আল ফিতন

হযরত ফালান ইবনে মাআ’ফেরী হতে বর্ণিত যে, তিনি আবু ফারেস থেকে শুনেছেন যে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন যে, যখন খোলা প্রান্তর সৈন্য সহকারে ধসে যাবে, আর সেটাই মাহদী আলাইহিস সালামের অবির্ভাবের আলামত বা নিদর্শন।

হযরত আলী ইবনে আব্দুল্লাহ ইবেন আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সূর্য্য নিদর্শন হয়ে উদিত হয়।

হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদী আলাইহিস সালামের বের হওয়ার আলামত হল আল উয়াতুন। যেটা পশ্চিম দিক থেকে আসবে। যার উপর কিনদার একজন খোড়া ব্যক্তি থাকবে।

হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সুফইয়ানী ও মাহদী আলাইহিস সালাম রিহানের দুটি ঘোড়ার মত বের হবে। অতপর সুফইয়ানীর সাথে যার সাক্ষাত হবে সে তার উপর বিজয় লাভ করবে। এমনিভাবে মাহদী আলাইহিস সালামের সাথে যার সাক্ষাত হবে সে তার উপরও বিজয় লাভ করবে। ফতর ও আবু জা’ফর বলেন মাহদী আলাইহিস সালাম দুই শত বছর অবস্থান করবেন।

হযরত যুহরী থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দ্বিতীয় সুফইয়ানীর জন্মের সময় আকাশে আলামত বা নিদর্শন দেখা যাবে।

হযরত আবু সাদেক হতে বর্ণিত যে, তিনি বণে ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সুফইয়ানী তার কাষ্ঠের উপর না দাড়ায়।

হযরত আবু জা’ফর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন অন্ধকার না বাড়া পর্যন্ত সুফইয়ানী বের হবে না।

হযরত মাতারুল ওয়ারাক হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন অকাট্ট ভাবে আল্লাহ তা’আলা কুফুরী করার পরই মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবেন।

হযরত ইবেন সিরীন হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হয়।

হযরত কাইসান রাওয়াসী কাসসার থেকে বর্ণিত আর তিনি গ্রহণযোগ্য রাবী ছিলেন তিনি বলেন আমার মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) আমার নিকট বর্ণনা করে বলেন যে, আমি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি যে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাগতী বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তিন জনকে হত্যা করা হয়। তিন জন মারা যায়। এবং তিন জন জীবিত থাকবে।

হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা একে অপরের চেহারায় থুথ নিক্ষেপ কর।

হযরত আবু ফারেস হতে বর্র্ণিত যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাযিয়াল্লাহু আনহুমাকে বলতে শুনেছেন যে, মাহদী আলাইহিস সালামের অবির্ভাবের আালামত বা নিদর্শন হল যখন খোলা প্রান্তর সৈন্য সহকাররে ধসে যাবে। আর সেটাই হল মাহদী আলাইহিস সালামের বের হওয়ার আলামত।

হযরত আবু কুবাইল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একশত চার বছর মাহদী আলাইহিস সালামের উপর মানুষ ভিড় করবে। ইবনে লাহইয়া বলেন উক্ত হিসাবটা আজমী তথা অনারবী হিসাব মতে। আরবী হিসাব মতে নয়।

হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসীর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদী আলাইহিস সালামের অবির্ভাবের আলামত হল- যখন তুর্কি জাতি তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। আর তোমাদের ঐ খলীফা মারা যাবে যে মাল সম্পদ জমা করেছিল। আর তার পরে দূর্বল একজন শাসক তার স্থলাভিষিক্ত হবে। দ্ইু বছর পর তার বাইয়াত নষ্ট হয়ে যাবে। দামেস্কের মসজিদের পূর্ব দিকের দুটি দেয়াল ধসে যাবে। সিরিয়া হতে তিনটি দলের বহিপ্রকাশ। পূর্ব দিকের অধিবাসীদের মিসরের দিকে যাওয়া। আর সেটা সুফইয়ানীর আমারত বা নিদর্শন।

হযরত আবু মুহাম্মাদ পূর্বাঞ্চলের জনৈক অধিবাসী হতে বর্ণনা করে বলেন যে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এক ব্যক্তি সুন্দরী লাস্যময়ী এক বাঁদী নিয়ে বের হবে। অতপর সে বলবে এমন কে আছে যে ইহাকে তার সমপরিমান ওযনের খাদ্য দিয়ে একে ক্রয় করবে। অতপরই মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে।

হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন আকাশ হতে এক সম্বোধনকারী সম্বোধন করে বলবে যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারে সত্যতা। আর সে সময়ই মাহদী আলাইহিস সালাম মানুষের সম্মুখে বের হবে। এবং মানুষ তার ভালবাসা (এর শরবত) পান করবে। তাদের নিকট তার আলোচনা ব্যাতীত আর কোন আলোচনা থাকবে না।

হযরত উমর ইবনে আলী হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ হবে। অতপর আমার পরিবারের হতে এক ব্যক্তির উপর মানুষ জমায়েত হবে। যার কোন আল্লাহ তা’আলার নিকট কোন অংশ থাকবে না। অতপর তাকে হত্যা করা হবে। অথবা সে মারা যাবে। অতপর মাহদী আলাইহিস সালাম দাড়াবেন। (বের হবে।)

হযরত ইবনে শাযাব তার কতিপয় সাথী থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্বীল অথবা ইবনে ক্বীল কেউ অবশিষ্ট থাকবে না বরং সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। াআর ক্বীল হল নেতা।

হযরত আবু কুবাইল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনী হাশেমের এক ব্যক্তি বাদশা হবে। অতপর সে বনী উমাইয়াকে হত্যা করবে। এমনকি তাদের মাঝে দূর্বল ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। তাদের ব্যতীত অন্য কাউকে সে হত্যা করবে না। অতপর বনী উমাইয়া হতে এক ব্যক্তি বের হবে। সে প্রত্যেক এক ব্যক্তির পরিবর্তে দুই জনকে হত্যা করবে। এমনকি বনী হাশেমের মহিলা ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। অতপর মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবে।

হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাহাড় থেকে ফুরাত (নদী) কে খুলে দেওয়া হবে। অতপর সেখানে প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে। যদি তোমরা উক্ত ঘটনা পাও, তাহলে তোমরা উহার নিকটবর্তী হইও না।

হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন চতূর্থ ফিতনা বা যুদ্ধ বার মাস স্থায়ী হবে। যখন অবসান হবে তখন অবসান হবে। (অবসানের সময়ে অবসান হবে।) আর স্বর্ণের পাহাড় থেকে ফুরাতকে খুলে দেওয়া হবে। অতপর তার উপর প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে।

হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ফুরাতের কিনারা সিরিয়ার কিনারায় অথবা তার একটু পরে হবে। সেখানে অনেক ভীড় হবে। অতপর সেখানে তারা মাল সম্পদের উপর যুদ্ধ করবে। অতপর সেখানে প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে। আর সেটা ঘটবে রমজান মাসে হিদা ও ওয়াহিদার (শব্দ ও জীর্ণ এর) পর। এবং তিনটি ঝান্ডাবাহী দলের পৃথকীর পর। যারা প্রত্যেকেই নিজের জন্য ক্ষমতা চাইবে। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি থাকবে যার নাম হবে আব্দুল্লাহ।

হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন চতূর্থ ফিতনা বা যুদ্ধ আঠারো মাস দীর্ঘস্থায়ী হবে। অতপর যখন অবসান ঘটবে তখন অবসান ঘটবে। (অবসানের সময়ে অবসান ঘটবে।) আর ফুরাত নদীকে স্বর্ণের পাহাড় হতে খুলে দেওয়া হবে। আর উম্মত বা জাতি উহার উপর ঝুঁকে পড়বে। অতপর প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে।