আল ফিতন

الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১২৫০
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, জনৈক শাসক রোমানদের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তাৎক্ষণিৎভাবে কেউ তার বিরোধিতা করবেনা এবং ভবিষ্যতেও এমন কোনো আশঙ্কা নেই। তিনি তার সৈন্যদেরকে নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হতে একটি এলাকায় কিছু দিনের জন্য ছাউনি ফেলবে। বর্ণনাকারী বলেন, গেইটের মধ্যে লেখা থাকবে, নিশ্চয় মুমিনদেরকে আদন এলাকা থেকে সাহায্য করা হবে যা তাদের উটের উপর প্রকাশ পাবে। এভাবে তারা চলতে থাকবে এবং দশজনকে হত্যা করবে। এভাবে চলতে গিয়ে তারা নিজেদের রসদপত্র থেকে ভক্ষণ করেছে এবং রাত্র ব্যতীত কোনো বস্তুই তাদের জন্য বাঁধা হয়নি। তাদের তীর, তলোয়ার কামান ইত্যাদি সর্বদা প্রস্তুত অবস্থায় থাকবে। এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের উপর পরাজয় চাপিয়ে দিবেন। তখন এমন এক যুদ্ধ সংগঠিত হবে যা সাধারণতঃ দেখা যায়না, ভবিষ্যতেও দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। অবস্থা এমন হবে যে, কোনো একটি পাখি তার ডানার সাহায্যে উড়তে থাকলে মৃত মানুষের দুর্গন্ধের কারণে মারা যাবে। সে দিনের শহীদদের জন্য দুটি অবস্থা হবে, একটি হচ্ছে, পূর্বে শাহাদাত বরণ করা শহীদদের মত হবে। অথবা সেদিন মুমিনদের জন্য এমন অবস্থা হবে যা পূর্বে অতিবাহিত হওয়া মুমিনদের ন্যায় হবে। তাদের আর কখনো আগমন হবেনা। আর অবশিষ্ট লোকজন দাজ্জালের সাথে মোকাবেলা করবে। উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ বলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাদীসটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলতেন। যদি আমি উক্ত যুগ পর্যন্ত জীবিত থাকি, আর সে যুদ্ধে যোগ দেয়ার মত কোনো শক্তি আমার মাঝে মজুদ না থাকে তাহলে আমি একটি খাটিয়ার উপর রেখে সেটা বহন করে যুদ্ধে দু দলের ঠিক মাঝখানে রেখে দিবো।
মুহাম্মদ ইব্নে সীরিন রহঃ বলেন, হযরত কা’বে আহবার রহঃ বলতেন, আল্লাহর কসম! খ্রীস্টানদের মাঝে দুটি গণহত্যা হবে, তার একটি চলে গিয়েছে, অন্যটি এখনো বাকি আছে।
حدثنا عبد الوهاب عن عبد الحميد الثقفي
حدثنا أيوب السختياني عن محمد بن سيرين عن عقبة بن أوس الثقفي
عن عبد الله بن
عمرو قال يملك الروم ملك لا يعصونه أو لا يكاد يعصونه شيئا فيسير بهم حتى ينزل بهم
أرض كذا وكذا أياما نسيتها
قال فإنه مكتوب في الباب أن المؤمنين ليمدهم من عدن
أبين على قلصاتهم فيسيرون فيقتتلون عشرا لا تأكلون إلا في إداوتكم ولا يحجز بينكم
إلا الليل ولا تكل سيوفهم ولا نشابهم ولا
نيازكهم
وأنتم مثل ذلك
قال ويجعل الله
الدبرة عليهم فيقتلون مقتلة لا يكاد يرى مثلها ولا يرى مثلها حتى أن الطير لتمر
بجنباتهم فيموت من نتن ريحهم للشهيد يومئذ كفلان على من مضى قبلهم من الشهداء أو
للمؤمنين يومئذ كفلان على من مضى قبلهم من المؤمنين وبعثهم لا يزلزل أبدا وبقيتهم
تقاتل الدجال
قال محمد ونبئت أن عبد الله بن سلام قال إن أدركني وليس في قوة
فاحملوني على سريري حتى تضعوه بين الصفين
قال محمد ونبئت أن كعبا كان يقول
لله
ذبحان في النصارى
مضى أحديهما وبقي الآخر
পৃষ্ঠা - ১২৫১
হযরত মাসলামা ইবনে আব্দুল মালিক রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি কুস্তুনতুনিয়া বা ইস্তাম্বুল নগরীতে পৌঁছলে একজন যুবক তার কাছে এগিয়ে আসে, যুবকটি পরনে উত্তম পোশাক এবং উন্নত মানের ঘোড়ার উপর সওয়ার। সে এসে বলল “আমি তাবারিস”।
তার কথা শুনে মাসলামা তাকে খুব সম্মান করলেন, তাকে কাছে টেনে নিলেন এরপর তাবারিস নামক লোকটি মুসলিম আররুমির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি ছিলেন বনু সরওয়ানের একজন গোলাম, যাকে রোমনদের থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। মুসলিম আর রুমিকে বলা হলো, এ লোকটি দাবি করছে সে নাকি ‘তাবারিছ’।
এ কথা শুনে সে বলে উঠল, লোকটি মারাত্মক মিথ্যাবাদি। আমি তাবারিসকে খুব ভালোভাবেই চিনি। সে যদি দশ হাজার লোকের মাঝেও হয় অবশ্যই আমি তাকে বের করে আনব। তাবারিস হচ্ছে, একজন মোটা প্রকৃতির লোক, প্রশস্ত কপাল বিশিষ্ট, তার দাঁতগুলো হবে খুবই বিশ্রিভাবে বের হওয়া। তার বয়স ষাট বৎসর হবে। পানি পান করার সময় দাঁতগুলো দৃশ্যায়ন হবে। আমরা আমাদের এলাকায় উট খাওয়া ছেড়ে দিলে সে বলবে আমাদের এলাকায় এসে যাও ইচ্ছামত উটের গোশ্ত খেতে পারবে। তার কথা শুনে বিশাল একদল সেদিকে এগিয়ে যাবে, ইতিপূর্বে সেই রকম হয়নি। তারা এসে আ’মাক নামক এলাকায় পৌঁছবে এবং মুসলমানরাও সেখানে পৌঁছে যাবে। তারা সাহায্য কামনা করলে ইয়ামানের পক্ষ থেকে সাহায্য এসে পৌঁছবে। যারা ইসলামের সাহায্য করবে এবং জাজিরা ও শামের খ্রীস্টানদেরকে সাহায্য করবে। মুসলমানরা খ্রীস্টানদের দিকে এগিয়ে তাদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা উঠিয়ে নেয়া হবে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের উপর ধৈর্য্য নেমে আসবে। এ দিকে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্র স্থাপন করে রাখবে। কারো সাথে তলোয়ার থাকলে তার কোনো ক্ষতি হবেনা তার নাক-কান কাটা যাবেনা, তার অবস্থান গোপন রাখতে হবেনা, বরং যেখানে ইচ্ছা সেখানে প্রকাশ্যভাবে চলাফেরা করতে পারবে। মুসলমানদের আরেকদল লাঞ্ছিত-অপদস্থ হয়ে ফেরৎ আসবে, যার কারণে তারা নি¤œস্তরে উপনীত হবে। জান্নাত তো কখনো দেখবেনা, জান্নাতে বাসিন্দাদেরকেও দেখবেনা। অন্য আরেকদল জান-প্রাণ দিয়ে যুদ্ধ করবে, তাদের উপর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সাহায্য নেমে আসবে। সে সময় তারাই হবে জমিনের বুকে সর্বশেষ শহীদ। ইতিপূর্বে যারা অতিবাহিত হয়েছে কিংবা পরবর্তীতে আসবে তাদের থেকে এরা সত্তরগুণ সওয়াব বেশি প্রাপ্ত হবে। বাকি লোকদের জন্য সামান্যমাত্র প্রতিদান থাকবে। উভয় দল একত্রিত হলে ব্যক্তি ঝান্ডা উচিয়ে ধরবেন তাকে হত্যা করা হবে, অতঃপর আরেকজন, অতঃপর আরেকজন, এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর কোঁকড়ানো চুলবিশিষ্ট জনৈক লোক ঝান্ডা ধারন করবে, যার কপালটি সামান্য বাঁকা প্রকৃতির হবে। তাকে আল্লাহ পাক বিজয়ী করবেন। এবং কাফেরদের হত্যা ও পরাজিত করবেন। তাদেরকে একজন লোক মুসলমানদের ঝান্ডা ধারনকারীর অনুসরন করবে, মূলতঃ সে ছিল কাফেরদের ঝান্ডাবাহক। যে ঝান্ডা সে ছাড়া আর কেউ বহন করেনি। এক পর্যায়ে তারা সমুদ্রের কাছে এসে পৌঁছবে, সেখানে পৌছে ওজু করতে গেলে তাদের কাছ থেকে পানি অনেক দূরে সরে যাবে। আবারো পানির কাছে গেলে পানি দূরে চলে যাবে। এ অবস্থা দেখে তার সওয়ারীর কাছে ফিরে আসবে এবং সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দিবে। সমুদ্রের পানি তখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে, এক ভাগ তার ডান পার্শ্বে থাকবে, আরেকভাগ থাকবে বাম পার্শ্বে। এক পর্যায়ে সে তার সাথীদেরকে সমুদ্র পাড়ি দিতে নির্দেশ দিয়ে বলবে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সমুদ্রের বুকে পানিকে দুইভাগ করে রাস্তা করে দিয়েছেন, যেমন বনী ইসরাঈলের জন্য করা হয়েছিল। তারা সকলে একসাথে সমুদ্র পাড়ি দিবে। এরপর সমুদ্রের পার্শ্বে পরিস্কার এক স্থানে একটি ঝর্ণার আত্মপ্রকাশ হবে।
হাদীস বর্ণনাকারী আবু যুরআ বলেন, উক্ত ঝর্ণাটি আমি স্বচক্ষে দেখেছি এবং সে ঝর্ণা থেকে ওজুও করেছি। সেই পানি থেকে কেউ ওজু করলে সাথে সাথে দুই রাকাত নামাযও আদায় করে। ঐ ঝান্ডা বাহক তার সাথীদেরকে বলবে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া একটি বিষয়। একথা শুনার সাথে সাথে সকলে তাকবীর দিয়ে উঠবে এবং সে তাদেরকে আল্লাহ তা’রীফ ও তাহলীল করতে বললে সকলে সেটা বাস্তবায়ন করবে। এরপর বারটি বুরুজ তাদের দিকে হেলে মাটিতে পতিত হবে। সকলে সেখানে প্রবেশ করে তাদের যুবকদেরকে হত্যা করবে এবং গনীমতের মাল বন্টন করবে। সে এলাকাকে এমনভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে দিবে কখনো সেটা আর আবাদ হবেনা।
حدثنا ضمرة عن يحيى بن أبي
عمرو السيباني
عن مسلمة بن عبد الملك أنه بينما هو نازل على القسطنطينية إذ
جاءه رجل شاب جيد الكسوة فاره الدابة
فقال له أنا طبارس
فأكرمه وأدنى مجلسه
وقربه ثم أرسل إلى مسلم الرومي وكان مولى لبني مروان سبي من الروم إن هذا يزعم أنه
طبارس
فقال كذب أصلح الله الأمير أنا أعرف الناس بطبارس لوكان بين عشرة ألف
لأخرجته طبارس رجل آدم جسيم أجبه قبيح الأسنان يخرج وهو ابن ستين سنة يرى بالدم شرب
الماء
يقول إلى متى نترك أكلة الجمل في بلادنا وأرضنا سيروا بنا إلى أكلة الجمل
نستبيحهم
قال فيسيرون إليه بجمع لم يسيروا بمثله قط
حتى ينزلوا عمقا
ويبلغ
المسلمين مسيره ومنزله فيستمدون حتى يأتيهم أقاصي اليمن ينصرون الإسلام ويمد هؤلاء
النصارى نصارى الجزيرة والشام فيسير المسلمون إليهم فيرفع النصر عنهم وينزل الصبر
عليهم ويسلط الحديد بعضه على بعض لا يضر الرجل أن يكون معه سيف لا يجدع الأنف لا
يكون مكانه الصمصامة لا يضعه على شيء إلا أبانه وترجع طائفة من المسليمن يخذلونهم
فيذهبون في مهبل من الأرض لا يرون الجنة ولا أهاليهم أبدا وتقتل طائفة وينزل الله
نصره على طائفة هم أخير أهل الأرض يومئذ للشهيد منهم أجر سبعين شهيدا على من كان
قبله وللباقي كفلان من الأجر فإذا التقوا أخذ الراية رجل فيقتل ثم آخر
فيقتل ثم آخر فيقتل حتى يأخذها رجل آدم جعد الشعرة أجبه أقنى فيفتح الله له
فيقتلهم ويهزمهم ويتبع فللهم وهو معتقل رايته لا يحملها غيره حتى ينتهي إلى الخليج
فإذا انتهى إلى الخليج يقدم ليتوضأ منه فيتباعد الماء عنه ثم يدنوا فيتباعد الماء
منه فإذا رأى ذلك رجع إلى دابته فأخذها ثم جاز الخليج والماء فرقبان نصف عن يمينه
ونصف عن شماله وأشار إلى أصحابه أن أجيزوا فإن الله تعالى قد فرق لكم البحر كما
فرقه لبني إسرائيل فجازوا إليه فيأتي عينا عند كنيسة من ذلك الجانب من الخليج
قال أبو زرعة قد رأيت تلك العين وتوضأت منها عين عذبة فيتوضأ منها ويصلي ركعتين
ويقول لأصحابه هذا أمر أذن الله تعالى فيه فكبروه وهللوه واحمدوه فيفعلون فيميل
ما بين إثنا عشر برجا منها فيسقط إلى الأرض فيدخلونها فيومئذ يقتل مقاتلتها ويقسم
نهبها وتترك خرابا لا تعمر أبدا
পৃষ্ঠা - ১২৫২
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রোম এবং মুসলমানদের মাঝে একটি চুক্তি এবং সন্ধি স্বাক্ষরীত হবে। এরপরও তাদের কিছু দুশমনের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হবে এবং তারা তাদের গনীমতের মাল তাকসীম করবে। অতঃপর রোমানরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করবে, যার কারণে তাদের মধ্যে যারা যুদ্ধ করার সামর্থ্য রাখে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী-শিশুদেরকে বন্দি করা হবে। এক পর্যায়ে রোমানরা বলবে, তোমরা আমাদের জন্য গনীমতের সম্পদ বন্টন করো, যেমন তোমাদের জন্য আমরা যাবতীয় সম্পদ ও নারী শিশুকে বন্টন করেছ। এরপর রোমানরা বলবে, তোমাদের শিশুদের থেকে যা তোমরা প্রাপ্ত হয়েছ সেগুলো তোমাদের মাঝে বন্টন করে দাও। জবাবে মুসলমানরা বলবে, আমরা কখনো মুসলমানদের সন্তানদেরকে তোমাদের মাঝে বন্টন করতে পারিনা।
একথা শুনে তারা বলবে, তাহলে তোমরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করেছ। অতঃপর তারা কুস্তুনতুনিয়া নগরীতে তাদের মূল স¤্রাটের কাছে ফিরে যাবে। গিয়ে বলবে, আরবরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করেছে, অথচ আমরা সংখ্যায় তাদের থেকে অনেক বেশি এবং তাদের চেয়ে অস্ত্রশস্ত্রের দিক দিয়ে আমরা বেশি শক্তিশালি। আমি আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সাহায্য করুন। জবাবে সে বলবে, আমি তাদের সাথে গাদ্দারী করতে পারবোনা, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন যুদ্ধে তারাই আমাদের উপর জয়লাভ করেছে। অতঃপর তারা রোমানদের স¤্রাটের কাছে এসে বিস্তারিত আলোচনা করলে তিনি আশি প্লাটুন সৈন্য সমাগমের প্রতি মানোযোগ দেন,প্রত্যেক ঝান্ডা বা প্লাটুনে প্রায় বারো হাজার করে সামুদ্রিক সৈন্য থাকবে। এরপর সে তার সৈন্যদেরকে বলবে, যখন তোমরা শাম দেশের বন্দরে নোঙ্গর করবে তখন তোমাদের প্রতিটি বাহনকে জ্বালিয়ে দিবে, যাতে করে তোমরা আবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে না যাও। তারা তাদের স¤্রাটের কথামত সবকাজ করবে ফলে শামের জল-স্থল উভয়ভাগ দখল করে নিবে। তবে দিমাশ্ক এবং আল-মু’তার শহরদ্বয় তাদের দখলমুক্ত থাকবে। ঐসময় বায়তুল মোকাদ্দাসকে বিরান ভূমিতে পরিণত করবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ বলেন, সে সময় দিমাশ্্ক নগরীতে মুসলমানদের স্থান সংকুলান হবে কিনা?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ, দিমাশ্ক নগরীতে যেসব মুসলমানের আগমন হবে প্রত্যেকের সংকুলান হয়ে যাবে, যেমন বাচ্চাদানিতে শিশুর সংকুলান হয়ে যায়।
আব্দুল্লাহ ইব্্নে মাসউদ রাযিঃ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে মু’তাক সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাাহ সাঃ জবাব দেন যে, আল-মু’তাক হচ্ছে, হিম্্সের নিকটবর্তী শামের সমুদ্রের পার্শ্বে একটি পাহাড়ের নাম । যাকে মূলতঃ আরনাত বলা হয়। মুসলমানদের সন্তানরা আল-মু’তাকের উচু স্থানে অবস্থান করবে। আর মুসলমানরা থাকবে আরনাতের সমুদ্রের নিকটে। আর মুশরিকরা থাকবে আরনাতের নদীর পিছনে। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সকাল-সন্ধ্যা যুদ্ধ করতে থাকবে। কুস্তুনতুনিয়ার স¤্রাট এটা দেখতে পেলে তিনি ছয় লক্ষ সৈন্য নিয়ে কুনসারীনের স্থলভাগের দিকে মনোযোগী হয়ে উঠবে। এক পর্যায়ে সত্তর হাজারের বিশাল এক বাহিনী নিয়ে ইয়ামান থেকে এগিয়ে আসে। আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরকে ঈমানের আলোতে যেন আলোকিত করেন। তাদের সাথে হিমইয়ার নগরীর আরো চল্লিশ হাজার লোক যোগ দিবে। এক পর্যায়ে তারা বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে পৌছুবে এবং রোমানদের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হলে তারা মারাত্মকভাবে পরাজিত হবে। তাদেরকে দলে দলে বের করে দেয়া হবে। তারা ঐ সময় কুনসারীন এসে পৌছবে এবং তাদের কাছে মাদ্দাতুল মাওয়ালী আসবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাদ্দাতুল মাওয়ালী কি জিনিস।
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, তার হচ্ছেন, তোমাদের আযাদকৃত লোকজন,এবং তারা তোমাদের থেকে হবে। আরেক গোত্র পারস্যের দিক থেকে এগিয়ে আসবে এবং বলবে, হে আরবদল! তোমরা আমাদের বিপক্ষে স্বজনপ্রীতি দেখিয়েছ। আমরা কাউকে সহযোগিতা করতঃ দুই দলে বিভক্ত হবোনা। অথবা তোমাদের কালিমার সাথে ঐক্যমত পোষণ করব। অতঃপর তোমরা নাযার গোত্রের সাথে একদিন যুদ্ধ করবে, আবার একদিন যুদ্ধ করবে ইয়মানীদের সাথে। ইতিমধ্যে রোমানরা আ’মাক এলাকার দিকে যেতে থাকবে।
মুসলমানরা প্রসিদ্ধ একটি নদীর পার্শ্বে ছাউনি ফেলবে। অন্যদিকে মুশরিকগন রকবা নামক একটি নদীর কিনারায় অবস্থান করবে। যে নদীকে মূলতঃ কালো নদী বলা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ ভয়াবহ এক যুদ্ধে জড়িত হয়ে পড়বে। এদিকে আল্লাহ তা’আলা উভয়দল থেকে সাহায্য তুলে নিয়ে ধৈর্য্য ধারন করার সুযোগ দিবেন। যার কারণে মুসলমানদের এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করবে, অন্য এক তৃতীয়াংশ পলায়ন করিলেও আরেক তৃতীয়াংশ দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধ করে যাবে। যে তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করেছে তারা একেকজন বদর যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী দশজনের মর্যাদার সমতুল্য হবে। বদর যুদ্ধের প্রত্যেক শহীদ কমপক্ষে সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবেন আর উক্ত যুদ্ধের শহীদগন সাত শত জনের জন্য সুপারিশ করবেন।
যে এক তৃতীয়াংশ পলায়ন করেছিল তারা আবার তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক তৃতীয়াংশ রোমানদের সাথে মিশে গিয়ে বলবে, যদি আল্লাহ তাআলার কাছে এ দ্বীনের কোন প্রয়োজন হতো তাহলে অবশ্যই এদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। অথচ, তারা আরবদের সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের অর্ন্তভুক্ত। অন্য এক তৃতীয়াংশ বলবে, আমাদের বাপ-দাদার অবস্থান রোমানদের থেকে অনেক উর্দ্ধে। যার কারণে রোমানরা আমাদের কাছেও পৌঁছতে পারবেনা। তারা বলবে, আমাদেরকে গ্রামে পৌঁছে দাও। তারা হবে সত্যিকারের আরবের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
অন্য এক তৃতীয়াংশ বলবে, প্রত্যেক কিছু আল্লাহ তাআলার নাম এবং সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে এবং শাম নগরীতে এক প্রকারের অকল্যাণ জড়িত। সুতরা আমরা সকলে ইরাক, ইয়ামান ও হেজাজ অভিমুখে চলে যাক, যেখানে রোমানদের পক্ষ থেকে আর কোনো আশঙ্কা থাকবেনা।
যে এক তৃতীয়াংশ দৃঢ়চিত্ত্বে ছিল, তারা পরস্পরের সাথে জড়ো হয়ে বলবে, হে আল্লাহ! তাদের থেকে স্বজনপ্রীতি দূর করে দিন, যেন সকলে আপনার কালিমার উপর অটল থাকতে পারে এবং আপনার শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। কেননা স্বজনপ্রীতি থাকা অবস্থায় আপনার পক্ষ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবেনা। অতঃপর তারা সকলে জমায়েত হয়ে একথার উপর বাইয়াত গ্রহণ করবে যে, তাদের শহীদ হওয়া ভাইদের সাথে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকবে। যখন রোমানরা মুসলমানদের আগমন দেখবে এবং তাদের কতক লোক মৃত্যুবরণ করাও উপলব্ধি করতে পারবে। একপর্যায়ে মুসলমানদের সংখ্যা স্বল্পতা দেখে জনৈক রোমান সৈন্য উভয় দলের মাঝখানে একটি লম্বা পতাকা হাতে দাড়িয়ে যাবে। পতাকাটির সাথে একটি ত্রুুশও সংযুক্ত থাকবে। উক্ত ত্রুুশকে উচু করে ধরে এমর্মে আওয়াজ দিয়ে উঠবে “ত্রুুশের জয় হয়েছে ত্রুুশের জয় হয়েছে”। এ অবস্থা দেখে মুসলমানদের এক মুজাহিদও একটি পতাকা হাতে উভয় দলের মাঝখানে এসে উচ্চস্বরে বলবে, “বরং আল্লাহর সৈনিকদের জয় হয়েছে, বরং আল্লাহ্ সৈনিকদের জয় হয়েছে”। কাফেরদের “ক্রুশের জয় হয়েছে” কথাটি শুনে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের উপর খুবই রাগান্বীত হবেন, এবং ফেরেশতাদের সরদার হযরত জিবরাঈল আঃ কে বলবেন, হে জিবরাঈল আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনে জিব্রাঈল আঃ এক লক্ষ ফেরেশতার বিশাল বাহিনী নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমে আসবেন, অতঃপর আল্লাহ তাআলা হযরত মিকাঈল আঃ কে বলবেন হে মিকাঈল! আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনে হযরত মিকাইল আঃ দুই লক্ষ ফেরেশতার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে দ্রুত গতিতে নেমে আসবেন অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে ইসরাফিল! আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনার সাথে সাথে হযরত ইসরাফিল আঃ তিন লক্ষ ফেরেশতার বিশাল বাহিনী নিয়ে নিচে নেমে আসবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের আরো বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করলেও কাফেরদের উপর ক্রোধ প্রদর্শন করবেন। যার কারণ তারা অনেক সংখ্যক মারা পড়বে এবং পরাজিত হবে। বিজয়ী বেশে মুসলমানরা রোমানদের এলাকায় প্রবেশ করতে করতে অমৃরিয়্যাহ এলাকায় পৌঁছে সেখানের সীমানায় অনেক লোকের সমাগম দেখবে। যারা বলবে, এত অধিক সংখ্যক রোমান বাহিনী মারা পড়তে আমরা আর কখনো দেখিনি। এত নির্মমভাবে পরাজিত হওয়াও আর দেখা যায়নি। আর এ শহরে এবং এ শহরের সীমানায় এত বেশি লোকও কখনো দেখা যায়নি।
মুসলমানরা রোমানদেরকে ঈমান গ্রহণ করতে বলবে। না হয় জিযিয়া প্রদান করতে নির্দেশ দিবে। তারা জিযিয়া দিতে রাজি হলে রোমান এবং তার আশপাশের লোকজনের জন্য নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করা হয়। হঠাৎ করে সংবাদ পৌঁছবে, হে আরবদল! তোমাদের দেশে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে। অথচ সংবাদটি ডাহা মিথ্যা ছিল। এ খবর শুনে হাতের কাছে যার যা ছিল সবকিছু নিয়ে দাজ্জালের মোকাবেলা করতে এগিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে খবরটি মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্থ হয়। এদিকে রোমানদের এলাকায় থাকা অবশিষ্ট মুসলমানদেরকে রোমানরা এমনভাবে হত্যা করবে, এক পর্যায়ে কোনো আরব নারী-পুরুষ কিছু ছেলে সন্তানকে রোম দেশে রাখেনি, বরং সবাইকে সমূলে হত্যা করেছে। এসংবাদ মুসলমানরা পাওয়ার সাথে আবারো তারা ফিরে আসবে। এদিকে আল্লাহ তা’আলা তার ক্রোধকে আবারো প্রকাশ করবেন,যার কারনে রোমানদের যুবকদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারীÑশিশুদেরকে বন্দি করা হবে। এ যুদ্ধে অনেক গনীমতের মাল মুসলমানদের হস্তগত হবে। যে কোনো শহর কিংবা কেল্লায় মুসলমানগন হামলা করলে তিন দিনের ভিতরেই সেটা জয় করা সম্ভব হতো। প্রতিটা শহর-কেল্লা জয় করার পর মুসলমান সাগরের কিনারায় গিয়ে ছাউনি ফেলবে এবং সমুদ্রের প্রবাল জোয়ারের কারনে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। ইস্তাম্বুলের অধিবাসিরা এ অবস্থা অবলোকন করে বলবে, সমুদ্র আমাদেরকে যথেষ্ট জোয়ার দিয়েছে এবং মাসীহও আমাদের সাহায্যকারী। কিন্তু তাদের সকল আশাÑভরশা নিরাশায় পরিণত করে সকাল হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র শুকিয়ে যায় এবং তার মধ্যে মুসলমানরা তাবু স্থাপন করে এবং ইস্তাম্বুলের নদীর উপর একটি ব্রীজ তৈরী করে। এদিকে জুমার রাত্রিতে মুসলমানরা কাফেরদের শহরকে তাহমীদ,তাকবীর ও তাহলীল দ্বারা সকাল পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের কেউ ঘুমানোর কিংবা বসার সুযোগ পায়নি। সকাল হওয়ার সাথে সাথে মুসলমানরা উচ্চস্বরে তাকবীর দিয়ে উঠলে দুই বুরুজের মাঝামাঝি এলাকা ধ্বসে পড়ে যায়। নিজেদের এ অবস্থা দেখে রোমানরা বলবে, এতদিন পর্যন্ত আমরা আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছিলাম, বর্তমানে আমাদের প্রভুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যেহেতু তিনি আমাদের শহরকে ধ্বসে দিয়েছেন এবং আমাদের এলাকাকে বিরান ভুমিতে পরিণত করেছেন। রোমানদের এলাকায় মুসলমানরা অবস্থান করতে থাকবে, ঢালের মাধ্যমে স্বর্ণকে ওজন দেয়া হবে এবং তাদের নারী ও শিশুদেরকে বন্টন করা হবে। তারা সংখ্যায় এত বেশি হবে, যার কারনে একজন পুরুষ তিনশত কুমারী নারীর মালিক হবে। তাদের হাতে থাকা প্রত্যেকটি বস্তু দ্বারা তারা উপকৃত হতে থাকবে। এরপর বাস্তবিকই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। ঐসময় কতক আল্লাহর ওলীর হাতে কুস্তুনতুনিয়া তথা ইস্তাম্বুল নগরীর জয় হবে। তারা এমন আল্লাহর ওলী যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত হায়াত পাবেন এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুস্থ রাখবেন। এক পর্যায়ে সায়্যিদুনা হযরত ঈসা আঃ আগমন করলে তারা ঈসা আঃ এর সাথে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন।
حدثنا أبو عمر صاحب لنا من أهل البصرة
حدثنا ابن لهيعة عن عبد الوهاب بن حسين عن محمد بن ثابت عن أبيه عن الحارث الهمداني
عن
عبد الله بن مسعود
رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يكون بين
المسلمين وبين الروم هدنة وصلح حتى يقاتلوا معهم عدوا لهم فيقاسمونهم غنائمهم
ثم إن
الروم يغزون مع المسلمين
فارس
فيقتلون مقاتلتهم ويسبون ذراريهم فتقول الروم قاسمونا
الغنائم كما قاسمناكم فيقاسمونهم الأموال وذراري الشرك
فتقول الروم قاسمونا ما
أصبتم من ذراريكم
فيقولون لا نقاسمكم ذراري المسليمن أبدا
فيقولون غدرتم
بنا فترجع الروم إلى
صاحبهم بالقسطنطينية
فيقولون إن العرب غدرت بنا ونحن أكثر
منهم عددا وأتم منهم عدة وأشد منهم قوة فأمدنا نقاتلهم
فيقول ما كنت لأغدر بهم
قد كانت لهم الغلبة في طول الدهر علينا
فيأتون
صاحب رومية
فيخبرونه بذلك فيوجه
ثمانين غاية تحت كل غاية إثنا عشر ألفا في البحر
ويقول لهم صاحبهم إذا رسيتم
بسواحل الشام فاحرقوا المراكب لتقاتلوا عن أنفسكم
فيفعلون ذلك ويأخذون أرض الشام
كلها برها وبحرها ما خلا مدينة دمشق والمعتق ويخربون بيت المقدس
قال فقال ابن
مسعود وكم تسع دمشق من المسلمين
قال فقال النبي صلى الله عليه وسلم والذي نفسي
بيده لتتسعن على من يأتها من المسلمين كما يتسع الرحم على الولد
قلت وما
المعتق
يا نبي الله
قال جبل بأرض الشام من حمص على نهر يقال له الأرنط فتكون ذراري
المسلمين في أعلى المعتق والمسلمون على نهر الأرنط والمشركون خلف نهر الأرنط
يقاتلونهم صباحا ومساء فإذا أبصر ذلك
صاحب القسطنطينية
وجه في البر إلى قنسرين
ستمائة ألف
حتى
تجيهم مادة اليمن
سبعين ألفا ألف الله قلوبهم بالإيمان معهم أربعون
ألفا من حمير حتى يأتوا بيت المقدس فيقاتلون الروم فيهزمونهم ويخرجونهم من جند إلى
جند حتى يأتوا قنسرين و
تجيهم مادة الموالي
قال قلت و
ما مادة الموالي
يا رسول
الله
قال هم عتاقتكم وهم منكم
قوم يجيؤن من قبل فارس
فيقولون تعصبتم [ علينا
]
يا معشر العرب لانكون مع أحد من الفريقين أو تجتمع كلمتكم
فتقاتل نزار يوما واليمن
يوما والموالي يوما فيخرجون الروم إلى العمق وينزل المسلمون على نهر يقال له كذا
وكذا يغزى والمشركون على نهر يقال له الرقبة وهو النهر الأسود فيقاتلونهم فيرفع
الله تعالى نصره عن العسكرين وينزل صبره عليهما حتى
يقتل من المسلمين الثلث ويفر
ثلث ويبقى الثلث
فأما
الثلث الذين يقتلون
فشهيدهم كشهبد عشرة من شهداء بدر يشفع
الواحد من شهداء بدر لسبعين
وشهيد الملاحم يشفع لسبع مائة
وأما ا
لثلث الذين
يفرون
فإنهم يفترقون ثلاثة أثلاث
ثلث
يلحقون بالروم
ويقولون لو كان الله بهذا الدين
من حاجة لنصرهم وهم مسلمة
العرب
بهزا وتنوخ وطيء وسليم
و
ثلث
يقولون منازل آبائنا
وأجدادنا خير
لا تنالنا الروم أبدا مروا بنا إلى البدو وهم
الأعراب
و
ثلث
يقولون إن
كل شيء كاسمه وأرض الشام كاسمها الشؤم فسيروا بنا إلى العراق واليمن والحجاز حيث لا
نخاف الروم
وأما
الثلث الباقي
فيمشي بعضهم إلى بعض يقولون الله الله دعوا عنكم
العصبية ولتجتمع كلمتكم وقاتلوا عدوكم فإنكم لن تنصروا ما تعصبتم فيجتمعون جميعا
ويتبايعون على أن يقاتلوا حتى يلحقوا بإخوانهم الذين قتلوا
فإذا أبصر الروم إلى من
قد تحول إليهم ومن قتل ورأو قلة المسلمين قام رومي بين الصفين معه بند في أعلاه
صليب فينادي غلب الصليب غلب الصليب فيقوم رجل من المسلمين بين الصفين ومعه بند
فينادي بل غلب أنصار الله بل غلب أنصار الله وأولياؤه
فيغضب الله تعالى على الذين
كفروا من قولهم غلب الصليب فيقول يا جبريل أغث عبادي فينزل جبريل في مائة ألف من
الملائكة
ويقول يا ميكائيل أغث عبادي فينحدر ميكائيل في مائتي ألف من الملائكة
ويقول يا إسرافيل أغث عبادي فينحدر إسرافيل في ثلثمائة ألف من الملائكة
وينزل الله
نصره على المؤمنين وينزل بأسه على الكفار فيقتلون ويهزمون
و
يسير المسلمون في أرض
الروم
حتى يأتوا
عمورية
وعلى سورها خلق كثير يقولون ما رأينا شيئا أكثر من الروم كم
قتلنا وهزمنا وما أكثرهم في هذه المدينة وعلى سورها
فيقولون أمنونا على أن نؤدي
إليكم الجزية فيأخذون الأمان لهم ولجميع الروم على أداء الجزية
وتجتمع إليهم
أطرافهم فيقولون يا معشر العرب إن
الدجال
قد خالفكم إلى دياركم والخبر باطل فمن كان
فيهم منكم فلا يلقين شيئا مما معه فإنه قوة لكم على ما بقي فيخرجون فيجدون الخبر
باطلا
و
تثب الروم على ما بقي في بلادهم من العرب فيقتلونهم
حتى لا يبقى بأرض الروم
عربي ولا عربية ولا ولد عربي إلا قتل
فيبلغ ذلك المسلمين فيرجعون غضبا لله تعالى
فيقتلون مقاتلتهم ويسبون الذراري ويجمعون الأموال
لا ينزلون على مدينة ولا حصن فوق
ثلاثة أيام حتى يفتح لهم
وينزلون على الخليج ويمد الخليج حتى يفيض فيصبح أهل
القسطنطينية يقولون الصليب مد لنا بحرنا والمسيح ناصرنا فيصبحون والخليج يابس فتضرب
فيه الأخبية و
يحسر البحر عن القسطنطينية
ويحيط المسلمون
بمدينة الكفر
ليلة الجمعة
بالتحميد والتكبير والتهليل إلى الصباح
ليس فيهم نائم ولا جالس فإذا طلع الفجر كبر
المسلمون تكبيرة واحدة فيسقط ما بين البرجين
فتقول الروم إنما كنا نقاتل العرب
فالآن نقاتل ربنا وقد هدم لهم مدينتنا وخربها لهم فيمكثون بأيديهم ويكيلون الذهب
بالأترسة ويقتسمون الذراري حتى يبلغ سهم الرجل منهم ثلثمائة عذراء ويتمتعوا بما في
أيديهم ما شاء الله
ثم يخرج الدجال حقا
ويفتح الله القسطنطينية على يدي أقوام هم
أولياء الله يرفع الله عنهم الموت والمرض والسقم حتى ينزل عليهم عيسى بن مريم عليه
السلام فيقاتلون معه الدجال
পৃষ্ঠা - ১২৫৩
হযরত কা’বে আহবার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোম বিজয় হওয়ার পর সমুদ্রে আর কখনো জাহাজ চলবেনা। এর পর হযরত কা’ব রহঃ বলেন, আ’মাক এলাকার যুদ্ধ যাবতীয় ফিৎনার অন্তর্ভুক্ত। কেননা, তিনটি গোত্র পুরোপুরিভাবে তাদের প্রজাসহ কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। হাম্রা গোত্রের মাঝে মারাত্মকভাবে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে এবং তারাও কাফেরদের দলভুক্ত হয়ে যাবে।
হযরত কা’ব রহঃ আরো বলেন,যদি তিনটি বিষয় না হতো তাহলে আমি এক মুহুর্তও জীবিত থাকা পছন্দ করতামনা। প্রথম হচ্ছে, আরবদের থেকে লুণ্ঠন করা। কেননা এর দ্বারা তাদের অনেকে নিজ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবে। তিনি বিভিন্ন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। অতঃপর তারা বলবে, যেমন ইসলামের প্রাথমিক যুগে বলেছিল, যখন সাহায্য চাওয়া হয়েছিল তখন তারা বলেছিল,তুমি আমাদের ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যস্ত করে রেখেছ। এ আহবানে কেউ কেউ সাড়া দিয়েছিল, আবার কেউ প্রত্যাখান করেছিল।তাদের থেকে ভয়াবহ যুদ্ধকালীন দ্বিতীয়বার সাহায্য চাওয়া হলে তারা সরাসরি অস্বীকার করে দেয়। এক পর্যায়ে তাদেরকে সম্বোধনপূর্বক যে আয়াতটি নাযেল করা হয়েছিল সেটা তাদের উপর প্রয়োগ করা হয়। যেমন আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন “তাদের থেকে যারা বিরোধীতাকারী রয়েছেন তাদেরকে বলেদিন, অতিসত্ত্বর তোমাদেরকে ভয়াবহ এক যুদ্ধের প্রতি আহবান করা হবে, তোমরা তাদের মোকাবেলা করবে, না হয় তারা আত্মসমর্পণ করবে।” মূলতঃ এটিই হচ্ছে, আরবদের য্দ্ধু। বনু কলবের যুদ্ধের দিন যারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে তারাই হচ্ছে লাঞ্চিত ও অপদস্ত জাতি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যদি আমি বড় এবং ভয়াবহ যুদ্ধে শরীক না হতে পারতাম। যেহেতু সেদিন নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক অস্ত্রধারীর উপর কাপুরুষতা অবলম্বন করাকে হারাম করে দিবেন। সেদিন কোনো মুজাহিদ কাফেরকে তলোয়ারের উল্টো সাইড দ্বারা আঘাত করলেও কেটে টুকরো হয়ে যাবে।
তৃতীয় হচ্ছে, যদি আমি কাফেরদের শহর জয়ের মিশনে শরীক না হতাম। কেননা, সে যুদ্ধ ছাড়া বাকি সব যুদ্ধ খুবই ছোট ও নগন্য সাব্যস্ত হবে।
হযরত কা’বের কাছে কেউ জানতে চাইল, যেসব গোত্র কাফেরদের দলভুক্ত হয়ে যাবে, তারা কারা। জবাবে তিনি বললেন, তানুখ, বাহযা, কলব গোত্র। বনু কাজাযার একলোক এদেরকে কাফেরদের সাথে সংযুক্ত করার নানান ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে। এভাবে তারা শামবাসীদের থেকে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ধরনের উপকার গ্রহণ করবে। এক পর্যায়ে সময়-সুযোগমত তাদের দলভুক্তও হয়ে যাবে।
حدثنا عبد الله بن مروان عن
أرطاة بن المنذر
قال حدثني تبيع
عن كعب قال
لا تجري في البحر سفينة
بعد فتح رومية
أبدا
قال كعب و
قتال الأعماق
جعلت مع
الفتن
لأن
ثلاث قبائل بأسرها تلحق بالكفر
برياتهم
وتصدع
طائفة
من الحمراء
فتلحق بهم
أيضا
قال كعب
لولا ثلاث
لأحببت أن لا أحيا ساعة
أولها
نهبة الأعراب
فإنهم يستنفرون في بعض ما يكون ويحدث من الملاحم فيقولون كما قالوا في
بدء الإسلام أول مرة حين استنصروا شغلتنا أموالنا وأهلونا فأجاب من أجاب وترك من
ترك فإذا استنصروا المرة الثانية في زمن الملاحم فأبوا أحل الله بهم الآية التي
وعدهم الله تعالى في
كتاب
قل
للمخلفين من الأعراب ستدعون إلى قوم أولى بأس شديد تقاتلونم أو يسلمون الآية فهي
نهبة الأعراب والخايب من خاب يوم نهبة كلب
و
الثانية
لولا أن أشهد
الملحمة
العظمى
فإن الله تعالى يحرم على كل حديدة أن تجبن فلو ضرب الرجل يومئذ بسفود لقطع
و
الثالثة
لولا أن أشهد
فتح مدينة الكفر
وإن دون فتحها لصغار كبير
قيل لكعب
فمن هذه القبائل التي تلحق بالكفر
قال تنوخ وبهزا وكلب وتريد من قضاعة رجل
أولئك الموالي
موالي هؤلاء القبائل
التي تلحق بالكفر هم نفعانية الشام يعني
مسالمتهم
পৃষ্ঠা - ১২৫৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য এমন এক বিজয়ার্জন হয়েছে, যা ইতিপূর্বে কখনো হয়নি। এরপর আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ আপনাকে বিজয় এসে মোবারকবাদ জানায়। আপনি এ যুদ্ধে খুব ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, নিঃসন্দেহে, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ, হে হুজায়ফা! ছয় নিদর্শন রয়েছে, যার প্রথমটি হচ্ছে, আমার মৃত্যুবরণ করা। একথা শুনে আমি বললাম, ইন্নালিল্লাহী ..... । এরপর হচ্ছে, বায়তুল মোকাদ্দাসের বিজয়, এরপর, এমন এক ফেৎনা, যার মধ্যে বড় দুই দলের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। প্রায় গনহত্যার রূপ নিবে। উভয় দলের দাবি হবে এক। এরপর তোমাদের প্রতি গনহারে মৃত্যুবরণ করা ধেয়ে আসবে, যেমন মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ছাগল গনহারে মারা যায়। অতঃপর মানুষের মধ্যে ব্যাপকহারে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, কেউ কাউকে একশত দীনার দান করলেও কম মনে করে গ্রহণকরতে অস্বীকৃতি জানাবে। এরপর বনু আসফারের বাদশাহদের সন্তানদের মধ্যে এক শিশু জন্মলাভ করবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বলুন আসফার কারা, জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, বনুল আসফার হচ্ছে রোমানরা। শিশুটি দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠতে থাকবে । একটি শিশু একমাসে যতটুকু বেড়ে উঠে এ শিশুটি একদিনে অতটুকু পরিমান বাড়বে। অন্য শিশু এক বৎসরে যে পরিমান বৃদ্ধি পায় এ শিশুটি এক মাসে ততটুকু পরিমান বৃদ্ধি পাবে। শিশুটি বালেগ হলে সকলে তাকে এতবেশি মহব্বত এবং অনুসরণ করবে যা ইতিপূর্বে কোনো রাজা-বাদশাহকে করা হয়নি। একদিন সে তার গোত্রের লোকজনের মাঝখানে দাড়িয়ে বলবে, এখনো কি আরবদের এই দলকে ত্যাগ করার সময় আসেনি। যারা সর্বদা তোমাদের পক্ষ থেকে এক প্রকার সহানুভুতি পেয়ে আসছে অথচ আমরা সংখ্যায় তাদের চেয়ে অনেক বেশি এবং জলভাগ ও স্থলভাগে আমাদের রসদপত্র অনেক। সুতরাং আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কবে তাদের সঙ্গ আমরা ত্যাগ করব। আমি তোমাদেরকে এমন কত বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করছি, যা তোমরা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছ। একথাগুলো বলার এক পর্যায়ে তাদের মুরব্বীদের কয়েকজন দাড়িয়ে বলতে লাগলেন, হ্যাঁ, তোমার কথা ঠিক এবং সিদ্ধান্ত তোমার উপর ন্যস্ত করলাম।
নেতাদের সমর্থন পেয়ে সে বলে উঠল, আমরা সকলে একথার শপথ গ্রহণ করতে হবে যে, আরবদেরকে নিঃশেষ করে দেয়া ছাড়া আমরা তাদের সঙ্গ ত্যাগ করবোনা। অতঃপর তারা রোম দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সৈন্য প্রেরনের জন্য আবেদন জানাবে। তারা আশি প্লাটুন সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন প্রত্যেক প্লাটুনের পতাকার অধীনে বার হাজার যোদ্ধা থাকবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার কাছে সাত লক্ষ ছয় শত যোদ্ধা এসে উপস্থিত হবে। প্রত্যেক জাযিরাতে আবারো লিখে পাঠাবে, যেন জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে তিনশত জাহাজ প্রস্তুত হয়ে যাবে। একদিন সেই এবং তার সৈন্য রসদপত্র সহ জাহাজে আরোহন করবে। যার ফলে এন্তাকিয়া এবং আরীশের মাঝামাঝি জায়গায় শুধু তাদেরকেই দেখা যাবে।
তবে সেদিন খলীফা অনেক ঘোড়া এবং অসংখ্য রসদপত্র প্রেরণ করবেন, এক পর্যায়ে তাদের সামনে একজন দাড়িয়ে বলবেন, “তোমরা কি উপলব্ধি করছ, আমি তোমাদেরকে নিজেদের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমি কিন্তু কঠিন এক মুহূর্ত দেখতে পাচ্ছি, আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার ওয়াদা পূর্ণ করবেন, এবং সকল দ্বীনের উপর আমাদের দ্বীনকে প্রাধান্যতা দিবেন। তবে এখন আমাদের সম্মুখে বিরাট এক মসিবত উপস্থিত। আমি একথা ভালো মনে করছি যে, আমি এবং আমার সাথে যারা রয়েছে সকলে রাসূলুল্øাহ সাঃ এর মদীনায় ফিরে যাব, এরপর ইয়ামানসহ অন্যান্য আরব দেশে লিখে পাঠাব। নিঃসন্দেহে একথা সত্য যে, যারা আল্লাহকে সাহায্য করে আল্লাহ তাআলা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, কাফেরদের এ ভুখন্ড ছেড়ে গেলেও তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা, হয়তো দেখা যাবে সেটা পুনরায় তোমাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এমর্মে রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, তারা বের হয়ে যাবে এবং আমার শহরে এসে পৌঁছবে, যার নাম হবে তাইবা। সেখানে মুসলমানরা অবস্থান করবে। বিভিন্ন দেশ থেকে তারা মদীনায় এসে অন্যান্য আরব দেশে সাহায্য চেয়ে সংবাদ পাঠাবে। এভাবে মদীনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিশাল সৈন্য বাহিনীর জমায়েত হবে। যা মদীনাতে সংকুলান হবেনা। এরপর তারা খালি হাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বের হয়ে ইমামের হাতে মৃত্যুর উপর বাইয়াত গ্রহণ করবে। অর্থাৎ বিজয় কিংবা মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের ময়দানে দৃঢ়তার সহিত অবস্থান করার বাইয়াত গ্রহন করবে। এভাবে বাইয়াত করার পর প্রত্যেকে তলোয়ারের খাপ ভেঙ্গেঁ ফেলবে এবং কোনো প্রকারের লৌহবর্ম পরিধান করা ছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
মুসলমানদের এ অবস্থা দেখে রোমানদের স¤্রাট বলে উঠবে, মুসলমানরা এ ভূখন্ড দখল করার জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসছে। তারা জীবনবাজি রেখে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। এখন আমি তাদের কাছে লিখে পাঠাব যে, তাদের হাতে বন্দি যেসব অনারব রোমান রয়েছে তাদেরকে যেন আমার হাতে তুলে দেয়া হয়, তারা একথার উপর রাজী হলে, আমরা তাদের এ ভূখন্ডকে তাদের জন্য ছেড়ে দিব, এই এলাকা আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা একথার উপর একমত হলে, আমি সেটা সানন্দে গ্রহন করব, অন্যথায় তাদের সাথে যুদ্ধ করব। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাদের এবং তাদের মাঝে একটা ফায়সালা করেন। তাদের এ সিদ্ধান্ত মুসলমানদের সুলতানের কাছে পৌঁছলে তিনি রোমান স¤্রাটকে বলে পাঠাবেন, আমাদের কাছে অনারব যেসব রোমান রয়েছে, যদি তারা রোমানদের কাছে ফিরে যেতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই, তারা সেচ্ছায় চলে যেতে পারে।
একথা শুনে ঐসব অনারব রোমানদের একজন দাড়িয়ে ঘোষণা করল, ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মকে গ্রহণ করা থেকে আমরা আল্লাহর কাছে মাফ চাচ্ছি”। অতঃপর তারাও আগের মুসলমানদের ন্যায় মৃত্যুর উপর বাইয়াদ গ্রহণ করবেন। এবং মুসলমানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে অগ্রসর হতে থাকবে। মুসলমানদের অগ্রযাত্রা আল্লাহর দুশমনগন দেখতে পেয়ে অত্যন্ত আগ্রহী ও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। অতঃপর মুসলমানরা তাদের তলোয়ার উন্মোক্ত করে তালোয়ারের খাপ সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গেঁ ফেলবে। এদিকে আল্লাহ তাআলা তার দুশমনের উপর যথেষ্ট রাগান্বীত হবে। এক পর্যায়ে মুসলমানরা কাফেরদেরকে এত ব্যাপকভাবে হত্যা করবে, যার কারনে ঘোড়ার অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে ডুবে যাবে। এরপর তাদের যারা বাকি থাকবে তারা রাত্র-দিন সফর করে তাইবার দিকে যেতে থাকবে। ফলে তারা মনে করবে যে, সত্যিই তারা দূর্বল হয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি এক ধরনের তীব্র বাতাস প্রবাহিত করলে তাদের পূর্বের স্থানে ফেরৎ যাবে। এরপর মুহাজিরদের হাতে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করা হবে, তাদের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর জন্যও কেউ বাকি থাকবেনা। হে হোজায়ফা! মূলতঃ এটিই হচ্ছে, তীব্র যুদ্ধ। তারা দীর্ঘদিন জীবিত থাকবে, এরপর তাদের কাছে সংবাদ আসবে যে, দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে।
حدثنا محمد بن شابور عن النعمان بن المنذر وسويد بن
عبد العزيز عن إسحاق بن أبي فروة جميعا عن مكحول عن حذيفة بن اليمان وقال
محمد بن شابور قال مكحول حدثني غير واحد عن
حذيفة
يزيد أحدهما على صاحبه في الحديث
قال
حذيفة
فتح لرسول الله صلى الله عليه وسلم فتح لم يفتح له مثله منذ بعثه
الله تعالى
فقلت له يهنئك الفتح يا رسول الله قد وضعت الحرب أوزارها
فقال
هيهات هيهات والذي نفسي بيده إن دونها يا حذيفة
لخصالا ستا
أولهن
موتي
قال قلت
إنا لله وإنا إليه راجعون
ثم
يفتح بيت المقدس
ثم يكون بعد ذلك
فتنة تقتتل فئتان
عظيمتان
يكثر فيها القتل ويكثر فيها الهرج دعوتهما واحدة
ثم يسلط عليكم موت
فيقتلكم
قعصا كما تموت الغنم
ثم يكثر المال فيفيض
حتى يدعا الرجل إلى مائة دينار فيستنكف أن
يأخذها
ثم ينشأ لبني الأصفر غلام
من أولاد ملوكهم
قلت ومن بنو الأصفر يا رسول
الله
قال
الروم
فيشب في اليوم الواحد كما يشب الصبي في الشهر ويشب في الشهر كما
يشب الصبي في السنة فإذا بلغ أحبوه واتبعوه مالم يحبوا ملكا قبله ثم يقوم بين
ظهرانهم
فيقول
إلى متى نترك هذه العصابة من العرب
لا يزالون يصيبون منكم طرفا
ونحن أكثر منهم عددا وعدة في البر والبحر إلى متى يكون هذا فأشيروا علي بما ترون
فيقوم أشرافهم فيخطبون بين أظهرهم
ويقولون نعم ما رأيت والأمر أمرك
فيقول والذي نقسم به لا ندعهم حتى نهلكهم فيكتب إلى
جزائر الروم
فيرمونه
بثمانين غياية تحت كل غياية إثنا عشر ألف مقاتل والغياية الراية فيجتمعون عنده سبع
مائة ألف وستمائة مقاتل ويكتب إلى كل جزيرة فيبعثون بثلثمائة سفينة فيركب هو في
سفينة منها ومقاتلته بحده وحديده وما كان له حتى يرسى بها ما بين
أنطاكية إلى
العريش
فيبعث
الخليفة
يومئذ الخيول بالعدد والعدة وما لا يحصى فيقوم فيهم خطيب
فيقول كيف ترون أشيروا علي برأيكم فإني أرى أمرا عظيما وإني أعلم أن الله تعالى
منجز وعده ومظهر ديننا على كل دين ولكن هذا بلاء عظيم فإني قد رأيت من الرأي أن
أخرج ومن معي إلى مدينة رسول الله
صلى الله عليه وسلم وأبعث إلى اليمن و
العرب
حيث
كانوا وإلى
الأعاريب
فإن الله ناصر من نصره ولا يضرنا أن نخلي لهم هذه الأرض حتى
تروا الذي يتهيأ لكم
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
فيخرجون حتى ينزلوا
مدينتي
هذه واسمها طيبة وهي مساكن المسلمين فينزلون ثم يكتبون إلى من كان عندهم من
العرب حيث بلغ
كتابهم
فيجيبونهم
حتى تضيق بهم المدينة ثم يخرجون مجتمعين مجردين
قد بايعوا إمامهم على الموت فيفتح
الله لهم
فيكسرون أغماد سيوفهم ثم يمرون مجردين
فيقول
صاحب الروم
إن القوم قد
استماتوا لهذه الأرض وقد أقبلوا إليكم وهم لا يرجون حياة فإني كاتب إليهم أن
يبعثوا
إلي بمن عندهم من العجم
ونخلي لهم أرضهم هذه فإن لنا عنها غنى فإن فعلوا فعلنا
.
وإن أبوا قاتلناهم حتى يقضي الله بيننا وبينهم
فإذا بلغ أمرهم
والي
المسلمين
يومئذ
قال لهم من كان عندنا من العجم أراد أن يسير إلى الروم فليفعل
.
فيقوم
خطيب من الموالي
فيقول
معاذ الله أن نبتغي بالإسلام دينا وبدلا
فيبايعون
على الموت كما بايع قبلهم من المسلمين ثم يسيرون مجتمعين فإذا رآهم أعداء الله
طمعوا واحردوا وجهدوا ثم يسل المسلمون سيوفهم ويكسروا أغمادها
ويغضب الجبار على
أعدائه فيقتل المسلمون منهم حتى يبلغ الدم ثنن الخيل ثم يسير من بقي منهم بريح طيبة
يوما وليلة حتى يظنوا أنهم قد عجزوا
فيبعث الله عليهم ريحا عاصفا
فتردهم إلى المكان
الذي منه أصروا
فيقتلهم بأيدي المهاجرين
فلا يفلت أحد ولا مخبر
فعند ذلك يا
حذيفة تضع الحرب أوزارها فيعيشون في ذلك ما شاء الله
ثم يأتيهم من قبل المشرق
خبر
الدجال
أنه قد خرج فينا
امام المسلمين في بيت المقدس
و
انتصاره في سهل عكا
و
فتح حمص
أخبرنا الشيخ
أبو بكر محمد بن عبد الله بن أحمد بن ريذة قال أنبأنا ابو القاسم سليمان بن أحمد بن
أيوب الطبراني حدثنا أبو زيد عبد الرحمن بن حاتم المرادي سنة ثمانين ومائتين حدثنا
نعيم بن حماد
পৃষ্ঠা - ১২৫৫
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, মুসলমানদের ইমাম বায়তুল মোকাদ্দাসে অবস্থান করাকালীন মিশর ও ইরাকের বাসিন্দাদের নিকট সাহায্য চেয়ে অনেক লোক পাঠাবেন। কিন্তু তারা কেউ সাহায্য করবেনা। বুরাইদা হিম্্সের একটি শহরে পৌঁছলে সেখানে দেখতে পায় যে, অনারব ও রোমানরা সে শহরের নারী-শিশুকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তার কাছে এটা খুবই মারাত্মক একটা ঘটনা মনে হল। যার ফলে সে উপস্থিত মুসলমানদের সাথে নিয়ে আ’কা নগরীতে কাফেরদের গতিরোধ করে এবং উভয় দলের মাঝে তীব্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়। আল্লাহ তাআলা কাফেরদের পরাজিত করবেন। তাদেরকে ধাওয়া করতে করতে তাদের শহর পর্যন্ত নিয়ে যাবে এবং হিম্স পৌঁছে সেটাও কাফেরদের হাত থেকে মুক্ত করবে।
حدثنا الوليد عن الأوزاعي
عن كعب قال يكون
إمام
المسلمين ببيت المقدس
فيبعث إلى مصر وأهل العراق يستمدهم ولا يمدون
ويمر بريده
بمدينة حمص
فيجد عجمها قد أغلقوا
على من فيها من ذراري المسلمين فيعظمه ذلك
فيسير
بمن حضره من المسلمين حتى
يلقاهم بسهلة عكا
فيقاتلهم فيهزمهم الله ويطلبهم المسلمون
حتى يلحقونهم ببلادهم ويسير إلى
حمص
فيفتحها الله على يديه
পৃষ্ঠা - ১২৫৬
হযরত হাস্সান ইব্্নে আতিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আ’কার সমতলভূমিতে রোমানরা ছাউনি ফেললে ফিলিস্তিন, জর্দান এবং বায়তুল মোকাদ্দাসের উপর জয়লাভ করলেও দীর্ঘ চল্লিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আফীক গিরিপথ অতিক্রম করতে পারবেনা। এদিকে মুসলমানদের ইমাম তাদেরকে আ’কা নগরীর টীলাতে অবরুদ্ধ করে রাখবে এবং কাফেরদেরকে গনহারে হত্যা করবে, যার কারনে ঘোড়ার অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে ভিজে যাবে। আল্লাহ তাআলা কাফেরদেরকে পরাজিত করবেন এবং তাদের সকলকে হত্যা করা হবে। তবে তাদের একটি দল প্রথমে লেবনানের পাহাড়ে চলে যাবে, পরবতীর্তে রোমান আধ্যূষিত একটি পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যাবে।
قال الأوزاعي
فأخبرني حسان بن عطية قال
تنزل الروم بسهل عكا
وتغلب على فلسطين وبطن الأردن وبيت
المقدس ولا يجيزون عقبة أفيق
أربعين يوما
ثم يسير إليهم إمام المسلمين
فيحوزونهم
إلى مرج عكا فيقتتلون بها حتى يبلغ الدم ثنن الخيل فيهزمهم الله ويقتلونهم إلا
عصيبة يسيرون إلى جبل لبنان ثم إلى جبل بأرض الروم
পৃষ্ঠা - ১২৫৭
হযরত মাকহুল // থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোমান সৈন্যবাহিনী দীর্ঘ চল্লিশ দিন পর্যন্ত শাম নগরীর উপর আক্রমণ করে তেমন কোনো ফলাফল অর্জন করতে পারবেনা, বরং দিমাশ্ক ও বলক শহরের উঁচু এলাকার কিছু অংশ দখল করতে সক্ষম হবে।
قال الوليد أخبرني
سعيد بن عبد العزيز
عن مكحول قال
لتمخرن الروم الشام أربعين صباحا
لا يمتنع
منها إلا دمشق
وأعالي البلقاء
পৃষ্ঠা - ১২৫৮
আবুল আইয়াছ আব্দুর রহমান ইবনে সুলাইমান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক রোমান স¤্রাট শাম দেশের উপর আক্রমণ করে দিমাশ্ক ও আম্মান এলাকা ছাড়া প্রায় পুরোটি দখল করে নিবে। এর কিছুদিন পর তারা পরাজয় বরণ করবে এবং রোম ভূখন্ডে কাযসারিয়্যাহ শহর প্রতিষ্ঠা করবে। এরপর শাম এলাকার পক্ষ থেকে বিরাট এক সৈন্য বাহিনী গঠন করা হবে। অতঃপর আদন শহরে আবইয়ান নামক এলাকা থেকে একটি আগুন প্রকাশ পাবে।
حدثنا الوليد عن عبد الله بن العلاء
بن زبر سمع أبا الأعيس عبد الرحمن بن سليمان قال
يغلب ملك من ملوك الروم على
الشام
كله إلا دمشق وعمان ثم ينهزم و
تبنى قيسارية أرض الروم
فتصير جند من أجناد أهل الشام
ثم تظهر نار من عدن أبين
পৃষ্ঠা - ১২৫৯
হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এরপর রোমানরা সন্ধীর প্রস্তাব পাঠালে মুসলমান বা তাদের সাথে চুক্তি করবে। এরকম চুক্তির মাধ্যমে সকলের মাঝে নিরাপত্তা এমনভাবে কাজ করবে একাকী কোন মহিলা দারব্্ থেকে শাম নগরীর দিকে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবে। তখন রোমানদের এলাকায় কায়সারিয়া নামক একটি শহর আবাদ করা হবে। উক্ত সন্ধিকালীন সময়ে কুফাবাসিরা পরস্পর মারাত্মকভাবে সংঘাতে লিপ্ত হবে। এটা হয়তো মুসলমানদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা থেকে বিরত থাকার কুফল হতে পারে। নাকি তাদের জন্য আরেকটি লাঞ্ছনা অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমোদন হয়ে যাবে। এবং রোমানরাও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন এলাকার সাহায্য চেয়ে পাঠাবে। তোমাদেরকেও সাহায্য করা হবে। এক পর্যায়ে তোমরা টীলা বিশিষ্ট এক এলাকায় ছাউনি ফেলবে। কিছুক্ষণ খ্রীষ্টানদের থেকে একজন বলে উঠবে, তোমরা আমাদের ক্রুশের বদৌলতে জয়লাভ করেছ, সুতরাং আমাদের গনীমতের অংশ এবং নারীÑশিশুদের অংশ আমাদের দেয়া হোক। এদিকে মুসলমানরা সেগুলো দিতে অস্বীকার করলে আবারো তীব্র যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যাবে। অতঃপর মুসলমানরা ফিরে এসে ভয়াবহ যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
حدثنا الوليد عن معاوية بن يحيى عن أرطاة بن
المنذر عن حكيم بن عمير
عن تبيع قال
ثم يبعث الروم يسألونكم الصلح
فتصالحونهم
فيومئذ تقطع المرأة الدرب إلى الشام آمنة و
تبنى مدينة قيسارية التي بأرض الروم
وفي
ذلك الصلح تعرك
الكوفة
عرك الأديم وذلك لتركهم أن يمدوا المسلمين فالله أعلم أكان
مع خذلانهم حدث آخر يستحل غزوهم فيه
وتستمدون الروم عليهم
فيمدونكم فتنصفرون حتى
تنزلوا بمرج ذي تلول فيقول قائل النصارى بصليبنا غلبتم فأعطونا حظنا من الغنيمة
والنساء والذرية فيأبون أن يعطونهم من النساء والذرية فيقتتلون ثم ينصرفون فيجتمعون
للملحمة
পৃষ্ঠা - ১২৬০
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত যু মিখবার ইব্নে আখী নাজ্জাশী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, তোমাদের এবং রোমানদের মাঝে বিশেষ এক চুক্তি সম্পাদিত হবে। তোমাদের সকলের দুশমনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরা উভয় দল গনীমত প্রাপ্ত হবে।
حدثنا الوليد عن الأوزاعي عن حسان بن عطية عن خالد بن معدان عن
جبير بن نفير
عن ذي مخبر بن أخي النجاشي قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم
يقول
تصالحون الروم
صلحا
آمنا حتى تغزوا أنتم وهم عدوا من ورائهم
পৃষ্ঠা - ১২৬১
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুস্তুনতুনিয়া অর্থাৎ, ইস্তামবুল এলাকায় তোমরা তিন প্রকারের যুদ্ধ করবে, প্রথম যুদ্ধে তোমরা অনেক বালা-মসীবতের সম্মুখীন হবে, দ্বিতীয়তঃ তোমাদের এবং তাদের মাঝে বিশেষ এক চুক্তি সম্পাদিত হবে, যার ফলে তাদের শহরে তোমরা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এবং তারা এবং তোমরা মিলে তৃতীয় আরেক দল শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, অতঃপর তোমরা ফিরে এসে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। তৃতীয়তঃ রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে বিজয় দান করবেন।
حدثنا
الوليد عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن أبي فراس
عن عبد الله بن عمرو قال
تغزون
القسطنطينية ثلاث غزوات
الأولى يصيبكم فيها بلاء والثانية تكون بينكم وبينهم صلحا
حتى
تبنوا في مدينتهم مسجدا وتغزون أنتم وهم عدوا من وراء القسطنطينية ثم
ترجعون ثم تغزونها الثالثة فيفتحها الله عليكم
পৃষ্ঠা - ১২৬২
হযরত যু মিখবার রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত ও গনীমতের মাল নিয়ে ফেরৎ আসবে এবং টীলা বিশিষ্ট একটি পর্বতে ছাউনি ফেলবে। যেখানে জনৈক লোক বলে উঠবে, ক্রুশের জয় হয়েছে, একথা শুনে অন্য এক মুসলমান বলবে, না, বরং আল্লাহ তাআলারই জয় হয়েছে। এভাবে কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক চলতে থাকলে হঠাৎ একজন মুসলমান তার কাছে থাকা ক্রুশের দিকে ছুটে গিয়ে ক্রুশটি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলবে। সে একাজটি করার সাথে সাথে সকল খ্রীষ্টান তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করবে। এ অবস্থা দেখে মুসলমানরা তাদের অস্ত্রের প্রতি ধাবিত হবে এবং আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের এই দলকে শাহাদত নসীব করার মাধ্যমে সম্মানিত করবেন। অন্যদিকে কাফেররা তাদের স¤্রাটের কাছে এসে বলবে, আমরা আপনার পক্ষ থেকে আরবদেরকে উত্তম শায়েস্তা করে এসেছি। এরপর তার চুক্তি ভঙ্গঁ করতঃ গাদ্দারী করে ভয়াবহ যুদ্ধের জন্য সৈন্য সমাগম করবে।
حدثنا الوليد عن
الأوزاعي عن حسان بن عطية عن خالد بن معدان عن جبير بن نفير
عن ذي مخبر سمع
النبي صلى الله عليه وسلم يقول فتنصرفون وقد نصرتم وغنمتم فينزلون بمرج ذي تلول
فيقول قائلهم غلب الصليب ويقول مسلم بل الله غلب فيتداولونها ساعة فيثب المسلم إلى
صليبهم وهو منه غير بعيد فيدقه ويثورون إليه فيقتلونه فيثور المسلمون إلى سلاحهم
فيكرم الله تعالى تلك العصابة من المسلمين بالشهادة فيأتون ملكهم فيقولون كفيناك حد
العرب فيغدرون فيجمعون للملحمة
পৃষ্ঠা - ১২৬৩
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোমানরা তাদের সাথে থাকা লোকজনের সাথে গাদ্দারী করবে, অতঃপর তোমরা সৈন্যের জমায়েত করবে। ইতোমধ্যে একজন রোমীর নেতৃত্বে সমুদ্র পথে রোমানদের বিশাল এক বাহিনী এসে উপস্থিত হবে। যার নেতৃত্বে এই বাহিনী রয়েছে তাকে আল-জামাল বলা হয়। তার পিতামাতার একজন শয়তান কিংবা জ্বিন ছিল। জাহাজের সাহায্যে চলতে চলতে আকা নগরীর আ’মাক এলাকার এক গীর্জার পার্শ্বে ছাউনি ফেলবে।
حدثنا الوليد عن يزيد بن سعيد العنسي عن
مدلج بن المقدام العذري
عن كعب قال فتعذر الروم بمن كان فيها فتجتمع و
تأتي بجيش
في البحر من رومية
عليهم صاحب لهم يقال له الجمل
أحد أبويه جنية أو قال شيطان
فيسير
بسفنه حتى ينزل ديرا يقال له عمقا في عكا
পৃষ্ঠা - ১২৬৪
হযরত আরতাত ইবনুল মুনযির রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দিমাশ্ক থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে কখনো মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হলে তোমরা ভয়াবহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর।
حدثنا محمد بن حمير
عن
أرطاة بن المنذر قال إذا
ابتنيت مدينة على ستة أميال من دمشق
فتحزموا للملاحم
পৃষ্ঠা - ১২৬৫
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ছয় হাজার জাহাজের উপর আরোহন পূর্বক বিশাল এক বাহিনীর আত্মপ্রকাশ হবে, অতঃপর তারা সেই জাহাজ জ্বালিয়েÑপুড়িয়ে দিবে।

=

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, তখনই যুদ্ধ-বিগ্রহ , ব্যাপক আকার ধারন করবে।
حدثنا الوليد عن عثمان بن أبي العاتكة
عن كعب قال يخرج في ستة آلاف
سفينة ثم يأمر بالسفن فتحرق
পৃষ্ঠা - ১২৬৬
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সে জাহাজগুলো এমনভাবে জ্বলতে থাকবে, যদ্বারা জুদাম এলাকায় অবস্থিত উটের উপরিভাগ আলোকিত হয়ে যাবে।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن حجاج بن
شداد عن أبي صالح الغفاري
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال يحرق حتى تضيء أعناق
الإبل ليلا بجسم جدام من نارهم
পৃষ্ঠা - ১২৬৭
হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি একদা শাম দেশে অবস্থানরত তার গোত্রের লোকজনকে বলেন, হে আশআরী সম্প্রদায়! তোমরা কৃষি ক্ষেত, ঘর-বাড়ি বানানো থেকে দূরে থাক, কেননা সেগুলো তোমাদের কোনো উপকারে আসবেনা, বরং তোমরা উন্নতমানের তলোয়ার বানাও, ঘোড়া লালন-পালন কর এবং লম্বা লম্বা তীর প্রস্তুত করতে থাক।
حدثنا حماد عن عبد الله بن العلاء سمع
نمر بن أوس يذكر
عن أبي موسى الأشعري رضى الله عنه أنه قال لقومه بالشام يا
معشر الأشعريين إياكم والمزارع والدور فإنه يوشك ألا تلائمكم وعليكم بالمعز الشقر
والخيل وطول الرماح
পৃষ্ঠা - ১২৬৮
ইব্নে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, হয়তো রোমানরা তাদের এলাকা থেকে মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মতকে বের করে দেয়ার পর একমাত্র গমই তাদের রিযিক হবে।
حدثنا الوليد عن شيخ
عن ابن شهاب قال يوشك أزارق
رومية أن
تخرج أمة محمد
صلى الله عليه وسلم من منا القمح
পৃষ্ঠা - ১২৬৯
হযরত তরীক ইব্নে ইয়াযিদ আল-কালবী তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমাকে ওরওয়াহ ইব্্নুযযুবায়ের রাযিঃ বলেছেন, ঐ সময় তার চুল-দাড়ি একেবারে সাদা রূপ ধারন করেছে। তিনি বলেন, হে আহলুশশামের ভ্রাতা ! নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে রোমানবাহিনী তোমাদের শাম দেশ থেকে বের করে দিবে এবং অবশ্যই রোমানদের অশ্বারোহীরা এই পাহাড়ের উপর অবস্থান করবে। যে দিন সেই পাহাড়টি সিলা নামক পাহাড়ের উপর থাকবে, অতঃপর তারা শহরবাসিকে বন্দি করে নিবে। এরপর আল্লাহ তাআলা রোমানদের বিরুদ্ধে সাহায্য অবতরন করবেন।
حدثنا الوليد
عن بطريق بن يزيد الكلبي عن عمه قال
قال لي عروة بن الزبير ورأسه ولحيته يومئذ
كالثغامة
يا أخا أهل الشام ليخرجنكم الروم من شامكم
وليقفن فوارس من الروم على هذا
الجبل وهو يومئذ على جبل سلع
فليسبين أهل المدينة
ثم ينزل الله نصره عليهم
পৃষ্ঠা - ১২৭০
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বড় ও ভয়াবহ যুদ্ধে কাফের সম্প্রদায়ের স¤্রাটদের থেকে বারজন শরীক হবে। তাদের সবচেয়ে ছোট রাজ্য এবং কম সৈন্যের অধিকারী হচ্ছেন রোমানদের স¤্রাট। আল্লাহর কসম! ইয়ামেনে দ্ইু প্রকার গচ্ছিত সম্পদ ছিল। ইয়ারযুক যুদ্ধে তার একটি নিয়ে আসা হয়েছিল। সে সময় বনু আস্্দের লোক সংখ্যা পৃথিবীর লোক সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ছিল। দ্বিতীয় খাজিনাকে নিয়ে আসা হবে ভয়াবহ যুদ্ধের দিন। তার সৈন্যবাহিনী হবে, সত্তর হাজার, তাদের তলোয়ার হবে ‘আল-মাসাদ’।
حدثنا الوليد عن الأوزاعي عن حسان بن عطية
عن كعب قال يحضر الملحمة الكبرى
إثنا عشر ملكا
من
ملوك
الأعاجم
اصغرهم ملكا وأقلهم جنودا
صاحب الروم
ولله تعالى
في
اليمن
كنزان
جاء بأحدهما يوم اليرموك كانت الأزد يومئذ ثلث الناس ويجيء بالآخر
يوم الملحمة العظمى سبعون ألفا حمايل سيوفهم المسد
পৃষ্ঠা - ১২৭১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন বিশেষ এক প্রকার ভূতের পূঁজা করা হবে এবং রোমানবাহিনী শামের উপর জয়লাভ করবে, সেদিন তারা কুরাজবাসির কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠাবে এবং তাদের উটের উপর সওয়ার হয়ে উপস্থিত হবে। তাহলে কুরাজ বলতে, কেউ, আহলে হেজাজ বলেছেন, আবার কেউ বলেছেন আহলে ইয়ামান।
حدثنا الوليد عن
ابن لهيعة عن الحارث بن عبيدة عن عبد الرحمن بن سلمان
عن عبد الله بن عمرو رضى
الله عنهما قال إذا عبد صنم الخاصة ظهرت الروم على الشام فيومئذ يبعثون إلى أهل قرظ
يستمدونهم فيأتون على قلصاتهم قرظ يعني أهل الحجاز أو قال الوليد اليمن
قال
نعيم أشك فيه
পৃষ্ঠা - ১২৭২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবশ্যই সামরিক সাহায্য আসবে এবং তাদের ও তোমাদের মাঝে একটা ফায়শালা হবে।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة عن الحارث بن يزيد عن أبي محمد
الجنبي
عن عبد الله بن عمرو قال ليأتين مدد من الجند وما قضي بينهم
পৃষ্ঠা - ১২৭৩
আল্লাহ তাআলার বক্তব্য “নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে বিপুল সামরিক শক্তির অধিকারী শক্তিশালী এক দুশমনের সাথে মোকাবেলা করার জন্য আহ্বান করা হবে।” এই আয়াতের মর্ম বয়ান করতে গিয়ে রোমানরা বলে, সেটা হচ্ছে, ভয়াবহ যুদ্দের দিন। তবে কা’বে আহবার রহঃ বলেন, আরবদের সামনে ইসলাম পেশ করা হলে তারা বলে উঠল, আমাদের ধ্বন-সম্পদ এবং পরিবার পরিজন আমাদেরকে ব্যস্ত করে রেখেছে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাযেল করার মাধ্যমে বলেন, অতিসত্ত্বর তোমাদেরকে কঠিন ও প্রচন্ড রণশক্তির অধিকারী এক গোত্রের প্রতি আহবান করা হবে। সেটা ভয়াবহ যুদ্ধের দিন। ঐসময় তারা একথা বলবে যা ইসলামের শুরু অবস্থায় বলেছিল যে, আমাদেরকে ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা ও পরিবার-পরিজন ব্যস্ত করে রেখেছে। আর তখনই আয়াতের বিধান তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ, তাদের উপর কঠিন শাস্তি এসে পড়বে। আমি উক্ত হাদীস আব্দুর রহমান ইবনে ইযীদের সামনে পেশ করলে তিনি সেটাকে সত্যায়ন করেছেন। হাদীস বর্ণনাকারী বাকিয়্যাহ বলেন, যদি কাফেরদের শহর জয় করাকে স্বচক্ষে দেখার আগ্রহ আমার মধ্যে না থাকত তাহলে আমি জীবিত থাকা পছন্দ করতামনা। কেননা সেদিন আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক যুবকের জন্য কাপুরুষতা অবলম্বন করাকে হারাম করে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী সাফওয়ান রহঃ বলেন, আমাদের শেখ হাদীস বর্ণনা করেছেন, আরবদের মাঝে সেদিন অনেকে মুরতাদ হয়ে কাফের হয়ে যাবে, আবার অনেকে ইসলামের সাহায্যের ক্ষেত্রে সন্দেহপোষণকারী হয়ে যাবে এবং তাদের সৈন্যরাও যথেষ্ট সন্দেহকারী হবে। আর যখন সেদিন মুসলমানরা জয় লাভ করব্ েতখনই মুসলমানদের থেকে মুরতাদ হয়ে যাওয়া এবং সন্দেহপোষণকারীদের উপর আক্রমণ করার জন্য লোক পাঠানো হবে। অতঃপর যারা গণীমতের ক্ষেত্রে আত্মসাৎ করার আশ্রয় নিয়েছে তারা সেদিন মারাত্মকভাবে লাঞ্ছনা ও অপদস্থতার স্বীকার হয়েছে।
حدثنا الوليد وبقية عن صفوان بن عمرو عن فرج بن محمد
عن كعب في قوله تعالى
ستدعون إلى قوم أولى بأس شديد قال الروم يوم الملحمة قال كعب قد استفز الله
الأعراب
في بدء الإسلام فقالت شغلتنا أموالنا وأهلونا فقال ستدعون إلى قوم أولى بأس شديد
يوم الملحمة
فيقولون كما قالوا في بدء الإسلام شغلتنا أموالنا وأهلونا
فتحل بهم
الآية
يعذبكم عذابا أليما
فحدثت به عبد الرحمن بن يزيد يومئذ فقال صدق
قال
بقية في حديثه
ولولا أن أشهد فتح مدينة الكفر ما أحببت أن أحيا فإن الله تعالى
محرم يومئذ على كل حديدة أن تجبن
قال وقال صفوان حدثنا مشيختنا
أن من الأعراب
من
يرتد
يومئذ كافرا
ومنهم من يول على نصرة الإسلام وعسكرهم شاكا فإذا فتح للمسلمين
يومئذ
بعثوها غارة على ما ترك
الفئة الكافرة المرتدة
و
الفئة الشاكة
الخاذلة فالخائب
من خاب من غنيمتهم يومئذ
পৃষ্ঠা - ১২৭৪
حدثنا عبد الوهاب عن أيوب عن محمد بن سيرين
عن عبد الله بن مسعود قال يكون عند ذلك القتال
ردة
شديدة
পৃষ্ঠা - ১২৭৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যে সব দলকে আল্লাহ তাআলা বিজয়ী করতে ইচ্ছা করেন তাদেরকে অবশ্যই বিজয়ী করবেন। যার কারনে তাদের দুশমনরা ধীরে ধীরে দুরে সরে যাবে। অতঃপর কিছু লোক না বুঝে শুনে কুফরীকে গ্রহন করে নিবে। হাদীস বর্ননা কারী মুহাম্মদ বলেন, আমরা কাফের হয়ে যাওয়া এবং মুরতাদ হওয়াকে এক জিনিসই মনে করি।
قال محمد
واخبرنا عقبة بن أوس
عن عبد الله بن عمرو قال
يطهر الله الطائفة التي تظهر
فيرغب فيهم من يليهم من عدوهم فيتقحم رجال في الكفر تقحما
قال محمد لا أعلم
الردة عن الإسلام والتقحم في الكفر إلا واحدا
পৃষ্ঠা - ১২৭৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে আরবের এক গোত্র পুরোপুুরি ভাবে রোম বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, পুরোপুরি ভাবে বলতে কি বুঝায় উত্তরে তিনি বললেন, তাদেও সব জনগন আমার কথা শুনে তিনি বললেন ইনশা আল্লাহ, হে আবু মুহাম্মদ! অতঃপর তিনি খুবই রাগান্বীত হয়ে দাড়িয়ে গিয়ে বলে উঠলেন, আল্লাহ পাক চাইছেন এবং সেটা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।
حدثنا الوليد عن ابن لهيعة
عن الحارث بن يزيد الحضرمي عن أبي محمد الجنبي
سمع عبد الله بن عمرو يقول
ليلحقن قبائل من العرب بالروم بأسرها
قلت وما أسرها
فقال رعاتها وكلابها
فقال إن شاء الله يا أبا محمد فقام مغضبا
فقال قد شاء الله وكتبه
পৃষ্ঠা - ১২৭৭
হযরত আব্দুল্লাহ রহমান ইবনে সানাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন, এক তৃতীয়াংশ কাফের হয়ে যাবে এবং এক তৃতীয়াংশ সন্দেহ জনক ভাবে ফেরৎ আসবে, অতঃপর তার ধ্বসে পড়বে।
حدثنا الوليد عن ابن عياش عن إسحاق بن أبي فروة عن يوسف بن سليمان
عن عبد الرحمن بن سنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول يكفر ثلث ويرجع ثلث
شاكا
فيخسف بهم
পৃষ্ঠা - ১২৭৮
আবু আব্দুর রহমান কাসেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলমানদের নি¤œস্তরের একদল আককা এবং এনতাকিয়ার গভীরে অবস্থান করবে। তাদের জন্য জামিন মারাতœকভাবে ফেটে যাবে, যদ্দরা তারা তার ভিতরে ঢুকে পড়বে। সেখানে থেকে তারা জান্নাত তো দেখবেইনা এমন কি কখনো নিজের পরিবারের কাছেও ফেরৎ আসতে পারবেনা।
حدثنا الوليد بن مسلم عن الوليد بن سليمان بن أبي السائب
سمع القاسم أبا عبد الرحمن يقول الفئة الخاذلة للمسلمين بعمق عكا وأنطاكية
يتخرق لهم من الأرض خرقا يدخلون فيه لا يرون الجنة ولا يرجعون إلى أهليهم أبدا
পৃষ্ঠা - ১২৭৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশ লোক পরাজিত হবে এবং তারাই হবে আল্লাহ তাআলার কাছে নিকৃষ্টতম মাখলুকের অন্তর্ভুক্ত।
حدثنا الوليد حدثنا ابن لهيعة عن الحارث بن عبيدة عن أبي الأعيس عبد
الرحمن بن سلمان
عن عبد الله بن عمرو قال ينهزم ثلث فأولئك شر البرية عند الله
تعالى
পৃষ্ঠা - ১২৮০
হযরত আবান ইবনুল ওলীদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ একদিন হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তার কাছে যুগের বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আখেরী যামানায় জনৈক লোক প্রায় চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, তার রাজত্ব সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে থাকবে। অসম্ভব পেরেশানীর সম্মুখীন হয়ে আমাক স্থানে মারা যাবে। অতঃপর লম্বা নাকের অধিকারী এক লোকের হাতে ক্ষমতা যাবে, তার হাতে বিজয় আসবে।
حدثنا الوليد عن أبي عبد الله مولى بني أمية عن الوليد بن هشام
المعيطي عن أبان بن الوليد المعيطي
سمع ابن عباس يحدث معاوية وسأله عن الزمان
فأخبره أنه يلي رجل منهم في آخر الزمان
أربعين سنة
تكون
الملاحم لسبع سنين بقين من
خلافته
فيموت بالأعماق غما ثم
يليها رجل ذو شامتين
فعلى يديه يكون الفتح يومئذ
পৃষ্ঠা - ১২৮১
হযরত সাফওয়ান রহঃ থেকে বর্নিত, কা’ব রহঃ এরশাদ করেছেন ১০০৪ হিজরী সনের মধ্যে সব ধরনের খলীফাকে হত্যা কররা হবে। কেবল মাত্র আমীর এবং ঝান্ডা বাহকরাই বাকি থাকবে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ঘোষনা মতে এর থেকে মারাতœক আর কোনো মসিবত হবেনা।
حدثنا الوليد عن صفوان
أن كعبا قال
فيقتل خليفة المسلمين
يومئذ
في
ألف وأربع مائة كلهم
أمير
و
صاحب لواء
فلم يصاب المسلمون يومئذ بعد مصيبتهم
بالنبي صلى الله عليه وسلم بمثلها
পৃষ্ঠা - ১২৮২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, একদা তার নিকট বারোজন খলীফা এবং আমীরের আলোচনা করা হলে তিনি এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! উক্ত রক্তপাতের পর খলীফা মনসুর, মাহদী সিংহাসনে বসবে। এক পর্যায়ে তারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আঃ এর সাথে মিলিত হবে।
حدثنا الوليد عن عبد الملك بن
حميد بن أبي غنية عن المنهال بن عمرو عن سعيد بن جبير
عن ابن عباس أنه ذكر عنده
إثنا عشر خليفة ثم الأمير فقال والله إن منا بعد ذلك السفاح والمنصور والمهدي
يدفعها إلى عيسى بن مريم عليه السلام
পৃষ্ঠা - ১২৮৩
হযরত কা’ব রহঃ থেকে কর্নিত, তিনি কলেন, আমাক নামক স্থানে তীব্র যুদ্ধ সংঘঠিত হবে, তখন সাহায্যÑসহযোগিতা তুলে নেয়া হবে, মানুষ ধৈর্য হারা হয়ে যাবে এবং উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি ভারী অস্ত্র প্রদর্শন করবে। সর্বত্রে এত বেশি রক্ত পাত হবে লাগাতার তিনদিন পর্যন্ত ঘোড়ার অর্ধেক পর্যন্ত রক্তের মধ্যে ডুবে থাকবে। এক মাত্র রাত্র ব্যতীত যুদ্ধ থেকে কোনো জিনিসই তাদেরকে বিরত রাখতে পারবেনা। এমন মুহূর্তে একদল লোক ঘোষনা করবে, ইসলাম একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, এখন সে মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছে, সুতরাং তোমরা সকলে তোমাদের বাপদাদার দ্বীন এবং জন্মস্থানে ফিরে যাও। অতঃপর একথা শুনে অনেকে কাফের ও মুরতাদ হয়ে যাবে। তবে তখনও মুহাজিরদে বংশধর গন তাদে দ্বীনের উপর অটল থাকবে, এবং তাদের একজন ঘোষনা করবে হে লোক সকল! তোমরা কি দেখছনা, এরা কি বলছে!! চলো আমরা আল্লাহ তাআলার দ্বীনের সাথে একাত¦তা পোষন করব। কিন্তু একজনও তার অনুসরন করবেনা। এক পর্যায়ে সে একাই তাদের দিকে এগিয়ে যাবে। তারা তাকে পাকড়াও করারপর হত্যা করে উপরে তাদের বর্শার সাথে ঝুলিয়ে রাখবে। যার কারনে তার রক্ত দ্বারা তাদের গোটা শরীর রন্জিত হয়ে যাবে। অতঃপর তাদেরকে আল্লাহ তাআলা পরাজিত করবেন।
حدثنا الوليد عن كلثوم بن زياد عن
سليمان بن حبيب المحاربي
عن كعب قال
يقتتلون بالأعماق
قتالا شديدا فيرفع النصر
ويفرغ الصبر ويسلط الحديد بعضه على بعض حتى تركض الخيل في الدم إلى ثننها
ثلاثة
أيام متوالية
لا يحجز بينهم إلا الليل حتى يقوم فيقول عمائر من الناس يعني طوائف ما
كان الإسلام إلا إلى أجل ومنتهى وقد بلغ أجله ومنتهاه فالحقوا بمولد آبائنا فيلحقون
بالكفر
ويبقى أبناء المهاجرين
فيقول رجل منهم يا هؤلاء ألا ترون إلى ما صنع هؤلاء
قوموا بنا نلحق بالله فما يتبعه أحد فيمشي إليهم حتى يأتيهم
فينشلونه بنيازكهم
حتى
إن دمائهم لتبل أذرعهم فيهزمهم الله
পৃষ্ঠা - ১২৮৪
উল্লিখিত হাদীসের পর হযরত তাব রহঃ আরো বলেন, হযরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের পর ইসলামের মধ্যে সেই হবে সবচেয়ে সম্মানিত শহীদ। এ পরিস্থিতিতে ফেরেশতা গন আল্লহ তাআলার কাছে এ বলে ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ! আমাদের আপনার বান্দাদেরকে সহযোগিতা করার অনুমতি দিন, জবাবে আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সহযোগিতার জন্য আমিই যথেষ্ট। তখনই আল্লাহ তাআলা তার তীর ও তলোয়ার অর্থাৎ নির্দেশ দ্বার আঘাত করবেন। ফলে তারা পরাজয় বরন করবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এতই লাঞ্চিত করবেন, যার কারনে তাদেরকে পরিত্যক্ত বস্তুর ন্যায় পাড়ানো হবে। এরপর রোম বাসীদের জন্য কোনো দলও থাকবেনা আবার তারা কখনো রাজত্ব ও করতে পারবেনা।
قال الوليد فحدثني عثمان بن أبي
العاتكة عن كعب مثله
قال كعب فذلك أكرم شهيد كان في الإسلام إلا حمزة بن عبد
المطلب فتقول الملائكة ربنا ألا تأذن لنا بنصرة عبادك فيقول أنا أولى بنصرتهم يومئذ
يطعن برمحه ويضرب بسيفه وسيفه أمره فيهزمهم الله
تعالى ويمنحهم فيدوسونهم كما
تداس المعصرة
فلا يكون للروم بعدها جماعة ولا ملك
.
পৃষ্ঠা - ১২৮৫
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন কৃষ্ণাংগরা ইসকান্দারিয়া এবং মিসরের ভুখন্ডের উপর জয়লাভ করবে তখন অনারবরা ইয়াছরাব ও হিজাযে চলে যাবে, আর তাদেরকে শাম দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। যার কারনে প্রত্যেক দল তার সদস্যদের সাথে মিশে যাবে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি একটি বাহিনী প্রেরন করবেন, তারা দুই জাযিরার মাঝামাঝি জায়গায় পৌছলে হঠাৎ শুনতে যে, প্রত্যেক দূর্বলÑসবল লোকজন আমাদের কাছে ফিরে এসো, যারা ইতোপূর্বে মুসলমান ছিলে। একথা শুনার সাথেসাথে সকল দায়িত্ব শীলগন রাগান্বীত হয়ে যাবে। ঐ সময় সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কাইস ইবনে ইছার নামক এক লোকের হাতে বাইয়াত গ্রহন করবে। তিনি তাদেরকে নিয়ে বের হয়ে যাবে, অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে তাদের সাক্ষাৎ হবে। এক পর্যায়ে রোমদের মাঝে ব্যাপক মৃত্যু প্রকাশ পাবে। তখন তারা বায়তুল মোকাদ্দাসে থাকবে, তারা সেখানের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে এবং ফড়িংয়ের ন্যায় মৃত্যু বন করতে থাকবে। তাদের সাথে কৃষ্ণাংগের সর্দার ও মারা যাবে। তখন সালেহ ইবনে আব্দল্লাহ তার সাথীদেরকে নিয়ে সিরিয়ার একটি স্থানে অবতরন করবে এবং আবাদী স্থলে প্রবেশ করবে। তারপর কুমুলিয়াহ নামক স্থানে অবতরন করবে এবং যানতিয়্যাহ নামক এলাকা জয় করবে। তখন তার সৈন্যরা উচ্চস্বরে তৌহীদের ঘোষনা দিবে আনিয়্যাহ নামক স্থানে তারা গনীমতের সম্পদ বন্টন করবে এবং রোম বাহিনীর উপর বিজয় লাভ করবে। সাইহুন গেইট দিয়ে তারা বের হতে চেষ্টা করবে এবং তাদের সাথে হাওয়া আঃ এর কানের দুল সম্বলিত একটি সিন্দক ছিল এং হযরত আদম আঃ এর চাদর ও হযরত হারুন আঃ জামা জোড়া ও ছিল। তার এভাবে দিনাতিপাত করবে, হঠাৎ তাদের কাছে একটি দুঃসংবাদ আসবে এবং সকলে ফিরে যাবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن أرطاة قال إذا ظهر
صاحب الأدهم
بالأسكندرية
وأرض مصر
لحقت العرب بيثرب
والحجاز و
يجلى من الشام
ويلحق كل قبيل
بأهلها ويبعث الله إليهم جيشا فإذا انتهوا بين
الجزيرتين
نادى مناديهم ليخرج إلينا
كل صريح أو دخيل كان منا في المسلمين
فتغضب الموالي فيبايعون رجلا يسمى صالح
بن عبد
الله بن قيس بن يسار فيخرج بهم فيلقى جيش الروم فيقتلهم ويقع الموت في الروم و
هم
يومئذ ببيت المقدس وقد استولوا عليها فيموتون موت الجراد
ويموت صاحب الأدهم وينزل
صالح بالموالي بأرض سورية ويدخل عمورية وقد نزله وينزل قمولية و
يفتح بزنطية
و
تكون
أصوات جيشه فيها بالتوحيد عالية
ويقسم أموالها بينهم بالآنية و
يظهر على رومية
ويستخرج منها
باب صهيون
وتابوت من خرع فيه
قرط حواء وكفوته آدم
يعني كساءه و
حلة
هارون
عليهم السلام فبيناهم كذلك إذ أتاه خبر وهو باطل فيرجع
পৃষ্ঠা - ১২৮৬
হযরত জাররাহ রহঃ আরতাত রহঃ থেকে বর্ননা করে বলেন, হযরত দানিয়াল আঃ এর ভাষ্য মতে প্রথম যুদ্ধ সংঘঠিত হবে ইস্কান্দারিয় নামক স্থানে, তারা নৌকা ও জাহাজে করে সেখানে থেকে বের হয়ে আসবে। অতঃপর মিশরবাসিরা শামের বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চাইবে, তারা পরস্পর সাক্ষাত হলে তাদের মাঝে তীব্র যুদ্ব হবে এবং অনেক মেহনত ও কষ্ট স্বীকার করার পর মুসলমানরা রোমবাসিদের পরাজিত করতে সক্ষম হবে। অতঃপর তারা সেখানেই অবস্থান করতে থাকবে এবং বিরাট একটি বাহিনী গড়ে তুলবে। এরপর সকলে সামনের দিয়ে অগ্রসর হয়ে ফিলিস্তিনের ইয়াফা নগরীতে ছাউনি ফেলবে। এদিকে সেখানের বাসিন্দারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে। তাদের সাথে মুসলমানদের মোকাবেলা হলে মুসলমানরা তাদের উপর বিজয়ী হবে এবং তাদের বাদশাহকে হত্যা করবে। দ্বিতীয় যুদ্বু হচ্ছে, তারা পরাজিত পর বিরাট এক বাহিনী গড়ে তুলবে, সেটা পূর্বের চেয়েও বড় হবে। অতঃপর তারা অগ্রসর হয়ে আককা নামক স্থানে যাত্রাবিরতী করবে ইতিপূর্বে তাদের বাদশাহ ইবনুল মাকতূল মারা যায়। আককা নামক স্থানে তাদের সাথে মুসলমানদের সংর্ঘষ বাধলে দীর্ঘ চল্লিশ দিন পযর্ন্ত মুসলমানদেরকে অররুদ্ব করে রাখা হবে। অন্যদিকে শামবাসিরা মিশরের বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চাইলে তাদেরকে সাহায্য করতে বিলম্ব করবে। সেদিন নাসরাদের প্রত্যেক আযাদ-গোলাম মুশরিক রোমবাসিদেরকে বেষ্টন করে নিবে। তখন শামবাসিদের একতৃতাংশ যুদ্ব ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে এবংএকতৃতাংশ মারা যাবে। বাকিদের উপর আল্লাহ তাআলার সাহায্য নেমে আসবে আর এমন মারাতœক ভাবে পরাজিত হবে যা কেউ কখনো শুনেনি এবং তাদের সম্্রাটও মারা পড়বে। তৃতীয় যুদ্ব হচ্ছে, তাদের থেকে যারা সমুদ্রে চলে গিয়েছিল তারা ফিরে আসবে, তখন যারা স্থালভুমিতে পলায়ন করেছিল তারাও ফিরে এসে এদের সাথে মিলিতে হবে। অন্যদিকে একেবারে অল্প বয়স্ক খুন হওয়া বাদশাহর ছেলে রাষ্ট্র পরিচালনার দালিত্ব গ্রহণ করবে। তাদের সকলের অন্তর উক্ত বালকের ভালোবাসা বাসা বাঁধবে। যার কারণে তার সিদ্ধান্তগুলো এমন ভাবে গ্রহণ করবে যা ইতিপূর্বে অতিবাহিত হওয়া রাজা-বাদশাহদের গ্রহণ করা হয়নি। তারা এন্তাকিয়ার ভিতরে গিয়ে ছাউনে ফেলবে। তখন মুসলমানরাও একত্রিও হয়ে তাদের পাশাপাশি ফেলবে। ফলে দীর্ঘ দ্ইু মাস পযর্ন্ত উভয়ের মাঝে যুদ্ধ চলতে থাকবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের সাহায্য প্রেরণ করলে রোমবাসিন্দা পরাজিত হবে। সেখানেই তাদেরকে পরায়নরত অবস্থায় পর্বতের উপর আরোহনকালীন হত্যা করা হবে। ঐসময় তাদের কাছে সাহায্য আসলে তারা কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করবে এবং মুসলমানদের উপর মারাতœক মসিবত নেমে আসবে। তারা তাদেরকে হত্যা করবে এবং তাদের এলাকা দখল করে নিবে। অবশিষ্টরা পরাজিত হবে। অতঃপর মুহাজিরগন তাদেরকে খোঁজে নিয়ে মারাতœকভাবে হত্যা করবে। এখনই ক্রুশ ধ্বংস করা হবে এবং রোমবাসিরা তাদের পিছনে আন্দুলুসের কিছু লোকের কাছে পৌছলে দারব নামক স্থানে ছাউনি ফেলবে। ঐ সময় মুহাজির গন দুই দলে বিভক্ত হয়ে এক দল দারব নামক স্থানের স্থলভাগের দিকে যেতে থাকবে এবং আরেক দল সমুদ্রের দিকে নিজেদের অশ্ব দৌড়াবে। এভাবে চলতে চলতে মুহাজিরদের স্থলভাগ এবং দারব নামক স্থানের বাসিন্দাদের সাথে তাদের দুশমনের সাথে যুদ্ধ বেধে যাবে এবং মুহাজিরনের উপর আল্লাহ তাআলার সাহায্য নেমে আসবে। আর তাদের দুশমন মারাতœক ভাবে পরাজিত হবে, যা পূর্বের পরাজয়ের তুলনায় জঘন্য হবে। অন্যদিকে সমুদ্রে অবস্থান কারীদের জন্য সুসংবাদ আসবে যে, নিঃসন্দহে তোমাদের জন্য অঙ্গীকারের স্থান হচ্ছে মদীনা, অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী করবেন। এক পর্যায়ে তারা মদীনাতে এসে পৌছবে এবং সেটা জয় করবে। এরপর উক্ত শহরকে বিরান ভূমিতে পরিনত করে ছাড়বে। অতঃপর আন্দুলুসিয়ার দিকে অগ্রসর হবে, সেখানে বিশাল জমায়েত হবে এবং তারা শাম দেশে পৌছলে সেখানে অবস্থানরত মুসলমানদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করবেন।
قال جراح
عن أرطاة
فالملحمة الأولى
في
قول دانيال
تكون
بالأسكندرية
يخرجون بسفنهم فيستغيث
أهل مصر بأهل الشام فيلتقون فيقتتلون قتالا شديدا فيهزم المسلمون الروم بعد جهد
شديد ثم يقيمون عليها ويجمعون جمعا عظيما
ثم يقبلون فينزلون يافا فلسطين
عشرة أميال
ويعتصم أهله بذراريهم في الجبال فيلقاهم المسلمون فيظفرون بهم ويقتلون ملكهم
و
الملحمة الثانية
يجمعون بعد هزيمتهم جمعا أعظم من جمعهم الأول ثم
يقبلون فينزلون
عكا
وقد هلك ملكهم ابن المقتول فيلتقي المسلمون بعكا و
يحبس النصر عن المسلمين
أربعين يوما
ويستغيث أهل الشام بأهل الأمصار فيبطؤن عن نصرهم فلا يبقى يومئذ مشرك
حر ولا عبد من النصرانية إلا أمد الروم فيفر ثلث أهل الشام ويقتل الثلث ثم ينصر
الله البقية فيهزمون الروم هزيمة لم يسمع بمثلها ويقتلون ملكهم
والملحمة الثالث
يرجع من رجع منهم في البحر وينضم إليهم من كان فر منهم في البر ويملكون ابن ملكهم
المقتول صغير لم يحتلم وتقذف له مودة في قلوبهم فيقبل بما لم يقبل به ملكاهم
الأولان من العدد
فينزلون عمق أنطاكية
ويجتمع المسلمون فينزلون بإزائهم
فيقتتلون
شهرين
ثم ينزل الله نصره على المسلمين فيهزمون الروم ويقتلون فيهم وهم هاربون
طالعون في الدرب ثم يأتيهم مدد لهم فيقفون ويبدأ من المسلمين فتكر عليهم كرة
فيقتلونهم وملكهم وتنهزم بقيتهم
فيطلبهم
المهاجرون
فيقتلونهم قتلا ذريعا فحينئذ
يبطل الصليب
وينطلق الروم إلى أمم من ورائهم
من الأندلس فيقبلون بهم حتى ينزلوا
الدرب فيتميز المهاجرون نصفين فيسير نصف في البر نحو الدرب والنصف الآخر يركبون في
البحر فيلتقي المهاجرون الذين في البر ومن في الدرب من عدوهم فيظفرهم الله بعدوهم
فيهزمهم هزيمة أعظم من الهزايم الأولى ويوجهون البشير إلى إخوانهم في البحر إن
موعدكم المدينة فيسيرهم الله أحسن سيرة
حتى ينزلوا على المدينة فيفتحونها
ويخربونها
ثم يكون بعد ذلك أندلس وأمم
فيجتمعون
فيأتون الشام فيلقاهم المسملون
فيهزمهم الله
تعالى
পৃষ্ঠা - ১২৮৭
হযরত কা’ব রহ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রোম বাসিরা সত্তর দলে বিভক্ত হয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস প্রবেশ করবে এবং সেটাকে ধ্বংস করে ছাড়বে। বায়তুল মোকাদ্দাস এবং শাম দেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠত থাকা অবস্থায় সেখানে সম্পূর্ন রুপে আনুগত্য বাকি থাকবে। নদীর কূলের এলাকার উপর আল্লাহ তাআলার গজব নিপতিত হবে, এবং কায়সাবিয়্যাহ, বৈরুত সারিফিয়্যাহ নামক এলাকাটি মাটিতে ধ্বসে যাবে। নদীর সে এলাকা থেকে শুরু করে জর্দান ও বায়সান পর্যন্ত বিলাল এলাকার উপর রোমÑশাম বাসিরা আধিপত্য বিস্তার করবে। পরবর্তীতে মুসলমানরা জয়লাভ করলে তাদের সাথে চুক্তি হবে এবং তাদের উপর রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। যার কারনে সাত থেকে নয় বৎসর পর্যন্ত গোটা এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে। হযরত কা’ব রহঃ বলেন, প্রথমে ইরাক বাসিরা আনুুগত্যের হাত তুলে নিয়ে এবং শাম বাসিদের পক্ষ থেকে নিয়োগকৃত আমীরকে হত্যা করবে। যার কারনে তাদের সাথে শাম বাসিদের যুদ্ধ সংঘঠিত হবে এবং তাদের প্রতি রোমীরাও হাত বাড়িয়ে দিবে। ইতিপূর্বে রোমবাসিদের সাথে তাদের চুক্তি হয়েছিল, এবং দশ হাজার দিয়ে তাদেরকে সাহায্যও করেছিল। এভাবে তারা সকলে ফুরাত নদীর তীরে পৌছবে এবং উভয়ের মাঝে তীব্র লড়াই হবে। যে লড়াইয়ে শাম বাসিরা জয়লাভ করবে। এরপর তারা কূফা নগরীতে ঢুকে সেখানকার বাসিন্দা দেরকে বন্দি করতে থাকলে রোমবাসিরা শাম দেশের বাসিন্দাকে বলবে ‘তোমরা যারা বন্দি হয়েছ তারা আমাদের সাথে শরীক হয়ে যাও। তারা আরো বলবে মুসলমানদের জন্য মুক্তির কোনো উপায় নেই। আমরাই গনীমতের মান বন্টন করব। রোমবাসিরা আরো বলবে তোমরা তাদের উপর মূলতঃ ক্রুশের কারনে বিজয়ী হতে পেরছ। জবাবে মুসলমানরা বলবে, কক্ষনো নয়, আমরা আল্লাহ তাআলা এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কৌশলের কারনে বিজয়ী হয়েছি। তারা এভাবে কথা কাটাকাটি রোম বাসিরা ক্রোধান্বিত হয়ে উঠবে। এহেন পরিস্থিতে জনৈক মুসলমান দ্রুত গতিতে গিয়ে তাদের সালীব (ক্রুশ) ভেঙ্গে ফলবে। ফলে তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। রোমের বাসিন্দারা তাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কারী একটি নদী অতিক্রম করবে এবং রোম বাসিরা তাদের মধ্যকার চুক্তি ভঙ্গ করবে, আর কুস্তুনতিনিয়া নামক জনপদে অবস্থানকারী মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাবে। রোমের সৈন্যরা হিমসের পার্শ্বদিয়ে বের হয়ে যাবে এবং হিমসের বাসিন্দরা তাদের মোবেলায় এগিয়ে আসলে আজমীগণ হিম্স শহরের গেইট বন্ধ করে দিবে। তখন রোমের সম্রাট ফাহমা নামক স্থানে এসে পৌঁছবে, কিন্তু বাহরা গীর্জার পিছনে অবস্থিত ব্রীজটি অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না। রোমবাসিরা মুসলমানদেরকে হিম্স নগরী খালি করে দিতে আহবান জানিয়ে বলবে, হিম্স নগরীটি আমাদের বাপ-দাদার এলাকা ফলে তাদের মাঝেএত তীব্র যুদ্ধ হবে, যদ্বারা ঘাসহীন চারন ভুমির সাত স্থানে অবস্থিত পাথর পর্যন্ত রক্তে রনজিত হয়ে যাবে। এক পর্যায়ে রোম বাসিরা পরাজিত হবে এবং মুসলমানরা হিমসের দিকে ফিরে যাবে। সেখানে পৌছে তাদের বাহনকে যয়তুন গাছের সাথে বাধার পর তার উপর মিনজানিক স্থাপন করবে। এবং মাসহাল নামক এলাকায় অবস্থিত গীর্জাকে ধ্বংস করে ছাড়বে। একজন ইহুদীর বিনিময়ে মুসলমানদের জন্য পূর্বদিকের ফটক খুলে দেয়া হবে, অথবা দিমাশকের দিকের বন্ধ ফটক খুলে দেয়া হবে। যার কারনে মুহাজির গন দলে দলে সে শহরে প্রবেশ করতে থাকবে এবং বনু আসাদের গীর্জা থেকে আনসারদের একদল পলায়ন করবে, যাদেরকে পরবর্তীতে মুসলমানরা এবং তাদের সাথে থাকা আজমিরা হত্যা করবে। তাদের এক তৃতীয়াংশ বিরান হয়ে যাবে, এক তৃতীয়াংশ আগুনে পুড়ে যাবে এবং অন্য এক তৃতীয়াংশ ডুবে মরবে। যতদিন পর্যন্ত হিমস নগরী আবাদ থাকবে ততদিন পর্যন্ত শাম দেশও আবাদ থাকবে।
حدثنا الحكم بن نافع عمن حدثه
عن كعب قال
يدخل الروم بيت
المقدس سبعون صليبا حتى يهدموه
ولا تزال طاعة معمول بها ما كانت الخلافة في أرض
القدس والشام وأول السواحل يغضب الله عليه
فيخسف
به الصارفية وقيسارية و
بيروت
ويملك
الروم الشام أربعين يوما من شاطىء البحر إلى الأردن وبيسان ثم تكون الغلبة
للمسلمين عليهم
يصالحونها
حتى يجري سلطانهم عليهم وتأمن الأرض كلها سبعا
أو
تسعا
قال كعب
يخلع أهل العراق الطاعة ويقتلون أميرهم
من أهل الشام
فيغزوهم أهل الشام
ويستمدون عليهم الروم
وقد صالحوا الروم قبل أن يستمدوهم فيمدوهم بعشرة آلاف حتى
يبلغوا الفرات فيلتقون فيكون الظفر لأهل الشام عليهم
ثم يدخلون الكوفة فيسبون أهلها
ثم يقول الروم للشاميين أشركونا فيما أصبتم من السبي
فيقولون أما ما كان من
المسلمين فلا سبيل إليه ونقاسمكم الأموال فيقول الروم إنما غلبتموهم بالصليب
ويقول المسلمون بل بالله وبرسوله صلى الله عليه وسلم غلبناهم فيتداولونه بينهم
فيغضب الروم فيقوم إلى صليبهم رجل من المسلمين فيكسره فيفترقون ويحوز الروم إلى نهر
يحول بينهم وبينهم وتنقض الروم صلحها و
يقتلون من بالقسطنطينية من المسلمين
ثم يخرج
الروم في ساحل حمص فيخرج أهل حمص إليهم فيغلق الأعاجم أبواب مدينة حمص عليهم وينزل
ملك الروم فحمايا لا يجاوز القنطرة التي دون دير بهرا
فيقول الروم للمسليمن
خلوا لنا حمصا
فإنها منزل آبائنا فيقتتلون حتى يبلغ الدم الأحجار السبع الأواسط
منها الأبارص ثم يهزمون الروم
ويرجع المسلمون إلى حمص
ويربطون خيولهم بالزيتون
وينصبون المجانيق عليها ويهدمون كنيسة دير مسحل
وتفتح حمص للمسلمين برجل من اليهود
من بابها الغربي الأيمن أو من الباب المغلق الذي بين باب دمشق وباب اليهود
فيدخلها
المهاجرون
وتهرب طائفة من أنصارها إلى دير بني أسد فيقتلهم المسلمون ومن بها من
الأعاجم ويخربوا ثلثها ويحرقوا ثلثها ويغرقوا ثلثها ولا تزال الشام عامرة ما عمرت
حمص
পৃষ্ঠা - ১২৮৮
حدثنا أبو المغيرة عن أبي بكر بن أبي مريم
سمع الأشياخ يقولون
ستفجر عين بتل
ذي مين يكثر ماؤها
فتغرق حمص
أو جلها وهي شرقي حمص على عشرة أميال
পৃষ্ঠা - ১২৮৯
হযরত আবু আমের আলহানী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন:

আমি একটি গ্রামে থাকা কালীন দুপুরের দিকে হারিছ ইবনে আবু আনআম আমার কাছে আনে। তখন কিন্তু তীব্র গরম চলছিল। তাকে দেখে বললাম, হে চাচা! এমন মুহূর্তে কেন আসলেন। জবাবে তিনি বললেন ইহুদীদের গেইট সংলগ্ন গ্রামটি খুজতে এসেছি। সেটা তার আভিজাত্যের সাথে গোপন হতে চলছে। ফলে উক্ত ভ’মিটি অন্য এলাকার সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়। এখন কি তোমার এ এলাকায় বয়স্ক কোনো আছেন, যিনি আমাকে উক্ত এলাকাটি শনাক্ত করে দিতে পারবেন।


জবাবে আমি বললাম, হ্যা উক্ত এলাকায় খুবই বয়স্ক একজন লোক রয়েছে। আমরা তার কাছে পৌছলে হারিছ তাকে উল্লিখিত এলাকা ও নদী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিলেন আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, উক্ত নদীর পানি এত বেশি মারাত্মক ছিল, যা কোনো গর্ভবতী মহিলা পান করলে তার গর্ভপাত হয়ে যেত। এরপানি কোনো গাছের গোড়ায় দিলে তার পাতা ঝড়ে পড়ত। যা উপলব্ধি করে সকলে পেরেশান হয়ে পড়ে এবং তার একটা আশু সমাধান খুজতে থাকে।

এক পর্যায়ে একজন লোকের দেখা পাওয়া গেলে তার সামনে অনেক নজরানা রাখা হয়। তিনি শিশা, চর্বী, আলকাতরা এবং পশম দ্বারা তৈরীকৃত একটি ইট দিতে বললে আমরা যখন সে ইট তার সম্মুখে রাখি তখন তিনি উক্ত ইট নিয়ে পাহাড়ে বন্য প্রানীর একটি গুহাতে গিয়ে কিছু আমল করলে উক্ত নদীটি লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে যায়।

হাদীস বর্ননা কারী আবু আমের রহঃ বলেন, আমরা যখন উল্লিখিত শেখের স্বাক্ষাত শেষে বের হচ্ছিলাম তখন তিনি বললেন আমি কতক সাহাবায়ে কেরামকে বলতে শুনেছি, নিঃসন্দেহে সেটা ছিল জাহান্নামের একটি এলাকা, হিমস নগরীর অর্ধেক অংশ সেখানে নিমজ্জিত হবে এবং বাকি অর্ধেক অংশ আগুনে জ্বলে যাবে।
حدثنا أبو المغيرة عن أرطاة
عن أبي عامر الألهاني قال كنت في قرية
فجاءني الحارث بن أبي أنعم حين انتصف النهار واشتدت الظهيرة
فقلت يا عم ما جاء
بك هذا الحين
قال استقرأت هذا الوادي الذي يمر على باب اليهود ثم إنه خفي علي
مذهبه حتى خالط تلك الحقول فهل في قريتك هذه رجل له قدم وسن
قلت نعم هاهنا شيخ
كبير ما يخرج من الكبر فانطلقنا إليه فسأله الحارث عن ذلك الخليج
فقال الشيخ
سمعت أبي يقول إن ماءه كان ظاهرا لا تشرب منه حامل إلا ألقيت ما في بطنها ولا ينال
شجرة إلا تناثر ورقها فأهم الناس ذلك فالتمسوا له فجاء رجل فجعلوا له جعلا فدعاهم
بلبنة من رصاص وشحم وزفت وصوف ثم انطلقوا إلى سرب فصنع ما صنع فخفي ذلك الماء
قال أبو عامر فلما خرجنا قال سمعت بعض أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم يقول إنه
واد من أودية جهنم وإن
حمص يغرق نصفها
منه و
النصف الآخر يصيبه حريق
পৃষ্ঠা - ১২৯০
হযরত কাব রহঃ তার হাদীসে উল্লেখ করেছেন, অতঃপর রোমবাসিরা দ্বিতীয় বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। যার কারনে তাদের সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রটানো হবে এবং সকল রোমবাসি, কুস্তুতুনিয়াও আরমেনিয়ার বাসিন্দারা তাদের পতাকাতলে সমবেত হবে। এমন কি এসব এলাকার রাখালরাও জমায়েত হবে। অন্যদিকে উক্ত এলাকার কৃষকগন রোমের বাদশাহর উপর নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবে। ফলে রোম বাহিনী ছাড়া অনেক দল এগিয়ে আসবে, যারা প্রায় দশ বাদশাহর সৈন্যের সমতুল্য হবে। তাদের সংখ্যা হবে প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার। এদিকে আরবরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে পরস্পরের সাথে মিলিত হবে এবং পৃথিবীর দুই ডানা মিশর এবং ইরাক ও শাম দেশে জমায়েত হবে। সেটা হবে মূলনীতি। রোমের সম্রাট মিম্বরের দিকে এগিয়ে আসবে, তখন তিনি দুটি খচ্চরের উপর আরোহন অবস্থায় থাকবে। তখন তাদের সৈন্যরা পুরোপুরি ভাবে শামের দিকে ধাবিত হতে থাকলেও দিমাশকে প্রবেশ করতে পারবে না। মুসলমানরা পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে চার স্থানে তাদের সাথে মোকাবেলা হবে। উভয় দল এমন একটি নদীর কিনারায় জমায়েত হবে, যার পানি গ্রীস্মকালে ঠান্ডা এবং শীত কালে গরম হয়ে থাকে। তার পানি খুবই বেশি হয়ে উঠে। সে নদীতে মুহাজির গন কিছু অংশে অবতরন করলেও রোম বাসিরা বিশাল এক এলাকা দখল করবে। তারা তাদের রসদ পত্রের কাছে থাকা গাছের সাথে পশু গুলো বেধে রাখবে এবং সকলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। ফলে তারা কানসারীন নামক এলাকায় এসে পৌছবে। তাদের অবস্থান হবে, হিমস, এন্তাকিয়া এবং আরব দেশে। যা বুসরা, দিমাশক এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নির্ধারন করা হবে। এ অবস্থায় রোম বাহিনীরা সব গাছ পালা জালিয়ে, পুড়িয়ে নষ্ট করের ফেলবে। নদীর পাদদেশে উভয় এলাকার সৈনারা জমা হবে, যেটা হচ্ছে, হালব এবং কানসারীন এলাকার মাঝখানে অবস্থিত থাকবে। এরপর তারা বিরাট এক এলাকার আধিপত্য বিস্তার করবে। সেদিন গোটা এলাকা জুড়ে চড়িয়ে পড়বে। তখন তোমাদের কেউ থাকলে সে যেন প্রথম দলে অন্তর্ভুক্ত হয়। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ কিংবা অন্য কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে তাহলে একতা বদ্ধতাকে বাধ্যতা মূলকভাবে আকড়ে ধরতে হবে কক্ষনো সেটা ত্যাগ করা যাবেনা। কেননা আল্লাহ তাআলার সাহায্য একতা বদ্ধতার সাথেই রয়েছে। তবে সেদিন যারা পলায়ন করবে তারা জান্নাতের সুঘ্রানও পাবেনা। ঐসময় রোমবাসিরা মুসলমান দেরকে বলবে, আমাদের জন্য আমাদের ভূখন্ড ছেড়ে দাও, এবং তোমাদের মধ্য থেকে প্রত্যেক শেতাঙ্গ নিস্কর্মা এবং কয়েদির সন্তানদেরকে আমাদের শরনাপন্ন কর। জবাবে মুসলমানরা বলবে, যাদের ইচ্ছা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত হবে আর যাদের ইচ্ছা তার নিজের এলাকা এবং দ্বীনের উপর থাকবে, সেটা সম্পূর্ন তার এখতেয়ার। মুসলমানদের একথা শুনে ইতর শ্রেনীর লোকজন, শেতাঙ্গ এবং কয়েদীরা খুবই রাগান্নিত হয়ে উঠবে। এক পর্যায়ে তারা শেতাঙ্গদের একজনের জন্য একটি ঝান্ডা তৈরী করবে। তিনিই হবেন সেই বাদশাহ যার সম্বন্ধে হযরত ইব্রাহীম আঃ ও হযরত ইসহাক আঃ এ মর্মে ওয়াদা করেছেন যে আখেরী যামানায় এ ধরনের এক লোকের হাতে ঝান্ডা দেয়া হবে এবং সকলে তার হাতে বাইয়াত গ্রহন করবে। অতঃপর তারা একক ভাবে রোম বাহিনীর সাথে মোকাবেলা করে জয়লাভ করবে এবং আরব দেশের বিস্তৃতি রোম পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এদিকে মুনাফিকরা তাদের মনীবদের জয়লাভ করা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। কুজা গোত্রের সাথে সম্পৃক্ত থাকা বিভিন্ন গোত্র গুলো এবং শেতাঙ্গদের কিছু লোক পলায়ন করতে থাকবে। এমন কি তাদের ঝান্ডা গুলোকে তাদের ভিতরেই গেড়ে রাখা হবে। এক পর্যায়ে তাদের প্রতি সহানুভুতিশীলগন পৃথক হয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিবে। পৃথক হওয়ার পর যখন কিছু কিছু লোক জমায়েত হবে, তখন তারা উচ্চস্বরে ঘোষনা করবে যে, ক্রুশের জয় হয়েছে তখন আরবরা মুহাজিরদের উত্তম দল হিময়ার ইলহান এবং কাইস গোত্রকেই নির্বাচন করে নিবে। সেদিন তারা হবে সর্বোত্তম লোকজনের অন্তভুর্ক্ত। সে সময় কাইস গোত্রের লোকজন এত বেশি বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করবে, কেউ তাদের সাথে মোকাবেলা করতে পারবেনা। তেমনিভাবে আযদ গোত্রও যুদ্ধ করবে। সেদিন মুসলমানগন চার দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। একদল শহীদ হয়ে যাবে, আরেক দল ধৈর্য ধারন করবে, আরেক দল পলায়ন করবে এবং চতুর্থ দল শত্রুদের সাথে হাত মিলবে। বর্ননাকারী বলেন, রোম বাহিনীর লোকজন আরবদের উপর মারাতœক ভাবে কঠোরতা প্রদর্শন করবে। এক পর্যায়ে তাদের খলীফা কুরাশী, ইয়ামানী আসসালেহ তিন হাজার সৈন্য বাহিনী সহকারে এগিয়ে আসবে এবং একজনকে তাদের আমীর মনোনীত করবেন। এভাবে তার সাথে ঝান্ডার অধিকারী আরো প্রায় সত্তর জন আমীর থাকবেন। সেদিন যারা মৃত্যু বরন কিংবা ধৈর্য্যধারন করবে প্রত্যেকে সমান প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। এরপর রোম বাসিদের উপর আল্লাহ তাআলা এক ধরনের বাতাস প্রবাহিত করবেন, যা তাদের মুখ ও চেহারা স্পর্শ করার সাথে সাথে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যাবে এবং জমিন তাদেরকে আছড়ে ফেলবে, যার ফলে তারা বজ্রপাত এবং ভূমি কম্পে আক্রান্ত হয়ে গভীর খাদের মধ্যে ঝুলে থাকবে। তবে আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদেরকে সহযোগীতার মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধি করবেন এবং তাদেরকে বিরাট প্রতিদান দিবেন,, যেমন প্রতিদান দেয়া হয়েছিল রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবায়ে কেরামকে। যার ফলে তাদের অন্তর এবং বুক বীরত্ব ও বাহাদুরীতে পরিপূর্ন হয়ে গিয়েছিল। রোমান বাহিনীরা যখন ধৈর্যশীল দলের সংখ্যা একেবারে কম দেখতে পাবে তখন তারা লোভাতুর হয়ে বলবে, তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের ঘোড়ার উপর আরোহন করতঃ এদের পিসে ফেল এবং চুর্নবিচুর্ন করে দাও। একথা শুনার সাথে সাথে মুসলমানদের একজন ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়ে সামনে এবং ডানেÑবামে তাকাতে থাকবে, কিন্তু মুক্তি বা যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষন না দেখে বলবে তোমাদের প্রতি একমাত্র আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে, সুতরাং তোমরা মৃত্যু বরন করার জন্য প্রস্তুত হও এবং শত্রু মুলৎপাটনের জন্য এগিয়ে যাও। একথা শুনে তাদের এক জনের হাতে খেলাফতের বাইয়াত গ্রহন করবে। তিনি তাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করবে। এরপর স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দিয়ে সাহায্য নাজিল করবেন এবং বলবেন আজকে পৃথিবীতে একমাত্র আমি, আমার ফেরেশতা এবং আমার মোহাজির বান্দাগনই থাকবে। পশু পাখি এবং চতুস্পদ জন্তুকে রোম বাহিনী গোশত ভক্ষন করার আর তাদেরকে রোম বাসির রক্ত পান করাব। অতঃপর আল্লাহ তাআলা চতুর্থ আসমানে বিদ্যমান আস্ত্রের ভান্ডার খুলে দিবেন, যা মূলতঃ আল্লাহ তাআলা সম্মান এবং বড়ত্বের হাতিয়ার। ফলে মুসলমানগন তাদের তীর ফেলে দিবে, তাদের তলোয়ারের খাপ নষ্ট করে ফেলবে এবং নাঙ্গা তলোয়ার হাতে ধারণ করতঃ রোম বাহিনীর উপর আক্রমন করে বসবে। রোমীদের পক্ষ থেকে নিক্ষেপকৃত তীর সমূহকে তাদের মুখোমুখি করে দিবে। অন্যদিকে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের অস্ত্রের দিকে নিজের হাতকে প্রসারিত করতঃ সেগুলোকে মিলিয়ে নিবেন। যার সে অস্ত্রের ক্ষমতা বাকি থাকবেনা। ফলে তাদের হাতকে তাদের ঘাড়ের সাথে ঝুলিয়ে রাখবেন এবং মুসলমানদের হাতিয়ার তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে কাবু করে ফেলবে। সেদিন মুসলামানরা সামান্য একটি লোহা নিক্ষেপ করলেও সেটা কাফেরদের মারাতœক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে। এক পর্যায়ে জিবরাঈল আঃ এবং মিকাঈল আঃ স্বশরীরে নীচে নেমে আসবেন এবং কাফেরদের সাথে থাকা কিছু নগন্য ফেরেশতা কে প্রতিহত করবেন। আল্লাহ তাআলা কাফেরদেরকে মারাতœক ভাবে পরাজিত করবেন এবং ছাগলের ন্যায় তাদেরকে তাড়া করে নিয়ে যাবেন। এক পর্যায়ে তারা তাদের বাশাহর কাছে গিয়ে আশ্রয় নিবে। তাদেরকে এ অবস্থায় দেখে স্বয়ং তাদের বদশাহও ভয়ে আতংকিত হয়ে তাদের সামনে বেহুশ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেকের মাথা থেকে শিরস্থান খুলে নিয়ে ঘোড়ার পদতলে পিষ্ট করতে নির্দেশ দিবে। যার কারনে তাদের প্রত্যেককে হত্যা করা হবে। তাদের রক্ত ঘোড়ার উচু শিখর পর্যন্ত পৌছে যাবে। তবে যে রক্ত গুলোকে মাটির কোনো অংশই চুষবেনা । যেসব রক্ত ঘোড়ার পিঠের উচু অংশ পর্যন্ত পৌছবে সেটা হবে আরো মারাতœক এক পরিনতি সেটা মূলতঃ তাদেরকে যবেহ করে দেয়ার মত হবে। এটাই হচ্ছে, রোমবাহিনীর জন্য নিমর্মভাবে পরাজিত হওয়া। অন্যদিকে আল্লাহ তাআলা রোমবাসিদের পক্ষ থেকে নদী এলাকায় অবস্থানরত কতক লোকদের প্রতি ফেরেশতা প্রেরণ করে তাদেরকে রোমবাহিনীর পরাজয় এবং হত্যার সংবাদ দিয়ে দিবেন।
حدثنا الحكم بن نافع قال أخبرني الذي حدثني
عن كعب في حديثه ثم
تستمد الروم
بالأمم الثانية
فتجيش عليهم الألسنة المختلفة و
يجتمع إليهم أهل رومية والقسطنطنية
وأرمينية
حتى الرعاة والحراثون يغضبون لملك الروم فيقبل بأمم كثيرة سوى الروم
ملوك
عشرة
يبلغ جمعهم مائة ألف وثمانين ألفا وتنزوي العرب بعضها إلى بعض من أقطار الأرض
ويجتمع الجناحان مصر والعراق بالشام وهي الرأس و
يقبل ملك الروم على منبر محمول على
بغلين
فيوجهون جيوشهم فيحولون الشام كلها غير دمشق
فيسير إليهم المسلمون على
أقدامهم
فيلتقون في عمق كذا وكذا أربع مواطن فيسير الجمعان على نهر ماؤه بارد في
الصيف حار في الشتاء فيفور ماؤه ويكثر يومئذ
فينزل المهاجرون أدناه
والروم أقصاه
و
يربطون خيولهم بالشجر
الذي عند رحالهم ويستعدوا للقتال حتى يصيروا في أرض قنسرين
فيكون منزلهم ما بين حمص وأنطاكية
والعرب فيما بين بصرى ودمشق
وما ورائهما فلا يبقى
الروم خشبا ولا حطبا ولا شجرا إلا أوقدوه فيلتقي الجمعان عند نهير فيما بين
حلب
وقنسرين ثم يصيرون إلى عمق من الأرض فيه عظم قتالهم فمن حضر ذلك اليوم فليكن في
الزحف الأول فإن لم يستطع ففي الثاني أو الثالث أو الرابع أو الآخر فإن لم يطق
فليلزم فسطاط الجماعة لا يفارقها فإن يد الله تعالى عليهم ومن هرب يومئذ لم يرح ريح
الجنة
فيقول الروم
للمسلمين خلوا لنا أرضنا
وردوا إلينا كل أحمر وهجين
منكم
و
أبناء السراري
فيقول المسلمون من شاء لحق منكم ومن شاء دفع عن دينه ونفسه
فيغضب بنوا هجن والسراري والحمراء
فيعقدون لرجل من الحمراء
راية وهو
السلطان الذي
وعد إبراهيم وإسحاق أن يعطوا في آخر الزمان
فيبايعونه
ثم يقاتلون وحدهم الروم
فينصرون على الروم
وينحاز فجرة العرب إلى الروم
ومنافقوهم حين يرون نصرة الموالي
على الروم وتهرب قبائل بأسرها جلها من قضاعة وناس من الحمراء حتى يركزوا راياتهم
فيهم ثم تنادي الرفاق بالتميز فإذا لحق بهم من لحق نادوا غلب الصليب
فخير العرب
يومئذ اليمانيون المهاجرون وحمير والهان وقيس
أولئك خير الناس يومئذ فقيس يومئذ
تقتل ولا تقتل وجدس مثلها والأزد يقتلون ويقتلون ويمومئذ
يفترق جيش المسملين
أربع
فرق فرقة تستشهد وفرقة تصبر وفرقة تفر
وفرقة تلحق بعدوها
وقال ويشد الروم على
العرب شدة
فيقتل
خليفتهم القرشي اليماني
الصالح في ثلاثة آلاف ومعه سبعون أميرا كلهم صالح صاحب راية فالمقتول والصابر يومئذ في الأجر سواء
فيؤمرون عليهم أميرا
ثم
يسلط الله على الروم ريحا وطيرا
تضرب وجوههم بأجنحتها فتفقأ أعينهم وتتصدع بهم
الأرض فيتلجلجوا في مهوى بعد صواعق ورواجف تصيبهم ويؤيد الله الصابرين ويوجب لهم
الأجر كما أوجب لأصحاب محمد صلى الله عليه وسلم ويملأ قلوبهم وصدورهم شجاعة وجرأة
فإذا رأت الروم قلة الفرقة الصابرة طمعت وقالت اركبوا على كل حافر فطؤهم وأبيدوهم
فيقوم راكب من المسلمين على مرجه فينظر عن يمينه وشماله وبين يديه فلا يرى طرفا ولا
انقطاعا
فيقول أتاكم الخلق ولا مدد لكم إلا الله فموتوا وأميتوا
فيبايعون رجلا
منهم بيعة خلافة
فيأمرهم فيصلون الصبح
فينظر الله تعالى إليهم فينزل عليهم النصر
ويقول لم يبق إلا أنا وملائكتي وعبادي المهاجرون اليوم ومأدبة الطير والوحش
لأطمعنها لحوم الروم وأنصارها ولأسقينها دماءها
فيفتح ربك خزانة سلاحه التي في
السماء الرابعة
وسلاحه العز والجبروت
فينزل عليهم الملائكة
ويقذف المسلمون قسيهم
ويدقوا أغماد سيوفهم ويصلتوها عليهم ويوجهوا أسنة رماحهم إليهم
ويبسط ربك يده إلى
سلاح الكفار
فيضمه فلا يقطع
فتغل أيديهم إلى أعناقهم
ويسلط أسلحة الموحدين عليهم
فلو ضرب مؤمن يومئذ بوتد لقطع
ويهبط جبريل وميكائيل
فيدفعونهم بمن معهم من الملائكة
فيهزمهم الله فيسوقونهم كالغنم حتى ينتهوا بهم إلى ملوكهم
فيخر ملوكهم
من الرعب
لوجوههم و
تنزع أتوجتهم عن رؤوسهم فيطؤنهم بالخيل
والأقدام حتى يقلتونهم حتى يبلغ
دماؤهم ثنن الخيل فلا ينشفه الأرض وكل دم يبلغ ثنن الخيل فهي ملحمة وهو ذبح
فذلك
انقطاع ملك الروم
ويبعث
الله
تعالى ملائكة إلى ملاء جزائرها يخبرونهم بقتل الروم
পৃষ্ঠা - ১২৯১
হযরত ইমরান ইবনে সুলাইম আলÑকালায়ী রহঃ থেকে বণির্ত, তিনি বলেন, কোনো মহিলার ঘরে একটি বদনা এবং এক জোড়া জুতার চেয়ে উত্তম কোনো সংবাদ থাকবেনা, মোটা এবং সম্পদশালীদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য, অন্যদিকে ফকীর এবং দুবর্লদের জন্য সুসংবাদ থাকবে। সুতরাং তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে চামড়ার মোজা পরিধান করাবে এবং তাদেরকে ঘরেরর ভিতরে হাঁটার জন্য জোর দিবে। কেননা হয়তো কোনো দিন তাদেরকে দীর্ঘ পথ পায়দল পাড়ি দিতে হবে এবং এভাবে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن مالك بن عبد الله الكلاعي عن عثمان بن
معدان القرشي عن عمران بن سليم الكلاعي قال
ما عدت امرأة في ربعتها بأفضل لها
من ميضأة ونعلين ويل للمسمنات وطوبى للفقراء ألبسوا نساءكم الخفاف المنعلة وعلموهن
المشي في بيوتهن فإنه يوشك بهن أن يحوجن إلى ذلك
পৃষ্ঠা - ১২৯২
হযরত আবুজ জাহরিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, এক সময় রোম বাসিরা বাহরা নামক এলাকার একটি গীর্জার নিকট গিয়ে অবস্থান করলে তারা শপথ করার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তে পৌছবে যে, আর কখনো হিমস এলাকায় ফিরে যাবেনা, তবে তাদের প্রতি মুসলমান ধেয়ে এসে আক্রমন করে বসবে এবং তাদেরকে পরাজিত করে মুসলমানরা জয়লাভ করবে।
حدثنا بقية بن
الوليد عن أبي بكر بن عبد الله
عن أبي الزاهرية قال ينتهي الروم إلى دير بهرا
فعند ذلك يكون الحلفة لا يجاوزها إلى حمص ثم يرجع إليهم المسلمون فيهزمونهم
পৃষ্ঠা - ১২৯৩
হযরত আবুল বাহরিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে রোম বাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা পদানত করতে করতে বাহরা নামক এলাকার একটি গীর্জার কাছে এসে ছাউনি ফেলবেন এক পর্যায়ে তাদের স¤্রাটের কাছে থাকা ক্রুশটি রাখবে এবং ফাহমায়া নামক এলাকায় অবস্থিত পর্বতের উচ’ স্থানে আরোহন করবে। তখনই এন্তাকিয়া নামক এলাকার এক লোকের হাতে তাদের প্রথম ধ্বংস আসবে। তিনি লোকজনকে আহ্বান জানালে মুসলমানদের বিরাট এক কাফেলা তার আহ্বানে সাড়া দিবে। তিনিই হবেন সর্ব প্রথম ব্যক্তি যার হাত ধরে মুসলমানরা এগিয়ে যাবে এবং কাফেরদেরকে পরাজিত করবে।
قال أبو بكر وأخبرني عمرو بن قيس عن أبي بحرية قال
ليسيرن الروم حتى
ينزلوا دير بهرا وحتى يضع ملكهم صليبه وبنوده على هذا التل تل فحمايا
فيكون أول
هلاكهم على يدي رجل من أنطاكية
يدعو الناس فينتدب معه رجال من المسلمين فهو أول من
يحمل عليهم [ من المسلمين ] فيهزمهم الله تعالى
পৃষ্ঠা - ১২৯৪
হযরত ইবনে আইআশ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আমাদের মাশায়েখদেরকে বলতে শুনেছি, যখন সেটা হতে তখন হে হিমস বাসিরা! তোমরা তোমাদের নিজেদের ঘরে দৃঢ়তার সাথে স্থীর থাকবে। কেননা, তাদের ধ্বংস মূলতঃ ফাহমায়া নামক এক পাহাড়ের টীলার নিকট হবে। তারা কখনো তোমাদের কল্যান কামনা করবেনা। এহেন পরিস্থিতিতে যারা স্থীর থাকবে, তারা মুক্তি প্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হবে, আর যারা দিমাশকের দিকে যেতে থাকবে তারা তৃষ্ণার্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।
حدثنا أبو المغيرة عن
ابن عياش قال
سمعت مشايخنا يقولون إذا كان ذلك فاثبتوا في منازلكم يا أهل حمص
فإن هلاكهم عند تل فحمايا لا يصلون إليكم فمن ثبت نجا ومن سار إلى دمشق هلك عطشا
পৃষ্ঠা - ১২৯৫
আবু আমের রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, একদিন আমি তাবী রহঃ এর সাথে রাসতীনের গেইট অতিক্রম করলে তিনি বলেন, হে আবু আমের! যখন এ দুইটি ডাস্টবিন শুকিয়ে যাবে তখন তুমি তোমার পরিবারকে হিমস নগরী থেকে বের করে আনবে। যখন জবাবে আমি বল্লাম, আমি তাদরকে হিমস নগরী থেকে বের না করলে কি সমস্যা হতে পারে? তিনি জবাব দিলেন, আন্তুরসুস সেখানে এসে যখন হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আঙ্গুর গাছের নীচে আনুমানিক তিনশত লোককে হত্যা করবে তখন তুমি তোমার পরিবারের সদস্যদেরকে হিমস নগরী থেকে অবশ্যই বের করে দিবে। জবাবে আমি বললাম, যদি আমি সেটা না করি তাহলে কি হবে? তিনি উত্তর দিলেন, উষ্ঠি বাহিনী বের হয়ে যখন ইয়াফা এবং আকরা নগরীর মাঝে দুরত্ব তৈরী করবে তখন তুমি তোমার পরিবারের লোকজনকে হিমস থেকে বের করে দিবে, আমি জবাব দিলাম, সেটার উপর আমল না করলে কি অবস্থা হবে? উত্তরে তিনি বললেন, যদি বের করা না হয় তাহলে হিমস নগরী যেমন আক্রান্ত হবে ঠিক তারাও তেমন সমস্যার মধ্যে পতিত হবে। আমি আবারো বললাম, তারা কোন ধরনের মসিবতের সম্মুখিন হবে? তিনি উত্তর দিলেন তখন হিমস নগরীর গেইটের ফটক বন্ধ করে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি সামনে দিকে এগিয়ে যেতে যেতে মাসহাল এলাকার গীর্জায় এসে ঢুকলেন এবং আমাকে সম্মোধন করে বললেন, হে আবু আমের! তুমি কি একাঠÑগাছ গুলো দেখছো অথচ বেশকিছু দিনের মধ্যে মুসলমানরা এশুকনো গাছগুলোকে মিনজানিক হিসেবে ব্যবহার করবে। তার কথা শুনে আমি বললাম ইন্তারসুসের প্রবেশ এবং উষ্ট্রি বাহিনী বের হওয়ার মাঝে কয়দিনের পার্থক্য থাকবে? জবাবে তিনি বললেন, প্রথম যুদ্ধের পর তিন বৎসরেরও বেশি সময় লাগবেনা।
حدثنا عبد الله بن مروان وأبو أيوب وأبو المغيرة وأبو حيوة شريح بن يزيد
الحضرمي عن أرطاة عن أبي عامر الألهاني قال
خرجت مع تبيع من باب الرستن فقال يا
أبا عامر
إذا نسفت هاتان المزبلتان
فأخرج أهلك من حمص
قلت أرأيت إن لم أفعل
قال ف
إذا دخلت أنطرسوس فقتل تحت الكرمة ثلثمائة شهيد
فأخرج أهلك من حمص
قلت
أرأيت إن لم أفعل
قال فإذا خرج رأس الجمل في القطع ففرقها بين يافا والأقرع
فأخرج أهلك من حمص
قال قلت أرأيت إن لم أفعل
قال إذا يصيبك ما يصيب أهل حمص
قلت وما يصيبهم
قال عند ذلك يكون إغلاقها
قال ثم مشى حتى أتينا دير
مسحل قال يا أبا عامر هل ترى هذا الخشب هي مجانيق المسلمين يومئذ
قال قلت كم
بين دخول أنطرسوس وبين خروج رأس الجمل
قال لا يحل لها أن تكمل ثلاث سنين هذه
الملحمة الأولى
পৃষ্ঠা - ১২৯৬
হযরত শুরাইহ ইবনে উবাইদ রহঃ বলেন আমি হযরত কাব রহঃ কে বলতে শুনেছি তিনি এরশাদ করেন, একদিন আমি হযরত আবু যর গিফারী রাযিঃ এর সাথে স্বাক্ষাৎ করি, যখন তিনি ক্রন্দনরত অবস্থায় আবু এরবাজ এর মজলিসের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন, হযরত কাব বললেন, হে আবু যর! তোমার কান্নাকাটি করার কারন কি? জবাবে তিনি বললেন আমি আমার দ্বীনের কারনে কান্নাকাটি করছি। তার কথা শুনে হযরত কাব রহঃ বললেন, আপনি তো রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হারিয়েছেন অনেক পূর্বে, অথচ কাদছেন আজকে। বর্তমানে লোজ খুবই ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং ইসলাম সতুন ভাবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, যা ইহুদীদের দরজায় গিয়ে মাযবালা নামক স্থানে স্থীর হয়েছে। অতঃপর হযরত কাব রহঃ বললেন, হে আবু যর! এ শহরের বাসিন্দাদের উপর এমন একদিন আসবে যেদিন তাদের উপকুল এলাকা থেকে এমন মারাতœক এক আতংক ছড়িয়ে পড়বে, যার কারনে সকলে তাদের দুশমনদের হামলে পড়বে এবং আকাবায়ে সুলাইমানে পরস্পরের সাথে স্বাক্ষাত হবে। তখন তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করবেন। ঐ সময় সে শহরের জনপদ এবং পাহাড়ি এলাকায় তাদেরকে হত্যা করা হবে। তারা এমন অবস্থায় দিনাতিপাত করবে, এক পর্য়ায়ে তাদের কাছে সংবাদ আসবে যে, মুহাজিরদের রেখে আসা পরিবার ও ছেলে-সন্তানদের উপর এদের একদল হামলা করে তাদের ঘরের ফটক বন্দ করে দিয়েছে। একথা শুনার পরপর তারা সেদিকে যেতে থাকবে এবং নিজেদের শহরকে রক্ষার জন্য তারা প্রানপন ভাবে এগিয়ে যাবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বিজয়ী করবেন। যদি সেদিন এ শহর বাসিরা জানতে পারতো তাদের এলাকায় বিদ্যমান গীর্জায় কি ধরনের লাভ রয়েছে তাহলে তারা তৈল জাতীয় পদার্থ এনে সেখানকার গাছপালা গুলোতে ঢেলে দিতো। যখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বিজয়ী করলেন তখন সেখানে একটু বুঝমান যাকে পাওয়া গিয়েছে তাকেই হত্যা করা হয়েছে। এমন কি মুহাজিরগন এমন নাসারাদেরকে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে, যারা উভয়জন এক সময় এক মায়ের উভয় স্তন নিয়ে ঝগড়া করেছিল। এত ব্যাপক ভাবে হত্যা করা হবে, যার কারনে হিমস নগরী থেকে বের হওয়া পানির নালা দ্বারা পানির পরিবর্তে রক্ত প্রবাহিত হবে, যার সাথে কোনো বস্তু মিশ্রিত হবেনা।
حدثنا بقية بن الوليد وعبد القدوس وأيوب عن صفوان بن
عمرو عن أبي الصلت جد عيسى بن المعتمر وشريح بن عبيد
سمع كعبا يقول لقيت أبا ذر
وهو يمشي قريبا من مجلس أبي عرباض وهو يبكي
فقال له كعب ماذا يبكيك يا أبا ذر
قال أبكي على ديني
فقال له كعب اليوم تبكي وإنما فارقت رسول الله صلى
الله عليه منذ قريب والناس بخير والإسلام جديد حتى خرج من باب اليهود ثم قام على
المزبلة
فقال يا أبا ذر ليأتين على أهل هذه المدينة يوما يأتيهم فزع من نحو
ساحلهم فيسيرون إليهم فيلقوهم في عقبة سليمان فيقاتلونهم فيهزمهم الله فيقتلونهم في
أوديتها وشعابها فإنهم لعلى ذلك حتى يأتيهم خبر من ورائهم إن أهلها قد أغلقوها على
من كان فيها من ذراري المهاجرين فينصرفون إليها فيرابطونها حتى يفتح الله عليهم فلو
يعلم أهل هذه المدينة مالهم في الكنيسة التي في دير مسحل من المنفعة يومئذ لعادوها
بالدهن يدهنون خشبها فإذا فتحها الله عليهم لم يبقوا فيها على ذي شعر إلا قتلوه حتى
يقتل الرجل من المهاجرين الرجل من النصارى وإن كان قد نازعه ثدي أمه وحتى تخرج قناة
من حمص التي ينصب فيها الماء دما ما يكاد يخالطه شيء
পৃষ্ঠা - ১২৯৭
হযরত সাফওয়ান রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমাদের কতক মাশায়েখ হাদীস বর্ননা করেছেন, তিনি বলেন, আমি একদা আরাকা নগরীতে অনস্থানরত জামাতের নিকট থাকা কালীন আমার কাছে একজন লোক এসে বলল, তোমাদের মাঝে রাত্রে অবস্থানকারী কেউ থাকলে রাত্রে আসতে পারো। একথা শুনে কল্যান কামী একজন লোক দাড়িয়ে গেলেন, যাকে দেখলে মনে হয়, যেন সে দ্বীনি ইলম হাসিল করতে এসেছে।
অতঃপর সে বলল, তোমাদের কি সুসিয়্যাহ সম্বন্ধে ধারনা আছে। জবাবে তারা হ্যা বললে তিনি সেটার অবস্থান জানতে চাইলেন। আমরা বললাম, সেটা সমুদ্র উপকুলে একটি বিরান ভ’মি।
আমাদের কথা শুনে তিনি জানতে চাইলেন, সেখানে কি এমন কোনো ঝর্না রয়েছে, যেদিকে সিড়ি এবং ঠান্ডা, মিষ্টি পানির ধারা নেমে গিয়েছে। তার কথা শুনে সকলে হ্যা সূচক উত্তর দিল। অতঃপর তিনি জানতে চাইলেন, উক্ত ঝর্নার পার্শ্বে কি বিরান হয়ে যাওয়া কোনো কেল্লা রয়েছে। সকলে জবাব দিল,হ্যা রয়েছে। আমরা বললাম, হে আব্দুল্লাহ! আপনার পরিচয় কি? তিনি জবাব দিলেন, আমি আসজা গোত্রের একজন লোক। তার জবাব শুনে সকলে বলল, যেসব বিষয় আপনি জানতে চেয়েছেন সেগুলো জানতে চাওয়ার কারন কি? একথা শুনে তিনি বললেন, সমুদ্রে রোম বাসিদের জাহাজ এগিয়ে এসে উল্লিখিত ঝর্নার নিকটবর্তী এক স্থানে ছাউনি ফেলবে এবং তাদের প্রতিটি জাহাজ জ্বালিয়ে দিবে, তাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য দিমাশক বাসিরা সৈন্য প্রেরন করবে। অতঃপর তারা তিন দিন পযর্ন্ত অবস্থান করবে, এ পর্যায়ে রোম বাসিরা তাদের জন্য শহর খালি করে দেয়ার আবেদন করবে। রোম বাসিদের দাবিকে দিমাশক বাসিরা অস্বীকার করলে তাদের এবং মুহাজিরদের মাঝে যুদ্ধ বেধে যায়। যুদ্ধের প্রথম দিন উভয় পক্ষের বরাবর ক্ষতি সাধিত হয়। দ্বতীয় দিন দুশমনরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় আর তৃতীয় দিন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করবেন। তাদের অবস্থা এত বেশি শোচনীয় হবে, মাত্র কয়েকটি জাহাজ তারা ফেরৎ নিতে পারবে। এবং! তাদের অনেক জাহাজ জ্বলিয়ে দেয়া হবে। তারা এক সময় বলেছিল, আমরা এ শহরে সর্বদা থাকব এবং উক্ত শহর আমাদের দখলে থাকবে। এর পরপরই তাদেরকে আল্লাহ তাআলা ধ্বংস করে দিবেন। সেদিন মুসলমানদের বৈশিষ্ট থাকবে বুরুজের নিকটবর্তী যুদ্ধ বিদ্ধস্থ সৈনিকের ন্যায়। এমন ভাবে সময় অতি বাহিত করতে থাকবে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের শত্রুকে পরাজিত করেছেন, এক পর্যায়ে জনৈক সংবাদ বাহক তাদের পিছন থেকে ঘোষনা করবে, কানসারীন বাসিরা দিমাশকের দিকে হামলা করার জন্য এগিয়ে আসছে। অন্যদিকে রোম বাসিরা তাদের উপর হামলা করে বসেছে। তারা জলপথ ও স্থলপথ ধরে এগিয়ে আসবে। সেদিন সকল মুসলমানের আশ্রয়স্থল হবে দিমাশক।
حدثنا أبو المغيرة
عن صفوان قال
حدثنا بعض مشايخنا قال جاءنا رجل وأنا نازل عند ختن لي بعرقة فقال
هل من منزل الليلة فأنزلوه فإذا برجل خليق للخير حين تنظر إليه كأنه يلتمس العلم
فقال هل لكم علم بسوسية
قالوا نعم
قال واين هي
قلنا خربة نحو
البحر
قال هل فيها عين يهبط اليها بدرج وماء بارد عذب
قالوا نعم
قال
فهل إلى جانبها حصن خرب
قالوا نعم
قلنا من أنت يا عبد الله
قال أنا رجل
من أشجع
قالوا فما بال ما ذكرت
قال
تقبل سفن الروم
في البحر حتى ينزلوا
قريبا من تلك العين
فيحرقون سفنهم
فيبعث إليهم أهل دمشق فيمكثون ثلاثا يدعونهم
الروم على أن يخلوا لهم البلد فيأبون عليهم
فيقاتلونهم المهاجرون
فيكون أول يوم
القتل في الفريقين كلاهما واليوم الثاني على العدو والثالث يهزمهم الله فلا يبلغ
سفنهم منهم إلا أقلهم وقد حرقوا سفنا كثيرة
وقالوا لا نبرح هذا البلد فيهزمهم
الله وصف المسلمين يومئذ بحذاء البرج الخرب فبيناهم على ذلك قد هزم الله عدوهم
حتى
يأتي آت من خلفهم فيخبرهم أن أهل قنسرين قد أقبلوا مقبلين إلى دمشق
وان الروم قد
حملت عليهم وكان موعد منهم في البر والبحر فيكون معقل المسلمين يومئذ بدمشق
পৃষ্ঠা - ১২৯৮
হযরত যুবাইর ইবনে নুফাইর আশ হাজরামী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন হযরত কাব রহঃ বর্ননা করেছেন, নিঃসন্দেহে মাগরিব এলাকার একজন স¤্রাজ্ঞি বিরাট একটি গোত্রের নেতৃত্ব দিবেন। তিনি সে গোত্রকে খৃস্টান ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে একটি জাহাজ বানিয়ে রওয়ানা দেয়ার নিয়ত করে যখন জাহাজ তৈরি শেষ হল এবং সেটাতে আলকাতরা লাগিয়ে প্রস্তুত করার পর পর তার উপর যুদ্ধের সরঞ্জাম ইত্যাদি উঠিয়ে বললেন আমরা ইনশা আল্লাহ অতি সত্বর জাহাজে আরোহন করব। যদি আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা না করেন, তাহলে যেন আল্লাহ তাআলা গর্জনকৃত বাতাস প্রবাহিত করে গোটা জাহাজই ধ্বংস করে দেন। তিনি বারবার এমনই করতে লাগলেন। এবং এমন ভাবে থাকেন। এদিকে আল্লাহ তাআলাও তার সাতে এমন আচরন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে যখন আল্লাহ তাআলা তাকে অনুমতি দেয়ার ইচ্ছা করলেন তখন উক্ত রানী তার সভাসদকে বললেন, ইনশা আল্লাহ আমরা অমুক দিন জাহাজে আরোহন করব। ফলে প্রস্ততকৃত এক হাজার জাহাজ নিয়ে রওয়ানা দিলেন। এরপূর্বে কখনো এত বেশি জাহাজ সমুদ্রের বুকে চলাচল করেনি। তারা এক সময় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে রোম দেশে গিয়ে পৌছে এবং রোমের বাদশাহকে তার রাজত্ব ত্যাগ করতে বলেন। তার কথা শুনে রোম বাসিরা জিজ্ঞাসা করল, তোমরা আবার কারা? জবাবে তারা বললো, আমরা এমন একদল যারা মানুষকে নাসারা দ্বীনের দিকে দাওয়াত দিয়ে থাকি। বর্তমানে আমরা এমন এক গোত্রের সন্ধানে এসেছি যারা এ জগতের সবচেয়ে খারাপ জাতি। তাদেরকে আমরা হয় নাসারা ধর্ম গ্রহন করাব, না হয় আমরা তাদের ধর্ম গ্রহন করব। জবাবে রোমের স¤্রাট বলল, এরা ঐ জাতি যারা আমাদের শহর বিরান করবে, আমদের পুরুষদেরকে হত্যা করবে এবং আমাদের নারীÑপুরুষদেরকে দাসÑদাসি বানিয়ে ছাড়বে। সুতরাং তোমরা তাদের উপরে ঝাপিয়ে পড়ো। একথা শুনে রোম বাহিনী সাড়ে তিনশত জাহাজ নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করবে। এক পর্যায়ে অককা নাম এলাকায় পৌছলে তাদের পাকড়াও করতে সামর্থ্য হয় এবং সকলে জাহাজ থেকে অবতরনের পর জাহাজ গুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ঐ সময় তারা বলবে এ শহর আমাদের, এখানেই আমাদের জীবন, এখানেই আমাদের মরন। এহেন মুহূর্তে মুসলমানগন বায়তুল মোকাদ্দাস থাকাকালীন একজন ঘোষক এসে বলবে এমন একদল দুশমন তোমাদের প্রতি ধেয়ে আসছে, যাদের সাথে মোকাবেলা করার শক্তিÑসাহস তোমাদের নেই। একথা শুনে তারা মিশর এবং ইরাকের প্রতি সাহায্য চেয়ে লোক পাঠাবে। কিন্তু উক্ত লোক মিশর থেকে ফিরে এসে বলবে, মিশর বাসিদের বক্তব্য হচ্ছে, আমরাও দুশমনের আশঙ্কায় রয়েছি, তোমাদের প্রতি দুশমন এসেছে সমুদ্রের দিক থেকে এবং আমরা সমুদ্র উপকুলে অবস্থান করছি। তাই তোমাদেরকে সাহায্য করার অর্থ হবে, তোমাদের সন্তানদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে যেন আমরা নিজের পরিবারÑপরিজনকে দুশমনের হাতে তুলে দিলাম। আর ইরাক বাসিদের বক্তব্য হচ্ছে, আমরাও দুশমনের সম্মুখে বিদ্যমান, আমরা তোমাদের পরিবারÑপরিজন রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের পরিবারকে ধ্বংস করতে পারি। এদিকে ইরাক থেকে ফেরৎ আসা প্রতিনিধিদল হিমস নগরীতে পৌছলে দেখতে পেল সেখানে থাকা আজমী লোকজন মুসলমানদের পরিবারÑপরিজনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাছাড়া এ খবর ও এসেছে যে, আরবরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সংবাদ সরবরাহ কারীর সংবাদকে বারবার অস্বীকার করা হলে তারা তিন তিনবার সংবাদ দেয়। এক পর্যাযে সেখানের জিম্মাদার হুংকার দিয়ে উঠল যে, আমরা কি শাম দেশের প্রতিটি শহরের বাসিন্দাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা পর্যন্ত বসে থাকব! ফলে তিনি লোকজনকে জড়ো করার আহ্বান জানিয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পেশ করার পর বললেন, আমি আমাদের ভাই ইরাকী এবং মিশর বাসিদের নিকট সাহায্য চেয়ে লোক পাঠিয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা তোমাদেরকে সাহায্য করতে সরাসরি অস্বীকার করে দেয়। তবে এক্ষেত্রে হিমস বাসিদের অবস্থা গোপন রাখে। সুতরাং একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট দুশমনের উপর ঝাপিয়ে পড়ো। এক পর্যায়ে তারা উভয় দল আককা নামক স্থানে মুখোমুখি হবে। হযরত কাব রহঃ বলেন, শপথ সে সত্তার যার হাতে কাব এর প্রান! এরপর তারা সকলে শাম বসিদের উপর হামলে পড়ে এবং দুশমনকে পরাজিত করতে বাধ্য করে। অতঃপর তারা সমুদ্র উপক’লে এসে পৌছলেও সেখানে কোনো সাহায্যকারী পাবেনা। বর্ননাকারী বলেন, আমি যেন সেখানের মুসলমানদের অবস্থা দেখছি, আককা নগরীর পাদদেশে তারা কাফেরদের ঘাড়ের উপর আঘাতের পর আঘাত করে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা লেবাননের পাহাড়ে গিয়ে পৌছবে। তাদের সংখ্যা গননা করে দেখা যাাবে মাত্র দুইশতজন তাদের সাথে ফেরৎ আসতে পেরেছে। এ দিকে লেবাননের পাহাড়েও তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেনা, বরং রাস্তা হারিয়ে রোম ভ’খন্ডে এসে পৌছবে। মুসলমানগন হিমস নগরীর দিকে মনোযোগ দিবে এবং গোটা হিমস নগরীকে অবরুদ্ধ করে ফেলবে। ঐ হিমসের অভ্যন্তর থেকে এমন কিছু মাথা নিক্ষেপ করা হবে যাদেরকে তোমরা চিনতে পারবে। সেখানে অবশ্যই একটি বা দুইটি মাথা হবে। সেদিন এবং আরো কয়েকদিন হিমস নগরী বিরান ভুমিতে পরিনত হয়ে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে তারা বলবে আমরা এমন শহরে কিভাবে বসবাস করব যেখানে আমাদের মাÑবোনদের সাথে এমন জঘন্য আচরন করা হয়েছে। উক্ত হাদিসের বর্ণনাকারী সায়বানী রহঃ বলেন, ইয়াফা নগরী প্রায় বারজন শাসক শাসন করবে, কিন্তু তাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম এবং জঘন্য হবে রোমের বাদশাহ।
حدثنا ضمرة عن يحيى ابن ابي عمرو السيباني عن عمرو بن عبد الله عن جبير
بن نفير الحضرمي
أن كعبا حدثه
أن بالمغرب ملكة تملك أمة
من الأمم
تنبهر تلك
الأمة بالنصرانية
فتصنع سفنا تريد هذه الأمة حتى إذاا فرغت من صنعتها وجعلت فيها
شحنتها ومقاتلتها
قالت لتركبن إن شاء الله وإن لم يشأ
فيبعث الله عليها قاصفا
من الريح
فدقت سفنها فلا تزال تصنع كذلك وتقول كذلك ويفعل الله بها كذلك حتى إذا
أراد الله أن يأذن لها بالمسير قالت لتركبن إن شاء الله فتسير بسفنها وهي ألف سفينة
لم توضع على البحر سفن مثلها قط
فيسيرون
حتى يمرون بأرض الروم
فيفرع لهم الروم
ويقولون ما أنتم
فيقولون نحن أمة ندعا بالنصرانية نريد أمة حدثنا أنها قهرت
الأمم فإما أن نبتزهم وإما أن يبتزونا
قال فتقول الروم فأولئك الذين أخربوا
بلادنا وقتلوا رجالنا واختدموا أبناءنا ونساءنا فأمدونا عليهم فيمدوهم بخمسين
وثلثماية سفينة فيسيرون
حتى يرسوا بعكا
ثم ينزلون عن سفنهم فيحرقونها
ويقولون
هذه بلادنا فيها نحيا وفيها نموت فيأتي الصريخ أمام المسلمين وهم يومئذ في بيت
المقدس
فيقول نزل عدو لا طاقة لكم بهم
فيبعث بريدا إلى مصر وإلى العراق
يستمدهم
فيأتي بريدهم من مصر فيقول
قال أهل مصر نحن بحضرة العدو وإنما جاءكم عدوكم
من قبل البحر ونحن على ساحل البحر فنقاتل عن ذراريكم ونخلي ذرارينا للعدو
ويقول
أهل العراق نحن بحضرة عدو فنقاتل عن ذراريكم ونخلي ذرارينا للعدو
ويمر البريد
الذي أتى من العراق بحمص فيجدوا من بها من الأعاجم قد أغلقوا على من بها من ذراري
المسلمين وجاءهم الخبر أن العرب قد هلكوا فكذبوا بما جاءهم حتى يأتيهم الخبر بذلك
ثلاث مرات
فيقول الوالي هل انتظر إلا أن تغلق كل مدينة بالشام على من فيها
فيقوم في الناس فيحمد الله ويثنى عليه
فيقول بعثنا إلى إخوانكم أهل العراق وأهل
مصر يمدونكم فأبوا أن يمدوكم ويكتم أمر حمص
ويقول لا مدد لكم إلا من قبل الله
تعالى سيروا إلى عدوكم فيلتقون بسهل عكا والذي نفس كعب بيده لا يصبروا لأهل الشام
كالتفاعك بثوبك حتى ينهزموا فيأتون الساحل فلا يجدون بها غوثا يغيثهم فلكأني أنظر
إلى
المسلمين يضربون أقفاهم في سهل عكا حتى يصلوا في جبل لبنان
لا يفلت منهم إلا
نحو من مائتي رجل يضلون في جبل لبنان حتى يلحقوا بجبال أرض الروم
فينصرف المسلمون
إلى حمص
فيحاصرونها وليرمين إليكم منها برؤس تعرفونها لعله أن لا يكون إلا رأس أو
رأسين فلتتركن منذ يومئذ خاوية ولا تسكن
يقولون كيف نسكن بقعة فضحت فيها نساؤنا
قال السيباني يجتمع تحت جميرات
يافا
إثنا عشر ملكا أدناهم صاحب الروم
পৃষ্ঠা - ১২৯৯
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন খলিফা মানসূর মাহদী মৃত্যুবরন করার পর আসমান জমিনের অধিবাসি এবং আসমানের পশু পাখি তার জানাযায় শরীক হবে এবং দোয়া করবে। তিনি রোম বাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন। ঐ যুদ্ধে তিনি এবং তার সাথে থাকা আরো দুই হাজারের মত সৈনিক শাহাদাত বরন করবেন। তাদের প্রত্যেকে আমীর এবং ঝান্ডাবাহী। রাসূলুল্লাহ সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর মুসলমান এত মারাতœক আর কোন মসিবতের সম্মুখিন হয়নি।
حدثنا أبو المغيرة وبقية عن صفوان
عن كعب قال ا
لمنصور مهدي
يصلي
عليه أهل السماء والأرض وطير السماء
يبتلي بقتال الروم والملاحم عشرين سنة
ثم يقتل
شهيدا في الملحمة العظمى هو وألفين معه كلهم أمير وصاحب راية فلم يصب المسلمون
بمصيبة بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم أعظم منها
পৃষ্ঠা - ১৩০০
হযরত আরতাত ইবনে মুনজির রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আবু আমের আলহানী রহঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি একদা তাবী এর সাথে রুস্তনের গেইট দিয়ে বের হচ্ছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবু আমের! যখন এই দুই নদী শুকিয়ে যাবে তখন তুমি তোমার পরিবারÑপরিজনকে হিমস নগরী থেকে বের করে নিয়ে আসবে। একথা শুনে আমি বললাম, যদি আমি একাজ করতে না পারি তাহলে কি করব?
জবাবে তিনি বললেন, যখন তুমি আনতারসুস নগরীতে প্রবেশ করবে এবং সেখানে প্রায় তিনশত লোক শাহাদাত বরন করবে তখন তুমি তোমার পরিবারÑপরিজন নিয়ে হিমস নগরী থেকে বের হয়ে যাও। আমি বললাম সেটা না করলে কি হবে?
জবাবে তিনি বললেন, এক হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়ে যখন আন্দুলুস থেকে উট এসে পৌছবে এবং তারা আকরা ও ইয়াফা নগরীর মাঝে বিভক্ত হয়ে যাবে তখন তুমি তোমার পরিবারকে হিমস নগরী থেকে বের করে দাও। একথা শুনে বললাম, তারা কেন আক্রান্ত হবে। জবাবে তিনি বললেন, সে এলাকার আজমীগন মুসলমানদের স্ত্রী ও পরিবারÑপরিজনকে অবরুদ্ধ করে রাখবে। অতঃপর তিনি বললেন, এক পর্যায়ে আমরা চলতে চলতে মিসহাল গীর্জার পাদ দেশে পৌছলাম। সেখানে গিয়ে তিনি বললেন, তুমি কি এ লাকড়ি খন্ডকে দেখতে পারছ, এ লাকড়ির টুকরোটি সেদিন মুসলমানদের জন্য মিনজানিক বা কামানের কাজ দিবে। এরপর আমি বললাম, আন্তুরসুস এবং উটের বাহিনীর মাঝখানে কয় বৎসরের দুরত্ব হবে। জবাবে তিনি বললেন, প্রায় তিন বৎসরের বেশি হবেনা। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, রোম বাহিনী মোট তিনবার আতœপ্রকাশ করবে। উল্লিখিত ঘটনাটি হচ্ছে পথম আতœপ্রকাশ। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সমুদ্র উপক’ল থেকে প্রায় এক হাজার সৈন্যের একটি বহিনীর আগমন হবে। এরপর তারা প্রত্যেক অংশ নিজেদের দায়িত্ব পালনে বিভক্ত হয়ে যাবে এবং প্রত্যেকে নির্দিষ্ট একদিন দায়িত্ব পালনে বের হওয়ার জন্য তৈরি থাকবে ধীরে ধীরে যখন সেদিন আসবে তাদের পাশ্ববর্তী মুসলমানদের প্রত্যেক গোত্রের লোকজন বের হয়ে এসে উক্ত বাহিনীর জন্য সজ্জিত করে রাখা জাহাজ গুলো জ¦ালিয়ে দিবে এবং তাদের তাবু গুলোকে উপড়ে ফেলবে। এরপর উভয়দল পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হযে পড়বে। দেখতে দেখতে যুদ্ধ ও হত্যা ভয়াবহ আকার ধারন করবে। তাদের কেউ অন্যের উপর জয়লাভও করতে পারবেনা, আবার কাউকে পরাজিত করাও সম্ভব হবেনা। এদিকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা আসবেনা এবং সকলে নিজেদের অস্ত্র প্রদর্শনীতে ব্যস্ত থাকবে। ধীরে ধীরে মুসলমানগন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সাহায্য পেতে থাকবে এবং মাদায়েন নগরীতে তারা অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি কেল্লা গড়ে তুলবে। এদিকে রোম বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি ঘোষনা পত্র মাদায়েনের অলিতেÑগলিতে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে হিমস নগরীতে অবস্থানরত আজমীগন সেখানে থাকা মুসলমানদের পরিজন ও নারীÑশিশুদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখবে। এভাবে লাগাতার চারদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভ’খন্ডে যুদ্ধ চলতে থাকবে। হাদীস বর্ননাকারী আবুয যাহিরিয়্যাহ রহঃ বলেন তুমি জানতে চাইলে আমি বলব, উক্ত যুদ্ধের প্রথম চারদিনও হতে পারে আবার আখেরী চারদিনও। অতঃপর চতুর্থদিন আল্লাহ তাআলা মুসমানদেরকে বিজয়ী করবেন এবং রোম বাহিনী পরাজিত হবে। বিজয়ী মুসলমানগন পরাজিত রোম বাহিনীকে প্রত্যেক অলিÑগলি ও পাহাড়Ñপর্বত থেকে তালাশ করে বের করে করে হত্যা করবে। এক পর্যায়ে রোম বাহিনীর অবশিষ্ট সৈন্যরা কুসতুনতিনিয়্যাহ নগরীতে গিয়ে ঢুকবে। সেখানে গিয়ে তারা বেশিদিন অপেক্ষা করবেনা, বরং দ্রুত সময়ের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে তারা তোমাদের সাথে চুক্তি করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে লোক পাঠাবে। বর্ননাকারী কাব রহঃ বলেন, তাদের প্রস্তাব মতে মুসলমানগন দীর্ঘ দশ বৎসরের জন্য তাদের সাথে সন্ধি করবে। সন্ধি কালীন সময়ে জনৈকা আমেনা নামক এক নারী উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করবে, অতঃপর মুসলমান এবং রোম বাসিরা কুসতুনতিনিয়্যাহ এলাকার পিছনে প্রত্যেকের শত্রুর সাথে মোকাবেলায় লিপ্ত হবে এবং মুসলমানগন সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে জয়লাভ করবে। পিছনে প্রত্যেকের শত্রুর সাথে মোকাবেলায় লিপ্ত হবে এবং মুসলমানগন সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে জয়লাভ করবে। ফিরে আসার সময় তোমরা যখন কুসতুনতিনিয়্যাহ দেখতে পাবে এবং বুঝবে যে, তোমরা তোমাদের পরিবার-পরিজনের কাছে পৌছে গিয়েছ তখন তারা কুফা নগরীতে থাকা কালীন আরারো যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। যে যুদ্ধে তোমরা তাদেরকে চিবানো ঘাসের ন্যায় করে ফেলবে। অতঃপর আবারো মুসলমানদের সাথে রোম বাহিনী এবং কতিপয় মাশরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হবে এবং মুসলমানগন সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে জয়লাভ করবে। তোমরা শত্রুদের নারীÑশিশুদেরকে বন্দি করবে এবং তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নিবে। উক্ত এলাকা থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় এমন এক এলাকায় যাত্রাবিরতি করবে যেখানে তোমাদের কাছে থাকা গনীমতের সম্পদ বন্টন করা হবে। সেখানে এসে রোম বাসিরা বলবে, আমাদের নারীও শিশুদেরকে আমাদের কাছে ফেরৎ দিয়ে দাও। জবাবে মুসলমানগন বলবে, এভাবে নারী¬Ñশিশুদেরকে ফেরৎ দেয়া আমাদের ধর্মীয় বিধান মতে সুযোগ নেই, তবে তোমরা অন্যান্য সম্পদ নিয়ে যেতে পার। একথা শুনার পর রোম বাসিরা বলবে, আমরা সবকিছুই ফেরৎ নিতে চাই। এদের কথার জবাবে মুসলমানগন বলবে, এসব জিনিস তোমরা কক্ষনো ফেরৎ পাবেনা। অতঃপর রোমের বাসিন্দাগন বলবে, তোমরাতো আমাদের উপর জয়লাভ করেছ, এটাই কি যথেষ্ট নয়, আবার আমাদের নারীও শিশুদেরকে বন্দি কেন করেছ। তাদের কথার জবাবে মুসলমানগন বলবে, বরং আমরা আল্লাহ তাআলার সাহায্যে জয় লাভ করেছি। এমন অবস্থা চলাকালনি তারা পরস্পরের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে থাকবে, হঠাৎ কাফেরদের একজন তাদের সাথে থাকা ক্রুশকে তুলে ধরবে। এটা দেখার সাথে সাথে মুসলমানগন রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়বে। মুসলমানদের একজন তার উপর হামলা করে সেটা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলবে। এ পরিস্থিতিতে উভয় দল একে অপরের উপর হামলা করে বসবে যেন যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। অতঃপর রোম বাসিরা রাগান্বিত অবস্থায় তাদের স¤্রাটের কাছে ফিরে গিয়ে বলবে, আরব বাসিরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করে আমাদেরকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে এবং ক্রুশকে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করেছে এবং আমাদের অনেক সৈন্যকে হত্যা করেছে। রোমের স¤্রাট একথা শুনার সাথে সাথে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং রোম বাসিদের থেকে বিরাট এক দল সৈন্য বাহিনী জমায়েত করে। এর সাথে সাথে অন্যান্য এলাকার সাথে সন্ধি করতে থাকে। এটিই হচ্ছে, সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। অতঃপর মুসলমানদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসবে এবং মুসলানরাও তাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে যাবে। সেদিন মুসলমানদের খলীফা কাব রহঃ বলেন, তিনি ইয়ামানী হলেও কুরাইশের বংশধর। যার কারনে শুরুতে তাদের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হবে। ঐসময় রোম বাহিনী মুসলমানদের উপর তলোয়ার দ্বারা আক্রমন করবে এবং তাদেরকে তাদের সৈন্য বাহিনী থেকে বের তেমনিভাবে যখনই তারা মিলিত হবে তখনই মুসলমানদের উপর মারাতœক ভাবে আক্রমন করবে। আর এ সংবাদ খুবই দ্রুত গতিতে হিমস নগরীতে পৌছে যাবে। এভাবে চলতে চলতে হিমস বসিরা আলÑগাবারা এবং রাহজ বাসিদের সাহায্য করতে থাকবে। আর তখন হিমস বসিরা শিশু, মহিলা এবং দূর্বলদেরকে দিমাশকের দিকে তাড়িয়ে দিতে থাকবে, যার ফলে ক্ষ’ধা তৃষ্ণায় হিমস এবং ছানিয়তুল ইকাব এলকার মাঝামাঝি স্থানে হাজার হাজার লোক মারা যাবে। এমন কি অনেক নারীকে ঘোড়া বেধে রাখার ন্যায় বেধে রাখা হবে। কখনো কখনো কোনো নারীর আতœীয় স্বজন আওয়াজ করে বলতে থাকবে তোমরা কি অমুকের মেয়ে অমুককে দেখেছ। একথা শুনে জনৈক লোক বলে উঠবে, হে আব্দুল্লাহ! আমি তাকে অমুক স্থানে কাপড় দ্বারা রক্তে রঞ্জিত পা বেধে পড়ে থাকতে দেখেছি। এদিকে রোম বাহিনী এবং মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ আরো তীব্র আকার ধারন করবে এবং উভয় পক্ষ উভয়ের সাহায্য বন্ধ করে দিবে এবং পরস্পরের উপর অস্ত্র চালনা করতে থাকবে। কেউ কোনো ধরনের আশ্রয় স্থল পাবেনা। তখন মাত্র একদিনেই মুসলমানদের সত্তরজন আমীরকে হত্যা করা হবে। যার কারনে মুসলমানরা কুরাইশের এক জনের হাতে বাইয়াত গ্রহন করবে। ঐ সময় অল্প সংখ্যক লোকজন ছাড়া প্রায় সকলে রোম বাসিদের সাথে একাতœতা পোষন করবে এবং প্রত্যেক গোত্রের জিম্মাদারগন রোম বাহিনীকে সমর্থন জানাবে। মুসলমানদের একদল কাফেরদের সাথে হাত মিলাবে, অন্যদল শাহাদাত বরন করবে, তৃতীয়দল পলায়নকরবে এবং অন্য আরেকদল ফিরে আসবে। অতঃপর রোম বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হবে, হে আরব বাসি! আমরা নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছি, তোমরা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে অপছন্দ করে থাক তাহলে আমাদের কাছে অতœ সমর্পন করো এবং আমাদের অধীনস্ততা গ্রহন পূর্বক তোমাদের ভ’খন্ড এবং এলাকায় ফিরে যাও। জবাবে আরবরা রোম বাসিকে বলবে, নিঃসন্দেহে তারা তোমাদের সব কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছে, এব্যাপারে তারাই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এহেন মুহুর্তে উল্লিখিত মনীবদের একজন খুবই রাগান্বীত হয়ে যাবে, তারা আরবদেরকে বলবে, তোমরা তো জানো যে, আমাদের অন্তরে কিছু হলেও ইসলাম অবশিষ্ট আছে, অতঃপর তারা তাদের একজনের হাতে বাইয়াত গ্রহন করে সামনের দিকে এগুতে থাকবে। তারা একদিকে যুদ্ধ করবে, আবার আরব বাসিরাও অন্য লাইনে যুদ্ধ করতে থাকবে। এহেন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে এবং রোম স¤্রাট ধ্বংস হয়ে যাবে, সাথে সাথে রোম বাহিনী পরাজয় বরন করবে। ঐ সময় একজন লোক উচ্চ একটি ঘোড়ার পিঠে দাড়িয়ে উচ্চস্বরে বলবে, হে মুসলিম বাহিনী! আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হয়তো এমন বিজয় আর দিবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে, যদি তোমরা তার থেকে ফেরৎ না আস এবং মুসলমানগন তাদের পশ্চাদাবন করতঃ প্রত্যেক অলিÑগলিতে , পাহাড়েÑপর্বতে তাদেরকে হত্যা করতে থাকবে। কারো জন্য এর থেকে বিরত থাকা জায়েয হবেনা। এক পর্যাযে মুসলমানগন কুস্তুনতিনিয়া নগরীতে ছাউনি ফেলবে এবং তখন মুসলমানগন মুসা আঃ এর এক কউমের সাথে স্বাক্ষাৎ করবে, যারা মুসলমানদের সাথে বিজয়ের স্বাক্ষী হবে। মুসলমানরা ঐ গোত্রের একটি অংশ থেকে উচ্চস্বরে তাকবীর দিয়ে উঠবে, এক পর্যায়ে ঐ এলাকার একটি দেয়াল ধ্বসে পড়বে এবং লোকজন দ্রুত গতিতে উঠে দাড়াবে, আর তখনই তারা তুস্তুনতিনিয়া এলাকায় প্রবেশ করবে। তারা গনীমতের মাল এবং বন্দিদেরকে জমায়েত করা অবস্থায় হঠাৎ উক্ত শহরের এক প্রান্তে আসমান থেকে একটি আগুনের টুকরা খসে পড়বে। সেটা প্রজ্জলিত থাকা অবস্থায় মুসলান আক্রান্ত এলাকা থেকে বের হয়ে আসবে এবং ফারকাদূনা নামক এলাকায় এসে প্রবেশ করবে। এ এলাকায় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পাওয়া গনীমতের মাল বন্টন করা কালীন শুনতে পাবে যে, তাদের পরিবারÑপরিজনের মাঝে দাজ্জালের আতœপ্রকাশ হয়েছে। একথা শুনার সাথে সাথে তারা সেদিকে দৌড় দিবে এবং শুনতে পাবে যে, খবরটি সম্পূর্ন রুপে মিথ্যা ছিল। ফলে তারা বায়তুল মোকাদ্দাসে চলে যাবে এবং দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকবে।
حدثنا أبو داود سليمان بن داود حدثنا أرطاة بن المنذر قال
سمعت أبا
عامر الألهاني يقول خرجت مع
تبيع
من باب الرستن
فقال يا أبا عامر إذا نسفت هاتان
المزبلتان فأخرج أهلك من حمص
قال قلت فإن لم أفعل
قال فإذا دخلت أنطرسوس
فقتل فيها ثلثمائة شهيد فأخرج أهلك من حمص
قال قلت فإن لم أفعل
قال
فإذا
جاء الجمل من الأندلس
بألف قلع ثم فرقها بين الأقرع ويافا فأخرج أهلك من حمص
قلت وما الذي يصيبهم
قال يغلقها أعاجمها على ذراري المسلمين ونسائهم
قال ثم إنا تحوطنا حتى دخلنا دير مسحل فقال ترى هذا الخشب هو يومئذ مجانيق
المسلمين
قلت كم بين رأس الجمل وأنطرسوس
قال لا يحل لها أن تكمل ثلاث
سنين
ثم قال لي
للروم ثلاث خرجات
فهذه
الأولى
و
الأخرى
يقبل جيش في البحر بألف
قلع فيفرقونها لكل جند حصتهم ويتواعدون للخروج في يوم واحد فإذا كان ذلك اليوم خرج
كل قوم إلى من يليهم من المسلمين ويحرقون سفنهم ويجعلون قلوعها خياما ثم يقاتلون
ويشتد البلاء والقتال في الشام كلها لا يستطيع بعضهم يغلب بعضا ويحبس الله النصر
ويسلط السلاح ويرزق الناس حتى يصير من شأن المسلمين أن يتحصنوا في المدائن ويحظر
كتاب
الروم في خلل المدائن وعند ذلك
يغلق أعاجم حمص أبوابها على من فيها من ذراري المسلمين ونسائهم
ويشتد القتال في أرض
فلسطين أربعة أيام متوالية
وقال أبو الزاهرية إن شئت أخبرتك أول يوم من الأربعة
وآخره فيفتح الله تعالى للمسلمين في اليوم الرابع وتهزم الروم ويتبعهم المسلمون
يقتلونهم في كل سهل وجبل حتى يدخل بقايا الروم القسطنطينية ولا يلبثوا إلا يسيرا
حتى يبعثوا إليكم
يسألونكم الصلح
قال كعب فتصالحونهم على عشر سنين وفي ذلك
الصلح تقطع المرأة الدرب آمنة
وتغزون أنتم والروم من وراء خلف القسطنطينية
إلى
عدو
لهم
فتنصرون عليهم فإذا أنصرفتم ورأيتم القسطنطينية ورأيتم أنكم قد بلغتم أهاليكم
وأهل صلحكم
ثم
تغزون أنتم وهم الكوفة
فتعركونها عرك الأديم
ثم
تغزون أنتم
والروم
أيضا
بعض أهل المشرق
فتنصرون عليهم فتسبون الذرية والنساء وتأخذون الأموال
ثم إنكم تنزلون إذا قفلتم منزلا حتى تلوا قسمة غنائمكم
فتقول الروم أعطونا حظنا
من الذراري والنساء
فيقول المسلمون إن هذا لا يسعنا في ديننا ولكن خذوا من سائر
الأشياء
فتقول الروم لا نأخذ إلا من كل شيء
فيقول المسلمون إن هذا شيء لا
تصلوا إليه أبدا
فيقول الروم إنما غلبتم بنا وبصليبنا
فيقول المسلمون بل
نصر الله تعالى دينه
فبيناهم كذلك يتنازعون إذ رفعوا الصليب فيغضب المسلمون
فيثب إليه رجل فيكسره فينحاز بعض القوم من بعض وكأن بينهم قتال يسير فينصرف الروم
غضابا حتى يأتوا ملكهم
فيقولون إن العرب غدرت بنا ومنعونا حقنا وكسروا صليبنا
وقتلوا فينا
فيغضب ملكهم غضبا شديدا ويجمع جمعا عظيما من الروم و
يصالح من استطاع من
الأمم
فهذا أول الملحمة العظمى ثم يسيرون فينفر إليهم
المسلمون وخليفتهم يومئذ
اليماني
.
كان كعب يقول هو يماني وهو من قريش
.
فيقتتلون في مقدم الأرض
فيكون للروم
السيف على المسلمين حتى يخرجوهم من معسكرهم
وكذلك كلما التقوا يكون للروم الشف
على المسليمن وكذلك يبلغ الأخبار حمص فلا يزالون كذلك حتى يعاين أهل حمص
الغبرة والرهج فعند ذلك ينجفل أهل حمص الذراري والنساء ومن كان فيها من ضعفة الناس
هاربين نحو دمشق فيموت ما بين حمص وثنية العقاب ألوف من الناس من الحفا والوغا يغني
العطش حتى إن المرأة لتنشد كما ينشد الفرس ألا من رأى فلانة بنت فلان فيقول رجل يا
عبد الله لقد رأيتها في مكان كذا وكذا قد عصبت قدمها بخمرها قد اختضبت دما
ويشتد القتال بين المسلمين والروم ويحبس النصر ويسلط السلاح بعضه على بعض فلا
يتنبؤا عن شيء أصابه
ويقتل خليفة المسلمين
يومئذ في سبعين اميرا في يوم واحد
و
يبايع
الناس رجلا من قريش
فلا يبقى صاحب فدان ولا عمود إلا
لحق بالروم
وتلحق قبائل بأسرها
وراياتها بالروم ويصبر المسلمون إلى أن
تلحق فرقة بالكفر
وتقتل فرقة وتفر فرقة
وتنصر فرقة
ثم تقول الروم يا معشر العرب إن قد علمنا أنكم قد كرهتم قتالنا هلموا
سلموا إلينا من كان أصله منا
والحقوا بأرضكم ومواليكم
فتقول العرب للروم هاهم
قد سمعوا ما تقولون فهم أعلم
فعند ذلك يغضب الموالي وهي حمية الموالي التي كانت
تذكر
فيقول الموالي للعرب أظننتم أن في أنفسنا من الإسلام شيء
فيبايعون رجلا
منهم
ثم ينحازون فيقاتلون من ناحيتهم ويقاتل العرب من ناحية
فينزل الله نصره و
يهلك
ملك الروم
عند ذلك وينهزم الروم فيقوم رجال على سروجهم عن متون خيولهم فينادون
بالصوت العوالي يا معشر المسلمين إن الله لن يرد هذا الفتح أبدا حتتى تكونوا أنتم
تنصرفون عنه
ويلحقهم المسلمون ويقتلونهم في كل سهل وجبل لا يحل لمطمورة أن تمتنع
ولا مدينة
حتى ينزلوا القسطنطينية
ويوافي المسلمين عند ذلك
أمة من قوم موسى
يشهدون
الفتح معهم
.
يكبر المسلمون من ناحية منها فينصدع الحائط
فيقع وينهض الناس فيدخلون
القسطنطينية
فبيناهم يحرزون أموالها وسبيها إذ تقع
نار من السماء من ناحية المدينة
فإذا هي تلتهب فيخرج المسلمون بما قد أصابوا حتى ينزلوا الفرقدونه
فبيناهم يقتسمون
ما أفاء الله عليهم إذ سمعوا أن الدجال قد خرج بن ظهري أهليكم فينصرفون فيجدون
الخبر باطلا
فيلحقون ببيت المقدس
فتكون معقلهم إلى خروج الدجال
পৃষ্ঠা - ১৩০১
হযরত আবুজ জাহিরিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রোম বাহিনী বাহরা নামক স্থানে অবস্থিত গীর্জায় এসে পৌছলে এক ধরনের আশঙ্কা তাদেরকে গ্রাস করে নিবে, যা কাটিয়ে উঠে তারা হিমস নগরীতে প্রবেশ করতে পারবেনা, আর তখনই মুসলমানগন শক্তি সঞ্চয় করতঃ তাদের উপর আক্রমন করবে এবং আল্লাহ তাআলা রোম বাহিনীকে পরাজিত করবেন।
حدثنا
أبو المغيرة عن أبي بكر
عن أبي الزاهرية قال تنتهي الروم إلى دير بهرا فعند ذلك
يكون الجفلة لا يجاوزونها إلى حمص ثم يرجع إليهم المسلمون فيهزمهم الله تعالى
পৃষ্ঠা - ১৩০২
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি একদা মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাযিঃ কে বললেন যে, হিমস নগরীতে মুসলমানদেরকে এক ধরনের তীব্র বাতাস গ্রাস করে নিবে, ফলে তারা সেখান থেকে দ্রুত গতিতে প্রত্যাবর্তন করবে। দুনিয়ার সবকিছু তারা ফেলে চলে যাবে। এমনকি কোনো মহিলা একাকি তার দাসীকে ফেলে রেখে চলে যাবে এবং উক্ত দাসী পিছন থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে এসে তার চাদর টেনে ধরে বলবে এভাবে আমাকে রেখে কোথায় যাচ্ছেন। তখন দিমাশক ও সানিয়াতুল ইকবের মধ্যবর্তী স্থানে ক্ষুধাÑতাষ্ণায় জর্জরিত হয়ে প্রায় সত্তর হাজার মানুষ মারা যাবে। এমন কি পুরুষ লোক পর্যন্ত তাদের পরিবারÑপরিজনকে গোতা নামক স্থানে বেধে রেখে আসবে এবং এক সময় তাদেরকে হারিয়ে ফেলবে। পথিমধ্যে যার সাথে দেখা হবে তাদের কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকবে। তার অবস্থা দেখে হঠাৎ করে কেউ বলে উঠবে, অমুক স্থানে এক মহিলাকে তার সন্তানসহ দেখতে পেয়েছি, যে মহিলা তার পরনের উড়না দ্বারা নিজের পা বেধে রেখেছে। এরপর তার অবস্থা আর কি হয়েছে জানিনা। হে হিমস বাসি! তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন তোমাদের মহিলাদের এ অবস্থা হবে, তাদেরকে সাথে নিয়ে তোমরা পলায়ন করা কালীন তোমাদের যা কিছু ভারী হবে সেগুলো তোমাদের শত্রুদের মালিকানায় চলে যাবে। সে যুগের লোকজন যখন এই হাদিসটি শুনতে পাবে তখন কোনো ভারী মহিলাকে দেখার সাথে তাকে সাথে তাকে আল্লাহ তাআলার লানত দ্বারা লানত করতে থাকবে।
حدثنا بقية وعبد القدوس عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب أنه قال
لمعاوية بن أبي سفيان ليغشين الناس بحمص أمر يفزهم من الجفلة حتى يخرجوا منها
مبادرين قد تركوا دنياهم خلفهم حتى إن المرأة لتخرج تتبعها جارتها حتى تنزع رداءها
تقول أين أين وحتى يموت منهم ما بين دمشق إلى ثنية العقاب سبعون ألفا من العطش وحتى
إن الرجل ليظل ينشد أهله بالغوطة من رآها من أحسها
فيقول القائل قد رأيتها
في حاملة ولدها على عاتقها عاصبة ساقيها بخمارها لا أدري ما فعلت بعد
فكيف بكم
يا أهل حمص إذا كان ما خف من نسائكم رحلتم بهن بين أيديكم وما ثقل منهن كان لعدوكم
فلما سمع الناس هذا الحديث في ذلك الزمان كانوا إذ رأوا المرأة المثقلة لعنوها
بلعنة الله
পৃষ্ঠা - ১৩০৩
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় রোমের শাসক বাহরা নামক এলাকার একটি গীর্জাতে এসে ছাউনি ফেলবে। সেখানে তীব্র এক যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যার কারনে সেখানে সাদা পাথরও রক্তে রঞ্জিত হয়ে যাবে।
حدثنا بقية وأبو المغيرة عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن
كعب قال ينزل ملك االروم ديربهرا فتكون عندها معركة حتى يبلغ الدم الحجر الأبيض
العظيم الأبرص
পৃষ্ঠা - ১৩০৪
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যুদ্ধের কারনে পদতলে পিষ্ট হয়ে হিমস এবং সানিয়তুল ইকাব নামক এলাকার মাঝামাঝি স্থানে প্রায় সত্তর হাজার মানুষ মারা যাবে। তোমাদের থেকে কেউ উক্ত সমস্যার সম্মুখিন হলে সে যেন হিমস নগরী থেকে সারবাল যাওয়ার পথে পূর্বের রাস্তাকে নির্বাচন করে নেয়। সারবালক দাখিরা, দাখিরা থেকে ব্যাংক থেকে কাতীফা এবং কাতীফা থেকে দিমাশকের রাস্তা নির্বাচন করে। উল্লিখিত পথে যাতায়াত করলে কেউ আর কোনো ধরনের ঝামেলার সম্মুখিন হবেনা এবং সর্বদা শান্তি ও আরামের সহিত থাকতে পারবে।
قال صفوان وحدثني الأزهر بن راشد الكندي عن سليم بن عامر
الخبائري
عن كعب قال يهلك ما بين حمص وثنية العقاب سبعون ألفا من الوغا فمن
أدرك ذلك منكم فعليه بالطريق الشرقية من حمص إلى سربل ومن سربل إلى الحميراء ومن
الحميراء إلى الدخيرة ومن الدخيرة إلى النبك ومن النبك إلى القطيفة ومن القطيفة إلى
دمشق فمن أخذ هذه الطريق لم يزل في مياه متصلة
পৃষ্ঠা - ১৩০৫
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্র্নিত, তিনি বলেন, মানুষজন সর্বদা কল্যান ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে যতক্ষন পর্যন্ত জাযিরা বাসি কুনসুরদের উপর আঘাত করবেনা এবং কুনসুন বাসিও হিমস নগরীতে অবস্থান কারীদের উপর আক্রমন করবেনা। এধরনের কোনো পরিস্থিতি হওয়ার সাথে সাথে লোকজনের মাঝে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করবে এবং মানুষ আতংকিত হয়ে দিমাশকের দিকে যেতে থাকবে।
قال صفوان وأخبرني أبو
الزاهرية
عن كعب قال لا تزالوا بخير مالم يركب أهل الجزيرة أهل قنسرين وأهل
قنسرين أهل حمص فإذا كان ذلك فحينئذ تكون الجفلة ويفزع الناس إلى دمشق
পৃষ্ঠা - ১৩০৬
হযরত কাব রহঃ থেকে উল্লিখিত হাদিসের মত বর্ননা করা হয়েছে।
وحدثنا أبو ايوب عن أرطاة عن ابي الزاهرية
عن كعب مثله
পৃষ্ঠা - ১৩০৭
হযরত আবুত তাইয়াহ রহঃ স্বীয় পিতা থেকে হাদীস বর্ননা করেন, তিনি বলেন, একদা আমার পিতা আমাকে সম্বোধন করে বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমরা হাদীস বর্ণনা করি যে নিঃসন্দেহে একটি গোত্রকে তার পরিবারÑপরিজন ধ্বংসের স্থানে আটকিয়ে রাখবে।
وحدثنا
ضمرة عن ابن شوذب عن أبي التياح
عن أبيه قال قال لي أبي بني إنا كنا نتحدث أن
قوما ستحبسهم عيالاتهم على المهالك
পৃষ্ঠা - ১৩০৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতি সত্তর মূল হিজরতের পর আরো একটি হিজরত হবে, যার মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সায়্যিদুনা হযরত ইব্রাহিম আঃ এর হিজরতের স্থানে হিজরত করবে, ফলে সে সব এলাকায় একমাত্র নিকৃষ্টতম লোকজন ব্যতীত আর কেউ থাকবেনা।
قال ضمرة وأخبرنا ابن شوذب عن شهر بن
حوشب
عن عبد الله بن عمرو قال ستكون هجرة بعد هجرة يجتاز أهل الأرضين إلى مهاجر
إبراهيم عليه السلام حتى لا يبقى في الأرض إلا شرار أهلها
পৃষ্ঠা - ১৩০৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন তুমি কোনো মিম্বর থেকে শুনতে পাবে যে, বলা হচ্ছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে বের হয়ে যাও।
حدثنا رشدين
عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن عبد الله بن عمرو قال إذا سمعت على المنبر من عبد
الله إلى عبد الله فاخرج من مصر
পৃষ্ঠা - ১৩১০
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজইফা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জানতে চাইলাম যে, ইয়া রাসূলুল্লাহ! দাজ্জাল আগে আসবে নাকি ঈসা আঃ আগে আসবেন?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন প্রথমে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে, এরপর হযরত ঈসা আঃ আসবেন। এরপর কারো ঘোড়া বাচ্চা দিলে সেটার উপর সওয়ারের উপযুক্ত হওয়ার সময় আসার পূর্বেই কিয়ামত এসে যাবে।
حدثنا ضمرة عن ابن شوذب عن أبي التياح
عن خالد ابن سبيع
عن حذيفة قال قلت يا رسول الله الدجال قبل أو عيسى بن مريم
قال الدجال ثم عيسى ثم لو أن رجلا أنتج فرسا لم يركب مهرها حتى تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৩১১
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, মানুষের মাঝে এমন এক সময় আসবে, বিভিন্ন ধরনের বালাÑমসিবতের কারনে তারা ভাসমান নৌকা বা জাহাজ তাদেরকে নিয়ে ঢেউয়ের তালে তালে চলতে থাকবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن عياش بن عباس عن أبي عبد الرحمن الحبلي
عن عبد الله بن عمرو قال ليأتين على الناس زمان يتمنى فيه المرء لو
أنه في
فلك مشحون هو وأهله يموج بهم في البحر من شدة ما في الأرض من البلاء
পৃষ্ঠা - ১৩১২
হযরত হারেছ ইবনে হিশাম রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার কাছে আমার পিতা হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, কতক সাহাবায়ে কেরামকে তিনি বলতে শুনেছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তিগন এপৃথিবীর রাজত্বভার গ্রহন করবে। পরবর্তীতে তাদের সন্তানগন উক্ত দায়িত্ব পালন করবে।
حدثنا ابن وهب عن يونس عن الزهري عن عبد الملك ابن أبي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث
بن هشام حدثه أن أباه أخبره
أن بعض أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم حدثه قال
يوشك أن يغلب على الدنيا لكع بن لكع
ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية