আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وتسعين

فتح سمرقند

পৃষ্ঠা - ৭৩৩১


বন্দিনীদের মধ্যে তিনি ইরানের শাহ ইয়াযদিগারদের বংশের একজন বাদী পেলেন ৷ তিনি
তাকে হাদিয়৷ স্বরুপ আল-ওয়ালীদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ তার গর্ভে জন্ম নেয় ইয়াযীদ ইবন
আল ওয়ালীদ ৷৩ তারপর কুতায়বা সমরকন্দবাসীদের ডাকালন এবং তাদেরকে বললেন, আমি
আপনাদের সাথে যেরুপ সন্ধি করেছি তার থেকে বেশী কিছু চাই না ৷ তবে আমাদের পক্ষ
থেকে আপনাদের মাঝে শান্তি রক্ষার জন্যে একদল সৈন্য থাকবে, শহরের প্রশাসক গাওরাক
খান সেখান থেকে স্থানান্তর হন ৷ তখন কুতায়বা সুরায়ে নাজমের ৫০ ও ৫১ আয়াতদ্বয়

তিলাওয়াত করেন : প্রু৷ অর্থাৎ “আর এই যে,
তিনিই আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন এবং ছামুদ সম্প্রদায়কেও কাউকেও তিনি বাকী

রাখেননি ৷” এরপর কুতায়বা সেখান থেকে মারভ শহরের দিকে প্রত্যাগমন করেন এবং
সমরকন্দে তার ভাই আবদুল্লাহ ইবন মুসলিমকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে যান ৷ আর তাকে
বলেন, সমরকন্দ শহরের দরজায় মাটি দ্বারা প্রচলিত মােহরকৃত হস্ত ব্যতীত মুশবিকদের
কাউকে তুমি প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না ৷ তারপর তাকে মােহরের মাটির আর্দ্রতা শুকাবার
বেশী সময় পর্যন্ত অবস্থান করার অনুমতি দেবে না ৷ আর যদি মাটির আর্দ্রতাৰুশুকিয়ে যায় ও
তুমি তাকে সেখানে দণ্ডায়মান দেখতে পাও তাহলে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ আর তাদের
মধ্যে যার সাথে তুমি কোন অস্ত্র বা ছুরি দেখতে পারে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ যখন তুমি
শহরের দরযা বন্ধ করে দেবে এবং সেখানে কাউকে পাবে তাকেও হত্যা করার ৷ এ সম্পর্কে
কাব আল-আশকারী বলেন, আবার কেউ কেউ বলেন, এ কবিতাটি জুফী বংশের কোন এক
ব্যক্তির যা নিম্নরুপ :

“প্রতিদিন কুতায়বা লুটের মাল জমা করছে, সম্পদের সাথে আরো নতুন সম্পদ বৃদ্ধি করে
যাচ্ছে ৷ কোন কোন বাসিন্দাকে সে মুকুট পরিয়েছে ৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার ও ভয়াবহতার কারণে তার
কালো চুলের সিথি সাদা হয়ে গেছে ৷ বিভিন্ন ধরনের সেনাবাহিনী প্রবেশের মাধ্যমে সুগদকে
কুতায়ব৷ লাঞ্ছিত করেছে ৷ এমনকি সুগদকে বস্ত্রহীন অবস্থায় উপবিষ্ট করে হেড়েছে ৷ সন্তান তার
পিতাকে হারিয়ে কাদছে এবং পিতা তার সন্তানের জন্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে র্কাদছে ৷ যখনই সে
কোন শহরে অবতরণ করছে কিত্বা কোন শহরে আগমন করছে সেই শহরের জীব-জন্তু ও
জানোয়ারকে গভীর গর্ভে নিপতিত করা হচ্ছে ৷

এ বছরেই মরক্কোর নাইব মুসা ইবন নুসায়র তার আযাদকৃত ক্রীতদাস তারিককে
আন্দুলুস থেকে বরখাস্ত করেন ৷ তিনি তাকে তালীতালাহ নামক শহরে প্রেরণ করেছিলেন ৷
তিনি এটাকে জয় করেন এবং সেখানে সুলায়মান ইবন দাউদ (আ)-এর দস্তরখান দেখতে
পান ৷ তার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মুক্ত৷ আরো কত কিছু ৷ তিনি এটাকে আল-ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের কাছে প্রেরণ করেন ৷ যখন এ দস্তরখান তার কাছে পৌছে, তখন তিনি মারা প্
যান এবং তার ভাই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক আমীরুল মু’মিনীন মনোনীত হয়েছেন ৷ এ
দস্তরখান সম্বন্ধে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ এটার মধ্যে এমন এমন জিনিস রয়েছে
যা মানুষকে অবাক করে দেয় ৷ এর চেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কােথায়ও দেখতে পাওয়া যায়

া৷ মুসা ইবন নুসায়র নিজ আযাদকৃত গোলাম তারিক ইবন যিয়াদের পরিবর্তে নিজের ছেলে

আবদুল আযীয ইবন মুসা ইবন নুসায়রকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷

এ বছরেই মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরগুলাে তে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা আন্দুলুস
দ্বীপের বহু শহর জয় করে ৷ এগুলোর মধ্যে কর্তোডা ও তানজা অভ্যস্ত প্রসিদ্ধ ৷ তারপর মুসা
নিজেই আন্দুলুসের পশ্চিমপ্রাত্তে অগ্রসর হন এবং বাজাহ শহর ও শুভ্র শহরের ন্যায় অন্যান্য বড়


وَاقْتَرَبَ قُتَيْبَةُ مِنَ الْمَدِينَةِ الْعُظْمَى الَّتِي بِالصُّغْدِ، وَهِيَ سَمَرْقَنْدُ، فَنَصَبَ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقَ، فَرَمَاهَا بِهَا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يُقَاتِلُهُمْ لَا يُقْلِعُ عَنْهُمْ، وَنَاصَحَهُ مَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ بُخَارَى وَخَوَارِزْمَ، فَقَاتَلُوا أَهْلَ الصُّغْدِ قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ غَوْزَكُ مَلِكُ الصُّغْدِ: إِنَّمَا تُقَاتِلُنِي بِإِخْوَتِي وَأَهْلِ بَيْتِي، فَأَخْرِجْ إِلَيَّ الْعَرَبَ. فَغَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ قُتَيْبَةُ، وَمَيَّزَ الْعَرَبَ مِنَ الْعَجَمِ وَأَمَرَ الْعَجَمَ بِاعْتِزَالِهِمْ، وَقَدَّمَ الشُّجْعَانَ مِنَ الْعَرَبِ، وَأَعْطَاهُمْ جَيِّدَ السِّلَاحِ، وَانْتَزَعَهُ مِنْ أَيْدِي الْجُبَنَاءِ، وَزَحَفَ بِالْأَبْطَالِ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَرَمَاهَا بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ فِيهَا ثُلْمَةً، فَسَدَّهَا التُّرْكُ بِغَرَائِرِ الدُّخْنِ، وَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَوْقَهَا، فَجَعَلَ يَشْتُمُ قُتَيْبَةَ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِسَهْمٍ فَقَلَعَ عَيْنَهُ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ قَفَاهُ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ قَبَّحَهُ اللَّهُ فَأَعْطَى قُتَيْبَةُ الَّذِي رَمَاهُ عَشَرَةَ آلَافٍ، ثُمَّ دَخَلَ اللَّيْلُ فَلَمَّا أَصْبَحُوا رَمَاهُمْ بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ أَيْضًا ثُلْمَةً، وَصَعِدَ الْمُسْلِمُونَ فَوْقَهَا، وَتَرَامَوْا هُمْ وَأَهْلُ الْبَلَدِ بِالنُّشَّابِ، فَقَالَتِ التَّرْكُ لِقُتَيْبَةَ: ارْجِعْ عَنَّا يَوْمَكَ هَذَا، وَنَحْنُ نُصَالِحُكَ غَدًا. فَرَجَعَ عَنْهُمْ، وَصَالَحُوهُ مِنَ الْغَدِ عَلَى أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَةِ أَلْفٍ يَحْمِلُونَهَا إِلَيْهِ فِي كُلِّ عَامٍ، وَعَلَى أَنْ يُعْطُوهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ ثَلَاثِينَ أَلْفَ رَأْسٍ مِنَ الرَّقِيقِ، لَيْسَ فِيهِمْ صَغِيرٌ وَلَا شَيْخٌ وَلَا عَيْبٌ، وَفِي رِوَايَةٍ: مِائَةَ أَلْفٍ مِنْ رَقِيقٍ، وَعَلَى أَنْ يَأْخُذَ حِلْيَةَ الْأَصْنَامِ، وَمَا فِي بُيُوتِ النِّيرَانِ، وَعَلَى أَنْ يُخْلُوا الْمَدِينَةَ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ حَتَّى يَبْنِيَ فِيهَا قُتَيْبَةُ مَسْجِدًا، وَيُوضَعُ لَهُ فِيهِ مِنْبَرٌ يَخْطُبُ عَلَيْهِ، وَيَتَغَدَّى وَيَخْرُجُ، فَأَجَابُوهُ