আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثمانين

عبد العزيز بن مروان رحمه الله تعالى

পৃষ্ঠা - ৭২৫৬


কেমন করে সম্পদকে কুক্ষিগত করে রাখে ৷ যখন তীর মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং তার সামনে
তীর সম্পদ পেশ করা হয়, তখন তিনি সম্পদের হিসাব করতে লাগলেন এবং তিনশত মুদ
(মুদ ১ ছায়ের চার ভাগের এক ভাগ) স্বর্ণ পেলেন ৷ তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ্র শপথ,
আমি এ সম্পদকে নজদের কোন রাখালের কোন একটি মেয়ের মল তুলা মনে করি ৷” তিনি
আরো বলতেন, আল্লাহর শপথ ! আমি পছন্দ করি যে, যদি আমি কোন উল্লেখযোগ্য বস্তু না
হতাম ৷ আমি আরো পসন্দ করি যে, হিজাযের পবিত্র ভুমিতে যদি পানির নহর জারী হত এবং
তা শস্য শ্যামল ভুমিতে পরিণত হতো ৷ তিনি তার সভাসদ বর্পকে বলতেন, “মৃত্যুর পর
তোমরা আমাকে যে কাপড়ে কাফন দিয়ে তা আমাকে দেখাও (যেন বেশী মুল্যের না হয়)
তারপর তিনি নিজকে লক্ষ্য কর বলতেন, “তোমার জন্যে আফসোস! তোমার দৈর্ঘ্য কতই না
ছোট ৷ তোমার প্রাচুর্য কতই না স্বল্প ৷

ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান, ইবন বুকায়রের মাধ্যমে লায়স ইবন সা দ থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, “তার মৃত্যুর তারিখ ছিল, ৮৬ হিজরীর জুমাদাল উলা মাসের তের তারিখ
সোমবার দিবাগত রাত৷ ইবন আসাকির বলেন, এ অভিমত ইয়া কুব ইবন সুফ্য়ানের ভ্রান্ত
ধারণা ৷ সঠিক সন হল ৮৫ হিজরী ৷ কেননা,৩ তিনি তার ভাই আবদুঃ৷ মালিকের পুর্বে মৃত্যুবরণ
করেছিলেন এবং আবদুল মালিক তীর পরে ৮৬ হিজরীতে ইন্তিকাল করেছিলেন ৷

আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান উত্তম শাসকগণের দলভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দয়ালু,
দাতা ও প্ৰশং সনীয় চরিত্রের মানুষ ৷ তিনি ন্যায় পরায়ণ শাসক উমর ইবন আবদুল আষীযের
পিতা ছিলেন ৷ উমর তার পিতা হতে উত্তম চরিত্রের উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছিলেন
এবং তার থেকেও বেশী গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন ৷ উমর ব্যতীত আবদুল আযীযের আরো
কয়েকজন সন্তান “ছিল ৷ যেমন আসিম, আবু বকর, মুহাম্মদ ও আল আসবাগ ৷ আল-আসবাগ
তার পিতার মৃত্যুর কিছুদিন পুর্বে মারা যায় ৷ পুত্রের মৃত্যুর ণ্শাকে পিতা অসুস্থ হয়ে পড়েন
এবং কিছু দিনের মধ্যে ইনৃতিকাল করেন ৷ তার অন্য এক সন্তানের নাম ছিল সুহইিল ৷ আর
কিছু সংখ্যক কন্যাও ছিল যেমন উম্মে মুহাম্মদ, উম্মে সুহইিল, উম্মে উছমান, উম্মে আল হাকাম
ও উম্মে আল বানীন ৷ তারা বিভিন্ন মায়ের সন্তান ছিলেন ৷ উপরোক্ত সন্তানদের ব্যভীতও তার
আরো সন্তান ছিল ৷ তিনি মিসর থেকে কয়েক মইিল দুরে তার প্রতিষ্ঠিত শহরে ইনৃতিকাল
করেন ৷ মিসরের নীলনদের কিনারায় তাকে আনা হয় এবং সেখানে তাকে দাফন করা হয় ৷
আবদুল আযীয মৃত্যুকালে বহু সম্পদ, দাসী, ঘোড়া, খচ্চর ও উট রেখে যান তার বর্ণনা
দেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ ৷ এগুলোর মধ্যে স্বষ্ন্থিদ্র৷ ছাড়াও তিনশত মুদ স্বর্ণ ছিল তার ৷ অথচ
তিনি ছিলেন অত্যন্ত দাতা ও দয়ালু, বড় বড় উপচৌকন প্রদানকারী, বিশাল আকারের দান
দাতাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ মহান আল্পাহ্ তার প্রতি ৩রহম করল ৷

ইবন জারীর (র) উল্লেখ করেন, একদিন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তীর ভইি
আবদুল আযীযের কাছে পত্র লিখেন ৷ যখন তিনি মিসরের ৰিজ্যি শহরের শাসনকর্তা ছিলেন ৷
তাকে তিনি পত্রের মাধ্যমে তার পরে আপন ছেলে ওয়ালীদের অনুকুলে যুবরাজের পদ ছেড়ে
দেওয়ার জন্যে আদেশ দেন কিংবা খােদ আবদুল মালিক যেন তার পরে যুবরাজের পদ দখল
করতে পারেন ৷ কেননা, তার ছেলে তার কাছে বেশী প্রিয় ৷ তখন তার কাছে আবদুল আযীয
পত্র লিখে বলেন, তুমি ওয়ালীদের মধ্যে যে সব গুণাবলী দেখছ, আমি আবু বকর ইবন আবদুল
আষীযের মধ্যেও সে সব গুণাবলী দেখতে পাচ্ছি ৷ তখন আবদুল মালিক তাকে পত্র লিখে
মিসরের খাজনা প্রদানের জন্যে আদেশ দেয় ৷ আবদুল আযীয পুর্বে খাজনা কিংবা অন্য কোন


وَقَالَ: ائْتُونِي بِكَفَنِي الَّذِي تُكَفِّنُونِي فِيهِ. فَجَعَلَ يَقُولُ: أُفٍّ لَكَ مَا أَقْصَرَ طَوِيلَكَ، وَأَقَلَّ كَثِيرَكَ! قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ: كَانَتْ وَفَاتُهُ لَيْلَةَ الِاثْنَيْنِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا وَهْمٌ مِنْ يَعْقُوبَ، وَالصَّوَابُ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ ; فَإِنَّهُ مَاتَ قَبْلَ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخِيهِ، وَمَاتَ عَبْدُ الْمَلِكِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ مِنْ خِيَارِ الْأُمَرَاءِ، كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا، وَهُوَ وَالِدُ الْخَلِيفَةِ الرَّاشِدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدِ اكْتَسَى عُمْرُ أَخْلَاقَ أَبِيهِ، وَزَادَ عَلَيْهِ بِأُمُورٍ كَثِيرَةٍ، وَكَانَ لِعَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْأَوْلَادِ غَيْرُ عُمْرَ: عَاصِمٌ وَأَبُو بَكْرٍ وَمُحَمَّدٌ وَالْأَصْبَغُ - مَاتَ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، فَحَزِنَ عَلَيْهِ حُزْنًا كَثِيرًا، وَمَرِضَ بَعْدَهُ وَمَاتَ - وَسُهَيْلٌ، وَكَانَ لَهُ عِدَّةُ بَنَاتٍ: أُمُّ مُحَمَّدٍ، وَأُمُّ عُثْمَانَ، وَأُمُّ الْحَكَمِ، وَأُمُّ الْبَنِينَ، وَهُنَّ مِنْ أُمَّهَاتٍ شَتَّى، وَلَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ غَيْرُ هَؤُلَاءِ، مَاتَ بِالْمَدِينَةِ الَّتِي بَنَاهَا عَلَى مَرْحَلَةٍ مِنْ مِصْرَ، وَحُمِلَ إِلَى مِصْرَ فِي النِّيلِ، وَدُفِنَ بِهَا، وَقَدْ تَرَكَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَثَاثِ وَالدَّوَابِّ ; مِنَ الْخَيْلِ وَالْبِغَالِ وَالْإِبِلِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مَا يَعْجَزُ عَنْهُ الْوَصْفُ، مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ: ثَلَاثُمِائَةِ مُدِّ ذَهَبٍ غَيْرُ الْوَرِقِ، مَعَ جُودِهِ وَكَرَمِهِ وَبَذْلِهِ وَعَطَايَاهُ الْجَزِيلَةِ ; فَإِنَّهُ كَانَ مِنْ أَعْطَى النَّاسَ لِلْجَزِيلِ،