আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثمانين

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭২০১

তারা দখল করে নেয় ৷ হাজ্জাজের নিকট তার বাহিনী পরাজিত হরার এবং মাছাব ও দুর্গ
পতনের সংবাদ পৌছে ৷ সে তখন দাড়িয়ে বক্তৃতা করছিল ৷ সে বলল লোক সকল! তোমরা
রসরাতে ফিরে যাও ৷ কারণ, সেটা সেনাবাহিনীর জন্য অনুকুল স্থান ৷ ফলে লোকজন ফিরে
যাচ্ছিল ৷ আশআছের সৈন্যরা ওদেরকে তাড়া করতে লাগল ৷ তারা যাকেই নাগালের মধ্যে
পাফ্লি হত্যা কৱজ্জি ৷ হাজ্জাজ নিজে পালিয়ে গেল ৷ কোন দিকেই তার ভ্রক্ষেপ ছিল না ৷ সে
পালিয়ে এসে যাবিয়াতে অবস্থান নেয়, সেখানে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় ও সেনা ক্যাম্প স্থাপন
করে ৷ সে বলছিল, “মুহাল্লাব আসলেই সফল ও দক্ষ সেনাপতি ৷ সে আমাদেরকে একটা ভাল
প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু আমরা তা গ্রহণ কবিনি ৷ হাজ্জাজ সেখানে অবস্থান নিয়ে সেনাদল প্রস্তুত
করতে থাকে ৷ সেনাবাহিনী গঠন করতে গিয়ে যে সেখানে ১৫ কোটি দিরহাম ব্যয় করে ৷ তার
সেনা ক্যাম্পের চারিদিকে পরিখা খনন করে ৷ ইরার্কীরা বসরা প্রবেশ করে ৷ তারা তাদের
পরিবার-পরিজনের সাথে মেলে ৷ প্ছোল মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের ঘ্রাণ নেয় ৷

ইবনুল আশআছ বসরা এসে অবতরণ করেন, ৷ তিনি ড্ডাসাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন ৷
ওদের থেকে বায়আত নেন এবং তারা আবদুল মালিক ও হাজ্জাজ দু’জন থেকেই বায়আত
প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ৷ ইবনুল আশআছ ওদেরকে বলেছিলেন হাজ্জাজ কোন ব্যাপারই নয় ৷
আমাদেরকে বরং আবদুল মালিকের নিকট নিয়ে যাও ৷ আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ ওই
সময়ে বসরায় অবন্থনিকারী সকল আলিম-উলামা ন্ফর্কীহ, কিরআন্ডৰিদ এবং যুবক বৃদ্ধ
, নির্বিশেষে সকলেই হাজ্জাজ ও আবদুল মালিকের প্রতিংপ্রদত্তবায়আত প্রত্যাহারে সমর্থন

জানান, এরপর ইবনুল আশআছ বসরা নগরীর চারিদিকে পরিখা খননের নির্দেশ দেন ৷ পরিখা

খনন করা হয় ৷ এরসব ঘটনা ঘটেছিল ৮ ১ সনের যিলহাজ্জ মাসের শেষ দিকে ৷

ওয়াকিদী ও আবু যা পরে বলে যে, এই সনে হজ্জ পরিচালনা করেন ইসহ্াক ইবন ঈসা ৷
খলীফ৷ আবদুল মালিকের নিযুক্ত আফ্রিকার রাজ্যগুলোর শাসনকর্তা মুসা ইবন ৰুসায়র ণ্,স্পন
জয় করার জন্যে এই সনে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ তিনি ওই অভিযানে অনেক শহর নগর
এবং আবাদী জমি দখল করে নেন ৷ তিনি প্রচণ্ড গতিতে পশ্চিমী শহরগুলােতে প্রবেশ করেন ৷
তিনি পশ্চিমে আটলান্টিকেৱ উপকুল পর্যন্ত দখল করে নেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ ন্

এই হিজয়ী সনে যাদের ওফাত হয়

বুজায়র ইবন ওয়ারকা সারীমী

৮১ হিজরী সনে যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তির ওফাত হয়৩ তাদের একজন হলেন বুজায়র ইবন
ওয়ারকা সারীমী ৷ তিনি খােরাসানের শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি ইবন খাযিমের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং তাকে হত্যা করেন ৷ তিনি বুকায়ব ইবন বিশাহ্কে হত্যা করেন ৷

পর এই৮১ সনেতিনিনিজেইনিহতহন ৷ ,

সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ ইবন আওসাজা ৮১ হিজৰী সনে যাদের ইনতিকাল হয় তাদের
অন্যতম হল সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ্ ইবন আওসম্পো ইবন আমির ৷ আবু উমাইয়৷ জুফী কুফী ৷
তিনি ইয়ারনুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ বহু সাহাবী থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তিনি জাহেলী যুগ ও ইসলামী যুগ উভয় যুগে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি
হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না) যে বত্সয়ে দৃনিয়াতে আগমন করেছেন ওই বৎসরেই সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ
(রা) এর জন্য হয় ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পেছনে নামায পড়েছেন ৷ তবে বিশুদ্ধ অভিমত


مَعْشَرٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِيهَا غَزَا مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ أَمِيرُ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ، فَافْتَتَحَ مُدُنًا كَثِيرَةً، وَأَرَاضِيَ عَامِرَةً، وَأَوْغَلَ فِي بِلَادِ الْمَغْرِبِ إِلَى أَنْ وَصَلَ إِلَى الزُّقَاقِ الْمُنْبَثِقِ مِنَ الْبَحْرِ الْأَخْضَرِ الْمُحِيطِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: بُحَيْرُ بْنُ وَرْقَاءَ الصُّرَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ أَحَدُ الْأَشْرَافِ بِخُرَاسَانَ، وَالْقُوَّادِ وَالْأُمَرَاءِ، وَهُوَ الَّذِي حَارَبَ ابْنَ خَازِمٍ وَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ بُكَيْرَ بْنَ وِشَاحٍ. ثُمَّ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ: سُوِيدُ بْنُ غَفْلَةَ بْنِ عَوْسَجَةَ بْنِ عَامِرٍ أَبُو أُمَيَّةَ الْجَعَفِيُّ الْكُوفِيُّ، شَهِدَ الْيَرْمُوكَ، وَحَدَّثَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ الْمُخَضْرَمِينَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَّى مَعَهُ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَرَهُ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ عَامَ وُلِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ. وَعَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً، لَمْ يُرَ يَوْمًا مُحْتَبِيًا وَلَا مُتَسَانِدًا، وَافْتَضَّ بِكْرًا عَامَ وَفَاتِهِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، قَالَهُ أَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ