আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وعشرين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৭৪৪


ইজলাসে আপনি বহু বছর যাবত অবস্থান করছেন, বলতে পাবেন তার খুটি সংখ্যা কত ?
ইয়ান বললেন : আমি বললাম : জানি না ৷ তারপর আমি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করলাম ৷

১২৩ হিঅৰী সন

মাদাইনী তার শায়খদের থেকে বর্ণনা করেন যে, তুর্কী রাজা খাকান আসাদ ইবন
আবদুল্লাহ আল-কাসবীব শাসনামলে খুরাসানে নিহত হন, তখন তুরস্কের সংহতি বিক্ষিপ্ত হয়ে
পড়ে ৷ তারা পরস্পর হামলা খুনাখুনি করতে শুরু করল ৷ এমনকি দেশট৷ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার
উপক্রম হলো এবং তারা মুসলমানদের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে ৷

এ বছর সাপাদের অধিবাসীরা খুরাসানের গভর্নর নাসৃর ইবন সায়্যার-এর নিকট তাদেরকে
স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় এবং কয়েকটি শর্ত আরোপ করে ৷ কিন্তু আলিমপণ
তাদের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেন ৷ শর্তগুলো হলো, তাদের কেউ যদি ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ
হয়ে যায়, তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না, তাদের থেকে মুসলিম বন্দীদেরকে ফিরিয়ে আনতে
পারবে না ইত্যাদি ৷ নাসৃর ইবন সায়্যার তাদের এসব দাবী মেনে নিতে চেয়েছিলেন ৷ কেননা,
তারা মুসলমানদের মাঝে বেশ কাবুন্ হয়ে গিয়েছিল ৷ কিত্তু জনগণ এর জন্য গর্সেরকে তিরঙ্কার
করল ৷ ফলে তিনি এ বিষয়ে হিশাম-এর নিকট পত্র; লিখেন ৷ হিশাম বিষয়টা আপাতত স্থগিত
রাখেন ৷ কিন্তু পরে যখন দেখতে পেলেন, তারা যদি মুসলমানদের বিরুদ্ধাচরণ অব্যাহত রাখে,
তাহলে আরো বেশী ক্ষতিকর হবে ৷ ফলে হিশাম তাদের দাবী মেনে নেন ৷

ওদিকে ইরাকের গভর্নর ইউসুফ ইবন উমর আমীরুল মু’মিনীনের নিকট প্রতিনিধি প্রেরণ
করে খুরাসানের গক্তরীি তাকে প্রদান করার আবেদ্যা জানান ৷ তারা নাসৃর ইবন সায়্যার
সম্পর্কেও আলোচনা করে যে, যদিও তিনি দুঃসাহসী বীর পুরক্ষ্ম, কিন্তু এখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে
গেছেন এবং তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে ৷ তিনি কাছে থেকে আওয়ায না শুনে কাউকে
চিনেন না ৷ কিত্তু হিশাম প্রস্তাবটির প্রতি কর্ণপাত করলেন না এবং খুরাসানের গভর্নরের পদে
নাসৃর ইবন সায়্যারাকই বহাল রাখেন ৷

ইবন জারীর বলেন৪ এ বছর ইয়াযীদ ইবন হিশাম ইবন আবদুল মালিক সােকদেরকে
হজ্জ করান ৷ তখন উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ বিজ্যি প্রদ্যেশর গভর্ণর হিঃলন ৷

এ বছর দামেশৃকের রৰীঅ৷ ইবন ইয়াযীদ আল-কাসীর, আবু ইউনুস সুলায়মান ইবন
জুবায়র, সাম্মাক ইবন হাবৃব ও মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি ইবন হায়্যান মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ আমি
আমার গ্রন্থ আততাকযীল-এ তাদের জীবন-চরিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান
আল্লাহর ৷ মুহাম্মদ ইবন ওয়াসি বলেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাদেরকে হিসাবের জন্য
ডাকা হবে, তারা হলো বিচারকগণ ৷ প্
তিনি আরো বলেন৪ পাচটি বিনয় অতরকে মেরে ফেলে ৷ ১ পাপের উপর পাপ করা, ২

মৃতদের সঙ্গে উঠাবসা করা ৷ জিজ্ঞাসা করা হলো, মৃত’ কারা ? তিনি বললেন৪ বিলাসী
বিজ্ঞান ও অত্যাচারী রাজা ৷ ৩ মহিলাদের অধিক ঝগড়া-বিবাদ করা ৷ ৪ মহিলাদের বেশী
কথা বলা এবং ৫ পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যস্ত থাকা ৷

মালিক ইবন দীনার বলেন আমি সেই ব্যক্তিকে ঈর্ষা করি, যার প্রয়োজন পরিমাণ
জীবিকা রয়েছে এবং তাতে ণ্ন তুষ্ট ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ ذَكَرَ الْمَدَائِنِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّ خَاقَانَ مِلْكَ التُّرْكِ لَمَّا قُتِلَ فِي وِلَايَةِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ عَلَى خُرَاسَانَ، تَفَرَّقَ شَمْلُ الْأَتْرَاكِ وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يُغِيرُ عَلَى بَعْضٍ، وَبَعْضُهُمْ يَقْتُلُ بَعْضًا حَتَّى كَادَتْ أَنْ تُخَرَّبَ بِلَادُهُمْ، وَاشْتَغَلُوا عَنِ الْمُسْلِمِينَ. وَفِيهَا سَأَلَ أَهْلُ الصُّغْدِ مِنْ أَمِيرِ خُرَاسَانَ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ أَنْ يَرُدَّهُمْ إِلَى بِلَادِهِمْ، وَسَأَلُوهُ شُرُوطًا أَنْكَرَهَا الْعُلَمَاءُ، مِنْهَا ; أَنْ لَا يُعَاقَبُ مَنِ ارْتَدَّ مِنْهُمْ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَلَا تُؤْخَذُ أُسَرَاءُ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ، وَغَيْرُ ذَلِكَ، فَأَرَادَ أَنْ يُوَافِقَهُمْ عَلَى ذَلِكَ لِشِدَّةِ نِكَايَتِهِمْ فِي الْمُسْلِمِينَ، فَعَابَ عَلَيْهِ النَّاسُ ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَى هِشَامٍ فِي ذَلِكَ فَتَوَقَّفَ، ثُمَّ لَمَّا رَأَى أَنَّ هَؤُلَاءِ إِذَا اسْتَمَرُّوا عَلَى مُعَانَدَتِهِمْ لِلْمُسْلِمِينَ كَانَ ضَرَرُهُمْ أَشَدَّ، أَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ. وَقَدْ بَعَثَ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ أَمِيرُ الْعِرَاقِ وَفْدًا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَسْأَلُ مِنْهُ أَنْ يُضَمَّ إِلَيْهِ نِيَابَةَ خُرَاسَانَ، وَتَكَلَّمُوا فِي نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ أَمِيرِ خُرَاسَانَ بِأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ شَهْمًا شُجَاعًا، إِلَّا أَنَّهُ قَدْ كَبِرَ وَضَعُفَ بَصَرُهُ فَلَا يَعْرِفُ الرَّجُلَ إِلَّا مِنْ قَرِيبٍ بِصَوْتِهِ، وَتَكَلَّمُوا فِيهِ كَلَامًا كَثِيرًا، فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَى ذَلِكَ هِشَامٌ وَاسْتَمَرَّ بِهِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৭৪৫
إِمْرَةِ خُرَاسَانَ وَوِلَايَتِهَا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا يَزِيدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْعُمَّالُ فِيهَا مَنْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُمْ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ الْقَصِيرُ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ وَأَبُو يُونُسَ سُلَيْمُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَسِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ وَاسْعِ بْنِ جَابِرٍ وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.