আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وسبعين

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭১৪৩

ইবন জারীর বলেন যে, এই সনে ইমরুল কায়েস গোত্রের সালিহ্ ইবন মুসাররাহ একটি
আন্দোলন গড়ে তোলে ৷ সে সুফারিয়্যাহ (খারিজীদের একটি শাখা) মতবাদের অনুসারী ছিল ৷
কারো কারো মতে সে ছিল সুফারিয়্যাহ মতবাদের গোড়া পত্তনকারী ৷ ঘটনা ছিল এই যে, এই
৭৫ সনে সে হজ্জ করতে গিয়েছিল ৷ শাবীব ইর্বৃন ইয়াযীদ,ধ্ বাভীন এবং এই পর্যায়ের খারিজী
নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিল ৷ ঘটনাক্রমে ওই বৎসর খলীফা আবদুল মালিক হজ্জ করতে
গিয়েছিলেন ৷ খারিজী নেতা শাবীব খলীফাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিভু তা সম্ভব
হয়নি ৷ হজ্জ থেকে ফিরে আসার পর খলীফা এই সংবাদ জানতে পারেন ৷ ফলে ওই দলের
লোকদেরকে ধরে আমার জন্যে খলীফ৷ শাসনকর্তা হাজ্জাজকে নির্দেশ দেন ৷ আলোচ্য সালিহ্
ইবন মুসাররাহ্ বারবার কুফ৷ যেত এবং সেখানে অবস্থান করত ৷ তার একদল অনুসারী ছিল ৷
তারা তার মজলিসে বসত ৷ তার বুযুগীতিত বিশ্বাস করত ৷ এদের অধিকাৎশ ছিল দারা ও
মুসেলের অধিবাসী ৷ সালিহ্ ওদেরকে কুরআন শিক্ষা দিত ৷ ওয়ায নসীহত করত ৷ তার গায়ের
রং ছিল হলুদ ৷ সে প্রচুর ইবাদত বন্দেপী করত ৷ ওয়ায করার সময় সে আল্লাহ্র
ৎসা-গুণগান ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে ওয়ায শুরু করত ৷
ওয়াযের মধ্যে যে দুনিয়ার প্রতি নির্লোভ থাকা, আখিরাতের প্রতি আগ্রহী হওয়া, মৃত্যুর কথা
বেশী বেশী স্মরণ করা ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা করত ৷ সে হযরত আবু বকর (বা) ও উমর
(রা) এর প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করত ৷ তাদের সুনাম সুকীর্তি বর্ণনা করত ৷ এরপর
হযরত উছমান (রা) এর বিষয় আলোচনায় আনত এবং তাকে গালমন্দ করত ৷ তার হত্যাকারী
পাপাচারী ঘাতকেরা তাকে যে সব দোষে অভিযুক্ত করেছিল ওইসব তথাকথিত দােষগুলো সে
উল্লেখ করত ৷ এরপর তা তার সাথীদেরকে খারিজীদের দলভুক্ত হয়ে খারিজী আন্দোলনে শরীক
হয়ে সৎকর্মের আদেশ ও মন্দ কর্মে নিষেধ করতে বেরিয়ে পড়ার জন্যে উদ্বুদ্ধ করত ৷ লোক
সমাজে প্রচলিত রসুম রেওয়াজের প্রতি ঘৃণাবােধ সৃষ্টিতে সে তার অনুসারীদেরকে কাজে
লাগতে ৷ সে তাদেরকে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে হেলায় মৃত্যুবরণ করতে দীক্ষা দিত ৷ সে দুনিয়ার
বিরুপ সমালোচনা করত ৷ পার্থিব বিষয়গুলােকে নিতান্ত তুচ্ছ ও গৌণ বিবেচনা করত ৷ হতে
হতে একদল লোক তার মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে উঠে ৷ এক পর্যায়ে তার সতীর্থ শাবীব নিজ
অনুসারীদেরকে নিয়ে তাকে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার আহ্বান জানান ৷ এরপর
সালিহের নিকট শাবীব নিজে এসে উপস্থিত হন ৷ সালিহ্ তখন “দাবা অঞ্চলে অবস্থান
করছিল ৷ আলাপ আলোচনার পর উভয়ে একমত হল যে, আগামী বছর ৭৬ সনের সফর
মাসের শুরুর দিকে তারা মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহ ও আন্দোলন শুরু করবে ৷ এই যাত্রার শাবীবের
সাথে তার ভাই মুসাদ, মুজাল্লাল এবং ফযল ইবন আমির সালিহের নিকট উপস্থিত হয়েছিল ৷
দারায় সালিহের নিকট তখন প্রায় ১২০ জনের মত নেতৃস্থানীয় খারিজী লোকের সমাবেশ
ঘটেছিল ৷ একদিন তারা শাসনকর্তা মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানের অশ্বগুলোর উপর আক্রমণ করে ৷
তারা অশ্বগুলোকে ছিনিয়ে নেয় এবং সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এরপর তারা কী কী ঘটিনা
ঘটিয়েছিল “৭৬ সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে আমরা তা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

৭৫ হিজধী সনে নেতৃন্থৰুনীয় যীরা ইন্তিকাল করেন

আবু মুসহির ও আবু উবায়দ এর অভিমত অনুসারে এই সনে হারা ইনৃতিকাল করেন
তাদের অন্যতম হলেন হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়৷ ৷ তিনি আবু নাজীহ সুলড়ামী উপনামেও
পরিচিত ৷ তিনি একজন বিশিষ্ট সাহাবী ৷ তিনি হিমস নগরীতে বসবাস করতেন ৷ ইসলামের


مِائَةٍ وَعَشَرَةِ أَنْفُسٍ، ثُمَّ وَثَبُوا عَلَى خَيْلٍ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، فَأَخَذُوهَا وَتَقْوَوْا بِهَا، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمَرِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] وَكَانَ مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي قَوْلِ أَبِي مُسْهِرٍ، وَأَبِي عُبَيْدٍ: الْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ السُّلَمِيُّ أَبُو نَجِيحٍ سَكَنَ حِمْصَ، وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، أَسْلَمَ قَدِيمًا هُوَ وَعَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَنَزَلَ الصُّفَّةَ، وَكَانَ مِنَ الْبَكَّائِينَ الْمَذْكُورِينَ فِي سُورَةِ بَرَاءَةٍ، كَمَا قَدْ ذَكَرْنَا أَسْمَاءَهُمْ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ} [التوبة: 92] (التَّوْبَةِ: 92) . وَهُوَ رَاوِي حَدِيثِ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، حَتَّى قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا. قَالَ: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ، كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ، عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي، وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ مِنْ بَعْدِي، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ ; فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ» رَوَاهُ