আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وسبعين

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭১৫৯


ষুহায়র ইবন কায়স রালাবী (বা)

৭৬ সনে ওফাতপ্রাপ্তদের একজন হলেন যুহাযর ইবন কায়স বালাবী (রা) ৷ তিনি মিসর
বিজয়ে অংশ শনিয়েছিলেন এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না) এর
সাহচর্য পেয়েছিলেন ৷ আফ্রিকার (লিবিয়ার) শহর বারকা তে রোমানগণ তাকে হত্যা করে ৷
মিসরের শাসনকর্তা আবদুল আযীয ইবন মারওয়ানের নিকট সংবাদ আসে যে, রোমানগণ
বারকা অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে ৷ শাসনকর্তা আবদুল আযীয যুহায়রা (রা)ণ্ক ওদের বিরুদ্ধে
অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশ দিলেন ৷ যুহায়র (বা) অগ্রসর হলেন ৷ তার সাথে মাত্র ৪০
জন সৈনিক ৷ তিনি সেখানে রোমানদের অবস্থানরত পেলেন ৷ তার মুল সেনাদল যুদ্ধক্ষেত্রে
পৌছার পুর্ব পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তার সাথিগণ পীড়াপীড়ি
করে বলল, আপনি বরং আমাদেরকে সাথে নিয়ে ওদের উপর আক্রমণ করুন ৷ তারা আক্রমণ
করলেন ৷ পরিণামে তারা সকলেই নিহত হলেন ৷

মুনযির ইবন জারুদ (র)

মুনযির ইবন জারুদ এই ৭৬ সনে ইনতিকাল করেন ৷ তিনি এক সময় সরকারী ণ্কাষাগার
বা বায়তুল মালের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ৷ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে তিনি আমীর মুআবিয়া
(রা) এর দরবারে গিয়েছিলেন ৷

৭ ৭ হিজরী সন

এই সনে শাসনকর্তা হাজ্জাজ কুফার নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি বিশাল যোদ্ধা দল গঠন
করে ৷ এই দলে সৈন্য সংখ্যা ছিল ৪০,০০০ ৷ পরবর্তীতে তার সাথে আরো ১০,০০০ হাজার
সৈন্য যোগ করে ৷ ফলে সৈন্য সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারে উন্নীত হয় ৷ আত্তাব ইবন ওয়ারাকা
সেনাপতি নিযুক্ত হন ৷ শাবীবকে খুজে বের করে পাকড়াও করতে ,র্তাকে নির্দেশ দেয়া হয় ৷
তাকে হত্যা করার দৃঢ় সংকর নিয়ে এগিয়ে যেতে বলা হয় ৷ হাজ্জাজ এও বলে দেয় যে,
ইতোপুর্বে পরাজয় বরণ ও পালিয়ে গিয়ে যে অপকর্ম করেছে এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না
হয় ৷ তখন শাবীবের সাথে ছিল মাত্র ১০০০ অনুসারী ৷ শ্া৷বীবের নিকট হাজ্জাজের বিশাল
সেনাবহর এগিয়ে আমার সংবাদ আসে ৷ তাতে সে মোটেও বিচলিত হয়নি ৷ সে তার
অনুসারীরুব্ব উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দীড়ায় ৷ সে তাদেরক ওয়ায-নসীহত করে, উপদেশ দেয় ৷
এবং যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ ও শত্রুর উপর কুশলী আক্রমণ পরিচালনায় উৎসাহ প্রদান করে ৷
এরপর অনুসারীদেরকে সাথে নিয়ে শাবীর আত্তাব ইবন ওয়ারকা-এর উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন ৷
দিনের শেষ বেলায় সুর্যাস্তের সময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷ শাবীর তীর মুআযযিন সালাম
ইবন ইয়াসারকে মাগরিবের আমার দিতে বলে ৷ সেন্ আমান দেয় ৷ সাথীদেরকে নিয়ে শাবীর
ধীরস্থিরভাবে পুর্ণাঙ্গ রুকু সিজদা করে মাগরিবের নামায আদায় করল ৷ আত্ত৷ ব তার ভৈসনিকদের
সারিবদ্ধ করলেন ৷ শাবীর মাগরিবের নামায ণ্;শষে নিরুদ্বিগ্ন বসে থাকল ৷ অপেক্ষায় থাকল
চীদ উঠার ৷ চাদ উঠল আকাশে ৷ চারিদিকে আলোকময় হয়ে পড়ল ৷ এরপর সে তার ডান
দিৰেল্ম সৈন্য এবং বাম দিকের সৈন্যদের প্রতি দৃষ্টি দিন এবং সেগুলোকে বিন্যস্ত করল ৷
ষ্ারপর আত্তাবেৱ পতাকাবাহী সৈন্যদের উপর আক্রমণ চালায় ৷ শাবীর বলছিল “আমি হলাম
ষ্বুমুদ্দিল্লাহ্ আল্পাহ্ ব্যতীত কারো কোন ফায়সালা চলবে না ৷ ”শাবীর ওদের উপর আক্রমণ
না ৷ ওদের সেনাপতি কাবীস৷ ইবন ওয়ালিকসহ অনেক সেনাপতিকে সে হত্যা করল ৷
মোঃ হামলা চালাল ওদের লেনাদলেন্নু ডান এবং বাম ইউনিটের উপর ৷ উভয় বাহুর


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَسَبْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا أَخْرَجَ الْحَجَّاجُ مُقَاتِلَةَ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَانُوا أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَانْضَافَ عَلَيْهِمْ عَشَرَةُ آلَافٍ، فَصَارُوا خَمْسِينَ أَلْفًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَتَّابَ بْنَ وَرْقَاءَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْصِدَ لِشَبِيبِ بْنِ يَزِيدَ أَيْنَ كَانَ، وَأَنْ يُصَمِّمَ عَلَيْهِ، وَعَلَى مَنْ مَعَهُ، وَكَانُوا قَدْ تَجَمَّعُوا أَلْفَ رَجُلٍ، وَأَنْ لَا يَفْعَلُوا كَمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ قَبْلَهَا مِنَ الْفِرَارِ وَالْهَزِيمَةِ. وَلَمَّا بَلَغَ شَبِيبًا مَا بَعَثَ بِهِ الْحَجَّاجُ إِلَيْهِ مِنَ الْجُنُودِ، لَمْ يَعْبَأْ بِهِمْ شَيْئًا، بَلْ قَامَ فِي أَصْحَابِهِ خَطِيبًا، فَوَعَظَهُمْ وَذَكَّرَهُمْ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الصَّبْرِ عِنْدَ اللِّقَاءِ، وَمُنَاجَزَةِ الْأَعْدَاءِ، ثُمَّ سَارَ شَبِيبٌ بِأَصْحَابِهِ نَحْوَ عَتَّابِ بْنِ وَرْقَاءَ، فَالْتَقَيَا فِي آخِرِ النَّهَارِ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَأَمَرَ شَبِيبٌ مُؤَذِّنَهُ سَلَّامَ بْنَ سَيَّارٍ الشَّيْبَانِيَّ فَأَذَّنَ الْمَغْرِبَ، ثُمَّ صَلَّى شَبِيبٌ بِأَصْحَابِهِ الْمَغْرِبَ، وَصَفَّ عَتَّابٌ أَصْحَابَهُ - وَكَانَ قَدْ خَنْدَقَ حَوْلَ جَيْشِهِ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ - فَلَمَّا صَلَّى شَبِيبٌ بِأَصْحَابِهِ الْمَغْرِبَ انْتَظَرَ حَتَّى طَلَعَ الْقَمَرُ وَأَضَاءَ، تَأَمَّلَ الْمَيْمَنَةَ وَالْمَيْسَرَةَ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى أَصْحَابِ رَايَاتِ عَتَّابٍ، وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا شَبِيبٌ أَبُو الْمُدَلَّهِ، لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَهَزَمَهُمْ، وَقُتِلَ أَمِيرُهُمْ قَبِيصَةُ بْنُ وَالِقٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ مَعَهُ، ثُمَّ كَرَّ عَلَى الْمَيْمَنَةِ وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ، فَفَرَّقَ شَمْلَ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا، ثُمَّ قَصَدَ الْقَلْبَ، فَمَا زَالَ حَتَّى قُتِلَ الْأَمِيرُ عَتَّابُ بْنُ وَرْقَاءَ،