আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثمانين

عبد العزيز بن مروان رحمه الله تعالى

পৃষ্ঠা - ৭২৫৪

মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি ছিলেন হাদীস বর্ণনায় বিশ্বস্ত ৷ কিন্তু কম হাদীস
বর্ণনাকারী ৷ অন্যান্য ইতিহাসবিদগণ বলেন, আবদুল আযীয হাদীস বর্ণনায় এবং নিজের
কথারার্তায় ব্যাকরণজনিত ভুল করতেন ৷ তারপর তিনি আরবী ভাষা শিক্ষা করেন এবং তা
উত্তমরুপে শিখে নেন ৷ পরবর্তী কালে তিনি বিশুদ্ধতম আরবী ভাষাভাষীদের অন্যতম ছিলেন ৷
তার আরবী ভাষা শিক্ষার পটভুমি ছিল নিম্নরুপ : একদিন তার কাছে একটি লোক নিজ
জামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রবেশ করে ৷ আবদুল আযীয তখন তাকে বলে, মান
খাতানাকা ১ :,; অর্থাৎ আপনাকে কে খতৃনাহ্ করেছে ? লোকটি উত্তরে বলল, আমাকে
ঐ ব্যক্তি খাতনাহ্ করেছে যে অন্যান্য লোকদেরকেও খাতনাহ্ করে থাকে ৷ তখন তিনি তার
লিখককে বললেন, হতভাগা আমার প্রশ্নের কী জবাব দিল ? লিখক বললেন, হে আমীরুল
মু’মিনীন! আপনার উচিত ছিল তাকে বলা মান খাতানুকা ?া; ১১ অর্থাৎ তোমার
জামাতা কে ? তারপর তিনি নিজে নিজে শপথ করলেন, আরবী ভাষা উত্তম রুপে শিক্ষা না
করা পর্যন্ত তিনি লোক সমক্ষে বের হবেন না ৷ তিনি এক সপ্তাহ ঘরে অবস্থান করেন এবং
আরবী ভাষা উত্তমরুপে শিখে নিলেন ও আরবী ভাষায় পারদর্ণীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে
পরিগণিত হন ৷ এরপর থেকে তিনি আরবী ভাষায় পারদশীদৈরকে প্রচুর অর্ঘ্য ও উপচৌকন
দিতেন এবং আরবী ভাষায় যারা ভুল করত, তাদের ভাতা হ্রাস করে দিতেন ৷ ফলে লোকজন
তার যুগে আরবী ভাষা শিক্ষা করার প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ একদিন আবদুল আযীয এক ব্যক্তিকে
বললেন অর্থাৎ
আমি বনু আবদুদদার গোত্রের ৷ শুদ্ধ আরবী ভাষাটি হতো , ৷ৰু৷ ৷া ; ঠু ট্রু,র্মুআবদুল
আযীয বললেন, এ ভুলের প্রতিফলন তুমি তোমার ভাতায় ণ্দৰু২াতে পাবে ৷ তারপর তার ভাতা
একশত দীনারহ্রাস করা হলো ৷

আবু ইয়ালা আল-মুসিলী আল-কা’কা ইবন হাকীম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কাছে লিখলেন,
“তোমার প্রয়োজনের কথা আমাকে জানাবে ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) প্রতি উত্তরে
লিখলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “দাতা গ্রহীতার চেয়ে উত্তম এবং নিকটতম ব্যক্তি
থেকে দান বন্টন শুরু কর” ৷ আমি তোমার কাছে আর কিছু চইি না এবং আল্লাহ্ তাআলা
তোমার মাধ্যমে আমাকে যে রিঘৃক দান করেছেন তাও আমি প্রত্যাখ্যান করি না া

ইবন ওহাব সুওয়ায়দ ইবন কায়স হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আবদুল
আযীয ইবন মারওয়ান এক হাজার দীনারসহ আমাকে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কাছে
প্রেরণ করেন ৷ আমি তার কাছে একটি পত্র নিয়ে হাযির হলাম তখন-তিনি আমাকে বললেন
তোমার সাথে প্রেরিত সম্পদ কোথায় ? তখন আমি বললাম, ভোর না হওয়া পর্যন্ত এ রাতের
বেলায় সমুদয় সম্পদ বহন করতে পারি নাই ৷ তখন তিনি বললেন, আমি এ সম্পদ চইি না ৷
আল্লাহর শপথ, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কখনও এক হাজার দীনার নিয়ে রাত্রি যাপন করে
না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি পত্রটি তার হাতে প্রদান করলাম কিন্তু তিনি তা ছিড়ে ফেলে
দিলেন

তীর কিছু স্মরণীয় বাণী নিম্নে বর্ণনা করা হল, তিনি বলতেন, “ভাবতেও অবাক লাগে
কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্
তাআলা তাকে রিবৃক দান করেন ৷ তারপর সে তীর বিরোধিতা করে, তার নির্দেশাবলী
যথাযথভাবে পালন করে না ৷” তিনি আরো বলেন, “মহাপুরস্কার ও প্রশংসা অর্জনের জন্য মানুষ


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَرُّ مَا فِي الرَّجُلِ شُحٌّ هَالِعٌ وَجُبْنٌ خَالِعٌ» . وَعَنْهُ ابْنُهُ عُمَرُ، وَالزُّهْرِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ رَبَاحٍ، وَجَمَاعَةٌ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً قَلِيلَ الْحَدِيثِ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ يَلْحَنُ فِي الْحَدِيثِ وَفِي كَلَامِهِ، ثُمَّ تَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ فَأَتْقَنَهَا وَأَحْسَنَهَا، فَكَانَ مِنْ أَفْصَحِ النَّاسِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ يَشْكُو خَتَنَهُ - وَهُوَ زَوْجُ ابْنَتِهِ - فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ مَنْ خَتَنَكَ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: خَتَنَنِي الْخَاتِنُ الَّذِي يَخْتِنُ النَّاسَ. فَقَالَ لِكَاتِبِهِ: وَيْحَكَ، بِمَاذَا أَجَابَنِي؟ فَقَالَ الْكَاتِبُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَانَ يَنْبَغِي أَنْ تَقُولَ مَنْ خَتَنُكَ؟ فَآلَى عَلَى نَفْسِهِ أَنْ لَا يَخْرُجَ مِنْ مَنْزِلِهِ حَتَّى يَتَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ، فَمَكَثَ جُمُعَةً وَاحِدَةً فَتَعَلَّمَهَا، فَخَرَجَ وَهُوَ مِنْ أَفْصَحِ النَّاسِ، وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَجْزِلُ عَطَاءَ مَنْ يُعْرِبُ كَلَامَهُ، وَيَنْقُصُ عَطَاءَ مَنْ يَلْحَنُ فِيهِ ; فَتَسَارَعَ النَّاسُ فِي زَمَانِهِ إِلَى تَعَلُّمِ الْعَرَبِيَّةِ، قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ يَوْمًا لِرَجُلٍ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ قَالَ مِنْ بَنُو عَبْدِ الدَّارِ. فَقَالَ: تَجِدُهَا فِي جَائِزَتِكَ، فَنَقَصَهُ مِائَةَ دِينَارٍ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ