আল ফিতন

المعقل من الفتن

পৃষ্ঠা - ৬৯৮
আম্মার ইবনে ইয়সির রাযিঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন, যখন তুমি শামবাসীকে হযরত মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাযিঃ এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখবে তখন তোমরা মক্কার দিকে ধাবিত হতে থাকো।
حدثنا الوليد ورشدين
عن ابن لهيعة قال حدثني أبو زرعة عن ابن زرير
عن عمار بن ياسر رضى الله عنه قال
إذا رأيتم الشام اجتمع أمرها على ابن أبي سفيان فالحقوا بمكة
পৃষ্ঠা - ৬৯৯
খলীফা হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন সুফিয়ানীরা বিজয়ী হতে থাকবে, তখন উক্ত বালা মুসিবত থেকে অবরুদ্ধ কালীন ধৈর্যশীলরা ছাড়া অন্য কেউ মুক্তি পাবেনা।
حدثنا
الوليد ورشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن أبي رومان
عن علي رضى الله عنه قال
إذا ظهر أمر السفياني لم ينج من ذلك البلاء إلا من صبر على الحصار
পৃষ্ঠা - ৭০০
সাঈদ ইবনে মুহাজির আলওস্সাবী কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যখন মাগরিবের পক্ষ থেকে ফিৎনা আসতে থাকবে তখন তোমরা ইয়ামানের দিকে যাত্রা করতে থাকো, কেননা উক্ত ফিতনা থেকে তোমাদেরকে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ রক্ষা করতে পারবেনা।
حدثنا
محمد بن حمير عن الصقر بن رستم قال
سمعت سعيد بن مهاجر الوصابي يقول إذا كانت
فتنة المغرب فشدوا قبل نعالكم إلى اليمن فإنه لا يحرزكم منها أرض غيرها
পৃষ্ঠা - ৭০১
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, যখন পশ্চিম দিক থেকে ফিৎনা প্রকাশ পাওয়ার পাশাপাশি পূর্বদিক থেকেও ফিৎনা আসতে থাকে তখন তোমরা শাম দেশে গিয়ে আত্নরক্ষা কর।
ঐ মূহুর্তে জমিনের নিচের অংশ উপরিভাগ থেকে অনেক উত্তম।
حدثنا يحيى بن سعيد العطار حدثنا الحجاج عن عبد الله بن سعيد عن طاووس
عن ابن
عباس رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا التقت فتنة من المغرب وأخرى
من المشرق فالتقوا ببطن الشام فبطن الأرض يومئذ خير من ظهرها
পৃষ্ঠা - ৭০২
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, জমিনের পেট তখন পিঠের চেয়ে অনেক উত্তম হবে উপরের অংশ থেকে।
حدثنا بقية
بن الوليد عن صفوان عن أبي هزان
عن كعب قال بطن الأرض يومئذ خير من ظهرها
পৃষ্ঠা - ৭০৩
সাহাবী হযরতয আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ হতে বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন যখন পূর্ব-পশ্চিম উভয় দিক থেকে ফিৎনা আসতে থাকবে তখন সে ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেনা, তবে ঐ লোকের বাঁচার আশা করা যায়, যে খুবই গোপনীয়তার সাথে জীবন যাপন করে। জনসমক্ষে আসলেও কেউ চিনতে পারেনা, কোথাও বসার পর উঠে চলে গেলে তাকে খোঁজা হয়না।
আর ঐ ব্যক্তির মুক্তির আশা করা যায়, যে, পানিতে ডুবন্ত মানুষের ন্যায় শেষ আর্তনাদ হিসেবে ক্ষিনস্বরে সাহায্যের আকুতি জানাতে থাকে।
এ দুই দল ব্যতীত অন্য কেউ বাঁচতে পারবেনা।
حدثنا ضمرة عن يحيى بن أبي عمرو
عن أبي هريرة رضى الله عنه عن
النبي صلى الله عليه وسلم قال لا ينجوا منها إلا كل خفي إذا ظهر لم يعرف وإن جلس لم
يفتقد أو رجل دعا كدعاء الغرق في البحر
পৃষ্ঠা - ৭০৪
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন চতুর্দিক থেকে ফিৎনা ধেঁয়ে আসবে তখন তুমি শীতকালীন পিঁপড়ার ন্যায় নিজের আত্নরক্ষার জন্য একটি স্থান খুঁজতে থাক।
তবে সেটা হতে হবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে। বিন্দু মাত্রও প্রকাশ পেতে পারবেনা। এধরনের ফিৎনা থেকে আত্নরক্ষার সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে, মদীনা হেজাজএবং তার পার্শ্বের অন্যান্য এলাকা খুবই উত্তম অন্য এলাকা থেকে
حدثنا عبد الله بن مروان عن أرطأة
عن تبيع
عن كعب قال إذا كان ذلك فاطلب لنفسك موضعا في نفس وفراغ كحيلة النملة
لشتائها وليكن ذلك فيما يجمل ولا يشتهر به والحرز من ذلك وغيره المدينة وما حولها
من الحجاز والسواحل أسلم من غيرها
পৃষ্ঠা - ৭০৫
নজীব ইবনে সারী রহঃ বলেন, একদিন সায়্যিদুনা হযরত ঈসা আঃ খলীল পাহাড়ের নিকটে গিয়ে সেখানের বাসিন্দাদের জন্য তিন ধরনের দোয়া করতে গিয়ে বলেন, হে আল্লাহ! এ এলাকায় ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে কেউ আসলে যেন এখানে নিরাপদ থাকে এবং উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের উপর যেন কখনো চতুস্পদ জন্তকে চাপিয়ে দেয়া না হয়। আর পৃথিবীতে দূর্ভিক্ষ দেখা দিলেও যেন এ এলাকায় দূর্ভিক্ষ দেখা না যায়।
حدثنا محمد بن حمير
عن النجيب بن
السري قال مر عيسى بن مريم عليه السلام بجبل الخليل فدعا لأهله ثلاث دعوات فقال
اللهم من أتاه من خائف أمن فيه ولا تسلط على أهله السبع وإذا أجدبت الأرض لا يجدب
পৃষ্ঠা - ৭০৬
ওজীন ইবনে আতা রহঃ থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, খলীল পাহাড়টি খুবই সম্মানিত পাহাড়। বনী ইসরাঈলের মধ্যে কোনো এক সময় মারাত্নক কোনো ফিৎনার আশংকা দেখা দিলে আল্লাহ তা’আলা তৎকালীন নবীদের প্রতি ওহি পাঠালেন যে, তোমরা তোমাদের দ্বীনের হেফাজত করতে হলে খলীল পাহাড়ের নিকট গিয়ে আত্নরক্ষা করতে থাকো।
حدثنا محمد بن حمير عن الوضين بن عطاء
أن رسول الله صلى الله عليه
وسلم قال جبل الخليل جبل مقدس وإن
الفتنة لما ظهرت في بني إسرائيل أوحى الله تعالى إلى أنبيائهم
أن يفروا بدينهم إلى جبل الخليل
পৃষ্ঠা - ৭০৭
উমাইর ইবনে হানী আনাসী রহঃ থেকে বর্নিত, আমার কাছে সংবাদ এসেছে, আমার বন্ধুদের কেও খলীল পাহাড়ের মধ্যে নিজের জন্য বাসস্থান বানিয়ে নেয় এবং সকলের ঈর্শার পাত্রে পরিনত হয়। কেন তার এ সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কারন হচ্ছে, অতি সত্ত্বর এখানে মিশর বাসীরা আগমন করবে,হয়তো তাদের দেশের নীল নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে, না হয় নীল নদীর পানি এতবেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হবে যার কারনে মিশর বাসীরা ডুবে যাবে, এমন কি উক্ত পানি খলীল পাহাড়ের পর্বতের চূড়াকেও স্পর্শ করার আসংকা রয়েছে।
قال ابن حمير وأخبرني محمد بن يزيد
الصنعاني
عن عمير بن هانىء العنسي أنه قال ليبلغني أن الرجل من إخواني اتخذ جبل
الخليل منزلا وأغبطه قيل ولم ذاك قال لأنه سينزله أهل مصر إما يحبس نيلهم وإما يمد
فيغرق حتى جبل يتماسحوا الخليل بينهم بالحبال
পৃষ্ঠা - ৭০৮
আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, উল্লেখিত ফিৎনাকালীন কোনো অবস্থাতেই কেউ মুক্তি পাবেনা তবে যারা অবরোধকালীন ধৈর্য ধারন করবে তাদের মুক্তির কিছুটা আশা করা যেতে পারে। সুফিয়ানীদের জন্য নির্ধারিত আশ্রয়স্থল, যেটা মূলতঃ আল্লাহ তাআলার রহমতের মাধ্যমে নির্ধারিত। অনারবের তিনটি শহর, প্রথমতঃ প্রশস্ত উপত্যকার পার্শ্বে অবস্থিত শহর, যার নাম হচ্ছে, এন্তাকিয়া।
দ্বিতীয় শহর হচ্ছে, যেটা ফুরস হিসেবে প্রসিদ্ধ।
তৃতীয় আরেকটি শহর যেটা। সামিসাত নামে পরিচিত। তাছাড়া অন্য আরেকটি এলাকা হচ্ছে, এমন এক পাহড়, যা রোম বাসীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে সমৃদ্ধ, যার নাম হচ্ছে, আল-মুতাক।
حدثنا أبو عمر عن ابن
لهيعة عن عبد الوهاب بن حسين عن محمد بن ثابت عن أبيه عن الحارث
عن عبد الله
قال لا ينجو من بليها إلا من صبر على الحصار والمعقل من السفياني بإذن الله تعالى
ثلاث مدن للأعاجم ناحية الثغور مدينة يقال لها أنطاكية ومدينة يقال لها قورس ومدينة
يقال لها سميساط والمعقل من الروم جبل يقال لها المعتق
পৃষ্ঠা - ৭০৯
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হিমস হচ্ছে, ঐসব সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের শহীদগন সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবেন, দিমাশক বাসীরা হচ্ছেন, যাদেরকে জান্নাতে সবুজ কাপড় দ্বারা পরিচিত করা যাবে। অন্য দিকে জর্দানের সৈন্যরা কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবেন।
ফিলিস্তিনের অধিবাসীরা হচ্ছেন, যাদের দিকে আল্লাহ তা’আলা দৈনিক দু’বার দৃষ্টি দিয়ে থাকেন।
حدثنا عبد القدوس
عن سعيد بن عبد العزيز عن عروة بن رويم
عن كعب قال
حمص من الجند الذي يشفع
شهيدهم سبعين
وأهل دمشق الذين يعرفون بالثياب الخضر في الجنة وأهل الأردن من الجند
الذين هم في ظل العرش يوم القيامة وأهل فلسطين ممن ينظر الله تعالى إليهم كل يوم
مرتين
পৃষ্ঠা - ৭১০
আবু যর গিফারী রাযিঃ হতে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মিশর এবং ইরাক ধ্বংস হয়ে যাবে।
হে আবু যর! যখন তুমি দেখতে পাবে, বাতি-ঘরের উচ্চতা সিলা পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে তাহলে শাম দেশকে আকড়িয়ে ধরবে। আমি বললাম, যদি তারা আমাকে যেখান থেকে বের করেও দেয় তাহলেও কি আমি সেখানে যাবো?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তোমাকে তারা যেখানে তাড়িয়ে নিয়ে যায় সেখানে চলে যেতে সংকোচবোধ করোনা।
حدثنا عبد القدوس عن عفير بن معدان عن قتادة
عن أبي ذر رضى
الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
أول الخراب بمصر والعراق
فإذا بلغ البناء
يسلع
فعليك يا أبا ذر بالشام
قلت وإن أخرجوني منها
قال انسق لهم أين ساقوك
পৃষ্ঠা - ৭১১
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হিমস এলাকার শহীদগন সত্তর হাজার মানুষের জন্য সুপারিশ করবেন, অন্যদিকে দিমাশক বাসীদেরকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সবুজ কাপড় পরিধান করাবেন। জর্ডানের অধিবাসীদেরকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তার আরশের নিচে ছায়া দান করবেন।
ফিলিস্তিন বাসীদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেকদিন তিনবার করে দৃষ্টি দেন।
حدثنا الحكم بن نافع عن صفوان
عن كعب قال شهيد أهل حمص يشفع في
سبعين ألفا وأهل دمشق يكسوهم الله ثيابا خضرا يوم القيامة وأهل الأردن يظلهم الله
في ظل عرشه وأهل فلسطين ينظر الله إليهم كل يوم ثلاث مرات
পৃষ্ঠা - ৭১২
কাসীর ইবনে মুররা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশদ করেছেন,শাম দেশে ইসলামের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের থেকে যারা উৎকৃষ্ট মানের তাদেরকে সেদিকে ধাবিত করবেন। একমাত্র বঞ্চিত লোকদেরকেই সেখান থেকে বিতাড়িত করবেন।
শামদেশের প্রতি আল্লাহ তা’আলার বিশেষ দৃষ্টি নিবন্ধিত থাকে। যদ্বারা সেখানে ছায়া-বৃষ্টি সবকিছু যথাযথ ভাবে পাওয়া যায়। তারা সম্পদশালী না হলেও কখনো রুটি এবং পানির জন্য কষ্ট পাবেনা।
الحكم بن نافع عن سعيد بن سنان
عن كثير بن مرة قال قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم عقر دار الإسلام بالشام يسوق الله إليها صفوته من عباده ولا ينزع إليها إلا
محروم ولا يرغب عنها إلا مفتون وعليها عين الله تعالى من أول يوم من الدهر إلى آخر
يوم من الدهر بالظل والمطر فإن أعجزهم المال لم يعجزهم الخبز والماء
পৃষ্ঠা - ৭১৩
শুরাইহ ইবনে উবাইদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, একদিন হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ কা’বকে হিমস এবং দিমাশক সম্বন্ধে জিঞ্জাসা করলে তিনি জবাব দিলেন, দিমাশক হচ্ছে, রোম দেশের মুসলমানদের আশ্রয়স্থল সেখানের ষাঁড় রাখার স্থান হিমসের বড় এলাকার চেয়েও উত্তম।
কেউ যদি দাজ্জাল থেকে মুক্তির আশা করে সে যেন আবু ফাতরাছ নামক ঝর্নার পার্শ্বে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে। যদি তুমি খুলাফাদের সমান মর্যাদা লাভ করতে চাও তাহলে দিমাশকে অবস্থান কর। আর যদি জিহাদ এবং কষ্ট শিকার করতে চাও তাহলে হিমস নামক এলাকাতে অবস্থান করতে থাক। বর্ননাকারী সাফওয়ান বলেন, আমাদেরকে আবুজ জাহিরিয়্যাহ রহঃ হযরত কা’ব থেকে বর্ননা করেন, যুদ্ধবিগ্রহ কালীন মুসলমানদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে, দিমাশক। দাজ্জাল থেকে মুক্তির স্থান থেকে আবু ফাতরাছ ঝর্না আর তূর পাহাড় হচ্ছে, ইয়াজুজ-মাজুজ থেকে আশ্রয় গ্রহনের একমাত্র জায়গা।
عن شريح بن عبيد أن معاوية سأل كعبا عن حمص
ودمشق فقال
دمشق
معقل المسلمين من الروم و
مربض ثور فيها أفضل من دار عظيمة بحمص
ومن أراد النجاة من الدجال فنهر أبي فطرس وإن أردت منزل الخلفاء فعليك بدمشق وإن
أردت الجهد والجهاد فعليك بحمص
قال صفوان وأخبرني أبو الزاهرية
عن كعب قال
معقل المسلمين من الملاحم
دمشق
ومن الدجال
نهر أبي فطرس
ومن يأجوج ومأجوج
الطور
পৃষ্ঠা - ৭১৪
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত্রির মত তোমাদেরকে নানান ধরনের ফিৎনা গ্রাস করে নিবে। মাশরিক মাগরিবের মুসলমানদের প্রতিটি ঘরে উক্ত ফিৎনা প্রবেশ করবে। কা’ব রহঃ এর কাছে উক্ত ফিৎনা থেকে মুক্তির উপায় জিঞ্জাসা করলে জবাবে তিনি বলেন, একমাত্র তারাই মুক্তি পাবে যারা লেবানানের ছায়াতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। যেসব মুসলমান লেবানান এবং তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্রের নিকটে গিয়ে অবস্থান করবে তারা উক্ত ফিৎনা থেকে নিরাপদে থাকবে। এভাবে চলতে চলতে যখন ১২২ হিজরী সন আসবে তখন আমার এবং অন্যান্য সকল ঘর ধ্বংস হয়ে যাবে।
عن كعب قال أظلتكم فتنة كقطع الليل المظلم لا يبقى بيت من بيوت المسلمين بين
المشرق والمغرب إلا دخلته
قيل فما يخلص منها أحد
قال يخلص منها من
استظل
بظل لبنان
فيما بينه وبين البحر فهو أسلم الناس من تلك
الفتنة قال فإذا كان مائة واثنين وعشرين سنة احترقت داري هذه
فاحترقت داره حينئذ
পৃষ্ঠা - ৭১৫
জমরা ইবনে হাবীব থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, ধ্বংসকারী ফিৎনা থেকে মুক্তি পাবে একমাত্র হেজাজ এবং নদীর পার্শ্বে অবস্থান কারী লোকজন।
عن ضمرة بن
حبيب قال أنجى الناس من فتنة الصيلم أهل الساحل وأهل الحجاز
পৃষ্ঠা - ৭১৬
আবুজ জাহিয়্যাহ রহঃ কাসীর ইবনে মুররা থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে শাম দেশ ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি একথাটি তিনবার বলেন। আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের থেকে যারা উৎকৃষ্ট মানের রয়েছেন তাদেরকে শাম দেশের দিকে নিয়ে যাবেন। বঞ্চিত লোকজনই শামদেশের সাথে দুরত্ব বজায় রাখবে আর ফিৎনা বাজরাই শাম দেশকে উপেক্ষা করবে। উক্ত দেশের প্রতি ছায়া দান এবং বৃষ্টি বর্ষনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার সুদৃষ্টি থাকবে। সেখানের বাসিন্দাদের কাছে টাকা-পয়সা না থাকলেও কখনো রুটি-পানির কষ্ট অনুভব করবেনা। এমর্মে ইবনুজ জাহিরিয়্যাহ বলেন, আল্লাহ তা’আলা তার কিতাবে ঘোষনা দিয়েছেন, শাম দেশের চল্লিশ বৎসর পূর্বে পৃথিবীর অন্যান্য জনপদ ধ্বংস হয়ে যাবে। সেখানে কোনো প্রকার বিজলি ও বিকট শব্দে বাজ পতিত হবেনা, যা অন্যান্য দেশে হরহামেশা দেখা যাবে। এক পর্যায়ে উক্ত শহরকে সেখানের বাসিন্দাদের জন্য প্রশস্থ করে দেয়া হবে, যেমন গর্ভের শিশুর জন্য মায়ের রেহেম বা বাচ্চা দানিকে প্রশস্থ করে দেয়া হয়।
بن كثير عن سعيد بن سنان عن أبي الزاهرية
عن كثير بن مرة قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم ألا إن عقر [ دار ] الإسلام بالشام ورددها ثلاثا يسوق الله إليها
صفوته من عباده لا ينزع إليها راغبا فيها إلا مرحوم ولا ينزع عنها راغبا عنها إلا
مفتون وعليها عين الله تعالى من أول يوم من الدهر إلى آخر يوم من الدهر بالظل
والمطر وإن أعجز أهلها المال لم يعجزهم الخبز والماء
قال أبو الزاهرية في
كتاب
الله تعالى أن تخرب الأرض قبل
الشام بأربعين عاما فلا يكون رعد ولا برق في سواها وحتى تستوسع لمن يحشر
إليها كما يستوسع الرحم للولد
পৃষ্ঠা - ৭১৭
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় স্থান হচ্ছে নারলিছ পাহাড়। কিয়ামতের পূর্বে মানুষের কাছে এমন এক যুগ আসবে যখন তারা সকলের বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উক্ত পাহাড়কে স্পর্শ করবে।
أبي مريم عن حبيب ابن عبيد
عن كعب قال أحب القدس إلى الله جبل نابلس ليأتين على
الناس زمان يتما سحونه بالحبال بينهم
পৃষ্ঠা - ৭১৮
সাহাবী হযরত মেকদাদ ইবনে মাদি কারাব রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশদ করেছেন, কিয়ামতের পূর্বে মানুষের মাঝে এমন এক যুগ আসবে, যখন দিনার-দেরহাম এবং টাকা-পয়সাই একমাত্র মানুষের উপকার করতে পৌঁছাতে পারবে।
حدثه
عن المقدام بن معدي كرب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يأتي على
الناس زمان لا ينفع فيه إلا الدينار والدرهم
পৃষ্ঠা - ৭১৯
সাঃ এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, যুদ্ধ বিগ্রহকালীন মানুষের আশ্রয়স্থলহবে দিমাশক নামক একটি শহর। গোতা নামক অন্য আরেকটি এলকায়ও লোকজন আশ্রয় গ্রহন করবে।
أبي بكر عن عبد الرحمن ابن حيد
عن أبيه قال حدثني أصحاب محمد صلى الله عليه
وسلم عن النبي صلى الله عليه وسلم قال معقل المسلمين من الملاحم مدينة يقال لها
دمشق أرض يقال لها الغوطة
পৃষ্ঠা - ৭২০
আবু হোরায়রা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছন, ফিৎনা কালীন সবচেয়ে উত্তম মানুষ হচ্ছে, পাক পবিত্রতা অবলম্বনকারী অপরিচিত লোক। যার অবস্থা হচ্ছে, প্রকাশ পেলেও কেউ তাকে চিনতে পারেনা, আর অনুপস্থিত থাকলে তার শুন্যতা অনুভব হয়না। পক্ষান্তরে নিকৃষ্টতম মানুষ হচ্ছে, বহুরুপি বক্তা এবং সর্বজন পরিচিত লোক। উল্লিখিত ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেনা, একমাত্র ঐ লোকের ব্যাপারে মুক্তির আশা করা যেতে পাতে, যিনি আল্লাহ তা’আলার দরবারে এখলাসের সাথে সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির ফরিয়াদের ন্যায় ফরিয়াদ করতে পারবে।
بن ميمون عن ضرار بن عمرو
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه
وسلم قال أسعد الناس في
الفتن
كل
خفي نقي إن ظهر لم يعرف وإن غاب لم يفتقد وأشقى الناس فيها كل خطيب مسقع أو راكب
موضع لا يخلص من شرها إلا من أخلص الدعاء كدعاء الغرق قي البحر
পৃষ্ঠা - ৭২১
সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন ফিৎনা তীব্র আকার ধারন করবে তখন তোমরা সৎকাজকে মজবুত ভাবে আকড়িয়ে ধরবে এবং অসৎকাজ থেকে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে যারা বিশেষ লোক রয়েছেন তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারনকে এড়িয়ে চলবে।
أبي حازم عن عمارة بن عمرو بن حزم عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما عن النبي صلى
الله عليه وسلم قال إذا كان ذلك فخذوا ما تعرفون ودعوا ما تنكرون وأقبلوا على أمر
خاصتكم ودعوا أمر العوام
পৃষ্ঠা - ৭২২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, একবার তিনি দ্রুত গতিতে চলছিলেন অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর। যার ফলে বিভিন্ন এলাকা অতিক্রম করছিলেন, অতঃপর তিনি বললেন ‘ইরাম’ কোথায় অবস্থিত?
আমি বললাম, ইরাম হচ্ছে, মাগরিবের দিকে বার মাইলের দুরত্বে। তিনি বললেন, সিরাহ এবং আমার মাঝে কতটুকু দুরত্ব। উত্তরে আমি বললাম উভয়ের মাঝে এতটুকু দুরত্ব রয়েছে। তিনি জানতে চাইলেন সূর এবং করীনের সাথে আমার জানাশুনা রয়েছে কিনা? আমি জবাবে বললাম, হ্যাঁ উভয় এলাকা সম্বন্ধে জানাশুনা রয়েছে। অতঃপর তিনি বললেন, সেদিকে যাওয়ার কি কোনো সুযোগ রয়েছে? আমি ‘না’ করলে তিনি কারণ জানতে চইলেন জবাবে আমি বললাম, উভয়টা এমন এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত যার নিজের শহরে কোনো ধরনের মুল্যায়ন নেই। উভয়টা আক্রান্ত হয়েছে তার এক ঘনিষ্ট আত্নীয়ের মাধ্যমে এবং সেগুলো মূলতঃ তাদের সামনে বিদ্যমান। যার কারনে তাদের জন্য কোনো অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়নি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে কে? আমি জবাব দিলাম, সে হচ্ছে, রুহ ইবনে যি’না। একথা শুনে তিনি কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন। এ অবস্থা দেখে আমি বললাম, আপনার জিজ্ঞাসার ফলে আমি জবাব দিলাম, জানার বিষয় হচ্ছে, সেগুলো কি হতে পারে। তিনি বললেন, যেন আমি আখেরী যামানার কাছাকাছি নক্ষত্রের ন্যায়। নিঃসন্দেহে সেদিন মুসলমানদের জন্য সর্বোত্তম স্থান এবং ভদ্রস্থান হচ্ছে, সূর এবং করীন।
أبي عمرو عن زهير الأبلي
عن ابن عباس رضي الله عنه أنه مر بهم وهو يسرع بعدما
أصيب بصره فتعدى ثم قال أين أرم قال قلت سمتك نحو المغرب على إثنى عشر ميلا قال فكم
بيني وبين السراه قلت كذا وكذا ميلا قال هل لك علم بصور وقرين قلت نعم بهما عالم
قال فهل إلى اتباعها سبيل قلت لا قال ولم قلت وقعتا عند رجل لم يكن له ببلاد قومه
منزل فأصابهما من ذي قرابة له وهما بين ظهري قومه فلن يختار عليهما منزلا قال ومن
هو قلت روح بن زيناع قال فصمت قال قلت فسألتني رحمك الله فأخبرتك فعم ذاك فقال
لكأني أنظر إلى الفساطيط في آخر الزمان كأمثال النجوم حول أرم وإن خير منازل
المسلمين يومئذ وأرفقه بهم لصور وقرين
পৃষ্ঠা - ৭২৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হবে পর্বতের চুড়াতে অবস্থিত ছাগলের সাথে অবস্থান করবে অথবা ঐ লোক হবে সর্বোত্তম লোকের অন্তর্ভূক্ত যারা মারাত্নক ফিৎনা কালীন নিজের দ্বীন নিয়ে ফিৎনার স্থান ত্যাগ করে থাকে।
قال أخبرني عبد الرحمن بن عبد الله بن أبي صعصعة سمع أباه يحدث
عن أبي سعيد
الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يوشك أن يكون خير مال إمريء
غنم يتبع بها شعف الجبال أو شعب الجبال أو مواقع القطر يفر بدينه من
الفتن
পৃষ্ঠা - ৭২৪
হযরত আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন, এমন এক সময় আসবে যখন মানুষের কাছে উত্তম সম্পদ হবে তার ঘোড়া এবং অস্ত্র। যার উভয়টা সর্বদা ছায়ার মত তার সাথে থাকবে। সে যেদিকে যাবে উভয়টাও সেদিকে যাবে। সে স্থীর থাকলে ঘোড়া ও অস্ত্রও স্থীর থাকবে।
بن مغول عن سلمة بن كهيل عن أبي الزعراء
عن عبد الله قال خير مال الرجل يومئذ
فرسه وسلاحه يزول معهما حيث زالا
পৃষ্ঠা - ৭২৫
প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত উকবা ইবনে আমের রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে আমি আমার উম্মতের জন্য শরাবের চেয়ে দুধের ব্যাপারে বেশি আশংকা করছি। সাহাবায়ে কেরাম তার কারন জানতে চাইলে তিনি বললেন, তারা দুধকে এত বেশি পছন্দ করবে, যার কারনে আমার উম্মত জামা’আত থেকে অনেক দুরে সরে যাবে এবং সেটাকে নষ্ট করতে থাকবে।
معاوية بن سعد التجيبي عن أبي قبيل
عن عقبة بن عامر رضي الله عنه عن النبي صلى
الله عليه وسلم قال لأنا على أمتي في اللبن أخوف مني عليهم في الخمر
قالوا وكيف [ ذلك ] يا رسول الله
قال يحبون اللبن فيتباعدون من الجماعات ويضيعونها
পৃষ্ঠা - ৭২৬
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, অতিদ্রুত মুসলমানদের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হবে বকরি। যে বকরি চড়াতে গিয়ে লোকজন পর্বতের চুড়ায় চলে যাবে। এবং ফিৎনার স্থান থেকে নিজের দ্বীন নিয়ে পলায়নকারী হবে।
عن أبي سعيد
الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم يوشك أن يكون خير مال المسلم غنم
يتبع بها شعف الجبال ومواقع القطر يفر بدينه من
الفتن
পৃষ্ঠা - ৭২৭
হযরত আউন ইবনে আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাযিঃ এর ফিৎনা কালীন মিশরে চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় অঙ্গুল দিয়ে মাটি খুঁটছিল, তার এ অবস্থা দেখে এক লোক তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে অবুদ্দুনিয়া! কেন তুমি এত বেশি চিন্তিত? জবাবে তিনি বললেন, না, বরং মানুষের অবস্থা নিয়ে চিন্তা করছি। তার কথা শুনে বলা হলো, আপনাকে তো আল্লাহ তা’আলা স্বীয় চিন্তা-ফিকির দ্বারা মুক্তি দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে আপনি যা চেয়েছেন তা না দেয়ার মাধ্যমে। অথবা আমি তার উপর নির্ভরশীল ছিলাম, কিন্তু সেটাকে যথেষ্ট মনে করা হলোনা।
عن عون بن عبد
الله قال بينما رجل بمصر في فتنة ابن الزبير ينكت في الأرض إذ قام عليه رجل
فقال له بأي شيء تحدث نفسك أبا الدنيا
قال بل أتفكر في الذي نزل بالناس
قال فإن الله نجاك منها بتفكرك فيها من الذي سأل الله فلم يعطه
أو أتكل
عليه فلم يكفه
পৃষ্ঠা - ৭২৮
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, অখেরী যামানায় এমন এক যুগ আসবে যখন মানুষের কাছে সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে, ভালো একটি ঘোড়া এবং ধারালো হাতিয়ার উভয় সম্পদ মানুষ যেদিকে যাবে সেদিকেই যেতে থাকবে।
عن عبد
الله قال خير المال يومئذ فرس صالح وسلاح صالح يزول عليه العبد أين مازال
পৃষ্ঠা - ৭২৯
হযরত শুরাহবীল ইবনে মুসলিম খাোলানী তার পিতা থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন বলা হয়ে থাকে তোমাদেরকে কখনো ফিৎনা গ্রাস করে নিলে, যেন অপরিচিত, অখ্যাত কোনো সুরত অবলম্বন করো।
عن أبيه
قال كان يقال من أدركته
الفتنة
فعليه فيها بذكر خامل
পৃষ্ঠা - ৭৩০
হযরত ইবনে তাউস রহঃ স্বীয় পিতা থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ফিৎনা কালীন সর্বোত্তম মানুষ হচ্ছে, ঐ ব্যক্তি যিনি ঘোড়ার লাগাম ধরে এগিয়ে যায় এবং দুশমন সম্বন্ধে ভীত সন্ত্রস্থ থাকে। অথবা গনবিচ্ছিন্ন কোনো লোক, যে, আল্লাহ তা’আলার হক্ব আদায় করে যায়।
عن أبيه
قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الناس في
الفتن
رجل اخذ برأس فرسه يخيف العدو ويخيفونه أو رجل معتزل
يؤدي حق الله تعالى عليه
পৃষ্ঠা - ৭৩১
হযরত ইবনে খাসয়াম রহঃ বর্ননা করেন, নিশ্চই রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, ফিৎনাকালীন সর্বোত্তম মানুষ হচ্ছে, ঐ ব্যাক্তি যে, আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় তার তলোয়ার দ্বারা অর্জিত সম্পদ দ্বারা ভক্ষন করে থাকেন এবং ঐ ব্যক্তি, যে পর্বতের চুড়ায় অবস্থান করতঃ তার বকরির পাল দ্বারা জীবন যাপন করে থাকে।
أن رسول الله صلى
الله عليه وسلم قال خير الناس في
الفتن
رجل يأكل من فيء سيفه في سبيل الله ورجل في رأس شاهقة
يأكل من رسل غنمه
পৃষ্ঠা - ৭৩২
হযরত আউন ইবনে আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, অতিসত্তর এমন কিছু জিনিস প্রকাশ পাবে যেখানে কেউ উপস্থিত না থেকেও যদি সন্তুষ্ট থাকে, সেটা হবে যেন স্বশরীরে উপস্থিত ছিল, পক্ষান্তরে কেউ উপস্থিত থেকেও অসন্তষ্ট থাকলে সে যেন সম্পুর্ন রুপে অনুপস্থিত ছিল।
عن عون بن عبد الله
قال ستكون أمور فمن رضيها ممن غاب عنها كان كمن شهدها ومن كرهها ممن شهدها فهو كمن
غاب عنها
পৃষ্ঠা - ৭৩৩
হযরত আউন ইবনে আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে অনেক লোক এমন রয়েছে, যারা গুনাহের স্থলে উপস্থিত থেকে ও সেটা অপছন্দ করার কারনে যেন সেই লোক সেখানে উপস্থিত ছিল। পক্ষান্তরে কেউ উক্ত গুনাহের স্থলে অনুপস্থিত থেকে যদি সেটার উপর রাযি থাকে তাহলে যেন সে লোক উক্ত গুনাহের কাজে উপস্থিত ছিল।
عون بن عبد الله
عن عبد الله قال إن الرجل ليشهد المعصية يعمل بها فيكرهها
فيكون كمن غاب عنها ويغيب عنها فيرضاها فيكون كمن شهدها
পৃষ্ঠা - ৭৩৪
রবি ইবনে আমীলা রহঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, যদি তুমি কাউকে অসৎ কাজ করতে দেখ আর বাঁধা দেয়া সম্ভব না হয়। তাহলে তোমার জন্য এতটুকু যথেষ্ঠ যে, আল্লাহ তা’আলাকে জানিয়ে দাও, নিশ্চই তুমি অন্তর দ্বারা এ অসৎ কাজকে ঘৃণা করে থাক।
وأخبرني طلحة اليامي عن عمارة بن عمير عن الربيع بن عميلة سمع ابن مسعود قال إذا
رأيت المنكر فلم تستطع له غيرا فحسبك أن يعلم الله تعالى أنك تنكره بقلبك
পৃষ্ঠা - ৭৩৫
হযরত আবু বকর ইবনে আইয়াশ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আলী ইবনে আবি তালেব রাযিঃ কে ‘চির নিন্দ্রা’ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাব দিলেন। যে লোক যাবতীয় ফিৎনা থেকে এত অধিক পরিমাণ চুপ থাকে, যার কারনে কোনো ফিৎনাই তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
قيل لعلي بن أبي طالب رضى الله عنه
ما النومة
قال الرجل يسكت في
الفتنة فلا يبدو منه شيء
পৃষ্ঠা - ৭৩৬
হযরত আউফ রহঃ মুসাফির নামক এক কুপার এলাকার বাসিন্দা থেকে বর্ননা করেন, তিনি আলী রাযিঃ থেকে বর্ননা করেন, ফিৎনা কালীন যুগে প্রত্যেক মুসলমানকে তার নিদ্রায় মুক্তি দিবে।
عوف عن رجل من أهل الكوفة أحسبه قال اسمه مسافر عن علي قال ينجو في ذلك الزمان كل
مؤمن نومه
أول علامة تكون من علامة البربر وأهل المغرب في خروجهم