আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثمانين

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭২৪৯


ন্যায় অবস্থান করতেন ৷ তিনি কখনও তার থেকে পৃথক হতেন না ৷ তিনি আবদুল মালিকের
পিতা মারওয়ানের সাথে মারজ রাহাতের দিন সঙ্গী ছিলেন ৷ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া তাকে
ফিলিস্তীনে প্রেরিত সেনাবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন ৷ মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ মনে
করেন যে, রাওহ ইবন যাম্বা একজন সাহাবী ছিলেনত ৷ তবে তার এ অভিমতের সমর্থন পাওয়া
যায় না ৷ শুদ্ধ হলো যে, তিনি একজন তাবিঈ ছিলেন, সাহাবী ছিলেন না ৷ তার একটি বিশেষ

গুণ ছিল, যখন তিনি গোসলখানা থেকে বের হতে ন, তখন একটি ণ্গালাম আযাদ করতেন ৷ ’

ইবন যায়দ বলেন,ত তিনি ৮৪ হিজরীতে জর্দানে ইনৃতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ মনে
করেন, তিনি হিশাম ইবন আবদুল মালিকের আমল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৷ তিনি একবার হজ্জ
করার সময় পবিত্র মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী একটি কুয়ার কাছে অবতরণ করেন ৷ তার জন্য
বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন করা হয় ৷ তারপর তার সামনে পরিবেশন করা হয় ৷ তিনি
খাবার খাওয়া শুরু করেছেন এমন সময় একজন রাখাল সেখানে পানির জন্য আগমন করল ৷
রাওহ ইবন যাম্বা তাকে খাবার খেতে ডাকলেন ৷ রাখালটি এগিয়ে আসল এবং খাবারের দিকে
নযর করল, আর বলল, “আমি রোযাদার ৷ রাওহ তাকে বললেন, “এত বড় ও অত্যন্ত
গরমের দিন তুমি রােযা রেখেছ হে রাখলে! রাখাল বলল, ৷তামার খাবারের জন্য কি আমি
আমার অভ্যাসের ব্যতিক্রম করব ? তারপর রাখাল নিজের জায়গায় ফিরে গেল ও সেখানে
অবস্থান করল এবং রাওহ ইবন যাম্বাকে ছেড়ে পেল ৷ তখন রাওহ ইবন যাম্বা বলেন, হে
রাখাল! তুমি তোমার অভ্যাসের ব্যাপারে কৃপণতার আশ্রয় নিয়েছ, যখন রাওহ ইবন যাম্বা
তোমাকে দান করতে চেয়েছিল ৷ তারপর রাওহ অনেকক্ষণ কা ন্নাকাটি করেন এবং এ
খাবারগুলোকে নিয়ে যাবার আদেশ দিলেন, আর বললেন দেখত, এ খাবার ভক্ষণকারী কোন
গ্রাম্য বা বেদুঈন লোক অথবা রাখালকে পাওয়া যায় কিনা ? তারপর তিনি ঐ জায়গা ত্যাগ
করেন অথচ রাখাল তার সমগ্র অস্তরাক নিয়ে নিল এবং তার নাফস রাখালের কারণে
অবমাননা বোধ করল ৷ মহাপবিএ অ ৷ল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

৮৫ হিজরীর আগমন

ইবন জারীরের মতে ৩এ বছরেই আবদুর রহমান ইবন আল আশআছ নিহত হয় ৷ এবছুরেই
হাজ্জাজ ইয়াযীদ ইবন আল মুহ ৷ল্লাবকে খুরা সালের শাসন ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করে এবং তার
ভইি আল-মুফাদ্দাল ইবন আল মুহাল্লাবকে তথাকার শাসক নিয়োগ করে ৷ত তার কারণ ছিল
নিম্নরুপ :
আল হাজ্জাজ একবার আবদুল মালিকের কাছে একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে
আগমন করে ৷ ফেরত যাওয়ার সময় সে একটি আশ্রমে আগমন করে ৷ তখন তাকে বলা হল
যে, এখানে একজন বৃদ্ধলোক আছেন যিনি কিতাবী আলিম ৷ সে তার কাছে গেল এবং বলল,
হে শায়খ! আমরা যে অবস্থায় আছি এবং আপনারা যে অবস্থায় আছেন, এ সম্বন্ধে কি
আপনাদের কিভাবে কোন কিছু লিখা আছে ? শায়খ বললেন, “হ্যা ইাজ্জাজ তাকে বলল,
“আপনি আমাদের আমীরুল মদ্বুমিনীনের গুণাবলী সম্পর্কে কি কোন কিছু পেয়েছেন ?” শায়খ
বললেন, তার গুণাবলী সম্বন্ধে আমি পাচ্ছি যে, তিনি হবেন একজন টাক বিশিষ্ট বাদশা ৷ যে
তার পথে অম্ভরায় সৃষ্টি করবে সে নিহত হবে ৷ হাজ্জাজ বলল, “তার পরে কে খলীফা হবে?”
শায়খ বললেন, “তার পরে যিনি বাদশা হবেনত তার নাম আল ওয়ালীদ ৷” হাজ্জাজ বলল, “এর


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا - كَمَا ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ - كَانَ مَقْتَلُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَشْعَثِ الْكِنْدِيِّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا عَزَلَ الْحَجَّاجُ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا أَخَاهُ الْمُفَضَّلَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ الْحَجَّاجَ وَفِدَ مَرَّةً عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَلَمَّا انْصَرَفَ مَرَّ بِدَيْرٍ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ فِيهِ شَيْخًا كَبِيرًا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ عَالِمًا. فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ: يَا شَيْخُ، هَلْ تَجِدُونَ فِي كُتُبِكُمْ مَا أَنْتُمْ فِيهِ وَمَا نَحْنُ فِيهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ لَهُ: فَمَا تَجِدُونَ صِفَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: نَجِدُهُ مَلِكًا أَقْرَعَ مَنْ يَقُمْ بِسَبِيلِهِ يُصْرَعُ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: ثُمَّ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْوَلِيدُ. قَالَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ رَجُلٌ اسْمُهُ اسْمُ نَبِيٍّ، يَفْتَحُ بِهِ عَلَى النَّاسِ. قَالَ: أَفَتَعْرِفُنِي؟ قَالَ: قَدْ أُخْبِرْتُ بِكَ. قَالَ: أَفَتَعْرِفُ مَا أَلِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَنْ يَلِي الْعِرَاقَ بَعْدِي؟ قَالَ: رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ. قَالَ: أَفِي حَيَاتِي أَوْ بَعْدَ مَوْتِي؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. قَالَ: أَفَتَعْرِفُ صِفَتَهُ؟ قَالَ: يَغْدِرُ غَدْرَةً لَا أَعْرِفُ غَيْرَهَا.