আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وتسعين

فتح سمرقند

পৃষ্ঠা - ৭৩৩৪


বললেন, তাহলে আমি হাওযের কাছে অর্থাৎ হাওয়ে কাওছারের নিকট থাকর ৷ কিয়ামতের দিন
এ তিনটি জায়গার যে কোন একটিতে আমি থাকতে ভুলব না ৷” ইমাম তিরমিযী (র) ও
অন্যগণ হারব ইবন মায়নুন থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ
’হাদীস হাসান বা উত্তম এবং গারীব বা কোন এক পর্যায়ে বর্ণনাকারীর সংখ্যা মাত্র একজ্যা ৷
বর্ণনার এই ধারা ব্যতীত অন্য কোন ধারায় হাদীস প্রসিদ্ধ নয় ৷

আল্লামা শুবা, ছাবিত (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (বা)
বলেছেন, “আমি কারোর সালাত, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সালাতের সাথে ইবন উম্মে সুলায়ম
অর্থাৎ আনাস ইবন মালিকের সালাতের চেয়ে অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ দেখতে পইিনি ৷ ’

ইবন সীরীন (র) বলেন : হযরত আনাস (রা) ছিলেন মুকীম ও ভ্রমণ অবস্থায় সালাতের
ব্যাপারে উৎকৃষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) বলেছেন : আমার থেকে সালাত শিখে নাও ৷
কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে সালাত শিখেছি ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) শিখেছেন আল্পাহ্
তাআলা হত্বে ৷ বর্তমানে আমার চেয়ে অধিক বিশ্বন্থ আর তুমি কাউকে পাবে না ৷ মু’তামার
ইবন সুলায়মান, তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-ণ্ক বলতে
শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “আমি ব্যতীত দুই কিবলার দিকে সালাত অদােয়কারী বর্তমানে আর
কেউ দুনিয়াতে বাকী নেই ৷ “মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, “আফফান আমাকে আবু জানার নামী
এক ওস্তাদ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আল-হরীিরীকে বলতে শুনেছি,
তিনি বলেন, “একদিন আনাস (রা)-ণ্ক “যাতে ইরক” নামক জায়গা থেকে হাজ্জর জন্য
ইহ্রাম বাধতে দেখেছি ৷ কিন্তু, হালাল হওয়া পর্যন্ত তাকে মহান আল্লাহর যিকির ব্যতীত কোন
কথা বলতে শুনি নাই ৷ তিনি আমাকে বললেন, “হে ভাতিজা ! এভাবে ইহ্রাম বীধতে হয় ৷ ”

সালিহ্ ইবন ইব্রাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ বলেন, এক জুযুআর দিন হযরত
আনাস (রা) আমাদের কাছে গমন করেন ৷ আর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কোন এক ত্রীর
ঘরে কথা বলছিলাম ৷ তিনি তখন আমাদেরকে বললেন, থামুন’ ৷ তারপর সালাত কায়েম করা
হলো ৷ তিনি বললেন, আমি ভয় করছি যে, থাযুন কথার দ্বারা আমি তো আমার জুমুআর
সালাত বাতিল করে দেইনি ৷

ইবন আবুদ্ দুনিয়া বলেন, বাশার ইবন মুসা আল খাফাফ, জা ফর ইবন সৃলায়মানের
মাধ্যমে ছাবিত হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন৪ আমি হযরত আনাস (রা) এর সাথে
ছিলাম ৷ তখন নিরাপত্তা মহিলা কর্মী এসে বলল, ণ্হ আবু হামযা ! পৃথিবী তৃষ্ণান্থ হয়ে পড়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত আনাস (রা) এ কথা শুনে উঠে পড়লেন, উয়ু করলেন এবং মাঠের
দিকে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তিনি দুই রাকাআত সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর দুঅ৷ করলেন ৷
আকাশে মেঘ ভারী হতে দেখলাম ৷ তারপর প্রচুর বৃষ্টি হলো এবৎ আমাদের মনে হতে লাগল,
সব কিছু যেন বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে ৷ যখন বৃষ্টি থামল, তখন হযরত আনাস (রা) তার
পরিবারের একজনকে প্রেরণ করেন এবং বলেন, দেখত বৃষ্টি আকাশের কতদুর পর্যন্ত গড়িয়েছে
? তিনি দেখলেন এবং বললেন, পৃথিবীর সামান্য অংশে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন : মুআয ইবন আগুনের মাধ্যমে মুহাম্মদ (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) যখন রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে ণ্কান হাদীস বর্ণনা করতেন,
তখন ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে যেতেন এবৎ হাদীস বর্ণনার শেষে বলতেন <র্দুপু ৷ ,া, , হ্া ৷ট্রুৰু , ৷
ণ্;াণ্ অর্থাৎ কিৎব৷ যেরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ৷


وَفِيهَا قَحَطَ أَهْلُ إِفْرِيقِيَّةَ وَأَجْدَبُوا جَدْبًا شَدِيدًا، فَخَرَجَ بِهِمْ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ يَسْتَسْقِي بِهِمْ، فَمَا زَالَ يَدْعُو حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَنْزِلَ عَنِ الْمِنْبَرِ قِيلَ لَهُ: أَلَا تَدْعُو لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: لَيْسَ هَذَا الْمَوْضِعُ مَوْضِعَ ذَاكَ. فَسَقَاهُمُ اللَّهُ مَطَرًا غَزِيرًا. وَفِيهَا ضَرَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ خُبَيْبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ خَمْسِينَ سَوْطًا بِأَمْرِ الْوَلِيدِ لَهُ بِذَلِكَ، وَصَبَّ فَوْقَ رَأْسِهِ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ بَارِدٍ فِي يَوْمٍ شَاتٍ، وَأَقَامَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ يَوْمَهُ ذَلِكَ فَمَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ مَوْتِ خُبَيْبٍ شَدِيدَ الْخَوْفِ لَا يَأْمَنُ، وَكَانَ إِذَا بُشِّرَ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ يَقُولُ: وَكَيْفَ وَخُبَيْبٌ لِي بِالطَّرِيقِ؟ وَفِي رِوَايَةٍ يَقُولُ: هَذَا إِذَا لَمْ يَكُنْ خُبَيْبٌ بِالطَّرِيقِ، ثُمَّ يَصِيحُ صِيَاحَ الْمَرْأَةِ الثَّكْلَى، وَكَانَ إِذَا أُثْنِيَ عَلَيْهِ يَقُولُ: خُبَيْبٌ وَمَا خُبَيْبٌ! إِنْ نَجَوْتُ مِنْهُ فَأَنَا بِخَيْرٍ. وَمَا زَالَ عَلَى الْمَدِينَةِ إِلَى أَنْ ضَرَبَ خُبَيْبًا فَمَاتَ، فَاسْتَقَالَ وَرَكِبَهُ الْحُزْنُ وَالْخَوْفُ مِنْ حِينِئِذٍ، وَأَخَذَ فِي الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ وَالْبُكَاءِ، وَكَانَتْ تِلْكَ هَفْوَةً مِنْهُ وَزَلَّةً، وَلَكِنْ حَصَلَ لَهُ بِسَبَبِهَا خَيْرٌ كَثِيرٌ; مِنْ عِبَادَةٍ وَبُكَاءٍ وَحُزْنٍ وَخَوْفٍ وَإِحْسَانٍ وَعَدْلٍ وَصَدَقَةٍ وَبِرٍّ وَعِتْقٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَفِيهَا افْتَتَحَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ وَهُوَ ابْنُ عَمِّ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ مَدِينَةَ الدَّيْبُلِ وَغَيْرَهَا مِنْ بِلَادِ الْهِنْدِ، وَكَانَ قَدْ وَلَّاهُ الْحَجَّاجُ غَزْوَ الْهِنْدِ، وَعُمْرُهُ