আল ফিতন

ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১৪১৪
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, জনৈকা মহিলা রোমানদের সুলতান হওয়ার পর কর্মচারিদেরকে পৃথিবীর বুকে বিদ্যমান কাঠের থেকে উত্তম গাছ দ্বারা এক হাজার জাহাজ তৈরি করতে নির্দেশ দিবেন। এরপর বলবে, তোমরা ঐসব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বের হবে যারা আমাদের পুরুষদেরকে হত্যা করেছে এবং নারী ও শিশুকে বন্দি করে রেখেছে। জাহাজ তৈরি করার কাজ শেষ হলে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই উক্ত জাহাজে আরোহন করব, আর আল্লাহ্র ইচ্ছা না হলেও বের হব। অতঃপর আল্লাহ পাক তাদের প্রতি এক প্রকারের বাতাস প্রেরণ করবে, ফলে সে তার কথা “আল্লাহ যদি ইচ্ছা না করেন” নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। এরপর পূর্বের ন্যায় আরো একহাজার জাহাজ বানাতে নির্দেশ দিলেন, আবারে আগের মত বলতে লাগলেন, এরপর আল্লাহ তাআলা তার প্রতি একধরনের বাতাস প্রবাহিত করবে এবং আবারো তার সিদ্ধান্ত আটকে থাকবে। অতঃপর আরো এক হাজার জাহাজ বানানোর নির্দেশ দিবেন। এরপর বলবে ইনশাআল্লাহ্্ তোমরা জাহাজে আরোহন করবে, এক পর্যায়ে তারা বের হয়ে আসবে এবং চলতে চলতে আক্্কা নামক একটি পাহাড়ের টীলার প্রান্তে পৌছবে। যেখানে উপস্থিত হয়ে তারা দাবি করবে যে, এটা আমাদের এবং আমাদের বাপদাদার শহর। এরপর তাদের বাহনের সব জাহাজ জ্বালিয়ে দিবে। যেদিন মুসলমানরা বায়তুল মোকদ্দাসে থাকবে। উক্ত এলাকার সুলতান ইরাক, মিশর এবং ইয়ামানের শাসক ও জনগণের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠাইলে তারা জবাব দিবে, আমরাও তোমাদের ন্যায় আমাদের এলাকা আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান। এভাবে সাহায্য চেয়ে হিম্স নগরীতে উপস্থিত হয়ে দেখলো, সেখানের মুসলমানরা সবদিক থেকে অবরুদ্ধ। যেখানে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এই লোক বাহির থেকে সবকিছু অবলোকন করে ফিরে আসে। এদিকে সাহায্য প্রার্থনাকারী সুলতান সকলের কাছে হিমসের বিষয়টি চেপে যায়। এবং সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলতে থাকবে, তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ো, নিজে মরে যাও কিংবা কাফেরদেরকে হত্যাকরো এভাবে উভয় দলে মারাত্মক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। যার কারণে মুসলমানদের এক তৃতীয়াংশ শহীদ হয়ে যাবে এবং অন্য এক তৃতীয়াংশ পরাজিত হবে জাহান্নামের নি¤œস্তরে নিক্ষিপ্ত হবে। আরেক তৃতীয়াংশ বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে চলে যাবে। সেখান থেকে বের হয়ে মাউজাব অর্থাৎ, বালকা নগরীতে চলে যাবে। মাউজাব হচ্ছে, এমন এক এলাকা যার মধ্যে বিভিন্ন ঝর্ণাধারা রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন উন্নতমানের ঘাস উৎপাদন হয়ে থাকে। মুসলমানরা সেখানে গিয়ে পৌছলে শত্রুরা অগ্রসর হতে হতে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখানে গিয়ে তারা মুসলমানদের অবশিষ্টাংশকেও হত্যা করতে নির্দেশ দিবে। অন্যদিকে মুসলমানদের সুলতান তার সাথে থাকা মুসলমানদেরকে শত্রুর মোকাবেলা করার নির্দেশ দিবেন। সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া-মোনাজাত করতে থাকলে, সেদিন আল্লাহ তাআলার রাগ চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছে এবং তীর, তলোয়ার-বল্লাম দ্বারা শত্রুর উপর আক্রমন করে এবং আল্লাহ তাআলা শত্রুদের প্রতি আধুনিক অস্ত্র স্থাপন করবেন। এমনকি কেউ কোনো প্রকার চক্রান্ত ভয় করলো উভয়ের মাঝে তীব্র লড়াই চলতে থাকবে। সেদিন এতবেশি সংখ্যক শত্রু মারা যাবে, তাদের মাত্র কিছু সংখ্যক জীবিত থাকবে। যারা লেবনানের এক পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করবে। মুসলমানরাও তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে ধাওয়া করতে করতে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকায় পৌছে যাবে। মুসলমানদের জিম্মাদার হচ্ছেন,বাদামী রংয়ের এক লোক যার সাথে সর্বদা তীর বল্লম বিদ্যমান থাকে। এভাবে চলতে চলতে কুস্তুনতিনিয়ার নিকটে থাকা নদীরকাছে পৌঁছলে যেখানে নামায আদায় করার লক্ষে ওযু করতে গেলে পানি হঠাৎ তার থেকে দূরে সরে যায়। আবারো পানি খোঁজে বের করা হলে তা হারিয়ে যায়। এভাবে দেখতে থাকলে তিনি তার বাহনে আরোহন করে বলে উঠেন, হে লোক সকল এটা মূলতঃ আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় হচ্ছে। চলো, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। এভাবে চলতে চলতে এক সময় কুস্তুনতিনিয়্যার দেয়াল দেখে আল্লাহ আকবর বলে উচ্চস্বরে তাকবীর বলে উঠবে।

=

حدثنا رديح بن عطية
عن يحيى بن أبي عمرو السيباني
عن كعب قال
يلي الروم امرأة فتقول اعملوا لي ألف
سفينة
أفضل ألواح عملت على وجه الأرض ثم أخرجوا إلى هؤلاء الذين قتلوا
رجالنا وسبوا نساءنا وأبناءنا فإذا فرغوا منها
قالت اركبوا إن شاء الله وإن لم
يشأ
فيبعث الله عليهم ريحا فيقمصها
بقولها وإن لم يشأ
ثم يعمل لها ألف أخرى
مثلها ثم تقول مثل قولها و
يبعث الله عليها ريحا فيقمصها
ثم يعمل لها ألف أخرى
فتقول اركبوا إن شاء الله
قال فيخرجون
فيسيرون حتى يتنهوا إلى تل عكا
فيقولون هذه بلادنا وبلاد آبائنا
ثم يرسلون النار في سفنهم
فيحرقونها
و
المسلمون
يومئذ ببيت المقدس
فيكتب الوالي إلى أهل العراق وأهل مصر وأهل اليمن فيجيء رسله
فيقولون نتخوف أن ينزل بنا مثل ما نزل بكم
وتمر رسله على حمص وقد أغلق أهلها
على من فيها من المسلمين ويقتلون فيها امرأة ويلقونها مما يلي الحائط خارج
قال
فيكتم الوالي أمر حمص ثم يقول للمسلمين اخرجوا إلى عدوكم فموتوا وأميتوا فيقتتلون
قتالا شديدا فيقتل من المسلمين ثلث وينهزم ثلث فيقعون في مهيل من الأرض ويقبل الثلث
حتى ينتهوا إلى بيت المقدس
ثم يخرجون منها إلى الموجب
أرض البلقاء والموجب
أرض فيها
عيون ويخرج فيه حشيش من نبت الأرض فينزل المسلمون عليه
ويقبل أعداء الله حتى ينتهوا
إلى بيت المقدس
ثم يقول اذهبوا فقاتلوا بقية عبيدي الذين بقوا فيقول والي
المسلمين لمن معه أخرجوا إلى عدوكم
قال فيبكون ويتضرعون إلى الله تعالى
فيومئذ
يغضب الله لدينه
فيطعن برمحه ويضرب بسيفه
ويسلط الله الحديد بعضه على بعض
حتى لا يبالي الرجل صمصامة كانت معه أو غيرها قال فيقتلون في الغور فيقتتلون قتالا
شديدا
فيقتل العدو يومئذ فلا يبقى منهم إلا شرذمة يسيرة يلحقون بجبل لبنان
والمسلمون خلفهم يطردونهم حتى ينتهوا إلى القسطنطينية
وعلى
المسلمين رجل آدم معتقل
رمحه حتى إذا انتهى إلى النهر الذي عند القسطنطينية
نزل الوالي ليتوضأ ويصلي
فيتأخر
الماء عنه ثم يطلبه فيتأخر فإذا رأى ذلك ركب دابته
ثم يقول يا هؤلاء هذا أمر
يريده الله هلموا فأجيزوا فيجيزون
حتى ينتهوا إلى حائط القسطنطينية ثم يكبرون
تكبيرة رجل واحد
فيسقط منها إثنا عشر برجا فيومئذ تقتل رجالها وتسبى نساؤها وتؤخذ
أموالها فبيناهم على ذلك
إذ أتاهم آت
فقال إن الدجال قد خرج بالشام
فيخرج القوم
فمن كان أخذ ندم ألا يكون استزاد لسنين تكون أمام الدجال فيجدونه لم يخرج فقل ما
يلبث حتى يخرج