থতা আমার কানের লতি স্পর্শ করার মাঝে নিহিত হয়েছে তাহলে আমি সেটা গ্রহন করব। অথবা যদি আমার সামনে কোনো সুগন্ধি পেশ করা হয় এবং আমি সেটকে গ্রহন করার জন্য আমার নাকের দিকে নিয়ে যাই তাহলে আমি সেটা করব।
حدثنا ضمرة بن ربيعة
عن علي بن أبي حملة عن الوليد بن هشام قال
لقيني يهودي فأعلمني أن عمر بن عبد
العزيز سيلي هذا الأمر وسيعدل فيه ثم لقيني بعد فقال لي إن صاحبك قد سقي فمره
فليتدارك نفسه فلقيته فذكرته له فقال لي قاتله الله ما أعلمه لقد علمت الساعة التي
سقيت فيها ولو كان شفائي أن أمس شحمة أذني ما فعلت أو أوتي بطيب فأرفعه إلى أنفي
فأشمه ما فعلت
পৃষ্ঠা - ২৯৩
হযরত ওমর রাযিঃ এর মোয়াজ্জিন উকাইলী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন হযরত ওমর রাযিঃ আমাকে খ্রীষ্টান ধর্ম যাজকের কাছে পাঠালেন, যেন তাকে ডেকে আনা হয়। তিনি উপস্থিত হলে হযরত ওমর তাকে বললেন, তোমার জন্য শুভ কামনা রইল, তোমদের কাছে কি আমার কোনো বৈশিষ্ট জানা আছে। জবাবে সে বলল, হ্যা হে আমীরুল মুমিনিন! তার কথা শুনে ওমর রাযিঃ বললেন, সেটা কেমন, জবাবে বলা হলো লোহার শিংয়ের ন্যায় ওমর রাযিঃ জিজ্ঞাসা করলেন, সেটা আবার কি? বিশপ বললেন, শক্তিশালী একজন পুরুষ। হযরত ওমর রাযিঃ আলহামদুলিল্লাহ বলে বললেন তারপর কি রয়েছে। জবাবে বিশপ বললেন, আপনার পর এমন একজন খলীফা হবেন, তার মধ্যে তেমন কোনো রনশক্তি না থাকলেও তিনি তার নিকটাত্নীদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন, একথা শুনে হযরত ওমর রাযিঃ বললেন, আল্লাহ তাআলা যেন, ওসমানের উপর দয়া করেন!
আল্লাহ তাআলা যেন, ওসমানের উপর দয়া করেন!!
এরপর ওমর জানতে চান, তারপর কি হবে? জবাবে বিশপ বললেন, পাথরের মধ্যে আঘাত করা হবে। হযরত ওমর রাযিঃ তার ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাব দেন, উন্মোক্ত তলোয়ার এবং ব্যাপক হারে গন হত্যা চলতে থাকবে। একথাটি হযরত ওমরের কাছে খুবই বেদনাদায়ক মনে হওয়ায় তিনি বললেন, গোটা দিন তোমার ধ্বংস হোক। অতঃপর উক্ত ধর্ম যাজক বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! এরপর কিন্তু একটি দল গঠিত হবে। বর্ণনাকারী ওকাইলী বলেন, এরপর ওমর রাযি আমাকে বললেন, হে ওকাইলী! দাড়িয়ে আযান দাও। তারপর তিনি খ্রীষ্টীয় ধর্ম যাজকের কাছে আর কিছু জানতে চেয়েছেন কিনা আমি জানিনা।
حدثنا محمد بن منيب المعدي عن السري بن يحيى حدثنا
بسطام بن مسلم عن العقيلي مؤذن عمر بن الخطاب قال
بعثني عمر رضى الله عنه إلى
أسقف من الأساقفة فدعوته له فقال له عمر ويحك أتجدون نعتنا عندكم
قال نعم يا
أمير المؤمنين
قال كيف تجدوني
قال نجدك قرنا من حديد
قال وما قرن من
حديد قال قوي شديد
قال عمر الحمد لله
قال ويحك ثم مه
قال ثم رجل من
بعدك ليس به بأس على أنه يؤثر أقرباءه
فقال عمر رحم الله عثمان رحم الله عثمان
قال ويحك ثم مه قال ثم صدع في حجر قال وما صدع في حجر
قال سيف مسلول ودم
مسفوك
قال فكبر ذلك على عمر فقال تبا لك سائر اليوم
فقال الأسقف يا أمير
المؤمنين فإنها ستكون بعد ذلك جماعة قال
فقال لي عمر قم فأذن فلا أدري هل سأله
بعد ذلك شيئا أم لا
পৃষ্ঠা - ২৯৪
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা নবী, খলীফা এবং বাদশাহ একমাত্র গ্রাম এবং শহর বাসীদের থেকে প্রেরন করেছেন, অবশ্যই তারা উক্ত দায়িত্ব গ্রাম ও শহর বাসীদের মধ্য থেকে হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
حدثنا الحكم بن نافع عن صفوان بن عمرو عن شريح ابن
عبيد عن كعب قال
لم يبعث الله تعالى نبوة ولا جعل خلافة ولا ملكا إلا في أهل
القرى والحضارة كانوا لايطعمون أن يجعلها في أهل عمود ولا بدو
ما يذكر في
ملك بني أمية وتسمية أساميهم بعد عمر رضى الله عنه