আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وسبعين

ذكر مقتل شبيب في هذه السنة عند ابن الكلبي

পৃষ্ঠা - ৭১৬৬


তারা চীত্কার দিয়ে বলেছিল, আযীরুল মু’মিনীন পানিতে ডুবে গিয়েছেন, ওদের ঘোষণা শুনে

হাজ্জাজের সৈনিকেরা বুঝতে পারে যে, শাবীব পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে ৷ তারা এগিয়ে আসে

এবং তার মরদেহ উদ্ধার করে ৷
শাবীবের মৃত্যু সংবাদ পৌছে তার মায়ের নিকট ৷ সংবাদ যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে

সে বলেছিল, হী তোমরা ঠিকই বলেছ যে, সে মারা গিয়েছে ৷ আমি তাকে গর্ভধারণ কালে

স্বপ্নে দেখেছিলাম ৷ তার মধ্য থেকে একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বের হয়েছে ৷ তখনই আমি বুঝে নিয়েছি

যে, অগ্নিশিখা পানি ছাড়া নেভানাে যায় না ৷ পানি ব্যতীত অন্য কিছু এটি নিভাতে পারবে না ৷

তার মাতা ছিল একজন ক্রীতদাসী ৷ তার নাম জাহবারা ৷ সে রুপবভী, অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহসী ও

বীরাঙ্গনা ছিল ৷ পুত্র শাবীবের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে সে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত ৷

ইবন খাল্লিকান বলেছেন যে, শাবীবের মাতা এই যুদ্ধেই মারা গিয়েছিল ৷ তাই যুদ্ধে শাবীবের

শ্রী গাযালাও নিহত হয় ৷ সেও প্রচণ্ড শক্তিমতী ও সাহসী মহিলা ছিল ৷ সে যুদ্ধ করত প্রচণ্ড

দক্ষতার সাথে ৷ পুরুষ বীর যােদ্ধারা তার মুকাবিলায় হেরে যেত ৷ শাবীবের পত্নী গাযালাকে

শাসনকর্তা হাজ্জাজ নিজে ভীষণ ভয় করত ৷ এ প্রসঙ্গে জনৈক করি বলেছেন-
শাসনকর্তা হাজ্জার্জ আমাদের নিকট আসে সিংহ হয়ে ৷ যুদ্ধে সে কোমল দেহের উটপাথীর
ছানা ৷ হুইসেলের ন্াব্দ শুনে সে দুরে পালিয়ে যায় ৷
১ঞে
কেন আপনি যুদ্ধক্ষেত্রে“ গাযালা-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পেলেন না ? বরং আপনার অন্তর

হলো পক্ষী শাবকের ণ্দু’ বাহুর ম ধ্যখানে ৷ আপনার অন্তর পাখীর অন্তরের ন্যায় ঙ্ঘার্ত-সস্ত্রস্ত ও

দুব্ল

বর্ণনাকারী বলেন, খারিজী নেতা শাবীব ইবন ইয়াযীদ নিজেকে খলীফা বলে দাবী করেছিল
এবং আপন বলয়ে আমীরুল ঘু’মিনীন সালে তাকে ডাকা হত ৷ মহান আল্লাহ্ যেভাবে তাকে
স্তব্ধ করে দিয়েছেন যদি তা না করতেন তাহলে কালে সে সর্বজন স্বীকৃত খলীফা হয়ে যেত
বটে ৷ কেউই তাকে প্রতিরোধ করতে পারত না ৷ বস্তুত মহান আল্লাহ হাজ্জাজের মাধ্যমে তাকে
থামিয়ে দিয়েছেন ৷ খলীফা আবদুল মালিকের নির্দেশে সিরীয় ,সেনা-অভিযান প্রেরণ করার এই
বম্সহয়েহে ৷

শাবীবের ঘোড়া এখন তাকে দুজায়ল১ নদীর পানিতে ফেলে দিয়েছিল ৷ তখন একলোক

তাকে বলেছিল’ ওহে আযীরুল মু’মিনীন খলীংফা৷ আপনি কি ডুবে যাচ্ছেন ? উত্তরে শাবীব
বলেছিল ৷ এতে৷ পরাক্রমশালী-মহাজ্ঞানী আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত তাকদীর ৷’ এরপর তাকে পানি
থেকে উদ্ধার করে হাজ্জাজের নিকট নেয়া হল ৷ তার নির্দেশে বুক চিরে তার হৃৎপিণ্ড বের করা
হল ৷ দেখা গেল সেটি পাথরের ন্যায় শক্ত ৷ শাবীব ছিল দীর্যাঙ্গী গৌরবর্ণের মানুষ ৷ তার জন্ম
তারিখ ২৬ হিজরী সনের ১ :ই যিলহাজ্জ ঈদুল আযহার দিবস ৷ শাবীবের মৃত্যুর সময়ে তার

ন্ এক অনুসারীকে বন্দী করা হয়েছিল ৷ তাকে উপস্থিত করা হয়েছিল খলীফা আবদুল মালিকের
নিকট ৷ আবদুল মালিক তাকে বলেছিলেন, তুমি কি এই কবিতার রচয়িতা ?

জ্যো যদি মারওয়ানু তার পুত্র; আমর, হাশিম ও হাবীব থেকে থাকে ৷
১ আহওয়ায়ের একটি নদী ৷


النِّسَاءِ، تُقَاتِلُ مَعَ ابْنِهَا فِي الْحُرُوبِ. وَذَكَرَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ أَنَّهَا قُتِلَتْ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَكَذَلِكَ قُتِلَتْ زَوْجَتُهُ غَزَالَةُ. وَكَانَتْ شَدِيدَةَ الْبَأْسِ خَارِجِيَّةً، وَكَانَ الْحَجَّاجُ مَعَ هَيْبَتِهِ يَخَافُ مِنْهَا أَشَدَّ خَوْفٍ، حَتَّى قَالَ فِيهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: أَسَدٌ عَلَيَّ وَفِي الْحُرُوبِ نَعَامَةٌ ... فَتْخَاءُ تَنْفِرُ مِنْ صَفِيرِ الصَّافِرِ هَلَّا بَرَزْتَ إِلَى غَزَالَةَ فِي الْوَغَى بَلْ كَانَ قَلْبُكَ فِي جَنَاحَيْ طَائِرِ قَالَ: وَقَدْ كَانَ شَبِيبُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الصَّلْتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَرَاحِيلَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ ذُهْلِ بْنِ شَيْبَانَ الشَّيْبَانِيُّ - يَدَّعِي الْخِلَافَةَ، وَيَتَسَمَّى بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَوْلَا أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَهَرَهُ بِمَا قَهَرَهُ بِهِ مِنَ الْغَرَقِ لَنَالَ الْخِلَافَةَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَلَمَا قَدَرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ، وَإِنَّمَا قَهَرَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيِ الْحَجَّاجِ، لَمَّا أَرْسَلَ إِلَيْهِ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِعَسَاكِرَ لِقِتَالِهِ، فَهَرَبَ غَيْرَ مَرَّةٍ، وَلَمَّا أَلْقَاهُ جَوَادُهُ عَلَى الْجِسْرِ فِي نَهْرِ دُجَيْلٍ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَغَرَقًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟