ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১৩১৩
হযরত শুরাইহ ইবনে উবাইদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন:

আমি হযরত কাব রহঃ কে বলতে শুনেছি, বায়তুল মোকাদ্দাসের ধ্বংসের পর পরই কুস্তুনতিনিয়া আবাদ করা হবে। সেখানে অনেকে সম্মানিত এবং বড়ত্ব প্রদর্শন করবে, অতপর তাদেরকে বড়ত্ব প্রদর্শনকারী হিসেবে আহ্বান করা হবে। তখন সে বলবে আমার প্রভুর আরশ পানির উপর স্থাপন করা হয়েছে এবং আমিই সেটাকে পানির উপর প্রতিষ্ঠা করেছি।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের পূর্বে আযাব দেয়ার ওয়াদা করেছেন। এরপর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি অবশ্যই তখন তোমার অলঙ্কার, তোমার কাপড় এবং উড়না ছিনিয়ে নিব এবং তোমাকে এমন এলাকায় ছেড়ে দিব সেখানে মোরগ পর্যন্ত ডাকবেনা। তোমার এলাকায় শিয়াল ব্যতীত কোনো জীবজন্তু আবাদ হবেনা। সেখানে কোনো গাছপালা, পাথর, ঘাস বলতে কিছুই থাকবেনা এবং তোমার উপর আমি তিন প্রকারের আগুন অবতীর্ন করব। এক প্রকারের আগুন হবে আলকাতরার, দ্বিতীয় প্রকারের হবে দিয়শলাইয়ের এবং তৃতীয় প্রকারের আগুন হবে পেট্রোলের। এবং আমি টেকো মাথা এবং উদ্ভিদ বিহীন ভূখন্ডের অধিকারী করে ছাড়বো। আসমানের নিচে জমিনের উপরে তোমার সাথে কেউ থাকবেনা। তোমার চিৎকার এবং আহাজারী কোথাও পৌছবেনা। এবং আসমানের উপর আধিষ্ঠিত থাকব। যেহেতু সে দীর্ঘ দিন থেকে আল্লাহর সাথে শিরক করে আসছিল এবং আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্যের উপাসনায় লিপ্ত ছিল।

যে প্রতিবেশী তার সৌন্দর্যে পাগল হয়ে বারবার তাকে সূর্যের সাথে দেখতে চেয়েছিল সে এসে তোমার দরজায় করাঘাত করবে। যারা তার মালিকানাধীন ঘরের দিকে পায়ে হেটে আসতে চেয়েছিল তারা আর কখনো দূর্বল হবেনা। যেহেতু তারা সেখানে প্রায় বারোজন বাদশাহর সম্পদ প্রাপ্ত হবে প্রত্যেকের সম্পদে বৃদ্ধিই পেতে থাকবে কোনো ধরনের কমতি হবে না। সেই সম্পদ গরুর সমতুল্য হবে, আর কারো কারো সম্পদ হবে শিশার তৈরি ঘোড়ার সমতুল্য। যেগুলোর মাথার উপর পানি প্রবাহিত থাকবে।

তাদের সম্পদগুলো ঢালের উপর রেখে বন্টন করা হবে এবং কুড়াল দ্বারা সেটা কর্তন করা হবে। তারা এমন অবস্থায় দিনাতিপাত করতে গেলে হঠাৎ করে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওয়াদাকৃত আগুন এসে যাবে। এ অবস্থা দেখে তারা সাধ্যমত মাল-সামানা বহন করে নিয়ে যাবে এবং ফরকাদুনা নামক স্থানে সেটা বন্টন করবে।

অতঃপর শামের দিক থেকে হঠাৎ সংবাদ এসে পৌছবে যে, দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে, একথা শুনে তারা হাতের সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে দৌড় দিবে এবং শামে পৌছে জানতে পারবে সংবাদটি প্রতারনা এবং মিথ্যা ছিল।

হাদীস বর্ননাকারী আবু আইউব রহঃ বলেন, শব্দটি হচ্ছে, নাফজাতুন। তিনি আরো বলেন, ঐ সময় যারা নিজেদের ঘরের দেয়ালের উপর দাড়াবে, তারা ভয়ে আতংকে প্রশ্রাব করে দিবে।
حدثني أبو أيوب عن أرطاة عن شريح عن كعب
وبقية بن الوليد وأبو
المغيرة عن صفوان بن عمرو حدثنا شريح بن عبيد قال
سمعت كعب الحبر يقول سميت
القسطنطينية
بخراب بيت المقدس فتعززت وتجبرت
فدعيت المستكبرة
وقالت يكون عرش ربي
بني على الماء
فقد بنيت على الماء
فوعدها الله تعالى العذاب قبل يوم القيامة فقال
لأنزعن حليك وحريرك وخميرك ولأتركنك لا يصيح فيك ديك ولا أجعل لك عامرا إلا الثعالب
ولا نباتا إلا الحجارة والينبوت و
لأنزلن عليك ثلاث نيران
نار من زفت ونار من كبريت
ونار من نفط ولأتركنك جلحاء قرعاء لا يحول بينك وبين السماء شيء وليبلغن صوتك
ودخانك وأنا في السماء فإنه طال ما أشرك بالله تعالى فيها وعبد غيره وليقترعن فيها
بجوار ما يكدن يرين الشمس من حسنهن فلا يعجزن من بلغ منكم أن
يمشي منكم إلى بيت
بلاط ملكهم
فإنكم ستجدون فيه
كنز إثني عشر ملكا
من ملوكهم كلهم يزيد فيه ولا ينقص
منه على تماثيل بقر أو خيل من نحاس يجري على رؤسها الماء
فليقتسمن كنوزها كيلا
بالأترسة
وقطعا بالفؤس فإنكم منه على ذلك حتى يعجلكم النار التي وعدها الله
فتحتملون ما استطعتم من كنوزها
حتى تقتسموه بالفرقدونه
فيأتيكم آت من قبل الشام إن
الدجال قد خرج فترفضون ما في أيديكم فإذا بلغتم الشام وجدتم الأمر باطلا وإنما هي
نفجة كذب
وقال أبو أيوب نفجة وقال في الفرقدونه وقال لا يقوم رجل من بيته
إلى جدار من جدرك يبول عليك
পৃষ্ঠা - ১৩১৪
হযরত কাব রহঃ বলতেন, যখন সবচেয়ে বড় যুদ্ধ, অর্থাৎ, রোমের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, তখন তোমাদের এক তৃতীয়াংশ পলায়ন করে রোম বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে, দ্বিতীয় আরেক তৃতীয়াংশ বেরিয়ে পড়বে। আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে নিরাপদে রাখবেন। তবে আল্লাহ তাআলা তাদের অবশিষ্টদের প্রতি এক প্রকারের পাখি প্রেরন করবেন, যারা তাদের চোখ উপড়ে ফেলবে। ফলে বাকি লোকজন বিকৃতাবস্থায় পড়ে থাকবে। হে আল্লাহর বান্দাগন! তোমাদের কেউ এমন অবস্থার সম্মুখিন হলে নিজেকে কাপুরুষতা থেকে বাচিয়ে রেখে যেন পালানের নিচে এসে প্রবেশ করে। অথবা উক্ত পালানের খুটি শক্ত করে ধরবে এবং ধৈর্য্য ধারন করবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা এ তৃতীয় দলকে অবশ্যই সাহায্য করবেন। এটা তখনই হবে যখন তোমাদেরকে রোম বাহিনী দুর্বল করে ফেলবে এবং তোমাদের প্রতি তারা লোভী হয়ে উঠবে। রোমীরা বলবে সকাল হলেই তোমরা নিজেদের ঘোড়ার উপর আরোহন করতঃ মুসলমানদেরকে পিসে মাটির সাথে মিশে দাও, যেন এ জমিনে কেউ কখনো ইসলামের কথা বলতে না পারে। তার কথা শুনে আল্লাহ তাআলা খুবই রাগান্বীত হবেন এক পর্যায়ে চতুর্থ আসমানে থাকা আল্লাহর হাতিয়ারও আযাবকে সম্মোধন করে বলবেন, এ পৃথিবীতে একমাত্র আমার দ্বীন ইসলাম এবং আমিই বাকি থাকব। আর ইয়ামান বাসিও কাইস বাকি থাকবে। আজ আমি আমার বান্দাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করব। আল্লাহ তাআলার দুই হাত দুই কাতারের উপর থাকবে। উক্ত হাতকে কোনো গোত্রের উপর প্রসারিত করলে তারা পরাজিত হয়ে পৃষ্টপ্রদর্শন করতে বাধ্য হয়। হে ইয়ামান বাসিরা! তোমরা কাইসের সাথে শত্রুতা পোষন করোনা। হে কাইস! তোমরা ইয়ামান বাসিকে ভালোবাসো। যেহেতু কাইস বাসির ব্যক্তিগতও চারিত্রিকভাবে উত্তম মানুষদের অন্তর্ভুক্ত। কসম সে সত্তার যার হাতে কাবের প্রান, হে ইয়ামান বাসিরা! কাইসও তোমরাই সেদিন ইসলাম ধর্মের উপর পুরোপুরি অবিচল থাকবে। সেদিন কাইস গোত্রের লোকজন অনেক দুশমনকে হত্যা করলেও দুশমনের কেউ তাদেরকে হত্যা করতে পারবেনা। তেমনিভাবে বনী আযদও শত্রুদেরকে হত্যা করবে, তবে তাদেরও কতক লোক মারা যাবে। আর লাখমও জুযাম গোত্রের লোকজনও শত্রুদেরকে হত্যা করবে এবং শত্রুরা তাদের কাউকে হত্যা করতে পারবেনা।
قال صفوان وحدثني شريح بن عبيد وسليم بن
عامر الجبائرين
أن كعبا كان يقول إذا كانت الملحمة العظمى ملحمة الروم هربت
منكم ثلة فلحقت بالعدو خرجت ثلة أخرى فأسلموكم خسف الله ببعضهم وبعث على من بقي
منهم طيرا يخطف أبصارهم ثم تبقى الثلة الباقية فيا عباد الله
من أدرك ذلك منكم
فغلبته نفسه على الجبن
فليدخل تحت إكافة أو يمسك بعمود فسطاطه وليصبر فإن الله
تعالى ناصر الثلة الباقية وذلكم حين يستضعفكم الروم ويطمعون فيكم
يقول صاحب
الروم إذا أصبحتم فاركبوا على ذات حافر من الدواب ثم أوطؤهم وطئة واحدة لا يذكر هذا
الدين في الأرض أبدا يعني الإسلام
قال فيغضب الله تعالى عند ذلك حتى يكون في السماء
الرابعة وفيها سلاح الله وعذابه فيقول
لم يبق إلا أنا وديني الإسلام وأهل اليمن قيس
لأنصرن عبادي اليوم ويد الله بين الصفين إذا أمالها على قوم كانت الدبرة عليهم فيا
أهل اليمن لا تبغضوا قيسا ويا قيس أحبوا اهل اليمن فإن قيسا من خيار الناس أنفسا
وأخلاقا والذي نفس كعب بيده لا يجالد عن دين الإسلام يومئذ إلا أنتم يا أهل اليمن
وقيس وقيس يومئذ يقتلون الأعداء ولا يقتلون والأزد يقتلون الأعداء ويقتلون أو قال
ولا يقتلون ولخم وجذام يقتلون الأعداء ولا يقتلون
পৃষ্ঠা - ১৩১৫
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সাবা এবং কাযের এর সন্তানদের হাতে কুস্তুনতিনিয়া নগরীর বিজয় হবে।
قال صفوان وأخبرني
شريح بن عبيد وأبو المثنى
عن كعب قال تفتح القسطنطينية على يدي ولد سبأ وولد
قاذر
পৃষ্ঠা - ১৩১৬
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, অতিসত্তর ইয়াফা এলাকার ঘটনা সংঘঠিত হবে, যার মধ্যে মুসলমানগন তাদেরকে হত্যা করবে। যে যুদ্ধটি লাগাতার বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনিও রবিবার পর্যন্ত চলতে থাকবে। এরপর সোমবার দিন আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে বিজয়ী করবেন। হাদীস বর্ননাকারী হযরত সফওয়ান রহঃ বলেন, আমি এহাদীসটি সম্বন্ধে হযরত খালেদ ইবনে কায়সানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার কাছে আমার পিতা হাদীস বর্ননা করেছেন, তিনি বলেন, ইয়াফা নগরীতে যখন আল্লাহ তাআলা রোম বাহিনীকে পরাজিত করবেন তখন তারা সেখান থেকে চলে গিয়ে আমাক নামক স্থানে সংঘটিত হবে। অতঃপর সে এলাকায় মারাতœক এক যুদ্ধ হবে।
حدثنا بقية عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب قال تكون
وقعة
بيافا
يقاتلهم المسلمون تقع الأربعاء والخميس والجمعة والسبت والأحد ثم
يفتح الله
للمسلمين يوم الإثنين
قال صفوان فسألت عن ذلك خالد بن كيسان فقال حدثني أبي قال
إذا هزم الله الروم من
يافا
,
ساروا حتى يجتمعوا
بالأعماق
فتكون الملحمة ملحمة
الأعماق
পৃষ্ঠা - ১৩১৭
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, অতিসত্তর তোমরা কায়সারিয়াতুর রোম আবাদ করবে তখন মুসলমানগন সে এলাকার পাহাড় গুলোকে রশিও পরিমাপের স্কেলের বিনিময়ে বিক্রি করবে। সে সময় পৃথিবীতে শান্তি এবং নিরাপত্বা এমন ভাবে বিরাজ করবে জনৈকা মহিলা একাকীভাবে তার গাধার উপর আরোহন করে বায়তুল মোকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। একমাত্র তার সাথে পিছনে পিছনে তার কুকুরই আসবে। সে মহিলা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করবে বায়তুল মোকাদ্দাসের সহজ রাস্তা কোনটি। এভাবে চলার পথে সে কাউকে ভয় করবেনা। লোকজনের কাছ থেকে কোনো প্রকারের আশংকা বোধ করবেনা, এমনকি হাতে কোনো লাঠিও রাখবেনা, যেটা থাকবে এক সময় সেটাকেও ফেলে দিবে। একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কাউকে ভয় করবেনা।
حدثنا عبد القدوس عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب قال
ستعمر
قيسارية الروم
حتى يقسم المسلمون مرجها بالحبال والأذرع حتى تخرج المرأة تريد
بيت المقدس آمنة على حميرها يتبعها كلبها تسأل أي الدروب أقرب إلى بيت المقدس لا
تخاف شيئا ويأمن الناس وتلقى العصى
পৃষ্ঠা - ১৩১৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর আবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে রোমবাহিনী ছিন্নভিন্ন করতে করতে বের করে দিবে। এমনকি তোমাদেরকে লাখমও জুযাম এলাকায় ছাউনি ফেলতে বাধ্য করবে। একপর্যায়ে তোমাদেরকে পৃথিবীর একপ্রান্তে কোনঠাসা হতে বাধ্য করবে।
حدثنا بقية عن صفوان عن حاتم بن حرب
عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال لتخرجنكم الروم كفرا كفرا حتى يوردونكم
[
لخماو ] جذام حتى يجعلونكم في طنبوب من الأرض
পৃষ্ঠা - ১৩১৯
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আল্লাহ তাআলা শামবাসিদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন, যখন রোম বাহিনীর সাথে তাদের মারাতœকক যুদ্ধ হবে। উক্ত যুদ্ধে রোম বাহিনীর আক্রমনে আহলে ইয়ামনের মুসলমানগন দুই দফায় আক্রান্ত হবে এবং প্রথম দফায় সত্তর হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় প্রায় আশি হাজার ইয়ামানী মারা যাবে। তাদের তলোয়ার বহনকারী আলÑমাসাদ বলবে, আমরা হলাম সিঃসন্দেহে আল্লাহর বান্দা এবং আল্লাহর দুশমনদের সাথে আমরা যুদ্ধ করব। আল্লাহ তাআলা তাদের উপর থেকে মহামারী, দূর্ভিক্ষ এবং বালাÑমসিবত উঠিয়ে নিবেন। ফলে ঐ সময় শাম নগরী থেকে নিরাপদও ভালো আবাহওয়া বিশিষ্ট কোনো এলাকা থাকবেনা। অথচ কিছুুদিন আগেও শাম দেশ ছিল মহামারী, দুর্ভিক্ষও নানান ধরনের বালাÑমসিবতে জর্জরিত শহর
হাদীস বর্ননাকারী হযরত কাব রহঃ বলেন, নিঃসন্দেহে পশ্চিমাদের মধ্যে একজন বাদশাহ হবেন, যে বাদশাহ শামবাসিদেরকে এক হাজার বার উৎখাতের ওয়াদাবদ্ধ হবে। তার গননা শেষ হলে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি তীব্র বাতাস প্রবাহিত করবেন, এক পর্যায়ে তারা উক্ত এলাকা ত্যাগ করে চলে যেতে থাকবে এবং তাদেরকে আল্লাহ তাআলা আক্কা এবং নাহরের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে ফেলবেন, অতঃপর সকল সৈন্য একে অপরকে সাহায্য করতে ব্যস্ত হয়ে যাবে। বর্ননাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সে নাহারটি কোনটি। জবাবে তিনি বললেন, মেহরাকুল আরনাত, অর্থাৎ হিমস নগরীর একটি ছোট্র নদী। আর উক্ত নদী আকরা এবং মসীসা স্থানের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
حدثنا بقية حدثنا عبد
القدوس عن صفوان عن عامر ابن عبد الله أبي اليمان الهوزني
عن كعب قال
إن
الله تعالى يمد أهل الشام
إذا قاتلهم الروم في الملاحم بقطيعتين دفعة سبعين ألفا
ودفعة ثمانين ألفا
من أهل اليمن
حمائل سيوفهم المسد
يقولون نحن عباد الله حقا
حقا نقاتل أعداء الله
رفع الله عنهم الطاعون
والأوجاع والأوصاب حتى
لا يكون بلد
أبرأ من الشام
ويكون ما كان في الشام من تلك الأوجاع والطاعون في غيرها
قال كعب
و
إن بالمغرب لحمل الضان ملك
من ملوكهم
يعد لأهل الشام ألف قلع
وكلما أعدها
بعث الله
عليها قاصفا من الريح
حتى يأذن الله بخروجها فترسى ما بين عكا والنهر فيشغلوا كل
جندان يمد جندا
فسألته أي نهر هو
قال مهراق الأرنط نهر حمص ومهراقة ما بين
الأقرع إلى المصيصة
পৃষ্ঠা - ১৩২০
হযরত বশির ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াছার রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুলাহ ইবনে বুসর রাযিঃ আমার কান ধরে বলেন, হে ভাতিজা! হয়তো তুমি কুস্তুনতিনিয়া নগরীর বিজয়ের যুগ পেয়ে থাকবে। যদি তুমি সে এলাকার বিজয় পেয়ে যাও তাহলে সেখানের কোনো গনীমত গ্রহন করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা কুস্তুনতিনিয়ার বিজয় এবং দাজ্জালের আবির্ভাবের মাঝখানে মাত্র সাত বৎসরের পার্থক্য থাকবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن بشير بن عبد الله بن
يسار قال
أخذ عبد الله بن بسر المزني صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم بأذني
فقال يا ابن أخي لعلك تدرك فتح قسطنطينية
فإياك إن أدركت فتحها أن تترك غنيمتك
منها
فإن بين فتحها وبين خروج الدجال
سبع سنين
পৃষ্ঠা - ১৩২১
হযরত ইয়াহ ইয়া ইবনে আবু আমর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, রোম বাহিনী চল্লিশদিন পর্যন্ত বায়তুল মোকাদ্দাসে নাকুস স্থাপন করবে। এক পর্যায়ে মুসলমান এবং রোম বাহিনী ত’র পাহাড়ের পার্শে অবস্থিত এক পাহাড়ের পাদদেশে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। এযুদ্ধে রোম বাহিনীর কাছে মুসলমানগন পরাজিত হবে। তাদেরকে ধাওয়া করে আরীহা নামক এলাকা পর্যন্ত নিয়ে যাবে এরপর তাদেরকে দাউদ গেইট দিয়ে বের করে দিবে। এভাবে তারা মুসলমানদেরকে হত্যা করতে করতে সমুদ্রের পার্শে নিয়ে যাবে। যার কারনে বায়তুল মোকাদ্দাসের নিকটে একটি এলাকার নাম কিয়ামত পর্যন্ত আওদিয়াতুল জীফ হিসেবে উল্লেখ থাকবে।
ضمرة عن يحيى بن أبي عمرو
السيباني قال
لتضربن الروم النواقيس ببيت المقدس أربعين يوما
حتى يلتقي بشر
المسلمين وبشر الروم بجبل طور زيتا
ثم تكون الدبرة للمسلمين على الروم فيخرجونهم
إلى باب أريحاء
ثم يخرجونهم من باب داود فلا يزال يقتلونهم
حتى يبلغوا بهم البحر
فتسمى فيما بينهم وبين بيت المقدس أودية الجيف إلى يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ১৩২২
হযরত আবু কাবীল রহঃ একাধিক সাহাবায়ে কেরাম রাযিঃ থেকে বর্নিত, তারা বলেন, মুসলমান এবং রোম বাহিনীর মাঝখানে মারাতœক এক যুদ্ধ সংগঠিত হবে, এক পর্যায়ে মুসলমানগন তাদের প্রতি বিশাল এক বাহিনী কুস্তুসতুনিয়া নামক এলাকায় প্রেরন করবে। যারা মুসলমানদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে। তখন হঠাৎ করে পিছন থেকে রোম বাসিরা মুসলমানদের উপর আক্রমন করে বসবে। অতঃপর মুসলমান এবং রোম বাহিনী সাজ সাজ রব নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করবে। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে রোম বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং রোম বাহিনী নির্মম ভাবে পরাজিত হবে। এহেন পরিস্থিতিতে রোম বাহিনী থেকে একজন লোক দাড়িয়ে বলবে ক্রুশের জয় হয়েছে। তার কথা শুনে জনৈক মুসলমান চিৎকার করে বলে উঠবে, ক্রুশ নয় বরং আল্লাহ তাআলারই জয় হয়েছে। উভয়দল একে অপরের প্রতি তেড়ে আসবে এক পর্যায়ে মুসলমান লোকটি রোমী সৈন্যের দিকে এগিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করবে। একাজটি দেখার সাথে সাথে রোম বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে। এবং কুস্তুনতিনিয়া এলাকার দিকে ফিরে যাবে এবং ঈমান গ্রহন করবে। মুমিন হওয়া সত্ত্বেও যখন তাদেরকে হত্যা করা হবে। তাদের হত্যা করা দেখে তারা অনুধাবন করবে যে, নিশ্চয় মুসলমানগন তাদের প্রত্যেককে হত্যা করে ফেলবে তখন রোম বাহিনী আশিজন লোকের নেতৃত্বে বিশাল এক কাফেলা প্রেরন করবে এবং প্রত্যেকের অধীনে বারো হাজার সৈন্য থাকবে। হাদীস বর্ননাকারী আবু কাবীল রহঃ বলেন, রোম বাহিনী প্রকাশ করলে তাদের সাথে মোকাবেলা করার কারো শক্তি থাকবেনা। সেদিন তাদের সাথে তুর্কী, বারজান এবং সাকালিবা সহ অনেক সৈন্য থাকবে।
حدثننا رشدين عن ابن لهيعة والليث بن سعد عن أبي قبيل
عن غير واحد من أصحاب
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يكون بين المسلمين وبين الروم هدنة على أن
يبعث
المسلمون إليهم جيشا يكون بالقسطنطينية غوثا لهم
فيأتيهم عدو من ورائهم يقاتلونهم
فيخرج إليهم المسلمون والروم معهم فينصرهم الله عليهم ويهزمونهم ويقتلونهم
فيقول قائل من الروم غلب الصليب
ويقول قائل من المسلمين بل الله غلب
فيتراجع القوم ذلك بينهم فيقوم المسلم إلى الرومي فيضرب عنقه فتنتكث الروم حتى
إذا رجعوا إلى القسطنطينية وأمنوا قتلوهم وهم آمنون فإذا قتلوهم عرفوا أن المسليمن
سيطلبونهم بدمائهم فيخرج الروم على ثمانين غياية تحت كل غياية إثنا عشر ألفا
قال أبو قبيل فإذا جاءت الروم لم يكن للناس بعدهم قوام
ومعهم يومئذ الترك
وبرجان والسقالبة
পৃষ্ঠা - ১৩২৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, যখন দুই আতীক অর্থাৎ, আতীকুল আরব, আতীকুর রোম পৃথিবীর উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকবে তখন উভয়ের মাঝে মারাতœক যুদ্ধ সংগঠিত হতে থাকবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن عبد الله
بن عمرو رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا ملك العتيقان
عتيق العرب وعتيق الروم كانت على أيديهما الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩২৪
হযরত মুহাজির ইবনে হাবীব রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, হিরাক্লিয়ার্সের পঞ্চম বংশের এক নেতৃত্বে মারাতœক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। প্রথমে হিরাকল নের্তত্ব দিবে, এরপর তার ছেলে কিস্তাহ ইবনে হিরাকল, এরপর তার ছেলে কুস্তুনতিন ইবনে কিস্তাহ, এরপর তার ছেলে ইস্তেপার ইবনে কুস্তুনতিন। অতঃপর হেরাকলের বংশধর থেকে রোমের এক বাদশাহ আতœপ্রকাশ করবে, যে লাবুন এলাকার শাসক হবে। এরপর তার ছেলে শাসক হবে, অতঃপর ঐ ছেলের হাতে ক্ষমতা আসবে সে বাদশাহর যুগে কঠিন যুদ্ধ হবে।
حدثنا أبو المغيرة عن
أرطاة بن المنذر عن المهاجر بن حبيب
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال
الخامس من آل هرقل الذي يكون على يديه
الملاحم وقد يملك هرقل ثم ابنه من
بعده قسطة بن هرقل ثم ابنه قسطنطين بن قسطة ثم ابنه اصطفار بن قسطنطين ثم خرج ملك
الروم من آل هرقل إلى لبون وولده من بعده وسيعود الملك من الخامس من آل هرقل الذي
تكون على يديه الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩২৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা এ পৃথিবী সৃষ্টি করার পরে আসমানের নিচে সর্বপ্রথম এবং সকলের চেয়ে উত্তম যাকে হত্যা করা হয়েছে, সে হচ্ছে হাবিল ইব্নে আদম, যাকে তার ভাই কাবিল জুলুমের মাধ্যমে হত্যা করেছে। এরপর হচ্ছেন ঐসকল আম্বিয়ায়ে কেরাম যাদেরকে সেসব উম্মতের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছিল তারা হত্যা করেছে। যখন তারা তাদের উম্মতকে একথা বলেছেন, আমাদের সকলের প্রভূ হচ্ছেন, আল্লাহ তা’আলা তোমরা সকলে তার ডাকে সাড়া দাও।
এরপর হচ্ছেন, ফেরআউনের পরিবারের মু’মিন লোকজন, এরপর হচ্ছেন, সুরায়ে ইয়াসিনে উল্লেখকৃত হওয়ারী। অতঃপর হযরত হামযা রাযিঃ এরপর বদর যুদ্ধে শহীদ হওয়া সাহাবায়ে কেরাম। অতঃপর ঔহুদ যুদ্ধে শহিদ হওয়া সাহাবায়ে কেরাম। তারপর হুদায়বিয়ার শহীদগণ, অতঃপর আহযাব যুদ্ধের সাহাবাগণ এরপর হুনাইন যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবায়ে কেরাম। এরপর রসূলুল্লাহ সাঃ এর ইন্তিকালের পর যাদেরকে খারেজীগণ হত্যা করবে। যে খারেজীগন মারাত্মক অপরাধের কাজে জড়িত ছিল। এরপর আল্লাহ্র রাস্তায় যুদ্ধরত মুজাহিদগণের যে কেউ হতে পারে। অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হবে। উক্ত যুদ্ধে শহীদ হওয়া লোকজন বদর যুদ্ধে শহীদ হওয়া সাহাবায়ে কেরামের সমতুল্য হবে। এরপর তুর্কীদের সাথে যুদ্ধ হবে, তাদের শহীদগণ ওহুদ যুদ্ধের শহীদগণের সমতূল্য হবে। অতঃপর দাজ্জালের সাথে ব্যাপক যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধের শহীদগণ হবে হুদাইবিয়ার শহীদগণের সমতুল্য। এরপর হবে ইয়াজুজ-মাজুজের সাথে যুদ্ধ, উক্ত যুদ্ধে যারা শহীদ হবেন তারা আহযাবের শহীদের সমতুল্য হবে। এরপর হবে ব্যাপক যুদ্ধ যার শহীদগণ হবেন হুনাইনের শহীদের সমপরিমান হবে। এসব যুদ্ধের পর মুসলমানদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত কোনো যুদ্ধ আর হবেনা।
حدثنا مسلمة بن علي الدمشقي عن عبد الله بن
السائب عن أبي مدلج
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم
خير قتلى قتلت
تحت ظل السماء مذ خلق الله تعالى خلقه أولهم هابيل
الذي قتله قابيل اللعين ظلما ثم قتلى الأنبياء الذين قتلهم أممهم المبعوثة إليهم
حين قالوا ربنا الله ودعوا إليه ثم مؤمن آل فرعون ثم
صاحب ياسين
ثم حمزة بن عبد
المطلب ثم قتلى بدر ثم قتلى أحد ثم قتلى الحديبية ثم قتلى الأحزاب ثم قتلى حنين ثم
قتلى تكون من بعدي يقتلهم خوارج مارقة فاجرة ثم أرجع يدك إلى ما شاء الله من
المجاهدين في سبيله حتى تكون
ملحمة الروم قتلاهم كقتلى بدر
ثم تكون
ملحمة الترك
قتلاهم كقتلى يوم أحد
ثم
ملحمة الدجال قتلاهم كقتلى يوم الحديبية
ثم
ملحمة يأجوج
ومأجوج قتلاهم كقتلى يوم الأحزاب
ثم
ملحمة الملاحم
قتلاهم كقتلى يوم حنين ثم لا
يكون بعد ذلك ملحمة في الإسلام لأهلها فيها إلى يوم ينفخ في الصور
পৃষ্ঠা - ১৩২৬
হযরত আবু কুবাইল রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তোমরা রোমীদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী হবে, তখন তোমরা তার মাশরিকে অবস্থিত বড় এলাকায় প্রবেশ করবে। এরপর তোমরা সাত স্তর পাড়ি দিয়ে অষ্টম স্তরে অবশ্যই পৌঁছবে। যেহেতু তার নিচে হচ্ছে, হযরত মুসা আঃ এর লাঠি, হযরত ঈসা আঃ এর ইঞ্জিল এবং বায়তুল মোকাদ্দাসের অলংকারসমূহ।
حدثنا
الوليد ورشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل قال
إذا افتتحتم رومية فادخلوا كنيستها
العظمى الشرقية من بابها
الشرقي
فاعتدوا سبع بلاطات ثم اقتلعوا الثامنة فإن
تحتها عصى موسى والإنجيل
طرية وحلي بيت المقدس
পৃষ্ঠা - ১৩২৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কুস্তুতিনিয়া নামক এলাকাটির বিজয় এমন একজন লোকের হাতে হবে, যার নাম হবে আমার নামের মত।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن عبد الله بن عمرو قال
يفتح القسطنطينية رجل اسمه اسمي
পৃষ্ঠা - ১৩২৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা কুস্তুনতুনিয়া এলাকায় তিন ধরনের যুদ্ধ সংগঠিত হবে। এক প্রকারের যুদ্ধ হচ্ছে, যার মধ্যে তোমরা বিভিন্ন ধরনের বালা-মসিবতের সম্মুখিন হবে। দ্বিতীয় যুদ্ধ তোমাদের মধ্যে এবং তাদের সাথে চুক্তি হবে। এক পযার্য়ে মুসলমানরা সেখানে মসজিদ স্থাপন করবে এবং কুস্তুনতুনিয়ার পিছনে থেকে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এরপর তারা সেদিকে ফিরে যেতে থাকবে। তৃতীয় যুদ্ধ হচ্ছে, যা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাকবীরের মাধ্যমে বিজয়ী করবে । যেটা মোট তিনবার হবে। এক তৃতাংশ বিরান হয়ে যাবে, আরেক তৃতাংশ ডুবে মারা যাবে। বাকি এক তৃতাংশ বিভিন্ন ধরনের ধাতব্য বস্তু বন্টন করবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن أبي فراس
عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال
تغزون القسطنطينية ثلاث غزوات
فأما
غزوة واحدة
فتلقون بلاء وشدة و
الغزوة الثانية
يكون بينكم وبينهم صلح حتى يبتني
فيها المسلمون المساجد ويغزون معهم من وراء القسطنطينية ثم يرجعون إليها
والغزوة
الثالثة
يفتحها الله لكم بالتكبير فتكون على ثلاث أثلاث يخرب ثلثها ويحرق ثلثها
ويقسمون الثلث الباقي كيلا
পৃষ্ঠা - ১৩২৯
হযরত আবু কুবাইল ও ইয়াসীর ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তারা বলেন ইস্কান্দারিয়া এবং আ’মাকের যুদ্ধ সংগঠিত হবে তাবারিস ইব্নে আসতিবইয়ান ইব্নে আখরাম ইবনে কুস্তুনতীন ইবনে হিরাকল এর হাতে। বর্ণনাকারী বলেন,আমি শুনতে পেয়েছি যে, নিঃসন্দেহে সে লোক হবে রোমবাসিদের অন্তর্ভুক্ত।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل ويسير
بن عمرو
قالا ألأسكندرية وملاحم الأعماق على يدي طبارس بن أسطبيان بن الأخرم بن
قسطنطين بن هرقل قال وسمعت أنه برومية
পৃষ্ঠা - ১৩৩০
হযরত হ্ওায়াল ইব্নে শুরাহীল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃকে বলতে শুনেছি, নিঃসন্দেহে আন্দালুসবাসি সমুদ্রের দিকে এগিয়ে আসবে। সমুদ্রে তাদের জাহাজের ধৈর্য থাকবে পঞ্চাশ মাইল এবং প্রস্ত থাকবে তের মাইল। এক পর্যায়ে তারা আ’শক নামক এলাকায় ছাউনি ফেলবে। বর্ণনাকারী ইবনে ওয়াহাব রহঃ বলেন সেটা জলে-স্থলে উভয় স্থানে হবে।
حدثنا ابو وهب ورشدين جميعا عن
ابن لهيعة عن أبي قبيل عن حيوئل بن شراحيل قال
سمعت عبد الله بن عمرو بن العاص
يقول إن
أهل الأندلس
يأتون في البحر وإن طول سفنهم في البحر خمسين ميلا وعرضها
ثلاثة عشر ميلا
حتى ينزلوا في الأعماق
وقال ابن وهب البر والبحر
পৃষ্ঠা - ১৩৩১
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, আন্দালুসে মুসলমানদের দুশমনদের একজন লোক থাকে যুলর্উ্ফ বলা হবে। মুশরিক গোত্রের লোকজন ব্যাপকভাবে জমায়েত হবে। আন্দালুসের মুসলমানদের মাঝে একথা প্রসিদ্ধ থাকবে যে, মুসলমানদের তাদের সাথে মোকাবেলা করার শক্তি নেই। যার কারণে অনেক মুসলমান পলায়ন করবে, ফলে শক্তিশালী মুসলমানগণ জাহাজের মাধ্যমে তানজাহ নামক এলকার দিকে চলে যেতে থাকবে এবং মুসলমানদের মধ্যে দুর্বলরাই একমাত্র থাকবে তাদের জামাআতের মাঝে যাদের কোনো জাহাজ থাকবে না তারা সে এলাকা অতিক্রম করে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য বন্য প্রাণী প্রেরন করবেন, যার কারণে আল্লাহ তা’আলা সমুদ্রের মধ্যে তাদের জন্য একটা সহজ পথ বের করে দিবেন। যার মাধ্যমে তারা সমুদ্র অতিক্রম করতে পারবে। যা লোকজন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে। তারা বন্য প্রাণী এর অনুসরণ করবে এবং তার অনুসরণ করে চলতে থাকবে, অতঃপর সমুদ্রের মাধ্যমে তারা আবারো ফিরে আসবে। এবং দুশমন তাদেরকে বাহনের উপর সওয়ার হয়ে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকবে। একথা আফ্রিকাবাসি জানার পর তারা বের হয়ে আসবে এবং তাদের সাথে আন্দালুসের মুসলমানগণও বের হয়ে আসবে। এক পর্যায়ে তারা মিশরে পৌঁছে যাবে এবং দুশমনরা তাদের পিছু নিবে। যার কারণে তারা আহরাম থেকে পাঁচ মাইলের দুরত্বে থাকা মারবূত নামক এলাকায় ছাউনি ফেলবে। তারা সেখানে অবস্থান করার সাথে সাথে মুসলমানদের পতাকা হাতে একদল লোক এগিয়ে আসবে। আল্লাহ তাআলাও তাদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে সাহায্য করবেন এবং কাফেররা মারাত্মকভাবে পরাজিত হবে। মুসলমানগন ওবিয়্যাহ এলাকা পর্যন্ত প্রায় বিস্তৃত দশ মাইল এলাকা অবধি তাদেরকে ধাওয়া করে হত্যা করবে। মিশরবাসিরা দীর্ঘ সাত বৎসর পর্যন্ত তাদের সরঞ্জাম ও রসদপত্র বহন করতে থাকবে। এক পর্যায়ে যূল আরাফ নামক লোকটি পলায়ন করবে। তার সাথে একটি লিপিবদ্ধকৃত চিঠি থাকবে, যা না দেখেই সে মিশরে ফিরে আসবে। তখন চিঠিটা খুলে দেখবে, তবে তখন সে হবে একজন পরাজিত শাসক। তখন উল্লিখিত চিঠিতে ইসলাম ধর্মের আলোচনা দেখতে পাবে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে একথা লিখিত পাওয়ার পর সে মুসলমানদের কাছে নিরাপত্ত্বা প্রার্থণা করবে, সাথে সাথে যারা তার আবেদনে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করবে তাদের জন্যও নিরপত্তা চাইবে। ফলে সে ইসলাম কবুল করতঃ মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
এর পরের বৎসর হাব্্শা এলাকা থেকে একজন লোকের আত্মপ্রকাশ হবে। যাকে বলা হবে আসইয়াস, কিংবা আসবাস। সে বিশাল একদল সৈন্যের সমাগম করবে। যা অবলোকন করতঃ মুসলমানগণ আসওয়ান এলাকা থেকে পলায়ন করে চলে যাবে। যার কারণে সেখানে এবং তার আশ্বেপার্শ্বে কোনো মুসলমানকে পাওয়া যাবেনা। যারা ছিপে সকলে বিভিন্ন তাবু এবং হাবশা এলাকায় চলে যাবে। অনেকে আবার মান্ফ নগরীতে গিয়ে পৌঁছবে। কিছুদিন পর মুসলমানগণ সুসংগঠিত হয়ে পতাকা সহকারে এগিয়ে যাবে এবং আল্লাহ তাআলা কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। ফলে তাদের সাথে কঠিন এক যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানরা জয়লাভ করবে। সেদিন একেকজন হাবশিকে একটি জামার বিনিময়ে বিক্রি করা হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن عبدالله بن عمرو بن العاص أن رجلا من
أعداء المسلمين
بالأندلس
يقال له
ذو العرف
يجمع من قبائل الشرك جمعا عظيما يعرف من
بالأندلس من المسلمين أن لا طاقة لهم بهم فيهرب من بها من المسلمين فيسير أهل القوة
من المسلمين في السفن إلى طنجة ويبقى ضعفاؤهم وجماعتهم ليس لهم سفن يجيزون فيها
قال فيبعث الله لهم وعلا فييسر الله تعالى لهم في البحر طريقا فيجيزوه فيفطن له
الناس فيتبعون الوعل ويجيزون على أثره ثم يعود البحر على ما كان عليه قبل ذلك ويجيز
العدو في المراكب في طلبهم فإذا علم بهم أهل إفريقية خرجوا ومن كان بالأندلس من
المسلمين حتى يقدموا مصر ويتبعهم العدو حتى ينزلوا ما بين مريوط إلى الأهرام مسيرة
خمسة أبرد فتخرج إليهم راية المسلمين فينصرهم الله عليهم فيهزمونهم ويقتلونهم إلى
لوبية مسيرة عشر ليال قتلا فينقل أهل مصر أمتعاتهم بعجلهم وأداتهم سبع سنين فيهرب
ذو العرف ومعه
كتاب
كتب له ألا
ينظر فيه حتى يقدم مصر فينظر فيه وهو منهزم فيجد فيه ذكر الإسلام ويؤمر بالدخول فيه
فيسأل الأمان على نفسه وعلى من أجابه إلى الإسلام من أصحابه فيسلم ويصير من
المسلمين
فإذا كان من العام الثاني أقبل من الحبشة رجل يقال له أسيس أو أسبس
وقد جمع جمعا عظيما فيهرب المسلمون منهم من اسوان حتى لا يبقى بها ولا فيما دونها
أحد من المسلمين إلا قدم الفسطاط وتسير الحبشة
حتى ينزلوا منف فيخرج إليهم
المسلمون براياتهم فينصرهم الله عليهم فيقاتلونهم ويأسرونهم فيباع الأسود يومئذ
بعباءة
পৃষ্ঠা - ১৩৩২
হযরত আবু মুহাম্মদ আল-জিন্নী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি তুবরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, আরব মুসলমানদের বিশাল একদল পুরোপুরিভাবে রোম বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে। আমি পুরোপুরিভাবে কথাটির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের দানা-পানি, জায়গা-জমিন সবকিছুসহ।
তার কথা শুনে সুলাইম ইব্নে আতর রহঃ তাকে বললেন, হে আবু মুহাম্মদ! ইনশাআল্লাহ একথা শুনার সাথে সাথে তিনি রাগান্বিত হয়ে দাড়িয়ে গিয়ে বলবেন, হয়তোবা আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করেছেন এবং লিপিবদ্ধও করেছেন।
حدثنا الوليد وابن وهب ورشدين عن ابن لهيعة عن الحارث بن يزيد عن
أبي محمد الجنبي
سمع عبد الله بن عمرو يقول ليلحقن من العرب بالروم قبائل
بأسرها
قلت وما أسرها
قال برعاتها وكلابها
فقال له سليم بن عتر إن شاء
الله يا أبا محمد فقام مغضبا
فقال قد شاء الله وكتبه
পৃষ্ঠা - ১৩৩৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আস্্ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন মানুষ যুুল খালাছা নামক ভুতের উপাসনা করতে থাকবে তখনই শামবাসির ওপর রোমবাহিনী জয়লাভ করবে।
حدثنا الوليد
عن الحارث بن عبيدة عن عبد الرحمن بن سلمان
عن عبد الله بن عمرو قال
إذا عبدت
ذو الخلصة
كان ظهور الروم على الشام
পৃষ্ঠা - ১৩৩৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবুহুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন তীব্র যুদ্ধ সংগঠিত হবে দিমাশ্্ক নগরী থেকে বিরাট একদল মাওয়ালীর আত্মপ্রকাশ হবে। তখন তারাই হবে আরবের সবচেয়ে উত্তম আশ্বরোহি এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী। তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মূলতঃ দ্বীন ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি করবেন।
حدثنا الوليد عن عثمان بن أبي
العاتكة عن سليمان بن حبيب
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم
إذا وقعت الملاحم
خرج بعث من دمشق من الموالي
هم أكرم العرب
فرسا وأجوده سلاحا يؤيد الله بهم الدين
পৃষ্ঠা - ১৩৩৫
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোমীবাসিরা পথভ্রষ্ট না হলে সূর্য্যরে কান্নার আওয়াজ অবশ্যই তারা শুনে থাকতো।
حدثنا الوليد بن مسلم عن
مروان بن جناح عن ابن حلبس
عن كعب قال لولا لغط أهل رومية لسمعتم وجبة الشمس
إذا وجبت
পৃষ্ঠা - ১৩৩৬
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খ্রীস্টানরা সর্বপ্রথম রোম শহরের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করবে। উক্ত এলাকার লোকজন কাফের না হলে নিঃসন্দেহে সূর্য্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ্র দরবারে সিজদারত হয়ে কান্নাকাটি করার আওয়াজও শুনতে পারত।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن تبيع
عن كعب قال
أول مدينة كانت للنصرانية رومية ولولا كفر أهلها لسمع أهلها صليل الشمس حين تخر
পৃষ্ঠা - ১৩৩৭
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথমে যে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকা জয়লাভ করা হবে, অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে ভয়াবহ একযুদ্ধ হবে, এবং সে যুদ্ধে রোমবাহিনী মুসলমান বিপক্ষে জয়লাভ করবে।
হাদীস বর্ণনাকারী আবুকাবীল বলেন, মুহাম্মদ ইবনে সাঈদ নামক একলোক আফ্রিকিয়্যারে শাসক নিযুক্ত হবে, যিনি মূলতঃ আসবে। এরপর আরেকজন বনি হাশেম থেকে আত্মপ্রকাশ করবে, যার নাম হবে ইস্বা ইবনে ইয়াযিদ, সে হবে রোম বাহিনীর নেতৃত্ব দান করে এবং তার হাত রোমের বিজয় নিশ্চিত হবে।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن عمير بن مالك
عن عبد الله
بن عمرو قال فتح القسطنطينية ثم تغزون رومية فيفتحها الله عليكم
قال أبو قبيل
ويلي إفريقية رجل من أهل اليمن يدعى محمد بن سعيد يكون بعده
رجل من بني هاشم
يقال
له
إصبع بن يزيد
وهو صاحب رومية و
هو الذي يفتحها
পৃষ্ঠা - ১৩৩৮
হযরত বকর ইবনে সুয়াদা রহঃ হিময়রের জনৈক শেখ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর এই আফ্রিকী রামলায় তোমাদের সাথে তোমাদের দুশমনের য্দ্ধু হবে। সেদিন রোম বাহিনী আটশত জাহাজে করে তোমাদের দিকে ধেয়ে আসবে এবং এ রামলা এলাকায় তোমাদের সাথে তাদের তীব্র যুদ্ধ হবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করবেন। অতঃপর তাদের জাহাজগুলো তোমরা নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নিবে এবং তার উপর আরোহন পূর্বক তোমরা রোমিয়ার দিকে যেতে থাকবে। সেখানে এসে তোমরা তিনবার “আল্লাহু আকবর” বলবে। তোমাদের তাকবীরের আওয়াজে তাদের কেল্লা কেপে উঠবে। যার কারনে তৃতীয় তাকবীরে প্রায় একমাইল পরিমান ঝর্ণা প্রবাহিত হবে। যেটা দিয়ে তোমরা প্রবেশ করবে। এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর একটি মেঘমালা দ্বারা ছায়া দান করবেন। যদ্বারা তোমাদের আর কোনো কষ্ট ক্লেশ থাকবে না। এ অবস্থা তোমরা তোমাদের বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত বাকি থাকবে।
حدثنا الوليد عن ابن
لهيعة عن بكر بن سوادة
عن شيخ من حمير قال ليكونن لكم من عدوكم بهذه الرملة
رملة إفريقية يوم
تقبل الروم في ثمان مائة سفينة
فيقاتلونكم على هذه الرملة
ثم يهزمهم [ الله ]
فتأخذون سفنهم فتركبوا بها إلى رومية
فإذا أتيتموها
كبرتم ثلاث تكبيرات ويرتج الحصن من تكبيركم فينهار في الثالثة قدر ميل فيدخلونها
فيرسل الله عليهم غمامة تغشاهم
فلا تنهنهكم حتى يدخلونها فلا تنجلي تلك الغبرة حتى
تكونوا على فرشهم
পৃষ্ঠা - ১৩৩৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বমোট পাঁচ প্রকারের যুদ্ধ প্রকাশ হবে। তার থেকে দুইটি অহিবাহিত হলেও তিনটি এখনো বাকি আছে। তার প্রথম হচ্ছে, জাজিরার মালিকানা নিয়ে তুর্কিদের সাথে যুদ্ধ। দ্বিতীয়টি হল, আ’মাক এলাকার যুদ্ধ, তৃতীয় এবং সর্বশেষ যুদ্ধ হচ্ছে, দাজ্জালের সাথে সংগঠিত হওয়া যুদ্ধ। যার পরে আর কোনো যুদ্ধ হবেনা।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة قال حدثنا أبو المغيرة عبيد
الله بن المغيرة
عن عبد الله بن عمرو قال الملاحم خمس مضى منها ثنتان وبقي ثلاث
فأولهن ملحمة الترك بالجزيرة وملحمة الأعماق وملحمة الدجال ليس بعدها ملحمة
পৃষ্ঠা - ১৩৪০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হঠাৎ করে রোমীদের মাঝে একজন লোকের আত্মপ্রকাশ হবে। যে পূর্ণ যৌবনে পদার্পন করেছে। যে যুবক রোমবাহিনীর মালিকানাধীন এলাকায় অবস্থানপূর্বক বলবে, অতিসত্ত্বর আমরা এদের উপর বিজরী হয়ে আমাদের ভুখন্ডকে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিব এবং অবশ্যই অবশ্যই তাদেরকে হত্যা করব, আর যেসব এলাকা তারা আমাদের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে সেগুলো আমরা বিজরী হওয়ার মাধ্যমে তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিব। না হয় তারা এমন ভাবে আঘাত করবে যদ্বারা আমার পায়ের নিচের মাটিও দখল করে ি নবে। এক পর্যায়ে সে সাত হাজার জাহাজের মাধ্যমে বিশাল এক বাহিনী তৈরি করে এগিয়ে যাবে। এভাবে চলতে চলতে আরীশ এবং আক্কা নামক স্থানের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছলে তার সকল জাহাজে আগুন লাগিয়ে দেয়া হবে। তখনই মিশর থেকে মিশরবাসিরা এবং শামদেশ থেকে শামবাসিরা বের হয়ে আসবে। সকলে এসে জাজিরাতুল আরবে জমায়েত হবে। এদিন হচ্ছে, সেদিন যেদিন সম্বন্ধে হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ বলতেন, যে নিকৃষ্টতম দিনে আরবদের ধ্বংস অনিবার্য। যেদিন সকলে যাবতীয় রসদপত্র নিয়ে নিকটবর্তী হবে। এভাবে জমায়েত হওয়া নিজের পরিবার এবং সম্পদ থেকে পছন্দনীয় হবে। আরবরা সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করবে। এক পর্যায়ে তারা চলতে চলতে এন্তাকিয়ার আ’মাক এলাকায় গিয়ে পৌঁছবে। সেদিনই ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হবে। যার কারণে ঘোড়ার অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে ডুবে যাবে। প্রত্যেক দল থেকে আল্লাহ্ তাআলা সাহায্য বন্ধ করে দিবেন। অবস্থা এমন হবে যে, ফেরেশতারা বলবে, হে আল্লাহ! আপনার মুমিন বান্দাদেরকে সাহায্য কি করবেন না।
তাদেরকে জবাব দেয়া হবে যে, তাদের শহীদ আরো অধিক হারে হোক। উক্ত যুদ্ধে এক তৃতাংশ শহীদ হয়ে যাবে, এক তৃতাংশ ফিরে যাবে এবং অন্য এক তৃতাংশ ধৈর্য্যধারন করে থাকবে। আল্লাহ তাআলা ফিরে যাওয়্ াএক তৃতাংশকে ধসে দিবেন।
এহেন পরিস্থিতিতে রোমবাহিনীরা বলবে, তোমাদের প্রত্যেক অংশ এই এলাকা ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত আমরা তোমাদেরকে হত্যা করতে থাকবে। তাদের কথা শুনে অনারবের লোকজন বলতে থাকবে আমরা ইসলাম গ্রহনের পর কুফরী কবুল করা থেকে আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তখনই আল্লাহ তাআলা খুবই রাগান্বিত হয়ে উঠবেন এবং কাফেরদেরকে তলোয়ার দ্বারা হত্যা করা হবে এবং তীরের সাহায্যে মেরে ফেলা হবে। যার কারনে তাদের সংবাদ পৌঁছানোর জন্যও কেউ জীবিত থাকবেনা। এরপর মুসলমানগন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। প্রত্যেক শহরকে তারা আল্লাহু আকবর তাকবীর দ্বারা জয় করতে থাকবে। এভাবে বিজরী বেশে চলতে চলতে এক সময় রোমীদের এলাকায় এসে দেখবে তাদের শহরের গোটা এলাকা জনমানবশুন্য। ফলে আল্লাহ তাআলার সাহায্যে সেটাও জয় করবে। সেদিন অসংখ্য কুমারী নারী ধর্ষিতা হবে এবং টেনে টেনে গনীমতের মাল বন্টন করা হবে। তখনই তাদের কাছে সংবাদ পৌঁছবে, মসীহে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে। এ সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তারা সকলে সেদিকে দৌড় দিবে এবং বায়তুল আলিয়া নামক স্থানে তারা দাজ্জালকে দেখতে পাবে। আর সেখানে আট হাজার নারী এবং বার হাজার লোককে শহীদ হওয়া অবস্থায় পাবে। তারা হচ্ছে, পৃথিবীর বুকে সর্বোত্তম লোক। তারা হবেন, অতিবাহিত হওয়া নেককার লোকদের ন্যায়। তারা এভাবে মেঘের ছায়া তলে অবস্থান করতে থাকবে, হঠাৎ সেই মেঘ সকালের দিকে কিছুটা ঘোমটা ছেড়ে বের হবে। তখন সকলে হযরত ঈসা আঃ কে তাদের সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة وليث بن سعد عن خالد بن يزيد عن سعيد بن أبي
هلال عن أبي سلمة
عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال
ينشأ في الروم غلام يشب في
السنة شباب الغلام في عشر سنين
ويكون بأرض الروم تملكه الروم في أنفسها فيقول حتى
متى وقد غلبنا هؤلاء على مكان من أرضنا لأخرجن فلأقاتلنهم حتى أغلبهم على ما غلبوا
أو يغلبوني على ما بقي تحت قدمي فيخرج في سبعة آلاف سفينة حتى يكون بين عكا والعريش
ثم يضرم النار في سفنه
فيخرج أهل مصر من مصر وأهل الشام من الشام حتى يصيروا إلى
جزيرة العرب
فذلك اليوم الذي كان أبو هريرة يقول ويل للعرب من شر قد أقترب للحبل
والقتب يومئذ أحب إلى الرجل من أهله
وماله فتستعين العرب بأعرابها ثم
يسيرون حتى يبلغوا أعماق أنطاكية فتكون أعظم الملاحم حتى تخوض الخيل إلى ثننها
ويرفع الله النصر عن كل
حتى تقول الملائكة يا رب ألا تنصر عبادك المؤمنين
فيقول حتى يكثر شهداؤهم
فيقتل ثلث ويرجع ثلث ويصبر ثلث فيخسف الله بالثلث
الذي يرجع
وتقول الروم
لا نزال نقاتلكم حتى تخرجوا إلينا كل بضعة فيكم من غيركم
فتخرج العجم فتقول معاذ الله أن نخرج إلى الكفر بعد الإسلام فذلك حين يغضب الله
تعالى فيضرب بسيفه ويطعن برمحه فلا يبقى منهم مخبر إلا قتل ثم يمضون على وجوههم لا
يمرون على مدينة إلا فتحوها بالتكبير
حتى يأتوا مدينة الروم
فيجدون خليجها بطحاء
فيفتحها الله تعالى عليهم فيفتض يومئذ كذا وكذا عذراء وتقسم الغنائم مكايلة
بالغرائر
ثم يأتيهم أن المسيح قد خرج
فيقبلون حتى يلقوه
ببيت أيلياء
فيجدونه قد حضر
هنالك ثمانية آلاف امرأة واثنى عشر ألف مقاتل هم خير من بقى كصالح من مضى فبيناهم
تحت ضبابة من غمائم إذ تكشفت عنهم الضبابة مع الصبح فإذا بعيسى ابن مريم عليه
السلام بين ظهرانيهم
পৃষ্ঠা - ১৩৪১
হযরত ইব্্নে আবু যর রহঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত আবু যরগিফারী রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন আমি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ কে এরশাদ করতে শুনেছি বনু উমাইয়ার নিকৃষ্টতম এক লোক মিশরের শাসকের উপর জয়লাভ করতঃ মিশরের শাসন ক্ষমতা দখল করবে। পরবর্তীতে তার হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হবে এবং পূর্বের শাসক পলায়ন করে রোমের দিকে চলে যাবে। অতঃপর রোমবাহিনীকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করবে। সেটিই হবে প্রথম যুদ্ধ।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن كعب بن علقمة قال
سمعت أباتيم أو أبا تميم يقول
سمعت ابن أبي ذر يقول سمعت أبا ذر رضى الله عنه
يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول سيكون
من بني أمية رجل أخنس بمصر
يلي
سلطانا يغلب على سلطانه أو ينتزع منه
فيفر إلى الروم
فيأتي بالروم إلى أهل
الإسلام فذلك أول الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৪২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তাকে বলতে শুনা গিয়েছে, তিনি বলেন, যখন তুমি দেখবে বা শুনতে পাবে যে, অত্যাচারী শাসকদের একজন অন্য আরেকজনের হাত থেকে শাসন ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে এবং রোমের দিকে পলায়ন করবে, তাহলে সেটা হবে রোম বাহিনী এবং মুসলমানদের মাঝে সংগঠিত হওয়া সর্বপ্রথম যুদ্ধ।
তাকে বলা হলো, মিশরবাসিরা আক্রান্ত হবে, অথচ তারা আমাদের দ্বীনিভাই। জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ যখন তুমি মিশরবাসিদেরকে দেখতে পাবে যে, তাদের ইমামকে তাদেরই সামনে হত্যা করা হয়েছে, তাহলে তুমি সাধ্যমত সেখান থেকে বের হয়ে যাও এবং কক্ষনো শাহী ভবনের নিকটবর্তী হবে না। কেননা তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক লোককে বন্দি করা হবে এবং গণহত্যা চালানো হবে।
قال كعب وحدثني مولى لعبد الله بن عمرو
عن عبد الله بن عمرو سمعه يقول إذا رأيت أو
سمعت برجل من أبناء الجبابرة بمصر
له سلطان يغلب على سلطانه
ثم يفر إلى الروم
فذلك أول الملاحم يأتي بالروم إلى أهل
الإسلام
فقيل له إن أهل مصر سيسبون فيما أخبرنا وهم إخواننا أحق ذلك
قال
نعم
إذا رأيت أهل مصر قد قتلوا إماما
بين أظهرهم فأخرج إن استطعت ولا تقرب القصر
فإنه بهم يحل السباء
পৃষ্ঠা - ১৩৪৩
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোম এলাকা বিজয়কালীন পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে ঝড়ের গতিতে বিশাল একটি বাহিনী এগিয়ে আসবে, যাদের সাথে কেউ মোকাবেলা করে বিজয়ী হতে পারবেনা, কোনো বাধা তাদের পথ রোধ করতে পারবেনা এবং কোনো কেল্লায় আশ্রয় নিয়ে তাদের থেকে কেউ বাচতে পারবে না, কোনো আত্মীয়তা তাদেরকে আপন উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুতি করতে পারবে না। এক পর্যায়ে তারা রোম এলাকা পদানত করে, সেটা জয় করবে।
হাদীস বর্ণনাকারী হযরত কা’ব রহঃ বলেন, সেখানে একটি ঐতিহাসিক গাছ থাকবে, কিতাবুল্লাহর ভাষ্য মতে সেই গাছের ছায়ায় প্রায় তিন হাজার লোকের অবস্থান হবে। যে লোক উক্ত গাছের সাথে নিজের হাতিয়ার বা তলোয়ারকে লটকিয়ে রাখবে কিংবা উক্ত গাছের সাথে নিজেদের ঘোড়া বেঁধে রাখবে তারা হবে আল্লাহ তাআলার নিকট সর্বোত্তম শহীদ। অতঃপর হযরত কা’ব রহঃ বলেন, নিকিয়া নামক এলাকার আগে উমুরিয়ার বিজয় হবে, নিকিয়া নগরী জয়লাভ করা হবে ঐতিহাসিক কুস্তুনতিনিয়ার পূর্বে এবং কুস্তুনতিনিয়া জয় করা হবে রোমিয়া এলাকার পূর্বে।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن حدير بن كريب
عن جبير بن نفير عن يزيد بن شريح
عن كعب قال في
فتح رومية
يخرج
جيش من المغرب
بريح شرقية لا ينكسر لهم مقذاف ولا ينقطع لهم حبل ولا ينحرق لهم قلع ولا تنتقص لهم
قربة حتى يرسوا برومية فيفتحونها
قال كعب إن فيها لشجرة هي في
كتاب
الله مجلس ثلاثة آلاف فمن علق
فيها سلاحه أو ربط فيها فرسه فهو عند الله تعالى من أفضل الشهداء
قال كعب تفتح
عمورية
قبل
نيقية
ونيقية قبل
القسطنطينية
والقسطنطينية قبل
رومية
পৃষ্ঠা - ১৩৪৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে বসা ছিলাম, কেউ একজন রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, সর্বপ্রথম কোন শহর জয়লাভ করা হবে, রোমিয়া নাকি কুস্তুনতিনিয়া?
জবাবে রাসূলুল্লাহ বললেন, ইবনুল হেরকলের শহর অর্থাৎ, কুস্তুনতিনিয়া সর্বপ্রথম জয় করা হবে। এরপর অন্য শহরের পালা আসবে।
حدثنا ابن وهب عن يحيى بن أيوب عن أبي قبيل
سمع عبد الله بن عمرو رضى الله
عنهما يقول كنا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فسئل أي المدينتين تفتح أول رومية
أو قسطنطينية
قال النبي صلى الله عليه وسلم مدينة ابن هرقل أول يعني
القسطنطينية
পৃষ্ঠা - ১৩৪৫
কিবাছ ইবনে রাযিন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আলী ইবনে রিয়াহ রহঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর রাযিঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের সময় রোমানরা সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে। একথা শুনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ তাকে ধমক দিতে চাইলেন। এরপর হযরত আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি সত্য হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা হবে পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে অত্যাচারী জাতি। তারা পরাজিত হবে মারাত্মক ভাবে দুর্ভিক্ষের সম্মুখিন হবে। সেখানে কল্যানজনক কাজ খুবই কম থাকবে।
যে কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, সেটা হচ্ছে, বাদশাহর অত্যাচার না করা।
حدثنا ابن وهب عن قباث بن رزين اللخمي أن علي بن رياح حدثه
عن عبد الله بن عمرو قال تقوم الساعة والروم أكثر الناس وكان عمرو بن العاص
أراد أن ينتهره
ثم قال عمرو لئن قلت ذاك إنهم لأجبر الناس عند مصيبة وأسرعه
إفاقة بعد هزيمة وخيره لكبير وضعيف وأمنعه من ظلم الملوك
পৃষ্ঠা - ১৩৪৬
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত ইব্নে মুহাইরিজ রাযিঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন আহলে কারেস এর ধাপট মাত্র কিছুদিন চলবে এরপর রোমানদের মত তাদেরও আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এ ধাপট মাত্র কয়েক যুগ পর্যন্ত থাকবে। তাদের সে যুগ চলে যাওয়ার পর আরেক দল এসে তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে। যারা জলÑস্থলের অধিকারী হবে এবং দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-অবিচার তারা করতে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ পৃথিবীতে কল্যান রাখতে ইচ্ছা, ততদিন পর্যন্ত এরা তোমাদের প্রতিবেশি ও সাথি হয়ে থাকবে। এরপর পৃথিবীতে নানান ধরনের অরাজকতা চলতে থাকবে।
حدثنا ابن وهب
عن عاصم بن حكيم عن يحيى بن أبي عمرو السيباني
عن ابن محيريز قال قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم إنما فارس نطحة أو نطحتان ثم لا فارس بعد الروم ذات القرون كلما
ذهب قرن خلفهم قرن مكانه أصحاب صخر وبحر هيهات هيهات إلى آخر الدهر هم أصحابكم ما
كان في العيش خير
পৃষ্ঠা - ১৩৪৭
হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো নবীর নামের সাথে মিল রয়েছে এমন একজনের হাতে কুস্তুনতিনিয়া নগরীর বিজয় হবে।
হাদীস বর্ণনাকারী ইব্্নে লেহইয়্যাহ রহঃ বলেন, তাদের কিতাবে লেখা রয়েছে যে, উক্ত নবীর নাম হবে সালেহ।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن أبي قبيل قال
الذي يفتح
القسطنطينية اسمه اسم نبي
قال ابن لهيعة ويروي في كتبهم يعني الروم أن اسمه
صالح
পৃষ্ঠা - ১৩৪৮
হযরত হুসাইম আয্যিয়াদী রহঃ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, ইয়াব-সানের রশি, লেবনানের লাঠি এবং মারীছের লোহার সাহায্যে গ্রীক এলাকা জয় করা হবে। তোমরা সেখানে একটা তালাবদ্ধ কফিন প্রাপ্ত হবে। সেটা হস্তগত করার জন্য মিশরবাসি এবং শাম দেশের বাসিন্দাগন হামলা করে বসবে। শেষ পর্যন্ত মিশরবাসিরা পেয়ে যাবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن قيس بن الحجاج عن خيثم الزيادي
قال تفتح
رومية
بحبال بيسان وخشب لبنان ومسامير مريس وتأخذون
سكينة التابوت
فيقترع عليها أهل الشام وأهل مصر فتطير لأهل مصر
পৃষ্ঠা - ১৩৪৯
হযরত মুস্তাউরিদ আল-কুরাশী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের সময় রোমান ধর্মের অনুসারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। এ হাদীস বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ এর কাছে পৌছলে তিনি বলেন, তুমি এ কেমন হাদীস বর্ণনা করছ, এ কথাটি কি আসলে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন। জবাবে হযরত মুসতাউরিদ রাযিঃ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে যা শুনেছি হুবহু তা বর্ননা করছি। এ কথা শুনে হযরত আমর ইবনুল আস রাযিঃ বলেন, তুমি যা বর্ণনা করছো তা যদি সত্য হয় তাহলে নিঃসন্দেহে তারা হবে ফিতনাকালীন খুবই বিচক্ষণ মানুষের অন্তর্ভুক্ত, মসিবতের সময় অধিক অবগত লোক এবং তাদের দুর্বল-মিসকীনদের সাথে উত্তম আচরণকারী।
حدثنا ابن وهب عن عبد
الرحمن بن شريح عن عبد الكريم بن الحارث قال
قال المستورد القرشي رضى الله عنه
سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول تقوم الساعة والروم أكثر الناس
فبلغ
ذلك عمرو بن العاص فقال ما هذه الأحاديث التي تذكر عنك إنك تقولها عن النبي صلى
الله عليه وسلم
فقال له المستورد قلت الذي سمعت من رسول الله صلى الله عليه
وسلم
قال عمرو لئن قلت ذلك إنهم لأحلم الناس عند فتنة وأخبر الناس عند مصيبة
وخير الناس لمساكينهم وضعفائهم
পৃষ্ঠা - ১৩৫০
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, হিরাক্্লের চতুর্থ ও পঞ্চম সন্তানদের থেকে একজনের হাতে হবে মারাত্মক যুদ্ধ, যার নাম হবে তাবারাহ্্ । হাদীস বর্ণনাকারী হযরত কা’ব রহঃ বলেন, যেদিন বনু হাশিমের একজন লোক আমীরের দায়িত্ব পালন করবেন। যেদিন ইয়ামানের দিক থেকে সত্তর হাজার জাহাজ বোঝায় করা যুদ্ধের রসদপাত্র এসে পৌছবে। তাদের তলোয়ার হবে মাসাদ গাছের সাথে লটকানো।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن حدير
بن كريب
عن كعب قال الملاحم على يدي رجل من أهل هرقل الرابع والخامس يقال له
طبارة
قال كعب وأمير الناس يومئذ رجل من بني هاشم يأتيه مدد اليمن سبعون ألفا
حمائل سيوفهم المسد
পৃষ্ঠা - ১৩৫১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু সা’লাবা খুশানী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তুমি শামদেশের বাসিন্দাকে আহ্লে বায়তের একজনকে খুব বেশি মেহমানদারী করতে দেখবে মূলতঃ তখনই কুস্তুনতিনিয়া জয় হবে।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن عبد الرحمن
ابن جبير بن نفير عن أبيه
عن أبي ثعلبة الخشني صاحب رسول الله صلى الله عليه
وسلم ورضى الله عنه قال إذا رأيت الشام مأدبة أو مائدة ورجل وأهل بيته فعند ذلك فتح
القسطنطينية
وأظن ابن وهب قال مائده
পৃষ্ঠা - ১৩৫২
হযরত কা’ব রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ একদা বিভিন্ন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যা বলেছেন আমি এখন সেগুলো তোমাদের সামনে তুলে ধরব। প্রায় বারজন শাসকের যুগে ফিতনা সংগঠিত হবে। তাদের মধ্যে রোমান বাদশাহ হবে সর্বকণিষ্ঠ এবং তার যুগে সবচেয়ে কম যুদ্ধ হবে। কিন্তু তারাই সবচেয়ে বেশি মানুষকে পথ ভ্রষ্টতার প্রতি ধাবিত করবে। এবং এরজন্য সাহায্য-সহযোগিতা করবে। হারামের দিকে নিয়ে যাবে। তখন ইসলামের কোনো সাহায্য করা হবে না। তবে যেদিন মুসলমানদের সাহায্যের লক্ষ্যে সানা এলাকার সৈন্যরা এগিয়ে আসবে, তখন খ্রীষ্টানদের সাহায্য করা হারাম হয়ে যাবে। ঐসময় জাজিরা এলাকায় ত্রিশ হাজারের বিশাল খ্রীষ্টান বাহিনীর সমাগম হবে । অন্যদিকে একলোক তাদের পক্ষ ত্যাগ করে বলবে,্ আমি খ্রীষ্টানদের সাহায্য করে যাব, যার কারণে প্রত্যেকে তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করবে। সেদিন কেউ তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তার সাথে একটি ধারালো তলোয়ার থাকবে। ফলে তাকে কেউ কোনো আঘাতও করতে পারবেনা। তার স্থলে একজন দালাল থাকবে যেদিন যার উপরই তলোয়ার দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল তাকে মারা যেতে হয়েছে। এক পর্যায়ে প্রত্যেকে একে অন্যকে সাহায্য করা হারাম মনে করেছে এবং উভয় দল ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। এক সময় প্রত্যেক দল অস্ত্রের মহড়া আরম্ভ করে দেয়। যাতে করে প্রতি পক্ষকে দুর্বল করতে সক্ষম হয় । যেদিন মুসলমানদের এক তৃতাংশ মারা যাবে, অন্য এক তৃতাংশ পলায়ন করবে। যার কারনে তার জমিনের সর্বনি¤œ স্তরে উপনীত হবে, যেখান থেকে কখনো জান্নাত তো দেখবেনা এমনকি জান্নাতীদেরকেরও দেখতে পাবেনা। আরেক তৃতাংশ ধৈর্য্যধারন করবে, তাদের লাগাতার তিনদিন পর্যন্ত পাহারা দিয়ে রাখা হবে। তাদের কেউ পলায়নকারী সাথীদের মত পলায়ন করবেনা। তৃতীয় দিন হলে তাদের একজন হঠাৎ দাড়িয়ে উচ্চস্বরে বলবে, হে মুসলমানগন! তোমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছ,দাড়াও এবং তোমাদের সাথীদের ন্যায় জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হও। যখন তারা এভাবে এগিয়ে যাবে তখনই আল্লাহ তাআলারর পক্ষ থেকে নুসরাত বা সাহায্য আসবে। আল্লাহ তাআলা খ্রীষ্টানদের উপর ক্রোধ প্রকাশ করতে থাকবে। যার কারণে তাদেরকে তীর, তলোয়ার ও বল্লম দ্বারা হত্যা করা হবে। এরপর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কোনো খ্রীষ্টানদের পক্ষে অস্ত্রধারন করার আর কারো সাহস থাকবেনা। তাদেরকে মুসলমানরা যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করতে থাকবে। যেদিন সব কেল্লা এবং শহর মুসলমানগন জয় করবে। এভাবে জয় করতে করতে একসময় কুস্তুন তিনিয়ানগরীতে এসে পৌছবে। অতঃপর সকলে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব, পবিত্রতা ও প্রশংসা করতে থাকবে। ফলে সেখানে বারটি বুরুজ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং যেখানে নির্বিঘেœ প্রবেশ করবে। সেখানের যুবকদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারীদের ইজ্জত লুন্টন করা হবে। আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে সেখানে থাকা ধনভান্ডার খুলে দেয়া হলে যার যা ইচ্ছা তা গ্রহণ করতঃ বাকিগুলো রেখে দেয়া হবে। উক্ত ভান্ডার থেকে সম্পদ গ্রহনকারী এবং বর্জনকারী উভয়দল লজ্জিত হবে।
একথা শুনার সাথে সাথে সকলে বলে উঠলো, উভয় গ্রুপের লজ্জা কীভাবে জমা হবে। জবাবে বলা হবে, সম্পদ গ্রহণকারীরা চিন্তিত ও লজ্জিত হবে, কেন আরো গ্রহণ করলোনা, অন্যদিকে বর্জনকারীগণও গ্রহন না করার কারণে খুবই পেরেশান হয়ে যাবে যে, কেন গ্রহণ করলোনা। একথ্ াশুনে সকলে বলল, নিঃসন্দেহে আপনি আখেরী যামানায় দুনিয়ার প্রতি আন্তরিক হয়ে যাবেন।
জবাবে তিনি বললেন, এটাও অবশ্যই শাদ্দাদ এবং দাজ্জালের আবির্ভাবের বৎসরগুলোতে সাহায্য করার উদ্দেেেশ্য হয়ে থাকবে। ঐসময় হঠাৎ প্রকাশ পাবে, তোমাদের শহরে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে। একথ্ াশুনে সকলে নিজের পরিবার-পরিজনের কাছে গিয়ে দেখতে পাবে যে, সংবাদটি ডাহা মিথ্যা বলেছে। তবে এরজন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবেনা, বরং দ্রুত দাজ্জালের আবির্ভাব হবে।
حدثنا ابن وهب عن عاصم بن حكيم
عن عمرو بن عبد الله
عن كعب قال ذكر سول الله صلى الله عليه وسلم الملحمة فسمي
الملحمة من عدد القوم وأنا أفسرها لكم إنه يحضرها إثنا عشر ملكا
ملك الروم أصغرهم
وأقلهم مقاتلة
ولكنهم كانوا هم الدعاة وهم دعوا تلك الأمم واستمدوا بهم
وحرام على
أحد يرى عليه حقا للإسلام أن لا ينصر الإسلام يومئذ وليبلغن مدد المسلمين يومئذ
صنعاء الجند
وحرام على أحد يرى عليه حقا للنصرانية أن لا ينصرها يومئذ و
لتمدنهم
يومئذ الجزيرة بثلثين ألف نصراني
فيترك الرجل فدانه يقول أذهب أنصر النصرانية
ويسلط
الحديد بعضه على بعض فما يضر رجلا يومئذ كان معه سيف لا يجدع الأنف ألا يكون مكانه
الصمصامة لا يضع سيفه يومئذ على درع ولا غيره إلا قطعه
وحرام على جيش أن يترك النصر
ويلقى الصبر على هؤلاء وعلى هؤلاء ويسلط الحديد بعضه على بعض ليشتد البلاء
فيقتل
يومئذ من المسلمين ثلث ويفر ثلث فيقعون في مهيل من الأرض يعني هوي لا يرون الجنة
ولا يرون أهليهم أبدا ويصبر ثلث فيحرسونهم ثلاثة أيام لا يفرون فر أصحابهم فإذا كان
يوم الثالث
قال رجل منهم يا أهل الإسلام ما تنتظرون قوموا فادخلوا الجنة
كما دخلها إخوانكم فيومئذ ينزل الله تعالى نصره ويغضب لدينه ويضرب بسيفه ويطعن
برمحه ويرمي بسهم
لا يحل لنصراني أن يحمل بعد ذلك اليوم سلاحا حتى تقوم الساعة
ويضرب المسلمون أقفاهم مدبرين لا يمرون بحصن إلا فتح ولا مدينة إلا فتحت
حتى يردوا
القسطنطينية فيكبرون الله ويقدسونه ويحمدونه فيهدم الله ما بين إثني عشر برجا
ويدخلها المسلمون فيومئذ يقتل مقاتلتها وتفتض عذراها ويأمرها الله فيظهر كنوزها
فآخذ وتارك فيندم الآخذ ويندم التارك
قالوا وكيف يجتمع ندامتهما
قال يندم
الآخذ أن لا يكون ازداد ويندم التارك ألا يكون أخذ
قالوا إنك لترغبنا في الدنيا
في آخر الزمان
قال إنه يكون ما أصابوا منها عونا لهم على سنين شداد وسنين
الدجال
قال ويأتيهم آت وهم فيها فيقول خرج الدجال في بلادكم
قال فينصرفون
حيارى فلا يجدونه خرج فلا يلبث إلا قليلا حتى يخرج
পৃষ্ঠা - ১৩৫৩
হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু ফাররাস, মুসানুসাইর এবং আযাজ ইব্্নে উকরা রহঃ এক স্থানে জমায়েত হয়ে কুস্তুনতিনিয়া এবং সেখানে স্থাপিত মসজিদ সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন। হযরত মুসা ইব্নে নূসাইর বলেন, নিঃ সন্দেহে আমি সে স্থান সম্বন্ধে অবগত। হযরত আযাজ ইব্নে উকরা রহঃ বলেন, উভয় দলের প্রত্যেকে আমাকে কথাটির কথা বলেছে, অতঃপর তিনি বলেন তোমরা উভয়দলই সঠিক কাজ করবে। হাদীস বর্ণনাকারী আবু ফাররাস বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’মকে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় তোমরা কুস্তুনতুনিয়া এলাকাটিতে মোট তিনবার যুদ্ধ করবে। প্রথমবার হবে বিভিন্ন ধরনের বালা-মসিবতের মাধ্যমে, দ্বিতীয় দফা হবে চুক্তির মাধ্যমে। এমনকি সেখানে মুসলমানরা একটি মসজিদও প্রতিষ্ঠা করবে এবং অন্য এলাকায় যুদ্ধ করে নিরাপদে কুস্তুনতুনিয়া ফিরে আসবে। তৃতীয় দফা যুদ্ধের মাধ্যমে যেটা আল্লাহ তাআলা জয় করার ব্যবস্থা করবেন। মূলতঃ কুস্তুনতুনিয়া জয় হবে তাকবীরের মাধ্যমে। অতঃপর তার এক তৃতাংশ ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে, আরেক তৃতাংশ আল্লাহ তাআলাা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিবেন, অন্য এক তৃতাংশের সম্পদকে তোমরা নিজেদের মাঝে সমান ভাগে বন্টন করবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن
لهيعة عن أبي قبيل
قال اجتمع أبو فراس مولى عمرو بن العاص وموسى بن نصير وعياض
بن عقبة وذكروا فتح القسطنطينية وذكروا المسجد الذي يبنى فيها
فقال أبو فراس
إني لأعرف الموضع الذي يبنى فيه
وقال موسى بن نصير إني لأعرف ذلك الموضع
فقال عياض بن عقبة يضع كل واحد منكما حديثه في أذني فأخبراه
فقال أصبتما
كلاكما
قال أبو فراس سمعت عبد الله بن عمرو بن العاص يقول إنكم
ستغزون
القسطنطينية ثلاث
غزوات
فأما أول غزوة فتكون بلاء
وأما الثانية فتكون صلحا حتى
يبني المسلمون فيها مسجدا ويغزون من وراء القسطنطينية ثم يرجعون إلى القسطنطينية
وأما الثالثة فيفتحها الله عليكم بالتكبير فيخرب ثلثها ويحرق الله ثلثها
وتقسمون الثلث الباقي كيلا
পৃষ্ঠা - ১৩৫৪
হযরত উমাইর ইবনে মালেক রহঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবুনুল আস রাযিঃ এর নিকট ইস্কান্দরিয়া এলাকায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে কুস্তুনতুনিয়া এবং রোমান এলাকার বিজয় নিয়ে আলোচনা করা হলে কেউ কেউ বললেন কুস্তুনতিনিয়া এলাকা গ্রীকের আগে জয় করা হবে, আবার কেউ বলেন, না গ্রীক আগে বিজয় করা হবে, এরপর হবে কুস্তুনতুনিয়া, এসব শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ একটি বাক্স আনতে বললেন, যার মধ্যে লিখিত কিছু কাগজপত্র ছিল। এসব দেখে তিনি বললেন গ্রীকের পূর্বে কুস্তুনতিনিয়া জয় করা হবে। এরপর মূলতঃ রোম বিজয় করা হবে। না হলে আমি আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স মিথ্যাবাদিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। একথা তিনি তিনবার বলেছেন।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن
عمير ابن مالك قال
كنا عند عبد الله بن عمرو بن العاص بالأسكندرية يوما فذكروا
فتح القسطنطينية ورومية
فقال بعض القوم تفتح القسطنطينية قبل رومية
وقال
بعضهم تفتح رومية قبل القسطنطينية فدعا عبد الله بن عمرو بصندوق له فيه
كتاب
فقال تفتح القسطنطينية قبل
رومية ثم تغزون رومية بعد القسطنطينية فتفتحونها وإلا فأنا عبد الله من الكاذبين
يقولها ثلاث مرات
পৃষ্ঠা - ১৩৫৫
হযরত ইয়াযিদ ইবনে যিয়াদ আল-আসলামী থেকে বর্ণিত, তিনি সাহাবাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন,নিঃসন্দেহে ইবনুল মোরেক, অর্থাৎ, রোমান বাদশাহ তিনশত জাহাজের সাহায্যে বিশাল বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে সারসিনা এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن يزيد بن
زياد الأسلمي وكان من الصحابة أن ابن مورق يعني ملك الروم يأتي في ثلثمائة سفينة
حتى يرسى بسرسنا
পৃষ্ঠা - ১৩৫৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইস্কান্দারিয়ার যুদ্ধ সংগঠিত হবে তাবারিছ ইব্নে আসতীনান ইবনুল আখরামের হাতে। দিনের দুপুরে যে মিনারের প্রান্তে অবতরণ করবে, যেখানে থাকবে চারশত সৈন্য, অতঃপর আরো চারশত সৈন্য আসবে। সকলে এসে মিনারের প্রান্তে অবতরণ করবে, যেখানে থাকবে চারশত সৈন্য, অতঃপর আরো চারশত সৈন্য আসবে। সকলে এসে মিনারের প্রান্তে অবতরন করবে।
قال ابن لهيعة وأخبرني بشير
عن عبد الله بن
عمرو قال
الملحمة والأسكندرية على يدي طبارس بن أسطينان بن الأخرم إذا نزل مركب
بالمنارة لم ينتصف النهار حتى يأتيكم أربع مائة مركب ثم أربع مائة حتى ينزلوا عند
المنارة
পৃষ্ঠা - ১৩৫৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন দুই আতীক দেশের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে, অর্থাৎ, আতীকুল আরব এবং আতীকুর রোম, তখন তাদের হাতে মূলতঃ যুদ্ধ সংগঠিত হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن عبد الله بن عمرو
رضى الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا ملك العتيقان عتيق العرب وعتيق
الروم كانت على أيديهما الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৫৮
হযরত আবু যর গিফারী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ বলতে শুনেছি, বনু ওমাইয়ায় নাক চেপটা বিশিষ্ট একজন লোক থাকবে। যে মিশরে অবস্থান করবে। সে শাসনভার গ্রহণ করবে এবং অন্য একজন শাসককে পরাজিত করবে। একসময় তার থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হলে সে রোমান এলাকায় পলায়ন করবে এবং কিছুদিন পর তাদের প্ররোচিত করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করতে উৎসাহিত করবে। এটাই হবে সর্বপ্রথম যুদ্ধ।
قال ابن لهيعة حدثني كعب بن علقمة قال
سمعت أبا النجم يقول
سمعت أبا ذر رضى الله عنه يقول سمعت رسول الله صلى الله
عليه وسلم يقول سيكو
ن من بني أمية رجل أخنس بمصر
يلي سلطانا فيغلب على سلطانه أو
ينزع منه فيفر إلى الروم فيأتي بالروم إلى أهل الإسلام فذلك أول الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৫৯
হযরত উরওয়া ইব্নে আবু কাইছ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু ওমাইয়ার এক লোক, আমি ইচ্ছা করলে তার প্রশংসা করতে পারি। তার অবস্থা এমন হবে, বিভিন্ন ধরনের পুরস্কারের মাধ্যমে তাকে চিনা যাবে। মিশরের শাসনক্ষমতা তার হাতে থাকা অবস্থায় সেখানের এক গন আন্দোলনের মুখে সে শাসন ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে মিশর ত্যাগ করে রোমান এলাকায় আশ্রয় নিবে। কিছুদিন পর রোমানদের সহযোগিতায় তাদেরকে মিশরের শাসন ক্ষমতা দখলের জন্য উৎসাহিত করবে। এ যুদ্ধই হবে মূলতঃ প্রথম যুদ্ধ।
قال ابن لهيعة وحدثني سعيد بن عبد الله المرادي قال
سمعت عروة بن أبي قيس يقول
إن رجلا من بني أمية لو شئت نعته حتى إذا رؤي بنعته عرف يفر إلى الروم من غضبه
يغضبها يغلب على سلطانه بمصر أو ينتزع منه فيأتي بالروم إليهم
পৃষ্ঠা - ১৩৬০
খুমাইমা আল-যিয়াদী থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, আমি একদিন তাবীকে রোমানদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যখন তুমি দেখবে জাজিরায় স্থাপনকৃত তাবুগুলোতে জাহাজ বানানো হচ্ছে, যার কাঠ হবে লেবনানের, বাঁধার রশি হবে মীসান এলাকার এবং তার লোহাগুলো হচ্ছে মারীদের প্রস্তুতকৃত। এরপর তার সৈন্যদলকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহন করতে বলবেন। একথা শুনে তারা যুদ্ধ করতে থাকবে। তবে এ যুদ্ধে কোনো বাধা অতিক্রম করতে পারবেনা এবং কোনো খুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হবেনা। যেহেতু তারা রোমান এলকা জয় করবে এবং তারা সাকানিয়্যাহর বাক্স নিয়ে শাম ও মিশরবাসিরা ঝগড়া করবে। যারা সেটাকে ইলিয়া নামক এলাকায় পৌছে দিবে অতঃপর লটারীর ব্যবস্থা করবে, এই কারণে মিশরবাসিদের উপর বিভিন্ন ধরনের বালা-মসিবতের আসতে থাকবে। অতঃপর তারাও সেটাকে ইলিয়াবাসিদেরকে ফেরৎ দিবে।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি তাকে কুস্তুন-তিনিয়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যেখানে কিছু লোক যুদ্ধ করবে, যারা কান্নাকাটি করবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রতি কাকুতি-মিনতি করতে থাকবে। তারা যে এলাকায় পৌঁছলে তিনদিন পর্যন্ত রোযা রাখবে, আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করতে থাকবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রতি বিনয়ী হবে। ফলে উক্ত এলাকার পূর্বপার্শ্বের বিশাল এক অংশ ধসে পড়বে, সেখান দিয়ে মুসলমানগন প্রবেশ করতে থাকবে এবং সেখানে অনেকগুলো মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
قال
ابن لهيعة وحدثني قيس بن الحجاج قال سمعت خثيما الزيادي يقول
سمعت تبيعا يقول
وسألته عن رومية
فقال
إذا رأيت الجزيرة التي بالفسطاط بني فيها سفنا
أو قال
سفينة خشبها من لبنان وحبالها من ميسان ومساميرها من مريس ثم أمر بجيش فاغزوا فيها
لا ينقطع لهم حبل ولا ينكسر لهم عمود
فإنهم يفتتحون رومية ويأخذون تابوت السكنية
فيتنازع التابوت أهل الشام وأهل مصر ايهم يردها إلى إيلياء ثم يستهموا عليها فيصيب
أهل مصر بسهمهم فيردونها إلى إيلياء
قال وسألته عن
القسطنطينية
فقال
يغزونها رجال يبكون ويتضرعون
إلى الله تعالى فإذا نزلوا بها
صاموا ثلاثة أيام
ويدعون الله ويتضرعون إليه فيهدم الله جانبها الشرقي فيدخلها المسلمون ويبنون فيها
المساجد
পৃষ্ঠা - ১৩৬১
হযরত রবীয়া ইবনুল কায়েসী রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদেরকে সাথে নিয়ে রোমানদের এলাকায় প্রবেশ করবে এবং সে এলাকা জয় করবে। এরপর বায়তুল মোকাদ্দাসের গচ্ছিত অলংকার থাকিবার বাক্স, লাঠি, দস্তর খানা এবং হযরত আদম আঃ এর জামাজোড়া আত্মসাৎ করে নিয়ে। অতঃপর একজন যুবককে নির্দেশ দিলে সেগুলোকে বায়তুল মোকাদ্দাসে ফেরৎ দিয়ে আসবে।
قال ابن لهيعة حدثني بكر بن سوادة عن زياد بن نعيم عن ربيعة بن
الفارسي قال
يسير منكم جيش إلى
رومية
فيفتتحونها ويأخذون
حلية بيت المقدس وتابوت
السكينة
والمائدة والعصى وحلة آدم فيؤمر على ذلك غلام شاب
فيردها إلى بيت المقدس
পৃষ্ঠা - ১৩৬২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইলিয়া নামক এলাকার অলি-গলিতে রোমানদের হৃদয়ে মারাত্মকভাবে কম্পন সৃষ্টি হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ কে বললাম, সেটা কি প্রথমে একবার ধ্বংস হয়ে যায়নি। তিনি জবাব দিলেন হ্যাঁ, ফলে তাদের কোনো যাতায়াতের রাস্তা থাকবেনা। তিনি বলেন, রোমানরা বলবে, এটা ঐসময় পর্যন্ত চলবে, যতক্ষণ না তোমাদের পর্বতের বিভিন্ন অংশ থেকে খেতে থাকবে। অতঃপর তোমাদের খতীব দাড়িয়ে যাবে। এরপর তোমাদের কতক লোক বলবে, তোমরা কিছুক্ষণ ধৈর্য্যধারন করতে হবে এবং কিছু সময়ের জন্য তোমরা একটু পিছু হটতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদের পতাকা দেখতে পাবে। আবার তোমাদের কেউ কেউ বলবে, বরং দুশমনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে যাও। যতক্ষণ না আল্লাহ তা’আলা আমাদের এবং তাদের মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করবেন। তোমাদের একদল বের হয়ে যাবে এবং আরেকদল তাদের প্রতি এগিয়ে এসে পানি বিশিষ্ট একটি এলাকায় এসে যুদ্ধ করবে। তার কথা শুনে আমি বললাম, আমি এমন এক এলাকা সম্বন্ধে জানি যেখানে কোনো পানি নেই, তবে সেখানে একটি নদী রয়েছে। একথা শুনে তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা যদি তাকে প্রকাশ করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রকাশ করবেন, তিনি বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে পরাজিত করবেন। এভাবে তারা চলতে থাকবে, কেউ কাউকে পরাজিত করতে পারবেনা এবং সেদিন খচ্চর সহ অনেক পশুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। অথচ ইতিপূর্বে এমন বৃদ্ধি কোনো সময় হয়নি। এক পর্যায়ে তারা একটি শহরে প্রবেশ করবে এবং দিনের মধ্যে একটি দল চলে গেলেও অন্য দল বাকি থাকবে। অতঃপর ঐ শহরও তারা জয় করবে এবং প্রত্যেক বাহিনী নিজেদের সামনের দিকে চলতে থাকবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن بكر بن سوادة أن جندبا حدثه عن الحارث بن
حرمل قال
سمعت عبد الله بن عمرو يقول
لتخفقن جعاب الروم في أزقة إيلياء
قال قلت
لعبد الله بن عمرو ليس قد أخربت مرة
قال نعم حتى لا يكون لهم من الريف مجرى
سكة
قال يقول الروم حتى متى يأكل هؤلاء من أطراف ريفكم
قال فيقوم خطباؤكم
فيقول بعضكم اصبروا واستأخروا عن عدوكم حتى تروا رأيكم ويقول بعضكم بل تقدموا عليهم
حتى يقضي الله بيننا وبينهم فيذهب منكم طائفة ويقبل إليهم طائفة فيقتتلون بوادي فيه
نهر ماء
فقلت أنا قد عرفت الوادي فليس فيه ماء إلا أن به نهرا
قال إذا شاء
الله أن يظهره أظهره قال فيهزمهم الله
قال فيسيرون لا يردهم أحد و
تغلوا البغال
يومئذ غلاء
لم تغل قط ولا تغلوا أبدا
حتى يبلغوا المدينة
وقد ذهب النهار منها
بطائفة ويبقى طائفة فيفتحونها ويأخذ كل قوم على جهتهم
পৃষ্ঠা - ১৩৬৩
হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আ’মাকের দিন রোমানদেরকে মাওয়ালীদের খলীফা পরাজিত করবেন।
حدثنا رشدين عن
ابن لهيعة عن عياش بن عباس عن يزيد بن قوذر عن أبي صالح
عن تبيع قال الذي يهزم
الروم يوم الأعماق هو
خليفة الموال
পৃষ্ঠা - ১৩৬৪
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতঃপর রোমানরা তোমাদের কাছে সন্ধি করার প্রস্তাব নিয়ে পাঠাবে, ফলে তোমরা তাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হবে। তখন মানুষ এতবেশি নিরাপত্তা অনুভব করবে, একজন মহিলা নিরাপদে একাকী শামের রাস্তা দিয়ে চলতে থাকবে এবং রোমানদের এলাকায় কায়সারিয়্যাহ নামক একটি শহর প্রতিষ্ঠা করা হবে।
حدثنا الوليد عن معاوية بن يحيى عن
أرطاة بن المنذر عن حكيم بن عمير عن تبيع
عن كعب قال ثم يبعث الروم يسألونكم
الصلح فتصالحونهم فيومئذ تقطع المرأة الدرب إلى الشام آمنة و
تبنى مدينة قيسارية
التي بأرض الروم
পৃষ্ঠা - ১৩৬৫
হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রুজছ এর ধ্বংস হওয়া এবং হাশেমী এর আত্মপ্রকাশের মাঝখানে সত্তর বৎসরের ব্যবধান রয়েছে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن رجل عن يزيد بن قوذر عن
أبي صالح
عن تبيع قال بين
خراب روذس
وبين
خروج الهاشمي
سبعين سنة
পৃষ্ঠা - ১৩৬৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, দুই আতীক অর্থাৎ, আতীকুল আরব ও আতীকুররোম যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আধিষ্ঠিত হয় তাহলে তাদের উভয়ের হাতে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ সংগঠিত হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن عبد الله عمرو رضى الله عنهما عن
النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا ملك العتيقان عتيق العرب وعتيق الروم كانت على
أيديهما الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৬৭
হযরত ইকরিমা কিংবা সাঈদ ইবনে যুবায়ের রহঃ আল্লাহ তাআলার নি¤েœর আয়াত .................... (আরবী হবে) এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, একটি শহর, যেটাকে রোমানরা জয় করবে।
حدثنا يحيى بن اليمان عن سفيان عن علي بن الأقمر
عن
عكرمة أو سعيد بن جبير في قوله تعالى لهم في الدنيا خزي قال مدينة تفتح بالروم
পৃষ্ঠা - ১৩৬৮
হযরত কা’ব রহঃ আল্লাহ তাআলার বক্তব্য ....................(আরবী হবে) সম্বন্ধে বলেন, বণী ইসরাইলের এক অংশ ব্যাপক যুদ্ধের দিন তারা মারাত্মক গণহত্যা চালাবে। অতঃপর মুসলমান এবং আহ্লে ইসলামকে সাহায্য করা হবে। তখন হযরত কা’ব রহঃ নি¤েœর আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ
.......................... (আরবী হবে)।
حدثنا بقية بن الوليد وأبو المغيرة عن صفوان بن عمرو عن أبي المثنى
الأملوكي
عن كعب في قوله تعالى فإذا جاء وعد الآخرة جئنا بكم لفيفا الآية قال
سبطان من أسباط بني إسرائيل يقتلون يوم الملحمة العظمى
فينصرون الإسلام وأهله ثم
قرأ كعب وقلنا من بعده لبني إسرائيل اسكنوا الأرض فإذا جاء وعد الآخرة جئنا بكم
لفيفا الآية
পৃষ্ঠা - ১৩৬৯
হযরত কা’ব রহঃ বলেন, ফিলিস্তিন এলাকায় রোমানদের সাথে দুইটি ঘটনা সংগঠিত হবে। একটি হচ্ছে, কাত্্তাকের ঘটনা আর অপরটির নাম হচ্ছে, আল-হাসাদ।
حدثنا ابو المغيرة عن بشير بن عبد الله بن يسار عن أشياخه
عن كعب قال
في فلسطين وقعتان
في الروم تسمى إحداهما
القطاف
والأخرى
الحصاد
পৃষ্ঠা - ১৩৭০
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, তারা রোমানদের এলাকা জয় করার পর মুহাজিরদের সন্তানগন নিজেদের তলোয়ার রোম এলাকায় লটকিয়ে রাখবেন। এদিকে কুস্তুনতিনিয়া থেকে আগত জনৈক লোক তাদেরকে তালাবদ্ধ করে রাখবে। কিছুক্ষণ পর তারা বুঝতে পারে যে, তাদেরকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
حدثنا عبد القدوس عن ابن عياش عن محمد بن عبد الرحمن عن أبي الغيث
عن أبي هريرة قال يفتتحون رومية حتى يعلق أبناء المهاجرين
سيوفهم رومية
فيقفل القافل من القسطنطينية فيرى أنه قد قفل
পৃষ্ঠা - ১৩৭১
হযরত আব্দুল মালিক ইবনে উমাইর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুপকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন আমাকে হযরত কাব রহঃ থেকে শুনেছেন এমন একজন বর্ণনা করেছেন। কা’ব রহঃ বলেন, যদি রোমানদের মাঝে ভালো চরিত্রের অধিকারী কেউ থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে সে আসমানে চলমান সূর্যের আওয়াজ শুনতে পেত। যেমন কোথাও কোনো বস্তু কাটতে গিয়ে করাত চালানোর আওয়াজ শুনা যায়।
قال ابن عياش وحدثني سعيد بن يزيد العبسي عن عبد الملك بن عمير قال
سمعت الحجاج بن يوسف يقول
حدثني من سمع كعبا يقول لولا من برومية من الخلق لسمع
لممر الشمس في السماء جرا كجر المنشار
পৃষ্ঠা - ১৩৭২
হযরত আবুয্্যাহিরিয়্যাহ এবং জমরা ইব্নে হাবীব রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তারা উভয়জন বলেন, রোমানরা রোম থেকে রোমানিয়া পর্যন্ত এলাকার লোকজনকে সমুদ্র পথে তোমাদের প্রতি এক প্রকার টেনে নিয়ে আসবে। যার কারণে তারা তোমাদের এলাকার দশ হাজার সৈন্যের সমাগমের মাধ্যমে দখল করে নিবে, তারা হিজর এবং ইয়াফা নগরীর মাঝখানে অবস্থান করতে থাকবে। তাদের সর্বশেষ দল এবং জামাআত আক্্কা নগরীতে ছাউনি ফেলবে। যার কারণে শামবাসিরা সর্বশেষ সীমানায় পলায়ন করবে। তাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকবে। এক পর্যায়ে সাহায্য চেয়ে ইয়ামানবাসিদের কাছে লোক পাঠানো হবে এবং তারাও চল্লিশ হাজার সৈন্য দিয়ে সাহায্য করবে। প্রত্যেকের তলোয়ার খেঁজুর গাছের আশেঁর সাথে লটকানো থাকবে। এরপর তারা আক্্কা নামক এলাকায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকবে এবং সেখানেই হবে তাদের এবং তাদের দলের সর্বশেষ সীমানা। ফলে আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে বিজয় দান করবেন এবং তাদেরকে হত্যা করা হবে। তাদের পিছু নিয়ে রোমান এলাকা পর্যন্ত ধাওয়া করা হয়। এছাড়া অন্যদেরকে হত্যা করা হয় তারা হচ্ছে, ঐসব লোক যারা আমাক এলাকার বড় যুদ্ধে শরীক হয়েছে। এক পর্যায়ে শাম দেশে অবস্থানরত প্রত্যেক খ্রীষ্টান এক স্থানে জমায়েত হয়। এমনভাবে একত্রিত হয়, শামের কোথাও আর কোনো খ্রীষ্টান থাকেনা, বরং গোটা আমাক এলাকা যেন খ্রীষ্টানদের দখলে চলে গিয়েছে। তাদের প্রতি মুসলমান এগিয়ে আসবে, তাদের প্রত্যেকে ইয়ামানবাসীদের যারা আক্কা নামক স্থানের দিকে চলে গিয়েছিল, তাদের সাথে দখলদার খ্রীষ্টানদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হবে। সর্বক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার স্থাপন করা হবে। যেদিন অস্ত্রধারী কেউ কোনো প্রকারের কাপুরূষতা দেখাবেনা। মুসলমানদের এক তৃতাংশ শহীদ হয়ে যাবে, বিরাট একটা অংশ দুশমনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে। এবং অন্য আরেক অংশ বের হয়ে যাবে। মুসলমানদের সৈন্যদল থেকে যারা বের হয়ে যাবে তারা মৃত্যু পর্যন্ত আফসোস্্ করতে থাকবে। সেদিন যেসব মুসলমান কাপুরুষতা প্রদর্শনপূর্বক বের হয়ে যাবে তারা যেন জমিনের উপর শুয়ে থাকবে। অতঃপর তার উপর ইফাফ রাখার নির্দেশ দেয়া হয় এবং যেন ইফাফের উপর থেকে তার মাথার উপর ফেলা হয়। এরপর লোকজনকে চুক্তি করার জন্য আহ্বান করা হলে তারা বলবে ইয়ামানবাসীরা তো ইয়ামান চলে গিয়েছে এবং কায়স গোত্রের লোকজন গ্রামে ফেরৎ গিয়েছে। এক পর্যায়ে মুহাব্বিরগন দাড়িয়ে বলতে থাকবে, আমরা কুফরী গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। একথা শুনে তাদের সর্দার দাড়িয়ে যাবে এবং তার গোত্রের লোকজনকে উৎসাহিত করবে, যেন রোমানদের উপর হামলা করা হয়। তখনই তাদের দল নেতার মাথার উপরিভাগে তলোয়ার দ্বারা মারাত্মকভাবে আঘাত করা হবে এবং তার মাথা দুইভাগ হয়ে যাবে। এ অবস্থা দেখে সকলের মাঝে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করবে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মুসলমানদের উপর সাহায্য আসবে তারা বিজয়ী হবে এবং রোমানরা পরাজিত হবে। ঐ দিন পরাজিত সৈন্যদেরকে পাহাড়, পর্বত, অলি-গলির যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা হবে। যার কারণে তাদের অনেকেই গাছ, পাথর ইত্যাদির পিছনে আত্মগোপন করে থাকবে। তখনই ঐ গাছ-পাথর বলবে, হে মুমিন। আমার পিছনে কাফের রয়েছে তাকে হত্যা করা হোক।
حدثنا بقية بن الوليد والحكم بن
نافع وأبو المغيرة عن ابي بكر بن أبي مريم عن أبي الزاهرية وضمرة بن حبيب قالا
تجلب الروم عليكم في البحر من
رومية
إلى
رمانية
فيحلون عليكم بساحلكم بعشرة
آلاف قلع فيسكنون
ما بين وجه الحجر إلى يافا وينزل حدهم وجماعتهم بعكا
فينفر أهل
الشام إلى مواخيرهم فيقلوا فيبعثون إلى أهل اليمن فيستمدونهم فيمدونهم بأربعين ألفا
حمائل سيوفهم المسد
فيسيرون حتى يحلوا بعكا
وبها حد القوم وجماعتهم فيفتح الله لهم
فيقتلونهم ويتبعونهم حتى يلحق من لحق منهم بالروم ويقتلون من سواهم وهم الذين
يحضرون
الملحمة الكبرى بالعمق
فيجتمع أهل النصرانية جميعا من أهل الشام حتى لا يبقى
منهم أحد إلا مد أهل العمق ويسير إليهم المسلمون حدهم وجماعتهم أهل اليمن الذين
قدموا إلى عكا فيقتتلون قتالا شديدا ويسلط الحديد على الحديد فلا تجبن يومئذ حديدة
فيقتل من المسلمين الثلث و
يلحق بالعدو منهم كثرة وتخرج منهم طائفة
فمن خرج من عسكر
المسلمين تاه فلم يزل تائها حتى يموت فمن جبن من المسلمين يومئذ أن يخرج فليضطجع
على الأرض ثم ليأمر بإكافة فليوضع عليه ولتوضع عليه جواليقه من فوق الإكاف
ثم
يتداعى الناس إلى الصلح
فيقولون يلحق أخهل اليمن بيمنهم ويلحق قيس ببدوهم
فيقوم
المحررون
فيقولون فنحن إلى من نلحق أنلحق بالكفر فيقوم رئيس المحررين ثم
يحرض قومه فيحمل على الروم فيضرب هامة رئيسهم بالسيف حتى يفلق هامته ويشتعل القتال
وينزل الله الفتح عليهم فيهزمهم الله فيقتلون في كل سهل وجبل
حتى إن الرجل منهم
ليستتر بالشجر والحجر
فيقول أيا مؤمن هذا كافر خلفي فاقتله
পৃষ্ঠা - ১৩৭৩
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিমযার এবং হুমাইরবাসির জন্য বড় যুদ্ধের দিন খুবই সুসংবাদ। আল্লাহর কসম! নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দুনিয়া আখেরাত উভয়টা দান করবেন, যদিও লোকজন সেটাকে অপছন্দ করে।
حدثنا
بقية والحكم عن صفوان عن مهاجر الأزدي عن تبيع
عن كعب قال طوبى يوم الملحمة
العظمى لحمير والحمراء والله ليعطينهم الله الدنيا والآخرة وإن كره الناس
পৃষ্ঠা - ১৩৭৪
হযরত ইউনুস ইব্্নে সাইফ আল-খাওলানী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা রোমনদের সাথে নিরাপত্তা মূলক এক চুক্তিতে আবদ্ধ হবে। এক পর্যায়ে তোমরা এবং রোমানরা তুর্কী এবং ফিরমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।ফলে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন। একপর্যায়ে রোমানরা তাদের ক্রুশ জয় হওয়ার ঘোষণা দিবে। তাদের এ আচরণ দেখে মুসলমানরা ক্ষেপে যাবে এবং একদল অন্য দলের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে। উভয় দলের মাঝে পর্বতের উচু স্থানে ভয়াবহ এক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। আল্লাাহ তা’আলা মুসলমানদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করবেন। এরপর ছোট্ট-বড় আরো অনেক যুদ্ধ হবে।
حدثنا عبد القدوس عن أبي دوس اليحصبي قال
سمعت خالد بن معدان يقول ليخرجنكم
من الشام كفرا كفرا وليجرين خاتمهم أربعين يوما يعني البريد
পৃষ্ঠা - ১৩৭৫
حدثنا أبو
المغيرة عن ابن عياش عن عقيل بن مدرك
عن يونس بن سيف الخولاني قال
تصالحون
الروم
صلحا آمنا حتى
تغزوا أنتم وهم
الترك وكرمان
فيفتح الله لكم
فتقول الروم
غلب الصليب
فيغضب المسلمون فينحازون وينحازون فيقتتلون قتالا شديدا عند مرج ذي
تلول ثم يفتح الله لكم عليهم ثم تكون الملاحم بعد ذلك
পৃষ্ঠা - ১৩৭৬
হযরত যি মিখবার ইব্নে আখী আন-নাজ্জালী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, রোমানদের সাথে তোমরা দীর্ঘ দশ বৎসরের জন্য চুক্তি করবে, তবে তারা সে চুক্তি কেবল দুই বৎসর পর্যন্ত মেনে চলবে এবং তৃতীয় বৎসরই গাদ্দারী করবে, আবার চতুর্থ বৎসর চুক্তি মেনে চললেও পঞ্চম বৎসর আবারো গাদ্দারী করবে। তাদের অবস্থা দেখে তোমাদের একদল সৈন্য তাদের শহরে পৌছবে। তবে কিছুদিন পর তোমরা এবং রোমানরা মিলে অন্য আরেকজন দুশমনের সাথে যুদ্ধ করবে এবং আল্লাহ তাআলা তোমাদেরক বিজয়ী করবেন। অতঃপর তোমরা সওয়াব এবং গনীমত অর্জনের মাধ্যমে সাহায্য প্রাপ্ত হবে। এরপর তোমরা টীলা বিশিষ্ট এক এলাকায় ছাউনি ফেলবে।
ঐসময় তোমাদের একজন বলবে, আল্লাহ জয়লাভ হয়েছে, একথা শুনে তাদের থেকে একজন বলে উঠবে ক্রুশই বিজয়ী হয়েছে। এটা নিয়ে উভয়ের মাঝে কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি চলতে থাকবে। এদিকে মুসলমানরা রাগেÑক্ষোভে ফেঁেস উঠবে, ঐ ক্রশটি কিন্তু মুসলমানদের পার্শেই রাখা ছিল। যা দেখে একজন মুসলমান রাগ সামলাতে না পেরে উক্ত ক্রশটি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলবে। এর সাথে সাথে যে মুসলমান উক্ত ক্রুশ ভেঙ্গেছে সকলে তার উপর আক্রমন করে শহীদ করে ফেলবে। অন্যদিকে মুসলমানদের উক্ত দলটিও অস্ত্র হাতে উঠিয়ে নিবে এবং রোমানরাও হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। উভয় দল যুদ্ধ করতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের এজামাআতকে শাহাদাত নসীব করার দ্বারা সম্মানিত করবেন। পরবর্তীতে তারা তাদের বাদশাহ্র কাছে এসে বলবে, আমরা আপনার দেশের সীমানা এবং রনশক্তি প্রদর্শনের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছি। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? জবাবে বাদশাহ প্রত্যেককে এক লোকের বোঝায় সামানা দিয়েছেন। এরপর তারা আশিটি দল নিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসবে, প্রত্যেক দলে বার হাজার করে সৈন্য থাকবে।
حدثنا ضمرة بن
ربيعة عن يحيى بن أبي عمرو السيباني
عن ذي مخبر ابن أخي النجاشي قال سمعت رسول
الله صلى الله عليه وسلم يقول
تصالحون الروم عشر سنين
صلحا آمنا يوفون لكم سنتين
ويغدرون في الثالثة أو يفون أربعا ويغدرون في الخامسة فينزل جيش منكم في مدينتهم
فتنفرون أنتم وهم إلى عدو من ورائهم
فيفتح الله لكم فتنصرون بما أصبتم من أجر
وغنيمة فينزلون في مرج ذي تلول
فيقول قائلكم الله غلب
ويقول قائلهم الصليب
غلب فيتداولنها ساعة
فيغضب المسلمون وصليبهم منهم غير بعيد فيثور المسلم إلى
صليبهم فيدقه فيثورون إلى كاسر صليبهم فيضربون عنقه فتثور تلك العصابة من المسلمين
إلى أسلحتهم ويثور الروم إلى أسلحتهم فيقتتلون فيكرم الله تلك العصابة من المسلمين
فيستشهدون
فيأتون ملكهم
فيقولون قد كفيناك حد العرب وبأسهم فماذا تنتظر فيجمع
لكم حمل امرأة ثم يأتيكم في ثمانين غاية تحت كل غاية إثنا عشر الفا
পৃষ্ঠা - ১৩৭৭
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি তিনটি বিষয় না হতো তাহলে আমি জীবিত থাকা পছন্দই করতামনা। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, বড় যুদ্ধ, যেহেতু সেদিন আল্লাহ আল্লাহতাআলা প্রত্যেক অস্ত্রধারী লোকের উপর কাপুরুষতা অবলম্বন করাকে হারাম করে দিয়েছেন। তখন কেউ যদি তার তলোয়ারের উপরের অংশ ধারা শত্রুর আঘাত করে তাহালেও সে শত্রু দ্বিখন্ডিত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় হচ্ছে, কাফেরদের একটি শহরকে জয় করা। কেননা এশহর জয় করা ছাড়া অন্যগুলো একেবারে নগন্য মনে হবে, যেগুলো যতবড় যুদ্ধই হোক না কেন।
حدثنا أبو أيوب عن أرطاة عن المفرح بن محمد وشريح ابن عبيد
عن كعب قال لولا
ثلاث لأحببت ألا أحيا إحداهن الملحمة العظمى فإن الله تعالى يحرم فيها يومئذ على كل
حديدة أن تجبن ولو ضرب رجل بسفود لقطع
والأخرى لولا أن أشهد فتح مدينة الكفر
وإن دون فتحها لصغار وهوان كبير
পৃষ্ঠা - ১৩৭৮
হযরত আলী ইবনে রবাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আজলান নামক স্থানে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ তার ক্ষেতে কাজ করাকালীন ফিলিস্তিনের কায়সারিয়া এলাকার পার্শ্বে থাকা অবস্থায় তার কাছে ঘোড়ার উপর আরোহন করতঃ একেবারে ধুসরিত অবস্থায় একজন লোক আসে, তার নিজের তলোয়ারে চুমো খেয়ে বলে উঠলো, লোকজন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে, সে কায়সারিয়া যুদ্ধে শরীক হতে আশাবাদি। তিনি বললেন, সেটা তো আমার বা তোমার যুগে হবে না। যতক্ষণ না জালেম এক শাসককে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না দেখবে। অতঃপর গণ আন্দোলনের মুখে যে রোমের দিকে পলায়ন করবে। অতঃপর কিছুদিন যেতে না যেতেই সে রোমানদের সহায়তায় মিশরের উপর আক্রমন করে বসবে। এটিই হবে সর্বপ্রথম যুদ্ধ।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن يزيد
بن أبي حبيب عن علي بن رباح قال
بينما عبد الله بن عمرو في مزرعته بالعجلان إلى
جانب قيسارية فلسطين إذ مر به رجل مغبر على فرسه مستلما في سلاحه يخبره أن الناس قد
فزعوا يرجو أن يشهد ملحمة قيسارية
فقال إن ذلك ليس في زماني ولا زمانك حتى ترى
رجلا من أبناء الجبابرة بمصر يغلب على سلطانه فيفر إلى الروم فيجيء بالروم فذلك أول
الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৭৯
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হাসানা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, কসম যে স্বত্তার যার হাতে আমার প্রাণ! নিঃসন্দেহে ঈমান মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে যাবে, যেমন সাপ তার গর্তে প্রবেশ করে। আর ঈমান যেন মদিনার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে যাবে, যেমন বিভিন্ন ময়না। অবর্জনা নদীর ¯্রােতের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে আরবগণ স্বসস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা করবে, যার কারণে প্রত্যেকে যার কাছে যাকিছু আছে তা নিয়ে বেরিয়ে যাবে। নেককার, বদকার সকলের একটি কথা থাকবে তাদেরকে এবং রোমানদেরকে হত্যা কর। এক পর্যায়ে বিবাহের মোড় ঘুরে যাবে এবং এন্তাকিয়া নগরীর আ’মাক স্থানের দিকে ধাবিত হবে, সেখানে দীর্ঘ তিন দিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা উভয় দল থেকে সাহায্য উঠিয়ে নিবেন। যার কারণে এত বেশি রক্তপাত হবে, এমনকি ঘোড়ার শরীরের অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে রঞ্জিত হয়ে যাবে। এমন অবস্থা দেখে ফেরেশতাগণ বলবেন, হে আল্লাহ! আপনার বান্দাদেরকে কি সাহায্য করবেননা ? জবাবে আল্লাহতাআলা বলবেন, না এখন সাহায্য করা যাবেনা, যতক্ষণ না তাদের শহীদদের মিছিল দীর্ঘ হয়। এই যুদ্ধে এক তৃতাংশ শহীদ হয়ে যাবে, আরেক তৃতীয়াংশ ধৈর্য্যধারন করবে এবং অন্য অংশ সন্দেহ প্রবন হয়ে ফিরে যাবে। শাস্তি হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধসে দিবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রোমানরা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বংশের লোকদের আমাদের হাতে সোপর্দ করবেনা ততক্ষণ আমরা তোমাদেরকে ছাড়বোনা। আরবরা, অনারবদেরকে বলবে, তোমরা ধর্ম গ্রহন কর, একথা শুনে অনারবরা বলবে, ঈমান গ্রহণ করার পরও কি আমরা আবার কুফরী ধর্মে ফিরে যাব। তখনই সকলের রাগ চরমে পৌছবে এবং রোমানদের উপর এক যোগে হামলা করবে। উভয় দলের মাঝে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থার পর আল্লাহ তাআলা খুবই রাগান্বিত হবে, যার কারনে রোমানদেরকে আল্লাহর তলোয়ার ও তীর দ্বারা আক্রমণ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে আল্লাহর তলোয়ার ও তীর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ্্র তীর-তলোয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুমিনের তীর এবং তলোয়ার এভাবে কিছুক্ষণ যুদ্ধ চলার পর রোমানরা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং খবর পৌঁছানোর জন্যও কেউ থাকবেনো। তাদেরকে পরাজিত করার পর মুসলমানরা রোম শহরের দিকে এগিয়ে গিয়ে আল্লাহ আকবর তাকবীর দ্বারা রোমের কেল্লা এবং শহর জয় করবে। এক পর্যায়ে তারা হেরাকলের শহরে পৌছে, সেটাকে পুরোপুরি খালি ও জনমানবশুন্য দেখতে পাবে। অতঃপর উক্ত শহরকেও তাকবীর দ্বারা জয় করে নিবে। সেখানে গিয়ে আল্লাহ আকবর বলার সাথে সাথে যে শহরের একটি দেয়াল ধসে পড়বে। আরেকবার তাকবীর বলার সাথে সাথে আরেক পার্শ্বের দেয়াল ধসে পড়ে যাবে। সমুদ্রের দিকের দেয়ালটি বাকি থাকবে। যা ধসে পড়বেনা। অতঃপর রোমিয়ার দিকে এগিয়ে গেলে, সেটাও তাকবীর দ্বারা জয় করবে। তখন যুদ্ধ থেকে পাওয়া গণীমতের মাল সমানভাবে বন্টন করতে থাকবে।
حدثنا الوليد وأبو المغيرة عن ابن عياش عن إسحاق ابن أبي فروة
عن يوسف بن سليمان عن جدته ميمونة
عن عبد الرحمن بن سنة قال سمعت رسول الله صلى
الله عليه وسلم يقول والذي نفسي بيده ليأرزن الإيمان إلى ما بين المسجدين كما تأرز
الحية إلى حجرها وليحازن الإيمان المدينة كما يحوز السيل الدمن فبيناهم على ذلك
استغاثت العرب بأعرابها
فخرجوا في مجلبة لهم كصالح من مضى وخير من بقى فاقتتلوا هم
والروم فتتقلب بهم الحروب
حتى يردوا عمق أنطاكية
فيقتتلون بها ثلاث ليال فيرفع الله
النصر عن كل الفريقين حتى تخوض الخيل في الدم إلى ثننها
وتقول الملائكة أي رب
ألا تنصر عبادك
فيقول حتى يكثر شهداؤهم فيستشهد ثلث ويصبر ثلث ويرجع ثلث شاكا
فيخسف بهم
قال فتقول الروم لن ندعكم [ إلا ] أن
تخرجوا إلينا كل من كان
أصله منا
فيقول العرب
للعجم
الحقوا بالروم
فتقول العجم أنكفر بعد الإيمان
فيغضبون عند ذلك فيحملون على الروم فيقتتلون فيغضب الله عند ذلك فيضرب بسيفه ويطعن
برمحه
قيل يا عبد الله بن عمرو ما سيف الله ورمحه
قال سيف المؤمن ورمحه حتى
يهلكوا الروم جميعا فما يفلت إلا مخبر
ثم ينطلقون إلى أرض الروم فيفتتحون حصونها
ومدائنها بالتكبير
حتى يأتوا مدينة هرقل فيجدون خليجها بطحاء ثم يفتتحونها بالتكبير
يكبرون تكبيرة فيسقط أحد جدرها ثم يكبرون أخرى فيسقط جدار آخر ويبقى جدارها البحري
لا يسقط
ثم يستجيرون إلى رومية
فيفتتحونها بالتكبير ويتكايلون يومئذ غنائهم كيلا
بالغرائر
إلا أن الوليد لم يذكر جدته
পৃষ্ঠা - ১৩৮০
হযরত সাঈদ ইব্নে জাবের রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মোয়াবিয়া রাযিঃ এর বংশধর থেকে জনৈক লোক বলেন, তুমি কি তোমার ভাইয়ের কিতাবটি পড়েছ?
জবাবে তিনি বলেন, তার প্রতি একটি কিতাব নিক্ষেপ করবে, যেখানে লেখা থাকবে ............(আরবি হবে)। তার অনেকগুলো নাম থাকবে। যেমন ......... ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এর পর আহলে ইয়ামানে একটি সন্তান জন্মলাভ করবে, যারা জিকিরকে এমনভাবে গ্রহণ করবে যেমনভাবে ক্ষুধার্ত পাখি গোশতের প্রতি আগ্রহী হয় এবং ক্ষুধার্ত বকরি পানির প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠে। তাদের পরিবার থেকে দূর্বলতা দূর করে দিব, তাদের অন্তরে দৃঢ়তা দান করব। যুদ্ধের সময় তাদের আওয়াজকে সিংহের হুংকারের মত করে দিব। তারা বনজঙ্গল থেকে বের তাদের রাখালদেরকে যখন আওয়াজ দিলে সেই আওয়াজ থেকে বিরত্ব ও বাহাদুরী প্রকাশ পাবে। তাদের ঘোড়ার ক্ষুরকে আমি সমতল স্থানে চলন্ত লোহার মত করে দিব। যাতে করে যুদ্ধকালীন শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। তাদের কামানের রশিগুলোকে খুবই শক্ত করে দিব। এবং তোমাকে সূর্যের নিচে হাড্ডিসার করে রেখে দিব, আর তোমাকে জনমানব শূন্য এলাকায় থাকতে দিব, যেখানে কেবলমাত্র পশুপাখিই তোমার সাথি হবে। তোমার ঘরকে দেয়াশালায়ে পরিণত করব, তোমার জ্বলন্ত ঘরের ধোঁয়া আসমানের পাখিকে পর্যন্ত স্পর্শ করবে। তোমার আর্তনাদের আওয়াজ আমি জাজিরার বাসিন্দাদেরকেও শুনাব, এভাবে আরো ধমকসূলভ আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো সব আমি সংরক্ষণ করতে পারিনি।
حدثنا عبد القدوس وابن كثير بن
دينار عن ابن عياش عن يحيى بن أبي عمرو السيباني عن سعيد بن جابر
قال له رجل من
آل معاوية ألا تقرأ صحيفة من صحف أخيك كعب
قال فطرح إلى صحيفة مكتوب فيها قل
لصور مدينة الروم
وهي
تسمى بأسماء كثيرة قل لصور بما عتت عن أمري وتجبرت
بجبروتك تباري بجبروتك جبروتي وتمثلين فلكك بعرشي لأبعثن عليك عبادي الأميين
وولد سبأ أهل اليمن الذين يردون الذكر كما ترد الطير الجياع اللحم وكما ترد
الغنم العطاش الماء ولأنزعن قلوب أهلك ولأشدن قلبوهم ولأجعلن صوت أحدهم عند الباس
كصوت الأسد يخرج من الغابة فيصيح به الرعاة فلا تزده أصواتهم إلا جرأة وشدة ولأجعلن
حوافر خيولهم كالحديد على الصفا ليدرك يوم الباس ولأشدن أوتار قسيهم ولأتركنك جلحاء
للشمس ولأتركنك لا ساكن لك إلا الطير والوحش ولأجعلن حجارتك كبريتا ولأجعلن دخانك
يحول دون طير السماء ولأسمعن جزائر البحر صوتك
في وعيد كثير لم يحفظه كله
পৃষ্ঠা - ১৩৮১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্্ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লা তাআলার দরবারে সর্বত্তোম শহীদ হচ্ছে, সমুদ্রের শহীদ, এন্তাকিয়ার আ’যাফের শহীদ, এবং দাজ্জালের সাথে মোকাবেলা করে যারা শহীদ হবে।
قال ابن عياش وحدثني اسحاق بن أبي فروة عن أبي سلمة الحضرمي
عن عبد
الله بن عمرو قال أفضل الشهداء عند الله تعالى شهداء البحر وشهداء
أعماق أنطاكية
وشهداء الدجال
পৃষ্ঠা - ১৩৮২
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বড় যুদ্ধের শহীদদের কবর তার পূর্বে শহীদ হওয়া লোকজনের কবর থেকে বেশি আলোকিত হবে।
حدثنا بقية عن محمد بن الوليد الزبيدي عن راشد بن سعد
عن كعب قال إن قبور شهداء الملحمة العظمى لتضيء في قبور شهداء من قبلهم
পৃষ্ঠা - ১৩৮৩
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি আমি সবচেয়ে বড় যুদ্ধে শরীক হতে পারতাম, তাহলে এরপূর্বে যেসব কিছুতে শরীক হতে পারিনি তার জন্য কোনো আফ্্সোস থাকতোনা এবং এরপর আর জীবিত থাকতে না পারলেও কোনো পরোয়া ছিলনা, বড় যুদ্ধের দিন দাজ্জালের যুদ্ধের দিনে থেকে আরো বেশি ভয়াবহ হবে। কেননা দাজ্জালের সাথে থাকবে মাত্র একটি তলোয়ার, কিন্তু বড় যুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের কাছে অনেক ধরনের আধুনিক অস্ত্র থাকবে।
حدثنا بقية عن عبد القدوس عن صفوان عن شريح ابن عبيد
عن كعب قال
إن أنا شهدت يوم الملحمة الكبرى لم آس على ما فاتني قبله ولا أبالي ألا أبقى بعده
وقتال يوم الملحمة العظمى أعظم من قتال الدجال
وذلك لأنه يكون مع الدجال سيف واحد
ومع أصحاب الملحمة سيوف والسيوف الأمم
পৃষ্ঠা - ১৩৮৪
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা রোমানদের মধ্যে তিন প্রকারের হত্যা রাখবেন, এক প্রকার হচ্ছে, ইয়ারযুকের হত্যা, দ্বিতীয়, কাইয়ান কাছের হত্যা অর্থাৎ, হিম্্স নগরীর যুদ্ধ আর তৃতীয় হচ্ছে, আযাফ এলাকার হত্যা বা যুদ্ধ।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن
عبد الله بن دينار
عن كعب قال إن لله تعالى في الروم ثلاث ذبائح
أولهن اليرموك
و
الثانية
فينقس يعني التمرة وهي
حمص
و
الثالثة
الأعماق
পৃষ্ঠা - ১৩৮৫
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুস্তুনতুনিয়ার উভয় পার্শ্ব অর্থাৎ, কিলাইত জয় করা ছাড়া কুস্তুনতুনিয়া জয় করা সম্ভব হবে না, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো কিলাইত আবার কোন এলাকা, জবাবে তিনি বলেন কিলাইত হচ্ছে, উমুরিয়া নামক এলাকা।
حدثنا أبو المغيرة
عن عتبة بن ضمرة عن أبيه عن أبي هزان
عن كعب قال لا تفتح القسطنطينية حتى تفتح
كليتها
قيل وما كليتها
قال عمورية
পৃষ্ঠা - ১৩৮৬
হযরত কা’ব রহঃ বর্ণনা করেন, কুস্তুনতিনিয়ার নাম জয় করা ছাড়া কুস্তুনতিনিয়া জয় করা যাবে না, না’র কি জিনিষ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবা দেন, না’র হল উমূরিয়া। কেউ কেউ না’ব বলতে কুস্তুনতুনিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা বুঝানো হয়েছে।
قال أبو المغيرة حدثني بشير
بن عبد الله بن يسار عن أشياخه
عن كعب قال لا تفتح القسطنطينية حتى يفتح نابها
قيل وما نابها
قال عمورية
قال وأخبرني أبو بكر عن كعب مثله إلا أنه قال
كلبها
পৃষ্ঠা - ১৩৮৭
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমূরিয়া এলাকা কুস্তুনতিনিয়া এলাকার মূল। কেননা, কুস্তুনতিনিয়া এলাকার যাবতীয় সবকিছু সেখানেই জমা রাখা হয়।
حدثنا بن الوليد وأبو المغيرة عن عمر بن عمرو الأحموسي عن
أبيه عن تبيع
عن كعب قال
عمورية كلبة القسطنطينية
من أجل أنها تهار دونها
পৃষ্ঠা - ১৩৮৮
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিরাকলের শহর জয় করার পর আমার আর জীবিত থাকার ইচ্ছা নেই। কেননা তখন এ পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকারের খারাবি ও গুনাহের দরজা উম্মোচন হয়ে যাবে। এবং অনেক অপমান ও লাঞ্চনা সহ্য করতে হবে।
حدثنا بقية بن الوليد عن صفوان بن عمرو عن شريح بن عبيد
عن كعب قال
ما احب أن أبقى بعد فتح مدينة هرقل إن أبواب الشر تفتح حينئذ ورب هوان وصغار مع
فتحها
পৃষ্ঠা - ১৩৮৯
হযরত যুবায়ের রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমাদেরকে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু দারদা রাযিঃ বলেছেন, হিরাকলের শহর জয় করতে তাড়াহুড়ো করোনা। কেননা, এ শহর জয়ের সাথে অনেক লাঞ্ছনা ও অপদস্থতার সম্পর্ক রয়েছে।
قال شريح فحدثني جبير بن نفير قال
قال لنا أبو الدرداء ولا
تستعجلون بفتح مدينة هرقل فرب هوان وصغار عند فتحها
পৃষ্ঠা - ১৩৯০
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কুস্তুনতুনিয়া থেকে কুরাইশের কোনো লোক পলায়ন করবে, তখন এমন একজন আমীর এবং তার সৈন্যদল উপস্থিত হবে, যারা কুস্তুনতিনিয়া জয় করবে, তাদের মধ্যে কোনো চোর, যিনাকারী ডাকাত থাকবেনা। তীব্র যুদ্ধ হবে মূলতঃ হেরাকলের বংশের এক লোকের নেতৃত্বে।
حدثنا بقية عن أبي
سبأ عتبة بن تميم عن الوليد بن عامر اليزني عن يزيد بن خمير
عن كعب قال إذا أبق
رجل من قريش إلى القسطنطينية فقد حضر أمرها وامير الجيش الذي يفتح القسطنطينية ليس
بسارق ولا زان ولا غال والملاحم على يدي رجل من آل هرقل
পৃষ্ঠা - ১৩৯১
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু হাশেম, সাবা, কাদের এর সন্তানদের হাতের মাধ্যমে জয় হবে, অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায়, হিরাকলের সন্তানদের থেকে কোনো একজনের হাতে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হবে, ঐ লোকের নাম হচ্ছে, তাবার কিংবা তাবরাহ।
حدثنا بقية وأبو
المغيرة عن أبي بكر عن أبي الزاهرية
عن كعب قال تفتح على يدي رجل من بني هاشم
قالا جميعا وأخبرنا صفوان عن شريح وأبي المثنى الأملوكي عن كعب قال تفتح على يدي
ولد سبأ وولد قادر فلم يذكر بقية أبا المثنى وقال بقية عن صفوان بن عمرو عن أبي
المثنى عن كعب الذي تكون على يديه الملاحم رجل من أهل هرقل يقال له طبر يعني طبارة
পৃষ্ঠা - ১৩৯২
হযরত মোহাজির ইব্নে হাবীব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিরাক্্লের পঞ্চম পুরুষ যার নাম হবে তাবার, তার হাতেই হবে, মুলতঃ ভয়াবহ যুদ্ধ।
حدثنا عبد الله بن مروان عن أرطاة بن المنذر
عن المهاجر بن حبيب
قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الخامس من آل هرقل الذي يقال له طبر على يديه
تكون الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৩৯৩
হযরত যুবায়ের ইব্্নে নুফাইর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, মুসলমানগন, আল্লাহু আকবর তাকবীর দ্বারা কাফেরদের একটি শহর দখল করবে, উক্ত শহরের তিনটি দেয়াল আল্লাহ তাআলা তিন দিনে ধ্বংস করে দিবেন। এভাবে যুদ্ধ চলাকালীন তাদের কাছে দাজ্জালের অবির্ভাব হওয়ার খবর এসে পৌঁছবে। উক্ত খবর যেন তোমাদের মাঝে কোনো অতংক বিরাজ না করে, কেননা সংবাদটি মিথ্যা হবে। সুতরাং উল্লিখিত খবর শুনে দৌড় না দিয়ে গনীমতের মাল সংগ্রহ করতে থাকবে।
حدثنا أبو المغيرة عن أبي بكر عن أبي الزاهرية
عن جبير
بن نفير قال تفتحون مدينة الكفر بالتكبير يضع الله تعالى لهم كل يوم ثلث حائطها في
ثلاثة أيام
فبيناهم كذلك يأتيهم خبر الدجال فلا يفزعنكم ذلك فإنه كذب فاحتملوا من
غنيمتها
পৃষ্ঠা - ১৩৯৪
হযরত বশির রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে বুছর আল-মাজনীকে বলতে শুনেছি, যদি তোমাদের কাছে দাজ্জালের আবির্ভাবের খবর আসে এবং তোমরা যুদ্ধকালীন অবস্থায় থাক, তাহলে তোমরা তোমাদের গনীমতের মাল সংগ্রহ করা থেকে বিরত থেকোনা। কেননা, দাজ্জাল তখনো বের হবে না।
وقال وأخبرنا بشير بن عبد الله بن يسار قال
سمعت عبد الله
بن بسر المازني يقول إذا أتاكم خبر الدجال وأنتم فيها فلا تدعوا غنائمكم فإن الدجال
لم يخرج
পৃষ্ঠা - ১৩৯৫
হযরত আবু সা’লাবা আল-খুশানী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি আরীশ এবং র্দ্বা এলাকার মাঝখানে বিশাল দস্তরখানের ব্যবস্থা হবে, তখন কুস্তুনতিনিয়া এলাকার জয় খুবই নিকটবর্তী হবে।
قالوا وأخبرنا صفوان عن أبي الزاهرية عن جبير بن نفير
عن
أبي ثعلبة الخشني قال إذا كان بين الدرب والعريش مأدبة أهل بيت واحد فقد دنا فتح
القسطنطينية
পৃষ্ঠা - ১৩৯৬
হযরত আউফ ইব্নে মালেক আল-আশজাঈ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ৬ষ্ঠ ফিতনা হবে মূলতঃ যুদ্ধবিরতী চুক্তির মাধ্যমে। যা তোমাদের এবং রোমানদের মাঝে সংগঠিত হবে। অতঃপর তারা আশি দলে বিভক্ত হয়ে তোমাদের দিকে আগিয়ে আসবে। সাহাবায়ে কেরাম বলবেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ গায়াহ কি জিনিস, জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলবেন গায়াহ হচ্ছে, ঝান্ডার নাম। প্রত্যেক ঝান্ডার অধীনে বার হাজার করে সৈন্য থাকবে।
حدثنا الوليد وبقية بن الوليد وأبو المغيرة والحكم بن نافع
عن صفوان بن عمرو عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن أبيه
عن عوف بن مالك
الأشجعي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
الفتنة السادسة
هدنة
تكون بينكم وبين بني الأصفر فيسيرون
إليكم على ثمانين غاية
قلت وما الغاية
قال الراية تحت كل راية اثنا عشر
ألفا
পৃষ্ঠা - ১৩৯৭
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাব্্রা কিংবা তাবারাহ নামক হিরাকলের এক সন্তানের নেতৃত্বে ভয়াবহ যুদ্ধ হবে।
حدثنا أبو أيوب عن أرطاة عن أبي المثنى
عن كعب قال الذي
تكون على يديه الملاحم من آل هرقل يقال له طبر يعني طبارة
পৃষ্ঠা - ১৩৯৮
হযরত আবু দারদা রাযিঃ বললেন, আল্লাহ তাআলা কি বলেননি যে, আমরা যাবুর নামক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছি যে, নিঃসন্দেহে এ ভূখন্ডের মালিক হবে নেককার ব্যক্তিবর্গ। আবুদারদা রাযিঃ বলেন আমরাই হলাম, সেই নেককার ব্যক্তি।
حدثنا أبو
حيوه شريح بن يزيد الحضرمي عن سعيد بن عبد العزيز عن إسماعيل بن عبيد الله قال
حدثني ميسرة
أن أبا الدرداء حدثه بهذا الحديث لتخرجن منها كفرا كفرا
قال
أبو الدرداء أو لم يقل الله تعالى ولقد كتبنا في الزبور من بعد الذكر أن الأرض
يرثها عبادي الصالحون وهل الصالحون إلا نحن
পৃষ্ঠা - ১৩৯৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে আমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, ভয়াবহ যুদ্ধের দিন মুসলমানদের এক তৃতীয়াংশ পরাজিত হবে। তার হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার নিকট নিকৃষ্টতম জাতি।
حدثنا الوليد عن الحارث بن
عبيدة عن أبي الأعيس عبد الرحمن بن سلمان
عن عبد الله بن عمرو قال
ينهزم يوم
الملحمة الثلث من المسلمين وأولئك شرار البرية عند الله
পৃষ্ঠা - ১৪০০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহেলী যুগে দাউস গোত্রের লোকজন যুলখালাসা নামক প্রতীমার উপসনা শুরু করে তাহলে সেটাই হবে শাম দেশের উপর রোমানদের আধিপত্য বিস্তার লাভের মাধ্যম।
حدثنا الوليد عن
الحارث بن عبيدة عن رجل عن عبد الرحمن بن سلمان
عن عبد الله بن عمرو قال إذا
عبدت ذو الخلصة صنم كان لدوس في الجاهلية كان ظهور الروم على الشام
পৃষ্ঠা - ১৪০১
হযরত কা’ব রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে কাইস জাতি, তোমরা ইয়ামানবাসীদেরকে ভালোবাসো। হে ইয়ামানীগণ তোমরা কাইযগোত্রকে ভালোবাসো। হতে পারে এমন একসময় আসবে যখন তোমরা দুই গোত্র ব্যতীত অন্য কোনো গোত্র যুদ্ধ পরিচালনা করবেনা। আওযায়ী রহঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বক্তব্য আমি শুনেছি, কাইস গোত্র হচ্ছে, ভয়াবহ যুদ্ধের দিন বিরত্ব প্রদর্শনকারী, আর ইয়ামানবাসীরা হচ্ছেন ইসলামের চালিকাশক্তি।
حدثنا الوليد عن الأوزاعي عن يحيى بن أبي كثير
عن كعب قال يا معشر قيس أحبي
يمنا ويا معشر اليمن أحبي قيسا فيوشك أن لا يقتل على هذا الدين غيركما
قال
الأوزاعي بلغني أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قيس فرسان الناس يوم الملاحم
واليمن رحا الإسلام
পৃষ্ঠা - ১৪০২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, যখন ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হবে, তখন দিমাশ্্ক থেকে বিশাল এক বাহিনীর আত্ম প্রকাশ হবে। তারাই হবে আরবের সবচেয়ে সম্মানিত আশ্বরোহী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রের অধিকারী। তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দ্বীনের শক্তি বৃদ্ধি করবেন।
حدثنا الوليد عن عثمان بن أبي العاتكة عن سليمان
بن حبيب
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم إذا وقعت
الملاحم
خرج بعث من دمشق من الموالي
هم أكرم العرب فرسا وأجوده سلاحا يؤيد الله بهم
الدين
পৃষ্ঠা - ১৪০৩
হযরত আব্দুল ওয়াহেদ ইব্্নে কাইস আদ্্ দিমাশকী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোমানবাহিনী ভয়াবহ যুদ্ধের দিনগুলিতে নদীর পার্শ্বে কোনো পানি রাখবেনা বরং সব পানিকে তার দখল করে নিবে।
حدثنا ضمرة بن ربيعة عن عثمان بن عطاء
عن عبد الواحد بن قيس
الدمشقي قال
لاتدع الروم على الساحل
أيام الملاحم
ماء إلا عسكروا عليه
পৃষ্ঠা - ১৪০৪
হযরত আতিয়া ইব্নে কাইস রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাঃ এরশাদ করেছেন, ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হলে দিমাশ্্ক থেকে বিশাল এক বাহিনী প্রকাশ পাবেন, তারাই হবেন দুনিয়া এবং আখেরাতের সর্বোত্তম বান্দা।
حدثنا بقية بن الوليد عن أبي بكر بن أبي مريم
عن عطية بن قيس قال قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم إذا وقعت الملاحم خرج من دمشق بعث هم خيار عباد الله الأولين
والآخرين
পৃষ্ঠা - ১৪০৫
হযরত রাশেদ ইবনে সাদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমার সাথে ওয়াদা করেছেন, পারস্যবাসি অতঃপর রোমানরা মুসলমানদের অধীনে চলে আসবে, তাদের সন্তান এবং নারীরা মুসলমানদের হস্তগত হবে আর তাদের যাবতীয় সম্পদ মুসলমানদের হাতে চলে আসবে। এভাবে মুসলমানদের রাষ্ট্রের বিস্তৃতি হিময়ার পর্যন্ত পৌছে যাবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن صفوان
عن راشد بن سعد قال قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى وعدني فارس ثم الروم ثم نساؤهم أبناؤهم
ولأمتهم وكنوزهم وأمدني بحمير أعوانا
পৃষ্ঠা - ১৪০৬
হযরত আবু দারদা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, রোমানরা তোমাদেরকে কুফরী গ্রহনের দাওয়াত দিতে গিয়ে তোমাদেরকে শাম দেশ থেকে বের করে দিবে। এক পর্যায়ে তোমাদেরকে বাল্্কা নগরীতে কোনঠাসা করে ছাড়বে। মনে রাখতে হবে ইহকাল চিরস্থায় নয়, যেটা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, পক্ষান্তরে আখেরাত চিরস্থায়ী এবং কখনো ধ্বংস হবেনা।
حدثنا بقية عن صفوان عن شريح بن
عبيد
عن أبي الدرداء قال لتخرجنكم الروم من الشام كفرا كفرا حتى يوردوكم
البلقاء لذلك الدنيا تبيد وتفنى والآخرة تبقى
পৃষ্ঠা - ১৪০৭
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ভয়াবহ যুদ্ধ, কুস্তুনতিনিয়া নগরী ধ্বংস হওয়া এবং দাজ্জালের আবির্ভাব প্রায় ছয়Ñসাত মাসের মধ্যেই হবে, অথবা আল্লাহ তাআলা যে কয়দিনের ভিতরে ইচ্ছা করেছেন।
حدثنا أبو المغيرة عن
صفوان عن أبي اليمان
عن كعب قال الملحمة العظمى وخراب القسطنطينية وخروج الدجال
في سبعة أشهر أو ما شاء الله من ذلك
পৃষ্ঠা - ১৪০৮
আবু ওয়াহাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি মাকহুলকে বলতে শুনেছেন, ভয়াবহ যুদ্ধ দশটি হবে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, ফিলিস্তিনের কায়সারিয়া নগরীর যুদ্ধ । আর সর্বশেষ হচ্ছে, এন্তাকিয়ার আ’মাক এলাকার যুদ্ধ।
حدثنا الوليد عن أبي بكر الكلاعي
سمع أبا وهب عبيد الله بن عبيد
سمع مكحولا يقول
الملاحم عشر
أولها ملحمة
قيسارية فلسطين
وآخرها
ملحمة عمق أنطاكية
পৃষ্ঠা - ১৪০৯
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবুবক্্রা রহঃ থেকে বর্ণিত, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আযর রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, হয়তো হামলুদ্দান তিনবার প্রকাশ পাবে। আমি তাকে হামলুদ্দান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জনৈক লোক যার পিতামাতার একজন শয়তান, যে রোমানদের স¤্রাট হবে। সে জলের-স্থলের বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাক নামক এলাকায় ছাউনি ফেলবে। যে তার সাথীদেরকে দ্রুত জাহাজ খালি করতে বলবে এবং সকলে জাহাজ থেকে নিচেনেমে আসলে সেজাহাজগুলো জ্বালিয়ে দিতে বলবে। অতঃপর বলবে, কুস্তুনতিনিয়া তোমাদের জন্যও নয়, আবার রোমানদের জন্যও নয়। যাদের ইচ্ছা দাড়াতে পার। এদিকে মুসলমানগণ একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে, অতঃপর বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জর্জরিত কুস্তুনতিনিয়াকে তোমরা জয় করবে। আমি কিতাবুল্লাহতে যানিয়াহ নামেই পেয়েছি। এরপর তাদের আমীর বলবে, আজকে কোনো ধরনের দূর্নীতি থাকবেনা।
حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث
عن حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن عبد الرحمن بن أبي بكرة قال
سمعت عبد الله بن
عمرو يقول يوشك أن يخرج حمل الضان ثلاث مرار
قلت ما حمل الضان
قال
رجل أحد
أبويه شيطان يملك الروم
يجيء في ألف ألف وخمس مائة ألف ألف ألف في البر وخمس مائة
ألف في البحر
حتى ينزل أرضا يقال لها العمق
فيقول لأصحابه إن لي في سفنكم طلبة فإذا
نزلوا عنها أمر بها فأحرقت ثم يقول لا قسطنطينية لكم ولا رومية فمن شاء فليقم
ويستمد المسلمون بعضهم بعضا فذكر الحديث
حتى تستفتحوا القسطنطينية الزانية أني
لاجدها في
كتاب
الله تعالى الزانية
فيقول أميرهم لا غلول اليوم
পৃষ্ঠা - ১৪১০
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, ভয়াবহ যুদ্ধকালীন শামদেশের বিশাল এক ধ্বংস হয়ে যাবে। উক্ত এলাকা শহর-গ্রামের কান্নার ন্যায় কান্নাকাটি করবে।
حدثنا الحكم بن نافع عمن حدثه
عن كعب قال في
الملحمة العظمى
تخرب سواحل الشام
حتى تبكي السواحل من خرابها
كبكاء المدن والقرى
পৃষ্ঠা - ১৪১১
হযরত হাস্্সান ইব্্নে আতিয়া রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বায়তুলমোকাদ্দাস এবং জর্দানের উপকুলের ছোট্ট একযুদ্ধে রোমানরা জয়লাভ করবে।
حدثنا ضمرة عن الأوزاعي عن حسان بن عطية قال
تغلب الروم في
الملحمة الصغرى
على سهل الأردن وبيت المقدس