আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وتسعين

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭৪৪৫

বর্ণনা উপরে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷ আলী ইবনুল মাদাইনী ও একদল ইতিহাসবিদের মতে এ
বছরেই সাঈদ ইবন জুবায়র-এর শাহাদত সংঘটিত হয় ৷ আর প্রসিদ্ধ হলো যে, ৯৪ হিজরীতে
সাঈদের শাহাদত সংঘটিত হয় ৷ এ তথ্য ইবন জড়ারীর ও অন্যরাও পেশ করেছেন ৷ মহান
আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ শ্

৯৬ হিজরীর প্রারম্ভ

এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম (র) চীন ভুখণ্ডের কাশগর জয় করেন এবং চীনের
সম্রাটের কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ এ দুতগণের মাধ্যমে সম্রাটকে ভীতি প্রদর্শন করেন এবং
আল্লাহ্র শপথ করে তিনি অঙ্গীকার করেন যে, তার শহর দখল করা ব্যতীত তিনি ঘরে ফেরত
যাবেন না ৷ তিনি সম্রাটের বিভিন্ন রজ্যে এবং তাদের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে খতম করে দিবেন ৷
কিৎবা তাদের থেকে কর আদায় করবেন কিৎবা তারা ইসলামে প্রবেশ করবে ৷ তারপর
দুতগণ সম্রাটের দরবারে প্রবেশ করেন ৷ সম্রাট একটি বিরাট শহরে অবস্থান করেন ৷ কথিত
আছে যে, এ শহরের ৯০টি দরযা রয়েছে এবং তা চতুর্দিকে দেওয়াল-ঘেরা ৷ এ শহরটিকে
ন্ন্ বলা হতো খান বালিক ৷ এটা বড় বড় শহরের অন্যতম ৷ মাঠঘাট, আয়তন ও সহায়-সম্পদ
হিসেবে এ শহরটি ছিল একটি অত্যন্ত বড় শহর ৷ এমনকি বলা হয়ে থাকে যে, ভারত সুপ্রশস্ত
হওয়া সত্বেও চীন দেশের কাছে এটাকে একটি তিলকের ন্যায় দেখায় ৷ চীনের অধিবাসীরা
তাদের ধন-সম্পাদর প্রাচুর্যের কারণে কারোর দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন মনে করে না ৷ অথচ
অন্যরা তাদের দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন মনে করে ৷ তাদের রয়েছে অজস্র সম্পদ ও বিস্তীর্ণ
এলাকা ৷ আশেপাশের সমস্ত দেশগুলো চীনের কাছে তার সৈন্য সামন্তের ক্ষমতা প্রচুর থাকার
কারণে কর আদায় করে থাকে ৷ বস্তুত যখন দুতগণ চীনের সম্রাটের কাছে প্রবেশ করেন, তখন
তারা এটাকে একটি বিরাট সুরক্ষিত দেশ হিসেবে পান, যার রয়েছে অসংখ্য নদীনালা,
বাজারঘটি ও সৌন্দর্যের বাহার ৷ তারা তার কাছে এমন একটি সুরক্ষিত ও বিরাট দুর্গে প্রবেশ
করেন যা একটি বড় শহরের সমতুল্য ৷ চীনের সম্রটি তাদেরকে বললেন, তোমরা কে ? আর
তারা ছিলেন কুতায়বার পক্ষ থেকে হুবায়রার নেতৃত্বে তিনশত জন রাজদুত ৷ সম্রাট তার
দোভ্যষীকে বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যে, তোমরা কে বা করো এবং তোমরা কি চাও ?
তখন তারা প্রতি উত্তরে বললেন, আমরা আমাদের সেনাপতি কুতায়বা ইবন মুসলিমের প্রেরিত
দুত ৷ তিনি আপনাকে ইসলামের পাবে আহ্বান করেছেন ৷ যদি আপনি তার ডাকে সাড়া না
দেন ও ইসলাম গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনাকে নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে ৷ আর যদি
কর না দেন, তাহলে আপনার সাথে আমাদের যুদ্ধ বাধবে ৷ এ কথা শুনে সম্রাট ক্রোধান্বিত
হলেন এবং তাদেরকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ করলেন ৷ যখন ভোর হলো তখন
তিনি তাদেরকে ডাকলেন এবং তাদেরকে দোভাষীর মাধ্যমে বললেন, দেখি তোমরা কেমন
করে তোমাদের মাবুদের ইবাদত কর ৷ মুসলমানগণ তাদের নিয়মানুযায়ী ফজবের সালাত
আদায় করলেন ৷ যখন তারা রুকু-সিজদা করেন সম্রাট তাদেরকে নিয়ে উপহাস করলেন এবং
বললেন, ণ্তামাদের ঘরে তোমরা কি ধরনের পোশাক পরিধান করে থাক ? তখন তারা তাদের

পেশাগত পোশাক পরিধান করলেন ৷ সম্রাট তাদেরকে সেখান থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে চলে
যেতে নির্দেশ দিলেন ৷ এর পরদিন তিনি তাদের কাছে লোক প্রেরণ করে বললেন, তোমরা
তোমাদের আমীরের কাছে কি পােশাকে প্রবেশ কর তখন তারা ছাপানো কাপড় পরিধান
করলেন, মাথায় পাগড়ী বীধলেন, রেশমী চাদর পরিধান করলেন এবং সম্রাটের কাছে প্রবেশ
করলেন ৷ সম্রটি তাদেরকে বললেন, তোমরা ফেরত যাও তখন তারা ফেরত গেলেন ৷ সম্রটি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] وَفِيهَا فَتَحَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى، كَاشْغَرَ مِنْ أَرْضِ الصِّينِ، وَبَعَثَ إِلَى مَلِكِ الصِّينِ رُسُلًا يَتَهَدَّدُهُ وَيَتَوَعَّدُهُ، وَيُقْسِمُ بِاللَّهِ لَا يَرْجِعُ حَتَّى يَطَأَ بِلَادَهُ، وَيَخْتِمَ مُلُوكَهُمْ وَأَشْرَافَهُمْ، وَيَأْخُذَ الْجِزْيَةَ مِنْهُمْ، أَوْ يَدْخُلُوا فِي الْإِسْلَامِ، فَدَخَلَ الرُّسُلُ عَلَى الْمَلِكِ الْأَعْظَمِ فِيهَا وَهُوَ فِي مَدِينَةٍ عَظِيمَةٍ يُقَالُ: إِنَّ عَلَيْهَا تِسْعِينَ بَابًا فِي سُورِهَا الْمُحِيطِ بِهَا يُقَالُ لَهَا: خَانُ بَالِقَ. مِنْ أَعْظَمِ الْمُدُنِ، وَأَكْثَرِهَا رَيْعًا، وَمُعَامَلَاتٍ وَأَمْوَالًا، حَتَّى قِيلَ: إِنَّ بِلَادَ الْهِنْدِ مَعَ اتِّسَاعِهَا كَالشَّامَةِ فِي مُلْكِ الصِّينِ. وَالصِّينُ لَا يَحْتَاجُونَ إِلَى أَنْ يُسَافِرُوا فِي مُلْكِ غَيْرِهِمْ; لِكَثْرَةِ أَمْوَالِهِمْ وَمَتَاعِهِمْ، وَغَيْرُهُمْ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِمْ; لِمَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْمَتَاعِ وَالدُّنْيَا الْمُتَّسِعَةِ، وَسَائِرُ مُلُوكِ تِلْكَ الْبِلَادِ تُؤَدِّي إِلَى مَلِكِ الصِّينَ الْخَرَاجَ; لِقَهْرِهِ وَكَثْرَةِ جُنْدِهِ وَعُدَدِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الرُّسُلَ لَمَّا دَخَلُوا عَلَى مَلِكِ الصِّينِ وَجَدُوا مَمْلَكَةً عَظِيمَةً، وَجُنْدًا كَثِيرًا، وَمَدِينَةً حَصِينَةً ذَاتَ أَنْهَارٍ وَأَسْوَاقٍ، وَحُسْنٍ وَبَهَاءٍ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فِي قَلْعَةٍ عَظِيمَةٍ حَصِينَةٍ، بِقَدْرِ مَدِينَةٍ كَبِيرَةٍ، فَقَالَ لَهُمْ مَلِكُ الصِّينِ: مَا أَنْتُمْ؟ وَكَانُوا ثَلَاثَمِائَةِ رَسُولٍ عَلَيْهِمْ هُبَيْرَةُ فَقَالَ الْمَلِكُ لِتُرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُمْ: مَا أَنْتُمْ وَمَا تُرِيدُونَ؟ فَقَالُوا: نَحْنُ رُسُلُ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، وَهُوَ يَدْعُوكَ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَإِنْ لَمْ