আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

فصل كيفية دخول الحجاج الكوفة في سنة خمس وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭৪১৫

সন্দেহের পর্দা খুলে দেন , তাহলে বিজয়ী হবে তুরস্কের যথাযোপ্য আবাসের অধিকারী ৷ সিংহটি
যখন জাহদারের দিকে তাকাল, তখনপ্রকটভাবে গর্জন করতে লাগল, ৫হলে-দুলে চলতে লাগল
এবং তার দিকে অগ্রসর হতে লাগল ৷ যখন সে এক তীর পরিমাণ জায়গায় পৌছল, তখন
সিংহটি জাহদারের উপর প্রচণ্ডভাবে বাপিয়ে পড়ল ৷ জাহদার তলোয়ার দিয়ে তার মুকাবিলা
করল এবং তাকে প্রচণ্ড আঘাত করল ৷ তলোয়ারের মাথা তার আলজিভকে ছিদ্র করে ৫ফলল ৷
প্রচণ্ড বাতাসে উপড়িয়ে ফেলা তাবুর ন্যায় সিংহটি প্রচণ্ড আঘাত ৫খয়ে মাটিতে মৃত্যুর কোলে
লুটিয়ে পড়ল ৷ সিংহের প্রচণ্ড থাবার জন্যে এবং শিকলের প্রবল ঘর্ষণে জাহদারও ক্লান্ত হয়ে
নিচে পড়ে গেল ৷ তখন হুহ্জ্জাজ় ও তার সাথীরা আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিল ৷ আর জাহদার
বলতে লাগলেন, “হে সুন্দর! তুমি যদি অন্ধকার ও ধুলিময় তয়াবহতার দিনে আমার দুরবস্থা
দেখতে ৷ এগিয়ে এসো এমন এক সিংহের জন্যে যে শৃত্খলাবস্থায় ও হাত প৷ বন্দী অবস্থায়
রয়েছে, যাতে তার কংকনসমুহ তার বের হয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আর প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করে ৷
সিংহের থাবাগুলো রুক্ষ হয়ে গেছে, তার দীতগুলাে যেন কুড়ালের ঝাঝর৷ মুখ কিং×বা র্কাচের
শলাকার ধারের ন্যায় ৷ সিংহটি দুই চক্ষু নিয়ে উপরের দিকে তা ৷কাচ্ছে ৷ত তুমি ৫দখরে দুই চক্ষুর
মধ্যে বাতাসমিশ্রিত ধুলাবালি যেন বাতির শিখার ন্যায় ঝলমল করছে ৷ মনে হয় যেন তার
উপর তালিওয়ালা জামা ৫সলা করে দেওয়া হয়েছে অথবা মোটা ৫রশমী কাপড়ের টুকরোগুলো
তার উপর সংযুক্ত করা হয়েছে ৷ নিশ্চয়ই তুমি জানতে ত৫পরেছ যে, আমি মর্যাদাবান সংরক্ষণের
অধিকারী ও মহিমাঘিত সম্প্রদায়ের বংশধরতুক্ত ৷”
তারপর হাজ্জাজ তাকে ইখতিয়ার দিল যদি সে চায় তাহলে সে হাজ্জাজের কাছে থাকতে
পারে ৷ আর যদি সে চায় তাহলে নিজের দেশে বা শহরে চলে যেতে পারে ৷ সে হাজ্জাজের
কাছে থাকাট ই পসন্দ করল ৷ হাজ্জাজত তাকে উত্তম পুরস্কার দিল ও সম্পদ দান করল ৷ তবে
হাজ্জাজ একদিন হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বং ×শধরের মধ্যে গণ্য
করতে অস্বীকার করল ৷ কেননা, তিনি হলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এৱ কন্যার সন্তান ৷ ইয়াহ্ইয়া
ইবন ইয়াসার হাজ্জাজকে বলল, তুমি মিথ্যা বলছ ৷ হাজ্জাজ বলল, তুমি যা বলছ তার সপক্ষে
আল্লাহ্র কিতাব থেকে দলীল পেশ করতে হবে অথবা আমি তোমার গর্দান ৫মরে দেব ৷ এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে আনআমের ৮৪ ও ৮৫নং আয়াতদ্বয়ে বলেন ং



০ ’




৷ ; অপুটু ন্;স্ পু,ট্রু;ঠু ; ৷ছু,হ্র১;
অর্থাৎ এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক, ইয়াকুব ও তাদের প্রত্যেককে সৎপথে
পরিচালিত করেছিলাম ৷ পুর্বে হযরত নুহ (আ)-৫ক সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার
ৎশধর দাউদ (আ), সুলায়মান (আ), আয়ুব (আ), ইউসুফ (আ), মুসা (আ) ও হারুন
(আ)-৫কও আর এভাবেই সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করি এবং যাকারিয়া (আ) , ইযাহ্ইয়৷
(আ), ঈসা (আ) ও ইল্ইয়াস (আ)-৫কও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ৷ তারা সকলে
স্বজনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কাজেই, ঈসা (আ) ইব্রাহীম (আ)-এর বংশধরের অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি তার
মাতা মারইয়ামের অন্তর্ভুক্ত ৷ ইমাম আল-হুসায়ন (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যার সন্তান ৷
হাজ্জাজ তখন বলল, তুমি সত্যি রলেছ ৷ এরপর সে তাকে খুরাসানে নির্বাসন দিল ৷


خَلَّيْنَا سَبِيلَكَ. ثُمَّ أَوْدَعَهُ السِّجْنَ مُقَيَّدًا مَغْلُولَةً يَدُهُ الْيُمْنَى إِلَى عُنُقِهِ، وَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى نَائِبِهِ بِكَسْكَرَ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِ بِأَسَدٍ عَظِيمٍ ضَارٍ، وَقَدْ قَالَ جَحْدَرٌ هَذَا فِي مَحْبَسِهِ هَذَا أَشْعَارًا يَتَحَزَّنُ فِيهَا عَلَى امْرَأَتِهِ سُلَيْمَى أَمِّ عَمْرٍو، يَقُولُ فِي بَعْضِهَا: أَلَيْسَ اللَّيْلُ يَجْمَعُ أُمَّ عَمْرٍو ... وَإِيَّانَا فَذَاكَ بِنَا تَدَانِي بَلَى وَنَرَى الْهِلَالَ كَمَا تَرَاهُ ... وَيَعْلُوهَا النَّهَارُ إِذَا عَلَانِي إِذَا جَاوَزْتُمَا نَخَلَاتِ حَجْرٍ ... وَأَوْدِيَةَ الْيَمَامَةِ فَانْعَيَانِي وَقُولَا جَحْدَرٌ أَمْسَى رَهِينًا ... يُحَاذِرُ وَقْعَ مَصْقُولٍ يَمَانِي فَلَمَّا قَدِمَ الْأَسَدُ عَلَى الْحَجَّاجِ أَمَرَ بِهِ فَجُوِّعَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أُبْرِزَ إِلَى حَائِرٍ وَهُوَ الْبُسْتَانُ وَأَمَرَ بِجَحْدَرٍ، فَأُخْرِجَ فِي قُيُودِهِ وَيَدُهُ الْيُمْنَى مَغْلُولَةٌ بِحَالِهَا، وَأُعْطِيَ سَيْفًا فِي يَدِهِ الْيُسْرَى، وَخُلِّيَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْأَسَدِ، وَجَلَسَ الْحَجَّاجُ وَأَصْحَابُهُ فِي مَنْظَرَةٍ، وَأَقْبَلَ جَحْدَرٌ نَحْوَ الْأَسَدِ، وَهُوَ يَقُولُ: لَيْثٌ وَلَيْثٌ فِي مَجَالِ ضَنْكِ ... كِلَاهُمَا ذُو أَنَفٍ وَمَحْكِ وَشِدَّةٍ فِي نَفْسِهِ وَفَتْكِ ... إِنْ يَكْشِفِ اللَّهُ قِنَاعَ الشَّكِّ فَهْوَ أَحَقُّ مَنْزِلٍ بِتَرْكِ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ الْأَسَدُ زَأَرَ زَأْرَةً شَدِيدَةً، وَتَمَطَّى وَأَقْبَلَ نَحْوَهُ، فَلَمَّا صَارَ مِنْهُ عَلَى قَدْرِ رُمْحٍ وَثَبَ الْأَسَدُ عَلَى جَحْدَرٍ وَثْبَةً شَدِيدَةً، فَتَلَقَّاهُ جَحْدَرٌ بِالسَّيْفِ، فَضَرَبَهُ ضَرْبَةً حَتَّى خَالَطَ ذُبَابُ السَّيْفِ لَهَوَاتِهِ، فَخَرَّ الْأَسَدُ كَأَنَّهُ خَيْمَةٌ قَدْ