আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وتسعين

فتح سمرقند

পৃষ্ঠা - ৭৩৩২

মুক্তা ও স্বর্ণ ইত্যাদি নিয়ে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এভাবে বনু উমায়্যার মধ্যে জিহাদের প্রেরণা
উজ্জীবিত ছিল ৷ এছাড়া তাদের অন্য কোন পেশার দিকে মনোযোগও ছিল না ৷ পৃথিবীর প্রাচ্যে
ও প্রতীচ্যে, সাগরে ও নগরে ইসলামের আওয়ায সমুন্নত হলো; তারা কুফরী ও কাফিরদেরকে
পর্বুদন্থ করল ৷ মুশরিকদের অন্তর মুসলমানদের৩ ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ৷ মুসলমানগণ বিভিন্ন
এলাকার যেই দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন তা জয়লাভ করে নিতেন ৷ জিহাদেরত সৈন্যদের
মধ্যে পুণ্যবান, আওলিয়া এবং প্রবীণ তাবিঈগণের উলামায়ে কিরাম অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
প্রত্যেকটি সৈন্যদলেই এ ধরনের একটি বড় জামাআত যাকত, মহান আল্লাহ তাদের ওসীলায়
ইসলামের বিজয় দান করেন ৷

কুতায়বা ইবন মুসলিম তুর্কী শহরগুলোতে বিজয়ের ধ্বনি সমুন্নত রাখেন ৷ তিনি শত্রু
সেনাদ্দেরকে হত্যা করছিলেন, বন্দী করছিলেন এবং তাদের থেকে প্রচুর গনীমতের মাল অর্জ্যা
করছিলেন ৷ তিনি শহরের পর শহর জয় করছিলেন এমনকি চীনের সীমান্ত পর্যন্ত তিনি পৌছে
যান ণ্৷ সেখানকার বাদশাহর কাছে তিনি দুত পাঠান ৷ এতে ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে বাদশাহ তার কাছে
উপচৌকন হিসেবে প্রচুর সম্পদ প্রেরণ করেন এবং অত্যন্ত ক্ষমতা ও প্রচুর সৈন্য থাকা সাত্ত্বও
সদাচরণের খাতিরে তিনি দুত পাঠান ৷ এভাবে আশেপাশের বাদশাহগণ তার প্ৰতি ভীত হয়ে
কর আদায় করতে লাগলেন ৷ যদি হাজ্জাজ বেচে থাকত, তাহলে চীনের শহরগুলো হতে সৈন্য
প্রত্যাহার করা হত না এবং চীনের বাদশাহর সাথে মুসলমানদের সৌজন্য সাক্ষাত হতো ৷ কিন্তু
হাজ্জাজ য খন মারা যায়, তখন মুসলিম সৈন্যরা প্রত্যাবর্তন করেন ৷

তারপর কুতায়বা নিহত হন ৷ সম্ভবত কোন মুসলমানই তাকে হত্যা করে ৷ অন্যদিকে
মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, আমীরুল মু ’মিনীন আল-ওয়ালীব্বদ্যা ছেলে ও
তার অন্য তাই রোমের শহরগুলোতে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত ব্লেখেছিল ৷ তারা সিরিয়ার
সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল এবং তারা কুস্তানতীনয়া পৌছে যায় ৷ মাসলামাহ সেখানে একটি
জামে মসজিদ তৈরী করেন, যেখানে মহান আল্লাহর ইবাদত করা হয় ৷ ফ্রান্সের বাসিন্দাদের
অন্তর মুসলমানদের প্রতি ভীত-প্সস্ত্রস্ত হয়ে উঠে ৷ অন্যদিকে হাজ্জাজের ভাতিজ৷ মুহাম্মদ ইবন
কাসিম হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করছিল এবং বিভিন্ন শহর জয় করছিল ৷

মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরাঃলোতে যুদ্ধ করছিল বিভিন্ন শহর জয়লাভ করছিল, এবং
মিসরীয় শহরগুলােস্থতও জয় অব্যাহত ছিল ৷

এ এলাকাগুলোর বাসিন্দাগণ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় প্রবেশ করে এবং দেব-দেবীর পুজা
প্রত্যাহার করে ৷ এর পুর্বে সাহাবায়ে কিরাম হযরত উমর (না) ও হযরত উছমান (রা)-এর
যুগে এসব এলাকায় কিছু শহর জয় করে প্রবেশাধিকার অর্জন করেন ৷ তইি পরে মুসলমানগণ
বিরাট এলাকা যেমন সিরিয়া, মিসর, ইরাক, ইয়ামান ও তুর্কীয় প্রধান শহরগুলো জয় করেন ৷
তারা মাওরাউনৃনাহার’ ও মরক্কোর প্রধান শহরগুলো পর্যন্ত পৌছে যান ৷ রাসুপুল্লাহ্ (সা)-এর
হিজরতের পর থেকে প্রথম শতাব্দীতে বনু উমায়্যার খিলাফতের সমাপ্তি পর্যন্ত মুসলমানদের
মধ্যে জিহাদের চেতনা বিদ্যমান থাকে ৷ আবার বনু আব্বান্সের খিলাফতকালে যেমন খলীফা
মানসুর ও তার আওলাদ, খলীফা হারুনুর রশীদ ও তার আওলাদেৱ মধ্যে জিহাদের চেতনা
বিরাজমান ছিল ৷ মাহমুদ সুবুক্তগীন ও তার সন্তান, তা,দ্যো যুগে হিন্দুস্তানের বহু শহর জয়
করেন ৷ বনু উমায়্যা থােক যারা মরক্কোতে পালিয়ে গিয়েজ্যি ৷ তারা ফ্রান্সের ভুমিতে জিহাদের
চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছিল ৷ তারপর যখন এ সব এলাকায় জিহাদের চেতনা স্তিমিত হয়ে গেল ৷
ঐ সব এলাকা শত্রুদের দখলে চলে গেল এবং মুসলমানরা দুর্বল হয়ে পড়ল ৷ তারপর যখন


إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا دَخَلَهَا قُتَيْبَةُ دَخَلَهَا وَمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنَ الْأَبْطَالِ، وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ بُنِيَ الْمَسْجِدُ، وَوُضِعَ فِيهِ الْمِنْبَرُ، فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ وَخَطَبَ وَتَغَدَّى، وَأُتِيَ بِالْأَصْنَامِ الَّتِي لَهُمْ فَسُلِبَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأُلْقِيَتْ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ، حَتَّى صَارَتْ كَالْقَصْرِ الْعَظِيمِ، ثُمَّ أَمَرَ بِتَحْرِيقِهَا، وَقَالَ الْمَجُوسُ: إِنَّ فِيهَا أَصْنَامًا قَدِيمَةً مَنْ أَحْرَقَهَا هَلَكَ. وَجَاءَ الْمَلِكُ غَوْزَكُ فَنَهَى عَنْ ذَلِكَ، وَقَالَ لِقُتَيْبَةَ: إِنِّي لَكَ نَاصِحٌ. فَقَالَ: أَنَا أُحَرِّقُهَا بِيَدِي، ثُمَّ أَخَذَ شُعْلَةً مِنْ نَارٍ، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا، وَهُوَ يُكَبِّرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَلْقَى فِيهَا النَّارَ فَاحْتَرَقَتْ، فَوَجَدَ مِنْ بَقَايَا مَا كَانَ فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ خَمْسِينَ أَلْفَ مِثْقَالٍ مِنْ ذَهَبٍ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا أَصَابَ قُتَيْبَةُ فِي السَّبْيِ جَارِيَةً مِنْ وَلَدِ يَزْدَجِرْدَ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْحَجَّاجِ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْوَلِيدِ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى قُتَيْبَةُ بِأَهْلِ سَمَرْقَنْدَ فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي لَا أُرِيدُ مِنْكُمْ أَكْثَرَ مِمَّا صَالَحْتُكُمْ عَلَيْهِ، وَلَكِنْ لَا بُدَّ مِنْ جُنْدٍ يُقِيمُونَ عِنْدَكُمْ مِنْ جِهَتِنَا، فَانْتَقَلَ عَنْهَا مَلِكُهَا غَوْزَكُ خَانَ فَتَلَا قُتَيْبَةُ: {وَأَنَّهُ أَهْلَكَ عَادًا الْأُولَى وَثَمُودَ فَمَا أَبْقَى} [النجم: 50] (النَّجْمِ: 50، 51) الْآيَاتِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ عَنْهَا قُتَيْبَةُ إِلَى بِلَادِ مَرْوَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى سَمَرْقَنْدَ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُسْلِمٍ، وَقَالَ لَهُ: لَا تَدَعَنَّ مُشْرِكًا يَدْخُلُ بَابَ سَمَرْقَنْدَ إِلَّا مَخْتُومَ الْيَدِ، ثُمَّ لَا تَدَعْهُ بِهَا إِلَّا مِقْدَارَ مَا تَجِفُّ طِينَةُ خَتْمِهِ، فَإِنْ جَفَّتْ وَهُوَ بِهَا فَاقْتُلْهُ، وَمَنْ رَأَيْتَهُ مِنْهُمْ وَمَعَهُ حَدِيدَةٌ أَوْ سِكِّينَةٌ فَاقْتُلْهُ بِهَا، وَإِذَا أَغْلَقْتَ الْبَابَ فَوَجَدْتَ بِهَا أَحَدًا مِنْهُمْ فَاقْتُلْهُ.