আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وتسعين

ذكر سبب مقتل قتيبة بن مسلم

পৃষ্ঠা - ৭৫০৭


র্যতোদিন আমার চোখে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে ততদিন আমি তোমার শোকে কেদে যাব ৷
আর যদি তা শুকিয়ে যায়, তাহলে আমার ত ন্তোর যে শোক ও বেদনা সুপ্ত আছে, তাই তোমার
জ্যাদ্র যথেষ্ট ৷

’রু প্রুট্টণ্ এে
তোমার মৃত্যুর পর আমি আমার কোন ণ্শাকেই কাতর হব না এবং কোন আনন্দেই
উফ্তে হব না ৷

অবস্থা এমন যেন তুমি ছাড়া অন্য কেউ কোন দিন মৃত্যুবরণ করেনি এবং তুমি ছাড়া অন্য
কারও ণ্শাকে মাতমকারিণীরা বিলাপ করেনি ৷ ণ্


আজ যদি তোমার ব্যাপারে শোকপাথা ও তার উল্লেখ সুন্দর হয়ে থাকে, তাহলে আশ্চর্যের
কিছু নেই ৷ কেননা, ইতোপুর্বে তোমার ব্যাপারে ন্তুতিগাথাও সুন্দর হয়েছিল ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, নিঃসন্দেহে এই শ্লোকপথোঢি বেশ সুন্দর ৷ আর এতে বীরতু ও
শৌর্য বীর্যের প্রকাশ রয়েছে ৷ আর তা হামাসা’ অধ্যায়ে বিদ্যমান ৷ এরপর তিনি বাহিলা গোত্র
সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, এরা আরবের অতি ইতর গোত্র ৷ তিনি বলেন, কোন মজলিসে
আমাকে রিওয়ায়াত করা হয়েছে যে (একবার) আশৃআছ ইবন কায়স বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
আমাদের (সকল সম্রান্ত ও ইতর) রক্ত কি সমমর্যাদা সম্পন্ন ৷ তিনি বললেন : ণ্াওশুপু ! ;;’;
এ্যা হুা£ ;,, ১া এ হীা! তুমি যদি বানুবাহিলার কোন ব্যক্তিকেও হত্যা কর, তাহলেও
আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ র্জ্যনক আরবকে বলা হলো, বাহিলা গোত্রের সদস্য হয়ে কি তুমি
জান্নাতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ? জবাবে সে বলল, হী৷ ! আমি তাতে সম্মত আছি, তবে শর্ত
হলো জান্নাতবাসীরা যেন বিষয়টি জানতে না পারে ৷ জনৈক আরব এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা
করল, তুমি কোন গোত্রের লোক ৷ সে বলল, বানুবাহিলার ৷ তখন সে তার জন্য সমবেদনা ও
শোক প্রকাশ করতে লাগল ৷ এরপর লোকটি বলল, আমি তোমাকে আরেকটি বাড়তি তথ্য
দিব ৷ তা হলো আমি তাদের বংশজাত নই, তাদের সাহচর্যে অবস্থানকারী আযাদকৃত দাস ৷
একথা শুনে আরব লোকটি তার হাবত-পায়ে চুমু খেতে লাগল ৷ সে বলল, এটা আপনি কেন
করছেন ? সে বলল, কেননা (আমার নিশ্চিত বিশ্বাস) আখিরাতে বিনিময়রুপে জান্নাত প্রদানের
জ্যাদ্র আল্লাহ্ তোমাকে দুনিয়াতে এই বিপদ দ্বারা পরীক্ষায় ফেলেছেনঃ ৷

তারপর ইবন জারীর বলেন, এ বছরের মিসরের আমীর ও শাসক কুবরা ইবন শারীক
আল আবসী ওফাতপ্রাপ্ত হন ৷ আল বিদায়ার প্রস্থুকার বলেন, ইনি হলেন কুবরা ইবন শারীক
যিনি খলীফা ওয়ালীদের পক্ষ হতে মিসরের আমীর ও প্রশাসক ছিলেন ৷ ইনিই আল ফায়ুম-এর
জামি মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ আর এ বছর লোকদের হজ্জ পরিচালনা করেন আবু বাকর
মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায্ম ৷ যিনি পবিত্র মদীনায় প্রশাসক ছিলেন ৷ আর এ সময় পবিত্র
মক্কার প্রশাসক ছিলেন আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন খালিদ ইবন উসায়দ ৷ আর
ইরাকের যুদ্ধ ও সালাতের দায়িত্বে ছিল ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব, আর খারাজ-কর আদায়ের
দায়িত্বে সালিহ ইবন আবদুর রহমান ৷ এছাড়া ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের নাইবরুপে বসরার
দায়িত্বে ছিল সুফ্য়ান ইবন আবদুল্লাহ আলু কিনৃদী আর কাযী ছিল আবদুর রহমান ইবন
উযায়নাহ ৷ কুফার কাযী ছিল আবু বকর ইবন আবু মুসা এবং খােরাসানের সমরকর্তা ছিল
ওয়াকী ইবন সুদ ৷ আর সুমহান আল্পাহ্ই সৰ্বাধিক জানেন ৷


فَمَا أَنَا مِنْ رُزْءٍ وَإِنْ جَلَّ جَازِعٌ ... وَلَا بِسُرُورٍ بَعْدَ مَوْتِكَ فَارِحُ كَأَنْ لَمْ يَمُتْ حَيٌّ سِوَاكَ وَلَمْ تَقُمْ ... عَلَى أَحَدٍ إِلَّا عَلَيْكَ النَّوَائِحُ لَئِنْ حَسُنَتْ فِيكَ الْمَرَاثِي وَذِكْرُهَا ... لَقَدْ حَسُنَتْ مِنْ قَبْلُ فِيكَ الْمَدَائِحُ قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَهِيَ مِنْ أَحْسَنِ الْمَرَاثِي، وَهِيَ فِي الْحَمَاسَةِ. ثُمَّ تَكَلَّمَ عَلَى بَاهِلَةَ، وَأَنَّهَا قَبِيلَةٌ مَرْذُولَةٌ عِنْدَ الْعَرَبِ، قَالَ: وَقَدْ رَأَيْتُ فِي بَعْضِ الْمَجَامِيعِ «أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَتَكَافَأُ دِمَاؤُنَا؟ قَالَ: نَعَمْ، وَلَوْ قَتَلْتَ رَجُلًا مِنْ بَاهِلَةَ لَقَتَلْتُكَ بِهِ» وَقِيلَ لِبَعْضِ الْعَرَبِ: أَيَسُرُّكَ أَنْ تَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَأَنْتَ بَاهِلِيٌّ؟ قَالَ: بِشَرْطِ أَنْ لَا يَعْلَمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ بِذَلِكَ. وَسَأَلَ بَعْضُ الْأَعْرَابِ رَجُلًا: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ بَاهِلَةَ. فَجَعَلَ يَرْثِي لَهُ. فَقَالَ: وَأَزِيدُكَ أَنِّي لَسْتُ مِنَ الصَّمِيمِ وَإِنَّمَا أَنَا مِنْ مَوَالِيهِمْ. فَجَعَلَ يُقَبِّلُ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، فَقَالَ: وَلِمَ تَفْعَلُ هَذَا؟ فَقَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى مَا ابْتَلَاكَ بِهَذِهِ الرَّزِيَّةِ فِي الدُّنْيَا إِلَّا لِيُعَوِّضَكَ الْجَنَّةَ فِي الْآخِرَةِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ قُرَّةُ بْنُ شَرِيكٍ الْقَيْسِيُّ أَمِيرُ مِصْرَ مِنْ جِهَةِ الْوَلِيدِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَكَانَ هُوَ الْأَمِيرَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَعَلَى مَكَّةَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ