আল ফিতন

الأعماق وفتح القسطنطينية

পৃষ্ঠা - ১২৫৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য এমন এক বিজয়ার্জন হয়েছে, যা ইতিপূর্বে কখনো হয়নি। এরপর আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ আপনাকে বিজয় এসে মোবারকবাদ জানায়। আপনি এ যুদ্ধে খুব ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, নিঃসন্দেহে, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ, হে হুজায়ফা! ছয় নিদর্শন রয়েছে, যার প্রথমটি হচ্ছে, আমার মৃত্যুবরণ করা। একথা শুনে আমি বললাম, ইন্নালিল্লাহী ..... । এরপর হচ্ছে, বায়তুল মোকাদ্দাসের বিজয়, এরপর, এমন এক ফেৎনা, যার মধ্যে বড় দুই দলের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। প্রায় গনহত্যার রূপ নিবে। উভয় দলের দাবি হবে এক। এরপর তোমাদের প্রতি গনহারে মৃত্যুবরণ করা ধেয়ে আসবে, যেমন মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ছাগল গনহারে মারা যায়। অতঃপর মানুষের মধ্যে ব্যাপকহারে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, কেউ কাউকে একশত দীনার দান করলেও কম মনে করে গ্রহণকরতে অস্বীকৃতি জানাবে। এরপর বনু আসফারের বাদশাহদের সন্তানদের মধ্যে এক শিশু জন্মলাভ করবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বলুন আসফার কারা, জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, বনুল আসফার হচ্ছে রোমানরা। শিশুটি দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠতে থাকবে । একটি শিশু একমাসে যতটুকু বেড়ে উঠে এ শিশুটি একদিনে অতটুকু পরিমান বাড়বে। অন্য শিশু এক বৎসরে যে পরিমান বৃদ্ধি পায় এ শিশুটি এক মাসে ততটুকু পরিমান বৃদ্ধি পাবে। শিশুটি বালেগ হলে সকলে তাকে এতবেশি মহব্বত এবং অনুসরণ করবে যা ইতিপূর্বে কোনো রাজা-বাদশাহকে করা হয়নি। একদিন সে তার গোত্রের লোকজনের মাঝখানে দাড়িয়ে বলবে, এখনো কি আরবদের এই দলকে ত্যাগ করার সময় আসেনি। যারা সর্বদা তোমাদের পক্ষ থেকে এক প্রকার সহানুভুতি পেয়ে আসছে অথচ আমরা সংখ্যায় তাদের চেয়ে অনেক বেশি এবং জলভাগ ও স্থলভাগে আমাদের রসদপত্র অনেক। সুতরাং আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কবে তাদের সঙ্গ আমরা ত্যাগ করব। আমি তোমাদেরকে এমন কত বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করছি, যা তোমরা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছ। একথাগুলো বলার এক পর্যায়ে তাদের মুরব্বীদের কয়েকজন দাড়িয়ে বলতে লাগলেন, হ্যাঁ, তোমার কথা ঠিক এবং সিদ্ধান্ত তোমার উপর ন্যস্ত করলাম।
নেতাদের সমর্থন পেয়ে সে বলে উঠল, আমরা সকলে একথার শপথ গ্রহণ করতে হবে যে, আরবদেরকে নিঃশেষ করে দেয়া ছাড়া আমরা তাদের সঙ্গ ত্যাগ করবোনা। অতঃপর তারা রোম দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সৈন্য প্রেরনের জন্য আবেদন জানাবে। তারা আশি প্লাটুন সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন প্রত্যেক প্লাটুনের পতাকার অধীনে বার হাজার যোদ্ধা থাকবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার কাছে সাত লক্ষ ছয় শত যোদ্ধা এসে উপস্থিত হবে। প্রত্যেক জাযিরাতে আবারো লিখে পাঠাবে, যেন জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে তিনশত জাহাজ প্রস্তুত হয়ে যাবে। একদিন সেই এবং তার সৈন্য রসদপত্র সহ জাহাজে আরোহন করবে। যার ফলে এন্তাকিয়া এবং আরীশের মাঝামাঝি জায়গায় শুধু তাদেরকেই দেখা যাবে।
তবে সেদিন খলীফা অনেক ঘোড়া এবং অসংখ্য রসদপত্র প্রেরণ করবেন, এক পর্যায়ে তাদের সামনে একজন দাড়িয়ে বলবেন, “তোমরা কি উপলব্ধি করছ, আমি তোমাদেরকে নিজেদের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমি কিন্তু কঠিন এক মুহূর্ত দেখতে পাচ্ছি, আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার ওয়াদা পূর্ণ করবেন, এবং সকল দ্বীনের উপর আমাদের দ্বীনকে প্রাধান্যতা দিবেন। তবে এখন আমাদের সম্মুখে বিরাট এক মসিবত উপস্থিত। আমি একথা ভালো মনে করছি যে, আমি এবং আমার সাথে যারা রয়েছে সকলে রাসূলুল্øাহ সাঃ এর মদীনায় ফিরে যাব, এরপর ইয়ামানসহ অন্যান্য আরব দেশে লিখে পাঠাব। নিঃসন্দেহে একথা সত্য যে, যারা আল্লাহকে সাহায্য করে আল্লাহ তাআলা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, কাফেরদের এ ভুখন্ড ছেড়ে গেলেও তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা, হয়তো দেখা যাবে সেটা পুনরায় তোমাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এমর্মে রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, তারা বের হয়ে যাবে এবং আমার শহরে এসে পৌঁছবে, যার নাম হবে তাইবা। সেখানে মুসলমানরা অবস্থান করবে। বিভিন্ন দেশ থেকে তারা মদীনায় এসে অন্যান্য আরব দেশে সাহায্য চেয়ে সংবাদ পাঠাবে। এভাবে মদীনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিশাল সৈন্য বাহিনীর জমায়েত হবে। যা মদীনাতে সংকুলান হবেনা। এরপর তারা খালি হাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বের হয়ে ইমামের হাতে মৃত্যুর উপর বাইয়াত গ্রহণ করবে। অর্থাৎ বিজয় কিংবা মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের ময়দানে দৃঢ়তার সহিত অবস্থান করার বাইয়াত গ্রহন করবে। এভাবে বাইয়াত করার পর প্রত্যেকে তলোয়ারের খাপ ভেঙ্গেঁ ফেলবে এবং কোনো প্রকারের লৌহবর্ম পরিধান করা ছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
মুসলমানদের এ অবস্থা দেখে রোমানদের স¤্রাট বলে উঠবে, মুসলমানরা এ ভূখন্ড দখল করার জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসছে। তারা জীবনবাজি রেখে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। এখন আমি তাদের কাছে লিখে পাঠাব যে, তাদের হাতে বন্দি যেসব অনারব রোমান রয়েছে তাদেরকে যেন আমার হাতে তুলে দেয়া হয়, তারা একথার উপর রাজী হলে, আমরা তাদের এ ভূখন্ডকে তাদের জন্য ছেড়ে দিব, এই এলাকা আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা একথার উপর একমত হলে, আমি সেটা সানন্দে গ্রহন করব, অন্যথায় তাদের সাথে যুদ্ধ করব। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাদের এবং তাদের মাঝে একটা ফায়সালা করেন। তাদের এ সিদ্ধান্ত মুসলমানদের সুলতানের কাছে পৌঁছলে তিনি রোমান স¤্রাটকে বলে পাঠাবেন, আমাদের কাছে অনারব যেসব রোমান রয়েছে, যদি তারা রোমানদের কাছে ফিরে যেতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই, তারা সেচ্ছায় চলে যেতে পারে।
একথা শুনে ঐসব অনারব রোমানদের একজন দাড়িয়ে ঘোষণা করল, ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মকে গ্রহণ করা থেকে আমরা আল্লাহর কাছে মাফ চাচ্ছি”। অতঃপর তারাও আগের মুসলমানদের ন্যায় মৃত্যুর উপর বাইয়াদ গ্রহণ করবেন। এবং মুসলমানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে অগ্রসর হতে থাকবে। মুসলমানদের অগ্রযাত্রা আল্লাহর দুশমনগন দেখতে পেয়ে অত্যন্ত আগ্রহী ও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। অতঃপর মুসলমানরা তাদের তলোয়ার উন্মোক্ত করে তালোয়ারের খাপ সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গেঁ ফেলবে। এদিকে আল্লাহ তাআলা তার দুশমনের উপর যথেষ্ট রাগান্বীত হবে। এক পর্যায়ে মুসলমানরা কাফেরদেরকে এত ব্যাপকভাবে হত্যা করবে, যার কারনে ঘোড়ার অর্ধেক অংশ পর্যন্ত রক্তে ডুবে যাবে। এরপর তাদের যারা বাকি থাকবে তারা রাত্র-দিন সফর করে তাইবার দিকে যেতে থাকবে। ফলে তারা মনে করবে যে, সত্যিই তারা দূর্বল হয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি এক ধরনের তীব্র বাতাস প্রবাহিত করলে তাদের পূর্বের স্থানে ফেরৎ যাবে। এরপর মুহাজিরদের হাতে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করা হবে, তাদের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর জন্যও কেউ বাকি থাকবেনা। হে হোজায়ফা! মূলতঃ এটিই হচ্ছে, তীব্র যুদ্ধ। তারা দীর্ঘদিন জীবিত থাকবে, এরপর তাদের কাছে সংবাদ আসবে যে, দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে।
حدثنا محمد بن شابور عن النعمان بن المنذر وسويد بن
عبد العزيز عن إسحاق بن أبي فروة جميعا عن مكحول عن حذيفة بن اليمان وقال
محمد بن شابور قال مكحول حدثني غير واحد عن
حذيفة
يزيد أحدهما على صاحبه في الحديث
قال
حذيفة
فتح لرسول الله صلى الله عليه وسلم فتح لم يفتح له مثله منذ بعثه
الله تعالى
فقلت له يهنئك الفتح يا رسول الله قد وضعت الحرب أوزارها
فقال
هيهات هيهات والذي نفسي بيده إن دونها يا حذيفة
لخصالا ستا
أولهن
موتي
قال قلت
إنا لله وإنا إليه راجعون
ثم
يفتح بيت المقدس
ثم يكون بعد ذلك
فتنة تقتتل فئتان
عظيمتان
يكثر فيها القتل ويكثر فيها الهرج دعوتهما واحدة
ثم يسلط عليكم موت
فيقتلكم
قعصا كما تموت الغنم
ثم يكثر المال فيفيض
حتى يدعا الرجل إلى مائة دينار فيستنكف أن
يأخذها
ثم ينشأ لبني الأصفر غلام
من أولاد ملوكهم
قلت ومن بنو الأصفر يا رسول
الله
قال
الروم
فيشب في اليوم الواحد كما يشب الصبي في الشهر ويشب في الشهر كما
يشب الصبي في السنة فإذا بلغ أحبوه واتبعوه مالم يحبوا ملكا قبله ثم يقوم بين
ظهرانهم
فيقول
إلى متى نترك هذه العصابة من العرب
لا يزالون يصيبون منكم طرفا
ونحن أكثر منهم عددا وعدة في البر والبحر إلى متى يكون هذا فأشيروا علي بما ترون
فيقوم أشرافهم فيخطبون بين أظهرهم
ويقولون نعم ما رأيت والأمر أمرك
فيقول والذي نقسم به لا ندعهم حتى نهلكهم فيكتب إلى
جزائر الروم
فيرمونه
بثمانين غياية تحت كل غياية إثنا عشر ألف مقاتل والغياية الراية فيجتمعون عنده سبع
مائة ألف وستمائة مقاتل ويكتب إلى كل جزيرة فيبعثون بثلثمائة سفينة فيركب هو في
سفينة منها ومقاتلته بحده وحديده وما كان له حتى يرسى بها ما بين
أنطاكية إلى
العريش
فيبعث
الخليفة
يومئذ الخيول بالعدد والعدة وما لا يحصى فيقوم فيهم خطيب
فيقول كيف ترون أشيروا علي برأيكم فإني أرى أمرا عظيما وإني أعلم أن الله تعالى
منجز وعده ومظهر ديننا على كل دين ولكن هذا بلاء عظيم فإني قد رأيت من الرأي أن
أخرج ومن معي إلى مدينة رسول الله
صلى الله عليه وسلم وأبعث إلى اليمن و
العرب
حيث
كانوا وإلى
الأعاريب
فإن الله ناصر من نصره ولا يضرنا أن نخلي لهم هذه الأرض حتى
تروا الذي يتهيأ لكم
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
فيخرجون حتى ينزلوا
مدينتي
هذه واسمها طيبة وهي مساكن المسلمين فينزلون ثم يكتبون إلى من كان عندهم من
العرب حيث بلغ
كتابهم
فيجيبونهم
حتى تضيق بهم المدينة ثم يخرجون مجتمعين مجردين
قد بايعوا إمامهم على الموت فيفتح
الله لهم
فيكسرون أغماد سيوفهم ثم يمرون مجردين
فيقول
صاحب الروم
إن القوم قد
استماتوا لهذه الأرض وقد أقبلوا إليكم وهم لا يرجون حياة فإني كاتب إليهم أن
يبعثوا
إلي بمن عندهم من العجم
ونخلي لهم أرضهم هذه فإن لنا عنها غنى فإن فعلوا فعلنا
.
وإن أبوا قاتلناهم حتى يقضي الله بيننا وبينهم
فإذا بلغ أمرهم
والي
المسلمين
يومئذ
قال لهم من كان عندنا من العجم أراد أن يسير إلى الروم فليفعل
.
فيقوم
خطيب من الموالي
فيقول
معاذ الله أن نبتغي بالإسلام دينا وبدلا
فيبايعون
على الموت كما بايع قبلهم من المسلمين ثم يسيرون مجتمعين فإذا رآهم أعداء الله
طمعوا واحردوا وجهدوا ثم يسل المسلمون سيوفهم ويكسروا أغمادها
ويغضب الجبار على
أعدائه فيقتل المسلمون منهم حتى يبلغ الدم ثنن الخيل ثم يسير من بقي منهم بريح طيبة
يوما وليلة حتى يظنوا أنهم قد عجزوا
فيبعث الله عليهم ريحا عاصفا
فتردهم إلى المكان
الذي منه أصروا
فيقتلهم بأيدي المهاجرين
فلا يفلت أحد ولا مخبر
فعند ذلك يا
حذيفة تضع الحرب أوزارها فيعيشون في ذلك ما شاء الله
ثم يأتيهم من قبل المشرق
خبر
الدجال
أنه قد خرج فينا
امام المسلمين في بيت المقدس
و
انتصاره في سهل عكا
و
فتح حمص
أخبرنا الشيخ
أبو بكر محمد بن عبد الله بن أحمد بن ريذة قال أنبأنا ابو القاسم سليمان بن أحمد بن
أيوب الطبراني حدثنا أبو زيد عبد الرحمن بن حاتم المرادي سنة ثمانين ومائتين حدثنا
نعيم بن حماد