আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

ولاية مسلمة على بلاد العراق وخراسان

ذكر وقعة جرت بين الترك والمسلمين

পৃষ্ঠা - ৭৬১৬


সময় মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক শপথ করলেন, অবশ্যই তিনি মুহাল্লাব পরিবারের
নারী-শ্শিশ্যুৰুপক্স বিক্রি করবেন ৷ জনৈক আমীর তার কসম পুর্ণ করার জন্য তাদেরকে একলক্ষ
দিরহাম মুল্যে পরিদ করলেন ৷ তারপর সসমানে তাদেরকে আযাদ করে দিলেন ৷ পরবর্তীতে

মাসলামাহ্ সেই আমীর থেকে কোন মুল্য গ্রহণ করলেন না ৷ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের মৃত্যুতে
কবিরা একাধিক শোকপাথা রচনা করেছে, যা ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন ৷

ইরাক ও খােরসােনের গ্রশালকরুপে-মাসলামাহ্

মাসলমােহ্ ইবন আবর্দুল মালিক মুহাল্লাব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ থেকে অবসর
গ্রহণ করেন সে রআং তার ভাই খলীফা ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক লিখিত ফরমান প্রেরণ
করে তাকে কুফা, বন্যা ও থােরাসান অঞ্চলের প্রশাসক নিয়োগ করলেন ৷ মাসলামাহ্ কুফা ও ,
বসরায় তার ন্থলবর্তী শুপগ্রশাসক নিয়োগ করলেন এবং তার জামাতা সাঈদ ইবন আবদুল
আযীয ইবন হা;রিহ হৰনুস হ্কোম ইবন আবুল আসকে থােরাসানে প্রেরণ করলেন যার উপাধি
ছিল খুষায়নাহ্’ ৷ তিনি সেখানে গমন করলেন এবং সেখানকার অধিবাসীদের অবিচলতা ও
বীরত্বে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ এছাড়া তিনি এ সময় মুহাল্লার পরিবারের নায়েবদের শাস্তি প্রদান
করলেন এবং তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সষ্পদ আদায় করলেন ৷ এ সময় তাদের কেউ
কেউ শাস্তির কঠোরতার কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ ন্ ন্

তাঃ গরী১ ও মুসলমানদের মাঝে সংঘটিত একটি যুদ্ধ তাতারী সম্রাট খাকান কুররুসাল
নামক এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুগদ্ অঞ্চলে এক ফৌজ
প্রেরণ করে ৷ এ সময় সে অগ্রসর হয়ে মুসলিম অধ্যুষিত কামরুল বাহিলী অবরোধ করে ৷
প্ তখন সমরকন্দের প্রশাসক উছমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুতাররিফ চল্লিশ হাজার দিরহামের
বিনিময়ে তাদের সাথে সন্ধি করেন এবং সন্ধির সভ্যতার প্রমাণস্বরুপ সতেরজন নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিকে বন্ধকস্বরুপ তাদের হাতে তুলে দেন ৷ এরপর উছমান তাতারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য
মুসলমানদের আহ্বান জানান ৷ তখন তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে চার সহস্র যোদ্ধা নিয়ে
মুসায়ান্ত্রার ইবন বিশর আৱরিয়াহী নামক এক ব্যক্তি তাতারীদের অভিমুখে অগ্রসর হন৷ কিছুদুর
পথ অতিক্রম করার পর তিনি তাদের উদ্দেশ্যে থুত্বা দেন এবং তাদেরকে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ
করেন এবং তাদেরকে জানান তিনি শত্রু অভিমুখে যাচ্ছেন শাহার্দত লাভের উদ্দেশ্যে ৷ তার এ
কথা ৷শানার পর এক হাজারের অধিক যোদ্ধা ফিরে যায় ৷ এরপর প্রত্যেক মনযিলে তিনি
তাদের উদ্দেশ্যে থুত্বা দিতে থাকেন এবং তার সহযােদ্ধাদের অনেকে ফিরে যেতে থাকে ৷
এমন কি শেষ পর্যন্ত তার সাথে মাত্র সাতশ যোদ্ধা অবশিষ্ট থাকে ৷ তখন তিনি এদেরকে নিয়ে
অগ্রসর হন এবং “কাসরে বাহিনী অবরোধকারী তাতারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য
সুবিধামাফিক অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এদিকে সেখানে অবরুদ্ধ মুসলমানগণ এই সিদ্ধন্তে গ্রহণ
করেন যে, তারা শত্রুদের সামনে তাদের ন্তী-সন্তানদের হত্যা করবেন, তারপর সেখান থেকে
নেমে তাদের সর্বশেষজন শহীদ হওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন ৷ মুসায়িব তাদেরকে সে দিনের
জন্য অবির্চল থাকতে বলেন, তারা তইি করে ৷ আর এদিকে মুসায়িব্রব প্রতীক্ষায় থাকেন ৷
অবশেষে যখন রাতের শেষ প্রহর ঘনিয়ে আসে, তখন তিনি ও তার সহযোদ্ধারা তাকবীরধ্বনি

১ এখানে আরবীতে তুর্কী শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু অনুবাদ তাতারী করা হলো ৷


وَقَدْ أَمَّرُوا عَلَيْهِمُ الْمُفَضَّلَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، فَأَرْسَلَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ جَيْشًا، عَلَيْهِمْ هِلَالُ بْنُ أَحْوَزَ الْمَازِنِيُّ فِي طَلَبِ آلِ الْمُهَلَّبِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ أَمَّرُوا عَلَيْهِمْ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مُدْرِكُ بْنُ ضَبٍّ الْكَلْبِيُّ. فَلَحِقَهُمْ بِجِبَالِ كَرْمَانَ فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ الْمُفَضَّلِ، وَأُسِرَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَانْهَزَمَ بَقِيَّتُهُمْ، ثُمَّ لَحِقُوا الْمُفَضَّلَ فَقَتَلُوهُ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأَقْبَلَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ فَأَخَذُوا لَهُمْ أَمَانًا مِنْ أَمِيرِ الشَّامِ ; مِنْهُمْ مَالِكُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيُّ، ثُمَّ أَرْسَلُوا بِالْأَثْقَالِ وَالْأَمْوَالِ وَالنِّسَاءِ وَالذُّرِّيَّةِ فَوَرَدَتْ عَلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعَهُمْ رَأْسُ الْمُفَضَّلِ، وَرَأْسُ عَبْدِ الْمَلِكِ ابْنَيِ الْمُهَلَّبِ، فَبَعَثَ مَسْلَمَةُ بِالرُّءُوسِ، وَتِسْعَةٍ مِنَ الصِّبْيَانِ الْأَحْدَاثِ الْحِسَانِ إِلَى أَخِيهِ يَزِيدَ، فَأَمَرَ بِضَرْبِ أَعْنَاقِ أُولَئِكَ، وَنُصِبَتْ رُءُوسُهُمْ بِدِمَشْقَ ثُمَّ أَرْسَلَهَا إِلَى حَلَبَ فَنُصِبَتْ بِهَا، وَحَلَفَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ لَيَبِيعَنَّ ذَرَارِيَّ آلِ الْمُهَلَّبِ، فَاشْتَرَاهُمْ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ إِبْرَارًا لِقَسَمِهِ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَأَعْتَقَهُمْ وَخَلَّى سَبِيلَهُمْ، وَلَمْ يَأْخُذْ مَسْلَمَةُ مِنْ ذَلِكَ الْأَمِيرِ شَيْئًا. وَقَدْ رَثَا الشُّعَرَاءُ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ بِقَصَائِدَ ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ. [وِلَايَةُ مَسْلَمَةَ عَلَى بِلَادِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ] وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ حَرْبِ آلِ الْمُهَلَّبِ كَتَبَ إِلَيْهِ أَخُوهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بِوِلَايَةِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ وَخُرَاسَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَاسْتَنَابَ عَلَى الْكُوفَةِ وَعَلَى الْبَصْرَةِ، وَبَعَثَ عَلَى خُرَاسَانَ خَتَنَهُ زَوْجَ ابْنَتِهِ سَعِيدَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ، الْمُلَقَّبِ بِخُذَيْنَةَ، فَسَارَ إِلَيْهَا فَحَرَّضَ أَهْلَهَا عَلَى الصَّبْرِ وَالشَّجَاعَةِ، وَعَاقَبَ عُمَّالًا مِمَّنْ كَانَ يَنُوبُ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَمَاتَ بَعْضُهُمْ تَحْتَ الْعُقُوبَةِ. [ذِكْرُ وَقْعَةٍ جَرَتْ بَيْنَ التُّرْكِ وَالْمُسْلِمِينَ] وَذَلِكَ أَنَّ خَاقَانَ الْمَلِكَ الْأَعْظَمَ مَلِكَ التُّرْكِ، بَعَثَ جَيْشًا إِلَى الصُّغْدِ لِقِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، عَلَيْهِمْ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: كُورْصُولُ. فَأَقْبَلَ حَتَّى نَزَلَ عَلَى قَصْرِ الْبَاهِلِيِّ فَحَصَرَهُ وَفِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَصَالَحَهُمْ نَائِبُ سَمَرْقَنْدَ وَهُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطَرِّفٍ عَلَى أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَدَفَعَ إِلَيْهِمْ سَبْعَةَ عَشَرَ دِهْقَانًا رَهَائِنَ عِنْدَهُمْ، ثُمَّ نَدَبَ عُثْمَانُ النَّاسَ فَانْتَدَبَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْمُسَيَّبُ بْنُ بِشْرٍ الرِّيَاحِيُّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَسَارُوا نَحْوَ التُّرْكِ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ خَطَبَ النَّاسَ، فَحَثَّهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ ذَاهِبٌ إِلَى الْأَعْدَاءِ لِطَلَبِ الشَّهَادَةِ، فَرَجَعَ عَنْهُ أَكْثَرُ مِنْ أَلْفٍ، ثُمَّ لَمْ يَزَلْ فِي كُلِّ مَنْزِلٍ يَخْطُبُهُمْ، وَيَرْجِعُ عَنْهُ بَعْضُهُمْ، حَتَّى