আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسعين من الهجرة

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭৩১২


৯০ হিজরীর আগমন

এ বছরেই মাসলামা ইবন আবদুল মালিক এবং আল আব্বাস ইবন আল ওয়ালীদ রোমের
শহরগুলোতে যুদ্ধ করেন ৷ দুইজনে মিলে রোমের বহু দুর্গ জয় করেন, বহু লোককে হত্যা
করেন, প্রচুর গনীমত অর্জন করেন এবৎ বহু লোককে বন্দী করেন ৷

এ বছরেই রােমীয়রা নাবিক খালিদ ইবন কায়সানকে বন্দী করে এবং৩ তারা তাকে নিয়ে
তাদের বাদশাহর কাছে পৌছে ৷ তখন রোমের বাদশাহ তাকে আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিকের কাছে হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করেন ৷

এ বছরেই আল-ওয়ালীদ তার ভাই আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল মালিককে মিসরের আমীরের
পদ হতে বরখাস্ত করেন এবৎ কুৰ্বাহ ইবন শুরায়ককে সেখানের আমীর নিযুক্ত করেন ৷

এ বছরেই মুহাম্মদ ইবন আল-কাসিম সিন্ধুর রাজা দাহিৱ ইবন সাসসাহকে হত্যা করেন ৷
আর এই মুহাম্মদ ইবন আল-কাসিম হাজ্জাজের তরফ থেকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷

এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম বুথারা শহর জয়লাভ করেন এবং তুর্কীয় সকল
দৃশমনদেরকে পরাজিত করেন ৷ তাদের মধ্যে বহু ঘটনা ঘটেছে যার বর্ণনা অত্যন্ত ণ্ডুদীর্ঘ ৷ ইবন
জারীর তা বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷

এ বছরেই বুখারা বিজয়ের পর সুগদের বাদশাহ তারখুন কুতায়বার কাছে প্রতিবছর প্রচুর
সম্পদ প্রদানের শর্তে সন্ধি করার আবেদন জানায় ৷ এ আবেদনে কুতায়বা সাড়া দেন এবং এ
ব্যাপারে তার থেকে সন্ধি গ্রহণ করেন ৷ প্

এ বছরেই ওয়ারদান খামার জন্যে তুর্কীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ চর্তৃদিক থেকে
তারা তার সাহায্যে আগমন করেন ৷ এটাকে কুতায়বা গ্রহণ করার পর ওয়ারদানই এখন
ৰুখারার কর্ণধার ৷ ওয়ারদান খাযাহ্র পক্ষে সংগ্রাম করে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলা
করে ৷ আর তাদেরকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করতে চায় ৷ তারপর মুসলমানের৷ ওয়ারদানও তার সাথীদের
উপর হামলা করে এবং তাদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ কুতায়বা সুগদের বাদশার সাথে সন্ধি
করেন ৷ আর অন্য দিকে বুখারা ও তার দুর্গগুলো জয়লাভ করেন ৷ কুতায়বা৩ তার সৈন্যদল নিয়ে
নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ হাজ্জাজ তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেন ৷ যখন তিনি
তার নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তখন তার কাছে সংবাদ পৌছে যে, সুগদের বাদশাহ্ তুর্কী
বাদশাহদের বলেছেন যে, আরবরা চোর, যদি তাদেরকে কিছু দান কর এটা নিয়ে এরা চলে
যাবে ৷ আর কুতায়বাহ্ও এরুপভাবে রাজ্য বিস্তা ৷রের আশা পোষণ করে ৷ যদি তারা তাকে কিছু
দান করে তা নিয়ে নিয়ে এবং তাদের থেকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷ কুতায়বা বাদশাহও নয় এবং
রাজতুও দাবী করবে না ৷ যখন এ কথা কুতায়বার কাছে পৌছল, তখন সে তাদের কাছে
প্রত্যাবর্তন করল ৷ তুর্কী বাদশাহ্ নাইযাক মাওরাউন নাহার’-এর অন্যান্য বাদশাহ্ যেমন
তালেকানের বাদশার কাছে পত্র লিখে জানাল ৷ তিনিও কুতইিবার সাথে সন্ধি করেছিলেন ৷ তার
ও কুতায়বার মধ্যে যে সন্ধি ছিল যে তা ভৎগ করল এবৎ তার বিরুদ্ধে সকল বাদশার কাছে
সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ তার সাহায্যে বহু বাদশা এগিয়ে আসল ৷ যারা কুতায়বার সাথে সন্ধি
করেছিল তারা সকলে সন্ধি ভৎগ করল এবং কুতায়বার বিরুদ্ধে তারা সৎঘবদ্ধ হল ৷ তারা
রাবীউল আউয়াল মাসে হামলা করার প্রস্তুতি নিতে লাগল ৷ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ
স্থাপন করে একথার উপর ওয়াদা অঙ্গীকার করতে লাগল যে, আগামী বছরের বসম্ভকালেশ্তারা


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بِلَادَ الرُّومِ، فَفَتَحَا حُصُونًا، وَقَتَلَا خَلْقًا مِنَ الرُّومِ، وَغَنِمَا وَأَسَرَا خَلْقًا كَثِيرًا. وَفِيهَا أَسَرَتِ الرُّومُ خَالِدَ بْنَ كَيْسَانَ صَاحِبَ الْبَحْرِ، وَذَهَبُوا بِهِ إِلَى مَلِكِهِمْ، فَأَهْدَاهُ مَلِكُ الرُّومِ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَفِيهَا عَزَلَ الْوَلِيدُ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ إِمْرَةِ مِصْرَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا قُرَّةَ بْنَ شَرِيكٍ. وَفِيهَا قَتَلَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ الثَّقَفِيُّ مَلِكَ السِّنْدِ دَاهِرَ بْنَ صَصَّةَ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ هَذَا عَلَى جَيْشٍ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ، وَفِيهَا فَتَحَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ مَدِينَةَ بُخَارَى، وَهَزَمَ جَمْعَ الْعَدُوِّ مِنَ التُّرْكِ بِهَا، وَجَرَتْ بَيْنَهُمْ فُصُولٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَقَدْ تَقَصَّاهَا ابْنُ جَرِيرٍ، وَفِيهَا طَلَبَ طَرْخُونُ مَلِكُ الصُّغْدِ بَعْدَ فَتْحِ بُخَارَى مِنْ قُتَيْبَةَ أَنْ يُصَالِحَهُ عَلَى مَالٍ يَبْذُلُهُ فِي كُلِّ عَامٍ، فَأَجَابَهُ قُتَيْبَةُ إِلَى ذَلِكَ، وَأَخَذَ مِنْهُ رَهْنًا عَلَيْهِ. وَفِيهَا اسْتَنْجَدَ وَرْدَانُ خُذَاهْ بِالتُّرْكِ، فَأَتَوْهُ مِنْ جَمِيعِ النَّوَاحِي وَهُوَ صَاحِبُ بُخَارَى بَعْدَ أَخْذِ قُتَيْبَةَ لَهَا وَخَرَجَ وَرْدَانُ خُذَاهْ وَحَمَلَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَحَطَّمُوهُمْ، ثُمَّ عَادَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَصَالَحَ قُتَيْبَةُ مَلِكَ الصُّغْدِ، وَفَتَحَ بُخَارَى وَحُصُونَهَا، وَرَجَعَ قُتَيْبَةُ بِالْجُنْدِ إِلَى بِلَادِهِ فَأَذِنَ لَهُ الْحَجَّاجُ، فَلَمَّا سَارَ إِلَى بِلَادِهِ بَلَغَهُ أَنَّ صَاحِبَ الصُّغْدِ قَالَ لِمُلُوكِ التُّرْكِ: إِنِ الْعَرَبَ بِمَنْزِلَةِ اللُّصُوصِ، فَإِنْ أُعْطُوا شَيْئًا ذَهَبُوا، وَإِنَّ قُتَيْبَةَ هَكَذَا يَقْصِدُ الْمُلُوكَ، فَإِنْ