আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

পৃষ্ঠা - ৭৪৯৩

করেছে এখন আমরা তাকে নিরুপায় ভাবতে পারি ৷ বর্ণিত আছে, মৃত্যুকালে তার পিতা
আবদুল মালিক তাকে ওসিয়াত, করে বললেন, আমার মৃত্যুর পর বসে বসে অশ্রুপাত করে৷ না,
আর মেয়েদের ন্যায় মাতম করে৷ না ৷ নিজেকে সংযত ও সংহত রাখবে এবং আমার দাফন
কাফনের ব্যবস্থা করে আমার থেকে দায়িতৃমুক্ত হয়ে যাবে ৷ আমাকে নিয়ে আর ভারবে না ৷
এরপর লোকদের বায়আতের আহ্বান জানাবে ৷ যে তার মাথা বাকিয়ে তাতে অস্বীকৃতি
জানাবে তার প্রত্যুত্তর তুমি তরৰারি দিয়ে দিনে ৷ লায়ছ বলেন, আটানব্বই হিজরীতে ওয়ালীদ
রোমদেশে আক্রমণ পরিচালনা করেন এবং এ বছরে লোকদেয়কে হজ্জও করার ৷ অন্যরা
বলেন, এর পুর্বের বছর তিনি রোম আক্রমণ করেন এবং পরের বছর মালতিয়া ও অন্যান্য দেশ
আক্রমণ করেন ৷ তার আত্টির সীল-মােহর ছিল, “আমি একনিষ্ঠতাবে আল্লাহ্কে বিশ্বাস
করি ৷” কারও মতে তা ছিল ওয়ালীদ! অবশ্যই তুমি মৃত্যুবরণকারী’ ৷ বলা হয় মৃত্যুকালে তার
সর্বশেষ কথা ছিল সুবহানাল্লাহ্ ওয়াল হামদু লিল্লাহ্, ওয়া লাইলাহ৷ ইল্লাল্পাহ্ ৷ ইব্রাহীম ইবন
আবু আবল৷ বলেন, একদিন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক আমাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি
কয়দিনে কুরআন খতম কর ? আমি বললাম, এত এত দিনে ৷ তখন তিনি বললেন, কিন্তু
তোমাদের আমীরুল মু’মিনীন তো তার সকল ব্যস্ততা সত্বেও তিন দিনে মতান্তার সাতদিনে
খতম করেন ৷ ইব্রাহীম বলেন, খলীফ৷ ওয়ালীদ রমাযান মাসে সতের বার কুরআন খতম
করতেন ৷ তিনি আরও বলেন, খলীফা ওয়ালীদের তুলনা কোথায় ? তিনি হলেন দামেশকের
জামে মসজিদের নির্মাতা, মাঝে মাঝে তিনি আমাকে রৌপ্য খণ্ড দিতেন আর আমি তা বায়তুল
মাকদিসের১ কারীদের মাঝে বন্টন করে দিতাম ৷

ইবন আসাকির নির্ভরযোগ্য সুত্রে আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ ইবন জাবির তার পিতা
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন খলীফা ওয়ালীদ জামি দাশেক হতে তার
বাবে-আসগার (ক্ষুদ্রতম দরযা) দিয়ে বের হয়ে দেখলেন, এক ব্যক্তি পুর্ব দিকের মিনারার কাছে
কিছু একটা খাচ্ছে ৷ তখন তিনি সােকটির কাছে এসে র্দাড়ালেন এবং দেখতে পেলেন, সে মাটি
দিয়ে রুটি খা চ্ছে ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, কেন তুমি এমন করছ ? সে বলল, অল্পে তুষ্টির
কারণে আমি এমন করছি, হে আমীরুল মু’মিনীনা তখন ওয়ালীদ তার মজলিসে গিয়ে
৫লাকটিকে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার এরুপ আচরণের নিশ্চয়
কোন রহস্য আছে, হয় তুমি আমাকে তা অবহিত করবে অন্যথায় আমি তােমার গর্দান উড়িয়ে
দিব ৷ তখন সে বললো, তাহলে শুনুন, আষীরুল মু’মিনীন! আমি ছিলাম ভাড়ার বিনিময়ে মাল
বহনকারী মুটে ৷ একবার আমি মালামাল বহন করে মারাজুস সফর’ হতে কাসওয়া অভিমুখে
যাচ্ছিলাম ৷ পথিমধ্যে আমার পেশাবের বেগ হলো, তখন আমি পেশার করার জন্য একটি
গোলাকার গতেব্রি কাছে গেলাম ৷ সেখাৰনগিয়ে একটি সুড়ঙ্গ দেখতে পেয়ে তা খনন করলাম ৷
এবং গুপ্তধ্নের সন্ধান পেলাম ৷ এরপর আমি তা দ্বারা আমার সকল বস্তা ও থলে পুর্ণ করলাম
এবং আমার বাহনস্মুস্থ ইাকিয়ে অগ্রসর হলাম ৷ এমন সময় আমার সাথে একটি খাবার ভরতি
থলে পেলাম ৷ তখন আমি লােভের বশ ৷বর্তী হয়ে তা থেকে খাবার ফেলে দিলাম এবং মনে মনে
বললাম আমি তে ৷ অচিরেই (আমার পন্তব্য) কাসওয়ায় পৌচ্ছে যাচ্ছি ৷ এরপর আমি ঐ গুপ্তধন
দ্বারা খাবার থালাটি ভরার জন্য ঐ গর্তের কাছে ফিরে আসলাম ৷ কিন্তু অনেক চেষ্টা-সাধনার
পরও আমি আর স্থানটির সন্ধান পেলাম না ৷৩ তারপর নিরাশ হয়ে আমি আমার বাহনগুলোর
উদ্দেশ্যে ফিরে আসলাম ৷ কিন্তু, আমি তার কোনও হদিছ পেলাম না এবং ফেলে দেওয়া সেই

১ কারী দ্বারা এখানে বিশুদ্ধ কুরআন পাঠে দক্ষ ও বিজ্ঞ আলিমগণ উদ্দেশ্য ৷