আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وعشرين ومائة

ثم دخلت سنة أربع وعشرين ومائة

ثم دخلت سنة أربع وعشرين ومائة

ثم دخلت سنة أربع وعشرين ومائة

ثم دخلت سنة أربع وعشرين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৭৪৬


মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি বলেনং আল্লাহর শপথ, আমি সেই ব্যক্তিকে ঈর্ষা করি, যে ব্যক্তি
ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত পোহায়, অথচ, সে মহান আল্লাহ্র প্রতি সন্তুষ্ট ৷

তিনি আরো বলেনং দুনিয়ার তিনটি বস্তু ছাড়া আর কে ৷নটিতে আমার আফসোস নেই ৷
১ সেই ব্যক্তি, আমি বাকা হয়ে গেলে আমাকে সোজা করে দেবে ৷ ২ জামাঅাতে নামায
আদায় করা, যা আমার ভুলের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় এবং তার ফযীলত লাভে ধন্য
হই ৷ ৩ এতটুকু খাদ্য, যা ভোগ করলে কেউ ঘোট৷ দিবে না এবং তার জন্য মহান আল্লাহ্র
নিকটও জবাবদিহি করতে হবে না ৷

রাওয়াদ ইবনুর রবী বলেনং আমি মুহাম্মদ ইবন ওরাসি কে একদিন বাজার পরিদর্শন
করতে দেখলাম ৷ তিনি বিক্রির জন্য একটি শাখা দেখাচ্ছিলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি তাকে
জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি গাধাট৷ আমার জন্য পসন্দ করেন ? তিনি বললেনং আমি যদি তার
প্রতি সন্তুষ্টট্রু থাকতাম, তাকে বিক্রি করতাম না ৷

মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি যখন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন, তখন তাকে দেখার জন্য বহু লোক
আসা যাওয়া করতে শুরু করল ৷ তার এক সহচর বলল, আমি তার নিকট পেলাম ৷ দেখলাম,
একদল মানুষ বসে আছে আর একদল দাড়িয়ে ৷ তিনি এই অবস্থা দেখে বললেন০ কাল যখন
কপাল ও পায়ে ধরে আমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তখন এরা আমার কী কাজে
আসবে?

কোন এক খলীফ৷ গরীব জনগণের মাঝে বন্টন করার জন্য বিপুল পরিমাণ বন-সম্পদ
বসরা প্রেরণ করেন এবং তার থেকে কিছু মুহাম্মদ ইবন ওয়াসিকে দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ বিন্দু
তিনি তা গ্রহণ করলেন না এবং ছুইলেনও না৷ পক্ষাম্ভার, মালিক ইবন দীনার খলীফা তার
জন্য যতটুকু আদেশ করেছেন, গ্রহণ করলেন এবং তা দ্বারা কয়েকটি গোলাম ক্রয় করে আযাদ
করে দেন, নিজের জন্য কিছুই রাখলেন না ৷ বিন্দু মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি এসে বাদশাহর
উপচৌকন গ্রহণ করার জন্য তাকে তিরস্কার করে বললেন০ মালিক! কারণ কী ? আপনি
বাদশাহর উপচৌকন গ্রহণ করলেন যে মালিক ইবন দীনার বললেন০ আবু আবদুঃা৷হ্ষ্ গ্রহণ
করে আমি সেগুলো কী করেছি আমার সঙ্গীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন ৷ সঙ্গীরা বলল০ তিনি সেই
সম্পদ দ্বারা গোলাম ক্রয় করে যুক্ত করে দিয়েছেন ৷ শুনে মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি বললেনং : আমি
মহান আল্পাহ্র দোহইি দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, তারা আপনার নিকট এসে পৌছানাের
আগে আপনার অম্ভরট৷ যেমন ছিল, এখন কি তেমন আছে ? শুনে মালিক ইবন দীনার দাড়িয়ে
গেলেন এবং মাথায় মাটি মাখিয়ে বললেন : আসলে মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি-ই মহান আল্লাহ্কে
চিনেন ৷ আর মালিক হলো একটা ণাধা, মালিক হলো একটা গাধা ৷ উল্লেখ্য, মুহাম্মদ ইবন
ওয়াসি-এর এরুপ আরো বহু কথাবার্তা রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি রহম করুন ৷

এ বছর সুলায়মান ইবন হিশাম ইবন আবদুল মালিক রোমে যুদ্ধ করেন ৷, তিনি রোমান
রাজা আলিউন-এর সঙ্গে মোকাবেলা করে নিরাপত্তা ও গনীমত অর্জন করেন ৷

এ বছর বনু আব্বাস-এর একদল দাওয়াতকর্মী খােরাসান থেকে পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হয় ৷ কুফা অতিক্রম করার সময়ও তারা জানতে পারে, খালিদ আল-কাসরীর একদল


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا غَزَا سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الرُّومِ فَلَقِيَ مَلِكَ الرُّومِ أَلْيُونَ فَسَلِمَ سُلَيْمَانُ وَغَنِمَ. وَفِيهَا قَدِمَ جَمَاعَةٌ مِنْ دُعَاةِ بَنِي الْعَبَّاسِ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ قَاصِدِينَ إِلَى مَكَّةَ، فَمَرُّوا بِالْكُوفَةِ فَبَلَغَهُمْ أَنَّ فِي السِّجْنِ جَمَاعَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ مِنْ نُوَّابِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ قَدْ حَبَسَهُمْ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ فَاجْتَمَعُوا بِهِمْ فِي السِّجْنِ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى الْبَيْعَةِ لِبَنِي الْعَبَّاسِ وَإِذَا عِنْدَهُمْ مِنْ ذَلِكَ جَانِبٌ كَبِيرٌ، فَقَبِلُوا مِنْهُمْ، وَوَجَدُوا عِنْدَهُمْ فِي السِّجْنِ أَبَا مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيَّ وَهُوَ إِذْ ذَاكَ غُلَامٌ يَخْدِمُ عِيسَى بْنَ مَعْقِلَ الْعِجْلِيَّ وَكَانَ مَحْبُوسًا، فَأَعْجَبَهُمْ شَهَامَتُهُ وَقُوَّتُهُ وَاسْتِجَابَتُهُ مَعَ مَوْلَاهُ إِلَى هَذَا الْأَمْرِ، فَاشْتَرَاهُ بُكَيْرُ بْنُ مَاهَانَ مِنْهُ بِأَرْبَعِمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَخَرَجُوا بِهِ مَعَهُمْ، فَاسْتَنْدَبُوهُ لِهَذَا الْأَمْرِ، فَكَانُوا لَا يُوَجِّهُونَهُ إِلَى مَكَانٍ
পৃষ্ঠা - ৭৭৪৭


নায়েব ও আমীর কারাগারে আবদ্ধ রয়েছেন, যাদেরকে ইউসুফ ইবন উমর আটক করে
রেখেছেন ৷ তারা কারাগারে গিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বনু আব্বাস-এর পক্ষে বায়আতের
আহ্বান জানায় ৷ তারা তাদের আহ্বান কবুল করে নেন ৷ তারা কারাগারে তাদের নিকট আবু ;
মুসলিম আল-থােরাসানীকে দেখতে পান ৷ বয়সে তিনি বয়স্ক এবং ঈস৷ ইবন মুকবিল
আল-আজালীর সেবার নিয়োজিত ৷ তিনিও বন্দীন্ ৷ বনুআব্বান-এর দাওয়াতকর্মীরা তার
সাহসিকতা, শক্তি এবং মুনীবের সঙ্গে এ পর্যন্ত চলে আসার বিস্মিত হয় ৷ ফলে বাকর ইবন
হাসান তাকে তার মুনীব থেকে চারশত দিৱহাম দ্বারা ক্রয় কর নেন ৷ তারা তাকে নিয়ে ফিরে
আসে এবং তাকে বনু আব্বাস-এরদাওয়াতেৱ কাজের নেতা নিযুক্ত করে দেয় ৷ ফল এই
দাড়াল যে, তারা আবু মুসলিম খােরাসানীকে যেখানেই প্রেরণ করত, তিনি সফলকাম হয়ে
ফিরে আসতেন ৷ তার পরবর্তী ঘটনাবলী আমরা পরে উল্লেখ করব ইনশা আল্পাহ্ ৷
ওয়াকিদী বলেন : এ বছর মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ইনতিকাল করেন ৷ তিনি
সেই ব্যক্তি, বনু আব্বাস-এর দাওয়াতকস্বীরাি তার নিকট দাওয়াত নিয়ে আসভ ৷ মৃত্যুর পর
ছেলে আবুল আব্বাস আস-সাফ্ফাহ তার স্থুলাতিষিক্ত হন ৷ সঠিক তথ্য হলো, তিনি এর পরের
বছর ইবতিকাল করেন ৷
ওয়াকিদী ও আবু মা শার বলেনং এ বছর আবদুঃ৷ আষীয় ইবনুল হাজ্জাজ ইবন আবদুল
মালিক মানুষকে হজ্জ করান ৷ তার সঙ্গে তার শ্রী উষ্মে মুসলিম ইবন ইশাম ইবন আবদুল
মালিকও হজ্জ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন : এ বছর মানুষকে হজ্জ করান মুহাম্মাদ ইবন হিশাম
ইবন ইসমাঈল ৷ ওয়াকিদী এই অভিমত ব্যক্ত করেহ্নেধ্ ৷ প্রথমঅভিমতটি উল্লেখ করেছেন
ইবন জারীর ৷ মহান আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷ হিজ্বাষের নায়েব মুহাম্মদ ইবন হিশাম ইবন
ইসমাঈল উম্মে মুসলিম-এর দরযশুয় র্দাড়িয়ে থাকতেন এবং তার নিকট উপচৌকন-হাদিয়া ন্
প্রেরণ করতেন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতিরজন্য তার নিকট ওযরখাহী করতেন ৷ কিন্তু উম্মে মুসলিম
সেদিকে ভ্রক্ষেপ করতেন না ৷ সে সময় উপরিউক্ত লোকেরা-ই নগরীর গর্সেৱ ছিলেন ৷ এ বছর
যারা মৃত্যুমুখে পতিত হন :

আল-কাসিম ইবন আবু ৰায়যা

আবু আবদুল্লাহ আল-মকী আল-কারী ৷ আবদুল্লাহ ইবনুস সারির-এর গোলাম ৷ মহান
তাবিঈ ৷ আবুত-তৃফায়ল আমির ইবন ওয়াসিলা থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে
বর্ণনা করেছেন একদল লোক ৷ ইমামগণ তাকে নির্ভরযোগ্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷
সঠিক অভিমত অনুযায়ী তিনি এ বছর মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ কেউ বলেন : এর পরের বছর ৷
কেউ বলেন৪ একশত চৌদ্দ হিজরীতে ৷ কেউ বলেনং একশত পৰ্;নর হিজরীতে ৷ মহান
আল্লাইে ভাল জানেন ৷

রহরী (ন) ন্ ধ্

মুহাম্মদ ইবন মুসলিম ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন শিহাব ইবন আবদুল্লাহ

ন্ ইবনুল হাব্লিস ইবন যুহরা ইবন কািলাব ইবন মুররা, আবু বাকর আস-কারাশী আয-যুহরী (র)
ইসলামের বিখ্যাত ইমামগণের একজন ৷ মহান তাবিঈ ৷ বহুসংখ্যক তাবিঈ প্রমুখ তার থেকে
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ণ্


إِلَّا ذَهَبَ، وَنَتَجَ مَا يُوَجِّهُونَهُ إِلَيْهِ، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. وَهُوَ الَّذِي يَدْعُو إِلَيْهِ دُعَاةُ بَنِي الْعَبَّاسِ فَقَامَ مَقَامَهُ وَلَدُهُ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ إِنَّمَا تُوُفِّيَ فِي الَّتِي بَعْدَهَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: حَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْحَجَّاجِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِنْتُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَكَانَ نَائِبَ الْحِجَازِ وَالطَّائِفِ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ يَقِفُ عَلَى بَابِهَا، وَيَهْدِي إِلَيْهَا الْأَلْطَافَ وَالتُّحَفَ، وَيَعْتَذِرُ إِلَيْهَا مِنَ التَّقْصِيرِ، وَهِيَ لَا تَلْتَفِتُ إِلَى ذَلِكَ. وَنُوَّابُ الْبِلَادِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْقَاسِمُ بْنُ أَبِي بَزَّةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَكِّيُّ الْقَارِئُ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ، وَوَثَّقَهُ الْأَئِمَّةُ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الصَّحِيحِ، وَقِيلَ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৪৮


হাফিয় ইবন আসাকিৱ বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেন৪ একদা পবিত্র মদীনাবাসী চরম
দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয় ৷ ফলে আমি দামেশকে চলে গেলাম ৷ আমার সঙ্গে অনেক পরিজন ছিল ৷
আমি দামের্শকের জামে মসজিদে গিয়ে বড় মজলিসটায় বসে পড়লা ম ৷ হঠাৎ আমীরুল
মু’মিনীন আবদুল মালিক-এর নিকট থেকে এক ব্যক্তি বেরিয়ে এসে আমাকে বলল : আমীরুল
মু’মিনীন একটি মাসআলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ৷ সে ব্যাপারে তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব
থেকে যা শুনেছেন, তা নিজে যা জানেন, তার উল্টে৷ ৷ মাসআলাটা হলো, উম্মুহাতুল আওলাদ
সংত্রুাম্ভ ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্রব তার অভিমতটি বর্ণনা করেছেন উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে ৷
আমি বললাম৪ আমি উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে বর্ণিত সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রব-এর হাদীস
জানি ৷ ফলে ণ্লাকটি আমাকে ধরে আবদুল মালিক এর নিকট নিয়ে যায় ৷ আবদুল মালিক
আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন : আপনি কোন বংশের লোক ? আমি তাকে আমার বংশ পরিচয়
দিলাম এবং র্তাকে আমার ও পরিবার-পরিজ়নের কথা জানা লাম ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা
করলেন : আপনি কি কুরআনের হাফিয ? আমি বললাম : ইদ্র৷ ৷ ফরয-সুন্নাতও জানা আছে ৷
তিনি আমাকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করলেন ৷ আমি তাকে জবাব দিলাম ৷ ফলে তিনি আমার ঋণ
পরিশোধ করে দেন এবং আমার জন্য উপচৌকনের নির্দেশ দেন এবং বললেন : আপনি ইল্ম
অন্বেষণ করুন ৷ আমি আপনাতে স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন চোখ ও মেধাবী অন্তর দেখতে পাচ্ছি ৷

যুহরী (র) বলেন : ফলে আমি পবিত্র মদীনায় ফিরে এসে ইলুম অনুসন্ধানে নেমে
পড়লাম ৷ এক পর্যায়ে আমি শুনতে পেলাম, কুবার এক মহিলা একটি বিস্ময়করাপ্ন দেখেছে ৷
আমি তার নিকট গিয়ে তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা কংলাম ৷ সে বলল৪ আমারামী একজন
খাদেম, একটি গৃহপালিত পশু ও কিছু খেজুর গাছ রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন ৷ আমরা
পশুটায় দুধ পান করে এবং খেজুর-গাছের ফল খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি ৷ সেদিন আমি
তন্দ্রফ্তেৰু হ্নিা৷ম ৷ সে সময়ে আমি দেখতে পেলাম, আমার বড় ছেলে যে কিনা একজন
বৃণ্ক্তিশালী যুবক এগিয়ে এসে একটি ছবি নিয়ে পশুটির বাচ্চাটাকে যবাহ্ করে ফেলে এবং
বলে : এই বাচ্চটিড়া আমাদের দুধের সংকট সৃষ্টি করে থাকে ৷ তারপর সে বাচ্চাটাকেন্ কেটে
টুকরো টুকরো করে একটি পাতিলে রাখে ৷ তারপর পুনরায় ছুরিটা নিয়ে সে তার ছোট
ভাইটিকে খুন করে ফেলে ৷ তারপর ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় ৷ আমার বড়
ছেলে এসে বলল : দুধ ণ্কাথায় ? ”আমি বললাম, বাবা ! দুধ তো পশুর বাচ্চা খেয়েফেলেছে ৷
শুনে সে বলল : শু-ই আমাদের দুধের সংকট সৃষ্টি করল ৷ তারপর যে ছবি নিয়ে বাচ্চটিাকে
যবাহ্ করে কোট টুকরো টুকরো করে পাতিলে রেখে দিল ৷ ঘটনা দেখে আমি ভয় পেয়ে
পেলাম এবং ছোট ছেলেটাৰক নিয়ে এক পড়শীর ঘরে লুকিয়ে রাখলাম ৷ তারপর ভীত্-সন্ত্রস্ত
অবস্থায় আমি ঘরে ফিরে গেলাম ৷ এবার আমার চোখে ঘুম এসে যায় ৷ আমি ঘুমিয়ে পড়লাম ৷
এবারাপ্নে দেখলাম, এক ব্যক্তি বলছে৪ কী ব্যাপার, তুমি চিন্তিত কেন ? আমি বললাম০
আমি একটিাপ্ন দেখে ভয় পেয়েছি ৷ সে বলল৪াপ্ন াপ্ন তারপর এক রুপসী মহিলা এগিয়ে
আসে ৷ লোকটি বলল৪ তুমি এই ণ্এ্নক্কার মহিলার নিকট কেন এসেছ ? মহিলা বলল৪ ভাল
উদ্দেশ্যেই এসেছি ৷ লোকটি বাংলা :াপ্ন!াপ্ন! এবার অপর এক মহিলা যে প্রথম মহিলার
তুলনায় কম রুপসী এগিয়ে আসে ৷ লোকটি বলল : আপনি এই নেককার মহিলার নিকট কী
প্ উদ্দেশ্যে এসেছেন ? মহিলা বলল : আমি সৎ উদ্দেশ্যেই এসেছি ৷ তারপর লোকটি বলল :


الزُّهْرِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شِهَابِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ، أَبُو بَكْرٍ الْقُرَشِيُّ الزُّهْرِيُّ أَحَدُ الْأَعْلَامِ، مِنْ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ، تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، سَمِعَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَرَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ. رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَصَابَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ جَهْدٌ شَدِيدٌ، فَارْتَحَلْتُ إِلَى دِمَشْقَ، وَكَانَ عِنْدِي عِيَالٌ كَثِيرَةٌ، فَجِئْتُ جَامِعَهَا، فَجَلَسْتُ فِي أَعْظَمِ حَلْقَةٍ، فَإِذَا رَجُلٌ قَدْ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ نَزَلَ بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مَسْأَلَةٌ، وَكَانَ قَدْ سَمِعَ مِنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فِيهَا شَيْئًا - وَقَدْ شَذَّ عَنْهُ - فِي أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ يَرْوِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. فَقُلْتُ: إِنِّي أَحْفَظُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَخَذَنِي فَأَدْخَلَنِي عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ. فَسَأَلَنِي: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَانْتَسَبْتُ لَهُ، وَذَكَرْتُ لَهُ حَاجَتِي وَعِيَالِي، فَسَأَلَنِي: هَلْ تَحْفَظُ الْقُرْآنَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، وَالْفَرَائِضَ وَالسُّنَنَ. فَسَأَلَنِي عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ فَأَجَبْتُهُ، فَقَضَى دَيْنِي، وَأَمَرَ لِي بِجَائِزَةٍ، وَقَالَ لِي: اطْلُبِ الْعِلْمَ، فَإِنِّي أَرَى لَكَ عَيْنًا حَافِظَةً وَقَلْبًا ذَكِيًّا. قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى الْمَدِينَةِ أَطْلُبُ الْعِلْمَ وَأَتَتَبَّعُهُ، فَبَلَغَنِي أَنَّ امْرَأَةً بِقُبَاءَ رَأَتْ رُؤْيَا عَجِيبَةً، فَأَتَيْتُهَا فَسَأَلْتُهَا عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَتْ: إِنَّ بِعْلِي مَاتَ وَتَرَكَ لَنَا خَادِمًا وَدَاجِنًا وَنُخَيْلَاتٍ ; نَشْرَبُ مِنْ لَبَنِهَا،
পৃষ্ঠা - ৭৭৪৯


দু৪স্বপ্ন দু৪স্বপ্ন ! এবার একজন কালো কুৎসিত মহিল৷ এগিয়ে আসে ৷ ণ্লাকটি বলল৪ আপনি
এই নেককার মহিলার নিকট কেন এসেছেন ? মহিলা বলল৪ সে তো একজন ৫নকংন্ার
মহিলা ৷ তইি আমি ভাবে কিছু সময় শিক্ষা প্রদান করতে চেয়েছি ৷ তারপর আমি জেগে যইি ৷
আমার ছেলে এসে খাবার রেখে বলল : আমার ভাই কোথায় ? আমি বললাম : তাকে এক
প্ৰতিবেশীর বাড়ীতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ৷ আমি তার পিছনে পিছনে গেলাম ৷ যেন আমি তাকে
পথ দেখিয়ে নিয়ে গ্রেছি ৷ সে এগিয়ে গিয়ে তাকে কোলে করে নিয়ে এসে রেখে দিল ৷ আমরা
সকলে বসে খাবার পেলাম ৷
যুহরী (র) মুআবিয়া (রা)-এর শাসনামলের শেষ দিকে আটান্ন হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷
তিনি বোট ও স্বল্প শ্মশ্রুমণ্ডিত ছিলেন ৷ গায়ে লম্বা লম্বা পশম ছিল ৷ পণ্ডদ্বয় ছিল হালকা ৷
ইতিহাসৰিদগণ বলেছেন : তিনি মাত্র অটিাশি দিনে কুরআন পাঠ সমাপ্ত করোছা এবং
সাঈদ ইবনু মুসাব্যিব-এর ছুাটুর সঙ্গে ছুাটু মিশিয়ে ইআট বছৱ উঠাবসা করেছেন ৷ তিনি
উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্র খেদমত করতেন এবং তাকে লবণাক্ত পানি সরবরাহ করতেন ৷
তিনি হাদীসাবিশাৱদগণের বারে বারে ঘুরে বেড়াতেন ৷ তার সঙ্গে কাঠ, চামড়া ইত্যাদির পাত
থাকত, যার উপর শ্রুত হাদীস ও অন্যসব বাণী লিপিবদ্ধ করতেন ৷ ফলে তিনি তৎকালের শ্রেষ্ঠ
আলিমে পরিণত হন ৷ মানুষ তার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে ৷
যুহরী (র) থেকে মা মার সুত্রে আবদুর রায্যাক বর্ণনা করেন যে, যুহরী (র) বলেনং :
আমীরগণ বাধ্য না করা পর্যন্ত আমরা ইল্ম লিপিবদ্ধ করা অপসন্দ করতাম ৷ পরে আমরা
কাউকে ইলম লিখতে নিষেধ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম ৷
আবু ইসহাক বলেন৪ যুহরী উরওয়ার নিকট হতে ফিরে এসে তার দাসীকে যার মুখে
তােতলামি ছিল উদ্দেশ্য করে বলতেন : আমার নিকট উরওয়াহ্ বর্ণনা করেছেন, তাকে
অমুক বর্ণনা করেছেন ৷ ’ তারপর তিনি উরওয়ার নিকট যা কিছু শুনৈ এসেছেন, দাসীকে উদ্দেশ্য
করে তার বিশদ বিবরণ প্রদান করতেন ৷ দাসী বলত, আল্লাহ্’র শপথ! আপনি যা বলছেন,
আমি তার কিছুই বুঝছি না ৷ জবাবে যুহরী (র) তাকে বলতেন : চুপ কর ইতর ৷ আমি
তোমাকে গােনাচ্ছিনা শোনাচ্ছি নিজেকে ৷
তারপর তিনি দামেশ্কে আবদুল মালিক এর নিকট চলে যান ৷ যেমনটি আমরা ইতোপুর্বে
উল্লেখ করেছি ৷ আবদুল মালিক তার ঋণ পরিশোধ করে দেন এবং তার জন্য রাদ্রীয় কােষাগার
থেকে ভাতা চালু করে দেন ৷ ; পরে তিনি আবদুল মালিক-এর একজন সহচরে পরিণত হন ৷
তারপর আবদুল মালিক-এর দুই ছেলে ওয়ালীদ ও সুলায়মান-এর নিকটও একইভাবে জীবন
অতিবাহিত করেন ৷ তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয এবং ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক-এর
সান্নিধ্যেও অনুরুপ অবস্থান করেন ৷ ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক সুলায়মান ইবন হাবীবশ্এর
সহকারী বিচারপতি নিযুক্ত করেন ৷ অবশেষে তিনি হিশাম-এর প্রিয়ভাজন হয়ে জীবন
অতিবাহিত করেন ৷ হিশাম তার সঙ্গে হজ্জ করেন এবং-হিশাম-এর এক বছর পুর্বে এই বছর-
ইন্তিকাল করা পর্যন্ত যুহরী (র) হিশামএর ছেলেদের শিক্ষবেরে দায়িত্ব পালন করেন ৷

ইবন ওয়াহ্ব বলেন৪ আমি লায়ছকে বলতে শুসেছি যে, ইবন শিহাব বলেছেন-৪ আমি
আমার অতরে যখন যা কিছু গচ্ছিত রেখেছি তা-ই ভুলে গেছি ৷ লায়ছ বলেন৪ ইবন শিহাব ং


وَنَأْكُلُ مِنْ ثَمَرِهَا، فَبَيْنَمَا أَنَا بَيْنَ النَّائِمَةِ وَالْيَقْظَى رَأَيْتُ كَأَنَّ ابْنِي الْكَبِيرَ - وَكَانَ مُشْتَدًّا - قَدْ أَقْبَلَ، فَأَخَذَ الشَّفْرَةَ، فَذَبَحَ وَلَدَ الدَّاجِنِ، وَقَالَ: إِنَّ هَذَا يُضَيِّقُ عَلَيْنَا اللَّبَنَ. تَمَّ نَصَبَ الْقِدْرَ، وَقَطَّعَهُ وَوَضَعَهُ فِيهِ، ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ فَذَبَحَ بِهَا أَخَاهُ - وَأَخُوهُ صَغِيرٌ كَمَا قَدْ جَاءَ - ثُمَّ اسْتَيْقَظْتُ مَذْعُورَةً، فَدَخَلَ وَلَدِي الْكَبِيرُ فَقَالَ: أَيْنَ اللَّبَنُ؟ فَقُلْتُ: شَرِبَهُ وَلَدُ الدَّاجِنِ. فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ ضَيَّقَ عَلَيْنَا اللَّبَنَ. ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ فَذَبَحَهُ وَقَطَّعَهُ فِي الْقِدْرِ، فَبَقِيتُ مُشْفِقَةً خَائِفَةً مِمَّا رَأَيْتُ، فَأَخَذْتُ وَلَدِي الصَّغِيرَ فَغَيَّبْتُهُ فِي بَعْضِ بُيُوتِ الْجِيرَانِ، ثُمَّ أَقْبَلْتُ إِلَى الْمَنْزِلِ وَأَنَا مُشْفِقَةٌ جِدًّا مِمَّا رَأَيْتُ، فَأَخَذَتْنِي عَيْنِي فَنِمْتُ، فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ قَائِلًا يَقُولُ: مَا لَكِ مُغْتَمَّةً؟ فَقُلْتُ: إِنِّي رَأَيْتُ مَنَامًا، فَأَنَا أَحْذَرُ مِنْهُ. فَقَالَ: يَا رُؤْيَا، يَا رُؤْيَا. فَأَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ جَمِيلَةٌ، فَقَالَ: مَا أَرَدْتِ إِلَى هَذِهِ الْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ؟ قَالَتْ: مَا أَرَدْتُ إِلَّا خَيْرًا. ثُمَّ قَالَ: يَا أَحْلَامُ، يَا أَحْلَامُ. فَأَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ دُونَهَا فِي الْحُسْنِ وَالْجَمَالِ، فَقَالَ: مَا أَرَدْتِ إِلَى هَذِهِ الْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ؟ فَقَالَتْ: مَا أَرَدْتُ إِلَّا خَيْرًا. ثُمَّ قَالَ: يَا أَضْغَاثُ، يَا أَضْغَاثُ. فَأَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ شَعِثَةٌ، فَقَالَ: مَا أَرَدْتِ إِلَى هَذِهِ الْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهَا امْرَأَةٌ صَالِحَةٌ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَغُمَّهَا سَاعَةً. ثُمَّ اسْتَيْقَظْتُ، فَجَاءَ ابْنِي فَوَضَعَ الطَّعَامَ، وَقَالَ: أَيْنَ أَخِي؟ فَقُلْتُ لَهُ: دَرَجَ إِلَى بُيُوتِ الْجِيرَانِ. فَذَهَبَ وَرَاءَهُ، فَكَأَنَّمَا هُدِيَ إِلَيْهِ، فَأَقْبَلَ بِهِ يُقَبِّلُهُ، ثُمَّ وَضَعَهُ وَجَلَسْنَا جَمِيعًا، فَأَكَلَنَا مِنْ ذَلِكَ الطَّعَامِ. وُلِدَ الزُّهْرِيُّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ فِي آخِرِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ وَكَانَ قَصِيرًا قَلِيلَ اللِّحْيَةِ، لَهُ شَعَرَاتٌ طِوَالٌ، خَفِيفُ الْعَارِضِينَ. قَالُوا: وَقَدْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي نَحْوٍ مَنْ ثَمَانِينَ يَوْمًا، وَجَالَسَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫০

হেব এবং ইদুরের উচ্ছিষ্টখাওয়া অপসন্দ করতেন এবং বলতেন৪ এগুলো স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট করে
দেয় ৷ পক্ষাস্তরে, তিনি মধু পান করতেন আর বলতেন৪ মধু স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ৷ ফায়িদ
ইবন আকরাম যুহরী সম্পর্কে বলেছেন ং

তুমি মহানুতব মুহাম্মদএর সঙ্গে সাক্ষাৎ কর, তার প্রশংসা কর এবং-সঙ্গীদের নিকট তীর
মর্যাদা ঙুবর্ণনা কর ৷
যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, দানশীল ব্যতি কে ? উত্তর আসে, দানশীল হল, মুহাম্মদ ইবন
শিহাব ৷
মদােয়িনবাসী তার মর্যাদা জানে এবং আরবের উপ্ার তার সহচরদের মর্যাদা স্বীকৃত ৷
ইবন মাহ্দী বলেন৪ আমি মালিককে বলতে শুনেছি-ত্রকদিন যুহরী (রা) হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ যখন তিনি উঠে দাড়ান, আমি তার বাহনেৱ লাগান ধরে এফ্লে বিষয়টি খােলাস৷ করে
বুঝিয়ে দিতে বললাম৪ তিনি আমাকে বললেন৪ তুমি আমাকে খােলাসা করে বুঝাতে বলছ
আমি তো কখনো কোন আলিমকে বুঝাতে বণিনি এবং কখনো কোন আলিমের বক্তব্য
প্রত্যাখ্যান করিনি ৷ তারপর ইবন মাহ্দী বলতে শুরু করলেন : সে এক দীর্ঘ আলোচনা ৷ তা
হলো, যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা ৷
সাঈদ ইবন আবদুল আযীয থেকে যথাক্রমে ওয়ালীদ ইবন মুসলিম ও হিশাম ইবন খালিদ
আস-সালাষী সুত্রে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, সাঈদ ইবন আবদুঃ৷ আযীয বলেনঃ ধ্
হিশাম ইবন আবদুল মালিক যুহরীকে তার পুত্রদের জন্য কিছু হাদীস লিখে দেওয়ার আবেদন
জানালেন ৷ যুহরী তার কাতিব দ্বারা চারশত হাদীস লিখিয়ে দেন ৷ তারপর হাদীস বিশারদদের
নিকট গিয়ে হাদীসগুলো বর্ণনা করেন ৷ কিছুদিন পর হিশাম তাকে বললেন০ ং সেই কিতাবর্টি
তো হারিয়ে গেছে ৷ যুহরী বললেন০ অসুবিধা যেই ৷ র্তারপর উক্ত হাদীসগুলো তিনি পুনরায়
লিখিয়ে দেন ৷ এবার হিশাম প্রথম কিতাবটি বের করে মিলিয়ে দেখেন, তিনি একটি বর্ণও
ছাড়েননি ৷ বন্তুত হিশাম তার স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন ৷
উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন আমি যুহরী অপেক্ষা কাউকে অধিক হাদীস বর্ণনা
করতে দেখিনি ৷
সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাহ্ বর্ণনা করেন যে, আমর ইবন দীনার বলেছেন৪ আমি যুহরী
অপেক্ষা অধিক হাদীস বর্ণনাকারী আর কাউকে দেখিনি ৷ তার নিকট দীনার-দিরহামের তুলনায়
মুল্যহীন বস্তু আর কিছু ছিল না ৷ তার নিকট দীনারৰুদিরহাম বিষ্ঠ৷ অপেক্ষা বেশী মুল্যবান ছিল
না ৷
আমর ইবন দীনার বলেন আমি জাবির, ইবন আব্বাস, ইবন উমর ও ইবনুয যুবায়র এর
সঙ্গে উঠাবসা করেছি ৷ কিন্তু যুহরী অপেক্ষা অধিক হাদীস বর্ণনাকারী আর কাউকে পইিনি ৷


ثَمَانَ سِنِينَ أَوْ عَشْرَ سِنِينَ، تَمَسُّ رُكْبَتُهُ رُكْبَتَهُ. وَكَانَ يَخْدِمُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَسْتَقِي لَهُ الْمَاءَ الْمَالِحَ، وَيَدُورُ عَلَى مَشَايِخِ الْحَدِيثِ وَمَعَهُ أَلْوَاحٌ يَكْتُبُ عَنْهُمُ الْحَدِيثَ، وَيَكْتُبُ عَنْهُمْ كُلَّ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ، حَتَّى صَارَ مِنْ أَعْلَمِ النَّاسِ أَوْ أَعْلَمَهُمْ فِي زَمَانِهِ، وَقَدِ احْتَاجَ أَهْلُ عَصْرِهِ إِلَيْهِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كُنَّا نَكْرَهُ كِتَابَ الْعِلْمِ حَتَّى أَكْرَهَنَا عَلَيْهِ هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءُ، فَرَأَيْنَا أَنْ لَا نَمْنَعَهُ أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ الزُّهْرِيُّ يَرْجِعُ مِنْ عِنْدِ عُرْوَةَ فَيَقُولُ لِجَارِيَةٍ عِنْدَهُ فِيهَا لُكْنَةٌ: حَدَّثَنَا عُرْوَةُ ثَنَا فُلَانٌ. وَيَسْرُدُ عَلَيْهَا مَا سَمِعَهُ مِنْهُ، فَتَقُولُ لَهُ الْجَارِيَةُ: وَاللَّهِ مَا أَدْرِي مَا تَقُولُ. فَيَقُولُ لَهَا: اسْكُتِي لَكَاعِ، فَإِنِّي لَا أُرِيدُكِ، إِنَّمَا أُرِيدُ نَفْسِي. ثُمَّ وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بِدِمَشْقَ كَمَا تَقَدَّمَ، فَأَكْرَمَهُ وَقَضَى دَيْنَهُ، وَفَرَضَ لَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ، ثُمَّ كَانَ بَعْدُ مِنْ أَصْحَابِهِ وَجُلَسَائِهِ، ثُمَّ كَانَ كَذَلِكَ عِنْدَ أَوْلَادِهِ مِنْ بَعْدِهِ الْوَلِيدِ، وَسُلَيْمَانَ وَكَذَلِكَ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثُمَّ عِنْدَ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَاسْتَقْضَاهُ يَزِيدُ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ حَبِيبٍ ثُمَّ كَانَ حَظِيًّا عِنْدَ هِشَامٍ وَحَجَّ مَعَهُ، وَجَعَلَهُ مُعَلِّمَ أَوْلَادِهِ إِلَى أَنْ تُوفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، قَبْلَ هِشَامٍ بِسَنَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৫১


ইমাম আহমাদ বলেন : হাদীসে সৃন্দরতম এবং সনদে উত্কৃষ্টতম মানুষ হলেন যুহরী ৷
নাসাঈ বলেন৪ যুহরী আলী ইবনুল হুসায়ন হতে আলী ইবনুল হুসায়ন তার পিতা হতে, তীর
পিতা তার দাদা হতে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে এই সনদটি হলো উত্তম সনদ ৷

সাঈদ বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেহ্নো৪ আমি পয়তাল্লিশটি বছর হিজায হতে সিরিয়া,
সিরিয়া হতে হিজায ছুটে বেড়িয়েছি ৷ এই দীর্ঘ সময়ে আমি এমন একটি হাদীসও শুনিনি,
যাকে আমি নতুন ভাবতে পারি ৷
লায়ছ বলেন৪ আমি ইবন শিহাব অপেক্ষা সর্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ আলিম আর দেখিনি ৷ আমি
তাকে তাৱগীব ওয়া তারহীব (উত্সাহব্যঞ্জৰু ও ভীতিকর) হাদীস বর্ণনা করতে শুনলে বলতর্দুম্,
এ ছাড়া সুন্দর হাদীস আর নেই ৷ যদি আম্বিয়া আলায়হিসৃ সালাম ও আহলে কিতাব সম্পর্কে
হাদীস বর্ণনা করতেন, তাহলে বলতাম, তীর এ ছাড়া উত্তম হাদীস আর নেই ৷ যদি তিনি
আরব ও বংশ বিষয়ক হাদীস বর্ণনা করতেন, আমি বলতাম, এ ছাড়া তার আর কোন উত্তম
হাদীস নেই ৷ যদি তিনি কুরআন-সুন্নাহ্ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করতেন, তখন তার হাদীস হতো
অভিনব ও ব্যাপক অর্থবােধক ৷ তিনি বলতেন : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তোমার ইলুম
পরিবেষ্টন করে, এমন সকল কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং তোমার ইলুম পরািবষ্টর্ন করে এমন
সব অবন্দাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়াতে ও আখিরাতে ৷
লায়ছ বলেন : আমি যত মানুষ দেখেছি, যুহরী তাদের সকলের চেয়ে বেশী দানশীল ৷
যে-ই তার নিকট আসত এবং প্রার্থনা করত, তিনি তাকেই দান করতেন ৷ এমনকি যখন তার
নিকট কিছুই অবশিষ্ট থাকত না, তখন ঋণ করতেন ৷ তিনি মানুষকে ছারীদ খাওয়াতেন ও মধু
পান করাতেন ৷ মদ্যপরা যেমন নিয়মিত মদপান করে থাকে, তেমনি তিনি মধু পান করতেন
এবং বলতেন : তোমরা আমাদেরকে মধু পান করাও আর হাদীস শোনাও ৷ কেউ তন্দ্রাচ্হুন্ন হয়ে
পড়লে তিনি বলতেন : তুমি তো কুরায়শের গল্পকার নও ৷ তার সবুজ রং চড়ানাে একটি গম্বুজ
ফ্লি ৷ গম্বুজটি হলুদ বর্ণের কাপড় দ্বারা আবৃত ছিল এবং তার ফরানও ছিল হলুদ রং মাথা ৷
লায়ছ বলেন৪ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ বলেছেন৪ ংইবন শিহাব-এর নিকট যতটুকু ইল্ম
অবশিষ্ট রয়েছে অন্য কারো নিকট ততটুকু অবশিষ্ট নেই ৷
আবদুর রায্যাক মা মার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবন আবর্দুল আষীয বল্যেহ্না০ ং
তোমরা ইবন শিহাবকে জাকড়ে ধর ৷ কেননা, বিগত রীতি নীতি বিষয়ে তিনি অপেক্ষা বড়
জ্ঞানী আর কেউ নেই ৷ মাকহুলও অনুরুপ বলেহ্নে৷ ৷
আয়ুব বলেন : আমি যুহরী অপেক্ষা বড় আলিম আর কাউকে দেখিনি ৷ তাকে জিজ্ঞাসা
করা হলো, হাসানও নন ? তিনি বললেন : আমি যুহরীর চেয়ে বড় আলিম কাউকে দেখিনি ৷
মাকহুলকে জিজ্ঞাসা করা হলো : যত লোকের সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে বড়
আলিম কে ? তিনি বললেন : যুহরী ৷ জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কে ? বললেন : যুহরী ৷
জিজ্ঞাসা করা হলো : তারপর কে ? তিনি বললেন : যুহরী ৷
মালিক বলেন৪ যুহরী যখন পবিত্র মদীনাহ্ প্রবেশ করতেন, বের না হওয়া পর্যন্ত কারো
সঙ্গে কথা বলতেন না ৷
আবদুর রায্যাক বর্ণনা করেন যে, উয়ায়নাহ বলেণ্ডুছুন০ হিজাযবাসীদেৱ মুহাদ্দিস হলেন
তিনজন ৷ যুহরী, ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ ও ইবন জুবায়জ ৷


وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: سَمِعْتُ اللَّيْثَ يَقُولُ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: مَا اسْتَوْدَعْتُ قَلْبِي شَيْئًا قَطُّ فَنَسِيتُهُ. قَالَ: وَكَانَ يَكْرَهُ أَكْلَ التُّفَّاحِ وَسُؤْرَ الْفَأْرِ، وَيَقُولُ: إِنَّهُ يُنْسِي. وَكَانَ يَشْرَبُ الْعَسَلَ وَيَقُولُ: إِنَّهُ يُذَكِّرُ. وَفِيهِ يَقُولُ فَائِدُ بْنُ أَقْرَمَ: ذَرْ ذَا وَأَثْنِ عَلَى الْكَرِيمِ مُحَمَّدٍ ... وَاذْكُرْ فَوَاضِلَهُ عَلَى الْأَصْحَابِ وَإِذَا يُقَالُ مَنِ الْجَوَادُ بِمَالِهِ ... قِيلَ الْجَوَادُ مُحَمَّدُ بْنُ شِهَابِ أَهْلُ الْمَدَائِنِ يَعْرِفُونَ مَكَانَهُ ... وَرَبِيعُ نَادِيهِ عَلَى الْأَعْرَابِ يَشْرِي وَفَاءَ جِفَانِهِ وَيَمُدُّهَا ... بِكُسُورِ أَثْبَاجٍ وَفَتْقِ لُبَابِ وَقَالَ ابْنُ مَهْدِيٍّ: سَمِعْتُ مَالِكًا يَقُولُ: حَدَّثَ الزُّهْرِيُّ يَوْمًا بِحَدِيثٍ، فَلَمَّا قَامَ أَخَذْتُ بِلِجَامِ دَابَّتِهِ فَاسْتَفْهَمْتُهُ، فَقَالَ: تَسْتَفْهِمُنِي؟ مَا اسْتَفْهَمْتُ عَالِمًا قَطُّ، وَلَا رَدَدْتُ عَلَى عَالِمٍ قَطُّ. ثُمَّ جَعَلَ ابْنُ مَهْدِيٍّ يَقُولُ: فَذِيكَ الطِّوَالُ، وَتِلْكَ الْمَغَازِي. وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ خَالِدٍ السَّلَامِيِّ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫২


আলী ইবনুল মাদীনী বলেন : যারা ফাতওয়৷ প্রদান করেছেন, তারা হলেন চারজন ৷ যুহরী,
হাকাম, হাষ্মাদ ও কাতদাে ৷ আমার মতে এই ক্জব্লুনর মধ্যে যুহরী বড়ন্ফ্কীহ ৷
যুহরী বলেছেন৪ তিনটি বিষয় এমন আছে, যদি সেগুলো কোন ৰিচারকের মধ্যে বিদ্যমান
থাকে, তাহলে তিনি বিচারক নন ৷ নিন্দাবাদব্লুক অপসন্দ করা, প্রশ ত্সাব্লুক ভালবাসা এবং
পদচ্যুতিব্লুক অপসন্দ করা ৷

আহমাদ ইবন সালিহ্ বলেন৪ বলা হতো, সেকালের বাশ্মীয়া হলেন যুহরী, উমর ইবন
আব্দুল আযীয, মুসা ইবন অবস্থা ও উবায়দুল্লাহ্ (র) ৷
মালিক যুহরী হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ং এই ইল্ম, যার মাধ্যমে মহান
আল্লাহ তার রাসুলকে এবং আল্লাহর রাসুল তার উম্মতব্লুক আদর শিক্ষাদান করেছেন, তা হলো
রাসুলেৱ প্রতি মহান আল্লাহর আমানত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কর্তব্য হ্নিা, যথাযথ লোকদের
নিকট , এই আমানত পৌছিয়ে দেওয়া ৷ কাজেই যে ব্যক্তি কোন ইল্ম শুনতে পারে, সে যেন
নিজের সম্মুখে আন্মাহ্ ও আল্পাহ্র রাসুলেৱ প্রমাণ স্বরুপ ভাবে উপস্থাপন করে ৷
মুহাম্মদ ইবনুল হসায়ন ইউনুস সুত্রে যুহরী থেকেবর্ণনা করেন যে, যুহরী বব্লুনন৪ সুন্নাত
আকড়ে ধরা হলো যুক্তি ৷ ওয়ালীদ আওযাঈ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেছেন৪ তোমরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)ষ্এর হাদীসকে শাসক বানাও যেভাবে তা এসেছে ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, যুহরী বল্পেহেনষ্ক ইলব্লুমর আপদনমুব্লুহর একটি
হলো, আলিম ইলুমকে বর্জন করবে, এমনকি তার ইল্ম চলে যাবে ৷
অপর এক বর্ণনায় আছে, ইলমেৱ আপদসমুহের একটি হলো, আলিম ইল্ম অনুযায়ী
আমল করা ত্যাগ করবে, ফলে তার ইল্ম চলে যাবে ৷ কেননা, আলিমেৱ ইল্ম দ্বারা কম
উপকৃত হওয়া ইলমের একটি আপদ ৷ ইলমের আরো একটি আপদ হলো ভুলে যাওয়া ও মিথ্যা
বলা’ মিথ্যা বলা-ই জঘন্যতম আপদ ৷
যুহরী মা মার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেন বৈঠক যখন দীর্ঘ হয়, তখন তাতে
একবার হিশাম বুহ্রীর আশি হাজার দিরহাম ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছিলেন ৷ এক বর্ণনায়
আছে সতের হাজার ৷ এক বর্ণনায় বিশ হাজার ৷ প্
ইমাম শাফিঈ ংবলেন রজ৷ ইবন হায়ওয়া একবার অপচব্লুয়র জন্য যুহরীকে তিরস্কার
করলেন ৷ তিনি ঋণ করতেন ৷ রজ৷ ইবন হায়ওয়৷ তাকে বললেন এই জাতি তাদের হাতে যে
সম্পদ আছে আপনার থেকে তা আটকে রাখবে, আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি না৷ ফলে
আপনার ঋণের বোঝা ভারী ই হতে থাকবে ৷ বর্ণনাকারী বলেনং জবাবে যুহরী তার নিকট ব্যয়
হ্রাস করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন ৷ পব্লুর একদিন রজা ইবন হায়ওয়াহ তার নিকট দিয়ে
অতিক্রম করেন ৷ তিনি দেখেন, যুহরী খাবার সাজিয়ে ব্লেখেছে এবং মধুর খাঞ্চা রেখে দিয়েছে ৷
দেখে রজা দাড়িয়ে মান এবং বললেন আবু বাকর৷ আমাদের জন্য আপনি এসব কী সাজিয়ে

রেখেছেন ? যুহরী কালেনং নেমে আসুন ৷ অভিজ্ঞতা দানশীল ব্লুক শিক্ষা দিতে পারে না ৷ এ
প্রসঙ্গে করি বলেন :


مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدٍ - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - أَنَّ هِشَامَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ سَأَلَ الزُّهْرِيَّ أَنْ يَكْتُبَ لِبَنِيهِ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ، فَأَمْلَى عَلَى كَاتِبِهِ أَرْبَعَمِائَةِ حَدِيثٍ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَى أَهْلِ الْحَدِيثِ فَحَدَّثَهُمْ بِهَا، ثُمَّ إِنَّ هِشَامًا قَالَ لِلزَّهْرِيِّ: إِنَّ ذَلِكَ الْكِتَابَ ضَاعَ. فَقَالَ: لَا عَلَيْكَ. فَأَمْلَى عَلَيْهِمْ تِلْكَ الْأَحَادِيثَ، ثُمَّ أَخْرَجَ هِشَامٌ الْكِتَابَ الْأَوَّلَ، فَإِذَا هُوَ لَمْ يُغَادِرْ حَرْفًا وَاحِدًا، وَإِنَّمَا أَرَادَ هِشَامٌ امْتِحَانَ حِفْظِهِ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ سَوْقًا لِلْحَدِيثِ إِذَا حَدَّثَ مِنَ الزُّهْرِيِّ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَنَصَّ لِلْحَدِيثِ مِنَ الزُّهْرِيِّ وَلَا أَهْوَنَ مِنَ الدِّينَارِ وَالدِّرْهَمِ عِنْدَهُ، وَمَا الدَّرَاهِمُ وَالدَّنَانِيرُ عِنْدَ الزُّهْرِيِّ إِلَّا بِمَنْزِلَةِ الْبَعْرِ. قَالَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ: وَلَقَدْ جَالَسْتُ جَابِرًا، وَابْنَ عَبَّاسٍ، وَابْنَ عُمَرَ، وَابْنَ الزُّبَيْرِ فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَنْسَقُ لِلْحَدِيثِ مِنَ الزُّهْرِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: أَحْسَنُ النَّاسِ حَدِيثًا وَأَجْوَدُهُمْ إِسْنَادًا الزُّهْرِيُّ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: أَحْسَنُ الْأَسَانِيدِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَلِيٍّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৩



এএব্ক্ত:া

র্তাৱ অঙ্গুলি মাঝে বদান্যতার (মঘমান৷ ভেসে (বড়ায়, যা বর্ষণ করে সাদা রাখা ও সোনা ৷
তিনি অভা(বয় সময় বলে থাকেন, যদি পুনর্বার সচ্ছনত৷ দাও, আমি পরিমিত ব্যয়করব ৷
জ্যি যখন তিনি সচ্ছলতার দিনগুলো(ত ফিরে আসেন আমি তখন তার সম্পদ লুষ্ঠিত হতে
(দখেছি’ ৷ ,
ওয়াকিদী বলেনং যুহরী অটিান্ন ইিজরী সনে অ্যাংহণ করেন এবং একশত চব্বিশ
হিজরী(ত সহায়-সম্পৃদসহ শি আ(ব যাৰাদা-এ চলে আসেন ৷ এসে তিনি এখানে বসতি স্থাপন
করেন এবং এখানেই (রাগাক্রান্ত হয়ে ইনৃতিকাল করেন ৷ মৃত্যুর সময় তিনি তাকে রাস্তার
পা(র্শ্ব দাফন করার ও;সিয়ত করে যান ৷ তিনি এই বছর রমযান মাসের সতের তারিখ
ইনৃতিকাল করেন ৷ মৃ তুকোলে তার বয়স ছিল পচাত্তর বছর ৷
ঐতিহাসবিদ্যাণ বলেনঃ যুহরী (র) নির্ভরযোগ্য অধিক হাদীস, ইনৃম ও বর্ণনার অধিকারী
ছিলেন ৷ ছিলেন ফকীহ ও সর্বৰিদ্যায় বিদ্বান ৷
হুসায়ন ইবনুল মুতাওয়াক্কিল আল-আসকাননীি বলেন আমি ফিলিস্তী(নর শুআ(ব
যাবাদায় যুহরীর কবর দেখেছি ৷ কবয়টি উটেৱ ন্যায় এবং চুনেৱ আস্তর করা ৷ আওযাঈ
একদিন তার কবরের নিকট দাড়িয়ে বন( স্ন : (হ কবর! আন কি তুমি, তোমার পেটে কত
বিদ্যা ও সহনশীলতা গচ্ছিত রাখা হয়েছে ? (হ কবর ৷ জান কি তুমি, (তামার অভ্যন্তরে কত
বিদ্যা ও মহানু জ্ঞাতা গচ্ছিত রাখা হয়েছে ” জান কি, তুমি কত হাদীস ও বিধি-বিধানকে একত্র
কব্লে ছ?
যুবায়র ইবন বাক্কাৱ বলেনং যুহরী বাহাত্তর বছর বয়সে একশত চৌদ্দ হিজরীর সতের
রমযান সোমবার শিআ(ব সানীনে সহায়-সম্পদসহ্ ইন্তিকান করেন এবং রাস্তার পার্শে
সমাধিস্থ হন, যাতে পখিকঃা৷ তার জ্যা৷ দু অ৷ করেন ৷
কেউ কেউ বলেন : যুহরী একশত (তইশ হিজ্জী(ত মৃত্যুবরণ করেছো ৷ আবু মাশার
বলেন ( একশত পচিশ হিঅরী(ত ৷ তবে প্রথম অভিমতই সর্বাধিক সঠিক ৷ মহান আল্লাহ ভাল
জানেন ৷
সালিহ ইবন কায়্সান থেকে যথাক্রমে মা মার, আবদুর রাযষাক ও ইসহাক ইবন
ইব্রাহীম সুত্রে তাবারানী বর্ণনা করেন যে, সালিহ ইবন কায়সান বলেনং একদিন আমি ও
যুহরী ইল্ম অৰেব(ণৱ লক্ষে একত্রিত হলাম ৷ তখন আমরা বলাবলি স্কোাম আমরা তো
হাদীস লিপিবদ্ধ করি ৷ (তা নবী পাক (না) থেকে বর্ণিত হাদীসসমুহ আমরা লিপিবদ্ধ করেছি ৷
তারপর যুহরী বললেন : আসুন আমরা রাসুলে পা(কর সাহাবীগণের বাণীও লিপিবদ্ধ করি ৷
কেননা, তাও (তা সুন্নাহ ৷ আমি বললাম না, তা সুন্নাহ নয় ৷ কাজেই আমরা সেসব লিখব
ণ্ না ৷ সালিহ ইবন কায়সান বলেন পরে যুহরী সাহাবীগ(ণর বাণী লিপিবদ্ধ করেছেন, আমি
লিখিনি ৷ ফলে তিনি সফ্লকাম হ(য়স্ফো ৷ আমি হারিয়েছি ৷

ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন, না যায় বলেছেঃ আমরা মনে কয়তাম, আমরা যুহরী
অপেক্ষা (ৰশী হাদীস সংগ্রহ করেছি ৷ কিন্তু ওয়ালীদ-এর নিহত হওয়ার পর দেখতে (পলাম,

, চ্


وَقَالَ شُعَيْبٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ: مَكَثْتُ خَمْسًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً أَخْتَلِفُ مِنَ الْحِجَازِ إِلَى الشَّامِ، وَمِنَ الشَّامِ إِلَى الْحِجَازِ فَمَا كُنْتُ أَسْمَعُ حَدِيثًا أَسْتَطْرِفُهُ. وَقَالَ اللَّيْثُ: مَا رَأَيْتُ عَالِمًا قَطُّ أَجْمَعَ مِنَ ابْنِ شِهَابٍ وَلَوْ سَمِعْتَهُ يُحَدِّثُ فِي التَّرْغِيبِ وَالتَّرْهِيبِ لَقُلْتَ: مَا يُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا. وَإِنْ حَدَّثَ عَنِ الْأَنْبِيَاءِ وَأَهْلِ الْكِتَابِ قَلْتَ: لَا يُحْسِنُ إِلَّا هَذَا. وَإِنْ حَدَّثَ عَنِ الْأَعْرَابِ وَالْأَنْسَابِ قُلْتَ: لَا يُحْسِنُ إِلَّا هَذَا. وَإِنْ حَدَّثَ عَنِ الْقُرْآنِ وَالسُّنَّةِ كَانَ حَدِيثَهُ، ثُمَّ يَتْلُوهُ بِدُعَاءٍ جَامِعٍ، يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ أَحَاطَ بِهِ عِلْمُكَ، فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ كُلِّ شَرٍّ أَحَاطَ بِهِ عِلْمُكَ، فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَ اللَّيْثُ: وَكَانَ الزُّهْرِيُّ أَسْخَى مَنْ رَأَيْتُ، كَانَ يُعْطِي كُلَّ مَنْ جَاءَ وَسَأَلَهُ، حَتَّى إِذَا لَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ شَيْءٌ اسْتَسْلَفَ، وَكَانَ يُطْعِمُ النَّاسَ الثَّرِيدَ وَيَسْقِيهِمُ الْعَسَلَ، وَكَانَ يَسْمُرُ عَلَى شَرَابِ الْعَسَلِ كَمَا يَسْمُرُ أَهْلُ الشَّرَابِ عَلَى شَرَابِهِمْ، وَيَقُولُ: اسْقُونَا وَحَدِّثُونَا. فَإِذَا نَعَسَ أَحَدُهُمْ يَقُولُ لَهُ: مَا أَنْتَ مِنْ سُمَّارِ قُرَيْشٍ. وَكَانَتْ لَهُ قُبَّةٌ مُعَصْفَرَةٌ، وَعَلَيْهِ مِلْحَفَةٌ مُعَصْفَرَةٌ، وَتَحْتُهُ بِسَاطٌ مُعَصْفَرٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৪


তার ভাণ্ডার থেকে বিপুল পরিমাণ খাতা পত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷ জানতে পারলাম, এগুলো
যুহরীৱ ইলমের অংশ বিশেষ ৷

লায়স ইবন সা দ বলেন৪ ইবন শিহাব-এর সম্মুখে খাৰারের তশতরী রাখা হলো ৷ এই
অবস্থায় তিনি একটি হাদীসের আলোচনা উঠালেন ৷ ফজ্যা হয়ে যেন তার হাত থালাতেই রয়ে
গেল ৷ তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং সহীহবলে মতব্য করেছেঃ ৷

আসৰাগ ইবনুল ফাবৃজ ইবন ওয়াহ্ব ও ইউনুস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, যুহ্রী বলেছেন :
আমলের একটি উপত্যকা আছে ৷ যদি তুমি তাতে অবতরণ কর, তাহলে অবিলম্বে সেখান
থেকে বেরিয়ে আসবে ৷ কেননা, তুমি তাকে অতিক্রম করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে
ণ্তামাভৈ ক অতিক্রম করে ৷ প্

যুহ্রী থেকে যথাক্রমে মালিক ইবন আনাস, মুহাম্মদ ইবনুল হানান ইবন যুবালা, যুবায়ৱ
ইবন বাক্কার ও আহমাদ ইবন ইয়াহ্য়া সুত্রে তাবারানী বর্ণনা করেন যে, যুহ্রী বলেনত্০ আমি
উবায়দুল্লাহ্ ইবন উতবার থেদমর্ত করেছি ৷ তার খাদিম বেরিয়ে আসলে জিজ্ঞাসা করতেন,
দরযায় কে ? দাসী উত্তর দিতং আপনার গোলাম উআয়মাশ অর্থাৎ তার ধারণা ছিল আমি তার
গোলাম ৷ অথচ, আমি শুধু তার খেদমত করতাম তার উয়ুয় ব্যবস্থা করতাম ৷
যুহ্রী থেকে যথাক্রমে মালিক ইবন আনাস, ছাওরী ও মুহাম্মদ ইবন আববুা৷দ সুত্রে
আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ বর্ণনা করেন, যুহ্রী বলেছেন৪ আমরা আলিমের নিকট যাওয়া-আসা
করতাম ৷ তখন তাদের নিকট থেকে আমরা ইলুম অপেক্ষা আদর শিক্ষা করা বেশী পসন্দ
করতাম ৷
সুফিয়ান বলেনং যুহ্রী বলতেন, অমুক আমার নিকট ব০নি৷ করেছেন ৷ অথচ, তা তারই
ইলমের ভাণ্ডার থেকে বলেছেন ৷ তিনি নিজেকে আলিম দাবী করতেন না ৷
মালিক বলেনঃ সর্বপ্রথম যিনি ইলুম সংকলন করেন, তিনি হলেন ইবন শিহাব ৷ আবুল
যালীহ বলেন০০ হিশাম-ই সেই ব্যক্তি, যিনি যুহরীকে হাদীন লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য করেছিলেন ৷
তারপর থেকেই মানুষ লিখতে শুরু করে ৷ শ্
রাশীদ ইবন সা দ বলেন, যুহ্রী বলেছেন, ইল্ম হলো ডাণ্ডার ৷ তার মুখ খুলে দেয়
জিজ্ঞাসা ৷
যুহ্রী বলেন : বন্যপ্রাণী শিকার করার ন্যায়ুজিজ্ঞাসার মাধ্যমে ন্থল্ম শিকার বল্পা হতো ৷
ইবন শিহাব বেদুঈনদের নিকট গমন করে তাদেরকে শিক্ষা দিতেন, যেন তিনি ইলুম ভুলে
না যান ৷ তিনি বলেন০ বিন্তুতি ও পর্যালোচনা বর্জন ইল্ম ছিনিয়ে নেয় ৷
তিনি আরো বলেন০ তুমি যদি এই ইল্ম আত্মম্ভরিতার মাধ্যমে অর্জন কর, তাহলে সে
তোমাকে পৱাজ্যি ৩করে ফেলবে এবং তাতে তুমি সফলকাম হবে না ৷ বরং দিন-রাত পরিশ্রম
’ করে তুমি কোমলতার সাথে তাকে অর্জন কর ৷
তিনি আরো বলেনং : আমার নিকট মানুষের বাগিাতার চেয়ে মানবতা বেশী মুল্যবান ৷

তিনি আরো বলেন০ ইলুমৃ হলো যিক্র ৷ পুরুষরাই কেবল তাকে ভালবাসে- নারীর৷ করে
অপসন্দ ৷


وَقَالَ اللَّيْثُ: قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: مَا بَقِيَ عِنْدَ أَحَدٍ مِنَ الْعِلْمِ مَا بَقِيَ عِنْدَ ابْنِ شِهَابٍ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَ مَعْمَرٌ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: عَلَيْكُمْ بِابْنِ شِهَابٍ فَإِنَّهُ مَا بَقِيَ أَحَدٌ أَعْلَمُ بِسُنَّةٍ مَاضِيَةٍ مِنْهُ. وَكَذَا قَالَ مَكْحُولٌ. وَقَالَ أَيُّوبُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنَ الزُّهْرِيِّ. فَقِيلَ لَهُ: وَلَا الْحَسَنُ؟ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ أَعْلَمَ مِنَ الزُّهْرِيِّ. وَقِيلَ لِمَكْحُولٍ: مَنْ أَعْلَمُ مَنْ لَقِيتَ؟ قَالَ: الزُّهْرِيُّ. قِيلَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: الزُّهْرِيُّ. قِيلَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: الزُّهْرِيُّ. وَقَالَ مَالِكٌ: كَانَ الزُّهْرِيُّ إِذَا دَخَلَ الْمَدِينَةَ لَمْ يُحَدِّثْ بِهَا أَحَدٌ حَتَّى يَخْرُجَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ: مُحَدِّثُو أَهْلِ الْحِجَازِ ثَلَاثَةٌ الزُّهْرِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ جُرَيْجٍ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: الَّذِينَ أَفْتَوْا أَرْبَعَةٌ الزُّهْرِيُّ، وَالْحَكَمُ، وَحَمَّادٌ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৫
وَقَتَادَةُ، وَالزُّهْرِيُّ أَفْقَهُهُمْ عِنْدِي. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: ثَلَاثٌ إِذَا كُنَّ فِي الْقَاضِي فَلَيْسَ بِقَاضٍ، إِذَا كَرِهَ اللَّوَائِمَ وَأَحَبَّ الْمَحَامِدَ، وَكَرِهَ الْعَزْلَ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ: كَانَ يُقَالُ: فُصَحَاءُ زَمَانِهِمُ الزُّهْرِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمُوسَى بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَقَالَ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ الَّذِي أَدَّبَ اللَّهُ بِهِ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَدَّبَ رَسُولُ اللَّهِ بِهِ أَمَّتَهُ أَمَانَةُ اللَّهِ إِلَى رَسُولِهِ لِيُؤَدِّيَهُ عَلَى مَا أُدِّيَ إِلَيْهِ، فَمَنْ سَمِعَ عِلْمًا فَلْيَجْعَلْهُ أَمَامَهُ حُجَّةً فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، عَنْ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: الِاعْتِصَامُ بِالسُّنَّةِ نَجَاةٌ. وَقَالَ الْوَلِيدُ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَمِرُّوا أَحَادِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا جَاءَتْ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: إِنَّ مِنْ غَوَائِلِ الْعِلْمِ أَنْ يُتْرَكَ الْعَالِمُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৬

যুহরী একদিন আবু হাযিম-এর নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করেন ৷ তখন আবু হাযিম
বলছিলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমার কী হলো, আমি এমন সব হাদীস দেখতে পাচ্ছি,
যার নাকও নেই, বলণাও নেই ? তিনি আরো বলেন৪ মানুষ ইল্ম চর্চা করা অংপক্ষা শ্রেষ্ঠ,
মহান আল্লাহর আর কোন ইৰাদত করেনি ৷

কাসিম ইবন হায্যান থেকে যথাক্রমে ওয়ালীদ ইবন মুসলিম ও দৃহারম সুত্রে ইবন

মুসলিম আবু আসিম বর্ণনা করেন যে, কাসিম ইবন হায্যান বলেন৪ আমি যুহরীকে বলতে
শুনেছি৪ যে আলিম ইলুম অনুযায়ী আমল করে না, মানুষ তার ইল্মের উপর আস্থা রাখে না ৷
আর যে আলিমের উপর মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট নন, মানুষ তাকে বিশ্বাস করে না ৷

ইউনুস সুত্রে যামৃরা বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেছেন৪ তৃমি নিজেকে কিতাবের শৃৎবল
থেকে রক্ষা কর ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কিতাবের শৃৎখল কী ? তিনি বললেন : তার যোগ্য

ব্যক্তিকে তার থেকে আটকে রাখা ৷

ইমাম শাফিঈ যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যুহরী ৪বলেছেন খাতাপত্র ব্যতীত
মজলিসে উপস্থিত হওয়া অপমান ৷

আসমাঈ মালিক ইবন আনাস সুত্রে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবন শিহাব
বলেন৪ আমি ছা লাব৷ ইবন আবুমুঈন-এর নিকট গিয়ে বসলাম ৷ তিনি বললেন৪ আমার মনে
হচ্ছে, তুমি ইলমকে ভালবাস ৷ আমি বললাম৪ হ্যা ৷ তিনি বললেন : তাহলে তুমি এ শায়খ
অর্থাৎ সাঈদ ইবুনুল মুসায়িব্রুবকে জাকড়ে ধর ৷ ইবন শিহাব বলেন৪ ফলে আমি সাত বছর
সাঈদকে আকড়ে ধরে থাকি ৷ তারপর তাকে ত্যাগ করে উরওয়ার নিকট চলে যাই ৷ আমি
সমুদ্রের সিংহভাগই অর্জ্য৷ করে ফেলি ৷

লায়স বলেন৪ ইবন শিহাব বলে ছেন৪ ইলমের জন্য আমার ন্যায় আর কেউ এত কষ্ট
স্বীকার করেনি এবং আমার ন্যায় আর কেউ ইলুমকে অত প্রচারও করেনি ৷ উরওয়াহ্ ইবনুষ্
যুবায়র হলেন একটি কুপ, বালতি তাকে ঘোলা করতে পারে না ৷ পক্ষাতরে, সাঈদ ইবনুল
মুসায়িব মানুষের বত্যাণে দাড়িয়ে গেছেন ৷ ফলে তার নাম প্রতিটি ঘাট্টে পৌছে, গেছে া

মালিক ইবন আনাস থেকে মুহাম্মদ ইবন ষ্ আবদুল ন্আষীয ইবন আবদুল্লাহ আলাআওসী
সুত্রে মাকী ইবন আবদান বর্ণনা করেন যে, মালিক ইবন ত্মানাস বলেন : বনুউমায়্যার এক
ব্যক্তি ইবন শিহাবকে সাঈদ ইবনুল মুসারািব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ৷ তিনি তার ইলুম সম্পর্কে
ভাল মন্তব্য করলেন এবং তার ইতিবৃত্ত ব্যক্ত করলেন ৷ এই সংবাদ সাঈদ-এর নিকট পৌছে
যায় ৷ পরবর্তীতে যখন ইবন শিহাব পবিত্র মদীনা আগমন করেন, তখন এসে সাঈদ ইবনুল
মুসায়িদ্রবকে সালাম করলেন ৷ কিত্তু তিনি সালামেরও উত্তর দিলেন না, তার সঙ্গে কথাও
বললেন না ৷ সাঈদ যখন উঠে রওয়ানা হন, যুহরী তার পিছনে পিছনে ছুাটতে শুরু করেন ৷
যুহরী বললেন : কী ব্যাপার, আমি আপনাকে সালাম দিলাম, আপনিগৃকথা বললেন না যে ?
আমার ব্যাপারে আপনার নিকট: কী কথা পৌছেছে ? : আমি তো ভাল ছাড়াণ্বলিনি ? সাঈদ
ইবনুল মুসায়িব্রব রললেন৪ বনুমারওয়ানের নিকট আমার আলোচনা তো করেছ?

ইবন শিহাব থেকে যথাক্রমে আবদুল আ’লা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু ফারতয়া, আত্তাফ
ইবন খালিদ আল মাখবুৰী ও মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহয়া ন্নুত্রে মাকী ইবন আবদান বর্ণনা করেন


حَتَّى يَذْهَبَ عِلْمُهُ، وَالنِّسْيَانَ، وَالْكَذِبَ، وَهُوَ أَشَدُّ الْغَوَائِلِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: الْقِرَاءَةُ عَلَى الْعَالَمِ وَالسَّمَاعُ عَلَيْهِ سَوَاءٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: إِذَا طَالَ الْمَجْلِسُ كَانَ لِلشَّيْطَانِ فِيهِ نَصِيبٌ. وَقَدْ قَضَى عَنْهُ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ مَرَّةً ثَمَانِينَ أَلْفًا. وَفِي رِوَايَةٍ: سَبْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا. وَفِي رِوَايَةٍ عِشْرِينَ أَلْفًا. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: عَتَبَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ عَلَى الزُّهْرِيِّ فِي الْإِسْرَافِ، وَكَانَ يَسْتَدِينُ، فَقَالَ لَهُ: لَا آمَنُ أَنْ يَحْبِسَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ أَيْدِيَهُمْ عَنْكَ فَتَكُونَ قَدْ حُمِلْتَ عَلَى أَمَانَتِكَ. قَالَ: فَوَعَدَهُ الزُّهْرِيُّ أَنْ يُقْصِرَ، فَمَرَّ بِهِ بَعْدَ ذَلِكَ وَقَدْ وَضَعَ الطَّعَامَ وَنَصَبَ مَوَائِدَ الْعَسَلِ، فَوَقَفَ بِهِ رَجَاءٌ وَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ مَا هَذَا بِالَّذِي فَارَقْتَنَا عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ الزُّهْرِيُّ: انْزِلْ فَإِنَّ السَّخِيَّ لَا تُؤَدِّبُهُ التَّجَارِبُ. وَقَدْ أَنْشَدَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الْمَعْنَى: لَهُ سَحَائِبُ جُودٍ فِي أَنَامِلِهِ ... أَمْطَارُهَا الْفِضَّةُ الْبَيْضَاءُ وَالذَّهَبُ يَقُولُ فِي الْعُسْرِ إِنْ أَيْسَرْتُ ثَانِيَةً ... أَقْصَرْتُ عَنْ بَعْضِ مَا أُعْطِي وَمَا أَهَبُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৭

৫৪৮ আল-বিদা-য়৷ ওয়াননিহায়া

যে, ইবন শিহুাব্ বলেন : আবদুল মালিক ইবন ন্মারওয়ান-এর হাঙ্গামার সময় পবিত্র
মদীনাবাসিগণ দুর্ডিংক্ষ নিপতিত হন৷ দৃর্তিক্ষ গোটা নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আমার মনে
হয়েছিল,“ সে সময়ে আমাদের পরিবার ছাড়া দেশের অন্য কোন পরিবার এত বেশী অভাবে ,
পড়েনিঃ ৷ পরিবারের প্রতি আমার উদাসীনতাই ছিল তার কারণ ৷ ফলে খোজ নিলাম, আমাদ্যোৰু
এমন কোন আত্মীয় কিংবা সুহৃদ আছে কিনা, যার নিকট থেকে কিছু আনতে পারি ৷ কিতু এমন
কারো সন্ধান পেলাম না ৷ অবশেষে আমি বললাম৪ জীবিকা তো মহান আল্লাহর হাতে ৷
তারপর আমি বেরিয়ে পড়লাম ৷ দামেশক্ এলে মসজিদে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম, মজলিস,
চলছে ৷ এত বড় মজলিস যে, তত বড় মটুজলিস আমি আর কখনো দেখিনি ৷ আমি সেখানে
বসে পড়লাম ৷ মজলিস ঢলছিল ৷ অর্থাৎ আর্মীরম্স মু’মিনীন আবদুল মালিক এর পক্ষ থেকে
এক ব্যক্তি এসে উপস্থিত ৷ ণ্লাকটি সুদেহী ও সুদর্শন ৷ আমি যেখানে বসা ছিলাম, ণ্লাকঢি
ণ্ সদিকে এগিয়ে এলো ৷ লোকেরা তার জন্য জায়গা খালি করে দিলেন ৷ তিনি ব্লসলেন এবং
বললেন৪ আজ আমীরক্ষ্মমু মিনীনের নিকট এমন একখানা, পত্র এসেছে মহান আল্লাহ্ তাকে
খলীফ৷ বানানোর দিন হতে এ পর্যন্ত তেমন পত্র আর একটিও আসেনি ৷ লোকেরা জিজ্ঞাসা
করল৪ কী পত্র ? তিনি বললেন : পবিত্র মদীনায় গভর্নর হিশাম ইবন ইসমাঈল এই মর্মে পত্র
লিখেছো যে, মুল আব ইবনুষ্ যুবায়র-এর এক দাসীর ছেলে মারা গেছে ৷ এখন ছেলেটির মা
তার যীরাছ পেতে চাছে ৷ কিন্তু উরওয়াহ্ ইবনুয যুবায়র তাকে বারণ করেছেন ৷ তার ধারণা
মতে উষ্মে ওয়ালাদ যীরাছ পায় না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমীরুল মু’মিনীন সমস্যায় পড়ে গেহ্নে৷ ৷
আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব বর্ণিত একটি
হাদীস শুন্যেছন বলে তার ধারণা ৷ বিক্ষ্ম তখন হাদীসটি মনে করতে পারছেন ন ৷ হাদীসটি
তার কাছে ব্যতিক্রম বলে মনে হয়েছিল ! ন্ইবন শিহাব বলেন : শুনে আমি বললাম : আমি
তাকে সেই হাদীসটি শোনাব ৷ একথা শুনে কুবায়স৷ আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার হাত
ধরে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তিনি আবদুল মালিক-এর পৃহে প্রবেশ করে বললেন, আসুসালামু ,
আলয়েকা ৷ উত্তরে আবদুল মালিক বললেন, ওয়াআলায়কাস-সালাম ৷ কুবায়স৷ বনলেন৪ ঢুক্ব
কি? আবদুল মালিক বললেন৪ প্রবেশ করুন ৷ কুৰায়সা আমার হাত ধরা অবন্থায়ই আবদুল
মালিক এর নিকট প্রবেশ করলেন এবং বলালন৪ আমীরুল মু’মিনীনা আপনি উন্মুহাতুল-
আওলাদ বিষয়ে সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্লব-এর যে হাদীসটি শুহ্রনছিলেন, ইনি সেটি আপনাকে
শোনাবেন ৷ আবদুল মালিক বললেন ং ঠিক আছে শোনাও ৷ যুহরী বলেন৪ আমি বললামং
আমি সাঈদ ইবনুল মুসারািবকে বলতে শুনেছি যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) উন্মুহাতুল
আওলাদ সম্পর্কে এই নির্দেশ জারী করেছেন যে, তারা তাদের সত্তানক্রেরে সম্পদের উপযুক্ত মুল্য
নির্ধারণ করে নিয়ে এবং স্বাধীন হয়ে যাবে ৷ উমর ভুার খিলাফতের শুরুর দিকে এই মর্মে পত্রও
লিখেছিলেন ৷ পরে কুৰায়শের এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণকরে,বার উষ্মে ওায়ালাদ পর্ভজাত এক পুত্র
ছিল ৷ উমর (রা) ণ্ছলেটাকে বের্শ স্নেহ করতেন ৷ পিতার মৃত্যুর রাত কয়েক পর ণ্ছলেটি
মসজিদে উমর (রা) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৷ উমর (না) তাকে বললেন কী খবর, ভাতিজার
মায়ের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছ ? ছেলেটি বলল৪ ভাল সিদ্ধাত্তই নিয়েছি ৫হ্ আমীরুল
মু মিনীন! মানুষ তাকে দান্সী বানিয়ে রাখা না রাখার ব্যাপারে আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে ৷ শুনে
উমর (রা) বললেন কেন, আমি সে ব্যাপারে উপযুক্ত মুন্না নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিনাম ৷ ণ্দ্বু


حَتَّى إِذَا عَادَ أَيَامُ الْيَسَارِ لَهُ رَأَيْتَ أَمْوَالَهُ فِي النَّاسِ تُنْتَهَبُ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وُلِدَ الزُّهْرِيُّ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. وَقَدِمَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ إِلَى أَمْوَالِهِ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ بِشَغْبٍ وَبَدَا فَأَقَامَ بِهَا، فَمَرِضَ هُنَاكَ وَمَاتَ، وَأَوْصَى أَنْ يُدْفَنَ عَلَى قَارِعَةِ الطَّرِيقِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ لِسَبْعَ عَشْرَةَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً، قَالُوا: وَكَانَ ثِقَةً، كَثِيرَ الْحَدِيثِ وَالْعِلْمِ وَالرِّوَايَةِ، فَقِيهًا جَامِعًا. وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلَانِيُّ: رَأَيْتُ قَبْرَ الزُّهْرِيِّ بِأَدَامَى - وَهِيَ خَلْفَ شَغْبٍ وَبَدَا مِنْ فِلَسْطِينَ - مُسَنَّمًا مُجَصَّصًا. وَقَدْ وَقَفَ الْأَوْزَاعِيُّ يَوْمًا عَلَى قَبْرِهِ فَقَالَ: يَا قَبْرُ كَمْ فِيكَ مِنْ عِلْمٍ وَحِلْمٍ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ تُوفِّيَ الزُّهْرِيُّ بِأَمْوَالِهِ بِشَغْبٍ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ لِسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، عَنْ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ سَنَةً، وَدُفِنَ عَلَى قَارِعَةِ الطَّرِيقِ لِيَدْعُوَ لَهُ الْمَارَّةُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: سَنَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَالصَّحِيحُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৮


আমি তাে তোমাদের মতামত না নিয়ে কোন সিদ্ধান্তও দেইনি, আদেশও জারি করিনি ৷
তারপর তিনি উঠে মিম্বরে গিয়ে বসলেন ৷ মানুষ তার নিকট এসে সমবেত হলো ৷ সত্তোষজ্যাক
:ণ্লাক সমাগম হয়ে গেলে তিনি বললেন : হে মানবমণ্ডলী ! আপনারা জানেন, আমি উম্মুহাতৃল
আওলাদ বিষয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছিলাম ৷ কিন্তু এখন তার বিপরীত এক সিদ্ধান্ত
ঘোষিত হলো ৷ এখন থেকে যদি কারো উম্মে ওয় ৷লাদ থাকে, তাহলে তিনি মতদিন জীবত
থাকবেন, ততদিন তিনি তার মালিক থাকবেন ৷ তার মৃত্যুর পর সে স্বাধীন হয়ে যাবে এবং

তার উপর তার কোন ক্ষমতা থাকবে না ৷

যা হোক, আমার হাদীস শুনে আবদুল মালিক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন৪ আপনি কে ?

বললাম৪ আমি মুহাম্মদ ইবন মুসলিম ইবন উবায়দ ইবন শিহাব ৷ তিনি বললেন৪ আল্লাহর
শপথ! আপনার পিতা একজন ফিতনাবাজ মানুষ ছিলেন এবং ফিক্তা৷ করে আমাদেরকে কষ্ট
দিয়েছেন ৷ যুহরী বলেন৪ একথা শুনে আমি বললাম৪ হে আমীরুল মু’মিনীন! সৎ কর্মপরায়ণ

, fl

বান্দা যেমন বলেছিলেন (আজ ণ্তামাদের
বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই ৷ আল্লাহ তােমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন, ১২৪ ৯২) ৷ আপনি

fl ¢

ৰু৷ যুহরী বলেন,
তারপর আমি বললাম৪ হে আমীরুল মু মিনীন! আমার জন্য ভাতা চালু করে দিন, আমি তো
প্রশাসন থেকে বিচ্ছিন্ন ৷ তিনি বললেন৪ আপনার শহরে এ যাবত কারো জন্য ভাতা চালু
করিনি ৷ তারপর তিনি কুবায়সার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন ৷ তখন আমি ও তিনি তার সম্মুখে
দণ্ডায়মান ৷ যেন তিনি ইঙ্গিতে বললেনং : এর জন্য ভাতা চালু করে দাও ৷ কুবায়সা বললেনং :
আমীরুল মু মিনীন আপনার ত্তন্যে ভাতা মনয়ুর করে দিয়েছেন ৷ আমি বললাম৪ আমি আল্লাহর
শপথ করে বলছি, যখন আমি আমার পরিজ্যনর নিকট থেকে রওয়ানা হয়ে আসি, তখন তারা
চরম অনটনের মধ্যে ছিল, যা মহান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না ৷ আর অভাব গোটা নগরী
ছড়িয়ে পড়েছে ৷ তিনি বললেন : আমীরুল মু’মিনীন আপনার অভাব পুরণ করে দিয়েছেন ৷
যুহরী বলেন ং তারপর আমি বললাম৪ হে আমীরুল মুমিনীন! আমার একজন খাদেমও
প্রয়োজন ৷ আমার একটি বোন ব্যতীত আমার পরিবারের সেবা করার আর কেউ নেই ৷ বোনটি
একাই আটা খামীর করে, রুটি বেলে ও সােক ৷ কুবায়সা বললেন৪ আমীরুল মু’মির্নীন
আপনাকে একটি খাদিমও দান করেছো ৷

আওযাঈ যুহরী থেকে বর্ণনা করেছো যে, যুহরী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন

ব্যতিচারী মু’মিন অবস্থায় ব্যডিচার করে না ৷’ শুনে আমি যুহরীকে জিজ্ঞাসা করলাম : এর অর্থ
কী ? তিনি বললেন৪ ইল্ম আসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷ রাসুলের দায়িত্ব প্রচার করা ৷
আর আমাদের কতব্যি হলো, মেনে নেওয়া ৷ কাত্তেইি রাসুলে পাকের হাদীসসমুহ যেভাবে

এসেছে, সেভাবেই মেনে নাও ৷

আওযাঈ যুহরীয় ভ্রাভুম্পুত্র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেহ্নো, উমর ইবন খাত্তাব (রা)
লাবীদ ইবন রবী আর নিম্নবর্ণিত কাসীদাটি বর্ণনা করার নির্দেশ দিতেন ৷


গ্লু,০


الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، كَمَا أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ: بِلَالُ بْنُ سَعْدٍ بْنِ تَمِيمٍ السُّكُونِيُّ أَبُو عَمْرٍو وَيُقَالُ: أَبُو زُرْعَةَ إِمَامُ الْجَامِعِ بِدِمَشْقَ أَيَّامَ هِشَامٍ وَقَاصُّ أَهْلِ الشَّامِ، كَانَ أَحَدَ الزُّهَّادِ الْكِبَارِ وَالْعُبَّادِ الصُّوَّامِ الْقُوَّامِ، رَوَى عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ لَهُ صُحْبَةٌ، وَعَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ عُمَرَ، وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ وَكَانَ الْأَوْزَاعِيُّ يَكْتُبُ عَنْهُ مَا يَقُولُهُ مِنَ الْفَوَائِدِ الْعَظِيمَةِ فِي قَصَصِهِ وَوَعْظِهِ، وَقَالَ: مَا رَأَيْتُ وَاعِظًا قَطُّ مِثْلَهُ. وَقَالَ أَيْضًا: مَا بَلَغَنِي عَنْ أَحَدٍ مِنَ الْعِبَادَةِ مَا بَلَغَنِي عَنْهُ، كَانَ يُصَلِّي فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَ رَكْعَةٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ، وَهُوَ الْأَصْمَعِيُّ: كَانَ إِذَا نَعَسَ فِي لَيْلِ الشِّتَاءِ أَلْقَى نَفْسَهُ فِي ثِيَابِهِ فِي الْبِرْكَةِ، فَعَاتَبَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّ مَاءَ الْبِرْكَةِ أَهْوَنُ عَلَيَّ مِنْ صَدِيدِ جَهَنَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৫৯

আমাদের প্রভুর তাকওয়া হলো শ্রেষ্ঠ দান ৷ আমার বিলাপ আর তাডাহুড়া সব তারই

নির্দেশে ৷-

আমি মহান আল্লাহ্ব প্ৰন্া০ সা করছি, যার কোন সমকক্ষ নেই ৷ সকল কল্যাণ তারই

হাতে ৷ তিনি যা খুশী করতে পারেন ৷

তিনি যাকে কল্যাণের পথ দেখান, সেই সুপথপ্রাপ্ত হয় ৷ আর তিনি যাকে ইচ্ছা ৰিপথপামী
করেন ৷’

যুহরী বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবার নিকট তার বাড়িতে গমন
করি ৷ দেখি, তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ অবস্থায় বসে আছেন ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী ব্যাপার,
আপনাকে এমন দেখছি কেন ? তিনি বললেন, আমি এই একটু আগে আপনাদের আমীর তথা
উমর ইবন আবদুঃ৷ আষীয এর নিকট গিয়ে আসলাম ৷ সে সময় আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন
উছমানও তার সঙ্গে ছিল ৷ আমি তাদেরকে সালাম দিলাম ৷ কিভু তারা সালামের জবাব দিলেন
না ৷ ফলে আমি বললামং :

ম্বু
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন বলে অহংকার করবেন না যে, কথা বলবেন না ৷ অহংকারের

চেয়ে মানুষের মন্দ স্বডাব দ্বিতীয়টি আর নেই ৷

পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করুন, যা দ্বারা আপনাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং যার মধ্যে ফিরে
যেতে হবে ও হাশর হবে ৷’

শুনে আমি বললাম, মহান আল্লাহ আপনাকে রহম করুন ৷ আপনার ন্যায় ফিকাহ, মর্যাদা
ও বয়সের মানুষও কবিতা বলে ? তিনি বললেন, যার বুক ব্যথায় ধবেছে, কু দিলে সে ভাল
হয়ে যায় ৷

এক প্রবীণ ব্যক্তি যুহরীৱ নিকট এসে বললেন, আমাকে একটি হাদীস শুনান ৷ তিনি
বললেন, আপনি তো ভাষা জানেন না ৷ বৃদ্ধ বললেন, সম্ভবত আমি ভাষা জানি ৷ যুহরী বললেন,
তাহলে বলুন তো এই কবিতাটির অ র্থ কি ?

জ্যো ষ্

যুহরী জিজ্ঞাসা করলেন, বলুন তো ;এ্যা অর্থ কি ? বৃদ্ধ বললেন, জিহ্বা ৷ যুহরী
বললেন, পুনরায় আবেদন করুন ৷ আমি আপনাকে হাদীস শোনাব ৷

যুহরী প্রায়ই নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো দ্বারা উপম৷ পেশ করতেন ৷
যৌবন চলে গেছে, আর ফিরে আসবে না হে জুমান যেন তা ছিলই ন্া৷ ৷

ফলে আমি লাঠির উপর আমার হাত গুটিয়ে নিয়েছি হে জুমান৷ আর হে জুমান! এই
পরিস্থিতিতে হাত গুঢিয়ে রাখইি নিরাপদ ৷


وَقَالَ آخَرُ، وَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: كَانَ إِذَا كَبَّرَ فِي الْمِحْرَابِ سَمِعُوا تَكْبِيرَهُ مِنَ الْأَوْزَاعِ - قُلْتُ: وَهِيَ خَارِجُ بَابِ الْفَرَادِيسِ بِمَحَلَّةِ سُوقِ قُمَيْلَةَ الْيَوْمَ - قَالَ: وَكُنَّا نَتَبَيَّنُ قِرَاءَتَهُ مِنْ عَقَبَةِ الشِّيحِ عِنْدَ دَارِ الضِّيَافَةِ. يَعْنِي مِنْ عِنْدِ دَارِ الذَّهَبِ دَاخِلَ بَابِ الْفَرَادِيسِ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ: هُوَ شَامِيٌّ تَابِعِيٌّ ثِقَةٌ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: كَانَ أَحَدَ الْعُلَمَاءِ، قَاصًّا حَسَنَ الْقِصَصِ. وَقَدِ اتَّهَمَهُ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ بِالْقَدَرِ، حِينَ قَالَ بِلَالٌ يَوْمًا فِي وَعْظِهِ: رُبَّ مَسْرُورٍ مَغْبُونٍ، وَرُبَّ مَغْبُونٍ لَا يَشْعُرُ، فَوَيْلٌ لِمَنْ لَهُ الْوَيْلُ وَلَا يَشْعُرُ، يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ وَيَضْحَكُ، وَقَدْ حَقَّ عَلَيْهِ فِي قَضَاءِ اللَّهِ أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، فَيَا وَيْلٌ لَكَ رُوحًا، وَيَا وَيْلٌ لَكَ جَسَدًا، فَلْتَبْكِ وَلْتَبْكِ عَلَيْكَ الْبَوَاكِي لِطُولِ الْأَمَدِ. وَقَدْ سَاقَ ابْنُ عَسَاكِرَ شَيْئًا حَسَنًا مِنْ كَلَامِهِ فِي مَوَاعِظِهِ الْبَلِيغَةِ ; فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ: وَاللَّهِ لَكَفَى بِهِ ذَنْبًا أَنَّ اللَّهَ يُزَهِّدُنَا فِي الدُّنْيَا، وَنَحْنُ نَرْغَبُ فِيهَا،
পৃষ্ঠা - ৭৭৬০


যুহরীরআংটিব অংকন ছিল :

যুহরীর ভাতিজাকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার চাচা কি সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ? তিনি
বললেন, আমি যুহ্রীর বাহনের কােড়৷ থেকে মিশৃকের সুঘ্রাণ শুকতাম ৷

যুহরী বলেছেন, তােমর৷ সেই কাজ বেশী করে কর, যাকে আগুন স্পর্শ করবে না ৷
জিজ্ঞাসা করা হলো, তা কী ? তিনি বললেন, সৎকর্ম ৷

একদা এক ব্যক্তি যুহরীর প্রশংসা করে ৷ ফলে তিনি পায়ের জামাটা তাকে দিয়ে দেন ৷
জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি শয়তানের কথায় দান করছেন ? তিনি বললেন, অমঙ্গল থেকে
বেচে থাকাও এক ধরনের কল্যাণ সন্ধান ৷-

সুফিয়ান বলেন, যুহরীকে যাহিদ (দৃনিয়াবিমুখ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল ৷ তিনি বললেন,

হালাল যাকে কৃতজ্ঞতা থেকে বারণ করতে পারে না এবং হারাম যার ধৈর্যের তুপর জয়ী হয়

না ৷

সুফিয়ান বলেন, লোকেরা যুহরীকে বলল, এখন এই শেষ বয়সে যদি আপনি: মদীনায়
বসবাস করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মসজিদে বসতেন, দারস দিতেন ৷ আমরা তার কোন
একটি স্তন্তের নিকট গিয়ে বসতাম, আপনি মানুষকে নসীহত করতেন ও তা লীম দিতেন তিনি
বললেন, তাই যদি করতাম, তাহলে মানুষ আমার পদচিহ্ন অনুসরণ করত ৷ আর দুনিয়ার প্রতি
বিমুখ ও আখিরাতের প্রতি উৎসাহী না হয়ে তা করা আমার জন্য উচিত হবে না ৷

যুহরী বললেন, রায়তৃল মুকাদ্দাসের পাহাড়-পর্বতে বিশজনেরও অধিক আম্বিয়া
আলায়হিমুসসালাম ইনৃতিকাল করেছেন ৷ তারা ক্ষুধা ও শ্রমক্লিষ্ট হয়ে ইন্তিকাল করেন ৷
তারা হালাল নিশ্চিত না হয়ে খেতেনও না ৷ পরিধানও করতেন না ৷
যুহরী বলতেন, ইৰাদত হলো তাকওয়া আর দুনিয়াবিমুখতা ৷ ইল্র্য হলো সৌন্দর্য ৷ সবর
হলো অপ্রীতিকর বিষয়াবলী লকু৷ করা এবং সৎকর্মের নিমিত্তে মহান আল্লাহর প্রতি আহ্বান
জানানো ৷

ইবন আসাকির-এর বর্ণনা মুতাবিৰু হিশাম ইবন আৰ্দুল্ মালিক-এর খিলাফত আমলে
মুত্যুমুখে পতিত ব্যক্তিদের একজন হলেন

বিলাশ ইবন সা দ

ইবন তামীম আস-সা কুনী আবু আমর ৷ বিখ্যাত রাইিদ (দুনিয়াতা৷গী) ইবাদতকারী,
রােযাদার ও নামায আদায়কারীদের একজ্যা ছিলেন ৷ তিনি তার পিতা-যিনি সাহাবী ছিলেন-
জাবির, ইবন উমর, আবুদ্-দারদা প্রমুখ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে বর্ণনা
করেছেন বহু লোক ৷ তন্মধ্যে একজন হলেন আওযাঈ ৷ আওযাঈ তার মুল্যবান ও উপকারী লব
কাহিনী ও ওয়ায-নসীহত লিপিবদ্ধ করতেন ৷ তিনি বলেছেন, আমি তার মত বক্তা কখনো
কাউকে ণ্দখিনি ৷ তিনি আরো বলেন, বিলাল ইবন সা দ যত বেশী ইৰাদত করতেন, তত বেশী
ইৰাদত করতে আমি আর কারো ব্যাপারে শুনিনি ৷ তিনি রাংত-দিনে এক হাজার রাকআত
নামায পড়তেন ৷
আসমাঈ বলেন, বিলাল ইবন সা দ শীতের রাতে যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন, তখন
কাপড়-চোপড়সহু নিজেকে কুপের মধ্যে ফেলে দিতেন ৷ সঙ্গীরা এ ব্যাপারে ভর্যসন৷ করলে তিনি
বললেন, কুপের পানি জাহান্নান্ময় শান্তি অপেক্ষা সহনীয় ৷


زَاهِدُكُمْ رَاغِبٌ، وَعَالِمُكُمْ جَاهِلٌ، وَمُجْتَهِدُكُمْ مُقَصِّرٌ. وَقَالَ أَيْضًا: أَخٌ لَكَ كُلَّمَا لَقِيَكَ ذَكَّرَكَ بِنَصِيبِكَ مِنَ اللَّهِ، أَوْ أَخْبَرَكَ بِعَيْبٍ فِيكَ، أَحَبُّ إِلَيْكَ وَخَيْرٌ لَكَ مِنْ أَخٍ كُلَّمَا لَقِيَكَ وَضَعَ فِي كَفِّكَ دِينَارًا. وَقَالَ أَيْضًا: لَا تَكُنْ وَلِيًّا لِلَّهِ فِي الْعَلَانِيَةِ وَعَدُوَّهُ فِي السِّرِّ، وَلَا تَكُنْ ذَا وَجْهَيْنِ وَذَا لِسَانَيْنِ، فَتُظْهِرُ لِلنَّاسِ أَنَّكَ تَخْشَى اللَّهَ لِيَحْمَدُوكَ، وَقَلْبُكَ فَاجِرٌ. وَقَالَ أَيْضًا: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّكُمْ لَمْ تُخْلَقُوا لِلْفَنَاءِ، وَإِنَّمَا خُلِقْتُمْ لِلْبَقَاءِ، تُنْقَلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ، كَمَا نُقِلْتُمْ مِنَ الْأَصْلَابِ إِلَى الْأَرْحَامِ، وَمِنَ الْأَرْحَامِ إِلَى الدُّنْيَا، وَمِنَ الدُّنْيَا إِلَى الْقُبُورِ، وَمِنَ الْقُبُورِ إِلَى الْمَوْقِفِ، وَمِنَ الْمَوْقِفِ إِلَى الْجَنَّةِ أَوِ النَّارِ. وَقَالَ أَيْضًا: عِبَادُ الرَّحْمَنِ، إِنَّكُمْ تَعْمَلُونَ فِي أَيَّامٍ قِصَارٍ لِأَيَّامٍ طِوَالٍ، وَفِي دَارِ زَوَالٍ لِدَارِ مُقَامٍ، وَدَارِ حُزْنٍ وَنَصَبٍ لِدَارِ نَعِيمٍ وَخُلْدٍ، فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ عَلَى يَقِينٍ فَلَا يَتَعَنَّ، عِبَادَ الرَّحْمَنِ، لَوْ قَدْ غُفِرَتْ خَطَايَاكُمُ الْمَاضِيَةُ لَكَانَ فِيمَا تَسْتَقْبِلُونَ لَكُمْ شُغُلٌ، وَلَوْ عَمِلْتُمْ بِمَا تَعْمَلُونَ لَكُنْتُمْ عِبَادَ اللَّهِ حَقًّا، عِبَادَ الرَّحْمَنِ، أَمَّا مَا
পৃষ্ঠা - ৭৭৬১
ধ্হৃহ্র৫২ ’ আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেন, বিলাল ইবন সা দ যখন মিহরাবে দাড়িয়ে তাকবীর
বলতেন, আওযা থেকে তার তাকর্বীব শোনা যেত ৷ আর আওযা র অবস্থান হল ৰাবুল
ফারাদীসেরও বাইরে ৷

আহমাদ ইবন আবদুল্লাহ আল-আজালী বলেন, বিলাল ইবন সা দ সিরিয়ার অধিবাসী,
তাবিঈ ও নির্ত্যায়ােপ্য ৷

আবু যুব আ দামেশকী বলেন, বিলাল ইবন সা“ দ উত্তম কাহিনী বর্ণনাকারী আলিমদের
একজন ছিলেন ৷ রাজ ইবন হায়ওয়াহ তার বিরুদ্ধে কাদরিয়া হওয়ার অপবাদ আরোপ
করেছেন ৷ জংা৷বে একদিন ওয়াষে তিনি বলেন, অনেক আনন্দম য় ব্যক্তি প্রবঞ্চিত হয়ে থাকে ৷
অনেক প্রবঞ্চিত ব্যক্তি অনুভুতিহীন হয়ে থাকে ৷ কাণ্ডেইি ধ্বংস তার জন্য, যার জন্য ধ্বংস
অনিবার্য ৷ অথচ সে অনুভব করতে পারছে না ৷ সে পানাহার করছে ও হাসছে ৷ অথচ মহান
আল্লাহর সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়ে আছে যে, সে জাহান্নামী ৷ কাজেই ধ্বংস তোমার জন্য হে আত্মা
ধ্বংস তোমার জন্য হে দেহ তুমি ক্রন্দন কুর ৷ ক্রন্দনকারীরা তোমার জন্য আজীবন ক্রন্দন
বব্রুব্ষ্ ৷

ইবন আসাকির তার বেশ কিছু মুলবােন বাণী উল্লেখ করেছেন ৷ তার কতিপয় নিম্নরুপ০ ং

আমাদের পাপিষ্ঠ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, মহান আল্পাহ্ আমাদেরকে
দুনিয়াবিমুখ হতে বলছেন আর আমরা দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি ৷ তোমাদের যাহিদরা
দুনিয়াষুখী, আলিমরা হলো অজ্ঞ আর মুজতাহিদরা ত্রুটিপুর্ণ ৷

তোমার যে ভাই তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো তোমাকে মহান আল্লাহর নিআমতের কথা
স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ণ্তামাকে তোমার দোষ ধরিয়ে দেয়, যে তোমার নিকট ঐ ভাই
অপেক্ষা বেশী প্রিয় ও উত্তম, যে তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তোমার হাতে কিছু দীনার ধরিয়ে

দেয়া

প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ্র বন্ধু আর গোপনে শত্রু এমন হয়ে৷ না ৷ আবার প্রকাশ্যে শয়তান,
নফস প্রবৃত্তির শত্রু আর গোপনে তাদের বন্ধু হয়ে৷ না ৷ তুমি দৃই মুখ এবং দুই যবানওয়ালা
হয়ে৷ না যে, প্রশংসা লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের সম্মুখে প্রকাশ করবে, তুমি মহান আল্লাহ্কে তর
কর, অথচ, তোমার অন্তর পাপাচারী ৷

হে মানবমগুলী৷ তোমরা ধ্বং স হওয়ার জন্য সৃষ্ট হওনি ণ্তামাদের সৃষ্টি চিরদিন বেচে
থাকার জন্য ৷ বিন্দু তোমরা এক গৃহ থেকে অন্য গৃহে স্থানান্তরিত হচ্ছ শুধু ৷ যেমন স্থানান্তরিত
হয়েই যেরুদণ্ড থেকে জরায়ুতে, তারপর ন্ জয়ায়ু থেকে দুনিয়াতে, দুনিয়া থেকে কবরে, কবর
থেকে হাশার ৷ তারপর হাশর থেকে জান্নাত কিংবা জাহান্নামে ৷

রাহমানের বান্দাগণ তোমরা আমল করছ স্বল্প সময়ে দীর্ঘদিনের জন্য, ধ্বং সশীল আবাসে
চিরস্থায়ী আবাসের জন্য এবং চিন্তা, বিপদের আবাসে নিআমতপুর্ণ স্থায়ী আবাসের জন্য ৷
সুতরাং যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে আমল না করবে, ণ্স সুফল পাবে না ৷

রাহমানের বান্দাগণ ! যদি তোমাদের বিগত অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, তাহলে
তোমরা ভবিষ্যতের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বে ৷ যদি তোমরা তোমাদের ইলুম অনুযায়ী আমল কর,
তাহলে ণ্তমেরা মানুষের শ্রদ্ধাভাজন ও আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়ে ৷


وَكَلَكُمُ اللَّهُ بِهِ فَتُضَيِّعُونَهُ، وَأَمَّا مَا تَكَفَّلَ اللَّهُ لَكُمْ بِهِ فَتَطْلُبُونَهُ! مَا هَكَذَا نَعَتَ اللَّهُ عِبَادَهُ الْمُوقِنِينَ، أَذَوُو عُقُولٍ فِي الدُّنْيَا وَبُلْهٌ عَمَّا خُلِقْتُمْ لَهُ؟ ! فَكَمَا تَرْجُونَ رَحْمَةَ اللَّهِ بِمَا تُؤَدُّونَ مِنْ طَاعَتِهِ، فَكَذَلِكَ أَشْفِقُوا مِنْ عَذَابِهِ بِمَا تَنْتَهِكُونَ مِنْ مَعَاصِيهِ، عِبَادَ الرَّحْمَنِ، هَلْ جَاءَكُمْ مُخْبِرٌ يُخْبِرُكُمْ أَنَّ شَيْئًا مِنْ أَعْمَالِكُمْ تُقُبِّلَ مِنْكُمْ؟ أَوْ شَيْئًا مِنْ خَطَايَاكُمْ غُفِرَ لَكُمْ؟ {أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ} [المؤمنون: 115] وَاللَّهِ لَوْ عُجِّلَ لَكُمُ الثَّوَابُ فِي الدُّنْيَا لَاسْتَقْلَلْتُمْ مَا فُرِضَ عَلَيْكُمْ، أَتَرْغَبُونَ فِي طَاعَةِ اللَّهِ لِتَعْجِيلِ دَارٍ مَغْمُورَةٍ بِالْآفَاتِ، وَلَا تَرْغَبُونَ وَتَنَافِسُونَ فِي جَنَّةٍ {أُكُلُهَا دَائِمٌ وَظِلُّهَا تِلْكَ عُقْبَى الَّذِينَ اتَّقَوْا وَعُقْبَى الْكَافِرِينَ النَّارُ} [الرعد: 35] ؟ ! وَقَالَ أَيْضًا: الذِّكْرُ ذِكْرَانِ ; ذِكْرُ اللَّهِ بِاللِّسَانِ حَسَنٌ جَمِيلٌ، وَذِكْرُ اللَّهِ عِنْدَ مَا أَحَلَّ وَحَرَّمَ أَفْضَلُ، عِبَادُ الرَّحْمَنِ، يُقَالُ لِأَحَدِنَا: تُحِبُّ أَنْ تَمُوتَ؟ فَيَقُولُ: لَا. فَيُقَالُ: لِمَ؟ فَيَقُولُ: حَتَّى أَعْمَلَ. فَيُقَالُ لَهُ: اعْمَلْ. فَيَقُولُ: سَوْفَ. فَلَا يُحِبُّ أَنْ يَمُوتَ، وَلَا يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ، وَأَحَبُّ شَيْءٍ إِلَيْهِ أَنْ يُؤَخِّرَ عَمَلَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَا يُحِبُّ أَنْ يُؤَخَّرَ عَنْهُ عَرَضُ دُنْيَاهُ، عِبَادَ الرَّحْمَنِ، إِنَّ الْعَبْدَ لَيَعْمَلُ الْفَرِيضَةَ الْوَاحِدَةَ مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ أَضَاعَ مَا سِوَاهَا، فَمَا يَزَالُ يُمَنِّيهِ الشَّيْطَانُ فِيهَا وَيُزَيِّنُ لَهُ حَتَّى مَا يَرَى شَيْئًا دُونَ الْجَنَّةِ، فَقَبْلَ أَنْ تَعْمَلُوا أَعْمَالَكُمْ فَانْظُرُوا مَاذَا تُرِيدُونَ بِهَا، فَإِنْ كَانَتْ خَالِصَةً لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَأَمْضُوهَا، وَإِنْ كَانَتْ لِغَيْرِ اللَّهِ فَلَا تَشُقُّوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ، فَلَا شَيْءَ لَكُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَقْبَلُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৬২

, রাহমা৫নর্ববান্দাগণ! তোমাদের জন্য একটি সরল পথ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু
তোমরা তা নষ্ট করে ফেলছ ৷ পক্ষাম্ভ৫র মহান আল্লাহ ৫তামাদের জন্য যার দায়িত্বভার হাতে
নিয়েছেন, তোমরা তা অনুসন্ধান করে কি করছ ৷ মহান আল্লাহ্ বিশ্বাসীদের ইবাদত এরুপ স্থির
করেননি ৷ তোমরা কি দুনিয়ার ক্ষেত্রে জ্ঞানী আর আখিরা৫তর বেলায় বোকা ? দুনিয়ার বেলায়
চক্ষুষ্মান হওয়া সত্বেও যে উদ্দেশ্যে তোমাদের সৃষ্টি, তার ক্ষেত্রে তোমরা অন্ধ

সুতরাং মহান আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে যেভাবে তোমরা মহান আল্লাহর রহমত
প্রত্যাশা করছ, তেমনি তার নাফরমানী করছ বলে তার শাস্তিকেও ভয় কর ৷

রাহমানের বান্দাগণ কোন সংবাদদাতা কি এই সংবাদ নিয়ে তোমাদ্যো নিকট এসেছে যে,
তোমাদের অমুক আমল কবুল হয়েছে ? কিৎব৷ তোমাদের অমুক পাপ ক্ষমা করে দেওয়া
হয়েছে? মহান আল্লাহ্ বলেন ং



তােমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে ৰুঅনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা
আমার নিকট প্রভ্যাবর্তিত হবে না ? (২৩ং ১১৫) ৷

আল্লাহর শপথ ! তিনি যদি তোমাদের আমলের প্রতিদান আগেভাগে দুনিয়া৫তই দিয়ে
দিতেন, তাহলে মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য যা ফরয করেছেন, তার অল্পই তোমরা পালন
করতে ৷ তোমরা কি মহান আল্লাহ্র আনুগত্যের বিনিময়ে আপদপুর্ণ জগতের প্রত্যাশা করছ ?
৫সই জান্না৫তর প্রত্যাশা ও প্রতিযোগিতা করছ না, যায় খাদ্য সামগ্রী ও ছায়া চিরস্থায়ী এবং যার
ব্যাপ্তি পৃথিবী ও আকাশসমুহের ব্যাপ্তির সমান? মহান আল্লাহ বলেন ং

যারা মুত্তার্কী, এটা তাদের কর্মফল এবং কাফিরদের কর্যফল আগুন’ (১৩ : ৩৫) ৷

যিক্র দুই প্রকার ৷ যবানে আল্পাহ্ উচ্চারণ করা সুনরে যিক্র ৷ পক্ষাত্ত৫র, হারাম-হালাল
প্রশ্নে মহান আল্লাহ্৫ক স্মরণ করা সর্বশ্রেষ্ঠ যিক্র ৷

৫হ রাহমানের বান্দাগণ! তোমাদের কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তুমি কি মৃত্যু৫ক
ভালবাস ? সে বলে না ৷ তারপর যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন ? বলে, আমল করার জ্যা৷ ৷
তারপর যদি বলা হয়, ঠিক আছে, আমল কর ৷ বলে, এই তো শুরু করছি ৷ তার অর্থ এই
দাড়াল যে, সে মৃত্যুকেও ভালবাসে না, আমল বন্মাও পসন্দ করে না ৷ তার নিকট প্রিয় হলো,
যে মহান আল্পাহ্র আমল৫ক বিলম্বিত করবে, কিন্তু মহান আল্লাহ্ তার থেকে দুনিয়ার স্বার্থ
বিলম্বিত করুন, তা তার পসন্দ নয় ৷

রাহমানের বান্দাগণ মানুষ মহান আল্লাহর বহু ফরম থেকে একটি মাত্র ফ্রয আদায় করে
এবং বাদ-বাকীগুলাে বিনষ্ট করে ফেলে ৷ শয়তান তাকে প্ররােচিত করতে থাকে এবং তার
সম্মুখে সবকিছু সজ্জিতরুপে উপস্থাপন করে থাকে ৷ ফলে সে মহান আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত
থাকা স৫ত্ত্বও জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই ৫দখতে প্া৷য় না ৷

রাহমানের বান্দাগণ! আমল শুরু করার আগে দেখে নাও, আমল দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য
কী ? যদি তা একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর ডন্যে হয়, তাহলে আ মল করতে থাক ৷ আর যদি
গায়রুল্লাহৱ জন্য হয়, তাহলে অযথা নিজেকে ক৫ষ্ট ফেল না ৷ কারণ, মহান আল্লাহ খাটি
আমল ছাড়া কবুল করেন না ৷ আল্লাহ বলেস্ফো০ ং

’ ষ্



— ৭০

مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا، فَإِنَّهُ قَالَ: {إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ} [فاطر: 10] . وَقَالَ أَيْضًا: إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ إِلَى عَذَابِكُمْ بِسَرِيعٍ ; يُقِيلُ الْعَثْرَةَ، وَيَقْبَلُ الْمُقْبِلَ، وَيَدْعُو الْمُدْبِرَ. وَقَالَ أَيْضًا: إِذَا رَأَيْتَ الرَّجُلَ لَجُوجًا، مُمَارِيًا، مُعْجَبًا بِرَأْيِهِ، فَقَدْ تَمَّتْ خَسَارَتُهُ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: خَرَجَ النَّاسُ بِدِمَشْقَ يَسْتَسْقُونَ، فَقَامَ فِيهِمْ بِلَالُ بْنُ سَعْدٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ مَنْ حَضَرْتُمْ، أَلَسْتُمْ مُقِرِّينَ بِالْإِسَاءَةِ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ قُلْتَ: {مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِنْ سَبِيلٍ} [التوبة: 91] وَقَدْ أَقْرَرْنَا بِالْإِسَاءَةِ، فَاعْفُ عَنَّا وَاسْقِنَا. قَالَ: فَسُقُوا يَوْمَهُمْ ذَلِكَ. وَقَالَ أَيْضًا: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: لَقَدْ أَدْرَكْتُ أَقْوَامًا يَشْتَدُّونَ بَيْنَ الْأَعْرَاضِ، وَيَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَإِذَا جَنَّهُمُ اللَّيْلُ كَانُوا رُهْبَانًا. وَسَمِعْتُهُ أَيْضًا يَقُولُ: لَا تَنْظُرُ إِلَى صِغَرِ الذَّنْبِ، وَانْظُرْ مَنْ عَصَيْتَ. وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ بَادَأَكَ بِالْوُدِّ فَقَدَ اسْتَرَقَّكَ بِالشُّكْرِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৬৩


আল্লাহ্রই নিকট পবিত্র বাণীসমুহ আরোহণ করে এবং সৎকর্ম তাকে উন্নীত করে’ (৩৫ :
১০) ৷ মহান আল্লাহ তােমাদেরকে শাস্তি দানে তৎপর নন ৷ যে মহান আল্লাহর দিকে এগিয়ে
আসে মহান আল্পাহ্ তাকে বরণ করে নেন ৷ আর যে ব্যক্তি পিছন দিকে সরে যায় মহান আল্লাহ্
তাকে ডাকতে থাকেন ৷

যদি তুমি কাউকে আত্মদ্ভরিতার সাথে হঠকারিতাবশত প্রার্থনা পরিহার করতে দেখ,
তাহলে বুঝবে, তার অবক্ষয় পরিপুর্ণ হয়ে গেছে ৷

আওযাঈ বলেন, দামেশকে মানুষ পানির জন্য প্রার্থনা করতে বেরিয়ে আসে ৷ এমন সময়
ৰিলাল ইবন মধ্যে তাদের সম্মুখে দাড়িয়ে বললেন, উপস্থিত লোক সকল ! তােমৱা অপরাধ
স্বীকার করছ ? তারা বলল, ই৷ ৷ তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি বলেছ : ং: ;

০ ’ :

৷ (সৎ কর্যপরায়ণদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই ৷ ৯০ ৯১) ৷
আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করেছি ৷ অতএব, তুমি আমাদের পাপ মোচন কর ও
আমাদেরকে ক্ষমা কর ৷ আওযাঈ বলেন, ফলে ণ্সদিনই তারা পানি পেয়ে যায় ৷

আওযঙ্গী আরো বলেন, আমি ৰিলাল ইবন সাদকে বলতে শুনেছি, আমি এমন বহু মানুষ
দেখেছি, যারা স্বার্থের মাঝেছুটাছুটিকরে এবং পরস্পর হাসি-তামশো করে ৷ কিন্তু রাতে তারা
বৈরাগী হয়ে যায় ৷ আমি তাকে আরো বলতে শুনেছি, পাপের ক্ষুদ্রতার প্রতি দৃষ্টিপাত কর না ৷
সেই সত্তার দিকে তাকাও, তুমি যার অবাধ্যতা করেছ ৷

তিনি বলেন, আমি তাকে আরো বলতে শুনেছি-যে ব্যক্তি অগ্রগামী হয়ে তোমার সঙ্গে

হৃদ্যতা স্থাপন করল, যে তোমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আটকে ফেলল ৷ তিনি যেসব দু আ করতেন,
তার মধ্যে একটি হলো-হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট হৃদয়ের বক্রত৷ থেকে, পাপের
ধারাবাহিকতা আমল বিনষ্টকারী ও চোখের জ্যোতি হরণকারী বিষয়াদি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা
করছি ৷
আওযাঈ আরো বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন, রাহমানের বান্দাগণ! নিজেরা লেক
আমল না করে এবং পাপ বর্জন না করে যদি তোমরা মানুষকে মহান আল্লাহ্র আনুগত্যের প্রতি
আহ্বান কর, অর্থাৎ,যদি তোমরা দৃনিয়াকে ভালবাস, তাহলে তোমাদের আল্লাহর শাস্তিতে
নিপতিত হওয়ার জন্য তাই যথেষ্ট ৷,

ৰিলাল ইবন সাদ বলেন, যে ব্যক্তি তাওবা করে, আল্লাহ্ তার পাপ ক্ষমা করে দেন ৷ কিন্তু
সহীফা থেকে তামুছে ফেলেন না ৷ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তা সহীফায় বহাল থাকবে ৷

জাদ ইবন দিরহাম ন্

” জাদ ইবন ইব্রাহীম প্রথম ব্যক্তি, যিনি খালকে কুরআনের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন ৷
বনু উমায়্যার সর্বশেষ খলীফা মারওয়ান আল-হি মারকে তার প্রতি সম্পৃক্ত করেই মারওয়ান
আল-জাদী বলা হয় ৷ জাদ ইবন দিরহাম ছিলেন তার গুরু ৷ তিনি খুরাসান বংশোদ্ভুত ছিলেন ৷
কারো কারো মতে তিনি ছিলেন বনু মারওয়ানের গোলাম ৷ তিনি দামেশকে বসবাস করেন ৷
দামেশকের কালাসিয়টীন-এর সন্নিকটে গির্জার তার একটি বাড়ি ছিল ৷ ইবন আসাকির এই
তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷

আমার জানা মতে কালাসিয়টীন বর্তমানকার খাওয়াসসীনের একটি জনবসতি, যার

পশ্চিমাংশ হামামুল কাত্তানীন-মাকে হামামে কুলায়নিস বলা হয় এর সঙ্গে সং যুক্ত ৷


وَكَانَ مِنْ دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَيْغِ الْقُلُوبِ، وَمِنْ تَبِعَاتِ الذُّنُوبِ، وَمِنْ مُرْدِيَاتِ الْأَعْمَالِ، وَمُضِلَّاتِ الْفِتَنِ. الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ، هُوَ أَوَّلُ مَنْ قَالَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَهُوَ الَّذِي يُنْسَبُ إِلَيْهِ مَرْوَانُ الْجَعْدِيُّ وَهُوَ مَرْوَانُ الْحِمَارُ آخِرُ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ كَانَ شَيْخُهُ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ أَصْلُهُ مِنْ حَرَّانَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ مِنْ مَوَالِي بَنِي مَرْوَانَ. سَكَنَ الْجَعْدُ دِمَشْقَ، وَكَانَتْ لَهُ بِهَا دَارٌ بِالْقُرْبِ مِنَ الْقَلَانِسِيِّينَ إِلَى جَانِبِ الْكَنِيسَةِ، ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قُلْتُ: وَهِيَ مَحَلَّةٌ بِالْقُرْبِ مِنَ الْخَوَّاصِينَ الْيَوْمَ غَرْبِيَّهَا عِنْدَ حَمَّامِ الْقَطَّانِينَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: حَمَّامُ قُلَيْنِسَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ: وَقَدْ أَخَذَ بِدْعَتَهُ عَنْ بَيَانِ بْنِ سَمْعَانَ وَأَخَذَهَا بَيَانٌ عَنْ طَالُوتِ ابْنِ أُخْتِ لَبِيدِ بْنِ أَعْصَمَ وَزَوْجِ ابْنَتِهِ، عَنْ لَبِيدِ بْنِ أَعْصَمَ السَّاحِرِ لَعَنَهُ اللَّهُ، وَأَخَذَ عَنِ الْجَعْدِ الْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ الْخَزَرِيُّ. وَقِيلَ: التِّرْمِذِيُّ. وَقَدْ أَقَامَ بِبَلْخَ وَكَانَ يُصَلِّي مَعَ مُقَاتِلِ بْنِ سُلَيْمَانَ فِي مَسْجِدِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৬৪


ইবন আসাকির প্রমুখ বলেন, জা দ (খানকে কুরআনের) এই আবিষ্কারটি গ্রহণ করেছেন
বায়ান ইবন নাম আন থেকে ৷ বায়ান গ্রহণ করেহ্নে৷ লাবীদ ইবন আ নাম এর ভাগিনা তালুত
থেকে যে কিনা তার বোন-জামইি ৷ লাবীদ ইবন আ নাম সেই জাদুকর, যে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে জাদু করেছিল এই মতবাদ গ্রহণ করেছে৷ ইয়ামানের এক ইয়াহুদী থেকে ৷ জা দ
থেকে মতবাদট৷ গ্রহণ করেছেন জুহ্ম ইবন সাফওয়ান আল খাযারী, মতাস্তরে তিরমিষী ৷

জুহ্ম বলখে বাস করত ৷ ম্কাতিল ইবন সুলায়মান-এর সঙ্গে তারই মসজিদে নামায
আদায় করত এবং দু জ্যন বিতর্কে লিপ্ত হতো ৷ এক সময়ে বিতাড়িত হয়ে তিৱমিয চলে যায় ৷
তারপর জুহ্ম ইস্পাহানে খুন হয় ৷ কেউ কেউ বলেন মারুতে ৷ তারই নইিব সাল্ম ইবন
আহওয়ায তাকে হত্যা করেন ৷ আল্লাহ সাল্ম ইবন আইওয়ায-এর প্রতি রহম করুন এবং
মুসলমানদের পক্ষ থেকে তাকে উত্তম বিনিময় দান বব্রুন ৷

বিশৃর আল মুরায়সী মতবাদটা জুহ্ম থেকে গ্রহণ করেছে ৷ আহমাদ ইবন আবু দাউদ
গ্রহণ করেছে বিশ্ব থেকে ৷ ,

যা হোক, জা দ দামেশৃকে বসতি ৩স্থাপন করে ৷ খানকে কুরআনের মতবাদ ব্যক্ত বরোর পুর্ব
পর্যন্ত দামেশকেই বসবাস করে ৷ তারপর বনু উমায়্যা তার অনুসন্ধানে নেমে পড়ে ৷ ফলে সে
পালিয়ে কুফ৷ পিয়ে বসবাস করে ৷ সেখানে জুহ্ম ইবন সাফওয়ান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার
মতবাদের প্রতি একাত্মত৷ প্রকাশ করে ৷ তারপর খালিদ ইবন আবদুল্লাহ আল-কাসৃরী ঈদুল
আযহার দিন কুফায় জা দকে হত্যা করেন ৷ খালিদ একদিন তার খুতবায় জনতার উদ্দেশ্যে
বলেন, ণ্লাক সকল! আপনারা কুরবানী করুন, মহান আল্লাহ আপনাদের কুরবানী কবুল করে
নিবেন ৷ আমি জাদ ইবন দিরহামকে কুরবানী করছি ৷ লোকটি মনে করে, মহান আল্লাহ
ইব্রাহীম (আ) কে খালীলরুপে গ্রহণ করেননি এবং মুসা (আ) এর সঙ্গেও কথা বলেননি ৷
অথচ জা দ যা বলছে মহান আল্লাহ তা থেকে অনেক উধের্ধ ৷ তারপর তিনি ফিরে থেকে নেমে
মিম্বরের থোড়াৰ্তই তাকে যবাহকরে ফেলেন ৷

একাধিক হাফিয এই বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ তন্মধ্যে বুখারী, ইবন আবু হাতিম,
বায়হাকী ও আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ অন্যতম ৷ ইবন আসাকির ইতিহাস গ্রন্থে এই অভিমত
ব্যক্ত করেন ৷ ইবন আসাকির আরো উল্লেখ করেন যে, জা দ ইবন দিরহাম ওয়াহ্ব ইবন
মুনাব্বিহ-এর নিকট যাওয়া-আসা করত ৷ যখনই সে ওয়াহ্ব এর নিকট যেত, গোসল করে
নিত এবং বলত, আমি জ্ঞান আহৱণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি ৷ সে ওয়াহ্বকে মহান আল্লাহর
গুণাবলী সম্পৃর্কে জিজ্ঞাসা করত ৷ উত্তরে ওয়াহ্ব তাকে বলতেন, তোমার ধ্বংস হোক হে জাদ!
এ ব্যাপারে প্রশ্ন কম কর ৷ আমি তোমাকে ধ্বংসোন্মুখ লোকদের অতভুক্তি মনে করছি ৷ মহান
আল্লাহ যদি আমাদেরকে তীর কিভাবে অবহিত না করতেন যে, তীর হাত আছে, তাহলে
আমরা এসব বলতাম না ৷ যদি তিনি না প্ জানাতেন যে, তার চোখ আছে, তাহলে আমরা
একথা বলতাম না ৷ যদি তিনি না জানাতেন যে, তার নফস আছে, তাহলে আমরা একথা
বলতাম না ৷ যদি তিনি আমাদেরকে না জানাতেন যে, তার কান আছে, তাহলে আমরা একথা
বলতাম না ৷ তারপর তিনি মহান আল্লাহর ইল্ম, কালাম প্রভৃতির বিবরণ প্রদান করেন ৷ তার
অল্প ক দিন পরই জা দ শুলীবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ৷ ইবন আসাকির এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷
তিনি জা দ-এর জীবন চরিতে উল্লেখ করেছেন যে, জা দ হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ, মতাভৃরে
ইমরান ইবন হাত্তানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেনং :




وَيَتَنَاظَرَانِ، حَتَّى نُفِيَ إِلَى تِرْمِذَ، ثُمَّ قُتِلَ الْجَهْمُ بِأَصْبَهَانَ وَقِيلَ: بِمَرْوَ. قَتَلَهُ نَائِبُهَا سَلْمُ بْنُ أَحْوَزَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَجَزَاهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا، وَأَخَذَ بِشْرُ الْمَرِيسِيُّ عَنِ الْجَهْمِ وَأَخَذَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ، عَنْ بِشْرٍ وَأَمَّا الْجَعْدُ لَعَنَهُ اللَّهُ، فَإِنَّهُ أَقَامَ بِدِمَشْقَ حَتَّى أَظْهَرَ الْقَوْلَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَتَطَلَّبَهُ بَنُو أُمَيَّةَ فَهَرَبَ مِنْهُمْ، فَسَكَنَ الْكُوفَةَ فِلْقَيْهِ بِهَا الْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ فَتَقَلَّدَ هَذَا الْقَوْلَ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، ثُمَّ قَتَلَهُ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ يَوْمَ عِيدِ الْأَضْحَى بِالْكُوفَةِ وَذَلِكَ أَنَّ خَالِدًا خَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ تِلْكَ: أَيُّهَا النَّاسُ، ضَحُّوا تَقَبَّلَ اللَّهُ ضَحَايَاكُمْ، فَإِنِّي مُضَحٍّ بِالْجَعْدِ بْنِ دِرْهَمٍ إِنَّهُ زَعَمَ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يَتَّخِذْ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَلَمْ يُكَلِّمْ مُوسَى تَكْلِيمًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُ الْجَعْدُ عُلُوًّا كَبِيرًا. ثُمَّ نَزَلَ فَذَبَحَهُ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ بِيَدِهِ، أَثَابَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَتَقَبَّلَ مِنْهُ، وَذَلِكَ فِي أَيَّامِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقَدْ كَانَ هِشَامٌ طَلَبَهُ بِدِمَشْقَ حِينَ أَظْهَرَ مَا أَظْهَرَ، ثُمَّ إِنَّهُ هَرَبَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَى نَائِبِهِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ أَنْ يَقْتُلَهُ، فَقَتَلَهُ كَمَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ رَوَى قِصَّتَهُ مَعَ خَالِدٍ الْبُخَارِيُّ فِي " أَفْعَالِ الْعِبَادِ " وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِمَّنْ صَنَّفَ فِي السُّنَّةِ كَالطَّبَرَانِيِّ، وَابْنِ أَبِي عَاصِمٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ وَذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " التَّارِيخِ ". وَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ يَتَرَدَّدُ إِلَى وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ وَأَنَّهُ كَانَ كُلَّمَا رَاحَ إِلَى وَهْبٍ
পৃষ্ঠা - ৭৭৬৫
يَغْتَسِلُ وَيَقُولُ: أَجْمَعُ لِلْعَقْلِ. وَكَانَ يَسْأَلُ وَهْبًا عَنْ صِفَاتِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ لَهُ وَهْبٌ يَوْمًا: وَيْلَكَ يَا جَعْدُ أَقْصِرِ الْمَسْأَلَةَ، إِنِّي لَأَظُنُّكَ مِنَ الْهَالِكِينَ، لَوْ لَمْ يُخْبِرْنَا اللَّهُ فِي كِتَابِهِ أَنَّ لَهُ يَدًا مَا قُلْنَا ذَلِكَ، وَأَنَّ لَهُ عَيْنًا مَا قُلْنَا ذَلِكَ. ثُمَّ لَمْ يَلْبَثِ الْجَعْدُ أَنْ صُلِبَ، ثُمَّ قُتِلَ. وَذُكِرَ فِي تَرْجَمَتِهِ أَنَّهُ قَالَ لِلْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ وَيُرْوَى لِعِمْرَانِ بْنِ حِطَّانَ: لَيْثٌ عَلَيَّ وَفِي الْحُرُوبِ نَعَامَةٌ ... فَتْخَاءُ تَجْفُلُ مِنْ صَفِيرِ الصَّافِرِ هَلَّا بَرَزْتَ إِلَى غَزَالَةَ فِي الْوَغَى ... بَلْ كَانَ قَلْبُكَ فِي جَنَاحَيْ طَائِرِ