আল ফিতন

ما وقت فى الفتن من الأوقات للسنين والشهور والأيام

পৃষ্ঠা - ১৯৭৫
হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে প্রবেশ করবো। (তোমার ধর্ম গ্রহণ করবো)। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে যাবে। (থেমে যাবে।) আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী। (তারা সুখ শান্তি ভোগ করবে।) আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। (বাদশা হিসেবে সে অল্প সময় পাবে।) আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্র) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে। (পয়তাল্লিশ দিন স্থায়ী হবে।) অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে। আরেকটি হবে জওফে। অতপর যুদ্ধ তার আওযার (পোষাক) রেখে দিবে। (যুদ্ধ থেমে যাবে।) নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনাতে আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে। (তারা মাটির নিচে চলে যাবে।) তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।
وأبو المغيرة عن ابن عياش قال حدثنا مشايخنا عن كعب يزيد أحدهما على صاحبه في الحديث قالوا
اجتمع كعب الأحبار وراهب يقال له نشوع وكان عالما قارئا للكتب فتذاكرا أمر الدنيا وما هو كائن فيها
فقال نشوع يا كعب يظهر نبي له دين يظهر دينه على الدين كله
فقال له نشوع أخبرني عن ملوكهم يا كعب أصدقك وأدخل في دينك
فقال كعب أجد في التوراة يملك منهم
إثنا عشر ملكا
أولهم صديق يموت موتا ثم
الفاروق
يقتل قتلا ثم الأمير يقتل ثم رأس الملوك يموت موتا ثم صاحب الأحراس يموت موتا ثم جبار يموت موتا ثم صاحب العصب وهو آخر الملوك يموت موتا ثم يملك صاحب العلامة يموت موتا
قال نشوع فأخبرني عن فتنتهم الصماء الذي تسفك فيها الدماء ويكثر فيها البلاء
قال كعب ذلك يكون إذا قتل ابن ماحق الذهبيات فعند قتله يسقط البلاء ويرفع الرخاء يشتعلها قوم متفقهون متواضعون فيكون لهم عند ذلك أربعة ملوك من اهل بيت صاحب العلامة ملكان لا يقرأ لهما كتاب وملك يموت على فراشه ويكون مكثه قليل وملك يجيء من قبل الجوف وعلى يديه يكون البلاء وعلى يديه تكسر الأكاليل يقيم على حمص أربعة أشهر ثم يأتيه الفزع من قبل أرضه فمرتحل منها فيقع البلاء بالجوف فإذا كان ذلك وقع الهرج بينهم ووقعت فتنة بني العباس يبعثون أحد عشر راكبا إلى المشرق فلا يرضى الله أعمالهم يبتلى بهم أهل ذلك الزمان فلا يبقى أهل بيت في العرب إلا دخلت عليهم مضربهم يزفون من المشرق زف العروس وعند ذلك تظهر راياتهم رايات سود يربطون خيولهم بزيتون الشام يقتل الله على أيديهم كل جبار أو عدو لهم حتى لا يبقى إلا هارب أو مختف من أهل بيتهم يكون ثلاثة
المنصور والسفاح والمهدي
وقال نشوع فمن يكون قادتهم وولاة أمرهم
قال الذين يمشون أفواجا ويلبسون أفواجا وعند ذلك يسوم أهل المغرب الخسف السفاح يرابط أرم خمس وأربعين صباحا ثم يدخلها سبعون ألف سيفا مسلولة شعارهم أمت أمت ثم يكون بعد ذلك للسفاح وقعتان وقعة في المغرب وأخرى في الجوف ثم تضع الحرب أوزارها
قال نشوع وكم يمكث ملكهم
قال كعب تسعا في سبع ويكون لهم في آخر ذلك الويل
قال نشوع فما آية هلاكهم
قال قحط في المشرق وهدة في المغرب وحمرة في الجوف وموت فاشي في القبلة
ثم يجتمع للسفاح ظلمة أهل ذلك الزمان يتخذون دينهم هزوا ولعبا يبيعونه بالدنانير والدراهم حتى إذا كانوا حيث يننظرون إلى عدوهم وظنوا أنهم مواقعوا بلادهم أقبل رأس طاغيتهم لم يكن يعرف قبل ذلك رجل ربعة جعد الشعر غائر العينين مشرف الحاجبين مصفار حتى إذا كان إلى المنصور في آخر تلك السنة التي يجتمع فيها أهل ذلك الزمان للسفاح مات المنصور وهم متفرقون في غير بلدة فإذا جاءهم الخبر ضربوا حيث كانوا
فبايعوا لعبد الله فيرجع السفياني فيدعوا إلى نفسه بجماعة أهل المغرب فيجتمعون له مالم يجتمعوا لأحد قط ثم انه يقطع بعثا من الكوفة فإن لم يكن البعث من البصرة فعند ذلك يهلك عامتهم من الحرق والغرق وعند ذلك يكون بالكوفة خسف ويلتقي الجمعان بأرض يقال لها قرقيسيا فيفرغ عليهما الصبر ويرفع عنهما النصر حتى يتفانوا وإن يكن البعث قبل المغرب كانت وقعة الصغرى فويل عند ذلك لعبد الله بن عبد الله وأخاف عليكم [ عند ذلك من ] الرايات الصفر إذا نزلوا من المغرب مصر لهم وقعتان وقعة بفلسطين والأخرى بالشام ثم تميل عليهم المهاجرون بعد أن تذبح امرأة من قريش لو أشاء أن أسميها سميتها فيهلكون.
ثم يثور ثائر يقال له عبد الله أخبث البرية يشتعل أمره بحمص ويوقد بدمشق ويخرج بفلسطين يظهر على من ناوأه يهلك على يديه أهل المشرق ودعوته شر دعوة وقتلاه شر قتلى يملك حمل امرأة يخرج على ثلاثة جيوش إلى كوفان يصيبون بها أبياتا من قيس يستنقذون من يومهم وجيش إلى مكة والمدينة فيصيبهم خسف لا يفلت منهم إلا رجلان من جهينة رجل يرجع إلى الشام ورجل ينطلق إلى مكة