আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وعشرين ومائة

وممن توفي في هذه السنة من الأعيان

وممن توفي في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৭৩২

দেন ৷ তার সঙ্গে নাসৃর ইবন থুযায়মা, মুআবিয়া ইবন ইসহাক ইবন যায়দ ইবন হারিছা আল
আনসারী এবং যিয়াদ আল-হিন্দীকেও শুলে চড়ানাে হয় ৷ কথিত আছে, যায়দ চার বছর যাবত
শুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিলেন ৷ত তারপর লাশটি নামিয়ে পুড়ে ফেলা হয় ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

আবু জা ফর ইবন জা ৷রীর আত তাবারী উল্লেখ করেন যে ইউসুফ ইবন উমর সে সবের
কিছুই জানতেন না ৷ হিশাম ইবন আবদুল মালিক পত্র লিখে তাকে অবহিত করেনা; আপনি
জানেন না যে, যায়দ ইবন আ ৷লী কুফ৷ য় লেজ পেড়ে বলেছেন ৷ তিনি নিজের জন্য যায় তাতে
নিচ্ছেন ৷ আপনি তাকে আর করুন এবং নিরাপত্তা প্রদান করুন ৷ যদি তিনি আপনার নিরাপত্তা
গ্রহণ না করে, তাহলে তার সঙ্গে যুদ্ধ করুন ৷ ফলে ইউসুফ ইবন উমর তাকে ডেকে পাঠান ৷
পরে যা ঘটনার ঘটেছে ৷

যা হোক, ইউসুফ ইবন উমর কবর থেকে লাশ তুলে মাথাট৷ আলাদা করে হিশাম এর
নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ পরে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ক্ষমতাসীন হয়েত তার লাশ নামিয়ে পুড়ে
ফেলেন ৷ মহান আল্লাহ্ং ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ এর অকল্যাণ করুন ৷

অপরদিকে যায়দ ইবন আলীর ছেলে ইয়াহ্ইয়৷ ইবন যায়দ ইবন আলী আবদুল মালিক
ইবন বিশ্ব ইবন মারওয়ান এর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে ৷ আবদুল মালিক ইউসুফ ইবন
উমরকে প্রেরণ করে রাগ ধমক দিয়ে তাকে উপস্থিত করান ৷ আবদুল মালিক ইবন বিশ্ব
বলেনঃ তার মত লোককে আমি আশ্রয় দিতে পারি না যে আমাদের দুশমন এবং দুশমনের
ছেলে ৷ ইউসুফ ইবন উমর তার মতে একমত হন ৷ আবদুল মালিক ইবন বিশ্ব তাকে
যোরাসান পাঠিয়ে দেন ৷ ইয়াহ্য়া ইবন যায়দ এক দল যায়দিয়্যার সঙ্গে খুরাসান চলে যায় ৷
সেখানে তারা কিছুকাল বসবাস করে ৷

আবু মিখনাফ বলেন : যায়দ ইবন আলী নিহত হ্ওয়ার পর ইউসুফ ইবন উমর
কুফারাসীদের উদ্দেশ্যে ভাযণ দান করেন ৷ তাতে তিনি তাদেরকে হুন্ারুিধ্ম্কি দেন ও
তিরস্কার করেন এবং বলেন : আল্লাহর শপথ! আমি আমীরুল মু’মিনীনের নিকট তোমাদের
একদল লোককে হত্যা করার অনুমতি প্রার্থনা করেছি ৷ যদি তিনি আমাকে অনুমতি দেন, আমি
তোমাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করব এবং মহিলাদেরকে বন্দী করব ৷ আজ আমি তােমাদেরকে
এই অপ্রীতিকর কথাগুলো শোনানাের জন্যই মিম্বরে উঠেছি ৷

ইবন জারীর বলেন : এ বছর আবদুল্লাহ আল-বাত্তাল একদল মুসলমানের সঙ্গে রোমের
মাটিতে নিহত হন ৷ ইবন জারীর এর অতিরিক্ত আর কিছু বলেননি ৷ হাফিয ইবন আসাকির
তার ইতিহাস গ্রন্থে এই লােকটির কথা উল্লেখ করেছেন ৷

আবদুল্লাহ্ আবু ইয়াহ্ইয়া, যিনি বাত্তাল নামে পরিচিত

তিনি আনৃতাকিয়ায় বাস করতেন ৷ আবু মারওয়ান আল আনতাকী তার থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ আবু মারওয়ান আনতাকী তার সনদে বর্ণনা করেছেন, আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ান যখন তার পুত্র মাসলামার রোমে যুদ্ধ করার জন্য সিদ্ধা ৷ম্ভ গ্রহণ করেন তখন তিনি
বাত্তালকে জাযীরা ও সিরীয় নেতাদের কমাণ্ডার নিযুক্ত করেন এবং ছেলেকে বলে দেন,
বাত্তালকে তোমার অগ্রগামী বাহিনীর৷ দ ৷য়িতু প্রদান করবে এবংত তাকে নির্দেশ দেবে, যেন সে
সৈন্যদের নিয়ে রাতে পথ চলে ৷ লোকটা বিশ্বস্ত নির্ভরযোগ্য সাহসী ও বীর যোদ্ধ৷ ৷ আবদুল
মালিক তাদেরকে বিদায় জানানোর জন্য দামেশৃকের ফন্টক পর্যন্ত গমন করেন ৷ বর্ণনাকারী


جُرْمًا مِنْ غَيْرِهَا ; لِأَنَّ وَاضِعَهَا يَدْخُلُ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» . [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] إِيَاسٌ الذَّكِيُّ وَهُوَ إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ بْنُ إِيَاسِ بْنِ هِلَالِ بْنِ رِئَابِ بْنِ عَبْدِ بْنِ دُرَيْدِ بْنِ أَوْسِ بْنِ سُوَاءَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَارِيَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ ذُبْيَانَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَوْسِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُدِّ بْنِ طَابِخَةَ بْنِ إِلْيَاسِ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ هَكَذَا نَسَبَهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، وَهُوَ أَبُو وَاثِلَةَ الْمُزَنِيُّ قَاضِي الْبَصْرَةِ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ، وَلِجَدِّهِ صُحْبَةٌ، وَكَانَ يُضْرَبُ الْمَثَلُ بِذَكَائِهِ، رَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ مَرْفُوعًا فِي الْحَيَاءِ، عَنْ أَنَسٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَنَافِعٍ، وَأَبِي مِجْلَزٍ. وَعَنْهُ الْحَمَّادَانِ، وَشُعْبَةُ، وَالْأَصْمَعِيُّ وَغَيْرُهُمْ. قَالَ عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: إِنَّهُ لَفَهِمٌ، إِنَّهُ لَفَهِمٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৩

বলেনং : সেমতে মাসলাম৷ দশ হা আর সৈন্য নিয়ে বাত্তাল এর নিকট গমন করেন ৷ এই দশ
হাজার সৈন্য রোমানদের বিপক্ষে ঢালরুপে অবস্থ ন গ্রহণ করবে, যাতে রোমানরা মুসলিম

বাহিনী পর্যন্ত পৌছাতে না পারে ৷

মুহাম্মদ ইবন আইয দামেশৃকী ওয়ালীদ ইবন মাসলাম৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু
মারওয়ান যিনি আনতাকিয়ার একজন প্রবীণ ব্যক্তি-বলেছেন৪ আমি বাত্তাল এর সঙ্গে যুদ্ধ
করছিলাম ৷ তিনি রোম রা ৷জ্যটাকে পিষে ফেলেছিলেন ৷

বাত্তাল বলেনং : বনু উমায়্যার কোন এক শাসক আমাকে আমার যুদ্ধ জীবনের সবচ্যেয়
বিস্ময়কর ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ আমি বললাম : এক রাতে আমি অভিযানে বের
হই ৷ এক সময়ে আমরা একটি গ্রামে গিয়ে পৌছি ৷ আমি আমার সঙ্গীদেরকে বলি : তোমরা
তোমাদের ঘোড়াগুলােরলাগাম ঢিলা করে দাও আর এলাকা ও এলাকাবাসীর উপর পুরোপুরি
নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত কারো প্রতি হত্যা কিৎবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে হাত বাড়াবে না ৷
তারা তাই করে এবং এলাকার অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আমি আমার কয়েকজন সঙ্গীকে
নিয়ে একটি ঘরে গিয়ে উপনীত হই ৷ ঘরটিতে বাতি জ্বলছিল এবং এক মহিলা এই বলে তার
ছেলের কান্ন৷ থামাচ্ছিল যে, চুপ কর, নইলে আমি তোমাকে বাওালকে দিয়ে দিব ৷ বাত্তাল
তোমাকে নিয়ে নেবেন ৷ এক পর্যায়ে মহিলা ছেলেটিকে খ৷ ট থেকে ফেলে নীচে নামিয়ে দিয়ে
বলে৪ বাত্তাল একে নিয়ে যাও ৷ বাত্তাল বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমি ছেলেটিকে তুলে নিলাম ৷

বাত্তাল হতে যথাক্রমে আবু মারওয়ান আল আনতাকী ও ওয়ালীদ ইবন মুসলিম সুত্রে
মুহাম্মদ ইবন আইয বর্ণনা করেন যে, বাত্তাল বলেন৪ একদা আমি একাকী হ টছিলাম ৷ আমার
সঙ্গে আমার সৈন্য ছিল না ৷ আমার পিঠে একটি থলেপ্ ঝুলছিল, যাতে কিছু যব ছিল ৷ সঙ্গে
একটি রুমালও ছিল, যাতে রুটি আর ভুনা গোশৃত ছিল ৷ আমি এই ভেবে ইাটছিলাম, যদি
কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো কিৎবা কোন সংবাদ পেতাম৷ হাটতে হাটতে আমি একটি বাগানে
গিয়ে পৌছলাম যাতে ভাল ভাল সবজি বিদ্যমান ৷ আমি নেমে রুটি গোশৃত দ্বারা সবজি
থেলাম ৷ কিছু পেস্তা আপেলও থেলাম ৷ তাতে আমার রেজায় দাস্ত শুরু হয়ে গেল ৷ আমার ভয়
হতে লাগল, অধিক৷ দা স্তের ফলে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি কিনা ৷ কলে আমি ঘোড়া য় চড়ে বসলাম
এবং আমার সমানে দাস্ত চলছে ৷ ভয় হলো, দুর্বলতার কারণে ঘোড়া র পিঠ থেকে পড়ে যাই
কিনা! আমি ঘোড়া র লাগান ধরে উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম ৷ ঘোড়া আমাকে কে ৷থায় নিয়ে
যাচ্ছে, আমি জানি না ৷ সমতল ভুমিতে ঘোড়ার পায়ের শব্দ ছাড় ৷আমি কিছুই শুনতে
পাচ্ছিলাম না ৷ এক সময়ে মাথা তুলে আমি একটি মঠ দেখতে পেলাম ৷ মঠ থেকে কয়েকজন
সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে আসে ৷ তাদের একজন অন্যদেরকে তার ভাষায় বলে : লোকটাকে
নামিয়ে নিয়ে আস ৷ তারা আমাকে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামিয়ে আমার কাপড়-চোপড়, ঘোড়ার
যীন ও ঘোড়া ধুয়ে দেয় এবং আমাকে একটি খাটের উপর শুইয়ে দেয় ৷ তারা আমার জন্য
পানাহারের ব্যবস্থা করে ৷ আমি একটানা একদিন একরাত অবস্থান করলাম ৷ তারপর আরো
তিনদিন অবস্থান করলাম ৷ একদিনে আমার অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এল ৷ এমন সময় এক
রোমক সেনাপতি এসে হাযির ৷ ল্যেকটি এই মহিলাকে ব্যিয় করতে আগ্রহী ৷ আমি যে ঘরে
অবস্থান করছিলাম, আমার ঘোড়াটাত তার দরযার সঙ্গে বাধা ছিল ৷ আমি রওয়ান৷ হওয়ার জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম ৷ এমন সময়ত তাদের আরেক বড় নেতা এসে উপস্থিত ৷ তিনিও
মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে এসেছেন ৷ তাকে কে একজন বলে দিল, এই ঘরে একজন


وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَالْعِجْلِيُّ، وَابْنُ مَعِينٍ، وَالنَّسَائِيُّ: ثِقَةٌ. زَادَ ابْنُ سَعْدٍ: وَكَانَ عَاقِلًا مِنَ الرِّجَالِ فَطِنًا. وَزَادَ الْعِجْلِيُّ: وَكَانَ فَقِيهًا عَفِيفًا. وَقَدْ قَدِمَ دِمَشْقَ فِي أَيَّامِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَوَفَدَ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمَرَّةً أُخْرَى حِينَ عَزَلَهُ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ قَضَاءِ الْبَصْرَةِ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُهُ: تَحَاكَمَ إِيَاسٌ وَهُوَ صَبِيٌّ شَابٌّ، وَشَيْخٌ إِلَى قَاضِي عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ الْقَاضِي: إِنَّهُ شَيْخٌ وَأَنْتَ شَابٌّ، فَلَا تُسَاوِهِ فِي الْكَلَامِ. فَقَالَ إِيَاسٌ: إِنْ كَانَ كَبِيرًا فَالْحَقُّ أَكْبَرُ مِنْهُ. فَقَالَ لَهُ الْقَاضِي: اسْكُتْ. فَقَالَ: وَمَنْ يَتَكَلَّمُ بِحُجَّتِي إِذَا سَكَتُّ؟ فَقَالَ الْقَاضِي: مَا أَحْسَبُكَ تَنْطِقُ بِحَقٍّ فِي مَجْلِسِي هَذَا حَتَّى تَقُومَ. فَقَالَ إِيَاسٌ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ - زَادَ غَيْرُهُ: فَقَالَ الْقَاضِي: مَا أَظُنُّكَ إِلَّا ظَالِمًا لَهُ. فَقَالَ: مَا عَلَى ظَنِّ الْقَاضِي خَرَجْتُ مِنْ مَنْزِلِي - فَقَامَ الْقَاضِي، فَدَخَلَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَأَخْبَرَهُ خَبَرَهُ فَقَالَ: اقْضِ حَاجَتَهُ وَأَخْرِجْهُ السَّاعَةَ مِنْ دِمَشْقَ، لَا يُفْسِدُ عَلَيَّ النَّاسَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمَّا عَزَلَهُ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ قَضَاءِ الْبَصْرَةِ فَرَّ مِنْهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَوَجَدَهُ قَدْ مَاتَ، فَكَانَ يَجْلِسُ فِي حَلْقَةٍ فِي جَامِعِ دِمَشْقَ، فَتَكَلَّمَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ فَرَدَّ عَلَيْهِ إِيَاسٌ فَأَغْلَظَ لَهُ الْأُمَوِيُّ، فَقَامَ إِيَاسٌ فَقِيلَ لِلْأُمَوِيِّ: هَذَا إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْمُزَنِيُّ. فَلَمَّا عَادَ مِنَ الْغَدِ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ الْأُمَوِيُّ وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৪




০০ ৷৷া৪ না :

আল-বিদারা ওয়ান নিহায়া ৫২৭

লোক আছে এবং তার একটি ঘোড়া আছে ৷ শোনামাত্র তারা আমার উপর বাপিয়ে পড়ল ৷
মহিলা তাদেরকে ঠেকিয়ে রাখে এবং বলে যদি তার দরযা খুলে দেওয়া হয়, তাহলে আমি তার
প্রয়োজন পুরণ করতে পারব না ৷ মহিলা আমার উপর আক্রমণ প্রতিহত করে ফেলে ৷ বড়
নেতা শেষ রাত পর্যন্ত তাদের যিয়াফতে অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি নিজ ঘোড়ার আরোহণ
করেন ৷ তার সঙ্গীরা তার সঙ্গে আরোহণ করে এবৎ তিনি চলে যান ৷

বাত্তাল বলেন : আমি তাদের পিছনে পিছনে রওয়ানা হলাম ৷ তারা আমার উপর পুনরায়
আক্রমণ করে বসে কিনা এই ভয়ে মহিলা আমাকে ফিরিয়ে রাখার চেষ্টা করল ৷ কিন্তু আমি
বিরত হলাম না ৷ চলতে চলতে আমি তাদের ধরে ফেললাম ৷ এক পর্যায়ে আমি তার উপর
আক্রমণ করে বসলাম ৷ তার সঙ্গীরা তাকে ফেলে কেটে পড়ল ৷ তিনিও পালাবার চেষ্টা
করলেন ৷ আমি তাকে ধরে কেললাম এবং হত্যা করে তার সম্পদ ছিনিয়ে নিলাম এবং মাথাটা
কেটে ঘোড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে নিয়ে মঠের দিকে ফিরে গেলাম ৷ মহিলারা বেরিয়ে এসে আমার
সম্মুখে দাড়িয়ে গেল ৷ আমি তাদেরকে বললামং আপনারা আরোহণ করুন ৷ সেখানে যেসব
বাহন ছিল, তারা সেগুলােতে আরোহণ করে ৷ আমি তাদেরকে সেনাপতির নিকট নিয়ে গেলাম
এবং মহিলাগুলোকে তার হাতে তুলে দিলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন৪ এদের যাকে তোমার
পসন্দ হয় নিয়ে নাও ৷ আমি সেই সুন্দরী মহিলাকে নিয়ে নিলাম ৷ সে-ই এখন আমার
সন্তানদের মা ৷ তার পিতা বড় মাপের একজন নেতা ছিলেন ৷ পরে বাত্তাল তার পিতা ৷র সঙ্গে
পত্র ও হাদিয়া বিনিময় করতেন ৷

বর্ণিত আছে, আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান যখন বাত্তালকে মাসীসার গভর্নর নিযুক্ত
করেন, তখন তিনি রোমের উদ্দেশ্যে একটি অভিযান প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তাদের সঙ্গে তার
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷৩ তারা কী করল, কী হলো, তা তিনি জানতে পারলেন না ৷ ফলে
তিনি একাকী ঘোড়ার চড়ে রওয়ানা হন এবৎ আমুরিয়৷ এসে পৌছান ৷ তিনি রাতের বেলা
আমুরিয়ার দরযায় করাঘাত করলেন ৷ দ্বাররক্ষী বলে : কে ? বাত্তাল বলেন : আমি বলি ও আমি
বাদশাহর জল্লাদ এবং বিতরীক (রোমানদের নেতা) এর নিকট বাদশাহর দুত হয়ে এসেছি ৷
দ্বাররক্ষী দরযা খুলে পথ দেখিয়ে আমাকে বিতরীক-এর নিকট নিয়ে গেল ৷ আমি যখন তার
নিকট প্রবেশ করি, তখন তিনি পালংকে উপবিষ্ট ৷ আমি তার সঙ্গে তার পার্শে পালংকে
উপবেশন করলাম ৷ তারপর বলি : আমি আপনার নিকট একখানা পত্র নিয়ে এসেছি ৷ আপনি
এদেরকে চলে যেতে বলুন ৷ বিতরীক তার লোকদেরকে চলে যেতে আদেশ করলেন ৷ তারা
চলে গেল ৷ বাত্তার্লবলেনঘ্র তারপর তিনি উঠেদ্ব গির্জার দরযা ৷টি বন্ধ করে দিলেন ৷ এখন ঘরে
তিনি আর আমি ৷৩ তারপর গিয়ে তিনি নিজের স্থানে বসলেন ৷ এই সুযোগে আমি আমার
তরবারিট৷ কােষমুক্ত করে তার ভোতা অংশ দ্বারা তার মাথায় আঘাত করলাম এবং বলি৪
আমি বাত্ত ল ৷ সত্য সত্য বল, আমি যে বাহিনীটি তোমার দেশে প্রেরণ করেছিলাম, তারা
কোথায় ? মিথ্যা বললে এই মুহুর্তে আমি তোমার ণর্দান উড়িয়ে দেব ৷ ফলে তিনি আমাকে
তাদের সন্ধান দিলেন এবং বললেন : তারা আমার দেশে আছে এবৎ লুটতরাজ করে ফিরছে ৷
এই যে একটি পত্র, এটি-ই প্রমাণ করছে, তারা অমুক অমুক উপত্যকায় অবস্থান করছে ৷
আল্লাহর শপথ আমি তোমাকে সত্য বলেছি ৷ আমি বললাম৪ আপনি আমাকে নিরাপত্তা দিন ৷
তিনি আমাকে নিরাপত্তা প্রদান করলেন ৷ আমি বললামং আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করুন ৷


لَمْ أَعْرِفْكَ، وَقَدْ جَلَسَتْ إِلَيْنَا بِثِيَابِ السُّوقَةِ وَكَلَّمْتَنَا بِكَلَامِ الْأَشْرَافِ، فَلَمْ نَحْتَمِلْ ذَلِكَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ قَالَ: كَانَ يُقَالُ: يُولَدُ فِي كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ رَجُلٌ تَامُّ الْعَقْلِ. فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ إِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ مِنْهُمْ. وَقَالَ الْعِجْلِيُّ: دَخَلَ عَلَى إِيَاسٍ ثَلَاثُ نِسْوَةٍ، فَلَمَّا رَآهُنَّ قَالَ: أَمَّا إِحْدَاهُنَّ فَمُرْضِعٌ، وَالْأُخْرَى بِكْرٌ، وَالْأُخْرَى ثَيِّبٌ. فَقِيلَ لَهُ: بِمَ عَلِمَتْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَمَّا الْمُرْضِعُ فَلَمَّا قَعَدَتْ أَمْسَكَتْ ثَدْيَهَا بِيَدِهَا، وَأَمَّا الْبِكْرُ فَلَمَّا دَخَلَتْ لَمْ تَلْتَفِتْ إِلَى أَحَدٍ، وَأَمَّا الثَّيِّبُ فَلَمَّا دَخَلَتْ نَظَرَتْ وَرَمَتْ بِعَيْنَيْهَا. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ حَبِيبٍ:، ثَنَا الْأَحْنَفُ بْنُ حَكِيمٍ بِأَصْبَهَانَ ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، سَمِعْتُ إِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: أَعْرِفُ اللَّيْلَةَ الَّتِي وُلِدْتُ فِيهَا، وَضَعَتْ أُمِّي عَلَى رَأْسِي جَفْنَةً. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: قَالَ إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ لِأُمِّهِ: مَا شَيْءٌ سَمِعْتُهُ وَأَنْتِ حَامِلٌ بِي وَلَهُ جَلَبَةٌ شَدِيدَةٌ؟ قَالَتْ: تِلْكَ يَا بُنَيَّ طِسْتٌ سَقَطَتْ مِنْ فَوْقِ الدَّارِ إِلَى أَسْفَلَ، فَفَزِعْتُ فَوَلَدَتُكَ تِلْكَ السَّاعَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৫


তিনি তার সঙ্গীদেব৫ক নির্দেশ দিলেন ৷৩ তারা খাবার এসে আমার সম্মুখে রাখল ৷ আমি খাবার
খেয়ে ফিরে আসার জন্য উঠে দাড়ালাম ৷ তিনি তার সঙ্গীদের বললে ং ণ্ড্র৫তামরা বাদশাহর
দুতের সম্মুখ থেকে সরে যাও ৷ তারা দ্রুততার সাথে আমার সম্মুখ থেকে সরে গেল ৷ তিনি যে
উপত্যকার কথা বল৫লন৪ আমি সেখানে চলে পেলাম ৷ দেখলাম সত্যিই আমার সঙ্গীরা
সেখানে রয়েছে ৷ আমি তাদেরকে নিয়ে মাসীসায় ফিরে এলাম ৷ এ আমার জীবনের এক
অভিনব ঘটনা
ওয়ালীদ বলেন : আমাদের জনৈক শায়খ আমাকে বলেন যে, তিনি বাত্তালকে হজ্জ করে
ফিরে আসতে দেখেছেন ৷ বলা বাহুল্য যে, বাত্তাল জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারণে হজ্জ করতে
পারেননি ৷ আর তিনি সব সময় মহান আল্লাহর নিকট হজ্জ সম্পাদনের পর শাহাদাতের দুআ
করতেন ৷ তিনি যে বছর শাহাদাত লাভ করেন, সে বছর ব্যতীত হজ্জ করার সুযোগ পাননি ৷
মহান আল্পাহ্ তার প্ৰতি রহম করুন ৷ আর তার শাহাদাতের কারণ এই ছিল যে, রোমান
রাজার এক চাটুকার এক লাখ অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে কুস্তুন্তীনিয়া থেকে রওয়ানা হয় ৷ ফলে
বিতরীক বাত্তাল যার কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন, বাত্তালকে বিষয়টা অবহিত করে ৷ বাত্তাল
অবহিত করে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতিকে ৷ তখন মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন মালিক
ইবন শাবীব ৷ সংবাদ দিয়ে বাত্তাল তাকে বলেন : আমি মনে করি, হাররান নগরীতে দুর্গবদ্ধ
হয়ে থাকা আমাদের পক্ষে কল্যাণকর হবে ৷ আমরা সেখানে অবস্থান নিয়ে ইসলামী বাহিনী
নিয়ে সুলায়মান ইবন হিশাম এর আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা করব ৷ কিন্তু সেনাপতি মালিক ইবন
শাবীব এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ৷ ফলে শত্রুবাহিনী তাদের উপর বাপি৫য় পড়ে ৷ উভয় পক্ষ
ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ বীর শত্রু সেনারা বাত্তা ল এর সম্মুখে চক্কর কাটতে শুরু করে ৷ কিন্তু
রোমান সৈন্যদের একজনও ভয়ে তার নাম ধরে হীক দেওয়ার সাহস গেল না ৷ এক পর্যায়ে
ং তাদের একজন তাকে ভুল নামে ডাক দিল ৷ ৫রামক সৈন্যরা ডাক শুনে একযোগেতার উপর
বাপিয়ে পড়ল ৷ তৃারা তাকে বর্শার আঘাতে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামিয়ে এনে মাটিতে ফেলে
দেয় ৷ তিনি দেখতে পান ম ৷নুষ খুন হচ্ছে আর বন্দী হচ্ছে ৷ ইতোমধ্যে সেনাপতি মালিক ইবন
শাবীব নিহত হয়েছেন ৷ মুসলমানরা পরাজিত হয়ে সেই বিধ্বস্ত শহরে ফিরে গিয়ে দুর্গবদ্ধ হয়ে
পড়ে ৷
পরদিন ভোররেলা শত্রু পক্ষের সেনাপতি রণাসনে এসে দেখতে পায় বাত্তাল ৫শ ষ অবস্থায়
পতিত ৩হ৫য়৫ছ ৷ সে তাকে বলে৪ আবু ইয়াহয়ান্ব এ তোমার কী দশ্া৷ ? বাত্তাল বলে : বীর
৫যাদ্ধার৷ এভাবেই নিহত হয়ে থাকে ৷ত তার চিকিৎসার জন্য সেনাপতি ড়াক্তার তলব করেন ৷
ডাক্তারগণ জানালেন, তার ক্ষত নিয়ন্ত্র৫ণর বাইরে চলে গেছে ৷৩ তাই সেনাপতি বলেন : তোমার
কি কোন চাহিদা আছে হে আবু ইয়াহ্ইয়ান্শু বাত্তালন্ বলেন ’চ্হৰুা, আছে ৷ তোমার সঙ্গে যে
মুসলমানরা আছে তারা যেন আমার গোসল জানায৷ ও দাফনের ব্যবন্থাণ্ৰুন্হৃাৰুরে ৷ বাদশাহ তাই
করেন এবং সেই সুত্রে বন্দীদের মুক্ত করে দেন ৷ ৫রামক ৫সনাপনি দৃ৫র্গ আশ্রয় নেওয়া
মুসলমানদের নিকট গিয়ে তাদেরকে অবরোধ করে ৷ মুসলমানরা মহাসৎ ক৫ট পড়ে ৷ ঠিক এমন
সময়ে শীত এসে পড়ে ৷ এসে পড়লেন ইসলামী ৫ফীজসহ সুলাযমান ইবন হিশ্া৷ম ৷ রোমান
সেনাপতি৩ ৷ ৷র অপদার্থ সৈন্যদের নিয়ে পালিয়ে নিজ শহরে ফি৫র ৫ভুাল ৷ মহান আল্লাহ্ তার
অকল্যাণ করুন ৷ সে কুস্তুন্তীনয়া প্রবেশ করে দুর্গে ? যে আশ্রয় নেয় ৷ ,


وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ شَبَّةَ النُّمَيْرِيِّ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ إِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ قَالَ: مَا يَسُرُّنِي أَنْ أَكْذِبَ كِذْبَةً لَا يَطَّلِعُ عَلَيْهَا إِلَّا أَبِي مُعَاوِيَةَ لَا أُحَاسَبُ عَلَيْهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَنَّ لِي الدُّنْيَا بِحَذَافِيرِهَا. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ عَنْ إِيَاسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ: مَا خَاصَمْتُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْأَهْوَاءِ بِعَقْلِي كُلِّهِ إِلَّا الْقَدَرِيَّةَ ; قَلْتُ لَهُمْ: أَخْبِرُونِي عَنِ الظُّلْمِ مَا هُوَ؟ قَالُوا: أَخْذُ الْإِنْسَانِ مَا لَيْسَ لَهُ. قُلْتُ: فَإِنَّ اللَّهَ لَهُ كُلُّ شَيْءٍ. قَالَ بَعْضُهُمْ، عَنْ إِيَاسٍ قَالَ: كُنْتُ فِي الْكُتَّابِ وَأَنَا صَبِيٌّ، فَجَعَلَ أَوْلَادُ النَّصَارَى يَضْحَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَيَقُولُونَ: إِنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ لَا فَضْلَةَ لِطَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ. فَقُلْتُ لِلْفَقِيهِ، وَكَانَ نَصْرَانِيًّا: أَلَسْتَ تَزْعُمُ أَنَّ مِنَ الطَّعَامِ مَا يَنْصَرِفُ فِي غِذَاءِ الْبَدَنِ؟ قَالَ: بَلَى. قُلْتُ: فَمَا تُنْكِرُ أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ طَعَامَ أَهْلِ الْجَنَّةِ كُلَّهُ غِذَاءً لِأَبْدَانِهِمْ؟ فَقَالَ لَهُ مُعَلِّمُهُ: مَا أَنْتَ إِلَّا شَيْطَانٌ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ إِيَاسٌ وَهُوَ صَغِيرٌ بِعَقْلِهِ قَدْ وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ الصَّحِيحُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فِي صِفَةِ أَهْلِ الْجَنَّةِ أَنَّ طَعَامَهُمْ يَنْصَرِفُ جُشَاءً وَعَرَقًا كَالْمِسْكِ، فَإِذَا الْبَطْنُ ضَامِرٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৬

খালীফ৷ ইবন খাইয়াত বলেন : বাত্তাল-এর হত্যাকাণ্ড একশত একুশ হিজরীতে রোমের
মাটিতে সংঘটিত হয়েকাি ৷ ইবন জারীর বলেন : একশত বাইশ হিজরীতে ৷ ইবন হাসৃসান
আর যিয়াদী বলেন : বাত্তাল একশত তেব হিজরীতে নিহত হন ৷ অপর দৃ’-একজনও এই
অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ তাদের বক্তব্য হলো, বাত্তাল এবং আমীর আবদুল ওয়াহ্হাব ইবন
বখৃত একশত তের হিজ্জীত্বে নিহত হয়েস্ফো ৷ মহান আল্লাহ্ডাল্ল জানেন ৷ তবে ইবন জারীর
তার মৃত্যু তারিখ এই বছর-ই উল্লেখ করেছেন ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷
এ হলো বাতাস-এর জীবন চরািত ইবন আসাকির বর্ণিত আলোচনার সার সংক্ষেপ ৷ এর
বাইরে বাত্তালণ্এর বরাতে দালহামা, বাত্তাল, আমীর আবদুস ওয়াহ্হাব ও কায়ী উক্বার
জীবনৰুচরিস্থত যেসব বর্ণনা রয়েছে, সব মিথ্যা ও মনগড়া বক্তব্য, অজ্ঞত৷ ও নিত্তবাি প্রলাপ ৷
নির্বো-ধ কিংবা নিরেট মুর্থ ব্যতীত অন্য লোকের কাছে এসব তথ্য বিকায় না৷ যেমনটি
আনতার৷ আন-ত্মাবাসীর অসত্য জীবন-চরিত এবং ৰিক্রী ও দানাফ প্রমুখের অসত্য জীবনে ;
দোকমুখে চালু রয়েছে ৷ বিকৃরীর জীবন-চরিতে মনগড়া মিথ্যাচার তো অপরাধের দিক থেকে
অন্যদের তুলনায়গুরুতর ৷ কেননা, যে লোক সেসব কাহিনী পড়েছে, সে যে ব্যক্তি আমার
নামে ইচ্ছাকৃর্তডাবে মিথ্যা আরোপ করবে, যে জাহান্নামে তার ঠিকানা ঠিক করে নিক’ প্রিয়
নবী (সা) এর এই ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত ৷ এ বছর আরো যেসব বিশিষ্টু ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুমুখে পতিত
হ্ন :

ইয়াস আয-যাকী

নাম ইয়াস ইবন মু আবিয়া ইবন মুররা ইবন ইয়াস ইবন ইিলাল ইবন ন্দোব্ ইবন উবায়দ
ইবন দুরায়দ ইবন আওস ইবন সাওয়াহ্ ইবন আমর ইবন সারিয়৷ ইবন ছা লাবা ইবন যুবয়ান
ইবন হ্া দাবা ইবন আওস ইবন উছমান ইবন আমর ইবন আদৃ ইবন তাবিখা ইবন ইলয়াস
ইবন মুযার ইবন নাবৃয়ার ইবন মা দ ইবন আদনান ৷

খাশীফ৷ ইবন খায়্যাত তার এই বংশধারা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ তবে তার বংশধারায় ভিন্ন
অডিমতও রয়েছে ৷ তিনি বসরারকাযী আবু ওয়াছিলা আল-মুযানীর পিতা তাবেঈ ৷ তার দাদা
সাহার্বী ছিলেন ৷ তিনি অতিশয় মেধাবী ছিলেন ৷ তিনি যথাক্রমে পিতা ও দাদা সুত্রে লজ্জা

বিষয়ে মারফু সুত্রে আনাস, সাঈদ ইবন জুবায়র, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব, নাফি ও আবু

মুজলিয থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন হামাদান, শুবা ও
আসমাঈ প্রমুখ ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীন তার সম্পর্কে বলেছেন : ইয়াস আয-যাকীঅতিশয় জ্ঞানী
ছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ, আজালী, ইবন মুঈন ও নাসাঈ বলেন৪ ইয়াস আয-যাকী
নির্ভরযোগ্য ৷ ইবন সা দ বলেন ইয়াস আয-যাকী নির্ভরযোগ্য জ্ঞানী ও কুশলী ছিলেন ৷
অজােলী আরো বাড়িয়ে বলেছেন : তিনি ফকীহ ও সচ্চরিত্রবান ছিলেন ৷ তিনি আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ানঃ-এর শাসনামলে দামেশৃক আগমন করেছিলেন ৷ তিনি উমর ইবন আবদুল
আষীয-এর নিকটও গমন করেছিলেন ৷ আদী ইবন আরতাত যখন তাকে বসরার বিচারকের

পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করেন, তখনও দ্বিতীয়বারের মত তিনি উমর ইবন আবদুল

আযীয-এর নিকট গমন করেন ৷

আবু উবায়দ৷ প্রমুব বলেন ইয়াস ও এক বৃদ্ধ ব্যক্তি দামেশকে আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ান-এর বিচারকের নিকট বিচার প্রার্থনা করে ৷ ইয়াস তখন সরে মাত্র যুবক ৷ বিচারক

€০া৷া
— ৭ পুে

وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ: قَدِمَ إِيَاسٌ وَاسِطًا فَجَاءَهُ ابْنُ شُبْرُمَةَ بِمَسَائِلَ قَدْ أَعَدَّهَا، فَقَالَ لَهُ: أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أَسْأَلَكَ؟ قَالَ: سَلْ، وَقَدِ ارْتَبْتُ حِينَ اسْتَأْذَنْتَ. فَسَأَلَهُ عَنْ سَبْعِينَ مَسْأَلَةً يُجِيبُهُ فِيهَا، وَلَمْ يَخْتَلِفَا إِلَّا فِي أَرْبَعِ مَسَائِلَ، رَدَّهُ إِيَاسٌ إِلَى قَوْلِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ إِيَاسٌ: أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَحْفَظُ قَوْلَهُ: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَمَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا. قَالَ: فَهَلْ أَبْقَتْ هَذِهِ الْآيَةُ لِآلِ شُبْرُمَةَ رَأْيًا؟ وَقَالَ عَبَّاسٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِإِيَاسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ: يَا أَبَا وَاثِلَةَ حَتَّى مَتَى يَبْقَى النَّاسُ؟ وَحَتَّى مَتَى يَتَوَالَدُ النَّاسُ وَيَمُوتُونَ؟ فَقَالَ لِجُلَسَائِهِ: أَجِيبُوهُ. فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُمْ جَوَابٌ، فَقَالَ إِيَاسٌ: حَتَّى تَتَكَامَلَ الْعِدَّتَانِ ; عِدَّةُ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَعِدَّةُ أَهْلِ النَّارِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: اكْتَرَى إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ مِنَ الشَّامِ قَاصِدًا الْحَجَّ، فَرَكِبَ مَعَهُ فِي الْمَحْمَلِ غَيْلَانُ الْقَدَرِيُّ وَلَا يَعْرِفُ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ، فَمَكَثَا ثَلَاثًا لَا يُكَلِّمُ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ثَلَاثٍ تَحَادَثَا فَتَعَارَفَا، وَتَعَجَّبَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنَ اجْتِمَاعِهِ بِصَاحِبِهِ، لِمُبَايَنَةِ مَا بَيْنَهُمَا فِي الِاعْتِقَادِ فِي الْقَدَرِ، فَقَالَ لَهُ إِيَاسٌ: هَؤُلَاءِ أَهْلُ الْجَنَّةِ يَقُولُونَ حِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَا أَنْ هَدَانَا اللَّهُ} [الأعراف: 43] وَيَقُولُ أَهْلُ النَّارِ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৭

তাকে বলেন : উনি বৃদ্ধ আর তুমি যুবক ৷ অতএব, তুমি তার সমানতালে কথা বলবে না ৷
ইয়াস বলেন, তিনি যদি বড় হয়ে থাকেন, তো সত্য তার চেয়েও বড় ৷ বিচারক বলেন : চুপ
কর ৷ ইয়াস বলেন : আমি যদি চুপ থাকি, তাহলে ণ্ক আমার পক্ষে কথা বলবে ? বিচারক
বলেন : এখান থেকে উঠে না যাওয়া পর্যন্ত তুমি আমার এত্তলােসে সত্য কথা বলবে, আমি তা
মনে করি না ৷ ইয়াস বলেন : আশহাদৃ আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ৷ অন্যরা আরো বৃদ্ধি করেন
যে, তারপর বিচারক বলেন৪ আমার ধারণা, তুমি তার প্রতি যুলুম করেছ ৷ উত্তরে ইয়াস
বলেন৪ আমি বিচারকের ধারণার উপর ঘর থেকে বের হইনি ৷ অগত্যা বিচারক উঠে আবদুল
মালিক এর নিকট গিয়ে তাকে বটনাটা অবহিত করেন ৷ শুনে আবদুল মালিক বলেনং : তার
প্রয়োজন পুরণ করে এক্ষুণি তাকে দামেশক থেকে তাড়িয়ে দাও, যেন সে জ্যামনে বিপর্যয় সৃষ্টি
করতে না পারে ৷
কেউ কেউ বলেন৪ আদী ইবন আরতাত যখন তাকে বসরার বিচারকের পদ থেকে
অব্যাহতি প্রদান করেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয এর নিকট ছুটে যান ৷
কিন্তু গিয়ে দেখতে পান, তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ ফলে তিনি দামেশ্কের মসজিদে মাহফিলে
বসতে শুরু করেন ৷ একদিন বনু উমায়ার এক ব্যক্তি কথা বলল ৷ ইয়াস তার প্রতিবাদ
করলেন ৷ উমারব তার উপর ক্ষুব্ধ হলো ৷ ইয়াস উঠে চলে গেলেন ৷ কেউ উমাবীকে বললং
ইনি ইয়াস ইবন মুআবিয়া আল-মুযানী ৷ পরদিন ইয়াস আগমন করলে উমাবীতার কাছে
ওযরখাহী করল এবং বলল৪ আমি আপনাকে চিনতে পারিনি ৷ আপনি আমাদের মজলিসে
এসে বস্যেছন সাধারণ পােশাকে, অথচ কথা বলেন সক্সাত ৷লাকের ন্যায় ৷ ফলে আমরা বিষয়টা
মেনে নিতে পা ৷রিনি ৷ ,
ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান যথাক্রমে নাঈম ইবন হাষ্মাদ ও আমরা সুত্রে আবু শাওযাব হতে
বর্ণনা করেন যে, আবু শাওযাব বলেনং : বলা হতো যে, প্রতি একশত বছরে পরিপুর্ণ জ্ঞানের
অধিকারী একজন মানুষ জন্মলাভ করে থাকে ৷ সে যুগের মানুষ মনে করত, ইয়াস ইবন
ংমুআবিয়৷ তাদের একজন ৷
আজালী বলেন৪ একদিন তিনজন মহিলা ইয়ান-এর নিকট গমন করেন ৷ তাদেরকে
দেখেই তিনি বলেন০ ং তাদের একজন দুগ্ধদায়িনী ৷ একজ্যা কুমারী ৷ অপরজ্যা বিবাহিতা ৷ তাকে
জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কিভাবে তা জানেন? তিনি বলেন৪ দৃগ্ধদায়িনী যখন রসল, নিজ
হাত দ্বারা স্তন যুষ্াল চেপে ধরে বসল ৷ কুমারী যখন প্রবেশ করে, তখন কারো প্রতি দৃষ্টিপাত
করেনি ৷ আর বিবাহিত৷ মহিলা যখন প্রবেশ করে, তখন এদিক ওদিক দৃষ্টিপাত করে ও চোখ
-মারে ৷
হাষ্মাদ ইবন সালামা থেকে আহনাফ ইবন হাকীম সুত্রে ইউনুস ইবন সা লাব বর্ণনা করেন
যে, হাষ্মাদ বলেন৪ আমি ইয়াস ইবন মুআবিয়াকে বলতে শুনেছি৪ আমি যে রাতে জন্মলাভ
করেছি যে রাতের কথা আমার মনে আছে ৷ আমার যা আমার মাথায় একটি পাতিলষ্
ন্-ন্রেখেছিস্থলন ৷
মাদাইনী বলেন৪ ইয়াস ইবন মুআবিয়া তার মাকে জিজ্ঞাসা করলেন৪ আমি য
আপনার গর্ভে, তখন আমি প্রচণ্ড একটা শব্দ শুনেতািম্ ৷ ওটা কিসের শব্দ ছিল ? মা বললেক্ট্র
একটি তামার তশতরী উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিল ৷ আমি তয় ৫পয়েছিলাম ৷ তাতেই
,সময়ে আমি তোমাকে প্রসব করি ৷


{رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا} [المؤمنون: 106] وَتَقُولُ الْمَلَائِكَةُ: {سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا} [البقرة: 32] ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ مِنْ أَشْعَارِ الْعَرَبِ وَأَمْثَالِ الْعَجَمِ مَا فِيهِ إِثْبَاتُ الْقَدَرِ، ثُمَّ اجْتَمَعَ مَرَّةً أُخْرَى إِيَاسٌ، وَغَيْلَانُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَنَاظَرَ بَيْنَهُمَا، فَقَهَرَهُ إِيَاسٌ وَمَا زَالَ يَحْصُرُهُ فِي الْكَلَامِ حَتَّى اعْتَرَفَ غَيْلَانُ بِالْعَجْزِ وَأَظْهَرَ التَّوْبَةَ، فَدَعَا عَلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِنْ كَانَ كَاذِبًا، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ مِنْهُ، فَأُمْكِنَ مِنْ غَيْلَانَ فَقُتِلَ وَصُلِبَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْ كَلَامِ الْحَسَنِ: لَأَنْ يَكُونَ فِي فِعَالِ الرَّجُلِ فَضْلٌ عَنْ قَوْلِهِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَكُونَ فِي قَوْلِهِ فَضْلٌ عَنْ فِعَالِهِ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ: ذَكَرْتُ رَجُلًا بِسُوءٍ عِنْدَ إِيَاسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَنَظَرَ فِي وَجْهِي وَقَالَ: أَغَزَوْتَ الرُّومَ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَالسِّنْدَ وَالْهِنْدَ وَالتُّرْكَ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: أَفَسَلِمَ مِنْكَ الرُّومُ وَالسِّنْدُ وَالْهِنْدُ وَالتُّرْكُ وَلَمْ يَسْلَمْ مِنْكَ أَخُوكَ الْمُسْلِمُ؟ ! قَالَ: فَلَمْ أَعُدْ بَعْدَهَا. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ عَنْ أَبِيهِ: رَأَيْتُ إِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ فِي بَيْتِ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ وَإِذَا هُوَ أَحْمَرُ طَوِيلُ الذِّرَاعِ غَلِيظُ الثِّيَابِ، يُلَوِّثُ عِمَامَتَهُ، وَهُوَ قَدْ غَلَبَ عَلَى الْكَلَامِ، فَلَا يَتَكَلَّمُ مَعَهُ أَحَدٌ. وَقَدْ قَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ فِيكَ عَيْبٌ سِوَى كَثْرَةِ كَلَامِكَ. فَقَالَ: بِحَقٍّ
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৮


আবু বকর আল খারাইভী বর্ণনা করেন যে, উমর ইবন শায়ব৷ আননমায়রী বলেছেনং
আমি শুনেছি যে, ইয়াস বলেছেন৪ সেই মিথ্যা কথন আমাকে আনন্দ দান করে না, যা আমার
পিতা মুআবিয়া জোন ফেলেন ৷

তিনি আরো বলেন৪ আমি কাদৃরিয়া ব্যতীত অপর কোন প্রবুত্তি টুজারীব সঙ্গে পুর্ণ জ্ঞান
ব্যয় করে বিবাদ করিনি ৷ আমি কাদৃরিয়াদেরকে জিজ্ঞাসা করি, বল যুলুম কাকে বলে ? তারা
বলে৪ বন্তুট৷ যার নয়, যে তা নিয়ে নেওয়া ৷ আমি বলি : তাহলে সব ,জিনিসই তো আল্লাহর ৷

কেউ কেউ বলেন : ইয়াস বলেন : শিশুকালে আমি তখন মকতবের ছাত্র ৷ একদিন খ্রিষ্টান
ছেলেরা মুসলমানদের নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগল ৷ তারা বলছিল, মুসলমানদের বিশ্বাস

হলো ৷ জান্নাতীদের খাবারের কোন বর্জ্য থাকবে না ৷ আমি ফকীহ্কে তিনি খৃক্টান ছিলেন-
বলি : আপনি কি বিশ্বাস করেন না যে, খাদ্যের কিছু অংশ শরীরে পুষ্টি যোগায় ? তিনি
বললেন৪ হয় ৷ আমি বলি৪ তাহলে মহান আল্লাহ জান্নাতীদের খাদ্যের সবটুকুকে তাদের
দেহের পুষ্টি বানাবেন, সে কথা স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায় ? শুনে তার শিক্ষক বলেনং
তুমি শয়তান বৈ নও ৷

ইয়াস এ কথাটা শৈশবকালে নিজ বুদ্ধি থেকে বলেছেন ৷ অথচ, এ প্রসঙ্গে সহীহ হাদীসও
বর্ণিত আছে, যা পরে ইনশাআল্লাহ্ জান্নাতীদেয় আলোচনায় উল্লেখ করা হবে যে, জান্নাভীদের
খাবার ঢেকুর ও মেশকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত ঘামে পরিণত হয়ে যাবে ৷ ফলে পবক্ষণেই দেখা যাবে
যে, ৫প্টি হালকা ও শুন্য হয়ে গেছে ৷

সুফিয়ান বলেন৪ ইয়াস যখন ওয়াসিন্ডে আগমন করেন, তখন ইবন শিবৃরিমা পরিকল্পিত
কতগুলো প্রশ্ন নিয়ে তার নিকট আগমন করে ৷ এসে ইবন শিবরিম৷ তাকে বলে অনুমতি হলে
আমি আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করা ৷ ইয়াস বললেন : ত্তিজােসা করুন ৷ তবে আপনার
অনুমতি প্রার্থনা-ই সান্দহজনক ৷ ইবন শিবরিম৷ তাকে সত্তরটি প্রশ্ন করেন ৷ তিনি সব কটি
প্রশ্নের উত্তর দেন ৷ চারটি ব্যতীত অন্য কোন মাসআলায় তারা দ্বিমত করেননি ৷ এই চারটি প্রশ্ন
ইয়াস তার উপর-ই ছেড়ে দেন ৷ পরে বলেন : আপনি কি কুরআন পাঠ করেন ? সে বলল :

(আজ আমি তোমাদের জন্য <তামাদের
দ্বীনকে পরিপুর্ণ করে দিলাম ৷ ৪ ৩) এই আয়াত কি মুখস্থ আছে ? সে বলল৪ ছু৷ ৷ ইয়াস
বললেন৪ তার আগের ও পরের আয়াত ? সে বলে হ্যা ৷ ইয়াস বলেন৪ এই আয়াত কি
শিবরিমার গোষ্ঠীর জন্য কোন অভিমত অবশিষ্ট রেখেছে

ইয়াহ্য়া ইবন মুঈন সুত্রে আব্বাস বর্ণনা করেন যে, সাঈদ ইবন আমির ইবন উমর ইবন
আলী বলেছেন৪ এক ব্যক্তি ইয়াস ইবন মু আবিয়াকে বলেও হে আবু ওয়াছিলা ! মানুষ কতদিন
পর্যন্ত টিকে থাকবে ? কতদিন প র্যম্ভ মানুষ জন্মলাভ ও মৃতৃগ্রেহণ করতে থাকবে ? ইয়াস তার
সঙ্গীদেরকে বলেনং তোমরা প্রশ্নটার উত্তর দাও ৷ কিন্তু তাদের কারুর-ই নিকট এ প্রশ্নের
জওয়াব ছিল না ৷ অগত্যা ইয়াস বলেন দুটি প্রস্তুতি ৩সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ৷ জান্নাতীদের
প্রস্তুতি ও জ্বাহান্নামীদেৱ প্রস্তুতি ৷

কেউ কেউ বলেন ইয়াস ইবন মুআবিয়া ভাড়া করা বাহনে চড়ে হব্লুজ্জর উদ্দেশ্যে সিরিয়া
থেকে গমন করেন ৷ ফেরার সময় গায়লান আল-কাদরীও তার সফরসঙ্গী হন ৷ কিন্তু তাদের


أَتَكَلَّمُ أَمْ بِبَاطِلٍ؟ فَقِيلَ: بَلْ بِحَقٍّ. فَقَالَ: كُلَّمَا كَثُرَ الْحَقُّ فَهُوَ خَيْرٌ. وَلَامَهُ بَعْضُهُمْ فِي لِبَاسِهِ الثِّيَابَ الْغَلِيظَةَ، فَقَالَ: إِنَّمَا أَلْبَسُ ثَوْبًا يَخْدِمُنِي وَلَا أَلْبَسُ ثَوْبًا أَخْدِمُهُ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قَالَ إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: إِنَّ أَشْرَفَ خِصَالِ الرَّجُلِ صَدَقُ اللِّسَانِ، وَمِنْ عَدِمَ فَضِيلَةَ الصِّدْقِ فَقَدْ فُجِعَ بِأَكْرَمِ أَخْلَاقِهِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سَأَلَ رَجُلٌ إِيَاسًا عَنِ النَّبِيذِ، فَقَالَ: هُوَ حَرَامٌ. فَقَالَ الرَّجُلُ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْمَاءِ. فَقَالَ: حَلَالٌ. قَالَ: فَالْكَشُوثُ؟ قَالَ: حَلَالٌ. قَالَ: فَالتَّمْرُ؟ قَالَ: حَلَالٌ. قَالَ: فَمَا بَالُهُ إِذَا اجْتَمَعَ يَحْرُمُ؟ فَقَالَ إِيَاسٌ: أَرَأَيْتَ لَوْ رَمَيْتُكَ بِهَذِهِ الْحَفْنَةِ مِنَ التُّرَابِ، أَتُوجِعُكَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَهَذِهِ الْحَفْنَةُ مِنَ التِّبْنِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَهَذِهِ الْغَرْفَةُ مِنَ الْمَاءِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ خَلَطْتُ هَذَا بِهَذَا، وَهَذَا بِهَذَا حَتَّى صَارَ طِينًا، ثُمَّ اسْتَحْجَرَ، ثُمَّ رَمَيْتُكَ، أَيُوجِعُكَ؟ قَالَ: إِي وَاللَّهِ، وَيَقْتُلُنِي. قَالَ: فَكَذَلِكَ تِلْكَ الْأَشْيَاءُ إِذَا اجْتَمَعَتْ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: بَعَثَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ إِلَى الْبَصْرَةِ نَائِبًا، وَأَمَرَهُ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ إِيَاسٍ، وَالْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ الْجَوْشَنِيِّ فَأَيُّهُمَا كَانَ أَفْقَهَ فَلْيُوَلِّهِ الْقَضَاءَ. فَقَالَ إِيَاسٌ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ لَا يَتَوَلَّى: أَيُّهَا الرَّجُلُ، سَلْ فَقِيهَيِ الْبَصْرَةِ ; الْحَسَنَ، وَابْنَ سِيرِينَ. وَكَانَ إِيَاسٌ لَا يَأْتِيهِمَا، فَعَرَفَ الْقَاسِمُ أَنَّهُ إِنْ سَأَلَهُمَا أَشَارَا
পৃষ্ঠা - ৭৭৩৯


কারো সঙ্গে কারো পরিচয় নেই ৷ এভাবে তিন দিন কেটে যায়, ৫কউ কারো সঙ্গে কথা বলছেন
না ৷ তিন দিন অতিক্রাম্ভ হওয়ার পর তারা পরস্পর কথা বলেন এবং পরিচিত হলেন ৷ তারা
তাকদীর বিষয়ে উভয়ের মাঝে দুরতু থাকা স৫ত্তুও এই বিষয়ে বিঙ্গিত হলেন ৷ ইয়াস
গায়লানকে বলেনং জান্নাতীর৷ যখন জান্নাত্তে প্রবেশ করবে, বলবে

ধ্া৷ ৷ ৷;াঠু৯ ট্রু,৷ ৰুাটুদ্বু ড্রুব্লুধ্ছুছুট্রুহু৷ fi-’$ ;’, ৷ধ্ৰু৷ ৫১া( ,;৫৷ ৷ ণ্এব্লু শ্লোা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্বই, যিনি আমাদেরকে এর পথ দেখিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ আমাদেরকে
প থ না সেখানে আমরা কখনো পথ ৫পতাম না (৭ ; ৪৩) ৷
পক্ষাম্ভ৫র জাহান্নামীরা বলবে
হে আমাদের প্রতিপালক দুর্ভাপ্য আমাদের ৫প৫য় বসেছিল (২৩ : ১০৬) ৷
৫ফরেশতারা ব্ললবে ন্

আপনি মহান পবিত্র ৷ আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষ৷ দি৫য়৫ছা, তা ছাড়া আমাদের কোনই
জ্ঞান নাই ৷ (২৪ ৩২)
তারপর তিনি তাকে আরবের কতিপয় কবিতা এবং অনাররের কিছু উপম৷ বলে শোনান
যাতে তাকদীরেৱ প্রমাণ বিদ্যমান ৷
তারপর আরো একবার ইয়াস ও গায়লান একত্র হয়েছেন উমর ইবন আবদুল আযীয এর
নিকট ৷ যে সময় উঅয়র মাঝে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ৷ ইয়াস গায়লানকে পরাজিত করেন এবং
তাকে নিরুত্তর করে দিতে থাকেন ৷ অগত্য৷ গায়লান নিজের অক্ষমতা স্বীকার করেন ও
তাওবার কথা প্রকাশ করেন ৷ উমর ইবনন্আবদুল আযীয (র) তাকে বদ দুআ করেন যদি তিনি
মিথ্যাবাদী হন ৷ মহান আল্লাহ্ তার দুআ কবুল্ করেন ৷ ফলে এক সময় উমর ইবন আবদুল
আযীয সুযোগ পেয়ে গায়লানকে হত্যা করে শুমিতে চড়ান ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র ৷
ইয়াস বলেছেন, কাজের ৫চয়ে কথ৷ বেশী বল৷ অ৫পক্ষা কথার চেয়ে কাজ বেশী করা
উত্ত্বম ৷ ,
সুফিয়ান ইবন হুসায়ন বলেন, আমি একদিন ইয়াস ইবন মুআবিআর নিকট এক ব্যক্তির
সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করি ৷ শুনে তিনি আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেন, তুমি কি ৫রা৫ম যুদ্ধ
করেছ ? আমি বলি, না ৷ তিনি বলেন, সিন্ধু, হিন্তোন, তুরষ্ক ? আমি বলি, না ৷ তিনি বলেন,
৫রাম, সিন্ধু, হিন্দুস্তান, তুরস্ক ৫তাম৷ হতে নিরাপদ থাকল, বিক্ষ্ম তোমার একজন মুসলিম ভইি
নিরাপদ থাকল না ?
সুফিয়ান ইবন হুসায়ন বলেন, তারপর আর কখনো আমি কারো সম্পর্কে মন্দ কথা ৰ্লিনি ৷
আসমাঈ তার পিতা হ৫ত বর্ণনা করেন, আমি একদিন ইয়াস ইবন মুআবিয়াকে ছাৰিত
আল-বুলানীর ঘরে দেখতে পেলাম ৷ তার গায়ের রং লাল, হাত লম্বা, পোশাক মোটা এবং
মাথায় রঙিন পাগড়ী ৷ তিনি অনর্গল কথা বলছিলেন ৷ তার সঙ্গে কথা বলে কেউ পাে:র উঠহ্নিা
না ৷ উপস্থিত লোকদের একজন তাকে বলে, আপনার মধ্যে একটি দোষ ব্যতীত আর কোন
দোষ নেই ৷ তা হলো,; আপনি কথা ৫ বশী বলেন ৷ জওয়াবে তিনি বলেন, আমি কি কণা


بِهِ، فَقَالَ الْقَاسِمُ لِعَدِيٍّ: وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِنَّ إِيَاسًا أَفْضَلُ مِنِّي وَأَفْقَهُ مِنِّي وَأَعْلَمُ بِالْقَضَاءِ، فَإِنْ كُنْتُ صَادِقًا فَوَلِّهِ، وَإِنْ كُنْتُ كَاذِبًا فَمَا يَنْبَغِي أَنْ أَلِيَ الْقَضَاءَ. فَقَالَ إِيَاسٌ: هَذَا رَجُلٌ أُوقِفَ عَلَى شَفِيرِ جَهَنَّمَ، فَافْتَدَى مِنْهَا بِيَمِينٍ كَاذِبَةٍ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مِنْهَا. فَقَالَ عَدِيٌّ: أَمَا إِذْ فَطِنَتْ إِلَى هَذَا فَقَدْ وَلَّيْتُكَ الْقَضَاءَ. فَمَكَثَ سَنَةً يَفْصِلُ بَيْنَ النَّاسِ وَيُصْلِحُ بَيْنَهُمْ، وَإِذَا تَبَيَّنَ لَهُ الْحَقُّ حَكَمَ بِهِ، ثُمَّ هَرَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى دِمَشْقَ، فَاسْتَعْفَى مِنَ الْقَضَاءِ، فَوَلَّى عَدِيٌّ بُعْدَهُ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ. قَالُوا: لَمَّا تَوَلَّى إِيَاسٌ الْقَضَاءَ بِالْبَصْرَةِ فَرِحَ بِهِ الْعُلَمَاءُ، حَتَّى قَالَ أَيُّوبُ: لَقَدْ رَمَوْهَا بِحَجَرِهَا. وَجَاءَهُ الْحَسَنُ، وَابْنُ سِيرِينَ فَسَلَّمَا عَلَيْهِ، فَبَكَى إِيَاسٌ وَذَكَرَ حَدِيثَ: «الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ ; قَاضِيَانِ فِي النَّارِ، وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ» فَقَالَ الْحَسَنُ: فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَدَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِي الْحَرْثِ} [الأنبياء: 78] إِلَى قَوْلِهِ: {وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا} [الأنبياء: 79] [الْأَنْبِيَاءِ: 78، 79] . قَالُوا: ثُمَّ جَلَسَ لِلنَّاسِ فِي الْمَسْجِدِ، وَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ لِلْخُصُومَاتِ، فَمَا قَامَ حَتَّى فَصَلَ سَبْعِينَ قَضِيَّةً، حَتَّى كَانَ يُشَبَّهُ بِشُرَيْحٍ الْقَاضِي. وَرُوِيَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أُشْكِلَ عَلَيْهِ شَيْءٌ بَعَثَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ فَسَأَلَهُ عَنْهُ. وَقَالَ إِيَاسٌ: إِنِّي لَأُكَلِّمُ النَّاسَ بِنِصْفِ عَقْلِي، فَإِذَا اخْتَصَمَ إِلَيَّ اثْنَانِ جَمَعْتُ عَقْلِي كُلَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৪০

সত্যের বলি, নাকি মিখ্যার ? লোকটি বলে, তা সত্যের বলেন ৷ তিনি বলেন, সত্য কথা বেশী
বলাই ভাল ৷ এক ব্যক্তি মোটা পােশাকের্ জন্য তাকে তিবস্কার করলে তিনি বলেনৰুআমি
পোশাক পরিধান এই জন্য করি যে, পোশাক আমার সেবা করবে ৷ এই জন্য নয় যে, আমি
পােশাক্যেৰ সেবা বল্মব ৷

আসন ঙ্গী বলেন, ইয়াস ইবন মু আবিয়া বলেছেন, মানুষের সর্বোত্তম চরিত্র হলো সত্য
কখন ৷ যে ব্যক্তি সত্যের ফযীলত হারিয়ে ফেলল, সে তার সর্বশ্রেষ্ঠ স্বভাব হতেই বঞ্চিত হলো ৷ ন্

জনৈক ব্যক্তি বলেন, এক ব্যক্তি ইয়াস ইবন মুআবিয়াকে নাবীয (আঙ্গুর কিৎবা খেজুর
রসের তৈরী ণ্নশাকর পানীয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলে নাবীয হারাম ৷ লোকটি
বলে, পানির ব্যাপারে আপনার মতামত কী ? তিনি বলেন, হালাল ৷স্থুাকেটি বলে, আর রুটির
টুকরা ? তিনি বলেন, ৰু হালাল ৷ লোকটি জিজ্ঞাসা করেন, খেজুর ? সিনি,বলেন, হালাল ৷
লোকটি বলে, কিন্তু দুটি যখন একত্রিত হয়, তখন হারাম হয় কেন ? ইয়াস বললেন, আমি
যদি এই এক মুষ্টি মাটি তোমার গায়ে নিক্ষেপ কর, তুমি কি ব্যথা পারে ? লোকটি বলল, না ৷
ইয়াস বললেন, এই এক মুষ্টি খড় ? বলল, না, ব্যাথা পাব না ৷ ইয়াস বললেন, এক কোষ,
পানি? বলল, না, একটুও ব্যথা পাবৃ না ৷ ইয়াস বললেন, কিন্তু আমি যদি এই উপাদানগুলাে
একত্রিত করে রেখে দেই ৷ ফলে তা পাথরে পরিণত হয়ে যায় এবং তারপর তোমার গায়ে ছুড়ে
মারি, তখন কি তুমি ব্যথা পাবে ? লোকটি বলল, ইা, আল্লাহর শপথ! আমাকে মেরে
ফেলবে ৷ ইয়াস বললেন, ত্দ্ধপ উক্ত হালাল উপাদানগুলোও যখন একত্রিত হয়, তখন হারাম
হয়ে যায়া
মাদাইনী বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয আদী ইবন আৱতাতকে বসরার গভর্নর নিযুক্ত
করে প্রেরণ করেন এবং নির্দেশ প্রদান করেন যে, তুমি ইয়াস ও কাসিম ইবন রবীআকে
একত্রিত করে যাচইি করে দেখলে, কে বড় ফকীহ ৷ তাকে তুমি বিচারকের দায়িত্ব প্রদান
করবে ৷ আদী ইবন আরতাত তাই করলেন ৷ ইয়াস বিচারকের পদ গ্রহণ করবেন না ৰু বিধায়
বললেন, আপনি বসরার দুই ফকীহ হাসান ও ইবন সীরীনকে ঙিজ্ঞোসা করুন ৷ ইয়াস এই দুই
ফর্কীহর নিকট যাওয়া-আসা করতেন না ৷ ফলে কাসিম বুঝে ফেললেন, আদী ইবন আরতাত
যদি এ ব্যাপারে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা তার পক্ষে মত দিবেন ৷ কারণ, তিনি তাদের
নিকট যাওয়া-আসা করতেন ৷ তইি কাসিম আদীকে বললেন, সেই আল্লাহর শপথ, যিনি-
ব্যতীত ইলাহ নেই! ইয়াস আমার চেয়ে মর্যাদাশ্যে, আমার চেয়ে বড় ফকীহ এব× বিচার
কার্যে আম৷ অপেক্ষা অভিজ্ঞ ৷ কাজেই আমি যদি সত্য বলে থাকি, তা হলে আপনি তাকেই
বিচারক নিযুক্ত করুন ৷, আর যদি আমি মিখুকে হই, তাহলে একজন মিথ্যাবাদীকে বিচারকের
আসনে আসীন করা উচিত হবে না ৷ শুনে ইয়াস বললেন ও এই লোকটি জাহান্নামের
গ্ৰান্তসীমায় পৌছে গিয়েছিল ৷ কিন্তু একটি মিথ্যা কসম দ্বারা সেখান থেকে উদ্ধার পেয়েছে ৷
এখন তিনি মহান আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে নিলেই চলবে ৷ এবার আদী বললেন :
আপনি যখন এতটুকুই বুঝে ফেলেহ্নো তো আমি আপনাকেই বিচারক নিযুক্ত করলাম ৷
ইয়াস এক বছর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ৷ এই এক বছর তিনি মানুষের মাঝে
আপােস-মীমাংসা করেছেন এবং যখন তার সম্মুখে সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে, সে অনুযায়ী রায়
প্রদান করেহ্নে৷ ৷ তারপর তিনি দামেশৃকে উমর ইবন আবদুঃন আযীয-এর নিকট পালিয়ে গিয়ে


وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: إِنَّكَ لَتُعْجَبُ بِرَأْيِكَ. فَقَالَ: لَوْلَا ذَلِكَ لَمْ أَقْضِ بِهِ. وَقَالَ لَهُ آخَرُ: إِنَّ فِيكَ خِصَالًا لَا تُعْجِبُنِي. فَقَالَ: مَا هِيَ؟ فَقَالَ: تَحْكُمُ قَبْلَ أَنْ تَفْهَمَ، وَتُجَالِسَ كُلَّ أَحَدٍ، وَتَلْبَسُ الثِّيَابَ الْغَلِيظَةَ. فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا أَكْثَرُ ; الثَّلَاثَةُ أَوِ الِاثْنَانِ؟ قَالَ: الثَّلَاثَةُ. فَقَالَ: مَا أَسْرَعَ مَا فَهِمْتَ وَأَجَبْتَ. فَقَالَ: أَوَ يَجْهَلُ هَذَا أَحَدٌ؟ فَقَالَ: وَكَذَلِكَ مَا أَحْكَمُ أَنَا بِهِ، وَأَمَّا مُجَالَسَتِي لِكُلِّ أَحَدٍ فَلَأَنْ أَجْلِسَ مَعَ مَنْ يَعْرِفُ لِي قَدْرِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَجْلِسَ مَعَ مَنْ لَا يَعْرِفُ لِي قَدْرِي، وَأَمَّا الثِّيَابُ فَإِنَّمَا أَلْبَسُ مِنْهَا مَا يَقِينِي لَا مَا أَقِيهِ أَنَا. قَالُوا: وَتَحَاكَمَ إِلَيْهِ اثْنَانِ قَدْ أَوْدَعَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ الْآخَرِ مَالًا، وَجَحَدَهُ الْآخَرُ، فَقَالَ إِيَاسٌ لِلْمُودِعِ: أَيْنَ أَوْدَعْتَهُ؟ قَالَ: عِنْدَ شَجَرَةٍ فِي بُسْتَانٍ. فَقَالَ: انْطَلِقْ إِلَيْهَا، فَقِفْ عِنْدَهَا لَعَلَّكَ تَتَذَكَّرُ. فَانْطَلَقَ. وَجَلَسَ الْآخَرُ، فَجَعَلَ إِيَاسٌ يَحْكُمُ بَيْنَ النَّاسِ وَيُلَاحِظُهُ، ثُمَّ اسْتَدْعَاهُ فَقَالَ لَهُ: أَوْصَلَ صَاحِبُكَ بَعْدُ إِلَيْهَا؟ فَقَالَ: لَا بَعْدُ، أَصْلَحَكَ اللَّهُ. فَقَالَ لَهُ: قُمْ يَا عَدُوَّ اللَّهِ فَأَدِّ إِلَيْهِ حَقَّهُ، وَإِلَّا جَعَلْتُكَ نَكَالًا. وَجَاءَ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَقَامَ مَعَهُ، فَدَفَعَ إِلَيْهِ وَدِيعَتَهُ بِكَمَالِهَا. وَجَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي قَدْ أَوْدَعْتُ عِنْدَ فُلَانٍ مَالًا، وَقَدْ جَحَدَنِي. فَقَالَ لَهُ: اذْهَبِ الْآنَ وَائْتِنِي غَدًا. وَبَعَثَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ الْجَاحِدِ فَقَالَ لَهُ: إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৪১


বিচারকের পদ থেকে ইস্তিফা প্রদান করেন ৷ ফলে আদী হাসান বসরীকে বিচারক নিযুক্ত
করেন

ইতিহাসবিদপণ বলেনং ইয়াস বসরার বিচারক নিযুক্ত হওয়ায় আলিমর্গপ আনন্দিত
হয়েছিলেন ৷ এমনকি আয়ুব বললেনঃ বসরাবাসী একজন যোগ্য বিচারক লাভ করল ৷ হাসান
ও ইবন সীরীন এসে ইয়াসাক সালাম করলেন ৷ বিন্দু ইয়াস কেদে ফেললেন এবং নবী পাক
(না)-এর একটি হাদীস উল্লেখ করলেন ৷ হাদীস হলো

১শ্লোা

অর্থাৎ বিচারক তিন প্রকার ৷ দৃই প্রকার জাহান্নামে যাবে ৷ এক প্রকার যাবে জান্নাতে ৷
জবাবে হাসান বললেন-



, ,

অর্থাৎ এবং স্মরর্ণ কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করছিল শস্যষ্মেনয়
সম্পর্কে; তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ ৷ আমি প্রত্যক্ষ করছিলাম
তাদের বিচার ৷
বংআমি সুলায়মানকে এ বিষয়ের মীমাৎস৷ বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে
আমি দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান ৷ (২১ ং ৭৮, ৭৯)

ইতিহাসবিদগণ বলেন ? তারপর ইয়াস মসজিদে উপবেশন করেন ৷ মানুষ বিচারের জন্য
তার নিকটে এসে সমবেত হয় ৷ সে বৈঠকে তিনি সত্তবঢি বিচারকার্য সমাধান করে তবে বের
হ্ন ৷ ফলে মানুষ তাকে কাষী শুরায়হৰুএর সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করে ৷

বর্ণিত আছে, ইয়াস ইবন মুআবিয়ার নিকট কোন বিষয় জটিল মনে হলে মুহাম্মদ ইবন
সীরীনকে ঙিজ্ঞোসা করে তিনি তার সমাধান জোন নিতেন ৷

ইয়াস বলেনঃ আমি মানুষের সঙ্গে অর্ধেক জ্ঞান দ্বারা কথা বলি ৷ কিন্তু যখন র্দু’ জন মানুষ
আমার নিকট মামলা নিয়ে আসে, তখন তাদের জন্য আমি আমার পুর্ণ জ্ঞানকে একত্র করে
ফেলি ৷

এক ব্যক্তি তাকে বললং আপনি তো নিজ সিদ্ধান্তের প্রতি বেশ আস্থাশীল তিনি বলঙ্কলনং
এমনটা না হলে তো বিচার করা যায় না ৷
অপর এক ব্যক্তি তাকে বললং : আপনার তিনটি স্বভাব আছে, সেগুলো আমার পসন্দ নয় ৷
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : সেগুলো কী? লোকটি বলল : আপনি বুঝবার আগেই রায় ঘোষণা
করেন ৷ যে কারো সঙ্গে উঠাবস৷ করেন না ৷ এবং মোটা কাপড় পরিধান করেন ৷ তিনি বললেনঃ
এই তিনটির কোনটি তোমার নিকট বেশী অপসন্দনীয় ? তিনটি-ই, নাকি দুটি ? সে বলল :
তিনটিই ৷ ইয়াস বললেন : আমি একটি বিষয় যত দ্রুত বুঝি, তত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ৷
লোকটি বলল ? যদি কেউ তা বুঝতে ভৃল করে ? ইয়াস বললেন : আমি সেদািক লক্ষ্য রেখেই
রায় ঘোষণা করি ৷ আর আমি যে কারো সঙ্গে উঠাবসা এই জন্য করি না যে, যারা আমার;
মর্যাদা বুঝে না, তাদের সঙ্গে উঠাবস৷ করা অপেক্ষা আমি সেই ণ্লাকদের সঙ্গে উঠাবস৷ করা


قَدِ اجْتَمَعَ عِنْدَنَا هَاهُنَا مَالٌ، فَضَعْهُ عِنْدَكَ فِي مَكَانٍ حَرِيزٍ. فَقَالَ: سَمْعًا وَطَاعَةً. فَقَالَ: لَهُ اذْهَبِ الْآنَ وَائْتِنِي غَدًا. وَأَصْبَحَ ذَلِكَ الرَّجُلُ صَاحِبُ الْحَقِّ فَجَاءَ إِلَى إِيَاسٍ فَقَالَ لَهُ: اذْهَبِ الْآنَ إِلَيْهِ فَقُلْ لَهُ: أَعْطِنِي حَقِّي وَإِلَّا رَفَعَتُكَ إِلَى الْقَاضِي. فَذَهَبَ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ، فَخَافَ أَنْ لَا يُودِعَ عِنْدَهُ الْحَاكِمُ، فَدَفَعَ إِلَيْهِ حَقَّهُ، فَجَاءَ إِلَى إِيَاسٍ فَأَعْلَمَهُ، ثُمَّ جَاءَ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنَ الْغَدِ ; رَجَاءَ أَنْ يُودَعَ، فَانْتَهَرَهُ إِيَاسٌ وَطَرَدَهُ، وَقَالَ لَهُ: أَنْتَ خَائِنٌ. وَتَحَاكَمَ إِلَيْهِ اثْنَانِ فِي جَارِيَةٍ، فَادَّعَى الْمُشْتَرِي أَنَّهَا ضَعِيفَةُ الْعَقْلِ، فَقَالَ لَهَا إِيَاسٌ: أَيُّ رِجْلَيْكِ أَطْوَلَ؟ فَقَالَتْ: هَذِهِ. فَقَالَ لَهَا: أَتَذْكُرِينَ لَيْلَةَ وُلِدْتِ؟ فَقَالَتْ: نَعَمْ. فَقَالَ لِلْبَائِعِ: رُدَّ رُدَّ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ إِيَاسًا سَمِعَ صَوْتَ امْرَأَةٍ مِنْ بَيْتِهَا، فَقَالَ: هَذِهِ امْرَأَةٌ حَامِلٌ بِصَبِيٍّ. فَلَمَّا وَلَدَتْ وَلَدَتْ كَمَا قَالَ، فَسُئِلَ: بِمَ عَرَفْتَ ذَلِكَ؟ قَالَ: سَمِعْتُ صَوْتَهَا وَنَفَسُهَا مَعَهُ، فَعَلِمْتُ أَنَّهَا حَامِلٌ، وَفِي صَوْتِهَا صَحَلٌ، فَعَلِمْتُ أَنَّهُ غُلَامٌ. قَالُوا: ثُمَّ مَرَّ يَوْمًا بِبَعْضِ الْمَكَاتِبِ، فَإِذَا صَبِيٌّ هُنَالِكَ فَقَالَ: إِنْ كُنْتُ أَدْرِي شَيْئًا فَهَذَا الصَّبِيُّ ابْنُ تِلْكَ الْمَرْأَةِ فَإِذَا هُوَ ابْنُهَا. وَقَالَ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: شَهِدَ رَجُلٌ عِنْدَ إِيَاسٍ فَقَالَ لَهُ: مَا اسْمُكَ؟ فَقَالَ: أَبُو الْعَنْقَزِ. فَلَمْ يَقْبَلْ شَهَادَتَهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৪২

বেশী পসন্দ করি, যা রা আমার মর্যাদা জানে ৷ আর আমার মোটা কাপড় পরিধান করার তাৎপর্য
হলো, আমি সেই পোশাক ই পরিধান করি, যা আমাকে সুরক্ষা করে সেই পোশাক নয়,
যাকে আমার সুরক্ষা করতে হবে ৷

ইতিহাসবিদণণ বলেন৪ দুই ব্যক্তি ইয়াস ইবন মুআবিয়ার নিকট ৫মাকাদ্দম৷ নিয়ে আসে ৷
একজনের দাবী হলো, যে অপর ব্যক্তির নিকট কিছু সম্পদ আমানত ৫রখেছিল ৷ কিন্তু এখন যে
তা অস্বীকারকর৫ছ ৷ ইয়াস যে ব্যক্তি আমানত ৫রখে৫ছ, তাকে জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি তার
কাছে মাল্টা কোন জায়গায় আমানত ৫রখেছিলে ? বলল : এক বাগানের একটি গাছের নিকট
দাড়িয়ে ৷ ইয়াস বললেন : যাও, সেখানে গিয়ে দাড়িয়ে থাক; হয়ত তাতে তোমার স্মরণ এসে
যেতে পারে ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে, ইয়াস তাকে বলেছিলেন : তুমি কি সেখানে গিয়ে
গাছঢিরন্ একটি পাতা আনতে পারবে ? লোকটি বলল ৪ইা, পারব ৷ ইয়াস বললেন : তাহলে-
যাও ৷ অপর ব্যক্তি বসে রইল ৷ ইয়াস অন্য লোকদের বিচার-ফায়সালা করছেনআের তাকে
পর্যবেক্ষণ করছেন ৷ কিছুক্ষণ পর তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন : তোমার বাদী কি এতক্ষণে
জায়গা পর্যন্ত পৌছে৫ছ ? সে বলল ও না, এখনো পৌছেনি ৷ আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন ৷
এবার ইয়াস তাকে বললেন৪ :উঠ, ৫হ্ আল্পাহ্র দুশমন! তার পাওনা তাকে দিয়ে দাও ৷
অন্যথায় আমি তোমাকে কঠোর শাস্তি ৫দব ৷ ইতোমধ্যে বাদী ফিরে এসে বিবাদীর সঙ্গে
দাড়ায় ৷ বিবাদী তার পাওনা সম্পুর্ণ আদায় করে দেয় ৷

অপর এক ব্যক্তি এসে ইয়াস৫ক বলল০ আমি অমুক ব্যক্তির নিকট কিছু সম্পদ গচ্ছিত
রেখেছিলাম ৷ কিন্তু এখন যে অস্বীকার করছে ৷ ইয়াস তাকে বল৫লন৪ আজ চলে যাও,
আগামীকাল এসো ৷ এদিকে তিনি তৎক্ষণাৎ অস্বীকারকারী ব্যক্তিকে ডেকে পাঠালেন এবং
বললেন : আমাদের নিকট কিছু সম্পদ জমা হয়েছে ৷ সেগুলো রাখার জন্য আমরা তুমি ছাড়া
আর কোন বিশ্বস্ত লোক পাচ্ছি না ৷ তুমি সম্পদগুলাে দিয়ে একটি নিরাপদ স্থানে রেখে দাও ৷ সে
বলল : আচ্ছা, ঠিক আছে ৷ ইয়াস তাকে বললেন : তুমি আজ চলে যাও, কাল এসো ৷ পরদিন
পাওনাদার এসে উপস্থিত হলে ইয়াস তা৫ক বললেন : তুমি এখনই গিয়ে তাকে বল, আমার
পাওনাট৷ দিয়ে দাও; অন্যথায় আমি তোমাকে কাযীর কাছে নিয়ে যার ৷ পাওনাদার লোকটি
তা-ই করল ৷ ফলে সে আশংকা করল, কাষী যদি খবৱটা ও৫ন ৫ফ৫লন ৷ তাহলে তো তিনি
তার নিকট সম্পদ আমানত রাখবেন না! অগত্যা সে পাওনাদারকে তার সমুদয় সম্পদ দিয়ে
দিল ৷ পাওনাদার ইয়াস-এর নিকট এসে তাকে বিষয়টা অবহিত করল ৷৩ তারপর লোকটি সম্পদ
আমানত নেওয়ার আশায় ইয়াস এর নিকট এসে উপস্থিত হয় ৷ কাযী ইয়াস তাকে ধমক দিয়ে
এই বলে তাড়ি৫য় দেন ৫য, তুমি খিয়া নতকারী ৷

দৃইজ্যা লোক এক দাসীৱ ব্যাপার নিয়ে ইয়াস এর নিকট বিচার প্রার্থনা করে ৷ ৫ক্রতার প্
দাবী, দাসীটির জ্ঞান দুর্বল ৷ ইয়াস দাসীকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার দৃ’ পায়ের কোনটি বেশী
দুর্বল ? দাসী বলল৪ এটি ৷ ইয়াস আরো জিজ্ঞাসা কর৫লন৪ তুমি যে রাতে ড্ডালাভ করেছ,
সে রাতের কথা কি তোমার স্মরণ আছে ? দাসী বলল৪ হ্যা ৷ এবার ইয়াস বি৫ক্রতা৫ক
বল৫লনঃ তুমি তোমার দাসীকে ফিরিয়ে নাও ৷

ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, ইয়াস এক গৃহ থেকে এক মহিলার কণ্ঠ শুনতে ৫প৫য়
বললেন৪ মহিলা এক পুত্র সন্তানের গর্ভব্তী ৷ পরে যখন মহিলা প্রসব করল, প্রসব করল ঠিক


وَقَالَ الثَّوْرِيُّ عَنِ الْأَعْمَشِ: دَعَوْنِي إِلَى إِيَاسٍ فَإِذَا رَجُلٌ كُلَّمَا فَرَغَ مِنْ حَدِيثٍ أَخَذَ فِي آخِرَ. وَقَالَ إِيَاسٌ: كُلُّ رَجُلٍ لَا يَعْرِفُ عَيْبَ نَفْسِهِ فَهُوَ أَحْمَقُ. فَقِيلَ لَهُ: فَمَا عَيْبُكَ؟ قَالَ: كَثْرَةُ الْكَلَامِ. قَالُوا: وَلَمَّا مَاتَتْ أُمُّهُ بَكَى، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: كَانَ لِي بَابَانِ مَفْتُوحَانِ إِلَى الْجَنَّةِ، فَغُلِقَ أَحَدُهُمَا. وَقَالَ أَبُوهُ: إِنَّ النَّاسَ يَلِدُونَ أَبْنَاءً، وَوَلَدْتُ أَبًا. وَكَانَ أَصْحَابُهُ يَجْلِسُونَ حَوْلَهُ، وَيَكْتُبُونَ عَنْهُ الْفِرَاسَةَ، فَبَيْنَمَا هُمْ حَوْلَهُ جُلُوسٌ، إِذْ نَظَرَ إِلَى رَجُلٍ قَدْ جَاءَ، فَجَلَسَ عَلَى دَكَّةِ حَانُوتٍ، وَجَعَلَ كُلَّمَا مَرَّ أَحَدٌ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، ثُمَّ قَامَ فَنَظَرَ فِي وَجْهِ رَجُلٍ، ثُمَّ عَادَ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: هَذَا فَقِيهُ كُتَّابٍ قَدْ أَبَقَ لَهُ غُلَامٌ أَعْوَرُ فَهُوَ يَتَطَلَّبُهُ. فَقَامُوا إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ فَسَأَلُوهُ، فَوَجَدُوهُ كَمَا قَالَ إِيَاسٌ فَقَالُوا لِإِيَاسٍ: مِنْ أَيْنَ عَرَفْتَ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: لَمَّا جَلَسَ عَلَى دَكَّةِ الْحَانُوتِ عَلِمْتُ أَنَّهُ ذُو وِلَايَةٍ، ثُمَّ نَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ لَا يَصْلُحُ إِلَّا لِفَقَاهَةِ الْمَكْتَبِ، ثُمَّ جَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى كُلِّ مَنْ يَمُرُّ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ قَدْ فَقَدَ غُلَامًا، ثُمَّ لَمَّا قَامَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِ ذَلِكَ الرَّجُلِ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، عَرَفْتُ أَنَّ غُلَامَهُ أَعْوَرُ. وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ خَلِّكَانَ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً فِي تَرْجَمَتِهِ، مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: شَهِدَ
পৃষ্ঠা - ৭৭৪৩

তার কথা অনুযায়ী ৷ ফলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কিভাবে বিষয়টা অবগত
হয়েছিলেন ৷ আমি কষ্ঠের সঙ্গে তার নিওশ্বাসও শুনেছিলাম ৷ তাতেই আমি বুঝে ফেলেছি, সে
অন্তঃসত্ত্ব৷ আর তার কণ্ঠে কোমলতা ছিল ৷ তাতে বুঝেছি, তার পেটের সন্তানটি ছেলে ৷
ইতিহ্সেবিদগণ বলেনও তারপর একদিন ইয়াস একটি মকতবের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷
সেখানে তিনি একটি শিশুকে দেখে বললেন ও আমার যদি কিছু অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে
এই শিশুটি সেই মহিলার ছেলে ৷ খোজ নিয়ে জানা লেল, আসলেই শিশুটি সেই মহিলার-ই
ছেলে ৷
যুহরী সুত্রে মানিক বর্ণনা করেন যে, আবু বাকর বলেছেনও এক ব্যক্তি ইয়াস-এর নিকট
সাক্ষাৎ প্রদান করে ৷ ইয়াস তাকে জিজ্ঞাসা করলেন০ তোমার নাম কী ? সে বললও আবুল
উনফুর ৷ ফলে তিনি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন না ৷
ছাওরী আ সাল হতে বর্ণনা করেন যে, আ মাশ বলেন আমি একবার আহত হয়ে
ইয়াস-এর নিকট গমন করি ৷ গিয়ে দেখলাম, এক ব্যক্তি কথা বলছে ৷ এক কথা শেষ হচ্ছে,
তো আরেক কথা শুরু করছে ৷ ইয়াস বলেন ও যে মানুষ নিজের দোষ জানে না, সে বোকা ৷
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো ও আপনার দোষ কী ? তিনি বললেন ও বেশী কথা বলা ৷
ইতিহাসৰিদগণ বলেন ইয়াস ইবন মুআবিয়৷ তার মায়ের মৃত্যুর পর ক্রন্দন করলেন ৷ এ
ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন ও আমার জন্য জান্নাতের দুটি খোলা দরযা
ছিল ৷ আজ তার একটি রুদ্ধৃ হয়ে গেল ৷
ইয়াস-এর পিতা তাকে বললেনও মানুষ জন্ম দেয় সন্তান আর আমি জন্ম দিয়েছি একজন
পিতা ৷
তার সহচররা তার চতুর্পার্ষে বলে তার মুল্যবান বক্তব্য লিপিবদ্ধ করতেন ৷ একদিনের
ঘটনা ৷ সহচররা তার চার পার্শে উপবিষ্ট ৷ হঠাৎ এক ব্যক্তির প্রতি তার চোখ পড়ল ৷ লোকটি
এই মাত্র এসে চবুতরায় বসে পড়ল এবং যে-ই গমনাগমন করছে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করছে ৷
এক পর্যায়ে (লাকটি দীড়িয়ে এক ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ফিরে আসল ৷ ইয়াস
তীর সহচরদেবৃ বললেন ও ইনি একজন কক্ষীহ; একটি কানা গোলাম হারিয়ে ফেলেছে ৷ সে
তাকেই খুজে ফিরছে ৷ শুনে <লাকেরা তার নিকট গিয়ে তাকে বিষয়টা ডিজ্ঞোসা করল ৷ তারা
তাকে হুবহু তা-ই শুনল , যা ইয়াস বললেন ৷ পরে লোকেরা ইয়াসকে জিজ্ঞাসা করল আপনি
বিষয়টা কিভাবে বুঝতে পারলেন ? তিনি বললেন ও লোকটি এসে যখন চবুতরায় বসল, আমি
বুঝে ফেললাম, তিনি একজন ক্ষমতাধর লোক ৷ তারপর তার প্রতি ৩দৃষ্টিপাত করে উপলব্ধি
কঃালাম, এই চেহারা একজন ফর্কীহ ছাড়া কারো নয় ৷ তারপর যখন ণ্লাকটি তার সম্মুখ দিয়ে
গমনাগমনকারী প্রত্যেক ব্যক্তির দিকে তাক্াতে শুরু করল, আমি বুঝলাম, তিনি একটি
গোলাম হারিয়ে ফেলেহেন ৷ তারপর যখন তিনি উঠে গিয়ে তবে অপর পার্থের লোকটির মুখের
দিকে তাকাল, আমি বুঝলাম তার গোলাম কানা ৷

ইবন খাল্লিকান ইয়াস ইবন মুআবিয়ার জীবন চরিতে বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তন্মধ্যে
একটি হলো, জনৈক ব্যক্তি তার নিকট একটি বাগানের ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করে ৷ সাক্ষ্য শুনে
ইয়ান তাকে জিজ্ঞাসা করলেন ও বাগানটির গাছের সংখ্যা কত ? উত্তরে লোকটি কাল ও যে


عِنْدِي رَجُلٌ فِي بُسْتَانٍ، فَقُلْتُ لَهُ: كَمْ عَدَدُ أَشْجَارِهِ؟ فَقَالَ: كَمْ عَدَدُ جُذُوعِ هَذَا الْمَجْلِسِ الَّذِي أَنْتَ فِيهِ مِنْ مُدَّةِ سِنِينَ؟ فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي. وَأَقْرَرْتُ شَهَادَتَهُ. قَالَ خَلِيفَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوفِّيَ بِوَاسِطَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ.