আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس عشرة ومائة

الأحداث التي وقعت فيها

ممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬৮৮

ইবন উয়ায়নাহ্ বলেন, আমি ইবন জ৷ ৷রীরকে বললাম, আপনার ন্যায় নামাযী আমি আর
দেখিনি ৷ তিনি বললেন, তুমি যদি আতাকে দেখতে ৭

আত৷ বলেন, মহান আল্লাহ সেই যুবককে ভালবাসেন না, যে বিখ্যাত কাপড় পরিধান
করে ৷ ফলে সেই পোশাক না খোলা পর্যন্ত মহান আল্লাহ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখেন ৷

বলা হতো, বান্দার উচিত ব্যাধিগ্রস্ত লোকের ন্যায় হয়ে থাকা, যার শক্তির প্রয়োজন এবং
সব খাবার তাকে মানায় না ৷ আরো বলা হতো নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞ লোকের চােখকেই অন্ধ করে
ফেলে ৷ সেখানে অজ্ঞ ণ্লাকদের অবস্থা কেমন হবে ? কখনো তুমি নিআমতেৱ অধিকারী
ব্যক্তিকে ঈর্ষা করবে না ৷ কারণ, তুমি জান না , মৃত্যুর পর সে কোথায় যাবে ৷

১ ১৫ হিজরী সন

এ বছর সিরিয়ার প্লেগ রোগ দেখা দেয় এবং মুহাম্মদইবন হিশাম ইবন ইসমাঈল
ণ্লাকদেরকে হজ্জ করান ৷ মুহাম্মদ ইবন হিশাম ছিলেন হারামায়ন ও তইিফ এর নায়েব ৷
অনসেব অঞ্চলের নায়েব তারাই ছিলেন, যাদের উল্লেখ পুর্বে করা হয়েছে ৷ মহান আল্লাহ ভাল
জানেন ৷ এ বছর মৃত্যুমুখে পতিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গং :

আবু জা ফর আল-ৰার্কির

তিনি মুহাম্মদ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবী তালিব আল-কারাশী
আল-হাৰ্শমী আবু জাফর আল বাকির ৷ তার মা হাসান ইবন আলীর কন্যা উষ্মে আবদুল্লাহ ৷
মহান তাবিঈ ৷ বিপুল মর্যাদা ৷র অধিকারী বিশাল ব্যক্তিত্ব ৷ ইলম, আমল, নেত ট্রুতৃ ও সম্মানে এই
উষ্মতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবশ্চেরি একজন ৷ শীআদের দাবী অনুযায়ী তিনি তাদের বার ইমামের
অন্যতম ৷ অথচ তিনি না ছিলেন তাদের পথের লোক, না তাদের মতের ৷ তাদের
চিন্তা-চেতনার সঙ্গে তার কোন মিল ছিল না ৷ বরং তিনি তাদের একজন ছিলেন, যারা হযরত
আবু বাকর ও উমর (রা)-এর অনুসরণ করতেন ৷ তার মতে এটাই ছিল সঠিক পথ ৷ তিনি
বলেনও যে, আমি আমার পরিবারের একজনকেও এমন পাইনি, যে আবু বাকর ও উমর-এর
সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখত না ৷ তিনি একাধিক সাহাবী হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার
থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন একদল বড় বড় তাবিঈ ৷ তাদের থেকে যারা হাদীস বর্ণনা
করেছেন, তাদের কয়েকজন হলেন, জাফর আস-সড়াদিক, হাকাম ইবন উভায়বা, রবীআ,
আমাশ, আবু ইসহাক আস-সুবায়ঈ আওযাঈ, আরাজ, যিনি বয়সে তার বড় ছিলেন ৷ ইবন
জুরায়জ, আতা’, আমর ইবন দীনার ও যুহরী ৷

সুফিয়া ন ইবন উয়ায়নাহ জা ফর আস-সাদিক হতে বর্ণনা করেন যে, জা ফর সাদিক (র)
বলেনং আমাকে আমার পিতা বর্ণনা করেন তিনি ছিলেন সে যুগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুহাম্মদী ৷

আল-আজালী বলেন০ ং তিনি মাদানী এবং নির্ভরযোগ্য ত ৷বিঈ ৷

মুহাম্মাদ ইবন সা দ বলেন০ আবু জা ফর আল-বাকির (রা) নির্ভরযোগ্য এবং অনেক
হাদীস বর্ণনাকারী ৷

এক অভিমত অনুসারে তিনি এ বছর ইনৃতিকাল করেন ৷ কারো কারো মতে এর আগের
বছর ৷ কারো মতে এ বছরের পরের বছব্লুগ্যে ৷ ণোক্কুারো মতে তার পরের কিংবা তারও পরের বছর ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا وَقَعَ طَاعُونٌ بِالشَّامِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ نَائِبُ الْحَرَمَيْنِ وَالطَّائِفِ. وَالنُّوَّابُ فِي سَائِرِ الْبِلَادِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ. وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ وَأُمُّهُ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ بِنْتُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلُ الْقَدْرِ، كَثِيرُ الْعِلْمِ، أَحَدُ أَعْلَامِ هَذِهِ الْأُمَّةِ عِلْمًا وَعَمَلًا وَعِبَادَةً وَنَسَبًا وَشَرَفًا، وَهُوَ أَحَدُ مَنْ تَدَّعِي فِيهِ طَائِفَةُ الشِّيعَةِ أَنَّهُ أَحَدُ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، وَلَمْ يَكُنِ الرَّجُلُ عَلَى طَرِيقِهِمْ وَلَا عَلَى مِنْوَالِهِمْ، وَلَا يَدَيْنُ بِمَا وَقَعَ فِي أَذْهَانِهِمْ وَأَوْهَامِهِمْ وَخَيَالِهِمْ، بَلْ كَانَ مِمَّنْ يُقَدِّمُ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ وَذَلِكَ عِنْدَهُ صَحِيحٌ فِي الْأَثَرِ، وَقَالَ أَيْضًا: مَا أَدْرَكْتُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ بَيْتِي إِلَّا وَهُوَ يَتَوَلَّاهُمَا. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَعَنْهُ. وَقَدْ رَوَى عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৮৯


প্রাণীর সব কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন ? তারপর বলেন৪ আপনি কক্ষণো আমার নাগাল পাবেন
না

এটাই হলো বুরহান ৷

বিশৃর ইবনুল হারিছ আল-হাফী যথাক্রমে সুফিয়ান আস-ছাওরী ও মানসুর সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, মানসুর বলেন : আমি মুহাম্মদ ইবন আলীকে বলতে শুনেছি : সচ্ছলতা ও সম্মান
মু’মিনের অন্তরে ঘুরে ণ্বড়ায় ৷ যখন তারা সেই স্থানটিতে গিয়ে পৌছে, যেখানে তাওয়াক্কুল
থাকে, আমি তাকে আটকে ফেলি ৷

তিনি আরো বলেনং মহান আল্লাহ আমাদের গোষ্ঠীর লোকদের অন্তরে প্রভাব ঢেলে দেন ৷
যখন আমাদের নেতারা দণ্ডায়মান হন, তখন তাদের এক একজন মানুষ সিংহ অপেক্ষা সাহসী
এবং তরবারি অপেক্ষা ধারাল হয়ে যান ৷ তিনি বলেন : আমাদের গোষ্ঠী হলো, যারা মহান
আল্লাহর আনুগত্য করে ও তাকে ভয় করে ৷

তিনি আরো বলেন ং তোমরা বিবাদ থেকে বেচে থাক ৷ কেননা, বিবাদ অম্ভরকে বিনষ্ট
করে এবং কপটতা জন্ম দেয় ৷

তিনি ৷ট্রুা ৷ ;; ঠুট্রুন্ট্রু;০ট্রুন্ছুঠু ট্রু- ,ট্রু ;র্দ্রা’া এই আঘাতের ব্যাখ্যায়বলেন : তারাই হলো
বিবাদকারী গোষ্ঠী ৷ উরওয়াহ্ ইবন আবষ্টুল্লাহ্ বলেন : আমি আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন
আলীকে তরবারি অলৎকরণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ৷ তিনি বলেন : তাতে কোন
অসুবিধা নেই ৷ আবু বকর সিদ্দীক (বা) তার তরবারি অলংকুত করেছিলেন ৷ উরওয়াহ্ বলেন :
আমি বললাম : আপনি সিদ্দীক বলছেন ? তিনি লাফিয়ে উঠে কিবলামুখী হলেন ৷ তারপর
বললেন : হীা, সিদ্দীক, ছুৰুা, সিদ্দীক ৷ যে ব্যক্তি সিদ্দীক বলল না, মহান আল্লাহ দুনিয়া ও
আখিরাতে তার কোন কথা সত্য না করুন ৷

জাবির আল জু’ফী বলেন : মুহাম্মদ ইবন আলী আমাকে বললেন : হে জাবির৷ আমি
শুনতে পেয়েছি, ইরাকের একদল মানুষ মনে করে যে, তারা আমাদেরকে ভালবাসে এবং আবু
বাকর (রা) ও উমর (রা)-এর সমালোচনা করে ৷ তারা মনে করছে, আমি তাদেরকে সে
ব্যাপারে আদেশ করেছি ৷ তুমি আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে জানিয়ে দাও, আমি মহান
আল্লাহ্র অনুগত এবং তাদের থেকে দায়মুক্ত ৷ শপথ সেই সভার, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন!
আমি যদি ক্ষমতা লাভ করি, তাহলে আমি তাদের রক্ত ঝরিয়ে মহান আল্লাহ্র ভৈনকট্য লাভ
করা ৷ আমি যদি আবু বাকর (রা) ও উমর (রা) এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমতের দু আ না
করি, তাহলে মুহাম্মদ (সা) এর শাফাআত যেন আমার নাগাল না পায় ৷ নিশ্চয় মহান আল্লাহর
শত্রুরা তাদের মর্যাদা ও অগ্রসরত৷ সম্পর্কে অনবহিত ৷তুমি তাদেরকে জ নিয়ে দাও, আমি
তাদের থেকে এবং যারা আবু বাকর (রা) ও উমর (রা) থেকে দায়মুক্ত, তাদের থেকে
দায়মুক্ত ৷

তিনি আরো বালন০ ং যে ব্যক্তি আবু বকর (রা) ও উমর (রা) মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত হল
না, সে সুন্নাত বিষয়ে অজ্ঞ ই রয়ে গেল ৷

’ fl

তিনি ৷ঠো০ ৷ ৷ , হা’াঠু০’০ঞা এ ৷ ন্হ্রটুাঠু ৷০ট্রুষ্৷ তােমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তার
রাসুল ও মু’মিনগণ’ (৫৪ ৫৫) ৷ পবিত্র কুরআনের এই আঘাতের ব্যাখ্যার বলেন৪ তারা হলেন


وَغَيْرِهِمْ، فَمِمَّنْ رَوَى عَنْهُ ; ابْنُهُ جَعْفَرٌ الصَّادِقُ، وَالْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، وَرَبِيعَةُ، وَالْأَعْمَشُ، وَالْأَوْزَاعِيُّ، وَالْأَعْرَجُ - وَهُوَ أَسَنُّ مِنْهُ - وَابْنُ جُرَيْحٍ، وَعَطَاءٌ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، وَالزُّهْرِيُّ، وَأَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي وَكَانَ خَيْرَ مُحَمَّدِيٍّ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ. وَقَالَ الْعِجْلِيُّ: هُوَ مَدَنِيٌّ تَابِعِيٌّ ثِقَةٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً كَثِيرَ الْحَدِيثِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي قَوْلٍ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. أَوْ فِي الَّتِي هِيَ بَعْدَهَا أَوْ بَعْدَ بَعْدِهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاوَزَ السَّبْعِينَ، وَقِيلَ: لَمْ يُجَاوِزِ السِّتِّينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.