আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة ومائة

الأحداث التي وقعت فيها

الأحداث التي وقعت فيها

الأحداث التي وقعت فيها

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৭৬৯২


১ ১৬ হিজরী সন

এ বছর মুআবিয়৷ ইবন হিশাম সাইফায় যুদ্ধ করেন এবং এ বছর সিরিয়া ও ইরাকে ব্যাপক
প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে ৷ সবচেয়ে বেশী হয় ওয়াসিত নামক স্থানে ৷ এ বছরের মুহাবৃরম মাসে
খুরাসানেব গভর্নর জুনায়দ ইবন আবদুর রহমান আল-মুররী পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে
মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ জুনায়দ ইবন আবদুর রহমান ফ ৷যিলা বিন্ত ইয়াযীদ ইবনুল মুহাল্পাবকে
বিবাহ করেন ৷ তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমীরুল মু ’মিনীন হিশাম ইবন আবদুল মালিক তাকে পদচ্যুত
করে তার স্থলে আসিম ইবন আবদুল্লাহ্কে খােরাসানের গভর্নর নিযুক্ত করেন এবং তাকে বলে
দেন৪ যদি মৃত্যুর আগে তাকে পাও, তাহলে তার আত্মাটা কেড়ে নিও ৷ কিন্তু আসিম ইবন
আবদুল্লাহ খুরাসান এসে পৌছানাের আগেই এ বছরের মুহাররম মাসে মার্ভ নামক স্থানে
জুনায়দ মৃত্যুবরণ করেন ৷ আবুল জারীর ঈসা ইবন আসাম৷ তার প্রতি শোক প্রকাশ করে
বলেছেন-

ণ্১;এ ৷


া,দ্বু৷ ৷
বদান্যতা ও জুনায়দ উভয়-ই মরে গেছে ৷ বদান্যতা ও জুনায়দ-এর উপর শান্তি বর্ধিত
হোক ৷
তারা উভয়ে মার্ভের পেটে সমাধিন্থ হয়েছে ৷ এখন আর ডালে তালে পায়রারা পান পায়
না ৷
তােমরা হলে মহানুভধতার অলংকার ৷ তুমি যখন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছ ৷ সেই সঙ্গে
উদারতা এবং মহানুভবতাও মারা গেছে’ ৷
আসিম ইবন আবদুল্লাহ থুরাসান এসে জুনায়দ-এর নায়েবদের উপর নানা প্রকার
অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন ৷ ফলে হারিছ ইবন শুরায়হ তার আনুগত্য হতে বেরিয়ে এসে
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং তাদের দু’জনের মাঝে বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হয়, যার
আলোচনা দীর্ঘ ৷ এক পর্যায়ে হারিছ ইবন শুরায়হ পরাজয় বরণ করেন এবং আসিম তার উপর
জয়লাভ করেন ৷
ওয়াকিদী বলেন এ বছর ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ লোকদেরকে হজ্জ করান ৷ ওয়ালীদ তার
চাচা আমীরুল মুমিনীন হিশাম ইবন আবদুল মালিক এর পর শাসনকর্তা ৷ এ বিষয়ে পরে
নালোচনা আসছে ইনশাআল্লাহ্ তা আলা ৷

১ ১ ৭ হিজরী সন

এ বছর মুআবিয়া ইবন হিশাম বাম সাইফা এবং সুর্লায়মান ইবন হিশাম ডান সাইফায়
যুদ্ধ করেন ৷ এরা দু জনই আমীরুল মু’মিনীন হিশাম-এর পুত্র ৷ এ বছর মারওয়ান ইবন
মুহাম্মদ যিনি মারওয়ান আল হিমড়ার নামে পরিচিত ছিলেন এবং আর্মেনিয়ার গর্নর ছিলেন-
দুটি অভিযান প্রেরণ করে লান শহরের কয়েকটি দুর্গ জয় করেন ৷ সে সময়ে উক্ত অঞ্চলের

€০া৷া
— ধ্গ্৭ পুে

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ الصَّائِفَةَ الْيُسْرَى وَسُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ الصَّائِفَةَ الْيُمْنَى. وَفِيهَا بَعَثَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ - وَهُوَ عَلَى إِرْمِينِيَّةَ - بَعْثَيْنِ، فَفَتَحَ حُصُونًا مِنْ بِلَادِ اللَّانِ وَنَزَلَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ عَلَى الْإِيمَانِ. وَفِيهَا عَزَلَ هِشَامٌ عَاصِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْهِلَالِيَّ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ، وَضَمَّهَا إِلَى خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ مَعَ الْعِرَاقِ مُعَادَةً إِلَيْهِ، جَرْيًا عَلَى مَا سَبَقَ لَهُ مِنَ الْعَادَةِ ; وَكَانَ ذَلِكَ عَنْ كِتَابِ عَاصِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْهِلَالِيِّ: إِنَّ وِلَايَةَ خُرَاسَانَ لَا تَصْلُحُ إِلَّا مَعَ وِلَايَةِ الْعِرَاقِ. فَأَجَابَهُ هِشَامٌ إِلَى ذَلِكَ قَبُولًا لِنَصِيحَتِهِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ قَتَادَةُ بْنُ دِعَامَةَ السَّدُوسِيُّ أَبُو الْخَطَّابِ الْبَصْرِيُّ الْأَعْمَى أَحَدُ عُلَمَاءِ التَّابِعِينَ وَالْأَئِمَّةِ الْعَامِلِينَ، رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَجَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ، مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ، وَزُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى، وَعَطَاءٌ، وَمُجَاهِدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، وَمَسْرُوقٌ، وَأَبُو مِجْلَزٍ وَغَيْرُهُمْ. وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْكِبَارِ كَأَيُّوبَ، وَحَمَّادِ بْنِ مَسْلَمَةَ، وَحُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৩

করি ৷ আমরা হাসানের বাড়িতে পৌছে দরযায় করাঘভুত করি ৷ শব্দ শুনে একটি সৃদান্সীয়া মেরে ছু
বেরিয়ে এসে বলল, ইনি কে ? আমি বললাম, ইনি মায়মুন ইবন মিহরান, হাসানের সঙ্গে ;
সাক্ষাৎ করতে এসেছেন ৷ মেয়েটি বলল, উমর ইবন আবদুল আযীয-এর লেখক ? আষিন্ৰু
বললাম, ই৷ ৷ মেয়েটি বলল, হতভাগা! এই অকাল পর্যন্ত বেচে থাকার তোমার কি প্রয়োজন
জ্যি ? উমর ইবন মায়মুন বলেন, শুনে শায়খ কেদে ফেললেন ৷ তার কান্না শুনে হাসান বেরিয়ে
আসেন ৷ তারা দু’জন মুআনাকা করলেন ৷ তারপর তারা ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ মায়মুন
বললেন, হে আবু সাঈদ ! আমি আমার হৃদয়ে কিছু কঠোরতা অনুভব করছি ৷ আপনি কঠোরতা
দুর করে আমাকে নরম করে দিন ৷ উত্তরে হাসান এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন :

০ ন্ষ্ § :


ষ্

ধ্

তৃমি বল তো, যদি আমি তাদেরকে দীর্ঘকাল ভােগ-বিলাস করতে দিই এবং পরে
তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, তা তাদের নিকট এসে পড়ে, তখন তাদের ভোগ-
বিলাসের উপকরণ তাদের কোন কাজে আসবে কি ?’ (সুরা শুআরা : ২০৫-২০ ৭)

শুনে শায়খ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন ৷ আমি দেখলাম, যবাহ্ বরোর পর বকরী যেমন পা
আছড়ায়, তেমনি তিনিও তার দু’ পা আছড়াতে শুরু করলেন ৷ তিনি দীর্ঘক্ষণ এ অবস্থায়
অতিবাহিত করলেন ৷ তারপর মেয়েটি এসে বলল, আপনারা শায়খকে কষ্ট দিলেন ৷ উঠুন,
আপনারা যার যার পথে চলে যান ৷ ফলে আমি আমার পিতার হাত ঙ্কুারে বেরিয়ে পড়লাম ৷
আমি বললাম, আব্বাজান! ইনিই কি সেই হাসান ? বললেন, হী৷ ৷ আমি বললাম, আমি তো
মনে করতাম, তিনি আরো বড় ব্যক্তিতুশীল মানুষ ৷ আমর ইবন মায়মুন বলেন, একথা শুনে
তিনি আমার বুকে একট৷ ঘুষি মারলেন ৷ তারপর বললেন, বৎস! তিনি আমাকে যে আয়াতটি
তিলাওয়াত করে শোনালেন, তুমি যদি অন্তর দ্বারা তার মর্ম উপলব্ধি করতে, তাহলে তুমি তার
মাধ্যমে তোমার অত্তরে যখম দেখতে পেতে ৷

মায়মুন ইবন মিহরান থেকে তারারানী বর্ণনা করেন যে, মায়মুন বলেছেন, আমি এটা
পসন্দ করি না যে, আমাকে অসার বাক্যে লিপ্ত হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হোক এবং
তদন্থলে আমাকে এক লাখ দিরহাম দেওয়া হোক ৷ কেননা, আমি আশা কা করছি, তখন আমি

৷ ট্রু প্রুদ্ভু (মানুষের মধ্যে কেউ
কেউ মহান আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে, ৩১৪ ৬) ৷ এই
আয়াতে বর্ণিত ৩লােকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ি কিনা ৷

জা ফর ইবন বারকান মায়মুন ইবন মিহরান হতে বর্ণনা করেন যে, মায়মুন বলেন, আমি
একদিন উমর ইবন আবদুল আযীয এর নিকট কিছু সময় অবস্থান করি ৷ যখন আমি ফিরে
আসার জন্য উঠে র্দাড়ালাম, উমর বললেন, যখন এই লোকটি এবং এর সমপর্ষাব্রের
লোকগুলাে চলে যাবেন, তখন ফালতু ছাড়া আর কোন মানুষ অবশিষ্ট থাকবে না ৷

মায়মুন ইবন মিহরান হতে যথাক্রমে ফুরাত ইবন সুলায়মান ও মা মার ইবন সুলায়মান
আর-রুকী সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, মায়মুন ইবন মিহরান বলেন, তিনটি বিষয়
আছে, তুমি সেগুলো দ্বারা নিজেকে পরীক্ষায় ফেল না ৷ তুমি বাদশাহর নিকট গমন কর না ৷


وَالْأَعْمَشِ، وَشُعْبَةَ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَاللَّيْثِ، وَمِسْعَرٍ، وَمَعْمَرٍ، وَهَمَّامٍ. قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ: مَا جَاءَنِي عِرَاقِيٌّ أَفْضَلُ مِنْهُ. وَقَالَ بَكْرٌ الْمُزْنِيُّ: مَا رَأَيْتُ أَحْفَظَ مِنْهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: هُوَ مِنْ أَحْفَظِ النَّاسِ. وَقَالَ مَطَرٌ الْوَرَّاقُ: كَانَ قَتَادَةُ إِذَا سَمِعَ الْحَدِيثَ يَأْخُذُهُ الْعَوِيلُ وَالزَّوِيلُ حَتَّى يَحْفَظَهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: هُوَ أَعْلَمُ مِنْ مَكْحُولٍ. وَقَالَ مَعْمَرٌ: مَا رَأَيْتُ أَفْقَهَ مِنَ الزُّهْرِيِّ، وَحَمَّادٍ، وَقَتَادَةَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: مَا سَمِعْتُ شَيْئًا إِلَّا وَعَاهُ قَلْبِي. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: هُوَ أَحْفَظُ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، لَا يَسْمَعُ شَيْئًا إِلَّا حَفِظَهُ، وَقُرِئَ عَلَيْهِ صَحِيفَةُ جَابِرٍ مَرَّةً وَاحِدَةً فَحَفِظَهَا، وَكَانَ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَذُكِرَ يَوْمًا، فَأَثْنَى عَلَى عِلْمِهِ وَفِقْهِهِ وَمَعْرِفَتِهِ بِالِاخْتِلَافِ وَالتَّفْسِيرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَقَالَ: قَلَّمَا تَجِدُ مَنْ يَتَقَدَّمُهُ، أَمَّا الْمِثْلُ فَلَعَلَّ! وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بِوَاسِطَ فِي الطَّاعُونِ - يَعْنِي فِي هَذِهِ السَّنَةِ - وَعُمْرُهُ سِتٌّ أَوْ سَبْعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبُو الْحُبَابِ سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ، وَالْأَعْرَجُ، وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৪


মায়মুন ইবন মিহরান হতে যথাক্রমে আবুল মালীহ ও ইয়াহইয়৷ ইবন উছমান আল-হারবী
সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমাদ ইবন হান্বল বর্ণনা করেন যে, মায়মুন ইবন মিহরান
বলেন, জনৈক মুহাজির ব্যক্তি নামায আদায়রত এক ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন ৷ তিনি ৰু
দেখতে পেলেন, লোকঢি নামায সংক্ষেপে আদায় করেছে ৷ ফলে তিনি লোকটিকে তিরল্কার
করলেন ৷ লোকঢি বলল, আমার একটি বস্তু হারিয়ে গিয়েছে ৷ মুহাজির বলেন, তুমি সবচেয়ে
মুল্যুবান সম্পদই হারিয়েছ ৷
তালহ৷ ইবন যায়দ হতে যথাক্রমে উছমান ইবন আবদুর রহমান আবু জা ফর
আন-নুফাইলী ও জাফর ইবন মুহাম্মদ আদ-দাসআনী সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন ণ্
হাম্বল বর্ণনা করেন যে, তালহ৷ ইবন যায়দ বলেন, মায়মুন বলেছেন, তুমি শাসকের সঙ্গে
পরিচিত হয়াে না এবং শাসকের সঙ্গে যার পরিচয় আছে,ত তার সঙ্গেও পরিচিত হয়াে না ৷
, আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমাদ আরো বর্ণনা করেন যে, মায়মুন ইবন মিহরান বলেছেন,
আমাকে একজন নারীর আমানতদার মনোনীত করা অপেক্ষা রাষ্টীয় ণ্কাষাগাংরর আমানতদার
মনোনীত করা আমার নিকট অধিক শ্রেয় ৷
হাবীব ইবন আবু মাবযুক হতে যথাক্রমে আবুল মালীহ আর রুকী ও হা ৷শিম ইবনুল হারিছ
সুত্রে আবু ইয়া লা আল মুসিলী বর্ণনা করেন যে, হাবীব ইবন আবু মাবযুক বলেন, মায়মুন
বলেন, আমি কামনা করি, আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যাক এবং অপরটি অক্ষত থাকুক, যার
দ্বারা আমি কাজ আদায় করব ৷ আর আমি কখনো কোন কাজের জন্য কষ্ট না করি ৷ আমি
বললাম, উমর ইবন আবদুল আষীয এর জন্যও নয় ? তিনি বললেন, উমর ইবন আবদুল
আষীয এর জন্যও নয় ৷ কাজে কোন কল্যাণ নেই ৷ না উমর ইবন আবদুল আযীয এর জন্য, না
অন্য কারো জন্য ৷
মায়মুন ইবন মিহরান থেকে যথাক্রমে জ৷ ফর ইবন বারকান, সুফিয়ান ও সাঈদ ইবনুল
হুৰাব সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, মায়মুন বলেছেন, আমি যখনই আমার কথা ও
কাজের মাঝে তুলনা করেছি, তখনই আমি নিজের থেকে আপত্তি পেয়েছি !
জাফর ইবন বারকান থেকে যথাক্রমে খালিদ ইবন হায়্যান, আলী ইবন মা বাদ ও
মিকদাম্ ইবন দাউদ সুত্রে তারারানী বর্ণনা করেন যে, জা ফর বলেন, মায়মুন ইবন মিহরান
আমাকে বলেন, আমি যা অপসন্দ করি, তুমি আমার সামনা-সামনিই তা বলে ফেল ৷ কেননা,
মানুষ তার ভাইকে উপদেশ দিতে পারে না, যতক্ষণ না তার সামনা-সামনি তার অপ্রিয় কথা
বলে ৷

আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ বর্ণনা করেন যে, মায়মুন ইবন মিহরান ৷ , বটু;ব্রঢ় এই
আয়াতের ব্যাখ্যার বলেছেন, এটা একদল মানুষকে নিচ করবে এবং অপর দলকে করবে
আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন হাম্বল যথাক্রমে ঈস৷ ইবন সালিম সুত্রে আবুল মালীহ হতে
বর্ণনা করেন যে, আবুল মালীহ বলেন, আমাকে আমার এক সঙ্গী বলেছে, আমি মায়মুন এর
সঙ্গে ইাটছিলাম ৷ এক পর্যায়ে তিনি আমার গায়ে কাতান সুতাৱ পোশাক দেখতে পান ৷ তিনি
বলেন, তুমি কি শুননি যে, বিত্তশালী কিংবা বিভ্রান্ত মানুষ ছাড়া কাতান পরিধান করে না ?


وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زَكَرِيَّا الْخُزَاعِيُّ، وَمَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ، وَمُوسَى بْنُ وَرْدَانَ. وَنَافِعٌ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيُّ أَصْلُهُ مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ وَقِيلَ: مِنْ نَيْسَابُورَ. وَقِيلَ: مِنْ كَابُلَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. رَوَى عَنْ مَوْلَاهُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَجَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِثْلَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَأَبِي سَعِيدٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَغَيْرِهِمْ، وَرَوَى عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ، وَكَانَ مِنَ الثِّقَاتِ النُّبَلَاءِ وَالْأَئِمَّةِ الْأَجِلَّاءِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: أَصَحُّ الْأَسَانِيدِ مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَدْ بَعَثَهُ إِلَى مِصْرَ يُعَلِّمُ النَّاسَ السُّنَنَ. وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ وَوَثَّقُوهُ. وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ: ذُو الرُّمَّةِ الشَّاعِرُ وَاسْمُهُ غَيْلَانُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ بُهَيْشٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ أُدِّ بْنِ طَابِخَةَ بْنِ إِلْيَاسِ بْنِ مُضَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৫


তিনি আরো বলেন, তুমি প্রজাকে শান্তি দিও না, যে কোন অপরাধে তাকে প্রহাৱও কর
না ৷ তার জন্য তা সংরক্ষণ করে রায় ৷ যখন সে মহান আল্লাহ্কে অমান্য করবে, তখন তাকে
মহান আল্লাহর অবাধ্যতার জন্য শাস্তি দাও এবং তোমার ও তার মাঝেসে যে অপরাধ করেছে
সে কথা স্মরণ করিয়ে দাও ৷

কুতায়বা বর্ণনা করেন যে, জাফৱ ইবন বারকান বলেন, আমি মায়মুন ইবন মিহরানকে
বলতে শ্যুনছি, একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকী হবে না, যতক্ষণ না সে এক অংশীদার
অপর অংশীদার থেকে হিসাব গ্রহণ অপেক্ষা আরো কঠােরভাবে নিজের হিসাব না নিয়ে ৷
এমনকি সে জেনে নেবে, তার খাবার কোথা থেকে আসছে এবং তার পানীয় কোথা থেকে
আসছে ৷ তা কি হালাল পদ্ধতিতে এসেছে, নাকি হারাম পদ্ধতিতে ?

আবু যুরআ আদ দারিমী সাঈদ ইবন হাফ্স আনৃ-নুফায়লী ও আবুল মালীহ সুত্রে মায়মুন
হতে বর্ণনা করেন যে, মায়মুন বলেন, ফাসিক হলো হিংস্র ত্তন্থেভুল্য ৷ তুমি যদি তার পক্ষে কথা
বলে তার পথ ছেড়ে দাও, তাহলে তুমি মুসলমানদের উপর হিংস্র জন্তুকে ছেড়ে দিলে ৷

জাফর ইবন বারকান বলেন, আমি মায়মুন ইবন মিহরানকে বললাম, অমুক ব্যক্তি
আপনার সাক্ষাতে দেরীতে দেরীতে আসে চুস্ষ্তিনি; বললেন, হৃদ্যতা যখন অন্তরে প্রোথিত হয়ে
যায়, তখন বিরহ দীর্ঘ হলেও ক্ষতি নেই ৷

ইমাম আহমাদ যথাক্রমে মায়মুন আর-রুকী ও হাসান আবুল মালীহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন
যে, মায়মুন ইবন মিহরান বলেন, তুমি তোমার পেট কিংবা পিঠ অপেক্ষা সহজ ঋণদাতা আর
কাউকে পাবে না ৷

ইমাম আহমাদ আবদুল্লাহ ইবন মায়মুন ও হাসান সুত্রে হাবীব ইবন আবু মারয়ুক হতে
বর্ণনা করেন যে, হাবীব ইবন আবু মারয়ুক বলেন, আমি মায়মুন ইবন মিহরান-এর পায়ে
পেশোকের নীচে একটি পশমের জুব্বা দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কী ? তিনি বললেন, হীড়া !
এ তথ্য তুমি কাউকে বলবে না ৷

আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইয়ড়াহ্য়া ইবন উছমান ও আবুল মালীহ সুত্রে মায়মুন থেকে বর্ণনা
করেন যে মায়মুন বলেছেন, যে ব্যক্তি গোপনে অন্যায় অপরাধ করল, সে যেন গোপনে তাওবা
করে ৷ আর যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে অপরাধ করল, সে যেন প্রকাশ্যে তাওবা করে ৷ কেননা, মহান
আল্লাহ ক্ষমা করেন লজ্জা দেন না ৷ পক্ষান্তরে মানুষ লজ্জা দেয় ক্ষমা করে না ৷

জাফর বলেন, মায়মুন বলেন, সম্পদে তিনটি বিপদ আছে ৷ তার মালিক যদি একটি
থেকে মুক্তিলাভ করে, দ্বিতীয়টি হতে মুক্তি পায় না ৷ যদি যে দুটি হতে মুক্তিলাভ করে, তাহলে
তৃতীয়ঢি থেকে মুক্তি না পাওয়া-ই স্বাভাবিক হয়ে দাড়ায় ৷ প্রথমত, সম্পদ হালাল ও পবিত্র
হওয়া চাই ৷ এমন মানুষ আছে কি, যার সম্পদে হালাল ব্যতীত অন্য কিছু ঢুকবে না ? যদি যে
এর থেকে নিরাপদ হয়ে যায়, তাহলে সম্পদের সাথে সংশ্লিষ্ট হকসমুহ আদায় করা তার কর্তব্য
হয়ে দাড়ায় ৷ যদি যে এ ক্ষেত্রেও আপদমুক্ত হয়, তাহলে তার কর্তব্য হবে, সে যা ব্যয় করবে,
তাতে সে অপচয়ও করবে না, কার্পণ্যও প্রদর্শন করবে না ৷

জাফর আরো বলেন৪ আমি মায়মুনকে বলতে শুনেছিং সবচেয়ে সহজ রোযা হ্লেন্
পানাহার বর্জন করা ৷

— § পুে

أَبُو الْحَارِثِ أَحَدُ فُحُولِ الشُّعَرَاءِ، وَلَهُ دِيوَانٌ مَشْهُورٌ، وَكَانَ يَتَغَزَّلُ فِي مَيَّةَ بِنْتِ مُقَاتِلِ بْنِ طَلَبَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ الْمِنْقَرِيِّ وَكَانَتْ جَمِيلَةً، وَكَانَ هُوَ دَمِيمَ الْخَلْقِ، أَسْوَدَ اللَّوْنَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا فُحْشٌ وَلَا خَنَا، وَلَمْ يَكُنْ رَآهَا قَطُّ وَلَا رَأَتْهُ، وَإِنَّمَا كَانَتْ تَسْمَعُ بِهِ وَيَسْمَعُ بِهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ تَنْذُرُ إِنْ هِيَ رَأَتْهُ أَنْ تَذْبَحَ جَزُورًا، فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ: وَاسَوْأَتَاهُ وَاسَوْأَتَاهُ. وَلَمْ تُبْدِ لَهُ وَجْهَهَا قَطُّ إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: عَلَى وَجْهِ مَيٍّ مَسْحَةٌ مِنْ حَلَاوَةٍ ... وَتَحْتَ الثِّيَابِ الْعَارُ لَوْ كَانَ بَادِيَا قَالَ: فَانْسَلَخَتْ مِنْ ثِيَابِهَا، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْمَاءَ يَخْبُثُ طَعْمُهُ ... وَإِنْ كَانَ لَوْنُ الْمَاءِ أَبْيَضَ صَافِيَا فَقَالَتْ: تُرِيدُ أَنْ تَذُوقَ طَعْمَهُ؟ فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ. فَقَالَتْ: تَذُوقُ الْمَوْتَ قَبْلَ أَنْ تَذُوقَهُ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: فَوَاضَيْعَةَ الشِّعْرِ الَّذِي لَجَّ وَانْقَضَى ... بِمَيٍّ وَلَمْ أَمْلِكْ ضَلَالَ فُؤَادِيَا قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ: وَمِنْ شَعْرِهِ السَّائِرِ بَيْنَ النَّاسِ مَا أَنْشَدَهُ: إِذَا هِبَّتِ الْأَرْوَاحُ مِنْ نَحْوِ جَانِبٍ بِهِ ... أَهْلُ مَيٍّ هَاجَ قَلْبِي هُبُوبُهَا
পৃষ্ঠা - ৭৬৯৬


মায়মুন থেকে যথাক্রমে হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান কুতায়বাহ্ ইবন সাঈদ, মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক ও ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে আবু আওওয়ানা বর্ণনা করেন যে, মায়মুন
বলেন৪ চার ব্যক্তি ও বিষয় এমন রয়েছে যে, তাদের ব্যাপারে কথা বলা যায় না ৷ আলী
উছমান, তা ৷কদীর ও নক্ষত্র ৷

তিনি আরো বলেন : তোমরা ইসলাম অসমর্থিত সকল প্রবৃত্তি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা
বয়ে ৷

ফুরাত ইবনুস-সাইব থেকে শাবাবা বর্ণনা করেন যে, ফুরাত বলেন : আমি মায়মুনকে
জিজ্ঞাসা করেছিলাম : আপনার নিকট আমি শ্রেষ্ঠ, নাকি আবু বাকর ও উমর ? আমার এই
প্রশ্ন শুনে তিনি কেপে ওঠেন ৷ এমনকি তার হাত থেকে লাঠিটা পড়ে যায় ৷ তারপর তিনি
বলেন, আমার ধারণা ছিল না যে, আমি সেই যুগৰু পর্যন্ত বেচে থাকর, যে যুগে আলী ও আবু
বাকরকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা হবে ! তারা দু’জন ছিলেন ইসলামের দুটি চাদর, ইসলামের
মাথা ও জামাআতের মাথা ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আবু বকর প্রর্থমে ইসলাম গ্রহণ
করেছেন, নাকি আলী ? তিনি বললেন : আল্লাহর শপথ! রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন বুহায়রা পদ্রীর
নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন, আবু বকর সে সময় নবী (না)-এর প্রতি ঈমান আনয়ন
করেছিলেন ৷ আবু বকর সেই ব্যক্তি, যিনি রাসুলুল্লাহ্ (না) ও খাদীজা (রা)-এর বিয়েতে
ঘটকালি করেছিলেন ৷ আর এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল আলীর জন্মেরও আগে ৷ তার
আগেও তিনি নবী (সা) এর সহচর ও বন্ধু ছিলেন ৷
মায়মুন ইবন মিহরান ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন ং
শেষ যামানার হালাল অর্থ আর নির্ভরযোগ্য ভইি কমই পাওয়া যাবে ৷

তিনি ইবন উমর থেকে আরো বংনাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : শেষ যামানার
নিকৃষ্ট সষ্পদ হবে রাজত্ব ৷

ইবন আবুদ-দুনৃইয়া বর্ণনা করেন যে, মায়মুন ইবন মিহরান বলেনং : যে ব্যক্তি কোন
বিনিময় ছাড়া ভইিদের সন্তুষ্টি অম্বেষণ করে, সে কবরের অধিবাসীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন
বব্রুক ৷
তিনি আরো বলেন৪ অন্যের উপর যুলুম করার পর যদি সেই যুলুম হতে নিষ্কৃতি লাভের
পথ হারিয়ে যায়, তাহলে যদি সে প্রতি নামাযের পর মযলুমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে
সে যুল্ম্ হতে নিষ্কৃতি লাভ করবে ৷ আর মহান আল্লাহ চান তো সমান, সম্পদ এবং অন্য সকল
যুলুম এর অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ মায়মুন বলেন৪ হতদ্রকােরী, হত্যার নির্দেশদাতা, নির্দেশ পালনকারী,
অত্যাচারী ও অত্যাচার কর্মে সম্মত ব্যক্তি, অপরাধের ক্ষেত্রে সবইি সমান ৷

তিনি আরো বলেন৪ সর্বশ্রেষ্ঠ ধৈর্য হলো মহান আল্লাহ্র যে আনুগত তোমার মন অপসন্দ
করে, মনের বিপক্ষে তার উপর অটল থাকা ৷

মায়মুন একদল সাহাবী হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বিক৷ নামক স্থানে বাস
করতেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন ৷
ইৰ্ন উমর (না)-এর গোলাম নাফি (ব)

আবু আবদুল্লাহ আল-মাদানী ৷ কোন এক পশ্চিমা দেশ বংশোদ্ভুত ৷ কেউ কেউ বলেন,
তিনি নিশাপুরের অধিবাসী ৷ কারো কারো মতে কাবুলের ৷ কেউ কেউ ভিন্ন মতও পোষণ


هَوًى تَذْرِفُ الْعَيْنَانِ مِنْهُ وَإِنَّمَا هَوَى كُلِّ نَفْسٍ أَيْنَ حَلَّ حَبِيبُهَا وَأَنْشَدَ عِنْدَ الْمَوْتِ: يَا قَابِضَ الرُّوحِ عَنْ نَفْسِي إِذَا احْتُضِرَتْ ... وَغَافِرَ الذَّنْبِ زَحْزِحْنِي عَنِ النَّارِ