আল ফিতন

ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১৩৭৯
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হাসানা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, কসম যে স্বত্তার যার হাতে আমার প্রাণ! নিঃসন্দেহে ঈমান মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে যাবে, যেমন সাপ তার গর্তে প্রবেশ করে। আর ঈমান যেন মদিনার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে যাবে, যেমন বিভিন্ন ময়না। অবর্জনা নদীর ¯্রােতের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে আরবগণ স্বসস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা করবে, যার কারণে প্রত্যেকে যার কাছে যাকিছু আছে তা নিয়ে বেরিয়ে যাবে। নেককার, বদকার সকলের একটি কথা থাকবে তাদেরকে এবং রোমানদেরকে হত্যা কর। এক পর্যায়ে বিবাহের মোড় ঘুরে যাবে এবং এন্তাকিয়া নগরীর আ’মাক স্থানের দিকে ধাবিত হবে, সেখানে দীর্ঘ তিন দিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা উভয় দল থেকে সাহায্য উঠিয়ে নিবেন। যার কারণে এত বেশি রক্তপাত হবে, এমনকি ঘোড়ার শরীরের অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে রঞ্জিত হয়ে যাবে। এমন অবস্থা দেখে ফেরেশতাগণ বলবেন, হে আল্লাহ! আপনার বান্দাদেরকে কি সাহায্য করবেননা ? জবাবে আল্লাহতাআলা বলবেন, না এখন সাহায্য করা যাবেনা, যতক্ষণ না তাদের শহীদদের মিছিল দীর্ঘ হয়। এই যুদ্ধে এক তৃতাংশ শহীদ হয়ে যাবে, আরেক তৃতীয়াংশ ধৈর্য্যধারন করবে এবং অন্য অংশ সন্দেহ প্রবন হয়ে ফিরে যাবে। শাস্তি হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধসে দিবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রোমানরা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বংশের লোকদের আমাদের হাতে সোপর্দ করবেনা ততক্ষণ আমরা তোমাদেরকে ছাড়বোনা। আরবরা, অনারবদেরকে বলবে, তোমরা ধর্ম গ্রহন কর, একথা শুনে অনারবরা বলবে, ঈমান গ্রহণ করার পরও কি আমরা আবার কুফরী ধর্মে ফিরে যাব। তখনই সকলের রাগ চরমে পৌছবে এবং রোমানদের উপর এক যোগে হামলা করবে। উভয় দলের মাঝে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থার পর আল্লাহ তাআলা খুবই রাগান্বিত হবে, যার কারনে রোমানদেরকে আল্লাহর তলোয়ার ও তীর দ্বারা আক্রমণ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে আল্লাহর তলোয়ার ও তীর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ্্র তীর-তলোয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুমিনের তীর এবং তলোয়ার এভাবে কিছুক্ষণ যুদ্ধ চলার পর রোমানরা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং খবর পৌঁছানোর জন্যও কেউ থাকবেনো। তাদেরকে পরাজিত করার পর মুসলমানরা রোম শহরের দিকে এগিয়ে গিয়ে আল্লাহ আকবর তাকবীর দ্বারা রোমের কেল্লা এবং শহর জয় করবে। এক পর্যায়ে তারা হেরাকলের শহরে পৌছে, সেটাকে পুরোপুরি খালি ও জনমানবশুন্য দেখতে পাবে। অতঃপর উক্ত শহরকেও তাকবীর দ্বারা জয় করে নিবে। সেখানে গিয়ে আল্লাহ আকবর বলার সাথে সাথে যে শহরের একটি দেয়াল ধসে পড়বে। আরেকবার তাকবীর বলার সাথে সাথে আরেক পার্শ্বের দেয়াল ধসে পড়ে যাবে। সমুদ্রের দিকের দেয়ালটি বাকি থাকবে। যা ধসে পড়বেনা। অতঃপর রোমিয়ার দিকে এগিয়ে গেলে, সেটাও তাকবীর দ্বারা জয় করবে। তখন যুদ্ধ থেকে পাওয়া গণীমতের মাল সমানভাবে বন্টন করতে থাকবে।
حدثنا الوليد وأبو المغيرة عن ابن عياش عن إسحاق ابن أبي فروة
عن يوسف بن سليمان عن جدته ميمونة
عن عبد الرحمن بن سنة قال سمعت رسول الله صلى
الله عليه وسلم يقول والذي نفسي بيده ليأرزن الإيمان إلى ما بين المسجدين كما تأرز
الحية إلى حجرها وليحازن الإيمان المدينة كما يحوز السيل الدمن فبيناهم على ذلك
استغاثت العرب بأعرابها
فخرجوا في مجلبة لهم كصالح من مضى وخير من بقى فاقتتلوا هم
والروم فتتقلب بهم الحروب
حتى يردوا عمق أنطاكية
فيقتتلون بها ثلاث ليال فيرفع الله
النصر عن كل الفريقين حتى تخوض الخيل في الدم إلى ثننها
وتقول الملائكة أي رب
ألا تنصر عبادك
فيقول حتى يكثر شهداؤهم فيستشهد ثلث ويصبر ثلث ويرجع ثلث شاكا
فيخسف بهم
قال فتقول الروم لن ندعكم [ إلا ] أن
تخرجوا إلينا كل من كان
أصله منا
فيقول العرب
للعجم
الحقوا بالروم
فتقول العجم أنكفر بعد الإيمان
فيغضبون عند ذلك فيحملون على الروم فيقتتلون فيغضب الله عند ذلك فيضرب بسيفه ويطعن
برمحه
قيل يا عبد الله بن عمرو ما سيف الله ورمحه
قال سيف المؤمن ورمحه حتى
يهلكوا الروم جميعا فما يفلت إلا مخبر
ثم ينطلقون إلى أرض الروم فيفتتحون حصونها
ومدائنها بالتكبير
حتى يأتوا مدينة هرقل فيجدون خليجها بطحاء ثم يفتتحونها بالتكبير
يكبرون تكبيرة فيسقط أحد جدرها ثم يكبرون أخرى فيسقط جدار آخر ويبقى جدارها البحري
لا يسقط
ثم يستجيرون إلى رومية
فيفتتحونها بالتكبير ويتكايلون يومئذ غنائهم كيلا
بالغرائر
إلا أن الوليد لم يذكر جدته