আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وعشرين ومائة

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৭১৭

তাকে পুড়ে ফেলা তাদের নিকট তার হত্যাকাণ্ড অপেক্ষা বেশী কষ্টদায়ক অনুভুত হয় ৷ তারা
ব্যর্থ ও অপদস্থ হয়ে ফিরে যায় ৷

নাসর ইবন সায়া৷র তাদের উপর পুনরায় আক্রমণ করে তাদের বহুসংখ্যক লোককে হত্যা
এবং অসং খ্য অগণিত লোককে বন্দী করেন ৷

সে সময় নাস্ব ইবন সায়্যার এর সম্মুখে যেসব অনাবব কিৎবা তুর্কী লোককে উপস্থিত
করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন অতিশ ৷য় বৃদ্ধা মহিলা ছিল ৷ মহিলা রাজ-পরিবারের কন্যা ৷
সে নাসৃর ইবন সায়্যারকে বলল ও যে রাজার নিকট ছয়টি বস্তু থাকবে না, তিনি রাজা নন : ১
বিশ্বস্ত মন্ত্রক, যিনি মানুষের বিবাদ মিটিয়ে দেবেন, তাকে পরামর্শ দেবেন ও তাকে সদৃপদেশ
দেবেন, ২ থাকে, যে তার জন্য রুচিসম্মত খাদ্য প্রস্তুত করে দেবে, ৩ সুন্দরী শ্রী, চিম্ভাক্লিষ্ট
হয়ে যাব নিকট গমন করে, তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে যে তাকে আনন্দ দেবে এবং তার চিন্তা
দুর হয়ে যাবে, ৪ দুর্ভেদ্য দুর্গ, তার প্রজারা যখন ৩ ত-সন্ত্রস্ত হবে, তখন তারা সেখানে গিয়ে
আশ্রয় গ্রহণ করবে ৫ তরবারি, সমক৷ ৷লীন কো ন শক্তি হুমকি হয়ে দাড়ালে, যা তাকে নিরাপদ
রাখবে এবং ৬ ধনভাণ্ডার, তিনি পৃথিবীর যেখানেই অবস্থান করুন, যা তার জীবন ধারণে
যথেষ্ট হবে ৷

এ বছর পবিত্র মক্কা মদীনা ও তাইফের নায়েব মুহাম্মদ ইবন হিশাম ইবন ইসমাঈল
লোকদেরকে হজ্জ করান ৷ তখন ইরাকের নায়েব ছিলেন ইউসুফ ইবন উমর ৷ খুরাসানের নাসৃর
ইবন সায়্যার এবং আরমিনিয়ার মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ৷ এ বছর যারা ইনতিকাল করেন :

যায়দ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবু তালিব, (বা)

প্রসিদ্ধ অভিমত হলো, তিনি এর পরের বছর ইনতিকাল করেছেন ৷ তার আলোচনা পরে
আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক

ইবন মারওয়ান আল-কারাশী আল-উমাবী ৷ আবু সাঈদ ও আবুল আসবাগ দামেশৃকী ৷
ইবন আসাকির বলেন : তার বাড়ী ছিল আল-জামিউল কিবালীর দরযার সন্নিকটে দামেশকের
হাজলাভুল কুবাবে ৷ আপন ভাই ওয়ালীদ-এর আমলে মাওসাম-এর গভর্নর ছিলেন ৷ তিনি
রোমে কয়েকটি যুদ্ধ করেন এবং কুস্তুন্তীনিয়৷ (কনন্টান্টিনােপল) অবরোধ করেন ৷ তার তাই
তাকে ইরাকীদের শাসনক৩ ৷ নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তারপর সেখান থেকে বরখাস্ত করে তাকে
আরমিনিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয হতে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আবদুল মালিক ইবন আবু উছমান, উবায়দুল্লাহ্
ইবন কাযা আ, সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার পি৩ ৷ উয়ায়না, ইবন আবু ইমব ন মুআবিয়৷ ইবন
খাদীজ ও ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-গাসৃসানী ৷

যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন৪ মাসলাম৷ বনু উমায়্যার লোক ছিলেন ৷৩ তার উপাধি ছিল
আল জারাদাভুস সাফরা ৷৩ তার অনেক বর্ণনা, বহু যুদ্ধ কাহিনী এবং রোম প্রভৃতি দেশের
শত্রুবাহিনীকে কা বু করার গল্প রয়েছে ৷ তিনি রোম রাজ্যের বহু দুর্গ জয় করেছেন ৷ যখন তাকে


[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: زَيْدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ قُتِلَ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْقُرَشِيِّ الْأُمَوِيِّ، أَبُو سَعِيدٍ وَأَبُو الْأَصْبَغِ الدِّمَشْقِيُّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَدَارُهُ بِدِمَشْقَ فِي مَحَلَّةِ الْقِبَابِ عِنْدَ بَابِ الْجَامِعِ الْقِبْلِيِّ، وَلِيَ الْمَوْسِمَ أَيَّامَ أَخِيهِ الْوَلِيدِ وَغَزَا الرُّومَ غَزَوَاتٍ، وَحَاصَرَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَوَلَّاهُ أَخُوهُ يَزِيدُ إِمْرَةَ الْعِرَاقَيْنِ ثُمَّ عَزَلَهُ، وَوَلِيَ إِرْمِينِيَّةَ. وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَعَنْهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ قَزْعَةَ، وَعُيَيْنَةَ وَالِدُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ خَدِيجٍ، وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَ مِنْ رِجَالِ بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ يُلَقَّبُ بِالْجَرَادَةِ الصَّفْرَاءِ، وَلَهُ آثَارٌ كَثِيرَةٌ وَحُرُوبٌ وَنِكَايَةٌ فِي الرُّومِ. قُلْتُ: وَقَدْ فَتَحَ حُصُونًا كَثِيرَةً مِنْ بِلَادِ الرُّومِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭১৮
وَلَمَّا وَلِيَ إِرْمِينِيَّةَ غَزَا التُّرْكَ فَبَلَغَ بَابَ الْأَبْوَابِ فَهَدَمَ الْمَدِينَةَ الَّتِي عِنْدَهُ، ثُمَّ أَعَادَ بِنَاءَهَا بَعْدَ تِسْعِ سِنِينَ. وَفِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ غَزَا الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ فَحَاصَرَهَا، وَافْتَتَحَ مَدِينَةَ الصَّقَالِبَةِ وَكَسَرَ مَلِكَهُمُ الْبُرْجَانَ ثُمَّ عَادَ إِلَى مُحَاصَرَةِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: فَأَخَذَهُ، وَهُوَ يُغَازِيهِمْ، صُدَاعٌ عَظِيمٌ فِي رَأْسِهِ، فَبَعَثَ مَلِكُ الرُّومِ إِلَيْهِ بِقَلَنْسُوَةٍ، وَقَالَ: ضَعْهَا عَلَى رَأْسِكَ يَذْهَبْ صُدَاعُكَ. فَخَشِيَ أَنْ تَكُونَ مَكِيدَةً، فَوَضَعَهَا عَلَى رَأْسِ بَهِيمَةٍ، فَلَمْ يَرَ إِلَّا خَيْرًا، ثُمَّ وَضَعَهَا عَلَى رَأْسِ بَعْضِ أَصْحَابِهِ فَلَمْ يَرَ إِلَّا خَيْرًا، فَوَضَعَهَا عَلَى رَأْسِهِ فَذَهَبَ صُدَاعُهُ، فَفَتَقَهَا فَإِذَا فِيهَا مَكْتُوبٌ سَبْعُونَ سَطْرًا هَذِهِ الْآيَةُ مُكَرَّرَةً: {إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَنْ تَزُولَا وَلَئِنْ زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا} [فاطر: 41] . رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَدْ لَقِيَ مَسْلَمَةُ فِي حِصَارِهِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ شِدَّةً عَظِيمَةً، وَجَاعَ الْمُسْلِمُونَ عِنْدَهَا جَوْعًا شَدِيدًا، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَرْسَلَ إِلَيْهِمُ الْبَرِيدَ يَأْمُرُهُمْ بِالرُّجُوعِ إِلَى الشَّامِ، فَحَلَفَ مَسْلَمَةُ أَنْ لَا يُقْلِعَ عَنْهُمْ حَتَّى يَبْنُوا لَهُ جَامِعًا كَبِيرًا بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَبَنَوْا لَهُ جَامِعًا وَمَنَارَةً، فَهُوَ بِهَا إِلَى الْآنِ يُصَلِّي فِيهِ الْمُسْلِمُونَ الْجُمُعَةَ وَالْجَمَاعَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭৭১৯
আ নহায়া ; ৫২১
আরমিনিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করা হয়, তখন তিনি তুরস্কে আক্রমণ চালান ৷ তিনি তুরস্কের কোন
এক প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পৌছে তৎসংলগ্নশ ৷হরটি ধ্বংস করে দেন ৷৩ তারপর নয় বছর পর শহরটি
পুন৪নির্মাণ করেন ৷ তিনি আটানব্বই হিজরীতে কুস্তুন্তীনিয়া আক্রমণ করে দেশটি অবরোধ করে
সাকালিবা শহরটি জয় করেন এবং তাদের রাজা বুরজানকে পরাজিত করেন ৷ তারপর পুনরায়
কুন্তুন্তীনিয়া অবরোধের প্রতি ফিরে আসেন ৷

আওযাঈ বলেন : কুস্তুন্তীনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা অবস্থায় তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা দেখা দেয় ৷
ফলে রোম রাজা তার নিকট একটি টুপি প্রেরণ করে বলে দেন, এটি মাথায় রাখুন, ব্যথা চলে
যাবে ৷ কিন্তু তার মনে ভয় আগে যে, এটা কো ন ষড়যন্ত্র হতে পারে ৷ তাই তিনি টুপিটা একটি
পশুর মাথায় রাখলেন ৷ কিন্তু তাতে কল্যাণ ছাড়া কিছু দেখতে পেলেন না ৷ তারপর রাখলেন
তার একজন সঙ্গীর মাথায় ৷ এবারও কল্যাণ ব্যতীত দেখতে পেলেন না ৷ এবার টুপিট৷ নিজের
মাথায় রাখলেন ৷ ফলে ব্যথা চলে গেল ৷ পরে টুপ্টি৷ খুলে দেখতে পেলেন, তাতে সত্তর লাইন
লিখা রয়েছে ৷ লিখাট৷ হলো পবিত্র কুরআনের আয়াত ওে , ১৷ ৷ , ষ্র্চু’৷ ৷ এৰুঠু হ্এ৷ ৷ৰু,
১াটু;র্তৃ; ৷ (আ ল্লাহ্ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন, যাতে তারা স্থানচ্যুত না হয় ৷
৩৫৪ : ১ ) ৷ এই আ য়া৩ র্টুকু সত্তুরবার লিখা রয়েছে ৷ ৰু

কুন্তুন্তীনিয়া অবরোধ করতে গিয়ে মাসলামা বেশ সংকর্টে নিপতিত হয়েছিলেন ৷ তার
নিকট মুসলমানগণ প্রচণ্ড ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছিল ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয ক্ষমতায় আসীন
হয়ে দুত মারফত তাদের প্রতি সিরিয়া ফিরে আসার নির্দেশ প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু মাসলামা
অঙ্গীকার করেন যে, কুস্তুন্তীনিয়ার মানুষ কুস্তুন্তীনিয়ায় তার জন্য বৃহদকার একটি মসজিদ
নির্মাণ করে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি তাদেরকে মুক্ত করে ফিরে আসবেন না ৷ অগত্যা তারা

তাকে একটি মসজিদ ও একটি মিনার নির্মাণ করে দেয় ৷ আজ অবধি সেই মসজিদে

মুসলমানগণ জুমুআহ্ ও পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করছে ৷ শেষ যামানায় দাজ্জাল
আবির্ভাবের প্রাক্কালে মুসলমানগণ সর্বশেষ এই মসজিদটি জয় করবেন ৷ এই কিতাবের
যুদ্ধৃ-কািহ ও ন্ফিতনা অধ্যায়ে আমরা এ বিষয়ে আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহু তাআলা এবং
এতদস ক্রান্ত বর্ণিত হাদীসসমুহও উল্লেখ করব ৷

মােটকথা, মাসলামা ইবন আবদুল মালিক-এর অনেক খ্যাতিসস্পন্ন অবস্থান, কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করার মত শ্রম এবং অবিরাম যুদ্ধের কাহিনী রয়েছে ৷ তিনি বহু দুর্গ জয় করেন এবং
অনেক প্রাসাদ ও জলাধার পুনঃজীবিত করেন ৷ যোদ্ধা হিসেবে তাকে খ৷ লিদ ইবন ওয়ালীদের
সঙ্গে তুলনা করা যায় ৷ সে যুগে অধিক যুদ্ধ একের পর ভুখণ্ড জয়, দৃঢ়প্র৩ য়, শক্তিমত্তা ও
— কর্মনৈপুণ্যে খালিদ ইবন ওয়া ৷লীদ যেমন ছিলেন, নিজ আমলে মাসলামা ইবন আবদুল মালিকও
ছিলেন অনুরুপ ৷ সর্বোপরি তিনি ছিলেন দানশীল ও বাগত্মী ৷ একদিন তিনি নাসীব
আশ-শাইরকে বলেন : আপনি আমার নিকট প্রার্থনা করুন ৷ নাসীব বললেন : না ৷ মাসলামা
বলেন : কেন ? নাসীব বলেন : তার কারণ হলো, অধিক দানশীলতায় আপনার হাত আমার
মুখের প্রার্থনা হতে আগামী ৷ পরে মাসলামা তাকে এক হাজার দীনার প্রদান করেন ৷

তিনি আরো বলেন : মানুষ যেমন দুশ্চিম্ভাগ্রস্ত হয় আম্বিয়৷ আলায়হিমুসৃ সালাম তেমন
দুশ্চিন্তায় নিপতিত হতেন না ৷ কোন নবীই কখনো দুশ্চিন্তায় নিপতিত হননি ৷


قُلْتُ: وَهِيَ آخِرُ مَا يَفْتَحُهُ الْمُسْلِمُونَ قَبْلَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي الْمَلَاحِمِ وَالْفِتَنِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَنَذْكُرُ الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ هُنَاكَ. وَبِالْجُمْلَةِ كَانَتْ لِمَسْلَمَةَ مَوَاقِفُ مَشْهُورَةٌ وَمَسَاعٍ مَشْكُورَةٌ، وَغَزَوَاتٌ مُتَتَالِيَةٌ وَمَنْثُورَةٌ، وَقَدِ افْتَتَحَ حُصُونًا وَقِلَاعًا، وَأَحْيَا بِعَزْمِهِ وَحَزْمِهِ قُصُورًا وَبِقَاعًا، وَكَانَ فِي زَمَانِهِ نَظِيرَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فِي أَيَّامِهِ، فِي كَثْرَةِ مَغَازِيهِ، وَكَثْرَةِ فُتُوحِهِ، وَقُوَّةِ عَزْمِهِ، وَشِدَّةِ بَأْسِهِ، وَجَوْدَةِ تَصَرُّفِهِ فِي نَقْضِهِ وَإِبْرَامِهِ، هَذَا مَعَ الْكَرَمِ وَالْفَصَاحَةِ، وَالرِّيَاسَةِ وَالسَّمَاحَةِ، وَالْأَصَالَةِ وَالرَّجَاحَةِ، وَالدِّينِ وَالْعِفَّةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ قَوْلُهُ: مُرُوءَتَانِ ظَاهِرَتَانِ ; الرِّيَاشُ وَالْفَصَاحَةُ. وَقَالَ يَوْمًا لِنُصَيْبٍ الشَّاعِرِ: سَلْنِي. قَالَ: لَا. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: لِأَنَّ كَفَّكَ بِالْجَزِيلِ أَكْثَرُ مِنْ مَسْأَلَتِي بِاللِّسَانِ. فَأَعْطَاهُ أَلْفَ دِينَارٍ. وَقَالَ أَيْضًا: الْأَنْبِيَاءُ لَا يَتَثَاءَبُونَ كَمَا يَتَثَاءَبُ النَّاسُ، مَا تَثَاءَبَ نَبِيٌّ قَطُّ. وَقَدْ أَوْصَى بِثُلْثِ مَالِهِ لِأَهْلِ الْأَدَبِ، وَقَالَ: إِنَّهَا صِنَاعَةٌ مَجْفُوٌّ أَهْلُهَا. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِسَبْعٍ مَضَيْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ،
পৃষ্ঠা - ৭৭২০
سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ: الْحَانُوتُ. وَقَدْ رَثَاهُ بَعْضُهُمْ، وَهُوَ ابْنُ أَخِيهِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ: أَقُولُ وَمَا الْبُعْدُ إِلَّا الرَّدَى ... أَمْسَلَمُ لَا تَبْعُدَنْ مَسْلَمَهْ فَقَدْ كُنْتَ نُورًا لَنَا فِي الْبِلَادِ ... مُضِيئًا فَقَدْ أَصْبَحَتْ مُظْلِمَهْ وَنَكْتُمُ مَوْتَكَ نَخْشَى الْيَقِينَ ... فَأَبْدَى الْيَقِينُ عَنِ الْجُمْجُمَهْ نُمَيْرُ بْنُ أَوْسٍ الْأَشْعَرِيُّ قَاضِي دِمَشْقَ، تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ حُذَيْفَةَ مُرْسَلًا وَأَبِي مُوسَى مُرْسَلًا وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَنْ مُعَاوِيَةَ مُرْسَلًا، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ كَثِيرُونَ، مِنْهُمُ الْأَوْزَاعِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَيَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ. وَلَّاهُ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْقَضَاءَ بِدِمَشْقَ بَعْدَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْخَشْخَاشِ الْعُذْرِيِّ ثُمَّ اسْتَعْفَى هِشَامًا فَأَعْفَاهُ وَوَلَّى مَكَانَهُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي مَالِكٍ. وَكَانَ نُمَيْرٌ هَذَا لَا يَحْكُمُ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ، وَكَانَ يَقُولُ: الْآدَابُ مِنَ الْآبَاءِ، وَالصَّلَاحُ مِنَ اللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭২১
قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: تُوَفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ. وَهُوَ غَرِيبٌ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.