আল ফিতন

العلامات في إنقطاع ملك بني أمية

পৃষ্ঠা - ৫২০
হযরত আবুত্ তোফাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, শাসন ক্ষমতা বনু উমাইয়ার হাতে বহাল থাকবে তাদের মধ্যে পরস্পর এখতেলাফ না হওয়া পর্যন্ত আর এখতেলাফ করলে ক্ষমতা আর বাকি থাকবেনা।
حدثنا سفيان عن العلاء بن أبي العباس سمع أبا الطفيل
سمع
عليا رضى الله عنه يقول لا يزال هذا الأمر في بني أمية ما لم يختلفوا بينهم
পৃষ্ঠা - ৫২১
সাঈদ ইবনে সালেম আল-জায়শানী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাদের কাছে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পরস্পর যুদ্ধ লিপ্ত না হবে এবং একে অপরের সাথে মতবিরোধ না করবে। যখন তারা এমন কার্যকলাপে জড়িয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা তাদের উপর কাফেরদের পক্ষ থেকে একটি দলকে চাপিয়ে দিবেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন শহরে হত্যা করতে থাকবে আর বিভিন্ন ভাবে গণনা করা হবে। আল্লাহর কসম! তারা এখতেলাফে জড়িয়ে পড়লে এক বৎসরে দুইজন এবং দুই বৎসরে চারজন বাদশাহ পরিবর্তন হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পরস্পরের সাথে একতেলাফে জড়িত হলে এক বৎসরে দুই জন শাসক ক্ষমতাসীন হবে।
حدثنا ابن وهب عن حرملة بن عمران عن سعيد بن سالم الجيشاني
سمع عليا يقول
الأمر لهم حتى يقتلوا قتيلهم ويتنافسوا بينهم فإذا كان ذلك بعث الله عليهم أقوما من
المشرق فيقتلوهم بددا واحصوهم عددا والله لا يملكون سنة إلا ملكنا سنتين ولا يملكون
سنتين إلا ملكنا أربعا
পৃষ্ঠা - ৫২২
হযরত উবাইদা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, বনু উমাইয়ার হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরু দায়িত্ব থাকবে, যতক্ষণ না তারা পরস্পরের সাথে এখতেলাফে জড়িয়ে হয়ে পড়ে। আর যদি তারা এখতিলাফে জড়িত হয় তাহলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাদের হাত থেকে চলে যাবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারবে না।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أيوب عن ابن سيرين عن
عبيدة قال
سمعت عليا رضى الله عنه يقول لا يزال هؤلاء القوم آخذين بثبج هذا
الأمر ما لم يختلفوا بينهم فإذا اختلفوا بينهم خرجت منهم فلم تعد إليهم إلى يوم
القيامة يعني بني أمية
পৃষ্ঠা - ৫২৩
হযরত হাসান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো জাতির মধ্যে চারটি আচরণের যে কোনো একটি প্রকাশ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গুরুদায়িত্ব তাদের হাতে থাকবে। তার একটি হচ্ছে, আল্লাহ পাক তাদেরকে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করাবেন। দ্বিতীয়তঃ পূর্ব দিক থেকে কালো পতাকা বিশিষ্ট একদল সৈন্যের আত্মপ্রকাশ ঘটবে, যারা ক্ষমতাসীনদেরকে হত্যা করা বৈধ মনে করবে। আরেকটি হচ্ছে, যে শহরে যুদ্ধ বিগ্রহ হারাম সেখানে নিরপরাধ লোকদেরকে হত্যা করা হবে। যার কারণে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সহযোগিতা করা ত্যাগ করবেন। চতুর্থতঃ যুদ্ধ বিগ্রহ হারাম করা হয়েছে এমন শহরে বিশাল এক বাহিনী পাঠানো হবে, এবং তারা সকলে একসাথে জমিনের ভিতর ধসে যাবে।
حدثنا المعتمر بن سليمان عن أبي عمرو قال حدثني
قيس بن سعد
عن الحسن بن محمد بن علي قال لا يزال القوم على ثبج من أمرهم حتى
ينزل بهم إحدى أربع خلال يلقي الله بأسهم بينهم أو تجيء الرايات السود من قبل
المشرق فتستبيحهم او تقتل النفس الزاكية في البلد الحرام
فيتخلى الله منهم أو
يبعثوا جيشا إلى البلد الحرام فيخسف بهم
পৃষ্ঠা - ৫২৪
হিন্দ্ বিন্তে মুহাল্লাব রহঃ থেকে বর্ণিত, হযরত ইকরামা রহঃ তাকে বলেছেন, তিনি হিন্দ বিনতে মুহাল্লাবের কাছে প্রায় সময় আসতেন এবং হাদীস বর্ণনা করে যেতেন। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণনা করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বনু উমাইয়ার লোকজন সামান্য বিষয় নিয়ে পরস্পর মতবিরোধে লিপ্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকবে। তবে এদের মধ্যে সামান্য মতপার্থক্য দেখা দিলে কিয়ামত পর্যন্ত তাদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হবে। পরবর্তীতে আর কখনো তারা ক্ষমতার মালিক হতে পারবে না।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر
قال أخبرني بعض الحي عن الهند بنت المهلب
أن عكرمة مولى ابن عباس أخبرها وكان
يدخل عليها كثيرا ويحدثها قال قال ابن عباس رضى الله عنه لا يزال هذا الأمر في بني
أمية ما لم يختلف بينهم رمحان فإذا اختلف بينهم رمحان خرجت منهم إلى يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ৫২৫
কা’বের স্ত্রীর ছেলে তাবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু উমাইয়া দীর্ঘ একশত বৎসর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, মারওয়ানের সন্তানরা ক্ষমতায় ছিলেন ষাট বৎসর থেকে কিছু বেশি সময় । তারা নিজেরাই হাতছাড়া করা পর্যন্ত তাদের হাতেই ক্ষমতা বহাল ছিল। অনেকেই তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে চাইলেও সেটা সম্ভব হয়নি। যখনই এক প্রান্ত থেকে আটকাতে চেয়েছে, তখনই আরেক প্রান্তে ধসে পড়বে। মীম দ্বারা তাদের বিজয় শুরু হবে এবং মীম দ্বারা সেটা শেষ হবে। তাদের কাছে রাজত্ব বাকি থাকবে, এক পর্যায়ে তাদের বংশে এক খলীফা বের হয়ে হত্যা করবে এবং তার বাহনকেও হত্যা করা হবে। তেমনিভাবে জামিরার ধূসর রংয়ের গাধাটিও হত্যা করা হয়। অতঃপর তাদের রাজত্ব খতম হয়ে যায় এবং মারওয়ানের হাতে বনুউমাইয়ার রাজত্ব এমনভাবে খতম হবে যেমন হাত-পায়ের নখকে পুরোপুরিভাবে কেটে ফেলা হয়।
حدثنا عبد الله بن مروان عن أرطاة بن المنذر قال حدثني تبيع ابن امرأة
كعب
قال ملك بني أمية مائة عام لبني مروان من ذلك نيف وستون عاما لا يذهب ملكهم
حتى ينزعوه بأيديهم يريدون سده فلا يستطيعونه كلما سدوه من ناحية انهدم من ناحية
يفتتحون بميم ويختمون بميم ولا يذهب ملكهم حتى يخلع خليفة منهم فيقتل ويقتل حملاه
ويقتل حمار الجزيرة الأصهب مروان ثم ينقطع ملكهم وعلى يديه هدم الأكاليل
পৃষ্ঠা - ৫২৬
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক যুবক খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, যার কোনো ছেলে-সন্তান ছিলনা। দিমাশ্কে বিদ্রোহের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হলে, পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে মানুষের মাঝে দ্বন্দ দেখা দিবে।
حدثنا رشدين بن سعد عن ابن لهيعة عن عبد العزيز بن صالح عن علي بن رباح
عن ابن
مسعود قال يلي على الناس خليفة شاب يبايع لا بنين له فيقتل بدمشق بغدر وتختلف الناس
بعده
পৃষ্ঠা - ৫২৭
হযরত এরবায ইবনে মারিয়া রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, শাম দেশে একজন খলীফাকে হত্যা করা হলে পরবর্তীতে নাহক্বভাবে হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে এবং আল্লাহ তাআলা পক্ষ থেকে নির্দেশ তথা কিয়ামত না হওয়া পর্যন্ত যে খলীফাই আসুক না কেন এভাবে নাজায়েয ও অবৈধ কাজ চলতেই থাকবে।
حدثنا بقية وعبد القدوس عن بشر بن عبد الله بن يسار عمن حدثه
عن عرباض بن سارية قال إذا قتل خليفة بالشام لم يزل فيها دم مسفوك حراما وإمام
لا تحل حرمته حتى يأتي أمر الله
পৃষ্ঠা - ৫২৮
সাকাসিক // গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন কুরাইশরা তাদের কোনো দায়িত্বশীলকে হত্যা করবে তখন আল্লাহ তাআলা তাদের উপর তাদের দুশমনকে চাপিয়ে দিবেন। এমন কি তাদের বয়স্ক কিংবা আমীর সকলকে হত্যা করা হবে। তখন জাযিরার বাসিন্দাদেরকে সমূলে উৎখাত করা হবে।
حدثنا يحيى بن سعيد العطار عن رجل منهم
يقال له حجاج عن مهاجر
عن رجل من السكاسك قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
إذا قتلت قريش حمليها أغرى الله العدواة بينها حتى لا يبقى ذو كبر في نفسه ولا أمير
إلا قتل ويكون الصيلم بالجزيرة
পৃষ্ঠা - ৫২৯
হযরত যির ইব্নে হুবাইশ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, খবরদার! নিঃসন্দেহে আমার নিকট সবচেয়ে বড় ফেৎনা যেটা শঙ্কিত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, বনু উমাইয়ার ফেৎনা। নিঃসন্দেহে সে ফেৎনা অন্ধ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন।
حدثنا أبو هارون عن عمرو بن قيس الملائي
عن المنهال ابن عمرو عن ذر بن حبيش
سمع عليا رضى الله عنه يقول ألا إن أخوف
الفتن
عندي عليكم فتنة بني أمية ألا
إنها فتنة عمياء مظلمة
পৃষ্ঠা - ৫৩০
আযহার ইবনুল ওলীদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উম্মুদ্দারদাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আবুদ্দারদাকে বলতে শুনেছি, শাম এবং ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে যখন বনু উমাইয়ার জনৈক যুবক খলীফাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, তখন থেকে খলীফার প্রতি আনুগত্য হালকা হতে থাকে এবং নাহক্বভাবে জমিনের বুকে রক্তপাত হতে থাকবে। যুবক খলীফা হচ্ছেন, ওলীদ ইবনে ইয়াযীদ।
حدثنا الوليد بن مسلم عن حصين بن الوليد عن الأزهر
ابن الوليد قال سمعت أم الدرداء تقول
سمعت أبا الدرداء رضى الله عنه يقول إذا
قتل الخليفة الشاب من بني أمية بين الشام والعراق مظلوما لم تزل طاعة مستخف بها ودم
مسفوك على وجه الأرض بغير حق يعني الوليد بن يزيد
পৃষ্ঠা - ৫৩১
হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবু হাবীব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের উপর কোনো টেরা লোককে খলীফা নিযুক্ত করা হলে যদি তোমার শক্তি থাকে তাহলে মিশর ছেড়ে শাম দেশের দিকে চলে যাও। এটা অবশ্যই হিশাম খলীফা নিযুক্ত হওয়ার পূর্বের ঘটনা।
حدثنا رشدين عن ابن
لهيعة
عن يزيد بن أبي حبيب قال كان يقال إذا كان على الناس خليفة أحول فإن قدرت
أن تخرج من مصر إلى الشام فافعل قال وذلك قبل خلافة هشام
পৃষ্ঠা - ৫৩২
সুফিয়ান আল-কালবী রহঃ বর্ণনা করেন, যখন ওলীদ ইবনে ইয়াযিদ নামক উমাইয়া বংশের কেউ খেলাফতের দায়িত্বগ্রহন করবে তখনই উমাইয়া খেলাফতের বিদায়ী ঘন্টা বেজে উঠবে। অতঃপর যখন ইবনে আব্দুল মালিক খলীফা হবেন কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া মারা যায় তখন সুফিয়ান আল-কালবীকে বলা হলো, কৈ তোমার কথা তো ঠিক হয়নি। জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমার কথা বাস্তবায়ন হওয়ার জন্য ওলীদ ইয়াযিদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং অতিসত্ত্বর সে খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহন করবে।
قال يزيد بن أبي
حبيب وأخبرنا سفيان الكلبي قال إذا استخلف رجل من آل مروان يقال له الوليد فعند ذلك
تنقطع خلافة بني أمية فلما استخلف الوليد بن عبد الملك ثم مات قيل له أين ما قلت
قال ليستخلفن منهم رجل يقال له الوليد بن يزيد
পৃষ্ঠা - ৫৩৩
হযরত খালেদ ইবনে আবু আমর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুফিয়ান আল-কালবী রহঃ এরশাদ করেন, বনু উমাইয়ার রাজত্বের পতন হচ্ছে যখন তাদের বংশের অল্প বয়স্ক এক যুবক খলীফা হওয়ার তার আম্মাসহ তাকে হত্যা করা হবে মূলতঃ তখনই বনু উমাইয়ার শাসন ক্ষমতার বিদায়ী ঘন্টা বেজে উঠবে।
قال نعيم قال رشدين قال
ابن لهيعة عن خالد بن أبي عمران قال قال سفيان الكلبي ذهاب سلطان بني أمية إذا
استخلف غلام منهم ثم قتل وقتلت معه أمه فعند ذلك ينقطع سلطانهم
পৃষ্ঠা - ৫৩৪
হযরত মুজাহিদ রহঃ তাবী রহঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বনু উমাইয়ার হাতে বহাল থাকবে। এক পর্যায়ে এক লোকের ঔরশ থেকে চারজন খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহন করবে। চারজন হচ্ছে, সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিক, হিশাম, ইয়াযিদ এবং ওলীদ।
حدثنا ابن
عيينة عن سليمان الأحول عن مجاهد عن تبيع قال لا يزال هذا الأمر في بني أمية حتى
يملكهم أربعة كلهم من صلب رجل سليمان بن عبد الملك وهشام ويزيد والوليد
পৃষ্ঠা - ৫৩৫
ইব্নে ওয়াহাব রহঃ থেকে বর্ণিত, একদিন হযরত মুয়াবিয়া রাযিঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃকে বললেন, তখন কি এক প্রয়োজনে মারওয়ান ইবনে হাকাম তার ঘরে এসে বের হয়ে গিয়েছেন। হযরত মুয়াবিয়া রাযিঃ তখন বলেন, আপনি কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন হাকামের সন্তান সংখ্যা চারশত নিরান্নব্বই জন পূর্ণ হবে তখনই তাদের ধ্বংস হওয়া খেজুর চিবিয়ে খতম করার ন্যায় শুরু হয়ে যাবে। জবাবে ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ বললেন, অবশ্যই জানি। এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل عن بن موهب
أن معاوية قال لابن عباس ودخل
عليه مروان بن الحكم في حاجة له ثم أدبر أما تعلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم
قال إذا بلغ بنو الحكم تسعة وتسعين وأربع مائة كان هلاكهم أسرع من لوك التمرة فقال
ابن عباس اللهم نعم
পৃষ্ঠা - ৫৩৬
হযরত কাসির ইব্নে মুররা আল-হাজরামী রহঃ থেকে বর্ণিত, বনু উমাইয়ার শাসন ক্ষমতা পতন হওয়ার পর পৃথিবী আমার এই দুই জুতার মধ্যবর্তী স্থানের ন্যায় বিদ্যমান থাকা পছন্দ করিনা। অর্থাৎ, তখন পৃথিবী অশ্লীলতায় ভরপুর হয়ে যাবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن شراحيل بن عياض عن
أبي البطحاء عن كثير بن مرة الحضرمي قال ما أحب أن ما بقي من الدنيا بعد ذهاب بني
أمية بنعلي هاتين
পৃষ্ঠা - ৫৩৭
হযরত আবু উমাইয়া আল-কালবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি ইয়াযিদ ইব্নে আব্দুল মালিক এর খেলাফতকালীন এমন একজন শেখ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যিনি জাহেলী যুগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, হিশামের মৃত্যুর পর একজন যুবক খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহন করতঃ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করবেন। যিনি প্রজাদেরকে এমনভাবে দান করবেন, যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি। আহলে বাইতের একজন লোক (যার পরিচয় কোথাও উল্লেখ করা হয়নি) আত্মপ্রকাশ করে যে যুবক বাদশাহকে হত্যা করবে তার উভয় হাতে রক্ত প্রবাহিত করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তার হাত দ্বারা যাবতীয় সম্পদ বিনষ্ট হবে। এরপর জাযিরার দিক থেকে একলোক এসে তালোয়ারের সামনে জোরপূর্বক তার হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিবে। এরপর কালো ঝান্ডা বিশিষ্ট বিশাল এক বাহিনী তোমাদের উপর রক্ত বন্যা বয়ে দিবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن ابي عبدة المشجعي
عن أبي
أمية الكلبي أنه حدثهم في خلافة يزيد بن عبد الملك عن شيخ لهم أدرك الجاهلية قال
يليكم بعد موت هشام رجل منهم شاب يعطي الناس عطايا لم يعطيها أحد قبله فينشأ به رجل
من أهل بيته خفي لم يذكر فيقتله تهراق على يديه الدماء وتنقطع على يديه الأرحام
وتهرج على يديه الأموال ثم يأتيكم مدين من هاهنا وأشار إلى الجزيرة فيأخذها بسيفه
قسرا ثم تأتيكم بعد مدين الرايات السود يسيلون عليكم سيلا
পৃষ্ঠা - ৫৩৮
ইব্নে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু উমাইয়া খলীফা মৃত্যুবরণ করার পর একজন যুবক খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তাকেও হত্যা করা হবে। অতঃপর জাযিরার পক্ষ থেকে একজনের আগমন হবে, সুলাইমান ইবনে হিশাম তখন জাযিরার অবস্থান করছিলেন। এরপরই কালো ঝান্ডা বিশিষ্ট লোকের আগমন ঘটবে।
حدثنا عبد الله
بن مروان عن سعيد بن يزيد التنوخي
عن الزهري قال يموت هشام موتا ثم غلام من أهل
بيته يقتل قتلا ثم الذي يأتي من نحو الجزيرة وسليمان بن هشام يومئذ بالجزيرة يقتل
قتلا ومن بعده الرايات السود
পৃষ্ঠা - ৫৩৯
হযরত নাযাল ইব্নে সীরিন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, বনু উমাইয়ার শাসকদের উপর কঠিন কঠিন মসিবত আসতে থাকবে। এক পর্যায়ে তাদের প্রতি পঙ্গপালের ন্যায় বিশাল বাহিনী আসতে থাকবে। যারা কাউকে আমীর হিসেবেও মানবেনা আবার কারো অধীনস্ততাও স্বীকার করবেনা। এমন পরিস্থিতি দেখাদিলে আল্লাহ তাআলা বনু উমাইয়ার হাত থেকে রাজত্ব নিয়ে যাবেন।
حدثنا هشيم عن جويبر عن الضحاك عن النزال بن
سبرة
سمع عليا رضى الله عنه يقول لا يزال بلاء بني أمية شديد حتى يبعث الله
العصب مثل قزع الخريف يأتون من كل ولا يستأمرون أميرا ولا مأمورا فإذا كان ذلك أذهب
الله ملك بني أمية
পৃষ্ঠা - ৫৪০
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, শাম দেশে ব্যাপক এক ফেৎনা প্রকাশ পাবে, যার মধ্যে অনেক রক্তপাত হবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং ধনসম্পদ লুণ্ঠন করা হবে। এরপর পূর্বদিক থেকে বিশাল এক বাহিনী ধেয়ে আসবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن عبد الجبار بن رشيد
الأزدى عن ربيعة القصير عن
تبيع
عن كعب قال تكون بالشام فتنة تسفك فيها الدماء
وتقطع فيها الأرحام وتهرج فيها الأموال ثم تتبعها الشرقية
পৃষ্ঠা - ৫৪১
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি এরশাদ করেন, হিশামের মৃত্যুবরণ করার পর কয়েক বৎসরের জন্য একজন লোক খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, পরবর্তীতে আরেকজন লোক খলীফা হবে, যার হাতে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর তীমা নামক এলাকা থেকে আরেকজন লোক প্রকাশ পাবে, যার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসবে। ঐ লোক এবং তার সন্তানরা মিলে প্রায় পঞ্চশ বৎসর খেলাফতের দায়িত্ব পালন করবে।
حدثنا رشدين عن
ابن لهيعة عن يزيد بن أبي حبيب
عن كعب قال يكون بعد موته رجل يلي قدر حمل امرأة
وفصال ولدها ويملك آخر لا يكون شيء حتى يهلك ثم يأتي رجل يقبل من تيماء قد حضر أجله
يكون هو وولده خمسين سنة
পৃষ্ঠা - ৫৪২
হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু উমাইয়্যার সর্বশেষ খলীফার শাসন আমল থাকবে মাত্র দুই বৎসর, বা তার চেয়েও কম।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن يزيد بن قوذر عن
ابي صالح
عن تبيع قال آخر خليفة من بني أمية يكون سلطانه سنتين لا يبلغ ذلك
পৃষ্ঠা - ৫৪৩
আমাদের মাশায়েখদের কতিপয় গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি বর্ণনা করেন, ইয়াশু এবং কা’ব রহঃ একদিন একত্রিত হয়। ইয়াশু ছিলেন, আলেম এবং কারী, যিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ নবী হওয়ার পূর্বের কিতাবাদি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তারা উভয়জন একে অন্যকে জিজ্ঞাস করতে গিয়ে ইয়াশু রহঃ হযরত কা’ব রহঃকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার কি জানা আছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিদায়ের পর রাজা-বাদশাহদের কি অবস্থা হবে। জবাবে কা’ব রহঃ বলেন, আমি তাওরাতে পেয়েছি, প্রায় বার জন বাদশাহ হবেন, তাদের প্রথমজন হবেন সিদ্দীক, এরপর ফারুক, আল-আমীন, রা’সুল মুলুক, সাহেবুল আহরাছ, জাব্বার,সাহেবুল আ’সাব। তিনিই হবেন সর্বশেষ খীলফা এরপর হবেন সাহেবুল আলামাত। তিনিও মারা যাবেন। তবে যাবতীয় ফেৎনা প্রকাশ পাবে যখনই ইবনু মাহেক আয্ যাহীরিয়্যাতকে হত্যা করা হবে। মূলতঃ তখন থেকে তাদের উপর বিভিন্ন ধরনের বালা মসীবত আসতে থাকবে এবং ন¤্রতা ও সহনশীলতা উঠিয়ে নেয়া হবে। এরপর সাহেবুল আলামতের পরিবার থেকে চারজন বাদশাহ হবে। তার মধ্যে দুইজন বাদশাহ হচ্ছেন তাদের জন্য কোনো কিতাব পাঠ করা হবেনা। আরেকজন বাদশাহ যিনি নিজের বিছানায় মৃত্যুবরণ করবে। তবে তার রাজত্বকাল হবে সামান্য সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশাহ, যিনি জওফের দিক থেকে আগমন করবে,তার হাতেই বিভিন্ন বালা-মসীবত সংঘটিত হবে। এবং মাধ্যমে সবকিছু সমূলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। তিনি হিম্স এলাকায় একশত বিশদিন পর্যন্ত অবস্থান করবে, ঐসময় তার এলাকার পক্ষ থেকে আতংক ছড়িয়ে পড়বে। যার কারণে সকলে সেখান থেকে পলায়ন করবে এবং জওফ নামক এলাকায় বালা-মসীবত দেখা দিবে। আবার তারাও পরস্পরের সাথে বালা-মসীবতে লিপ্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তাদের রাজত্ব খতম হয়ে যাবে এবং অন্য গোত্রের লোকজন তাদের উপর বিজয়ী হয়ে শাসনক্ষমতা চালাতে থাকবে।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش
حدثنا الثقات من مشايخنا أن يشوع
وكعبا اجتمعا وكان يشوع رجلا عالما قارئا للكتب قبل مبعث النبي صلى الله عليه وسلم
فتساءلا فسأل يشوع كعبا فقال ألك علم بما يكون بعد هذا النبي من المولك قال كعب أجد
في التوراة اثني عشر ملكا أولهم صديق ثم الفاروق ثم الأمين ثم رأس الملوك ثم صاحب
الأحراس ثم جبار ثم صاحب العصب وهو آخر الملوك يموت موتا ثم يملك صاحب العلامة يموت
موتا فأما
الفتن
فإنها تكون إذا
قتل ابن ماحق الذهيبات فعند ذلك يسلط البلاء ويرفع
الرخاء وعند ذلك يكون
أربعة ملوك من أهل بيت صاحب العلامة ملكان لا يقرأ لهم
كتاب
وملك يموت على فراشه يكون مكثه قليل وملك يجيء من قبل
الجوف على يديه يكون البلاء وعلى يديه تكسر الأكاليل يقيم على حمص عشرين ومائة صباح
يأتيه الفزع من قبل أرضه فيرتحل منها فيقع البلاء بالجوف ويقع البلاء بينهم ثم
ينقطع أمرهم ويجيء من أهل بيت غيرهم فيغلب عليهم
পৃষ্ঠা - ৫৪৪
আবু আমর আত্তাঈ রহঃ বলেন, মরওয়ান যখন হিম্স নগরীকে অবরুদ্ধ করে রাখে তখন আমি সেখানে ছিলাম। উক্ত অবরোধ প্রায় চারমাস কিংবা সে পরিমান সময় পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। যার কারণে ক্ষুধা-তৃষ্ণা তাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। সেখানে অবস্থানকারীদের জীবন সংকীর্ণ হয়ে উঠে। ফলে তারা সন্ধি করার প্রস্তাব দিয়ে পাঠায়। এদিকে মরওয়ান শহরের বাহিরে বিশাল গর্ত খনন করার নির্দেশ দেয়। যখন সিমান্তের নিচে গর্ত করা হয় হুবহু শহরের ভিতরেও সেরকম গর্ত খনন করতে হিম্স এলাকার আরেকদলকে নির্দেশ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা গলিমুখে স্বাক্ষাৎ করে। এদিকে হিম্সবাসীদের একটি অংশ ছিল শহরের ভিতরে। যার কারণে মরওয়ানের লোকজন গর্ত করা আরম্ভ করলে শহরে অবস্থানকারীদেরকেও তার বরাবর গর্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এভাবে উভয়দল গর্ত খনন করতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় দলের স্বাক্ষাৎ হয়ে যায়। কখনো কখনো গর্তের উপরের ্অংশ ধসে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে যায়। সেখানেই মরওয়ান তার বাহিনীকে কোথাও গর্ত করার নির্দেশ দিতেন হুবহু তার বরাবর হিমসের বাসিন্দারা গর্ত খনন করে নিত। অতঃপর শহরের মধ্যে অবস্থানকারী মরওয়ানের লোকজন মরওয়ানকে বলল, যখনই আমরা গর্ত করি সাথেসাথে তারাও গর্ত করা আরম্ভ করতে শুরু করে দেয়। ফলে তাদের এবং আমাদের মাঝে মোকাবেলা হয়। ফলে মরওয়ান তার বংশের লোককে ডেকে পাঠায় এবং তাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। তবে নিবতী লোকটি তার কাছে যেতে অস্বীকার করে। যখন মরওয়ান তার বংশের লোকের সাথে চুক্তি করতে নিরাশ হয়ে যায় তখন বললেন, তাদের দিকে পানি প্রবাহিত হওয়ার যত পথ রয়েছে সবগুলো বন্ধ করে দাও। যখন হিমসবাসীরা মরওয়ানের সিদ্ধান্ত জানতে পারে তখন মরওয়ানের সৈন্যদের বিপরীত সিমান্তবর্তী এলাকায় একজন কালো লোককে নিযুক্ত করে। কিছুক্ষণপর তাদেরকে ডাক দিয়ে বলে, মরওয়ান! যদি তুমি পিপার্ষাত হও তাহলে আমরা তোমাকে পানি পান করাব। আর যদি ক্ষুদার্থ হও তাহলে তোমার খাবারের ব্যবস্থা করব,আর যদি তুমি চাও যে, আমরা তোমার সাথে এ আচরন করি তাহলে অবশ্যই আমরা সে আচরণই করব। তোমার সৈন্যদলকে তুমি কন্ট্রোল কর। তোমার প্রতি প্রবাহিত হওয়া পানি তোমাকে আর ডুবিয়ে মারবেনা। অতঃপর শহরে এলান করে দেয়া হলো, শহরে অবস্থিত হারিছ নামক নদীটি যেন চালু করে দেয়া হয়, যেন শহরের বাহিরেও পানির প্রবাহ বাকি থাকে, তবে পানির ¯্রােত দেখে শহর বাসীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়। আবার তার উপর বিভিন্ন কূপ থেকেও পানি ঢালা হয়, যেন সে পানি প্রবল ¯্রােতের সাথে মরওয়ানের সৈন্যবাহিনীর উপর আছড়ে পড়ে। যেই ভাবা সেই কাজ। ¯্রােতের সাথে উক্ত পানি মরওয়ানের সৈন্যবাহিনীর গায়ে গিয়ে পড়ে, তখন তারা ভীতসন্ত্রস্তÍ হয়ে ছুটতে থাকে। হঠাৎ মরওয়ান বলে উঠল, এটা আবার কি? জবাবে সৈন্যরা বলল, হিম্স নগরীর দিক থেকে তারা আপনার বিরুদ্ধে প্রবল ¯্রােতের সাথে পানি প্রবাহিত করেছে। অতঃপর মরওয়ান বলল, আমি তো ধারনা করেছিলাম হয়তো তারা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে, অথচ তাদের কাছে এত বেশি পানি মজুদ রয়েছে যদ্বারা আমার সৈন্যবাহিনীকে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এরপর মরওয়ান তার সৈন্যকে অবরোধ তুলে নির্দেশ দিলে তারা অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
أخبرني أبو عامر الطائي
قال كنت بحمص يوم حاصر مروان حمص أربعة أشهر أو نحو ذلك حتى خلص إليهم الجوع والعطش
وضاق من فيها حتى أرادوا مصالحته قال فكان مروان يأمر قوما يحفرون خارج المدينة
فإذا أخذوا في الحفر تحت سورها حفر بحذاهم من داخل المدينة قوم آخرون من أهل حمص
حتى يلتقوا في الأسراب وكان لأهل حمص نبطي في المدينة إذا أخذ أصحاب مروان في الحفر
أمر من في المدينة أن يحفروا بحذاهم فلا يزالون يحفرون حتى يلتقوا وربما سقط عليهم
حفيرتهم فيموتون جميعا وكان مروان لا يأمر بالحفر عليهم من موضع إلا حفروا داخل
المدينة بحذاهم فقيل لمروان في المدينة نبطي لا يحفر عليهم من خارج حفرا إلا أمرهم
فحفروا بحذانا حتى نلتقي نحن وهم فيها قال فدس مروان إلى النبطي فأطعمه في مال
يوصله إليه فأبى النبطي أن يخرج إليه فلما أيس من النبطي قال اقطعوا عنهم كل ماء
يصل إليهم من وجه من الوجوه فلما علم أهل حمص بذلك أقاموا على سورهم رجلا أسود
عريان بحذاء عسكره فناداهم فقال يا مروان إن كنت عطشانا أسقيناك وإن كنت جائعا
أطعمناك وإن كنت تريد أن نفعل بك كذا وكذا فعلنا بك فاحفظ عسكرك لا يغرقك ما يرسل
عليك
من الماء ثم نادوا في المدينة أن يرسلوا الحريس نهر لهم يجري إلى خارج
المدينة يخيف المدينة وقدرها فصبوا فيه الماء من الآبار فخرج منه على عسكر مروان
ماء جرارا فلما مر بعسكر مروان فزعوا منه فقال مروان ما هذا قالوا ماء أرسلوه عليك
من مدينة حمص فقال ظننت أنه قد وصل إليهم العطش وعندهم من فضول الماء ما يخاف على
عسكرنا منه الغرق ارتحلوا فارتحل عنهم
في خروج بني العباس