হযরত আব্দুল্লাহ ইব্্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রোম এবং মুসলমানদের মাঝে একটি চুক্তি এবং সন্ধি স্বাক্ষরীত হবে। এরপরও তাদের কিছু দুশমনের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হবে এবং তারা তাদের গনীমতের মাল তাকসীম করবে। অতঃপর রোমানরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করবে, যার কারণে তাদের মধ্যে যারা যুদ্ধ করার সামর্থ্য রাখে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী-শিশুদেরকে বন্দি করা হবে। এক পর্যায়ে রোমানরা বলবে, তোমরা আমাদের জন্য গনীমতের সম্পদ বন্টন করো, যেমন তোমাদের জন্য আমরা যাবতীয় সম্পদ ও নারী শিশুকে বন্টন করেছ। এরপর রোমানরা বলবে, তোমাদের শিশুদের থেকে যা তোমরা প্রাপ্ত হয়েছ সেগুলো তোমাদের মাঝে বন্টন করে দাও। জবাবে মুসলমানরা বলবে, আমরা কখনো মুসলমানদের সন্তানদেরকে তোমাদের মাঝে বন্টন করতে পারিনা।
একথা শুনে তারা বলবে, তাহলে তোমরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করেছ। অতঃপর তারা কুস্তুনতুনিয়া নগরীতে তাদের মূল স¤্রাটের কাছে ফিরে যাবে। গিয়ে বলবে, আরবরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করেছে, অথচ আমরা সংখ্যায় তাদের থেকে অনেক বেশি এবং তাদের চেয়ে অস্ত্রশস্ত্রের দিক দিয়ে আমরা বেশি শক্তিশালি। আমি আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সাহায্য করুন। জবাবে সে বলবে, আমি তাদের সাথে গাদ্দারী করতে পারবোনা, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন যুদ্ধে তারাই আমাদের উপর জয়লাভ করেছে। অতঃপর তারা রোমানদের স¤্রাটের কাছে এসে বিস্তারিত আলোচনা করলে তিনি আশি প্লাটুন সৈন্য সমাগমের প্রতি মানোযোগ দেন,প্রত্যেক ঝান্ডা বা প্লাটুনে প্রায় বারো হাজার করে সামুদ্রিক সৈন্য থাকবে। এরপর সে তার সৈন্যদেরকে বলবে, যখন তোমরা শাম দেশের বন্দরে নোঙ্গর করবে তখন তোমাদের প্রতিটি বাহনকে জ্বালিয়ে দিবে, যাতে করে তোমরা আবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে না যাও। তারা তাদের স¤্রাটের কথামত সবকাজ করবে ফলে শামের জল-স্থল উভয়ভাগ দখল করে নিবে। তবে দিমাশ্ক এবং আল-মু’তার শহরদ্বয় তাদের দখলমুক্ত থাকবে। ঐসময় বায়তুল মোকাদ্দাসকে বিরান ভূমিতে পরিণত করবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ বলেন, সে সময় দিমাশ্্ক নগরীতে মুসলমানদের স্থান সংকুলান হবে কিনা?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ, দিমাশ্ক নগরীতে যেসব মুসলমানের আগমন হবে প্রত্যেকের সংকুলান হয়ে যাবে, যেমন বাচ্চাদানিতে শিশুর সংকুলান হয়ে যায়।
আব্দুল্লাহ ইব্্নে মাসউদ রাযিঃ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে মু’তাক সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাাহ সাঃ জবাব দেন যে, আল-মু’তাক হচ্ছে, হিম্্সের নিকটবর্তী শামের সমুদ্রের পার্শ্বে একটি পাহাড়ের নাম । যাকে মূলতঃ আরনাত বলা হয়। মুসলমানদের সন্তানরা আল-মু’তাকের উচু স্থানে অবস্থান করবে। আর মুসলমানরা থাকবে আরনাতের সমুদ্রের নিকটে। আর মুশরিকরা থাকবে আরনাতের নদীর পিছনে। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সকাল-সন্ধ্যা যুদ্ধ করতে থাকবে। কুস্তুনতুনিয়ার স¤্রাট এটা দেখতে পেলে তিনি ছয় লক্ষ সৈন্য নিয়ে কুনসারীনের স্থলভাগের দিকে মনোযোগী হয়ে উঠবে। এক পর্যায়ে সত্তর হাজারের বিশাল এক বাহিনী নিয়ে ইয়ামান থেকে এগিয়ে আসে। আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরকে ঈমানের আলোতে যেন আলোকিত করেন। তাদের সাথে হিমইয়ার নগরীর আরো চল্লিশ হাজার লোক যোগ দিবে। এক পর্যায়ে তারা বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে পৌছুবে এবং রোমানদের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হলে তারা মারাত্মকভাবে পরাজিত হবে। তাদেরকে দলে দলে বের করে দেয়া হবে। তারা ঐ সময় কুনসারীন এসে পৌছবে এবং তাদের কাছে মাদ্দাতুল মাওয়ালী আসবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাদ্দাতুল মাওয়ালী কি জিনিস।
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, তার হচ্ছেন, তোমাদের আযাদকৃত লোকজন,এবং তারা তোমাদের থেকে হবে। আরেক গোত্র পারস্যের দিক থেকে এগিয়ে আসবে এবং বলবে, হে আরবদল! তোমরা আমাদের বিপক্ষে স্বজনপ্রীতি দেখিয়েছ। আমরা কাউকে সহযোগিতা করতঃ দুই দলে বিভক্ত হবোনা। অথবা তোমাদের কালিমার সাথে ঐক্যমত পোষণ করব। অতঃপর তোমরা নাযার গোত্রের সাথে একদিন যুদ্ধ করবে, আবার একদিন যুদ্ধ করবে ইয়মানীদের সাথে। ইতিমধ্যে রোমানরা আ’মাক এলাকার দিকে যেতে থাকবে।
মুসলমানরা প্রসিদ্ধ একটি নদীর পার্শ্বে ছাউনি ফেলবে। অন্যদিকে মুশরিকগন রকবা নামক একটি নদীর কিনারায় অবস্থান করবে। যে নদীকে মূলতঃ কালো নদী বলা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ ভয়াবহ এক যুদ্ধে জড়িত হয়ে পড়বে। এদিকে আল্লাহ তা’আলা উভয়দল থেকে সাহায্য তুলে নিয়ে ধৈর্য্য ধারন করার সুযোগ দিবেন। যার কারণে মুসলমানদের এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করবে, অন্য এক তৃতীয়াংশ পলায়ন করিলেও আরেক তৃতীয়াংশ দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধ করে যাবে। যে তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করেছে তারা একেকজন বদর যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী দশজনের মর্যাদার সমতুল্য হবে। বদর যুদ্ধের প্রত্যেক শহীদ কমপক্ষে সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবেন আর উক্ত যুদ্ধের শহীদগন সাত শত জনের জন্য সুপারিশ করবেন।
যে এক তৃতীয়াংশ পলায়ন করেছিল তারা আবার তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক তৃতীয়াংশ রোমানদের সাথে মিশে গিয়ে বলবে, যদি আল্লাহ তাআলার কাছে এ দ্বীনের কোন প্রয়োজন হতো তাহলে অবশ্যই এদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। অথচ, তারা আরবদের সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের অর্ন্তভুক্ত। অন্য এক তৃতীয়াংশ বলবে, আমাদের বাপ-দাদার অবস্থান রোমানদের থেকে অনেক উর্দ্ধে। যার কারণে রোমানরা আমাদের কাছেও পৌঁছতে পারবেনা। তারা বলবে, আমাদেরকে গ্রামে পৌঁছে দাও। তারা হবে সত্যিকারের আরবের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
অন্য এক তৃতীয়াংশ বলবে, প্রত্যেক কিছু আল্লাহ তাআলার নাম এবং সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে এবং শাম নগরীতে এক প্রকারের অকল্যাণ জড়িত। সুতরা আমরা সকলে ইরাক, ইয়ামান ও হেজাজ অভিমুখে চলে যাক, যেখানে রোমানদের পক্ষ থেকে আর কোনো আশঙ্কা থাকবেনা।
যে এক তৃতীয়াংশ দৃঢ়চিত্ত্বে ছিল, তারা পরস্পরের সাথে জড়ো হয়ে বলবে, হে আল্লাহ! তাদের থেকে স্বজনপ্রীতি দূর করে দিন, যেন সকলে আপনার কালিমার উপর অটল থাকতে পারে এবং আপনার শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। কেননা স্বজনপ্রীতি থাকা অবস্থায় আপনার পক্ষ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবেনা। অতঃপর তারা সকলে জমায়েত হয়ে একথার উপর বাইয়াত গ্রহণ করবে যে, তাদের শহীদ হওয়া ভাইদের সাথে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকবে। যখন রোমানরা মুসলমানদের আগমন দেখবে এবং তাদের কতক লোক মৃত্যুবরণ করাও উপলব্ধি করতে পারবে। একপর্যায়ে মুসলমানদের সংখ্যা স্বল্পতা দেখে জনৈক রোমান সৈন্য উভয় দলের মাঝখানে একটি লম্বা পতাকা হাতে দাড়িয়ে যাবে। পতাকাটির সাথে একটি ত্রুুশও সংযুক্ত থাকবে। উক্ত ত্রুুশকে উচু করে ধরে এমর্মে আওয়াজ দিয়ে উঠবে “ত্রুুশের জয় হয়েছে ত্রুুশের জয় হয়েছে”। এ অবস্থা দেখে মুসলমানদের এক মুজাহিদও একটি পতাকা হাতে উভয় দলের মাঝখানে এসে উচ্চস্বরে বলবে, “বরং আল্লাহর সৈনিকদের জয় হয়েছে, বরং আল্লাহ্ সৈনিকদের জয় হয়েছে”। কাফেরদের “ক্রুশের জয় হয়েছে” কথাটি শুনে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের উপর খুবই রাগান্বীত হবেন, এবং ফেরেশতাদের সরদার হযরত জিবরাঈল আঃ কে বলবেন, হে জিবরাঈল আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনে জিব্রাঈল আঃ এক লক্ষ ফেরেশতার বিশাল বাহিনী নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমে আসবেন, অতঃপর আল্লাহ তাআলা হযরত মিকাঈল আঃ কে বলবেন হে মিকাঈল! আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনে হযরত মিকাইল আঃ দুই লক্ষ ফেরেশতার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে দ্রুত গতিতে নেমে আসবেন অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে ইসরাফিল! আমার বান্দাদেরকে সাহায্য কর। একথা শুনার সাথে সাথে হযরত ইসরাফিল আঃ তিন লক্ষ ফেরেশতার বিশাল বাহিনী নিয়ে নিচে নেমে আসবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের আরো বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করলেও কাফেরদের উপর ক্রোধ প্রদর্শন করবেন। যার কারণ তারা অনেক সংখ্যক মারা পড়বে এবং পরাজিত হবে। বিজয়ী বেশে মুসলমানরা রোমানদের এলাকায় প্রবেশ করতে করতে অমৃরিয়্যাহ এলাকায় পৌঁছে সেখানের সীমানায় অনেক লোকের সমাগম দেখবে। যারা বলবে, এত অধিক সংখ্যক রোমান বাহিনী মারা পড়তে আমরা আর কখনো দেখিনি। এত নির্মমভাবে পরাজিত হওয়াও আর দেখা যায়নি। আর এ শহরে এবং এ শহরের সীমানায় এত বেশি লোকও কখনো দেখা যায়নি।
মুসলমানরা রোমানদেরকে ঈমান গ্রহণ করতে বলবে। না হয় জিযিয়া প্রদান করতে নির্দেশ দিবে। তারা জিযিয়া দিতে রাজি হলে রোমান এবং তার আশপাশের লোকজনের জন্য নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করা হয়। হঠাৎ করে সংবাদ পৌঁছবে, হে আরবদল! তোমাদের দেশে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে। অথচ সংবাদটি ডাহা মিথ্যা ছিল। এ খবর শুনে হাতের কাছে যার যা ছিল সবকিছু নিয়ে দাজ্জালের মোকাবেলা করতে এগিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে খবরটি মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্থ হয়। এদিকে রোমানদের এলাকায় থাকা অবশিষ্ট মুসলমানদেরকে রোমানরা এমনভাবে হত্যা করবে, এক পর্যায়ে কোনো আরব নারী-পুরুষ কিছু ছেলে সন্তানকে রোম দেশে রাখেনি, বরং সবাইকে সমূলে হত্যা করেছে। এসংবাদ মুসলমানরা পাওয়ার সাথে আবারো তারা ফিরে আসবে। এদিকে আল্লাহ তা’আলা তার ক্রোধকে আবারো প্রকাশ করবেন,যার কারনে রোমানদের যুবকদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারীÑশিশুদেরকে বন্দি করা হবে। এ যুদ্ধে অনেক গনীমতের মাল মুসলমানদের হস্তগত হবে। যে কোনো শহর কিংবা কেল্লায় মুসলমানগন হামলা করলে তিন দিনের ভিতরেই সেটা জয় করা সম্ভব হতো। প্রতিটা শহর-কেল্লা জয় করার পর মুসলমান সাগরের কিনারায় গিয়ে ছাউনি ফেলবে এবং সমুদ্রের প্রবাল জোয়ারের কারনে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। ইস্তাম্বুলের অধিবাসিরা এ অবস্থা অবলোকন করে বলবে, সমুদ্র আমাদেরকে যথেষ্ট জোয়ার দিয়েছে এবং মাসীহও আমাদের সাহায্যকারী। কিন্তু তাদের সকল আশাÑভরশা নিরাশায় পরিণত করে সকাল হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র শুকিয়ে যায় এবং তার মধ্যে মুসলমানরা তাবু স্থাপন করে এবং ইস্তাম্বুলের নদীর উপর একটি ব্রীজ তৈরী করে। এদিকে জুমার রাত্রিতে মুসলমানরা কাফেরদের শহরকে তাহমীদ,তাকবীর ও তাহলীল দ্বারা সকাল পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের কেউ ঘুমানোর কিংবা বসার সুযোগ পায়নি। সকাল হওয়ার সাথে সাথে মুসলমানরা উচ্চস্বরে তাকবীর দিয়ে উঠলে দুই বুরুজের মাঝামাঝি এলাকা ধ্বসে পড়ে যায়। নিজেদের এ অবস্থা দেখে রোমানরা বলবে, এতদিন পর্যন্ত আমরা আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছিলাম, বর্তমানে আমাদের প্রভুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যেহেতু তিনি আমাদের শহরকে ধ্বসে দিয়েছেন এবং আমাদের এলাকাকে বিরান ভুমিতে পরিণত করেছেন। রোমানদের এলাকায় মুসলমানরা অবস্থান করতে থাকবে, ঢালের মাধ্যমে স্বর্ণকে ওজন দেয়া হবে এবং তাদের নারী ও শিশুদেরকে বন্টন করা হবে। তারা সংখ্যায় এত বেশি হবে, যার কারনে একজন পুরুষ তিনশত কুমারী নারীর মালিক হবে। তাদের হাতে থাকা প্রত্যেকটি বস্তু দ্বারা তারা উপকৃত হতে থাকবে। এরপর বাস্তবিকই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। ঐসময় কতক আল্লাহর ওলীর হাতে কুস্তুনতুনিয়া তথা ইস্তাম্বুল নগরীর জয় হবে। তারা এমন আল্লাহর ওলী যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত হায়াত পাবেন এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুস্থ রাখবেন। এক পর্যায়ে সায়্যিদুনা হযরত ঈসা আঃ আগমন করলে তারা ঈসা আঃ এর সাথে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৫২ ]
___________________________________