আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وسبعين

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭১৬৩

শাবীব ও তার সাথিগণ প্রত্যেকে এক একটি ঘোড়ার চড়ে অন্যত্র চলে যায় ৷ হাজ্জাজ় তার
ণ্লাকদেরকে ওদ্যো পেছনে ধাওয়া করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছিল ৷ তারা আক্রাণ চালায় ৷ এবং
ওদেরকে পরাজিত করে দেয় ৷ শাবীব নিরপেত্তা রক্ষী রুপে সবার পেছনে পেছনে রজ্জি ৷ তারা
এগিয়ে যাচ্ছিল ৷ হাজ্জাজের লোকেরা অদ্দের পেছনে যাওয়া করে ৷ শাবীব তখনো তার ঘোড়ার
পিঠে ৷ তদ্রালু তন্দ্রৰ্লু তার ৷ ঘুমের ঘোরে তার মাথা নুয়ে নুয়ে পড়ছিল ৷ হাজ্জাজের সৈন্য
শাবীৰের খুব কাছাকাছি পৌছে যায় ৷ তার জনৈক অনুসারী তাকে এই পরিস্থিতিতে ঘুমাতে
নিষেধ করল ৷ কিভু যে কারো কথায় কান দেয়নি ৷ তন্দ্রালু হয়েই এগুচ্ছিল ৷ দীর্ঘক্ষণ এভাবে
চলার পর হাজ্জাজ তার সাথীদের একথা বলে ফিরিয়ে আসে যে, ওকে যেতে দক্টও জাহান্নামের
আগুনে পুড়ে মরুক ৷ তারপর তারা তাকে ছেড়ে দিয়ে ফিরে আসে ৷

এরপর হাজ্জাজ কুফার প্রবেশ করে ৷ জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেয় ৷ ভাষণে সে
বলে, ইতোপুর্বে কোন সময়ে শাবীবকে পরাজিত করা যায়নি, ৷ এবার প্রথম যে পরাজিত হল ৷
এরপর শাবীবও কুফাতে প্রবেশ করে ৷ তাকে প্রতিরোধের জন্যে হাজ্জাজের একটি বাহিনী
অগ্রসর হয় ৷ বুধবারে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ জ্বযুআ দিবস পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত থাকে ৷ এই
যুদ্ধে হাজ্জাজ বাহিনীর সেনাপতি ছিল হারিছ ইবন মুআবিয়া ছাকাফী ৷ তার সাথে ছিল ১০০০
অশ্বারােহী সৈনিক ৷ খারিজী নেতা শাবীব হারিছ ইবন মুআবিয়ার উপর হামলা করে ৷ সে হারিছ
ও তার সাথী সেনাদলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়, ওদের অনেক ৫লাককে সে হত্যা করে ৷ সরকারী“-
বাহিনী পালিয়ে গিয়ে কুফার নগরীর ভেতরে আশ্রয় নেয় ৷ তারা রাজপথ ও“গলিপথগুলোতে
প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে ৷ এ সময়ে হাজ্জাজের মুক্ত করা ক্রীতদান্স আবু ওয়ারদ একদল সৈনিক
নিয়ে শাবীৰের মুকাবিলা করার জঃন্য উপস্থিত হয়, সে লড়াই করে এবং নিহত হয় ৷ তার
সাথিগণ পালিয়ে কুফা চলে যায় ৷ এবার অন্য এক সেনাপতি আসে শাবীৰের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে ৷ সেও পরাজিত হয় ৷ এবার শাবীর তার সাথীস্কদ্যাক নিয়ে “আস সাওয়াদ”
অঞ্চলের দিকে যাত্রা করে ৷ ওই অঞ্চলে হাজ্জাজের নিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে তাদের সাক্ষাত
হয় ৷ তারা তাকে হত্যা করে, এরপর শাবীব তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দান করে,
ধ্ সে বলল, তোমরা কি আমিরাত বাদ দিয়ে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছ ? এরপর ধন-সম্পদ
ও মালপত্র যা সাথে ছিল সবগুলো ফোরাত নদীতে ফেলে দেয় ৷ এরপর সে অনুসারীদেরকে
নিয়ে এগিয়ে যায়, এ যাত্রার সে বহুৰুশহর-নগৱ জয় করে ৷ তাকে প্রতিরোধের জন্যে যে-ই
এগিয়ে এসেছে তাকেই সে হত্যা করেছে ৷ এরপর জনৈক নগর প্রশাসক তার নিকট উপস্থিত
হয়, সে বলল, ওহে শাবীব! আস আমি তোমার সাথে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হই আর তুমি আমার
সাথে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হও ৷ এই প্রশাসক মুলতঃ শাবীৰের বন্ধু ছিল ৷ শাবীব তাকে বলল,
আমি তোমাকে খুন করতে চাইনা ৷ প্রশাসক বলল, আমি তো ণ্তামাকে খুন করতে চাই ৷
সুতরাৎ তোমার আত্মবিশ্বাস এবং ইভােপুর্বেকার বিজয়গুলাে তোমাকে যেন প্রভাবিত না করে ৷
এ কথা বলেই প্রশাসক ব্যক্তিঢি শাবীৰের উপর আক্রমণ করে ৷ শাবীব পাল্টা আক্রমণে তার
মাথায় সজােরে আঘাত করে৷ তাতে তার মাথা থেতলে যায়, হাতিঃ, মগজ আর গোশত
মিশে একাকার হয়ে যায় ৷ এরপর শাবীব তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে ৷
এরপর হাজ্জাজ শাৰীবকে ধরে আমার জন্যে তার সেনাবাহিনীর পেছনে বহু টাকা-পয়সা ও

অর্থ কড়ি ব্যয় করে ৷ কিন্তু তারা তাকে বয়ে আনতে পারেনি, সক্ষম হয়নি তার নাগাল পেতে ৷
অবশেষে হাজ্জা জ বাহিনীর কোন প্রক্রিয়ায় নয় আর শাবীৰের নিজেরও কোন ক্রিয়ার নয়; বরং
তাকদীর সুত্রে মহান আল্লাহ এই ৭৭ সনে শাবীৰের মৃত্যু ঘটান ৷


حَرَقِ النَّارِ. فَتَرَكُوهُ وَرَجَعُوا. ثُمَّ دَخَلَ الْحَجَّاجُ الْكُوفَةَ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ شَبِيبًا لَمْ يُهْزَمْ قَبْلَهَا. ثُمَّ قَصَدَ شَبِيبٌ الْكُوفَةَ، فَخَرَجَتْ إِلَيْهِ سَرِيَّةٌ مِنْ جَيْشِ الْحَجَّاجِ، فَالْتَقَوْا مَعَهُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ، فَهُزِمَ الْخَوَارِجُ يَوْمَ الْجُمْعَةِ، وَسَارَتِ الْخَوَارِجُ هَارِبِينَ. وَكَانَ عَلَى سَرِيَّةِ الْحَجَّاجِ الْحَارِثُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الثَّقَفِيُّ فِي أَلْفِ فَارِسٍ مَعَهُ، فَحَمَلَ شَبِيبٌ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَكَسَرَهُ وَمَنْ مَعَهُ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ، وَدَخَلَ النَّاسُ الْكُوفَةَ هَارِبِينَ، وَحَصَّنَ النَّاسُ السِّكَكَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَبُو الْوَرْدِ مَوْلَى الْحَجَّاجِ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ، فَقَاتِلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ هَرَبَ أَصْحَابُهُ، وَدَخَلُوا الْكُوفَةَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْهِ أَمِيرٌ آخَرُ فَانْكَسَرَ أَيْضًا، ثُمَّ سَارَ شَبِيبٌ بِأَصْحَابِهِ نَحْوَ السَّوَادِ، فَمَرُّوا بِعَامِلِ الْحَجَّاجِ عَلَى تِلْكَ الْبِلَادِ فَقَتَلُوهُ، ثُمَّ خَطَبَ أَصْحَابَهُ وَقَالَ: اشْتَغَلْتُمْ بِالدُّنْيَا عَنِ الْآخِرَةِ. ثُمَّ رَمَى بِالْمَالِ فِي الْفُرَاتِ، ثُمَّ سَارَ بِهِمْ حَتَّى افْتَتَحَ بِلَادًا كَثِيرَةً، وَلَا يَبْرُزُ لَهُ أَحَدٌ إِلَّا قَتَلَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْهِ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ الَّذِينَ عَلَى بَعْضِ الْمُدُنِ، فَقَالَ لَهُ: يَا شَبِيبُ ابْرُزْ إِلَيَّ وَأَبْرُزُ إِلَيْكَ - وَكَانَ صَدِيقَهُ - فَقَالَ لَهُ شَبِيبٌ: إِنِّي لَا أَحِبُّ قَتْلَكَ. فَقَالَ لَهُ: لَكِنِّي أُحِبُّ قَتْلَكَ، فَلَا تَغُرَّنَّكَ نَفْسُكَ وَمَا تَقَدَّمَ مِنَ الْوَقَائِعِ. ثُمَّ حَمَلَ عَلَيْهِ فَضَرَبَهُ شَبِيبٌ عَلَى رَأْسِهِ، فَهَمَسَ رَأْسَهُ حَتَّى اخْتَلَطَ دِمَاغُهُ بِلَحْمِهِ وَعَظْمِهِ، ثُمَّ كَفَّنَهُ وَدَفَنَهُ، ثُمَّ إِنَّ الْحَجَّاجَ أَنْفَقَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً عَلَى الْجُيُوشِ وَالْعَسَاكِرِ فِي طَلَبِ شَبِيبٍ فَلَمْ يُطِيقُوهُ وَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَيْهِ، وَإِنَّمَا سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِ مَوْتًا قَدَرًا