আল ফিতন

ما وقت فى الفتن من الأوقات للسنين والشهور والأيام

পৃষ্ঠা - ১৯৯১
হযরত আরতাত ইবনে মুনযির হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট এখবর পৌছেছে যে, নাছ নবী ছিল। আর সে দাহরের ব্যপারে আলোচনা করেছে। অতপর তিনি বলেন দাহর হল সাতটি সাবু’। আর এক সাবু’ হল সাত হাজার বছর। আর ইদান হল এক হাজার বছর। অতপর পূর্ববর্তী সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন। অতপর তিনি তার বিষয়ে যা ছিল এমনকি শেষ সময় পর্যন্ত আলোচনা করলেন। অতপর তিনি বললেন যখন শেষ সাবু’ এর চার ইদান শেষ হবে তখন আযরাউল বাতুল জন্ম গ্রহণ করবে। সে নিদর্শনাবলী নিয়ে আসবে। সে মৃতকে জীবিত করবে, আকাশে উড়বে। আর তার পর আহওয়া বিভিন্ন হয়ে যাবে। অতপর তারপরে একজন দাসীর সন্তানের প্রকাশ ঘটবে। বারটি পতাকাতে। যার প্রথম হল ঐব্যক্তি যার জন্ম হবে হরমে। তার জন্মে আকাশ অভ্যর্থনা জানাবে। তার অবির্ভাবে ফিরিশতাগণ সুসংবাদ দিবে। অতপর সে সমস্ত উম্মতের উপর প্রকাশ পাবে। যে তাকে স্বীকার করবে সে নিরাপদ থাকবে। আর যে তাকে অস্বীকার করবে সে কাফের। সে পারস্যের উপর বিজয় লাভ করবে এবং উহার বাদশা হবে। এমনিভাবে সে আফ্রিকা জয় করবে ও উহার বাদশা হবে। এমনিভাবে সুরিয়াও (জয় করে বাদশা হবে)। সে অবস্থান করবে তিন সাবু’ হতে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশ পর্যন্ত। এর আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রশংসিত অবস্থায় তাকে গ্রহণ করবেন। (সে মারা যাবে।) তারপর উমাইয়া বাদশা হবে। সে হবে দূর্বল, সত্যবাদী, ও অল্পহায়াত বিশিষ্ট। তার খেলাফাতের সময় মিসরে কঠিন দূর্ভিক্ষ দেখা দিবে। আর সে হিন্দের বাদশাহী ধ্বংস করে দিবে। তার হায়াত হল এক সাবু’ এর সপ্তমাংশ। তার পর একজন শক্তিশালী ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি বাদশা হবে। সে সিরিয়ার বিজয় লাভ করবে। একটি বিপদ বা মুসিবত তাকে শেষ করে দিবে। তার হায়াত হল এক সাবু’ ও একতৃতীয়াংশ সাবু’ এর অর্ধেক। তারপর এক অক্ষম ব্যক্তি বাদশা হবে। আর তাকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যাকারী সফল হবে না। তার হায়াত হল দুই সাবু’ হতে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশ কম। তারপর বড় ঘরের (রাস) মূল ব্যক্তি বাদশা হবে। সে মাল সম্পদ জমা করবে। আর তার হাতে অনেক যুদ্ধ হবে। সুতরাং আফসোস রাস এর জন্য আশ্রয় হতে। এবং আফসোস আশ্রয়ের জন্য রাস হতে। তার হায়াত হল তিন সাবু’ হতে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশের তিনভাগের একভাগ কম। তারপর তার ঔরস হতে আমরাদ নামক এক ব্যক্তি বাদশা হবে। তার সময়ে সুরিয়ার ফল শুকিয়ে যাবে। আর সে রুমের বাদশাহী ধ্বংস করবে। তার হায়াত হল অর্ধেক সাবু’ হতে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশের তিনভাগের এক ভাগ। তারপর দ্বিতীয় রাসের ঘর হতে জাবহা বাদশা হবে। সে হবে সতর্ক বিচারক। তার বংশ হতে চারজন বাদশা হবে। তার হায়াত হল তিন সাবু’ হতে এক সাবু’ এর এক সপ্তমাংশ কম। তারপর তার ঔরস হতে মাসাব নামক ব্যক্তি বাদশা হবে। তার সময়ে প্রশিদ্ধ রোম ধ্বংস হবে। আর সিরিয়াতে এমন ভুমিকম্প হবে যে, তাতে দালান কোঠা ধূলিস্যাত হয়ে যাবে। তার হায়াত হল এক সাবু’ এবং এক তৃতীয়াংশ সাবু’ হতে এক সপ্তমাংশ সাবু’ এর অর্ধেক কম। তারপর মারওয়ী নামক এক ব্যক্তি বাদশা হবে। তখন রোমের বড় সৈন্যদলের অধিকর্তা যা আশা করবে তা পূরণ হবে না। তার হায়াত হল এক সাবু’ এর এক তৃতীয়াংশ পরিমান। তারপর আশাজ্ব বাদশা হবে। আর তার ধর্মের মধ্যে কোন ধোকা নেই। সে ন্যায়পরায়নতার আদেশ দিবে। তার হায়াত হবে কম। আর তার মৃত্যু হবে মুসিবত। তার তার হায়াত হল এক সাবু’ এর এক তৃতীয়াংশ পরিমান। তারপর সালাফ (অহংকাকারী) বাদশা হবে। সে হবে দালান কোঠা ধ্বংসকারী ও চেহারা বা আকৃতি পরিবর্তনকারী। তার হায়াত হল তিন সাবু’ হতে একতৃতীয়াংশ সাবু’ কম। তারপরে দুই বাচ্চাওয়ালা যুবক বাদশা হবে। অতপর তাকে হত্যা করা হবে। তার হত্যাকারীর জন্য কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। তার যমানায় মিসর হতে ফুরাত পর্যন্ত মৃত্যু ছড়িয়ে পড়বে। (অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করবে।) তার হায়াত হল এক সাবু’ এর সপ্তমাংশ ও এক সাবু’ এর সপ্তমাংশের তিনভাগের একভাগ। অতপর জওফের বাতাশ অশান্ত হয়ে উঠবে। উহা অহংকারীকে হাকাবে। আর উহা এক সাবু’ হতে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশের কম সময় পর্যন্ত অস্থিরতা পরিচালনা করবে। আর উহার পতন হবে বাবেলের যমিনে। অতপর তার উপর পূর্বের বাতাশ অশান্ত হয়ে উঠবে। আর উহা অনারবকে হাকাবে। (উহা হতে সৃষ্ট) ঘোড়ার রোগ ক্ষতিকারক হবে। উহা তাদেরকে হাকিয়ে শারুল হাজিবাইনে নিয়ে আসবে। একত্রে দুই নদীর মাঝে অবস্থান নিবে। তারা সন্ধ্যা সময় ছাওরের দিকে চলে যাবে। আর অহংকারী বের হবে। আর সে পুরুষদেরকে সাহসী যোদ্ধা হিসেবে নিযুক্ত করবে। এবং সে পিছু নিয়ে সিরিয়াতে অবস্থান নিবে। এবং কঠিনভাবে সিরিয়া জয় করবে। দুইজন সুঠামদেহী দারোয়ান তিন সাবু’ ও এক সাবু’ এর তিনভাগের একভাগের সমান সময় পরিচালনা করবে। আর তাদের দুইজনের নাম হবে এক। তাদের একজন অন্যের বিছানাতে যুদ্ধের সময় নিহত হবে যে তার প্রভূর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অতপর যখন তাদের অত্যাচার বেড়ে যাবে। তখন উহার উপর পূর্বের বাতাশ অশান্ত হয়ে উঠবে। আর তা জাফরানের উৎপন্নের স্থান ধ্বংস করে দিবে। আর ছওর উঠে দাড়াবে যা তার নিকট আসবে তার ভীতির কারণে। আর সে উহার যমিন ছেড়ে দিবে। আর সে মূর্তির শহরে অবস্থান নিবে। আর পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা অসুস্থাবস্থায় অবস্থান নিবে। ফলে ছওর দুই নদীর মাঝখানে দাঁড়াবে। তার নিদর্শন হল, গায়ের রং হবে তা¤্র ধরনের, চক্ষু হবে রঙিন। আর চাষী একুশ সাবু’ ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করবে। আর তা হল কুরাইশদের সিরিয়ার বিজয় হতে একশত সাতচল্লিশ বছর। পশ্চিমাঞ্চলের বাদশা বিদ্রোহ করবে এবং উম্মত উহার শিকল প্রসারিত করবে। তারা ঐঅবস্থায় থাকবে তখন পশ্চিমাঞ্চলের ভাঙ্গন নিকটবর্তী হবে। সে পূর্বাঞ্চলের উপর মাটি পান করাবে। আর তখন ছওর তার দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে। তখন আর কোন শক্তি থাকবে না। সুতরাং সে পরাজিত হবে। আর তা উহাকে তার সাথে যুদ্ধলব্ধ মালের মালিক বানাবে। পূর্বাঞ্চল কঠিনভাবে (পূর্বাঞ্চলকে) ঝাঁকুনি দিবে। অতপর মারজ সফর অবস্থান নিবে আর তখন তার সাথে সেখানে তা¤্র রংয়ের ছোট চক্ষু বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে দেখা হবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা উহার সকলের বিচার করবেনা। (শেষ করে দিবেন।) অতপর যখন সে তার স্থান হতে সফর করে আইনে সাখনা ও খারকাদূান নামক স্থানের মাঝামাঝি জায়গায় আসবে তখন আকাশ হতে একজন আহ্বানকারী তাকে ডেকে বলবে আফসোস ঐসমস্ত জিনিসের যা খারকাদূনা ও আইনে সাখনার মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে। ফলে প্রত্যেক চক্ষু উহার দুঃখে ক্রন্দন করবে। অতপর সফর করবে। এবং নদীর মাঝখানের অবতরণ করবে। আর সেখানে পুরুষগণ নিমগ্ন হবে। এবং জাব্বার তখা অহংকারী যুদ্ধ করবে এবং সেখানে মাল সম্পদ (গণীমত) ভাগাভাগি করবে। অতপর মূর্তির (আসনাম) শহরের দিকে ধাবিত হয়ে তা জোরপূর্বক বিজয় করবে। আর ছওরকে এমনভাবে আঘাত করা হবে যে, তাতে তার পেট বিদীর্ণ হয়ে যাবে। তার দলকে শেষ করা হবে। আর তা দ্বারা তার বংশকে ধ্বংস করা হবে। উহা দুই দিকের গেটের মধ্যে যা আছে তা নিঃশেষ করে দিবে। যা সংগ্রহিত হয়েছে তা দ্বারা পূর্বাঞ্চলের দিকে অনিচ্ছাপূর্বক জোর করে পাঠানো হবে। অতপর সে এক সপ্তমাংশ সাবু’ এর তিনভাগের একভাগ (সময়) ও আঠারো মাস অবস্থান করবে। অতপর পূর্বাঞ্চল তার নিকট নতি স্বীকার করবে। অতপর তার মাঝে ও রোমবাসীর মাঝে এক সপ্তমাংশ সময়ের (জন্য) একটি অস্ত্রবিরতি (শান্তিচুক্তি) হবে। অতপর সে সফর করে আবীদের শহরে অবস্থান নিবে। আর সেখানে কঠিন যুদ্ধ হবে। অতপর সেখান থেকে বের হয়ে রাবুজ নামক স্থানে অবস্থান নিবে। আর সেখানে সে মাল সম্পদ লুণ্ঠন করবে। অতপর পারস্য রাজ্য আক্রমণ করবে যার মধ্যে থাকবে হাওয়ান নামক এলাকা। আর ওসাদ নামক স্থানে কঠিন ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। অতপর আবর শাহর তার ঘোড়া রুখবে এবং চীন ও আতরাবালাস বা আনতাবালাস সমূদ্রের মধ্যবর্তী এলাকার মালিক হবে। অতপর সে পূর্বাঞ্চলের বাদশা জওফ পাহাড়ের এক পার্শে¦ নির্বাসন নিবে। (অতপর উক্ত বাদশা) সে কাউকে চাইবে না, অন্যকেউ তাকেও চাইবে না। (সে শান্তিতে থাকবে) অতপর তার বংশের একব্যক্তি তাকে ধোঁকা দিবে এবং হত্যা করবে। আর এখবর পূর্বাঞ্চলের বাদশার নিকট পৌছলে সে সামনে অগ্রসর হবে এমনকি সে হিরান ও রিহা নামক স্থানের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থান নিবে। সুতরাং আফসোস হিরানের জন্য। আর সেখানে তার সাথে রাসের বংশধর আমরাদের সাথে সাক্ষাত হবে। ফলে তাদের দুইজনের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ ও অগণিত হত্যাযজ্ঞ হবে। অতপর পূর্বাঞ্চলের বাদশা বিজয় লাভ করবে। (কিন্তু) তার পানি শুকিয়ে যাবে, দল কমে যাবে। আর আমরাদ সেখান থেকে বের হয়ে সিরিয়াতে অবস্থান নিবে এবং সেখানে অনেক জিনিস পরিবর্তন করবে এবং কিছু রেখে দিবে (পরিবর্তন করবে না)। আর রোম (বাসী রোম থেকে) বের হয়ে আ’মাক নামক স্থানে অবস্থান নিবে। আর সেখানে তাদের সাথে নেযারের বংশধর যুল ওয়াজনাতাইনের সাথে সাক্ষাত হবে। আর সে তাদেরকে আদ সম্প্রদায়ের ন্যায় হত্যা করবে। আর এক আক্রমণের মাধ্যমে তাদের শত্রুরা পালায়ন করবে। এবং রোম দুই ভাগে বিভক্ত হবে। একদল সাউস নদীর অধিকার গ্রহণ করবে আরেকদল দরবে জীরান। কুরাইশের সন্ধিকে ভঙ্গ করা হবে। মিসর (বাসী)কে বের হতে বাধা দেয়া হবে। ফিরিঙ্গী জাতি তাদের অস্ত্র প্রদর্শন করবে। কাহতানের বংশধর হতে মানসুর নামক এক ব্যক্তি ইয়ামেনের বাদশা হবে। সে হবে নাক, বন্ধু ও দুটি বেণী ওয়ালা। অতপর রামলা, হিরানের ভুমি (হিরানবাসী) ও আমরাদ তার ঘোড়া প্রতিরোধ করবে। সেদিন রোম শক্তভাবে নেতৃত্ব দিবে। সুতরাং কা’ব ও হাওয়াযিন (গোত্রদের) নিয়ে তার দিকে দ্রুত ধাবিত হবে। ফলে কাহতান প্রত্যেক গোত্রের সাথে যুদ্ধ করবে। এবং শহরে তাদের বংশধরদের ভাগ করে দেয়া হবে। অতপর সে সফর করবে এমনকি সে সিন্নীর পাহাড় ও লেবাননে অবস্থান নিবে। মানসুর রামলাতে থাকবে সে (সেখান হতে) সফর করে মারজে আযরাতে অবতরন করবে। আর সেখানে উভয় দলের সাক্ষাত হবে। তখন তাদের উপর ধৈর্য্যকে খালি করা হবে। (ধৈর্য্য উঠিয়ে নেয়া হবে)। মানসুর পরাজিত হবে। সুতরাং তার ঘোড়া সামনে অগ্রসর হবে। আর আমরাদ আরদানে জয়লাভ করবে। এবং সে সেখানে সাত সাবু’ ও এক সাবু’ এর সপ্তামাংশের পাঁচভাগের একভাগ পরিমান সময় অবস্থান করবে। হাকীম মুতাআন্নী এর বংশধর হতে এক ব্যক্তি বিজয় লাভ করবে। আর সে মিসরবাসী ও আকবাত (কিবতীদের) নিয়ে অগ্রসর হবে। অতপর যখন সে জিফারে অবতরন করবে তখন বিনা যুদ্ধেই যমিন খালি হয়ে যাবে। একটি খবরের কারণে আর তা হল স্পেনের বাদশার বর্বরদের, ফিরিঙ্গীদের ও সাহসী তরুণ যোদ্ধাদের নিয়ে আগমনের খবর। অতপর স্পেনের বাদশা অগ্রসর হবে এমননকি আরদানের নদী দখল করে নিবে। আর তখন যুবক আমরাদ যুদ্ধ করবে এবং তাকে তাকে হত্যা করবে। অতপর সে মিসর ও জিফারে অবতরন করবে। আর তখন তার নিকট তার পিছনদিক হতে গন্ডগোল (এর খবর) পৌছবে আর তা হল আদহামের বাদশা আস্কান্দারিয়া জয় করে নিয়েছে। এবং মিসরের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। আর সেদিন আরব (বাসী) হিজাজের ইয়াসরাবে মিলিত হবে এবং আদহামের বাদশা সদলবলে অগ্রসর হয়ে সিরিয়াতে অবস্থান নিবে। ফলে উহার অধিবাসীরা উজ্জলিত হবে। আর উপদ্বীপ (জাজিরা) খালি হবে। আর প্রত্যেক গোত্র তাদের অধিবাসীদের সাথে মিলিত হবে। আর সে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করবে। অতপর যখন উক্ত সৈন্যদল দুই উপদ্বীপের মাঝখানে পৌছবে তখন তাদের আহবানকারী আহবান করবে। (আহবান করে বলবে) প্রত্যেক আন্তরিক ও অভ্যন্তরীন ব্যক্তি যারা মুসলমানদের মধ্যে আমাদের সাথে ছিল তারা যেন আমাদের দিকে বের হয়। ফলে তখন মাওয়ালীরা রাগান্বিত হবে এবং তারা এক ব্যক্তির নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে। তার নাম হবে সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কাইছ ইবনে ইয়াসার। অতপর সে তাদের নিয়ে বের হবে। অতপর তাদের দিকে প্রেরিত ওয়ামের সৈন্যবাহিনীর সাথে তাদের সাক্ষাত হবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। এবং (তখন) আদহামের বাদশার রোমের সৈন্যদলের উপর মৃত্যু পতিত হবে। আর তারা হল বাইতুল মুকাদ্দাসের বসবাসকারী। ফলে তারা পঙ্গপালের ন্যায় মৃত্যুবরণ করবে। আর আদহামের বাদশা মালিক হবে। সালেহ মাওয়ালীদের নিয়ে সুরিয়ার ভুমিতে অবস্থান নিয়ে আমুরিয়াতে প্রবেশ করতঃ কুমুলিয়াতে অবতরণ করবে। এবং যিনতিয়া জয় করবে। আর সেখানে তার সৈন্যদলের আওয়াজ হবে একমাত্র তাওহীদের। আর আনিয়াতে মাল সম্পদ ভাগ করে দেয়া হবে। একং সে রোমবাসীদের উপর বিজয় লাভ করবে। অতপর সে সেখান হতে সাহইউনের দরজা, তাবূত। (আর তাতে একটি) রঙিন স্ফটিক থাকবে যাতে হযরত হাওয়া আলাইহিস সালামের অলংকার (কানের দুল) এবং হযরত আদম আলাইহিস সালামের পোষাক থাকবে। অর্থাৎ তার পরিধেয় এবং জুব্বা। এবং (উহাতে) হযরত হারুন আলাইহিস সালামের পোষাকও থাকবে। অতপর সে ঐ অবস্থায় থাকবে আর এরই মাঝে তার নিকট একটি খবর আসলো যা বাতিল বা মিথ্যা। আর তা হল সূর ওয়ালা প্রকাশ পেয়েছে। ফলে সে ফিরে যাবে এবং মাতীসের অভ্যন্তরীন মারজ নামক স্থানে অবতরণ করবে। আর সেখানে এক সাবু’ এর সপ্তমাংশের তিনভাগের একভাগ সময় অবস্থান করবে। আর উক্ত বছর আকাশ উহার তিনভাগের একভাগ বৃষ্টি ধরে রাখবে। আর দ্বিতীয় বছর তিনভাগের দুইভাগ ধরে রাখবে এবং তৃতীয় বছর সম্পূর্ণ বৃষ্টি ধরে রাখবে। ফলে নখ ও দাঁত বিশিষ্ট কোন প্রাণী জীবিত থাকবে না বরং সব ধ্বংস হয়ে যাবে। তদ্দরুন দূর্ভিক্ষ ও মৃত্যু পতিত হবে (দেখা দিবে)। যার কারণে প্রত্যেক সত্তর জনে দশ জনও বাঁচবে না। আর মানুষ জওফ পাহাড়ের দিকে পালায়ণ করবে। অতপর তাদের উপর তাদের দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن ارطاة بن المنذر قال
بلغنا ان ناثا كان نبيا وأنه ذكر الدهر فقال الدهر سبعة
سوابيع والسابوع سبعة آلاف سنة والعدان ألف سنة فوصف القرون الماضية فبين ما كان من
أمرها حتى انتهى إلى آخر القرون
فقال إذا كان عند انقضاء أربع عدانات من
السابوع الآخر ولدت العذراء البتول فيجيء بالآيات ويحيى الموتى ويرفع إلى السماء
وتختلف بعده الأهواء ثم يخرج من بعده مولد الأمة الطريدة إثنا عشر لواءا أولهم
مولده في الحرم تهلل السماء لمولده وتستبشر الملائكة لمخرجه فيظهر على جميع الأمم
من صدقه آمن ومن جحده كفر يظهر على فارس وملكها وإفريقية وملكها وسورية يكون ثلاثة
سوابيع إلى سبع سابوع ثم يقبضه الله حميدا
ثم يملك من بعده أمية ضعيف صدوق قصير
الحياة يشتد في
خلافته الجوع بمصر ويهلك ملك الهند حياته سبع سابوع
ثم يملك
من بعده القوي العادل ويفتح الشام فقده مصيبة حياته سابوع وثلثا سابوع إلا نصف
سابوع
ثم يملك بعده العيى فيقتل ولا يظفر قاتله حياته سابوعان إلا سبع سابوع
ثم
يملك من بعده الرأس في البيت الأكبر يجمع الأموال يكون على يديه ملاحم كثيرة فويل
للرأس من الأجنحة وويل للأجنحة من الرأس حياته ثلاث سوابيع إلا ثلث سبع سابوع
ثم يملك من صلبه الأمرد تيبس في زمانه ثمر سورية ويهلك ملك رومية حياته نصف
سابوع إلا ثلث سبع سابوع
ثم يملك من بعده
الجبهة
من بيت الرأس الثاني حكيم
متأني يخرج من صلبه أربعة ملوك حياته ثلاث سوابيع إلا سبع سابوع
ثم يملك من بعده
المصاب
من صلبه يهلك في زمانه جمهور الروم وتكون زلزلة [ ب ] الشام حتى ينهدم
البنيان حياته سابوع وثلث سابوع إلا نصف سبع سابوع
ثم يملك من بعده
المروي
لا
يبلغ ما يأمل صاحب الجيش الأعظم بأرض الروم حياته ثلث سابوع
ثم يملك
الأشج
ليس
في دينه خدعة يأمر بالعدل حياته قليلة وموته مصيبة تكون حياته ثلث سابوع
ثم
يملك من بعده
الصلف
هادم البنيان ومغير الصور حياته ثلاث سوابيع إلا ثلث سابوع
ثم يملك من بعده
الشاب ذو الجروين
فيقتل ليس لقاتله بقاء يفشو الموت في زمانه
في أرض مصر إلى الفرات حياته سبع سابوع وثلث سبع سابوع ثم تهيج ريح الجوف يقودها
جبار يدبرها هرجا سابوعا إلا سبع سابوع مصرعه بأرض بابل
ثم تهيج عليه ريح
المشرق قوادتها عجم وسواسها هجن يقودهم شعر الحاجبين ينزل بجمعة بين النهرين فيروح
بجمعه إلى الثور ويخرج الجبار فيتخذ الرجال جسورا وينزل الشام قفرا ويفتح الشام
بالسيوف قهرا يدبرها شقراء الحاجبين ثلاثة سوابيع وثلثي سابوع واسماهما اسم واحد
يهلك أحدهما على فراشة الآخر في حربه قد كفر بربه
فإذا كثر ظلمهم هاج عليها ريح
المشرق فيصدع جدرها بمنبت الزعفران وينهض الثور فزعا مما يأتيه ويترك أرضه وينزل
مدينة الأصنام وينزل صاحب المشرق مريض فينهض الثور بين النهرين علامته أسمر ضرب
اللحم ملون العينين فيتجبر الأكار أحد وعشرين سابوعا
وذلك
سبع وأربعين ومئة سنة من
ظهور قريش على الشام
إن الملك الغربي قد ثار وتمد الأمم أعناقها فإنهم لعلى ذلك إذ
أشرف رضخ الغرب يسقى التراب على المشرق فيبعث إليه الثور جنودا لا قوة فيصرع بوجهه
ويصيرها معه مغنما ويتمخض المشرق مخضا وينزل مرج صفر فيلقاه بها الأسمر المقرون
الصغير العينين فيقض الله جمعه
ثم ينتقل عن موضعه فإذا كان بين العين
السخنة وبين الخرقدونة ناداه مناد من السماء الويل لما بين الخرقدونة والعين السخنة
فتبكي كل عين شجونها ثم يرحل فينزل وسط الأنهار فيخوضها الرجال ويقتل عليها الجبار
ويقسم هناك المال
ثم ينهض إلى مدينة الأصنام فيفتحها عنوة وينطح الثور نطحة
تبقر منها بطنه ويبدد جمعه ويقطع بها نسله ويهدم ما بين باب نصيبين ويبعث إلى
المشرق بما استوعب كارها غير طائع ثم يقيم ثلثي سبع سابوع ثمانية أشهر يدين له
المشرق وتقع بينه وبين صاحب الروم هدنة سبع سابوع
ثم يرحل فينزل مدينة العبيد
فيقتل فيها الشديد ثم يخرج منها فينزل الربوض فينهب فيها الأموال ويخمس الأخماس
ويصيب أرض فارس منه هوان ويحدث في الوساد خرابا عظيما وترد خيله أبر شهر
ويملك ما
بين الصين إلى بحر أطرابلس
أو أنطابلس ويعتزل صاحب المشرق ناحية جبال الجوف لا يريد
ولا يراد ثم يغدر به رجل من أهل بيته فيقتله فيبلغ ذلك صاحب المشرق فيقبل حتى ينزل
فيما بين حران والرها فالويل لحران يلقاه بها الأمرد من ابناء الرأس
فتكون
بينهما ملحمة عظيمة وقتلى كثيرة
ثم يصبح صاحب المشرق وقد غاض وقل جمعه ويخرج
الأمرد
حتى ينزل الشام فيغيربها أشياء كانت ويسيب أشياء
وتخرج الروم إلى الأعماق
فيلقاهم بها ذو الوجنتين من أولاد نزار فيقتلهم قتل عاد وينفلت طاغيتهم بطعنة
وتفترق الروم فرقتين
فرقة تأخذ على نهر ساوس والأخرى في درب جيحان وتخلع
قريش صلحها وتمنع مصر خراجها وتظهر الإفرنج سلاحها
ويملك أرض اليمن رجل من ولد
قحطان يسمى منصور
ذو أنف وخال وضفيرتين فترد خيله الرملة وأرض حران والأمرد يومئذ
يسود الروم قائم غير نبهان فينهض إليه بكعب وهوازن فيقتل قحطان بكل شعب وتقسم
ذراريهم في البلدان ويسير حتى ينزل جبال سنير ولبنان ومنصور بأرض الرملة فيسير إليه
حتى ينزل بمرج عذراء
فيلتقي بها الجمعان فيفرغ عليهما الصبر ويهزم منصور فتقبل
خيله ويظهر الأمرد على الأردن يمكث بذلك سبع سابوع وخمس سبع سابوع ثم يظهر رجل من
ولد الحكيم المتأني فيسير بأهل مصر والأقباط فإذا نزل الجفار أصبحت الأرض منه قفراء
من غير حرب بخبر يأتيه عن ارض بربر
بإقبال صاحب الأندلس ببربر وأفرنجة
والأشبال
فيقبل صاحب الأندلس حتى يحل على نهر الأردن فيقاتله الأمرد الشاب فيقتله
ثم
ينزل مصر وجفار فيأتيه ضجة من ورائه أن
صاحب الأدهم قد ظهر بالأسكندرية
واستولى على
مصر فيلحق العرب يومئذ بيثرب الحجاز ويقبل صاحب الأدهم بجمعه فينزل الشام فيجلي
أهلها وتصير الجزيرة قفراء وتلحق كل قبيلة بأهلها ويبعث جيشا فإذا انتهوا بين
الجزيرتين نادى مناديهم
ليخرج إلينا كل صريح أو دخيل
كان منا في المسلمين فيغضب
الموالي فيبايعون رجلا يسمى صالح بن عبد الله بن قيس بن يسار
فيخرج بهم
فيلقى جيش الروم المبعوث إليهم فيقتلهم ويقع الموت في جيش صاحب الأدهم من الروم وهم
نزول ببيت المقدس فيموتون موت الجراد ويملك صاحب الأدهم و
ينزل الصالح بالموالي أرض
سورية
ويدخل عمورية وينزل قمولية
ويفتح بزنطية
وتكون أصوات جيشه فيها بالتوحيد
علانية ويقسم أموالها بالآنية
ويظهر على رومية ويستخرج منها باب صهيون وتابوت
جزع
فيه قرط حواء وكتونة آدم يعني كساءه وجبته وحلة هارون فبينا هو كذلك إذ أتاه خبر
وهو باطل أن صاحب صور قد ظهر
فيرجع حتى ينزل مرج جو مطيس فيقيم هنالك ثلث سبع
سابوع فتمسك السماء في تلك السنة ثلث مطرها وفي السنة الثانية ثلثيها وفي السنة
الثانية ثلثيها وفي السنة الثالثة كله فلا يبقى ذو ظفر ولا ناب إلا هلك فيقع الجوع
والموت حتى لا يبقى من كل سبعين عشرة ويهرب الناس إلى الجبال الجوف ثم يخرج عليهم
دجالهم