আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

فصل فيما روي عن الحجاج من الكلمات الناقصة والجراءة البالغة

পৃষ্ঠা - ৭৪২০


আনা হয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি কোন অপরাধীর শাস্তি প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত করিনি এবং
অনুগতদের অধিকারও ক্ষুগ্ন করিনি ৷ আমি যা করছি আমীরুল মু’মিনীন যদি তা সীমা লংঘন
মনে করেন তাহলে তিনি যেন আমার জন্যে একটি সীমা নির্ধারণ করে দেন ৷ আমি সেই সীমা
পর্যন্ত পৌছব এবং তা অতিক্রম করব না ৷ হাজ্জাজ পত্রের নিচেরাংশে নিম্ন বর্ণিত কয়েক লাইন
কবিতা সংযোজন করে ৷ যদি আমি তোমার সন্তুষ্টি অম্বেষণ না করি এবং তোমাকে কষ্ট দেওয়া
থেকে বিরত থাকি, তাহলে আমার সেই দিনের তারকাগুলো অস্ত যাবে না (অর্থাৎ আমি শান্তি
পাব না) ৷ তোমার ব্যাপারে হাজ্জাজ যদি কোন ভুল করে ফেলে, তাহলে সকাল বেলাই তার
মধ্যে যে ভুলের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ৷ কোন নম্রতা প্রদর্শনকারীর সাথে যদি তুমি সন্ধি কর,
তাহলে আমিও তার সাথে সন্ধি করি ৷ আর যদি তুমি তার সাথে সন্ধি না কর, তাহলে আমি
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত ৷ যদি আমি কোন মোহরবান লোকের নসীহত শুনার জন্যে তার
নিকটবর্তী না হই ৷ আর তার শত্রুরা আমাকে বা পরামর্শ দেয় সে অনুযায়ী কাজ করি, তাহলে
কে আছে বর্তমানে আমাকে রক্ষা করবে ? আর ভবিষ্যতে আমার সামনে যেসব বিপদ-আপদ
আসবে তা কেটে যাওয়ার আশা করবে ৷ বিস্ময়কর ঘটনাবলীর আধার হলো মহাকাল ৷

ইমাম শাফিঈ (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিক পায় ইবন রাবীআকে বলেন, সে যেন হাজ্জাজকে হাজ্জাজ ও আল-ওয়ালীদের মধ্যে যে
সম্পর্ক, তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কি দুনিয়ার কোন উল্লেখযোগ্য সম্পদ পেয়েছে বলে মনে
করে ? কাজেই তাকে তিনি তার আদেশ মুতাবিক জিজ্ঞাসা করেন ৷ হাজ্জাজ তখন বলল,
আল্লাহর শপথ, আমার কর্তৃপক্ষের আনুগত্যের ব্যাপারে আমাকে পরীক্ষা করার বদলে লেবানন
অথবা সাইবেরিয়ার সমপরিমাণশ্ স্বর্ণ যদি আমার হাতে আসে যা আমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ
করব তা আমার কাছে অধিক প্রিয় নয় ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

পরািচ্ছদ

যে সব হিতসাধনকারী কথাবার্তা এবং দৃসােহসিক পদক্ষেপ তার থেকে
বর্ণিত রয়েছে

ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবনুল আলা আবু বাকরের মাধ্যমে আসিম হতে
বর্ণান করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি হাজ্জাজকে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি ৷ সে বলে,
যতদুর সম্ভব আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ এর মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দু নেই ৷ শুন এবং আমীরম্স মু’মিনীন
আবদুল মালিকের আনুগত্য কর ৷ এর মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্বন্দু নেই ৷ আল্লাহর শপথ, যদি আমি
লোকজনকে মসজিদের এ দরযা দিয়ে বের হতে হুকুম করি, আর তারা অন্য দরযা দিয়ে বের
হলো, তাহলে তাদের রক্ত ও মান আমার জন্যে হালাল হয়ে গেল ৷ আল্লাহর শপথ! যদি আমি
মুযার গোত্রের বিরুদ্ধে রাবীআ গোত্রকে পাকড়াও করি, তাহলে এটাও আমার জন্যে আল্লাহর
তরফ থেকে হালাল হয়ে যাবে ৷ আবদে হুযায়লের কোন ওযর আমার কাছে গ্রহণীয় নয় ৷
কেননা, তার কাছে মওজুদ কুরআনটি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে বলে যে মনে করে ৷
আল্লাহর শপথ, এটা আরবদের রচিত কবিতাসমুহের অংশ বিশেষ ৷ আল্লাহ তাআলা তার
নবীর উপর এটা অবতীর্ণ করেননি ৷ এ দ্বিপ্রহরের তীব্র গরমের অজুহাত আমার কাছে গ্রহণীয়
নয় ৷ এরুপ মতবাদের অনুসারীরা মনে করেন তাদের একজনকে পাথর দ্বারা নিক্ষেপ করা হবে,
তখন সে আমাকে বলবে, যদি পাথর পতিত হয় তাহলে কোন একটি বড় ঘটনা ঘটবে ৷


إِلَيْهِ، وَلَا أَتَجَاوَزُهُ. وَكَتَبَ فِي أَسْفَلِ الْكِتَابِ: إِذَا أَنَا لَمْ أَطْلُبْ رِضَاكَ وَأَتَّقِي ... أَذَاكَ فَيَوْمِي لَا تَوَارَتْ كَوَاكِبُهْ إِذَا قَارَفَ الْحَجَّاجُ فِيكَ خَطِيئَةً ... فَقَامَتْ عَلَيْهِ فِي الصَّبَاحِ نَوَادِبُهْ أُسَالِمُ مَنْ سَالَمْتَ مِنْ ذِي هَوَادَةٍ ... وَمَنْ لَمْ تُسَالِمْهُ فَإِنِّي مُحَارِبُهْ إِذَا أَنَا لَمْ أُدْنِ الشَّفِيقَ لِنُصْحِهِ ... وَأُقْصِ الَّذِي تَسْرِي إِلَيَّ عَقَارِبُهْ فَمَنْ يَتَّقِي يَوْمِي وَيَرْجُو إذًا غَدِي ... عَلَى مَا أَرَى وَالدَّهْرُ جَمٌّ عَجَائِبُهْ وَعَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ لِلْغَازِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنْ يَسْأَلَ الْحَجَّاجَ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ; هَلْ يَجِدُ فِي نَفْسِهِ مِمَّا أَصَابَ مِنَ الدِّمَاءِ شَيْئًا؟ فَسَأَلَهُ كَمَا أَمَرَهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي لُبْنَانَ أَوْ سَنِيرًا ذَهَبًا أُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَكَانَ مَا أَبْلَانِي اللَّهُ مِنَ الطَّاعَةِ. [فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ عَنِ الْحَجَّاجِ مِنَ الْكَلِمَاتِ النَّاقِصَةِ وَالْجَرَاءَةِ الْبَالِغَةِ] فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْكَلِمَاتِ النَّاقِصَةِ وَالْجَرَاءَةِ الْبَالِغَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: اتَّقَوْا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ لَيْسَ فِيهَا