আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثماني عشرة ومائة

ثم دخلت سنة ثماني عشرة ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৬৯৭

যখন বায়ু প্রবাহিত হয়, তো যে বায়ু মাম্যু এর পরিবারের দিক থেকে প্রবাহিত হয়, তা
আমার অম্ভরকে য়ে যায় ৷ সে সময় আমার দু’ চোখ থেকে অশ্রুৱ ধারা বইতে শুরু করে ৷ যার
প্রেমাস্পদ যেখানে থাকে, তার হৃদয় সেখানে ছুটে যায়-ই ৷

যুররিম্ম৷ মৃত্যুর সময় আবৃত্তি করেন-


হে রুহ কবৃযকারী তুমি যখন এসেই পড়েছ, এবং হে গুনাহ ক্ষমাকা ৷রী আমাকে জাহান্নাম
থেকে দুরে রাখ ৷

১১৮ হিজরী সন

এ বছর আমীরুল মুমিনীন হিশাম ইবন আবদুল মালিকএর দুই পুত্র মুআৰিয়া ও
ছুলায়মান রােমে যুদ্ধ করেন ৷ এ বছর আমার ইবন ইয়াযীদ পরে যিনি বাখদাশ নাম ধারণ
করেন নামক এক ব্যক্তি খােরাসান এসে ণ্লাকদেরকে মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস-এর খিলাফতের প্রতি আহ্বান জানায় ৷

ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তার আহ্বানে সাড়া দেয় ৷ তারা যখন তার নিকট এসে জড়ো
হয়, সে তাদেরকে ধর্মবিরোধী আল-খারমিয়দ্র৷ মতবাদের প্রতি আহ্বান জানায় এবং লোকদের
জন্য একজনের ত্রীকে অপরজনের জন্য হালাল ঘোষণা করে ৷ সে দাবী করে, মুহাম্মদ ইবন
আলী এরুপ বলে থাবেক্ষা ৷ কিত্তু মহান আল্পাহ্ সরকারের নিকট তার ষড়যন্ত্র র্ফাস করে দেন ৷
ফলে তাকে ধরে ইরাক ও খােরাসানের গভর্নর খালিদ ইবন আবদুল্লাহ আল-কাসরীর নিকট
পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ খালিদ ইবন আবদুল্পাহ্র নির্দোশ তার হাত কেটে জিহ্বাটা বের করে
ফাসিতে ঝুলানো হয় ৷

এ বছর পবিত্র মদীনায় গভর্নর মুহাম্মদ ইবন হিশাম ইবন ইসমাঈল লোকদের জন্য হভ্রুজ্জর
আয়োজন করেন ৷ কেউ কেউ বলেন : তখন পবিত্র মদীনায় শাসন ক্ষমতা খালিদ ইবন আবদুল
মালিক ইবন মারওয়ান-এর হাতে ছিল ৷ তবে সঠিক তথ্য হল, সে সময় খলীফা তাকে পদচ্যুত
করে তদন্থলে মুহাম্মদ ইবন হিশাম ইবন ইসমাঈলকে গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তখন ইরাকের
গভর্নর ছিলেন আল কাসরী ৷ এ বছর ইন্তিকাল করেন :

আলী ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)

ইবন আবদুল মুত্তালিব আল-কারাশী আল-হাশেংমী আবুল হাসান ৷ তাকে আবু মুহাম্মদও
বলা হয়ে থাকে ৷ তার মা যুরআ বিনৃত মুসাররাহইবন মাদীকারব আল-কিন্দী ৷ ইমাম -
আহমাদ বণিত্তি হাদীসে উল্লিখিত চার বাদশাহর একজন ৷ তারা হলেন, মুসাররাহ, হামাল,
মাথুলাস ও আবযা আ ৷ তাদের বোন হলেন, আমাররাদাহ ৷ আলী ইবন আবু তালিব যেদিন
শহীদ হন, সেদিন এই আলী জন্মগ্রহণ করেন ৷ ফলে তার পিতা আলী ইবন আবু তালিব-এর
নামে তার নাম এবং তার উপনামে তার উপনাম রাখেন ৷ কেউ কেউ বলেন£ আলী ইবন আবু
তালিব-এর জীবদ্দশায়-ই তার জন্ম হয় এবৎ৩ তিনিই তার নাম, উপনাম ও উপাধি ঠিক করে
দেন ৷ আলী যখন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এর নিকট গমন করেন, তিনি তাকে
সিংহাসনে নিজের কাছে বসান এবং তার নাম ও উপনাম জিজ্ঞাসা করেন ৷ তিনি নাম ও


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ] فِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ، وَسُلَيْمَانُ ابْنَا أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الرُّومِ. وَفِيهَا قَصَدَ شَخْصٌ يُقَالُ لَهُ: عَمَّارُ بْنُ يَزِيدَ. ثُمَّ تَسَمَّى بِخِدَاشٍ إِلَى بِلَادِ خُرَاسَانَ فَدَعَا النَّاسَ إِلَى خِلَافَةِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَاسْتَجَابَ لَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَلَمَّا الْتَفُّوا عَلَيْهِ دَعَاهُمْ إِلَى مَذْهَبِ الْخُرَّمِيَّةِ الزَّنَادِقَةِ وَأَبَاحَ لَهُمْ نِسَاءَ بَعْضِهِمْ بَعْضًا، وَزَعَمَ لَهُمْ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ يَقُولُ ذَلِكَ، وَقَدْ كَذَبَ عَلَيْهِ، فَأَظْهَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ الدَّوْلَةَ، فَأُخِذَ فَجِيءَ بِهِ إِلَى خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ أَمِيرِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَتْ يَدُهُ وَسُلَّ لِسَانُهُ ثُمَّ صُلِبَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ وَالطَّائِفِ وَقِيلَ: إِنَّ إِمْرَةَ الْمَدِينَةِ كَانَتْ مَعَ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ قَدْ عُزِلَ، وَوُلِّيَ مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَكَانَتْ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ إِلَى خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ، وَنَائِبُهُ عَلَى خُرَاسَانَ وَأَعْمَالِهَا أَخُوهُ أَسَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৮
وَفِيهَا كَانَتْ وَفَاةُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ، أَبُو الْحَسَنِ وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ، وَأُمُّهُ زُرْعَةُ بِنْتُ مِشْرَحِ بْنِ مَعْدِ يَكْرِبَ الْكَنَدِيِّ - أَحَدِ الْمُلُوكِ الْأَرْبَعَةِ الْمَذْكُورِ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ وَهُمْ مِشْرَحٌ، وَجَمْدٌ، وَمِخْوَسٌ، وَأَبْضَعَةُ وَأُخْتُهُمُ الْعَمَرَّدَةُ - وَكَانَ مَوْلِدُ عَلِيٍّ هَذَا يَوْمَ قُتِلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَسَمَّاهُ أَبُوهُ بِاسْمِهِ، وَكَنَّاهُ بِكُنْيَتِهِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ فِي حَيَاةِ عَلِيٍّ وَهُوَ الَّذِي سَمَّاهُ وَكَنَّاهُ، وَلَقَّبَهُ بِأَبِي الْأَمْلَاكِ. فَلَمَّا وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ أَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، وَسَأَلَهُ عَنِ اسْمِهِ وَكُنْيَتِهِ، فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ لَهُ: أَلَكَ وَلَدٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، وُلِدَ لِي وَلَدٌ سَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا. فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ أَبُو مُحَمَّدٍ. وَأَجْزَلَ عَطِيَّتَهُ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ. وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ هَذَا فِي غَايَةِ الْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ، وَالْعِلْمِ وَالْعَمَلِ، وَحُسْنِ الشَّكْلِ، وَالْعَدَالَةِ وَالثِّقَةِ، كَانَ يُصَلِّي فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَلْفَ رَكْعَةٍ. قَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ: كَانَ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِالْحَمِيمَةِ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدْ قَارَبَ الثَّمَانِينَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ خَلِّكَانَ أَنَّهُ تَزَوَّجَ لُبَابَةَ بِنْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ الَّتِي كَانَتْ
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৯

উপনাম জানালে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বলেন : আপনার কি সন্তান আছে ? বললেন :

হীা, আমার একটি সন্তান আছে ৷ আমি তার নাম রেখেছি মুহাম্মদ ৷ আবদুল মালিক বলেন :

তাহলে তো আপনি আবু মুহাম্মদ ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তাকে উপহার প্রদান করেন
এবং তার সঙ্গে সদর আচরণ করেন ৷

আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ইবাদত, দৃনিয়াবিমুখতা, ইল্ম, আমল, দৈহিক
সৌন্দর্য, ন্যায়পরায়ণত৷ ও নিভ্যাযােগ্যতায় চুড়ান্ত ছিলেন ৷ তিনি প্রত্যহ দিনে-রাতে এক হাজার
রাকআর্ত নামায পড়তেন ৷ আমর ইবন আলী আল-ফাল্লাস বলেন৪ আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস শ্রেষ্ঠ লোকদের একজন ছিলেন ৷ এ বছর বালকার জাহমা নামক স্থানে৩ তিনি
ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি প্রায় আশি বছর আয়ু লাভ করেছিলেন ৷

ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেন : আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন
জাফর এর কন্যা লুবাবাকে বিবাহ করেন, যিনি প্রথমে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর শ্রী
ছিলেন ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তাকে তালাক প্রদান করেন ৷৩ তার কারণ এই ছিল যে,
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান একদিন দাত দ্বারা আপেল ভেঙ্গে একটি খণ্ড শ্রী লুবাবার দিকে
ছুড়ে যাবেন ৷ ত্রী আপেলের যে অংশটুকু আবদুল মালিক ইবনমারওয়ান-এর মুখ স্পর্শ
করেছিল, একটি ছবি দ্বারা সেটুকু কেটে ফেলেন ৷ আবদুল মালিক জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি
এটা করলে কেন ? লুবাৰা বলালন৪ তার থেকে জীবাণু যেদ্বুলে দিলাম ৷ তার কারণ হলো,
আবদুল মালিক মুখের দুর্পন্ধ রোগের ব্লোগী ছিলেন ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ান তাকে তালাক প্রদান করেন ৷

আলী ইবন আবদুল মালিক যখন তাকে বিবাহ করেন, ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক উক্ত
ঘটনার প্রতিশোধ গ্রহণ করেন ৷ তিনি আলী ইবন আবদুল্লাহ্কে কোড়৷ দ্বারা প্রহার করেন এবং
বলেন৪ তুমি খিলাফত বংশের অপমান করতে চাচ্ছ ৷ ওয়ালীদ ইবন আব্দুল মালিক তাকে
দ্বিতীয়বার প্রহার করেন এই জন্য যে, তার নামে রটনা হয়েছিল যে, তিনি বলেন, খিলাফত
তার ঘরের দিকে ফিরে আসছে ৷ বন্তুত ঘটনা তা-ই ঘটেছিল ৷

মুবাররাদ উল্লেখ করেছেন, আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস হিশাম ইবন আবদুল
মালিক-এর নিকট গমন করেন ৷ তখন তার দুই বালক ছেলে সাফ্ফাহ ও মানসুর তার সঙ্গে
ছিল ৷ হ্নিশাম তাকে সম্মান প্রদর্শন করেন, নিজের কাছে নিয়ে বসান এবং তাকে এ্যাকশত ত্রিশ
হাজার দিরহাম উপহার প্রদান করেন ৷ আলী ইবনআবদুল্লাহ্ হিশামকে তীর উভয় ছেলের
কল্যাভৈণর উপদেশ প্রদান করতে শুরু করেন এবং বলেন : এরা এক সময় রাষ্ট্ৰক্ষমত৷ লাভ
করবে ৷ তাতে হিশাম তার অভ্যন্তরের সুস্থুত৷ সম্পর্কে বিন্ময় প্রকাশ করে এবং তাকে নির্বোধ
বলে অভিহিত করেন ৷ বিক্ষ্ম ঘটনা তা-ই ঘটেছে, যা তিনি বলেছিলেন ৷ ’

ইতিহাসবিদগণ বলেন : আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস অতন্তে সুদর্শন এবং

সুঠামদেহী ছিলেন ৷ তিনি যখন মানুষের মাঝে হাটতেন, মনে হতো , তিনি বাহনে আরোহণ
করছেন ৷ উচ্চতায় তিনি ছিলেন তার পিতা আবদুল্লাহ্র র্কাধ সমান ৷ ৷পত৷ আবদুল্লাহ ছিলেন
তার পিতা আব্বাস-এর কাধ সমান ৷ আর আব্বাস ছিলেন তার পিত৷ আবদুল মুত্তালির এর
কা ধ সমান ৷


تَحْتَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَطَلَّقَهَا عَبْدُ الْمَلِكِ وَكَانَ سَبَبُ طَلَاقِهِ إِيَّاهَا أَنَّهُ عَضَّ تُفَّاحَةً ثُمَّ رَمَى بِهَا إِلَيْهَا، فَأَخَذَتِ السِّكِّينَ، فَحَزَّتْ مِنَ التُّفَّاحَةِ مَا مَسَّ فَمَهُ مِنْهَا، فَقَالَ: وَلِمَ تَفْعَلِينَ هَذَا؟ فَقَالَتْ: أُزِيلُ الْأَذَى عَنْهَا. وَذَلِكَ لِأَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ كَانَ أَبْخَرَ، فَطَلَّقَهَا، فَلَمَّا تَزَوَّجَهَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ هَذَا نَقَمَ عَلَيْهِ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ ذَلِكَ، فَضَرَبَهُ بِالسِّيَاطِ، وَقَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتَ أَنْ تُذِلَّ بَنِيهَا مِنَ الْخُلَفَاءِ. وَضَرَبَهُ مَرَّةً ثَانِيَةً ; لِأَنَّهُ اشْتُهِرَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الْخِلَافَةَ صَائِرَةٌ إِلَى بَنِيهِ. فَوَقَعَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ. وَذَكَرَ الْمُبَرِّدُ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعَهُ ابْنَا ابْنِهِ السَّفَّاحُ، وَالْمَنْصُورُ وَهُمَا صَغِيرَانِ، فَأَكْرَمَهُ هِشَامٌ وَأَدْنَى مَجْلِسَهُ، وَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَجَعَلَ عَلِيَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُوصِيهِ بِابْنَيْهِ خَيْرًا، وَيَقُولُ: إِنَّهُمَا سَيَلِيَانِ الْأَمْرَ. فَجَعَلَ هِشَامٌ يَتَعَجَّبُ مِنْ سَلَامَةِ بَاطِنِهِ، وَيَنْسُبُهُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْحُمْقِ، فَوَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ. قَالُوا: وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ فِي غَايَةِ الْجَمَالِ وَتَمَامِ الْقَامَةِ، كَانَ بَيْنَ النَّاسِ كَأَنَّهُ رَاكِبٌ، وَكَانَ إِلَى مَنْكِبِ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى مَنْكِبِ أَبِيهِ الْعَبَّاسِ وَكَانَ الْعَبَّاسُ إِلَى مَنْكِبِ أَبِيهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَقَدْ بَايَعَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ لِابْنِهِ مُحَمَّدٍ بِالْخِلَافَةِ قَبْلَ هَذِهِ السَّنَةِ بِسَنَوَاتٍ، وَلَكِنْ لَمْ يَظْهَرْ أَمْرُهُ حَتَّى مَاتَ، فَقَامَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ وَلَدُهُ عَبْدُ اللَّهِ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ وَكَانَ ظُهُورُهُ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৭৭০০
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ: عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، وَعُبَادَةُ بْنُ نَسِيٍّ، وَأَبُو صَخْرَةَ جَامِعُ بْنُ شَدَّادٍ، وَأَبُو عُشَّانَةَ الْمَعَافِرِيُّ.