আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

فصل كيفية دخول الحجاج الكوفة في سنة خمس وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭৪০৭


বিশ্বাসঘাতকগণ৷ ঝপড়াঝাটিতে লিপ্ত ফ্যাসাদিগণ! যদি আমি তোমাদেরকে সীমান্ত পাহারায়
প্রেরণ করি , তাহলে তোমরা কর্তব্যকাজ সম্পাদন না করে ফিরে আসবে ও খিয়ানত করবে ৷
যদি তোমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় তোমরা গুজব রটাবে ৷ আর যদি তোমরা ভয় পা ও
নিফাক করবে ৷ মোট কথা,৫ তামরা কোন নিআম৩ কেই স্মরণ করছ না এবং কোন ইহ্সানের
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছ না ৷ তোমাদেরকে কোন ওয়াদা ভঙ্গকারী তৃচ্ছ মনে করেনি ৷ কোন
পথভ্রাম্ভ তোমাদেরকে ভ্রান্ত পথে ডাকেনি ৷ তোমাদেরকে কোন পাপী রক্ষা করতে চায়নি ৷
তোমাদেরকে কোন যালিম সাহায্য করতে চায়নি এবং তােমাদেরৰ্ক কোন সাহায্যকারী সাহায্য
করতে চায়নি; বরং তোমরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছ ৷ তার আওয়াষে প্রতি উত্তর করেছ ৷
তার দিকে একাকী কিৎব৷ দলবদ্ধভাবে আরােহী রুপ কিৎব৷ পদব্রজেধাবিত হয়েছ ৷ হে ইরাকের
বাসিন্দারা! কোন হৈচৈকারী হৈচৈ করে নাই কিংবা কোন কা,কা, রব উচ্চারণকারী কা, কা,
করে নাই ৷ কোন পাথেয় সৎগ্রহকারী পাথেয় সংগ্রহ করে নইি ৷ কোন চিৎকারকারী চিৎকার
করে নাই, বরৎ৫ তোমরা তার অনুসারী ও সাহায্যকারীতে পরিণত হয়েছে ৷ হে ইরাকের
বাসিন্দারা কোন উপদেশ কি তোমাদের উপকারে আসেনি ? বিভিন্ন ঘটনাবলী কি তোমাদের
মধ্যে অনুশোচনার উদ্রেক করেনি ? আল্লাহ্ কিণ্ ৩ামাদেরকে শক্ত হাতে পাকড়াও করেনি ?
আল্লাহ্ কি তার তলোয়ারের ধার এবং মর্যন্তুদ শাস্তির স্বাদ তােমাৰুদ্দা আম্বাদন করাননি ?

তারপর সে সিরিয়াবাসীদের দিকে লক্ষ্য করল ও বলল, “হে সিরিয়াবাসীরা! আমি
তোমাদের জন্যে উট পাখীর ন্যায় দরদী, যে তার বাচ্চাদেরাক অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে, তাদের
থেকে আবর্জন৷ দুর করে ৷ তাদের থেকে আক্রমণ প্রতিহত করে, বৃষ্টি থেকে তাদেরকে রক্ষা
করে, ওই সাপ থেকে তাদেরকে হিফ৷ ৷যত করে এবং মশা-মাছি থেকে তাদেরকে পাহারা দেয় ৷
৫হ্ সিরিয়াবাসীরা ৷ তোমরাই ঘুদ্ধাস্ত্র, শিলাবৃষ্টি এবং তোমরা পাড়যুক্ত চাদর, সুরক্ষিত চামড়া,
তোমরা বন্ধু-বান্ধব, সাহায্যকারী, ছায়াদার বৃক্ষ, উপরে পরিহিত কোট, তোমাদের দ্বারা শহর,
জনপদ ও গোত্র বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ তোমাদের দ্বারাই শত্রুদের দলের উপর তীর নিক্ষেপ করা হয়
এবং যারা অবাধ্য ও পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী তারা তোমাদের দ্বারা পরাজিত হয় ৷

ইবন আবুদ-দুনিয়া বলেন, আমাকে মুহাম্মদ ইবনুল হুসায়ন উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ
আত তামীমী হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি কুরায়শদের এক বৃদ্ধ থেকে
শুনেছি যাকে আবু বাকর আততামীমী বলা হয় ৷ তিনি বলেন, “হাজ্জাজ তার খুতবাতে বলত,
(এবং সে ছিল বয়স্ক) নিশ্চয়ই অ ৷ল্লাহ্ ত৷ আলা হযরত আদম (আ) ও তার বৎশধরদের মাটি
দ্বারা তৈরী করেন ৷ তারপর তাদেরকে ভুপৃষ্ঠের উপর চলাফের৷ করতে দেন, তারা পৃথিবীর
ফল-মুল ভক্ষণ করে এবং পৃথিবীর নদী-নালা ও জলাশয়ের পান পান করে ৷ মই ও তাদের
চলাচল দ্বারা ভুপৃষ্ঠের উচু-সিচু দুরীভুত করে ৷ তারপর আল্লাহ তা জানা ভুপৃষ্ঠকে তাদের দ্বারা
আবাদ করেন এবং মৃত্যুর পর তাদেরকে সে ভুমিতে ফেরত প্রেরণ করেন ৷ ভুমি তাদের মাংস

ভক্ষণ করে, যেমন তারা ভুমির ফলমুল ভক্ষণ করেছিল ৷ ভুমি তাদের রক্ত পান করে, যেমন

তারা ভুমির নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি পান করেছিল ৷ ভুমি ৷দেরকেত টুকরো টুকরো করে
তার পেটে ঢুকিয়ে নেয় এবং তাদের হাড়ের জোড়াগুলাে পৃথক পৃথক করে ফেলে ৷ যেমন তারা
পৃথিবীটাকে মই ও তাদের চলাচল দ্বারা অসমতল থাকলে সমতল করে নিয়েছে ৷”

একাধিক বর্ণনাকারী হাজ্জাজ থেকে বর্ণনা করে যে, সে তার থুতবায় উপদেশ আকারে
বলত, তোমাদের সামনে উপস্থিত প্রত্যেক লোকের সাথে এমন এক লোক বা সত্তা প্রতিনিধিত্ব
করে, যে তার নাফসকে স্তব্ধ করেছে, ,,ভুছেঃ,ন্নুলোঃরৰুৰু,রশি দ্বার৷ তাকে বেধেছে এবং এ রশি

الْغَلَّابِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَطَاءٍ يَعْنِي ابْنَ مُصْعَبٍ عَنْ عَاصِمٍ قَالَ: خَطَبَ الْحَجَّاجُ أَهْلَ الْعِرَاقِ بَعْدَ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ فَقَالَ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدِ اسْتَبْطَنَكُمْ فَخَالَطَ اللَّحْمَ وَالدَّمَ وَالْعَصَبَ وَالْمَسَامِعَ وَالْأَطْرَافَ ثُمَّ أَفْضَى إِلَى الْأَسْمَاخِ وَالْأَمْخَاخِ وَالْأَشْبَاحِ وَالْأَرْوَاحِ، ثُمَّ ارْتَفَعَ فَعَشَّشَ، ثُمَّ بَاضَ وَفَرَّخَ، ثُمَّ دَبَّ وَدَرَجَ، فَحَشَاكُمْ نِفَاقًا وَشِقَاقًا، وَأَشْعَرَكُمْ خِلَافًا، اتَّخَذْتُمُوهُ دَلِيلًا تَتَّبِعُونَهُ، وَقَائِدًا تُطِيعُونَهُ، وَمُؤَامِرًا تُشَاوِرُونَهُ وَتَسْتَأْمِرُونَهُ، فَكَيْفَ تَنْفَعُكُمْ تَجْرِبَةٌ أَوْ يَنْفَعُكُمْ بَيَانٌ؟ أَلَسْتُمْ أَصْحَابِي بِالْأَهْوَازِ حَيْثُ رُمْتُمُ الْمَكْرَ وَأَجْمَعْتُمْ عَلَى الْكُفْرِ، وَظَنَنْتُمْ أَنَّ اللَّهَ يَخْذُلُ دِينَهُ وَخِلَافَتَهُ؟ وَأَنَا أَرْمِيكُمْ بِطَرْفِي وَأَنْتُمْ تَتَسَلَّلُونَ لِوَاذًا، وَتَنْهَزِمُونَ سِرَاعًا. يَوْمُ الزَّاوِيَةِ وَمَا يَوْمُ الزَّاوِيَةِ؟ مِمَّا كَانَ مِنْ فَشَلِكُمْ وَتَنَازُعِكُمْ وَتَخَاذُلِكُمْ وَبَرَاءَةِ اللَّهِ مِنْكُمْ وَنُكُوسِ قُلُوبِكُمْ; إِذْ وَلَّيْتُمْ كَالْإِبِلِ الشَّارِدَةِ عَنْ أَوْطَانِهَا النَّوَازِعِ، لَا يَسْأَلُ الْمَرْءُ عَنْ أَخِيهِ، وَلَا يَلْوِي الشَّيْخُ عَلَى بَنِيهِ حِينَ عَضَّكُمُ السِّلَاحُ وَنَخَسَتْكُمُ الرِّمَاحُ. يَوْمُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ وَمَا يَوْمُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ! بِهَا كَانَتِ الْمَعَارِكُ وَالْمَلَاحِمُ، بِضَرْبٍ يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ، وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ،