আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

فصل كيفية دخول الحجاج الكوفة في سنة خمس وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭৪১২

কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও ৷ তার কাছে যে সংবাদটি পৌছেছে
তা অসত্য ৷ আর আমি ২৪ জন মহিলার অভিভাবকতৃ করি, তাদের জীবিকা অর্জন করার মত
কোন লোক নইি ৷ আর তারা আপনার দরযায় দণ্ডায়মান ৷ তাদেরকে উপস্থিত করানোর জন্য
আদেশ দিল ৷ যখন তারা উপস্থিত হলে৷ তাদের মধ্যে একজন বলল, আমি তার খালা, অন্য
একজন বলল, আমি তার ফুফু, অন্য একজন বলল, আমি তার বোন, অন্য একজন বলল,
আমি তার শ্রী, আবার অন্য একজন বলল, আমি তার মেয়ে ৷ এমন সময় আট বছরের অধিক
ও দশ বছরের কম বয়সী একটি বালিকা সামর্নে এগিয়ে ৰুআসল ৷ হাজ্জাজ তাকে বলল, তুমি
কে ? বালিকা বলল, আমি তার মেয়ে ৷ তারপর যে বলল, আল্পাহ্ আমীরের মঙ্গল করুন,
আমি তার সামনে হাযির ৷ এ কথা বলে যে কিছু কবিতা পাঠ করল , যা নিম্নে প্রদত্ত হলো : হে
হাজ্জাজ, আপনি তার মেয়েদের ও ফুফুদের মান-মর্যাদা লক্ষ্য করেননি ? তারা সকলে সারা
রাত্রি তার জন্যে ব্লোদন করছে ৷ হে হাজ্জাজ, যদি আপনি তাকে হত্যা করেন, তাহলে আপনি
কি চিন্তা করে দেখেছেন যে, আপনি তার হত্যার মাধ্যমে কতজনকে হত্যা করেছেন ৷ তারা
হলেন ২৪ জন, হে হাজ্জাজ কে তার পরিবর্তে আমাদের দেখাশুন৷ করবে ? কাজেই তাকে
আপনি ছেড়ে দিন ৷ আর যদি আপনি আমাদের উপর অন্যায় করেন, তাহলে আমাদের গৃহাদি
বসিয়ে যমীন বরাবর করে দিন ৷ হে হাজ্জাজা হয়তো আমার পিতাকে ছেড়ে দিয়ে আপনি
আমাদের উপর একটি নিআমত দান করুন, অন্যথায় আমাদের সকলকে একত্রে মেরে ফেলুন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হাজ্জাজ ক্রব্দন করল এবং বলল, আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের
উপর কোন প্রকার বিপদ আপতিত করব না এবং তোমাদের উপর কোন প্রকার যুলুমও করব
না যাতে তোমরা একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাও ৷ হাজ্জাজ আবদুল মালিকের কাছে পত্র লিখে
উল্লিখিত ব্যক্তিটির উক্তি এবং তার কন্যার উক্তি সম্বন্ধে আবদুল মালিককে অবগত করল ৷
তখন আবদুল মালিক হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখে আদেশ দিলেন যেন ণ্লাকটিকে ছেড়ে দেওয়া
হয় এবং তার সাথে তাল আচরণ করা হয় ৷ বালিকার প্রতি দয়া করা হয় এবং সব সময় তার
ঘোজখবৱ নেওয়া হয় ৷ কথিত আছে, একদিন হাজ্জাজ খুতৃবা দিল এবং জনগণকে বলল, হে
মানবমণ্ডলী! জেনে ব্লেখো, আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তুসমুহ হর্তে বিরত;থাকার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ
ৰু আল্লাহ্র্ আমার সহ্য করার ধৈর্যধারণ থেকে অনেক সহজ ৷ তখন এক ব্যক্তি উঠে র্দাড়াল এবং
হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে বলল, “দুর্ভাগ্য তোমার হে হাজ্জাজ ! কত নির্লজ্জ চেহারা ণ্তামার ! এবং
কত কম হুতামার লজ্জা ৷ যা করার তুমি কর, আর এ ধরনের উচ্চৰাক্য তুমি উচ্চারণ কর ৷
তোমার সদ্ব্যবহারের চেষ্টা নিম্ফল ও ব্যর্থ ৷ হাজ্জাজ তার দেহরক্ষীকে বলল, “তাকে ধরে
ব্লেখো ৷” য়খন হাজ্জাজ খুত্ৰা শেষ করল, তখন ঐ লোকটিকে বলল, কেন তুমি আমার উপর
এত ধৃষ্টত৷ দেখালে ? উত্তরে লোকটি বলল : দুর্ভাগ্য তোমার হে হাজ্জাজা তুমি আল্লাহ্র প্রতি
ধৃষ্টতা দেখাচ্ছ, আমি তো ৫তামার প্রতি ধৃষ্টত৷ দেখাচ্ছি না ৷ তুমি এমন কোন ব্যক্তি যে,
াতামার প্রতি আমি ধৃষ্টত৷ দেখাতে পারব না ? অথচ তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ
তা আলায় প্রতি ধৃষ্টতা দেখাচ্ছ ৷ হাজ্জাজ তখন বলল, তাকে শৃৎখলমুক্ত করে দাও ৷ তারপর
তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ ,

আল-মাদাইনী বলেনং ইবনুল আশআছেৱ দুইজন সাথীকে কয়েদী হিসেবে একদিন
হাজ্জাজের সামনে আনয়ন করা হলো ৷ হাজ্জাজ তাদেরকে হত্যার হুকুম দিল ৷ তখন তাদের
মধ্যে একজন বলল, তোমার প্রতি আমার একটি অনুগ্রহ রয়েছে ৷ হাজ্জাজ বলল, সেটা কি ?
দােকটি বলল, একদিন ইবনুল আশআছ তোমার মাতা সম্বন্ধে উল্লেখ করে ৷ তখন আমি তার


ابْعَثْ إِلَيَّ بِرَأْسِ أَسْلَمَ بْنِ عَبْدٍ الْبَكْرِيِّ; لِمَا بَلَغَنِي عَنْهُ. فَأَحْضَرَهُ الْحَجَّاجُ، فَقَالَ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، أَنْتَ الشَّاهِدُ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْغَائِبُ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ} [الحجرات: 6] (الْحُجُرَاتِ: 6) وَمَا بَلَغَهُ عَنِّي فَبَاطِلٌ، وَإِنِّي أَعُولُ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ امْرَأَةً مَا لَهُنَّ كَاسِبٌ غَيْرِي، وَهُنَّ بِالْبَابِ. فَأَمَرَ الْحَجَّاجُ بِإِحْضَارِهِنَّ، فَلَمَّا حَضَرْنَ جَعَلَتْ هَذِهِ تَقُولُ: أَنَا خَالَتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا عَمَّتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا أُخْتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا ابْنَتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا زَوْجَتُهُ. وَتَقَدَّمَتْ إِلَيْهِ جَارِيَةٌ فَوْقَ الثَّمَانِي وَدُونَ الْعَشَرَةِ، فَقَالَ لَهَا الْحَجَّاجُ: مَنْ أَنْتِ؟ فَقَالَتْ: أَنَا ابْنَتُهُ. ثُمَّ قَالَتْ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، وَجَثَتْ عَلَى رُكْبَتَيْهَا، وَقَالَتْ: أَحَجَّاجُ لَمْ تَشْهَدْ مَقَامَ بَنَاتِهِ ... وَعَمَّاتِهِ يَنْدُبْنَهُ اللَّيْلَ أَجْمَعَا أَحَجَّاجُ كَمْ تَقْتُلْ بِهِ إِنْ قَتَلْتَهُ ... ثَمَانًا وَعَشْرًا وَاثْنَتَيْنِ وَأَرْبَعَا أَحَجَّاجُ مَنْ هَذَا يَقُومُ مَقَامَهُ ... عَلَيْنَا فَمَهْلًا أَنْ تَزِدْنَا تَضَعْضُعَا أَحَجَّاجُ إِمَّا أَنْ تَجُودَ بِنِعْمَةٍ ... عَلَيْنَا وَإِمَّا أَنْ تُقَتِّلَنَا مَعَا قَالَ: فَبَكَى الْحَجَّاجُ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَعَنْتُ عَلَيْكُنَّ، وَلَا زِدْتُكُنَّ تَضَعْضُعًا، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بِمَا قَالَ الرَّجُلُ، وَبِمَا قَالَتِ ابْنَتُهُ هَذِهِ، فَكَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ يَأْمُرُهُ بِإِطْلَاقِهِ وَحُسْنِ صِلَتِهِ، وَبِالْإِحْسَانِ إِلَى هَذِهِ الْجَارِيَةِ، وَتَفَقُّدِهَا فِي كُلِّ وَقْتٍ. وَقِيلَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، الصَّبْرُ عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ أَيْسَرُ مِنَ الصَّبْرِ عَلَى عَذَابِ اللَّهِ. فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ يَا حَجَّاجُ، مَا أَصْفَقَ وَجْهَكَ، وَأَقَلَّ حَيَاءَكَ، تَفْعَلُ مَا تَفْعَلُ وَتَقُولُ مِثْلَ هَذَا