আল ফিতন

ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১৩৫২
হযরত কা’ব রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ একদা বিভিন্ন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যা বলেছেন আমি এখন সেগুলো তোমাদের সামনে তুলে ধরব। প্রায় বারজন শাসকের যুগে ফিতনা সংগঠিত হবে। তাদের মধ্যে রোমান বাদশাহ হবে সর্বকণিষ্ঠ এবং তার যুগে সবচেয়ে কম যুদ্ধ হবে। কিন্তু তারাই সবচেয়ে বেশি মানুষকে পথ ভ্রষ্টতার প্রতি ধাবিত করবে। এবং এরজন্য সাহায্য-সহযোগিতা করবে। হারামের দিকে নিয়ে যাবে। তখন ইসলামের কোনো সাহায্য করা হবে না। তবে যেদিন মুসলমানদের সাহায্যের লক্ষ্যে সানা এলাকার সৈন্যরা এগিয়ে আসবে, তখন খ্রীষ্টানদের সাহায্য করা হারাম হয়ে যাবে। ঐসময় জাজিরা এলাকায় ত্রিশ হাজারের বিশাল খ্রীষ্টান বাহিনীর সমাগম হবে । অন্যদিকে একলোক তাদের পক্ষ ত্যাগ করে বলবে,্ আমি খ্রীষ্টানদের সাহায্য করে যাব, যার কারণে প্রত্যেকে তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করবে। সেদিন কেউ তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তার সাথে একটি ধারালো তলোয়ার থাকবে। ফলে তাকে কেউ কোনো আঘাতও করতে পারবেনা। তার স্থলে একজন দালাল থাকবে যেদিন যার উপরই তলোয়ার দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল তাকে মারা যেতে হয়েছে। এক পর্যায়ে প্রত্যেকে একে অন্যকে সাহায্য করা হারাম মনে করেছে এবং উভয় দল ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। এক সময় প্রত্যেক দল অস্ত্রের মহড়া আরম্ভ করে দেয়। যাতে করে প্রতি পক্ষকে দুর্বল করতে সক্ষম হয় । যেদিন মুসলমানদের এক তৃতাংশ মারা যাবে, অন্য এক তৃতাংশ পলায়ন করবে। যার কারনে তার জমিনের সর্বনি¤œ স্তরে উপনীত হবে, যেখান থেকে কখনো জান্নাত তো দেখবেনা এমনকি জান্নাতীদেরকেরও দেখতে পাবেনা। আরেক তৃতাংশ ধৈর্য্যধারন করবে, তাদের লাগাতার তিনদিন পর্যন্ত পাহারা দিয়ে রাখা হবে। তাদের কেউ পলায়নকারী সাথীদের মত পলায়ন করবেনা। তৃতীয় দিন হলে তাদের একজন হঠাৎ দাড়িয়ে উচ্চস্বরে বলবে, হে মুসলমানগন! তোমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছ,দাড়াও এবং তোমাদের সাথীদের ন্যায় জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হও। যখন তারা এভাবে এগিয়ে যাবে তখনই আল্লাহ তাআলারর পক্ষ থেকে নুসরাত বা সাহায্য আসবে। আল্লাহ তাআলা খ্রীষ্টানদের উপর ক্রোধ প্রকাশ করতে থাকবে। যার কারণে তাদেরকে তীর, তলোয়ার ও বল্লম দ্বারা হত্যা করা হবে। এরপর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কোনো খ্রীষ্টানদের পক্ষে অস্ত্রধারন করার আর কারো সাহস থাকবেনা। তাদেরকে মুসলমানরা যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করতে থাকবে। যেদিন সব কেল্লা এবং শহর মুসলমানগন জয় করবে। এভাবে জয় করতে করতে একসময় কুস্তুন তিনিয়ানগরীতে এসে পৌছবে। অতঃপর সকলে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব, পবিত্রতা ও প্রশংসা করতে থাকবে। ফলে সেখানে বারটি বুরুজ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং যেখানে নির্বিঘেœ প্রবেশ করবে। সেখানের যুবকদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারীদের ইজ্জত লুন্টন করা হবে। আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে সেখানে থাকা ধনভান্ডার খুলে দেয়া হলে যার যা ইচ্ছা তা গ্রহণ করতঃ বাকিগুলো রেখে দেয়া হবে। উক্ত ভান্ডার থেকে সম্পদ গ্রহনকারী এবং বর্জনকারী উভয়দল লজ্জিত হবে।
একথা শুনার সাথে সাথে সকলে বলে উঠলো, উভয় গ্রুপের লজ্জা কীভাবে জমা হবে। জবাবে বলা হবে, সম্পদ গ্রহণকারীরা চিন্তিত ও লজ্জিত হবে, কেন আরো গ্রহণ করলোনা, অন্যদিকে বর্জনকারীগণও গ্রহন না করার কারণে খুবই পেরেশান হয়ে যাবে যে, কেন গ্রহণ করলোনা। একথ্ াশুনে সকলে বলল, নিঃসন্দেহে আপনি আখেরী যামানায় দুনিয়ার প্রতি আন্তরিক হয়ে যাবেন।
জবাবে তিনি বললেন, এটাও অবশ্যই শাদ্দাদ এবং দাজ্জালের আবির্ভাবের বৎসরগুলোতে সাহায্য করার উদ্দেেেশ্য হয়ে থাকবে। ঐসময় হঠাৎ প্রকাশ পাবে, তোমাদের শহরে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে। একথ্ াশুনে সকলে নিজের পরিবার-পরিজনের কাছে গিয়ে দেখতে পাবে যে, সংবাদটি ডাহা মিথ্যা বলেছে। তবে এরজন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবেনা, বরং দ্রুত দাজ্জালের আবির্ভাব হবে।
حدثنا ابن وهب عن عاصم بن حكيم
عن عمرو بن عبد الله
عن كعب قال ذكر سول الله صلى الله عليه وسلم الملحمة فسمي
الملحمة من عدد القوم وأنا أفسرها لكم إنه يحضرها إثنا عشر ملكا
ملك الروم أصغرهم
وأقلهم مقاتلة
ولكنهم كانوا هم الدعاة وهم دعوا تلك الأمم واستمدوا بهم
وحرام على
أحد يرى عليه حقا للإسلام أن لا ينصر الإسلام يومئذ وليبلغن مدد المسلمين يومئذ
صنعاء الجند
وحرام على أحد يرى عليه حقا للنصرانية أن لا ينصرها يومئذ و
لتمدنهم
يومئذ الجزيرة بثلثين ألف نصراني
فيترك الرجل فدانه يقول أذهب أنصر النصرانية
ويسلط
الحديد بعضه على بعض فما يضر رجلا يومئذ كان معه سيف لا يجدع الأنف ألا يكون مكانه
الصمصامة لا يضع سيفه يومئذ على درع ولا غيره إلا قطعه
وحرام على جيش أن يترك النصر
ويلقى الصبر على هؤلاء وعلى هؤلاء ويسلط الحديد بعضه على بعض ليشتد البلاء
فيقتل
يومئذ من المسلمين ثلث ويفر ثلث فيقعون في مهيل من الأرض يعني هوي لا يرون الجنة
ولا يرون أهليهم أبدا ويصبر ثلث فيحرسونهم ثلاثة أيام لا يفرون فر أصحابهم فإذا كان
يوم الثالث
قال رجل منهم يا أهل الإسلام ما تنتظرون قوموا فادخلوا الجنة
كما دخلها إخوانكم فيومئذ ينزل الله تعالى نصره ويغضب لدينه ويضرب بسيفه ويطعن
برمحه ويرمي بسهم
لا يحل لنصراني أن يحمل بعد ذلك اليوم سلاحا حتى تقوم الساعة
ويضرب المسلمون أقفاهم مدبرين لا يمرون بحصن إلا فتح ولا مدينة إلا فتحت
حتى يردوا
القسطنطينية فيكبرون الله ويقدسونه ويحمدونه فيهدم الله ما بين إثني عشر برجا
ويدخلها المسلمون فيومئذ يقتل مقاتلتها وتفتض عذراها ويأمرها الله فيظهر كنوزها
فآخذ وتارك فيندم الآخذ ويندم التارك
قالوا وكيف يجتمع ندامتهما
قال يندم
الآخذ أن لا يكون ازداد ويندم التارك ألا يكون أخذ
قالوا إنك لترغبنا في الدنيا
في آخر الزمان
قال إنه يكون ما أصابوا منها عونا لهم على سنين شداد وسنين
الدجال
قال ويأتيهم آت وهم فيها فيقول خرج الدجال في بلادكم
قال فينصرفون
حيارى فلا يجدونه خرج فلا يلبث إلا قليلا حتى يخرج