আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة عشر ومائة من الهجرة النبوية

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬৫৭

তিনি যখন সেখানে পৌছেন, তখন তার ছেলে ও ভইিকে এক ফৌজের সাথে রওনা করে দেন ৷
তখন তারা মুশরিকদের মুখোমুখি হয় ৷ এ সময় তারা তাদের বহুসংখ্যক যােদ্ধাকে হত্যা করে
এবং বহুসংখ্যককে বন্দী করে ৷ অবশিষ্টরা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ৷ এ যুদ্ধে মুসলমানগণ
তাদের থেকে বহু গনীমত লাভ করেন ৷ এ বছরেই মুআবিয়া ইবনহিশাম রোমক ভুখণ্ডে দুটি
দুর্গ দখল করেন এবং বিপুল গনীমত লাভ করেন ৷ এছাড়া এ বছরেই ইবরাহীম ইবন হিশাম
লোকদের হজ্জ পরিচালনা করেন আর এ সময় ইরাকের গভর্নর ছিলেন খালিদ কাসরী আর
থােরাসানের গভর্নর আশরাস আস-সুলামী ৷ এ বছরে ওফাতপ্রাপ্তদের অন্যতম হলো

করি জারীর

জারীর ইবনুল খাতাফী মতান্তরে ইবন আতিয়্যা ইবনুল খাতাফী ৷ আর খা৩ ৷ফীর পুর্ণ নাম
হুযায়ফা ইবন বাদার ইবন সালামা ইবন আওফ ইবন কুলায়ব ইবন ইয়ারবু ইবন হানযালাহ্
ইবন মালিক ইবন যায়দ মানাত ইবন তামীম ইবন মুবৃৱ ইবন তাবিখাহ্ ইবন ইলয়াস ইবন
মুযার ইবন নিযার ৷ তার উপাধি আবু হিরযাহ্ ৷ বসরাবাসী করি ৷ তিনি একাধিক বার
দামেশকে আগমন করেন এবং ইয়াষীদ ইবন মুআৰিয়৷ এবং তার পরবর্তী খলীফাদের প্রশংসায়
কাব্য রচনা করেন ৷ এ ছাড়া তিনি উমর ইবন আবদুল আষীযের দরবারেও আগমন করেন ৷
তার যুগে তার সমপর্ষায়ের করি জ্জি ফারাযদাক ও আখতাল ৷ তবে কাব্য বিচারে ও ণ্সদগুণে
জারীর ছিলেন তাদের সবেত্তিম ৷ একাধিক কাব্য সমালোচক বলেন, তিনি এই তিনজনের মধ্যে
শ্রেষ্ঠ করি ৷ ইবন দুরায়দ বর্ণনা করেন, আশনানৃদানী সুত্রে উছমান আলিববী থােক ৷
তিনি বলেন, আমি জারীরকে দেখেছি তার ওষ্ঠদ্বয় তাসবীহ পাঠরত ৷ আমি তাকে প্রশ্ন করি,
এটা আপনার কী উপকারে আসবে ৷ তিনি বলেন, সুবহানাল্লাহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহ্, লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ্, আল্লাহ আকবার, ওয়া লিল্পাহিল হামদৃ ৷ নিশ্চয় পুণ্যসমুহ পাপ-ণ্মাচন করে ৷ আর তা
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য প্রতিশ্রুতি ৷ হিশাম ইবন মুহাম্মদ আলকালুবী তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার বানু উযরার এক ব্যক্তি খলীফা আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের দরবারে উপস্থিত হয়ে৩ তাকে তার একটি প্রশংসামুলক কবি৩ ৷ আবৃত্তি করে
শোনার ৷ এ সময় তার দরবারে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ কবিত্রয় জারীর, ফারাযদাক ও আখতাল
উপস্থিত ছিলেন ৷ কিংচু ণ্বদুঈন আরাবী তাদেরকে চিনল না ৷ তখন আবব্দুলে মালিক আ ’রাবীকে
বলেন, তুমি কি জান নিন্দা কাব্যে আরবদের শ্রেষ্ঠ কবিতা পঙ্ক্তি কোনটি যা ইসলামী যুগে
রচিত ৷ সে বলল, হীা, তা হলো করি জারীরের এই পঙ্ক্তি :

াৰুব্লুাএ ব্লুাটু
তােমার দৃষ্টি অবনত রাখ তুমি তো নুমায়র গোত্রের সদস্য, বানু কাব কিৎবা বানু
কিলাবের মর্যাদার স্তরে পৌছা তোমার কাজ নয় ৷ ’

খলীফা বলেন, তুমি চমৎকার বলেছষ্ তুমি কি ইসলামী যুগে বলা আরবদের সবচেয়ে
শ্রেষ্ঠ প্ৰপংসামুলক পঙ্ক্তি জান ? যে বলল, হ্যা, তা জারীরের এই পঙ্ক্তি৪

fl ’ ’


, আপনারা কি উষ্ট্রারােহী আরবদের সার্বাত্তম জন নন এবং জগতের সবচেয়ে উদার হস্ত ও
বদান্য নন ?’


وَأَسَرُوا بِطْرِيقَهُمْ، وَانْهَزَمَ بِاقِيهِمْ، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُمْ شَيْئًا كَثِيرًا. وَفِيهَا فَتَحَ مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ حِصْنَيْنِ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ وَغَنِمَ غَنَائِمَ جَمَّةً. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامٍ. وَعَلَى الْعِرَاقِ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ وَعَلَى خُرَاسَانَ أَشْرَسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السُّلَمِيُّ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] جَرِيرٌ الشَّاعِرُ وَهُوَ جَرِيرُ بْنُ الْخَطَفَى وَيُقَالُ: جَرِيرُ بْنُ عَطِيَّةَ بْنِ الْخَطَفَى. وَاسْمُ الْخَطَفَى حُذَيْفَةُ بْنُ بَدْرِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ كُلَيْبِ بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ حَنْظَلَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمِ بْنِ مُرِّ بْنِ طَابِخَةَ بْنِ إِلْيَاسِ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارٍ، أَبُو حَزْرَةَ الشَّاعِرُ الْبَصْرِيُّ، قَدِمَ دِمَشْقَ مِرَارًا، وَامْتَدَحَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ وَالْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِهِ، وَوَفَدَ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَكَانَ فِي عَصْرِهِ مِنَ الشُّعَرَاءِ الَّذِينَ يُقَارَنُونَ الْفَرَزْدَقُ، وَالْأَخْطَلُ، وَكَانَ جَرِيرٌ أَشْعَرَهُمْ وَأَخْيَرَهُمْ. قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: هُوَ أَشْعَرُ الثَّلَاثَةِ. قَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ، ثَنَا الْأُشْنَانْدَانِيُّ، ثَنَا التَّوَّزِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عُثْمَانَ الْبَتِّيِّ، قَالَ: رَأَيْتُ جَرِيرًا وَمَا تُضَمُّ شَفَتَاهُ مِنَ التَّسْبِيحِ، فَقُلْتُ: وَمَا يَنْفَعُكَ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৭৬৫৮


প্রসার লাভকারী ৷ তিনি বলেন, কী বলছ তুমি আদী৷ আমারসাথে কবিদের কী সম্পর্ক ? তিনি
বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! স্বয়ং আল্লাহর রাসুলও কবিতা শুনতেন এবং তার জন্য বখশিশ
প্রদান করতেন ৷ আব্বাস ইবন মিরদাস তার প্রশংসায় কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ তিনি তাকে
জোড়া কাপড় প্রদান করেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে বলেন, তুমি কি তার অংশ
বিশেষ আবৃত্তি করতে পার ৷ আদী বলেন, হী৷ ! এরপর তিনি তাকে আবৃত্তি করে গােনালেন-

’শ্া১
হে সকল সৃষ্টির সেরা! আপনাকে দেখেছি এমন এক মহগ্রোন্থের প্রচার করতে যা সুচিন্তিত
সত্য নিয়ে এসেছে ৷



আমরা সত্য বিচ্যুত হওয়ার পর আপনি আমাদের কল্যাণে সত্য ধর্মের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন,
যখন সত্য অন্ধকারাচ্ছা হয়ে পড়েছিল ৷

’০


প্রমাণ দ্বারা আপনি একটি অস্পষ্ট বিষয় আলোকিত করেছেন এবং কুরআন মাজীদ দ্বারা
প্রজ্বলিত আগুন নিবাপিত করেছেন ৷

কে আছে যে আমার পক্ষ থেকে নবী মুহাম্মদকে পৌছে দিয়ে আর প্রতেককেই তার
কৃতকর্মের ফ্যা প্রদান করা হবে ৷
’—
বক্রতার পর আপনি সত্যের পথকে সরল করেছেন, আর তার স্তম্ভ প্রাচীন ও বিধ্বস্ত হয়ে
পড়েজ্জি ৷
ঙুপুণ্;াএ
তিনি আমাদের ইলাহের আরশে আরোহণ করেছেন আর আল্লাহর উর্ধ্বতর ও
বৃহত্তরমহত্তর ৷
উমর বলেন, কােনৃ কােনৃ করি অপেক্ষারত ? তিনি বলেন, উমর ইবন আবু রাবীআ ৷ উমর
বলেন, সেই কি নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিসমুহের রচয়িতা নয় ?
শ্ ব্লু১াহু৷ ৷ ট্টৰু,
তারপর আমি তাকে জাগ্রত করলাম ৷ তখন সে উদ্ভিন্ন যৌবনা হয়ে এমন শিশুর ন্যায়
জাগ্রত হলো যে, স্পষ্টতাবে কথার উত্তর দিতে শিখেনি ৷


ব্লু ৷
কিছুক্ষণ পর সম্বিত ফিরে পেয়ে সে বলে উঠল, হে অভিজাত পিতৃপুরুষদের সন্তান তুমি
তাে তড়িঘড়ি করে ফেলেছ ৷



وَأَنْتَ تَقْذِفُ الْمُحْصَنَةَ؟ ! فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ {إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ} [هود: 114] ، وَعْدٌ مِنَ اللَّهِ حَقٌّ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: دَخْلُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عُذْرَةَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يَمْتَدِحُهُ بِقَصِيدَةٍ، وَعِنْدَهُ الشُّعَرَاءُ الثَّلَاثَةُ جَرِيرٌ، وَالْفَرَزْدَقُ، وَالْأَخْطَلُ فَلَمْ يَعْرِفْهُمُ الْأَعْرَابِيُّ، فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِلْأَعْرَابِيِّ: هَلْ تَعْرِفُ أَهَجَى بَيْتٍ فِي الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَوْلُ جَرِيرٍ: فَغُضَّ الطَّرْفَ إِنَّكَ مِنْ نُمَيْرٍ ... فَلَا كَعْبًا بَلَغْتَ وَلَا كِلَابًا فَقَالَ: أَحْسَنْتَ، فَهَلْ تَعْرِفُ أَمْدَحَ بَيْتٍ قِيلَ فِي الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَوْلُ جَرِيرٍ: أَلَسْتُمْ خَيْرَ مَنْ رَكِبَ الْمَطَايَا ... وَأَنْدَى الْعَالَمِينَ بُطُونَ رَاحٍ فَقَالَ: أَصَبْتَ وَأَحْسَنْتَ، فَهَلْ تَعْرِفُ أَرَقَّ بَيْتٍ قِيلَ فِي الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَوْلُ جَرِيرٍ: إِنَّ الْعُيُونَ الَّتِي فِي طَرْفِهَا مَرَضٌ ... قَتَلْنَنَا ثُمَّ لَمْ يُحْيِينَ قَتْلَانَا يَصْرَعْنَ ذَا اللُّبِّ حَتَّى لَا حَرَاكَ بِهِ ... وَهُنَّ أَضْعَفُ خَلْقِ اللَّهِ أَرْكَانًا فَقَالَ: أَحْسَنْتَ، فَهَلْ تَعْرِفُ جَرِيرًا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ وَإِنِّي إِلَى رُؤْيَتِهِ لَمُشْتَاقٌ. قَالَ: فَهَذَا جَرِيرٌ وَهَذَا الْأَخْطَلُ وَهَذَا الْفَرَزْدَقُ. فَأَنْشَأَ الْأَعْرَابِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৬৫৯


পথাশ্রয়ী মুসাফির ৷ তিনি বলেন, আমি যখন খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন আমার
কাছে সর্বসাকল্যে তিনশ’ দিরহাম ছিল ৷ যার একশ’ দিরহাম নিয়েছে আবদৃল্লাহ্র মা, একশ’
দিরহাম তার ছেলে আর একশ’ দিরহাম অবশিষ্ট আছে ৷ একথা বলে তিনি তাকে একশ’
দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর জারীর যখন বের হয়ে অন্যান্য কবিদের সামনে
আসল, তারা বলল, হে জারীর! তুমি কী খবর এনেছো ? সে বলল, তোমাদের জন্য হতাশাব্য
ক ৷ আমীরুল মু’মিনীন দরিদ্রদের দান করছেন আর কবিদের বঞ্চিত করছেন৷ আর আমি
অবশ্যতার প্রতি প্রসন্ন, একথা বলে সে আবৃত্তি করল-
াট্রু হুাট্রু ওে৷ ৷

আমি দেখেছি শয়তানের তন্ত্রমন্ত্র তাকে অস্থির শঙ্কিত করেন ৷ অথচ ইতোপুর্বে আমার
জাি শয়তান তা করতে পারত ৷

মুআফী ইবন যাক বিয্যা আল-জারীরীর এক বর্ণনায় এসেছে, (একবার) হাজ্জাজ ইবন
ইউসুফের এক বাদী তাকে বলল, আপনি তাকে (জারীরকে) আমাদের সামনে উপস্থিত করুন ৷
হাজ্জাজ বলল, আমি যতদুর জানি যে নারী আসক্তিহীন্ ৷ সে বলল, আপনি যদি তাকে আমার
সাথে নির্জনে রাখেন, তাহলে দেখবেন সে কী করে ৷ হাজ্জাজ নির্দেশ কাি ঐ বীদীকে জারীরের
সাথে এমন এক নির্জন স্থানে রাখতে, যেখান থেকে হাজ্জাজ তাদেরকে দেখতে পাবে ৷ কিন্তু
তারা হাজ্জাজকে দেখতে পাবে না, এবং জারীর এর কোন কিছুই টের পাবে না ৷ এরপর
নির্জনে গিয়ে বাদীটি জারীরকে বলল, হে জারীর ! কিন্তু জারীর মাথা ঝুকিয়ে বলল, এই তো
আমি! তখন সে বলল, আমাকে তোমার অমুক অমুক কবিতা আবৃত্তি করে শোনাও৷ তাতে
আমি বেশ কােমলতা অনুভব করি ৷ তখন সে বলল, তা আমার মনে নেই, তবে আমি অমুক
অমুক কবিতা মনে করতে পারছি ৷ এভাবে সে র্বাদীর কাজ্জিত কবিতা এড়িয়ে তাকে
হাজ্জাজের প্রশংসায় রচিত কাব্য ণ্শানাল ৷ তখন সে বলল, আমি তো এ বিষয়ের কবিতা
শুনতে চাই না, আমি তাে আসলে অমুক অমুক কবিতা শুনতে চাই ৷ কিন্তু সে এবারও তার
কথা পাশ কাটিয়েএড়িয়ে তাকে হাজ্জাজের প্রশংসায় কবিতা আবৃত্তি করে গােনাল এমনকি
মজলিস শেষ হয়ে গেল ৷ এরপর হাজ্জাজ জ৷ ৷রীরকে বলল, তুমি বড় ভাগ্যবান ব্যক্তি তদ্রতা ও
সচ্চরিত্র ছাড়া সব কিছুই ভুমি প্রত্যাখ্যান করেছ ৷ ইকরিমাহ্ বলেন, একবার আমি এক বেদুঈন
আরবকে কবি জারীর আল খাতাফীর একটি পঙ্ক্তি আবৃত্তি করে শোনালাম-


রাত্রিকে কি পরিবর্ভা করে দেওয়া হয়েছে যে ভারত তারকাসমুহ নিশ্চল হয়ে আছে ৷ নাকি
তা দীর্ঘ হয়েছে এমনকি আমার কাছে নক্ষএকে হয়রান মনে হয়েচে ৷

এ কবিতার পঙ্ক্তি শুনে আরাবী বলল, এর অর্থ ভাল, তবে আমি এর অনুরুপ থেকে
আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ আর তার বিপরীত অর্থে আমি তোমাকে আমার কবিতা আবৃত্তি
করে শোনাচ্ছি ৷

এমন রাত্রি যাকে অনিদ্র৷ প্রলন্বিত করেনি, যাকে সংক্ষিপ্ত করেছে প্রিয়জনের সান্নিধ্য ৷


يَقُولُ: فَحَيَّا الْإِلَهُ أَبَا حَرْزَةٍ ... وَأَرْغَمَ أَنْفَكَ يَا أَخْطَلُ وَجَدُّ الْفَرَزْدَقِ أَتْعِسْ بِهِ ... وَدَقَّ خَيَاشِيمَهُ الْجَنْدَلُ فَأَنْشَأَ الْفَرَزْدَقُ يَقُولُ: يَا أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفًا أَنْتَ حَامِلُهُ ... يَا ذَا الْخَنَا وَمَقَالِ الزُّورِ وَالْخَطَلِ مَا أَنْتَ بِالْحَكَمِ التُّرْضَى حُكُومَتُهُ ... وَلَا الْأَصِيلِ وَلَا ذِي الرَّأْيِ وَالْجَدَلِ ثُمَّ أَنْشَأَ الْأَخْطَلُ يَقُولُ: يَا شَرَّ مَنْ حَمَلَتْ سَاقٌ عَلَى قَدَمٍ ... مَا مِثْلُ قَوْلِكَ فِي الْأَقْوَامِ يُحْتَمَلُ إِنَّ الْحُكُومَةَ لَيْسَتْ فِي أَبِيكَ وَلَا ... فِي مَعْشَرٍ أَنْتَ مِنْهُمْ إِنَّهُمْ سَفَلُ فَقَامَ جَرِيرٌ مُغْضَبًا وَهُوَ يَقُولُ: شَتَمْتُمَا قَائِلًا بِالْحَقِّ مُهْتَدِيًا ... عِنْدَ الْخَلِيفَةِ وَالْأَقْوَالُ تَنْتَضِلُ أَتَشْتُمَانِ سَفَاهًا خَيْرَكُمْ حَسَبًا ... فَفِيكُمَا وَإِلَهِي الزُّورُ وَالْخَطَلُ شَتَمْتُمَاهُ عَلَى رَفْعِي وَوَضْعِكُمَا ... لَا زِلْتُمَا فِي سَفَالٍ أَيُّهَا السَّفَلُ ثُمَّ وَثَبَ جَرِيرٌ فَقَبَّلَ رَأْسَ الْأَعْرَابِيِّ، وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، جَائِزَتِي لَهُ. وَكَانَتْ خَمْسَةَ عَشَرَ أَلْفًا، فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَلَهُ مِثْلُهَا مِنْ مَالِي. فَقَبَضَ الْأَعْرَابِيُّ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَخَرَجَ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৬০





যখন কিয়ামতে র দিন আমার কাছে এক কঠোর ও নির্মম ব্যক্তি আসবে যে ফারাযদাককে
হীক্সিয় নিয়ে যাবে ৷

বানু দারিমের ঐ সদস্য ব্যর্থ যে নীলচক্ষু নিয়ে গলায় লৌহ শৃম্ভখল পরে জাহান্নামের পথ
ধ্রল ৷


আলকাতরার ছেড়া ফাটা পোশাক পরিয়ে তাকে জাহান্নামের দিকে ইাকিয়ে নেওয়া হবে ৷


সেখানে যখন তারা তপ্ত ও গলিত পুজ পান করবে, তখন তুমি তাদেরকে দেখবে সেই
গলিত তপ্ত পুজের তাপে তাদের দেহ বিগলিত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ৷

বর্ণনা কারী বলেন, করি ফরাযদাকের এই কবিতা শুনে হযরত হাসান বসরী খুব কাদলেন
এমনকি তার অশ্রুতে মাটি ভিজে গেল ৷ এরপর ফারাযদাককে জড়িয়ে ধরে বললেন, ইতোপুর্বে
তুমি আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি ছিলে, আজ তুমি আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে প্রিয়
মানুষে পরিণত হলে ৷ এক ব্যক্তি (একবার) তাকে বলল, সতী-সাধৰী নারীদের প্রতি অপবাদ
আরোপ করতে তুমি কি মহান আল্লাহ্কে ভয় কর না ? সে বলে, আল্লাহ্র কসম, আল্লাহ্ তাে
আমার কাছে আমার চক্ষুদ্বয়ের চেয়ে প্রিয় যা দ্বারা আমি সবকিছু দেখি ৷ কাংজ্জী তিনি কিভাবে
আমাকে শান্তি দিবেন ? আর ইতােপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে একশ’ দশ হিজরীতে
করি জারীরের চল্লিশ দিন পুর্বে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ আর কারও কারও মতে কয়েক মাস
পুর্বে ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক পরিজ্ঞাত ৷

আর হযরত হাসান বসরী এবং ইবন সীরীন -এর প্রতেকের জীবনী আমরা আমাদের
আততাক্মীল গ্রন্থে বিশ ৷দভাবে উল্লেখ করেছি ৷ আর মহান আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট আর
তিনি সর্বোত্তম কর্ম-বিধায়ক ৷

হাসান ইবন আবুল হাসান (র)

তার পিতার নাম ইয়াসার ও আবরাদ ৷ ইনি যায়দ ইবন ছাবিত , মতান্তরে জাবির ইবন
আবদুল্লাহ্র আযাতকৃত গোলাম আবু সাঈদ আল-বসরী ৷ কেউ কেউ অন্য কারো গোলাম বলে
মত প্রকাশ করেছেন ৷ তার মা উষ্মে সালামা (রা)-এর দাসী খায়রা,যিনি উষ্মে সালড়ামার সেবা
করতেন ৷ অনেক সময় উম্মে সালামা (রা) তাকে কাজে প্রেরণ করতেন, যার ফলে তিনি
দুগ্ধপোয্য ছেলে হাসান-এর যত্ন নিতে পারতেন না ৷ তখন উষ্মে সালামা তাকে নিজ ন্তন্যদান
করে শান্ত রাখতেন ৷ এভাবে হাসান উভয়ের দুধ পান করতেন ৷ তাই মানুষ মনে করত হাসান
ইবন আবুল হাসান যে প্ৰজ্ঞ ৷ ও ইল্ম লাভ করেন, তা রাসুল-পরিবারের একজন নারীর দুধপান
করার-ই বরকতের ফল ৷ তাছাড়া তিনি যখন ছোট, তখন তার মা তাকে সাহাবাগণের নিকট
পাঠিয়ে দিতেন ৷ সাহাবাগণ তার জন্য দুঅ৷ করতেন ৷ হযরত উমর (বা) যে ণ্লাকগুলাের জন্য
দু আ করতেন, হাসান ইবন আবুল হাসান তাদের একজন ৷ উমর (রা) বলতেনং হে আল্লাহ

তুমি তাকে দ্বীনের বুঝ দান কর এবং তাকে মানুষের প্রিয়পাত্র বানাও ৷


وَحَكَى يَعْقُوبُ بْنُ السِّكِّيتِ أَنَّ جَرِيرًا دَخَلَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ مَعَ وَفْدِ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ فَأَنْشَدَهُ مَدِيحَهُ الَّذِي يَقُولُ فِيهِ: أَلَسْتُمْ خَيْرَ مَنْ رَكِبَ الْمَطَايَا ... وَأَنْدَى الْعَالَمِينَ بُطُونَ رَاحِ فَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ نَاقَةٍ وَثَمَانِيَةً مِنَ الرُّعَاةِ ; أَرْبَعَةً مِنَ النُّوبَةِ، وَأَرْبَعَةً مِنَ السَّبْيِ الَّذِينَ قَدِمَ بِهِمْ مِنَ الصُّغْدِ. قَالَ جَرِيرٌ وَبَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ جَامَاتٌ مِنْ فِضَّةٍ قَدْ أُهْدِيَتْ لَهُ، وَهُوَ لَا يَعْبَأُ بِهَا شَيْئًا، فَهُوَ يَقْرَعُهَا بِقَضِيبٍ فِي يَدِهِ فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الْمَحْلَبَ، فَأَلْقَى إِلَيَّ وَاحِدَةً مِنْ تِلْكَ الْجَامَاتِ، وَلَمَّا رَجَعَ إِلَى الْحَجَّاجِ أَعْجَبَهُ إِكْرَامُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ لَهُ، فَأَطْلَقَ لَهُ خَمْسِينَ نَاقَةً تَحْمِلُ طَعَامًا لِأَهْلِهِ. وَحَكَى نِفْطَوَيْهِ أَنَّ جَرِيرًا دَخَلَ يَوْمًا عَلَى بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ وَعِنْدَهُ الْأَخْطَلُ فَقَالَ بِشْرٌ لِجَرِيرٍ: أَتَعْرِفُ هَذَا؟ قَالَ: لَا، وَمَنْ هَذَا أَيُّهَا الْأَمِيرُ؟ فَقَالَ: هَذَا الْأَخْطَلُ. فَقَالَ الْأَخْطَلُ: أَنَا الَّذِي شَتَمْتُ عِرْضَكَ، وَأَسْهَرْتُ لَيْلَكَ، وَآذَيْتُ قَوْمَكَ. فَقَالَ جَرِيرٌ: أَمَّا قَوْلُكَ: شَتَمْتُ عِرْضَكَ. فَمَا ضَرَّ الْبَحْرَ أَنْ يَشْتُمَهُ مَنْ غَرِقَ فِيهِ، وَأَمَّا قَوْلُكَ: وَأَسْهَرْتُ لَيْلَكَ. فَلَوْ تَرَكْتَنِي أَنَامُ لَكَانَ خَيْرًا لَكَ، وَأَمَّا قَوْلُكَ: وَآذَيْتُ قَوْمَكَ. فَكَيْفَ تُؤْذِي قَوْمًا أَنْتَ تُؤَدِّي الْجِزْيَةَ إِلَيْهِمْ؟ ! وَكَانَ الْأَخْطَلُ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ الْمُتَنَصِّرَةِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ وَأَبْعَدَ مَثْوَاهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৬১

কেননা, মৃত্যুর পর ন্যায়পরায়ণ কিৎব৷ যালিম শাসকদের উল্লেখ-আলোচনা তাদের জন্য মর্যাদা
ও জীবিতদেৱ দুঃখ প্রকাশের নামান্তৱ ৷ কেননা, তখন যালিম ভেবে বসে ঘুল্মু-অত্যাচার ও
বিশৃৎখলায় জড়িত থাকা সত্বেও মরেও সে অমর ৷ বরং সে আলিমগণের নিকট কিভাবে
গ্রন্থিত ৷ ন্যায়পরায়ণ সৎকর্মশীল শাসকদের অবস্থাও অনুরুপ ৷ কেননা, মহান আল্লাহ পবিত্র
কুরআনে রাজা-বাদশাহ্, ফিরআওন, কাফির ও ৰিশৃৎখলা সৃষ্টিকারীদের কাহিনী বর্ণনা
করেছেন ৷ এই উদ্দেশ্যে যে, যাতে মানুষ তাদের অবস্থাদি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হয়ে
সতর্কতা অবলম্বন করে ৷ অনুরুপভাবে পদাত্ক অনুসরণ ও দুঃখ প্রকাশের লক্ষে আল্লাহ্ভীরু, সৎ
কর্মপরায়ণ ও লেককার মু’মিনগণের কাহিনীও বিবৃত করেছেন ৷ কাজেই আমি বলব, মহান
আল্লাহ যেন আমাকে তাওফীক দান করেন ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

হাসান

ইনি বিশিষ্ট ইমাম ও ফকীহ আবু সাঈদ আল-বসরী ৷ ইল্ম, আমল ও ইখলাসে মহান
তাবেঈগণের একজন ৷ ইবন আবুদৃ-দুনয়া (র) তার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন৪ এক
ব্যক্তি বিশ বছর ইবাদতে নিমগ্ন ছিলেন, অথচ, তার প্রতিবেশী বিষয়টা জানত না ৷ আবার এক
ব্যক্তি একা রাত কিং বা এক রাতের কিছু সময় নামায পড়ে সকাল বেলা তার প্রতিবেশীর উপর
, বাহাদুরী দেখায় ,৷ লোকজন এসে জড়ো হয়ে তার আলোচনা করতে শুরু করে ৷ ফলে, তার
চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে আসে ৷ যে তা যথাসম্ভব দমন করার চেষ্টা করে ৷ তাতে সফল হয়ে সে
জনতাকে ত্যাগ করে চলে যায় ৷
হাসান (র) বলেন : এক ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আমীর-এর নিকট দীর্ঘ সময় ধরে কথা
বলল ৷ ফলে তিনি তাকে ঘুষি মেরে বললেন : নিশ্চ য় এর মধ্যে ফেতনা রয়েছে৷ ইবন
আবুদ্-দুন্ইয়া হাসান সুত্রে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে এ বর্ণনাঢি উল্লেখ করেন ৷
তাবারানীও তার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : ক্ষমার আশা ও রহমতের প্রত্যাশা
একদল মানুষকে উদাসীন করে ফেলে ৷ ফলে তারা কোন লেক আমল ছাড়াই দুনিয়া থেকে
বিদায় গ্রহণ করে ৷ তাদের কেউ বলত : আমি মহান আল্লাহর সম্পর্কে উত্তম ধারণা পোষণ করি
এবং মহান আল্লাহর রহমতের আশা রাখি ৷ অথচ, সে মিথ্যা বলেছে ৷ যদি সে মহান আল্লাহর
সম্বন্ধে ভাল ধারণা-ই পোষণ করত, তাহলে অবশ্যইসে মহান আল্লাহর জন্য ভাল আমল
করত ৷ যদি সে মহান আল্লাহর রহমতের আশা করত, তাহলে অবশ্যই লেক আমলের মাধ্যমে
সে তার অম্বেষণ করত ৷ কেউ যদি পাথেয় ও পানি ছাড়া বিজন মরু এলাকায় প্রবেশ করে,
তাহলে তার ধ্বংস অনিবার্য ৷
ইবন আবুদ-দুনৃইয়া (র) হাসান (র) থেকে আরো বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনং তোমরা
এই অস্তরগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় কর ৷ কেননা, এগুলো দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে ৷ আর এই
নফ্সগুলােকে ঘৃণা কর ৷ কেননা, এগুলো চরম গােচনীয়ভাবে কবৃয করা হবে ৷ মালিক ইবন
দীনাব বলেন, আমি হাসানকে জিজ্ঞাসা করলাম৪ আলিম যখন দুনিয়াকে ভালবাসবে, তখন
তার পরিণতি কী হবে ? তিনি বললেনং আত্মার মৃত্যু ৷ কেননা, তিনি যখন দুনিয়া অম্বেষণ
করবেন, অনেষণ করবেন আখিরাতের আমলের বিনিময়ে ৷ তখনই তার থেকে ইলমের বরকত
বিদুরিত হয়ে যাবে এবং তার নিকট ইলমের বাহ্যিক রুপটাই শুধু অবগ্রিষ্টি থাকবে ৷


وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ عَوَانَةَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: لَمَّا اسْتُخْلِفَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَفَدَ إِلَيْهِ الشُّعَرَاءُ فَمَكَثُوا بِبَابِهِ أَيَّامًا لَا يُؤْذَنُ لَهُمْ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَيْهِمْ، فَسَاءَهُمْ ذَلِكَ وَهَمُّوا بِالرُّجُوعِ إِلَى بِلَادِهِمْ، فَمَرَّ بِهِمْ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَقَالَ لَهُ جَرِيرٌ: يَا أَيُّهَا الرَّجُلُ الْمُرْخِي عِمَامَتَهُ ... هَذَا زَمَانُكَ فَاسْتَأْذِنْ لَنَا عُمَرَا فَدَخَلَ وَلَمْ يَذْكُرْ مِنْ أَمْرِهِمْ شَيْئًا، فَمَرَّ بِهِمْ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ فَقَالَ لَهُ جَرِيرٌ مُنْشِدًا: يَا أَيُّهَا الرَّاكِبُ الْمُزْجِي مَطِيَّتَهُ ... هَذَا زَمَانُكَ إِنِّي قَدْ مَضَى زَمَنِي أَبْلِغْ خَلِيفَتَنَا إِنْ كُنْتَ لَاقِيَهُ ... أَنِّي لَدَى الْبَابِ كَالْمَصْفُودِ فِي قَرَنِ لَا تَنْسَ حَاجَتَنَا لَاقَيْتَ مَغْفِرَةً ... قَدْ طَالَ مُكْثِيَ عَنْ أَهْلِي وَعَنْ وَطَنِي فَدَخَلَ عَدِيٌّ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، الشُّعَرَاءُ بِبَابِكَ، وَسِهَامُهُمْ مَسْمُومَةٌ، وَأَقْوَالُهُمْ نَافِذَةٌ. فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا عَدِيُّ! مَالِي وَلِلشُّعَرَاءِ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ يَسْمَعُ الشِّعْرَ وَيَجْزِي عَلَيْهِ، وَقَدْ أَنْشَدَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ مَدْحَهُ، فَأَعْطَاهُ حُلَّةً. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَتَرْوِي مِنْهَا شَيْئًا؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَنْشَدَهُ: رَأَيْتُكَ يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ كُلِّهَا ... نَشَرْتَ كِتَابًا جَاءَ بِالْحَقِّ مُعْلَمَا
পৃষ্ঠা - ৭৬৬২


করা তাদাববুর নয় ৷ অনেকে বলে থাঃক, আমি পুর্ণ কুরআন পাঠকরেছি, তার একটি বর্ণও
বাদ দেইনি ৷ আল্লাহ্র শপথ, যে পুর্ণ কুরআনকেই বাদ দিয়েছে ৷ চরিত্রে ও আমলে কুরআন
তাকে সমর্থন করে না ৷ কেউ কেউ বলে থাকে, আল্লাহ্র শপথ, আমি মনে মনে সুরা পাঠ করে
থাকি ৷ না, আল্লাহ্র শপথ, সে কারী নয়, আলিন নয়, বিজ্ঞও নয়, মুত্তাকীও নয় ৷ এভাবে পাঠ
করলে হয় কী করে ৷ অন্মোহ্ সমাজে এ জাতীয় লোকদের আধিক্য না করুন ৷ তারপর হাসান
(র) জুনদুব (র) হতে বহুসাি কংরছেন যে, জুনদুর বলেন : মোঃ (র)আমাস্ক;দরকে বলেন ব্লু৪
তোমরা কি কোন কিছু ভ্যা কর ? জুনদুব বলেন : আমি বললাম, আল্লাহ্র শপথ ৷ নিশ্চয় ভুমি
এবং ৷দুতামার সঙ্গীর৷ আমাক্রো নিকট সবচেয়ে তৃচ্ছ মানুষ ৷ জ্রবাৰে হুষারফা বললেন : যে
সভার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি, তোমরা আমাদের-ই নিকট থেকে
শিক্ষালাভ করেছ ৷ তথাপি এই উম্মতের স্পেন যুগে একটি জ্যো কুরআন পাঠ করবে ৷ তারা
নিকৃষ্ট খেজুর ছুড়ে ফেলার মত কুরআনকেও, বিক্ষিপ্তভাৰে ছড়িয়ে দেবে ৷ কুরআন তাদের
কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না ৷ তাদের কুরআন পাঠ তাদের ঈমানের আগে আগে অগ্রসর হয়ে ৷

ইবন আবুদ্-দুনৃইয়া পীবতেব নিন্দায় হাসান থেকে বর্ণনা করেন যে, হাসান বলেছেনং
অল্লোহ্র শপথ ! পচন যেরুপ মানুষের দেহেদ্রুত ছড়িয়ে যায়, তেমনি গীরতও মৃ মিনের দ্বীনের
মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷

তিনি বলতেনং হে আদম সন্তান ! €দুতামার মধ্যে যে দোষ আছে, যতক্ষণ না মানুষ সে
সম্পর্কে অবহিত হবে এবং যতক্ষণ না তুমি স্ব-উদ্যোগে তার সংশেধেনের কাজ শুরু না করবে,
ততক্ষপ পর্যন্ত তুমি ঈমানেৱ হাকীকতের নাগাল পাবে না ৷ যখন তুমি তা করবে, তোমার
আনুণত্যে তা হয়ে উঠবে তোমার একমাত্র রাস্তত৷ ৷ আর এই চরিত্রের মানুষ-ই মহান আল্লাহ্র
নিকট অধিক প্রিয় ৷

হাসান বলেন তোমার ও ফাসিকের মাঝে কোন মর্যাদা সেই ৷ তিনি আরো বলেন৪
ব্লিদআতীর কোন গীবত হয় না ৷ আসনানাত ইবন তারীফ্ রলেনদ্ভ আমি হ্াসানকে বললাম্ন :
যে পাপিষ্ঠু তার পাপের কথা প্রকাশ্যে বলে ব্লেড়ায়, আমি যদি তার দোষ আলোচনা করি, তা
কি গীবত হবে ? তিনি বললেন ও না, তার কোন সম্মান সেই ৷ তিনি আরো বললেন : য়থন
তার পাপাচাৱ প্রকাশই হয়ে পড়া, তখন আর তার কোন গীবত নেই ৷ তিনি আরো বলেবুচুছুনং ষ্
ছুন ৰুতীভুাণীৱ মানুষের গীবত করা হারাম নয় ৷ প্রকাশ্যে পাপর্কারী, অত্যাচ্যরী শাসক ও
দআ ৷

এক ব্যক্তি হাসানকে বলল : আপনার মধ্যে দোষ খুজে বের করার পথ আবিষ্কারের লক্ষো
একদল লোক আপনার সঙ্গে উঠাবসা করে ৷ জবাবে তিনি বললেন ৷; তুমি নিজেকে ডারঘুক্ত
কর ৷ আমি আমার নফসকে জান্নাতে যাওয়ার প্রলোড্যা দেখিয়েছি, যে এলুব্ধ হয়েছে ৷ তাকে
জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের লোড দেখিয়েছি, তাতেও সে গ্রলুব্ধ হয়েছে ৷ তাকে মানুষ থেকে
নিরাপত্তার লোড দেখ্যিরছি ৷ কিন্তু আমি তার জন্য কোন পথ খুজে পইিনি ৷ কেননা, মানুষ
তাদের সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতার প্রতিই ন্সভুষ্ট নর, এমতারস্কুায়৩ তারা তাদের-ই ন্যায় সৃষ্টির
প্রতি কিভাবে সন্তুষ্ট হয়ে ”

তিনি আরো বলেন৪ আলিমগণ মলঃতন ও যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন পাভৈপর
অপবাদ আরোপ করে, যার থেকে সে তাওৰা করেছে, সে নিজে ঐ পাপে লিপ্ত না হয়ে মৱবে
না ৷


شَرَعْتَ لَنَا دِينَ الْهُدَى بَعْدَ جَوْرِنَا عَنِ الْحَقِّ لَمَّا أَصْبَحَ الْحَقُّ مُظْلِمَا ... وَنَوَّرْتَ بِالْبُرْهَانِ أَمْرًا مُدَلَّسًا وَأَطْفَأْتَ بِالْقُرْآنِ نَارًا تَضَرَّمَا ... فَمَنْ مُبْلِغٌ عَنِّي النَّبِيَّ مُحَمَّدًا وَكُلُّ امْرِئٍ يُجْزَى بِمَا كَانَ قَدَّمَا ... أَقَمْتَ سَبِيلَ الْحَقِّ بَعْدَ اعْوِجَاجِهِ وَكَانَ قَدِيمًا رُكْنُهُ قَدْ تَهَدَّمَا ... تَعَالَى عُلُوًّا فَوْقَ عَرْشِ إِلَهُنَا وَكَانَ مَكَانُ اللَّهِ أَعْلَى وَأَعْظَمَا فَقَالَ عُمَرُ: وَيْحَكَ يَا عَدِيُّ! مَنْ بِالْبَابِ مِنْهُمْ؟ فَقَالَ: عُمَرُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ فَقَالَ: أَلَيْسَ هُوَ الَّذِي يَقُولُ: ثُمَّ نَبَّهْتُهَا فَهَبَّتْ كِعَابًا ... طَفْلَةٌ مَا تَبِينُ رَجْعَ الْكَلَامِ سَاعَةً ثُمَّ إِنَّهَا بَعْدُ قَالَتْ ... وَيْلَتَا قَدْ عَجِلْتَ يَا ابْنَ الْكِرَامِ أَعَلَى غَيْرِ مَوْعِدٍ جِئْتَ تُسْرِي ... تَتَخَطَّى إِلَى رُءُوسِ النِّيَامِ مَا تَجَشَّمْتَ مَا تُرِيدُ مِنَ الْأَمْ ... رِ وَلَا جِئْتَ طَارِقًا لِخِصَامِ فَلَوْ كَانَ عَدُوُّ اللَّهِ إِذْ فَجَرَ كَتَمَ وَسَتَرَ عَلَى نَفْسِهِ! لَا يَدْخُلُ عَلَيَّ وَاللَّهِ أَبَدًا. فَمَنْ بِالْبَابِ سِوَاهُ؟ قَالَ: هَمَّامُ بْنُ غَالِبٍ - يَعْنِي الْفَرَزْدَقَ - فَقَالَ عُمَرُ: أَوَلَيْسَ هُوَ الَّذِي يَقُولُ: هُمَا دَلَّتَانِي مِنْ ثَمَانِينَ قَامَةً ... كَمَا انْقَضَّ بَازٍ أَقْتَمُ الرِّيشِ كَاسِرُهْ فَلَمَّا اسْتَوَتْ رِجْلَايَ بِالْأَرْضِ قَالَتَا ... أَحَيٌّ يُرَجَّى أَمْ قَتِيلٌ نُحَاذِرُهْ لَا يَطَأُ وَاللَّهِ بِسَاطِي وَهُوَ كَاذِبٌ. فَمَنْ سِوَاهُ بِالْبَابِ؟ قَالَ: الْأَخْطَلُ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৩


মানুষের ভয়ে ৷ যদি তার কোন নামায ছুটে যায়, তার জন্য সে অনুতপ্ত হয় না ও দৃ ৪খবােধ করে
না ৷ আনৃ-নুকাত গ্রন্থের রচয়িতার বর্ণনা মতে হাসান বলেনং : যে ব্যক্তি নিআমতরাজির জন্য
মহান আল্লাহ্ব প্রশংসাকে দুর্গ ও প্রতিরােধক, সম্পদের যাকাত আদায় করাকে বেড়া ও প্রহরী
এবং ইলুমকে নিজো৷ জন্য দলীলরুপে বরণ করে নিল, সে ধ্বংস থেকে নিরাপত্তা লাভ করল
এবং উচ্চতর মর্যাদার অধিষ্ঠিত হল ৷ আর যে ব্যক্তি সম্পদের শিকারীতেন্ পরিণত হল, সম্পদ
অর্জনের স্বার্থে মানুষের অধিকার ক্ষুপ্ন করব এবং সম্পদ তাকে মহান আল্লাহর আনুগত্য মোঃক
উদাসীন রাখল , সেই ব্যক্তি নিজের উপর যুলুমকারী এবং তার দৃহ্াত যা অর্জন করেছে, তার
ফলে নিজ আত্মাকে জখমকারীরুপে বিবেচিত হবে ৷ এবং মহান আল্লাহ্ তার সম্পদের উপর
ত্যিতাইকারী ণ্ললিয়ে দিবেন এবং কোন অবস্থাতেই সে আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে না ৷

কেউ কেউ বলেন : এই উক্তি হাসান-এর নয় অন্য কারো ৷ মহান আল্লাহ্ ভাল জ্বানেনা

হাসান বলেন : এমন চারটি গুণ আছে, যার মধ্যে সেগুলো বিদ্যমান থাকবে ৷ মহান
আল্পাহ্ তার উপর তার ভালবাসা ঢেলে দিবেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দিবেন ৷ যে ব্যক্তি
পিতা-মাতার সঙ্গে কোমল ব্যবহার করে, গোলাঘের সঙ্গে সদর আচরণ করে ইয়াভীমের
প্ৰতিপালনকরে এবং দৃর্বলকে সাহায্য করে ৷ হাসানকে নিফাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েহ্নিব্ ৷
জওয়াবে তিনি বলেন : নিফাক হল, গোপন ও প্রকাশ্য এবং ভিতর ও বাহির ভিন্ন হওয়া ৷ তিনি
আরো বলেন : নিফাককে ঘু’মিন ছাড়া কেউ ভয় করে না এবং যুনাফিক ছাড়া কেউ তাকে
নিরাপদ ভাবে না ৷ হাসান (র) শপথ করে বলেন৪ অতীত ও বর্তমান সব মুমিনই নিফাককে
ভয় করে থাকে ৷ পক্ষাম্ভার এমন কোন মুনাফিক অতিবাহিত হয়নি ও বর্তমানে যত মুনাফিক
বেচে আছে, সবাই নিফাককে নিরাপদ মনে করে ৷

উমর ইবন আবদুল আযীয হাসান এর নিবল্ট পত্র লিখেন৪ দীনার-দিরহামের প্ৰতি
আপনার ভালবাসা কিরুপ ?’ তিনি বলেন৪ আমি ওসব ভালবাসি না ৷ উমর ইবন আবদুল
আযীয পুনরায় পত্র লিখলেন৪ আপনি শাসনভার গ্রহণ করুন ৷ কারণ, আপনি ন্যায় বিচার
করতে পারবেন ৷

ইব্রাহীম ইবন ঈসা বলেন : আমি হাসান অপেক্ষা এত অধিক দৃ৪খ-ভারাক্রাত্ত থাকতে
আর কাউকে দেখিনি এবং আমি তাকে কখনো এমন দেখিনি যে, যুগ তাকে বিপদগস্ত করে
রাখেনি ৷ ব্র

মুসাম্মা (র) বলেন : আমি যদি হাসানকে দেখতাম, তাহলে অবশ্যই বলতাম : তার উপর
সৃষ্টিকুলের দুঃখ এসে বিস্তার লাভ করেছে ৷

ইয়াষীদ ইবন হাওশাব (র) বলেন : আমি হাসান ও উমর ইবন আবদুল আযীয অপেক্ষা
চিন্তিত কাউকে দেখিনি, যেন জাহান্নাম শুধু তাদের দৃ’জনের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে ৷

ইবন আসবাত (র) বলেন : হাসান ত্রিশটি বছর না হেসে অতিক্রাত্ত করেছেন এবং চল্লিশ
বছর অতিবাহিত করেছেন কোন হাসিঠাট্ট৷ না করে ৷ তিনি বলেন : কিয়ামতের দিনের ন্যায়
সৃষ্টি জগত এমন উন্মুক্ত গোপনাঙ্গ আর ক্রক্ষ্যকারী চোখ আর কখনো দেখেনি ৷

তিনি আরো বলেছেন : হে আদম সন্তান! নিশ্চয় তুমি আগামীতে দেখতে পারে যে,
তোমার ভাল-মন্দ সব আমল ওযন করা হচ্ছে ৷ কাজেই, পরহেয করার ব্যাপারে কোন মন্দ


أَوَلَيْسَ هُوَ الَّذِي يَقُولُ: وَلَسْتُ بِصَائِمٍ رَمَضَانَ طَوْعًا ... وَلَسْتُ بِآكِلٍ لَحْمَ الْأَضَاحِي وَلَسْتُ بِزَاجِرٍ عَنْسًا بُكُورًا ... إِلَى بَطْحَاءِ مَكَّةَ لِلنَّجَاحِ وَلَسْتُ بِزَائِرٍ بَيْتًا بَعِيدًا ... بِمَكَّةَ أَبْتَغِي فِيهِ صَلَاحِي وَلَسْتُ بِقَائِمٍ كَالْعَيْرِ أَدْعُو ... قُبَيْلَ الصُّبْحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ وَلَكِنِّي سَأَشْرَبُهَا شَمُولًا ... وَأَسْجُدُ عِنْدَ مُنْبَلَجِ الصَّبَاحِ وَاللَّهِ لَا يَدْخُلُ عَلَيَّ وَهُوَ كَافِرٌ أَبَدًا. فَهَلْ بِالْبَابِ سِوَى مَنْ ذَكَرْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ، الْأَحْوَصُ قَالَ: أَلَيْسَ هُوَ الَّذِي يَقُولُ: اللَّهُ بَيْنِي وَبَيْنَ سَيِّدِهَا ... يَفِرُّ مِنِّي بِهَا وَأَتْبَعُهُ فَمَا هُوَ دُونَ مَنْ ذَكَرْتَ، فَمَنْ هَاهُنَا غَيْرُهُ؟ قَالَ: جَمِيلُ بْنُ مَعْمَرٍ. قَالَ: الَّذِي يَقُولُ: أَلَا لَيْتَنَا نَحْيَا جَمِيعًا وَإِنْ نَمُتْ ... يُوَافِقُ فِي الْمَوْتَى ضَرِيحِي ضَرِيحُهَا فَمَا أَنَا فِي طُولِ الْحَيَاةِ بِرَاغِبٍ ... إِذَا قِيلَ قَدْ سُوِّيَ عَلَيْهَا صَفِيحُهَا فَلَوْ كَانَ عَدُوُّ اللَّهِ تَمَنَّى لِقَاءَهَا فِي الدُّنْيَا لِيَعْمَلَ بِذَلِكَ صَالِحًا! وَاللَّهِ لَا يُدْخِلُ عَلَيَّ أَبَدًا، فَهَلْ بِالْبَابِ أَحَدٌ سِوَى ذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ جَرِيرٌ قَالَ: أَمَا إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৪

বললেন, আমাদের এ যুগে এই স্বপ্ন হাসান বসরী ছাড়া অন্য কা৷পুরা ব্যাপারে মানায় না ৷ তিনি
বললেন, তুমি, যাকে দেখেছ, তিনি হাসান ব্যতীত কেউ নন ৷ লোকটি বলল, হী৷ ৷ তার ব্যাখ্যা
হলো, আবজন৷ হলো দুনিয়া ৷ তিনি সেট৷ তার দুই পায়ের নীচে রেখেছেন ৷ আর তার উলঙ্গ
হওয়ার অর্থ হলো, তিনি দুনিয়ার সংস্পর্শ থেকে মুক্ত ৷ তুমি তাকে যে তবলাটা বাজাতে
দেখেছ; সেটি হলো সেসব ওরায, যার দ্বারা তিনি মানুষের কানে আঘাত করেন ৷
এক ব্যক্তি বাংলা : আমি দেখলাম যে, আমি মিসওয়াক করছি আর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে ৷
কুহাম্মার্দ ইব ন সীরীনবললেন : তুমি এমন এক ব্যক্তি, যে মানুষের মর্যাদার আঘাত করে এবং
ভুমি তাদের গােশত ভক্ষণ কর ও তাদের দ্বাচর যাওয়া-আসা কর ৷
এক ব্যক্তি মুহাম্মদ ইবন সীরীনকে বলল৪ আমি স্বচপ্ন দেখলাম, যেন আমি দৃপ্ল্কিযুক্ত
কালো কাদা মাটিতে মুক্তা দেখতে পাচ্ছি ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীন বললেন৪ তুমি কুরআন ও
ইলমকে তার অযােগ্য পাত্র এবং এমন ব্যক্তির নিকট রেখে থাক, যে তা দ্বারা উপকৃত হয় না ৷
ষুছুম্মিদ ইবন সীরীন-এর নিকট এক মহিলা এসে বলল : আমি দেখলাম, যেন একটি
বিড়াল তার মাথাট৷ আমার স্বামীর পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে কি একটি র্টুকরা
নিয়ে আসে ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীন মইিলাচক বললেন : তোমার স্বামীর তিনশত যােলটি
দিরহাম চুরি হয়ে চগছে ৷ মহিলা বলল : আপনি সত্য বলেছেন ৷ আপনি বিষয়টা কিভাবে
জানলেন ? তিনি বললেন : সিল্লুর (বিড়ালের আরবী শব্দ)-এর বর্ণের মান থেকে তিনশত যােল
হল সিম্বুর-এর বর্ণমানের সমষ্টি ৷ যেমন ও নীল ষাট, নুন পঞ্চাশ, ওয়াও ছয় ;ও রা দুন্থাত্ন্১ ৷
মোট তিনশত ৷;ষাল ৷ মহিলা ৷৪বলল ৰিড়ালটি কালো ৷ ইবন সীরীন বললেন : চার চতামারই,
প্রতিবেশী এক গোলাম ৷ তারা গিয়ে প্ৰভিচবগী এক গোলামকে ধচর মার দিলে সে উল্লিখিত
অর্থের কথা স্বীকার করে ৷
এক ব্যক্তি বলল ৰু৪ আমিদেখল্লাম ;যে, আমার দাড়ি লম্বা হয়ে গেছে এবং তার দিকে
তাকিয়ে আছি, ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীন বললেন : তুমি কি মুওয়াঘৃযিন ? লোকটি রলল : ইক্ত৷ ৷
ইবন সীরীন বললেন : ভুমি আল্লাহ্চক ভয় কর আর এতিচবশীর বাড়ী-ঘচরর দিকে দৃষ্টিপাত
কর না ৷
অপর এক ব্যক্তি ভীচক বলল : আমি দেখলাম, আমার দাড়িগুচলা যেন লম্বা হয়ে গেছে
এবং আমি সেগুলো ,চকটে তা দ্বারা চাদর তৈরী করে বাজারে বিক্রি করে ফেলেছি ৷ মুহাম্মদ
ইবন সীরীন তাকে বললেন ও তুমি আল্পাহ্চক ভয় কর ৷ কেননা, তুমি মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা ৷
এক ব্যক্তি বন্যা ও আমি দেখলাম, যেন আমি আমার আঙ্গুলগুলো খেয়ে ফেলছি ৷ ইবন
সীরীন বললেন : তুমি নিজ হাতের উপার্জন ভক্ষণ করছ ৷
মুহাম্মদ ইবন সীরীন এক ব্যক্তিকে বললেন : দেখচতা মসজিদে কেউ আছে কিনা ?
লোকটি গিয়ে দেখে ফিরে এসে বলল : মসজিদে কেউ নেই ৷ তিনি বললেন : আমি কি
তোমাকে এ নির্দেশ দেইনি যে, তুমি গিয়ে দেখ মসজিদে চকান আমীর আছে কিনা ?
তিনি এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন, ঐ কালো মানুষটি ৷ পরক্ষণেই বললেনং :
আসতাগফিরুল্লাহ আমি তো চলাকটির গীবত করে ফেললাম! অথচ, লোকটি কালোই ছিল ৷


الَّذِي يَقُولُ: طَرَقَتْكَ صَائِدَةُ الْقُلُوبِ وَلَيْسَ ذَا ... حِينَ الزِّيَارَةِ فَارْجِعِي بِسَلَامِ فَإِنْ كَانَ لَا بُدَّ فَأْذَنْ لِجَرِيرٍ. فَأَذِنَ لَهُ فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّ الَّذِي بَعَثَ النَّبِيَّ مُحَمَّدًا ... جَعَلَ الْخِلَافَةَ لِلْإِمَامِ الْعَادِلِ وَسِعَ الْخَلَائِقَ عَدْلُهُ وَوَفَاؤُهُ ... حَتَّى ارْعَوى وَأَقَامَ مَيْلَ الْمَائِلِ إِنِّي لَأَرْجُوَ مِنْكَ خَيْرًا عَاجِلًا ... وَالنَّفْسُ مُولَعَةٌ بِحُبِّ الْعَاجِلِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: وَيْحَكَ يَا جَرِيرُ! اتَّقِ اللَّهَ فِيمَا تَقُولُ. ثُمَّ إِنَّ جَرِيرًا اسْتَأْذَنَ عُمَرَ فِي الْإِنْشَادِ فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُ وَلَمْ يَنْهَهُ، فَأَنْشَدَهُ قَصِيدَةً طَوِيلَةً يَمْدَحُهُ بِهَا، فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ يَا جَرِيرُ! لَا أَرَى لَكَ فِيهَا هَاهُنَا حَقًّا. فَقَالَ: إِنِّي مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ. فَقَالَ إِنَّا وُلِّينَا هَذَا الْأَمْرَ وَنَحْنُ لَا نَمْلِكُ إِلَّا ثَلَاثَمِائَةِ دِرْهَمٍ، أَخَذَتْ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ مِائَةً، وَابْنُهَا مِائَةً، وَقَدْ بَقِيَتْ مِائَةٌ. فَأَمَرَ لَهُ بِهَا، ثُمَّ خَرَجَ عَلَى الشُّعَرَاءِ، فَقَالُوا: مَا وَرَاءَكَ يَا جَرِيرُ؟ فَقَالَ: مَا يَسُوءُكُمْ، خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَهُوَ يُعْطِي الْفُقَرَاءَ، وَيَمْنَعُ الشُّعَرَاءَ وَإِنِّي عَنْهُ لَرَاضٍ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: رَأَيْتُ رُقَى الشَّيْطَانِ لَا تَسْتَفِزُّهُ ... وَقَدْ كَانَ شَيْطَانِي مِنَ الْجِنِّ رَاقِيَا وَقَالَ بَعْضُهُمْ فِيمَا حَكَاهُ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: قَالَتْ جَارِيَةٌ لِلْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ فِي جَرِيرٍ: إِنَّكَ تُدْخِلُ هَذَا عَلَيْنَا. فَقَالَ: إِنَّهُ مَا عَلِمْتُ [إِلَّا] عَفِيفًا.
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৫

দেহকে খেয়ে ফেলার উপক্রম হয় ৷ কিংবা কাঠের পচর্নের ন্যায় যে, উপর থেকে দেখায় সুন্দর;
কিন্তু ভিতরটা ফোকলা ৷ মানুষ তা দেখে প্রভাবিত হয় ৷ পরে সেটি ভেঙ্গে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যায়
এবং যে প্রভাবিত হল, যে ধ্বংস হয়ে যায় ৷ কথাবার্তায় মিথ্যাও ড্ডাপ ৷ মিথুকে প্রভাবিত হতে
থাকে ৷ যে মনে করে যে, মিথ্যাচার প্রয়োজন পুরণে তাকে সাহায্য করছে এবং তার আকাক্ষো
পুরণে তাকে পথ প্রদর্শন করছে ৷ এক সময় বিষয়টি র্ফাস হয়ে যায় এবং জ্ঞানী লোকদের কাছে
তার প্রতারণা ধরা পড়ে যায় ৷ ফকীহগণ তার গোপনীয়তা উদ্ভাবন করে ফেলে ৷ তো যখন তারা
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয় এবং তাদের সামনে তার চরিত্র স্পষ্ট হয়ে যায়, তখন তারা তার
বর্ণনাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার সাক্ষ্যকে প্রত্যাখ্যান করে, তার সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে,
তার মর্যাদাকে খটি করে ফেলে, তার সঙ্গে উঠাবসাকে ঘৃণার চোখে দেখে, তার থেকে তাদের
ভেদ রহস্য গোপন রাখে, তাকে তাদের কথাবার্তা শুনতে দেয়না, তার নিকট থেকে আমানত
ফিরিয়ে আনে, তার থেকে তাদের বিষয়-আসর গোপন রাখে, দ্বীন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে
তাকে পরিহার করে চলে, তাদের কর্মকাণ্ডে তাকে উপস্থিত হতে দেয় না, তাদের কোন গোপন
বিষয়ে তার প্রতি আস্থা রাখে না এবং পারস্পরিক দ্বন্দু-সংঘাত নিরসনে তাকে বিচারক মান্য
করে না ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ (র) হতে ইদরীস সুত্রে আবদুল মুনইম ইবন ইদরীস (র) বর্ণনা
করেন যে, ওয়াহ ব ইবন মুনাব্বিহ বলেন, লুকমান তার ছেলেকে ব লেনং যারা মহান আল্লাহ্কে
স্মরণে রাখে আর যারা ভুলে থাকে, তারা আলো ও অন্ধকারের ন্যায় ৷ তিনি আরো বলেছেনং :
আমি তাওরাতে ধারাবাহিক চারটি লইিন পড়েছি,  যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব পাঠ করে
ধারণা নিল যে, তাকে ক্ষমা করা হবে না, সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর আয়াতের সঙ্গে
বিদ্র্যপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ যে ব্যক্তি আপতিত বিপদের অভিযোগ করল, যে তার মহান
প্রতিপালকেরই বিরুদ্ধে অভিযোগ করল ৷ যে ব্যক্তি দুনিয়ার কোন সম্পদ হাতছাড়া হওয়ার
কারণে আফসােস করল, যে তার মহান প্রতিপালকের সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করল ৷
আর যে ব্যক্তি বিত্তশালীর সামনে মাথানত করল, তার দ্বীনের এক-তৃভীয়াংশই চলে গেল ৷

ওয়াহ্ব বলেন : আমি তাওরাতে পড়েছিং : যে গৃহ দুর্বলদের শক্তি দ্বারা নির্মিত হয়েছে,
তার পরিণাম ধ্বং স ৷ আর যে সম্পদ হালাল নয় এমন উপায়ে সঞ্চিত হয়েছে, তার মালিক দ্রুত
দারিদ্রের দিকে ধাবিত হবে ৷

মুহাম্মদ ইবন আসর থেকে যা মার সুত্রে আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (র) বর্ণনা করেন যে,
মুহাম্মদ ইবন আমৃর বলেছেনং আমি ওহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে বলতে শুনেছিং আমি কোন
একটি কিভাবে পেয়েছি যে, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার বন্দো যখন আমার
আনুগত্য করে, তখন আমার কাছে দৃআ করার আগেই আমি ডাকে সাড়া দেই এবং আমার
নিকট প্রার্থনা করার আগেই আমি তাকে দান করি ৷ আমার বন্দো যখন আমার আনুগত্য করে ,
তখন আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা একত্রিত হয়েও যদি তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে,
আমি তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ করে দিই ৷ পক্ষান্তরে, আমার বান্দা যদি
আমাকে অমান্য করে তাহলে আমি তার হাত দুটো কেটে আকাশের দয়যা দিয়ে শুৰন্য ছেড়ে
দেই ৷ ফলে আমার সৃষ্টির কেউ তার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে সে তাকে প্রতিহত করতে
পারে না ৷


فَقَالَتْ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَخَلَيْتِنِي وَإِيَّاهُ سَتَرَى مَا يَصْنَعُ. فَأَمَرَ بِإِخْلَائِهَا مَعَ جَرِيرٍ فِي مَكَانٍ يَرَاهُمَا وَلَا يَشْعُرُ جَرِيرٌ بِشَيْءٍ، مِنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ لَهُ: يَا جَرِيرُ فَأَطْرَقَ رَأْسَهُ وَقَالَ: هَا أَنَا ذَا. فَقَالَتْ: أَنْشِدْنِي مِنْ قَوْلِكَ كَذَا وَكَذَا. لِشِعْرٍ فِيهِ رِقَّةٌ وَتَحْنُّنٌ. فَقَالَ: لَسْتُ أَحْفَظُهُ، وَلَكِنْ أَحْفَظُ كَذَا وَكَذَا. وَيُعْرِضُ عَنْ ذَاكَ، وَيُنْشِدُهَا شِعْرًا فِي مَدْحِ الْحَجَّاجِ فَقَالَتْ: لَسْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ هَذَا، إِنَّمَا أُرِيدُ كَذَا وَكَذَا. فَيُعْرِضُ عَنْ ذَلِكَ، وَيَنْشُدُهَا فِي مَدْحِ الْحَجَّاجِ حَتَّى انْقَضَى الْمَجْلِسُ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: لِلَّهِ دَرُّكَ، أَبَيْتَ إِلَّا كَرَمًا وَتَكَرُّمًا. وَقَالَ عِكْرِمَةُ: أَنْشَدْتُ أَعْرَابِيًّا بَيْتًا لِجَرِيرٍ الْخَطَفَى: أَبُدِّلَ اللَّيْلُ لَا تَجْرِي كَوَاكِبُهُ ... أَوْ طَالَ حَتَّى حَسِبْتُ النَّجْمَ حَيْرَانَا فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: إِنَّ هَذَا حَسَنٌ فِي مَعْنَاهُ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ مِثْلِهِ، وَلَكِنِّي أَنْشُدُكَ فِي ضِدِّهِ مِنْ قَوْلِي: وَلَيْلٍ لَمْ يُقَصِّرْهُ رُقَادٌ ... وَقَصَّرَهُ لَنَا وَصْلُ الْحَبِيبِ نَعِيمُ الْحُبِّ أَوْرَقَ فِيهِ حَتَّى ... تَنَاوَلْنَا جَنَاهُ مِنْ قِرِيبِ بِمَجْلِسِ لَذَّةٍ لَمْ نَقْفِ فِيهِ ... عَلَى شَكْوَى وَلَا عَيْبِ الذُّنُوبِ فَحُلْنَا أَنْ نُقَطِّعَهُ بِلَفْظٍ ... فَتَرْجَمَتِ الْعُيونُ عَنِ الْقُلُوبِ فَقُلْتُ لَهُ: زِدْنِي. قَالَ: أَمَّا مِنْ هَذَا فَحَسْبُكَ، وَلَكِنْ أُنْشِدُكَ غَيْرَهُ. فَأَنْشَدَنِي: وَكُنْتُ إِذَا عَقَدْتُ حِبَالَ قَوْمٍ ... صَحِبْتُهُمْ وَشِيمَتِيَ الْوَفَاءُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৬


ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ আত৷ আল-খুরাসানীকে বললেন : আতাআমি কি বলব না যে,
আপনি আপনার ইল্মকে ৱাজা-বাদশাহ, দুনিয়াদার মানুষ ও আমীরদের দ্বারে দ্বারে বহন করে
নিয়ে যান ? আত৷ ৷ আপনি কি সেই ব্যক্তির নিকট গমন করছেন, যে আপনাকে দেখলে তার
দরযা বন্ধ করে দেয়, আপনার সম্মুখে নিজের দারিদ্র্য প্রকাশ করে এবং সচ্ছলত৷ গোপন করে
রাখে ? পক্ষাতরে, আপনি যেই সভার দরযা ত্যাগ করছেন, তিনি বলছেন ঠু০ট্রু০ট্রুদু ১টুছুৰুৰুা
ন্ব্র৷ (তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব) ওহে আতর্ট৷ যথেষ্ট পরিমাণ
সম্পদ যদি আপনাকে অমুখাপেক্ষী করতে পারে, তাহলে দুনিয়ার ছেড়া-ফাটা কিছু বন্তুই
আপনার জ্যা৷ যথেষ্ট ৷ আর যদি যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ আপনাকে অমুখাপেক্ষী করতে না পারে,
তা হলে জগতে এমন কিছু নেই, যা আপনার অভাব দুর করতে পারে ৷ শুনুন আতা আপনার
পেটটা হলো একটা সমুদ্র ও এবল্টা উপত্যকা ৷ মাটি ছাড়া কোন বস্তু একে পুর্ণ করতে পারে
না ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে এমন দুই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যারা নামায
আদায় করছে ৷ তাদের একজন বিনয় ও যীরবতায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে, অপরজন
দীর্ঘক্ষণ সিজদায় পড়ে থাকে ৷ এই দুই ব্যক্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে ? জবাবে তিনি বললেন : যে
মহান আল্লাহর অধিক হিতকামী ৷

তিনি আরো বলেছেন৪ মুনাফিকের একটি স্বভাব হলো, যে প্রশংসা পসন্দ আর নিন্দা
অপসন্দ করে ৷ অর্থাৎ মুনাফিক না করা কাজের প্রশংসা ভালবাসে আর নিজের মধ্যে বিদ্যমান
এমন দোষের নিন্দাও অপসন্দ করে ৷
তিনি আরো বলেন, লুকমান তার ছেলেকে বলেহ্নো৪ বৎস৷ আল্লাহর নিকট হতে জ্ঞান
অর্জন কর ৷ কেননা, যে ব্যক্তি মহান আল্পাহ্র নিকট হতে জ্ঞান অর্জন করে, সে সবচেয়ে
বুদ্ধিমান মানুষ ৷ আর শয়তান জ্ঞানবান লোক হতে পালিয়ে বেড়ায় এবং তার সঙ্গে চক্রাস্ত করে
পেরে ওঠে না ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ তার এক সহচরকে বললেন : আমি কি তোমাকে এমন এক
চিকিৎসা শিখিযে দেব, যার জন্য চিকিৎসকগণ কোন পরিশ্রম করেননি ? আমি কি তোমাকে
এমন এক ফিকাহ শিক্ষা দিব, যার জন্য ফকীহগণ ণ্মহনত করেননি ? আমি কি ণ্তামাকে
এমন একটি সহনশীলত৷ শিক্ষা দিব, যার জন্য ধৈর্যশীলগণ পরিশ্রম করেননি ? লােকটি বলল,
হ্যা, হে আবু আবদুল্লাহ! ওয়াহ্ব বললেন৪ চিকিৎসা হল, শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহীম এবং শেষে আলহামদু লিল্লাহ্ না বলে আহার করবে না ৷ ফিকাহ হল, যদি তোমাকে
এমন কোন প্রশ্ন করা হয়, যার জবাব তোমার জানা আছে, তাহলে যা জান, বলে দেবে ৷
অন্যথায় বলবে, আমি জানি না ৷ সহনশীলতা হল, অধিক নীরব থাকা ৷ তবে যদি কোন বিষয়ে
প্রশ্ন করার প্রয়োজন দেখা দেয়, তা ভিন্ন কথা ৷ তিনি আরো বলেন৪ বালকের মধ্যে যদি দৃ টি
গুণ থাকে লজ্জাশীলত৷ ও ভয়, তাহলে তার সুবােধরুপে গড়ে ওঠার আশা করা যায় ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ আরো বলেন৪ যুলকারনায়ন যখন সুর্য উদয়স্থুলে গিয়ে পৌছেন,
তখন তথাকার বাদশাহ তাকে বলেছিলেন৪ আপনি আমাকে মানুষের সংজ্ঞা দিন ৷ যুলকারনায়ন
বললেন৪ বিবেকহীন লোকের সঙ্গে আপনার কথা সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে মৃত ব্যক্তিকে গান
শোনার ৷ যার বিবেক নেই, তার সঙ্গে আপনার কথা বলা সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে নিরেট


فَأُحْسِنُ حِينَ يُحْسِنُ مُحْسِنُوهُمْ ... وَأَجْتَنِبُ الْإِسَاءَةَ إِنْ أَسَاءُوا أَشَاءُ سِوَى مَشِيئَتِهِمْ فَآتِي ... مَشِيئَتَهُمْ وَأَتْرُكُ مَا أَشَاءُ قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: كَانَ جَرِيرٌ أَشْعَرَ مِنَ الْفَرَزْدَقِ عِنْدَ الْجُمْهُورِ، وَأَفْخَرُ بَيْتٍ قَالَهُ جَرِيرٌ: إِذَا غَضِبَتْ عَلَيْكَ بَنُو تَمِيمٍ ... حَسِبْتَ النَّاسَ كُلَّهُمُ غِضَابَا قَالَ: وَقَدْ سَأَلَهُ رَجُلٌ: مَنْ أَشْعَرُ النَّاسِ؟ فَأَخَذَ بِيَدِهِ وَأَدْخَلَهُ عَلَى أَبِيهِ، وَإِذَا هُوَ يَرْتَضِعُ مِنْ ثَدْيِ عَنْزٍ، فَاسْتَدْعَاهُ فَنَهَضَ وَاللَّبَنُ يَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَقَالَ جَرِيرٌ لِلَّذِي سَأَلَهُ: أَتُبْصِرُ هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْرِفُهُ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: هَذَا أَبِي، وَإِنَّمَا يَشْرَبُ مِنْ ضَرْعِ الْعَنْزِ ; لِئَلَّا يَحْلِبَهَا فَيَسْمَعَ جِيرَانُهُ حِسَّ الْحَلْبِ فَيَطْلُبُوا مِنْهُ لَبَنًا، فَأَشْعُرُ النَّاسِ مَنْ فَاخَرَ بِهَذَا ثَمَانِينَ شَاعِرًا فَغَلَبَهُمْ. وَقَدْ كَانَ بَيْنَ جَرِيرٍ، وَالْفَرَزْدَقِ مُقَاوَلَاتٌ وَمُهَاجَاةٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَقَدْ مَاتَ فِي سَنَةِ عَشْرٍ وَمِائَةٍ. قَالَهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، قَالَ خَلِيفَةُ: مَاتَ الْفَرَزْدَقُ، وَجَرِيرٌ بَعْدَهُ بِأَشْهُرٍ. وَقَالَ الصُّولِيُّ: مَاتَا فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، وَمَاتَ الْفَرَزْدَقُ قَبْلَ جَرِيرٍ بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقَالَ الْكُدَيْمِيُّ عَنِ الْأَصْمَعِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: رَأَى رَجُلٌ جَرِيرًا فِي الْمَنَامِ
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৭

আমার সপ্রশংস মহিমা জ্ঞাপন করুক, আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার বানানো হতে বিরত হয়ে
আমার ইবাদত করুক এবং সবগুলো মুখ আমার সম্মুখে অবনত হোক ৷ ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ
হতে আশরাস বর্ণনা করেন যে, দাউদ (আ) বললেন : হে আল্লাহ! আমি আপনাকে কোথায়
পাব ? মহান আল্লাহ বলেন : যাদের হৃদয় আমার ভয়ে ভগ্ন, তাদের কাছে ৷

তিনি আরো বলেন : বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি সত্তর সপ্তাহ রোযা রাখে ৷ সে প্রতি
সপ্তাহে একদিন ইফতার করত ৷ সে মহান আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করত, শয়তান কিভাবে
মানুষকে বিভ্রান্ত করে, যেন তিনি তাকে তা দেখান ৷ এতাবে দীর্ঘদিন চলল; কিন্তু মহান
আল্লাহ্ কোন জবাব দিলেন না ৷ যে মনে মনে বলল : আমি যদি আমার অপরাধ, আমার পাপ
এবং আমার মহান আল্লাহর মাঝে যে সম্পর্ক রয়েছে তার প্রতি মনােয়ােগী হই, তা হয়ত আমি
যার অনুসন্ধান করে ফিরছি তা অপেক্ষা ভাল হবে ৷ তারপর সে নিজেকে উদ্দেশ্য করে বলল :
হে মন ! আমি তোমার আগে এসেছি ৷ মহান আল্লাহ্ যদি তোমার মধ্যে কল্যাণ আছে বলে
জানতেন, তাহলে অবশ্যই তোমার প্রয়োজন পুরণ করতেন ৷ এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ্ তাদের
নবীর নিকট একজন ফেরেশতাহ্ প্রেরণ করেন যে, তুমি অমুক ইবাদতকারীকে বল : তোমার
আত্মার প্রতি তােমারঅবজ্ঞা প্রদর্শন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে তুমি যা বলেছ, তা আমার নিকট
তোমার ইবাদত অপেক্ষা প্রিয় ৷ মহান আল্লাহ্ তোমার প্রার্থনা কবুল করেছেন এবং তোমার চক্ষু
খুলে দিয়েছেন ৷ এখন তুমি তাকাও ৷ লোকটি দৃষ্টিপাত করে দেখতে পড়ায়, ইবলীসের ফীদ
সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে ৷ আরো দেখতে পায়, মানব সন্তানের এমন কোন সদস্য
নেই, যার চারপাশে শয়তানরা মাছির ন্যায় অবস্থান করছে না ৷ দেখে সে বলল : হে আমার
বব! এদের থেকে কে রক্ষা পায় ? মহান আল্লাহ বলেন : সুস্থির ও কোমল হৃদয়ের মানুষরা ৷

ওয়াহ্ব বলেন : এক পর্যটক এমন এক ভুমিতে গমন করে, যেখানে শসা আছে ৷ তার মন
তাকে সেখান থেকে কিছু নিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করল ৷ জ্যি তিনি মনকে শাস্তি দিলেন যে ,
তিনি সেই স্থানে দাড়িয়ে তিন দিন পর্যন্ত নামায পড়ালন ৷ এক ব্যক্তি তার নিকট দিয়ে
অতিক্রম করে ৷ সে দেখল, সুর্য ও বায়ু তাকে বিবর্ণ করে দিয়েছে ৷ সে বলল : সুবহানাল্পাহ্!
এই লোকটিকে যেন আগুন দ্বারা ঝলসে দেওয়া হয়েছে ! শুনে পর্যটক বলেন : আপনি আমার যে
অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন, তা হয়েছে আগুনের ভয়ে ৷ যদি আমি আগুনে প্রবেশই করি, তাহলে
আমার কী দশা হবে ? ণ্

তিনি আরো বলেন : পুর্বযুগের এক ব্যক্তি পাপ করে বসল ৷ সে বলল : আল্লাহর শপথ ৷
আমি নিজের জন্য এই শাস্তি বরণ করে নিলাম, জাহান্নাম থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কোন
ঘরের ছাদ যেন আমাকে ছায়ড়াপ্রদান না করে ৷ সেই থেকে লোকটি গরম ও শীতের মধ্যে
মরুভুযিতে অবস্থান করতে শুরু করে ৷ একদিন পথ অতিক্রম করার সময় এক ব্যক্তি তার
কঠিন অবস্থা দেখে বলল : হে আল্পাহ্র বান্দা! তোমার এই দশা কেন ? সে বলল :
জাহান্নামের স্মরণ আমার এই দশা ঘঢিয়েছে ৷ কিন্তু তখন আমার কী অবস্থা হবে, যখন আমি
তাতে প্রবেশ করব ?

তিনি আরো বলেন, অকর্ম মানুষ কখনো বুদ্ধিমান হয় না এবং ব্যভিচারী আকাশের
রাজত্বের উত্তরাধিকারী হয় না ৷


بَعْدَ مَوْتِهِ، فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي. فَقِيلَ: بِمَاذَا؟ قَالَ: بِتَكْبِيرَةٍ كَبَّرْتُهَا بِالْبَادِيَةِ. قِيلَ لَهُ: فَمَا فَعَلَ الْفَرَزْدَقُ؟ قَالَ: أَيْهَاتِ، أَهْلَكَهُ قَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: لَمْ يَدَعْهُ فِي الْحَيَاةِ وَلَا فِي الْمَمَاتِ. وَأَمَّا الْفَرَزْدَقُ: فَاسْمُهُ هَمَّامُ بْنُ غَالِبِ بْنِ صَعْصَعَةَ بْنِ نَاجِيَةَ بْنِ عِقَالِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعِ بْنِ دَارِمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حَنْظَلَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمِ بْنِ مُرِّ بْنِ أُدِّ بْنِ طَابِخَةَ، أَبُو فِرَاسِ بْنُ أَبِي خَطَلٍ التَّمِيمِيُّ الْبَصْرِيُّ الشَّاعِرُ الْمَعْرُوفُ بِالْفَرَزْدَقِ، وَجَدُّهُ صَعْصَعَةُ بْنُ نَاجِيَةَ صَحَابِيٌّ، وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ يُحْيِي الْمَوْءُودَةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. حَدَّثَ الْفَرَزْدَقُ، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ وَفَدَ مَعَ أَبِيهِ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: ابْنِي وَهُوَ شَاعِرٌ. قَالَ: عَلِّمْهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ مِنَ الشِّعْرِ. وَسَمِعَ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ وَرَآهُ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى الْعِرَاقِ وَأَبَا هُرَيْرَةَ، وَأَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، وَعَرْفَجَةَ بْنَ أَسْعَدَ، وَزُرَارَةَ بْنَ كَرْبٍ، وَالطِّرَمَّاحَ بْنَ عَدِيٍّ الشَّاعِرَ. وَرَوَى عَنْهُ خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، وَمَرْوَانُ الْأَصْفَرُ، وَحَجَّاجُ بْنُ حَجَّاجٍ الْأَحْوَلُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৮

পাপসমুহ আমার কোন ক্ষতি করতে না পারে ৷ হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে দুনিয়ায় পর্যাপ্ত
পরিমাণ সম্পদ দান করুন এবং কিয়ামতের দিন সকল তয়-ভীতি ঘেকে মুক্ত রেখে নিরাপদে
জান্ন৷ তে প্রবেশ করলে ৷’
বাক্কার ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে অ ৷বদুব রায্যাক বনাি করেন যে, ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ
বলেহ্নো, আমি কোন একটি কিভাবে পেয়েছি, মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন, হে মানব সন্তান!
তুমি আমার প্রতি ইনসাফ করনি ৷ তুমি আমাকে স্মরণ কর, আবার তুলে যাও ৷ আমার নিকট
দু আ করো, আবার আমার থেকে পালিয়ে যাও ৷ ৫৩ তামার প্রতি আমার কল্যাণ অবতীর্ণ হয়,
আর আমার পানে আরোহণ করে তোমার অকল্যাণ ৷ তোমার স্বার্থে একজন মহান ৫ফরেশত ৷
অব্যাহতভাবে তোমার প্রতি অবতরণ করতে থাকে ৷
৫হ মানব সন্তান! আমার নিকট তোমার প্রিয় ও ৫৩ ৷মার ঘনিষ্ঠত৷ সৃষ্টিকা ৷রী চরিত্র হলো,
আমি ৫৩ ৷মার জন্য যা বন্টন করেছি তাতে তোমার সস্তুষ্ট থাকা ৷ পক্ষান্ত৫র, আমার নিকট
ঘৃণিত ও তোমার ও আমার মাঝে দুরত্ব সৃষ্টিকারী চরিত্র হলো, আমি ৫ মেয়ে জন্য যা বণ্টন
করেছি তাতে তোমার অসন্তুষ্ট হওয়া ৷
ন্ ৫হ মানব সন্তান! আমি তোমাকে যা আদেশ করেছি, তাতে তুমি আমার আনুগত্য কর
এবং তোমাকে কিভাবে সংশোধন করব, তা তুমি আমাকে শিখা৫ত এস না ৷ কেননা, আমি,
আমার সৃষ্টি সম্পর্কে ভালভাবে জানি ৷ আমি তোমার সেই প্রয়েজ্যো সম্পর্কে জ্ঞাত যা তোমাকে
তোমার প্রবৃত্তি থেকে উপরে তুলে আনরে ৷ যে ব্যক্তি আমাকে শ্রদ্ধা করে, আমি তাকে শ্রদ্ধা
করি ৷ আমার নির্দেশ যার কাছে ভুচ্ছ, আমি তাকে অপদস্থু করি ৷ আমি আমার বান্দার হকের
প্রতি দৃষ্টিপাত করি না, যতক্ষণ না বলো আমার হকের প্রতি দৃষ্টিপাত করে ৷

ওয়াহ্ব বলেন, আমি তা ৷ল্লাহ্ তা অ ৷লার নব্বই-এয়ও অধিক কিতাব পাঠ করেছি ৷ তার
সব ক’টি৫ত আমি পেয়েছি-যে ব্যক্তি কোন বিষয়কে নিজের ইচ্ছার কাছে অর্পণ করল, যে
কুফরী করল ৷ তিনি আরো বলেন, মানুষ শান্তি লাভ করতে পারে না ৷ মহান আল্লাহ্ই
জীবিকাকে কম বেশী ও ব্যতিক্রমভা ৷বে বণ্টন করেছেন ৷ কাজেই মানব সন্তান যদি তার
জীবিকার কোন বস্তুকে কম মনে করে, তাহলে ৫স মহান আল্লাহর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করুক ৷ সে
যেন একথা না বলে যে, মহান অ ৷ল্লাহ্ যদি আমার এই অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হ৫৩ ন ৷ কিংবা
তিনি ব্যতীত অন্য কেউ যদি বিষয়টি অনুধাবন করতেন! আ,চ্ছা একটি বস্তুকে যিনি
যথায়থভা ৷বে সৃষ্টি করেছেন ৷ তিনি সে বস্তু সম্পর্কে অবগত থাকবেন না কেন ? যেসব সুত্রে
মানুষ পরস্পর ৫শ্রষ্ঠ৫তৃর দাবী করে ৷ মানব সন্তান তা৫ত বিস্ময় প্রকাশ করে, যেন আল্লাহ দেহ,
সম্পদ, বর্ণ, জ্ঞান ও বিচক্ষণতায় তাদের মাঝে প্রেষ্ঠ৫তৃর তুলনা করেছেন ৷ ফলে
জীবন-জীবিকার এখন আর তিনি মানব সন্তানের উপর শ্রেষ্ঠ৫তুর দাবী করতে পারেন না এবং
সহনশীলতা, বিদ্যা, জ্ঞান, এবং দী৫নর ক্ষেত্রেও তার উপর বড়৫তৃর দাবী করতে পারেন না ৷
কেন, মানব সন্তান কি জানে না যে, যে সত্তা তাকে তার বয়সের এমন তিনটি কালে তাকে
জীবিকা দান করেছেন, যখন তার কোন উপার্জন ও উপায় ছিল না ৷ সেই সত্তা তাকে চতুর্থ
কা৫লও জীবিকা দান করতে পারেন ? তিন কালের প্রথম কাল হলো, যখন সে তার মায়ের
পেটে ছিল ৷ তিনি সেখানে তাকে সৃষ্টি করেন এবং তার উপার্জিত সম্পদ ব্যতীতই তাকে
জীবিকা দান করেন ৷ তখন তার অবস্থান এক নিরাপদ আধারে ৷ সেখানে তাকে না গরম কষ্ট


وَجَمَاعَةٌ، وَقَدْ وَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ يَطْلُبُ مِيرَاثَ عَمِّهِ الْحُتَاتِ، وَعَلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَعَلَى أَخِيهِ هِشَامٍ وَلَمْ يَصِحَّ ذَلِكَ. وَقَالَ أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنِ الْفَرَزْدَقِ قَالَ: نَظَرَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِلَى قَدَمِي فَقَالَ: يَا فَرَزْدَقُ إِنِّي أَرَى قَدَمَيْكَ صَغِيرَتَيْنِ، فَاطْلُبْ لَهُمَا مَوْضِعًا فِي الْجَنَّةِ. فَقُلْتُ: إِنَّ ذُنُوبِي كَثِيرَةٌ. فَقَالَ: لَا تَأْيَسْ ; فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ بِالْمَغْرِبِ بَابًا مَفْتُوحًا لِلتَّوْبَةِ، لَا يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا ".» وَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْفَرَزْدَقِ فَتَحَرَّكَ، فَإِذَا فِي رِجْلِهِ قَيْدٌ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ ! فَقَالَ: حَلَفْتُ أَنْ لَا أَنْزِعَهُ حَتَّى أَحْفَظَ الْقُرْآنَ. وَقَالَ أَبُو عَمْرِو بْنُ الْعَلَاءِ: مَا رَأَيْتُ بَدَوِيًّا أَقَامَ بِالْحَضَرِ إِلَّا فَسَدَ لِسَانُهُ إِلَّا رُؤْبَةَ بْنَ الْعَجَّاجِ، وَالْفَرَزْدَقَ، فَإِنَّهُمَا زَادَا عَلَى طُولِ الْإِقَامَةِ جِدَّةً وَحِدَّةً. وَقَالَ رَاوِيَتُهُ أَبُو شَفْقَلٍ: طَلَّقَ الْفَرَزْدَقُ امْرَأَتَهُ النَّوَارَ ثَلَاثًا، ثُمَّ جَاءَ فَأَشْهَدَ عَلَى ذَلِكَ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ ثُمَّ نَدِمَ عَلَى طَلَاقِهَا وَإِشْهَادِهِ الْحَسَنَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৬৬৯


অতিক্রান্ত হতে পারে বলে আমি ভাবতে পারি না ৷ আমি তাে এই বিশ্বাস ছাড়া পা তুলি না
যে, এই পা মাটিতে রাখার আগেই হয়ত আমার মৃত্যু হবে ৷ আবার এই বিশ্বাস ছড়া পা
রাখিনা যে, এই পা তোলার আগেই আমার মৃতু ত্যু এসে যাবে ৷ একথা শুনে আবিদ কড়াদতে শুরু
করলেন ৷ দেখে পাদ্রী তাকে বললেন,তু মি যখন নির্জনে থাক তখন কি এভাবে ক্রন্দন কর ?
কিংবা বললেন, তুমি যখন নির্জনে থাক, তখন তোমার অবস্থা কেমন থাকে ? আবিদ বলল,
আমি ইফতার করার সময় ক্রন্দন করি ৷ ফলে আমি অশ্রু যেশানাে পানীয় পান করি ৷ চিড্রা
আমাকে আছড়ে ফেলে দেয়৷ তখন আমি আমার অশ্রু দ্বারা বিছানা ভিজিয়ে ফেলি ৷ পাদ্রী
বললেন, পাপ স্বীকার করে তোমার হাসা ইল্ম আছে বলে মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে
ক্রন্দন করা অপেক্ষা উত্তম ৷ আবিদ বললেন, আপনি আমাকে উপদেশ প্রদান করুন ৷ পাদ্রী
বললেন, তুমি দুনিয়াতে খেজুর গাছের ন্যায় হয়ে থাক ৷ যদি ভক্ষণ কর, ভালটইি ভক্ষণ কর ৷
যদি রেখে দাও ভালটইি রেখে দাও ৷ যদি কোন বস্তুর উপর পড়ে যাও, তার কোন ক্ষতি করো
না ৷ তুমি দুনিয়াতে গাধার মত হয়ে থেক না ৷ পাবার কাজ হল, যে পেট পুরে খায়, তারপর
নিজেকে মাটিতে ফেলে রাখে ৷ নিজ প্রভুর জন্য কুকুরের হিতাকাত্তক্ষার ন্যায় তুমি মহান
আল্লাহ্র ইিত কামনা কর ৷ মালিক তার কুকুরকে ন্অভুক্ত রাখে ও তাড়িয়ে দেয় ৷ কিন্তু তারপরও
কুকুর তাদেরকে পাহারা দেয় ও তাদের হিফাযত করে ৷

আবু আবদুর রহমান আশরাস বলেন, তাউস যখন এই হাদীস স্মরণ করতেন, কেদে
ফে লতেন এবং বলতেন, আমাদের মাওলার জন্য আমাদের হিতাকাং খ৷ অপেক্ষা আপন প্রভুর
জন্য কুকুরের অধিক হিতাকাজ্জী হওয়া আমাদের জন্য অসহনীয় ৷ এই মতনের অনুরুপ মতন
আগেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
ওয়াহ্ব আরো বলেন, মাসীহ (আ)-এর যুগে এক পাদ্রী তার গির্জার নিজনিবড়াস করেন ৷
এক পর্যায়ে ইবলীস তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে ৷ কিন্তু তার সঙ্গে পেরে উঠল না ৷
তারপরও শয়তান নানা দিক থেকে তার নিকট আগমন করে ৷ কিন্তু এবারও তাকে ঘায়েল
করতে পারলে না ৷ এবার মাসীহ (আ)-এর আকৃতি ধারণ করে এনে পাদ্রীকে ডেকে বলল,
ওহে পাদ্রী! আমার নিকট একটু এস তোমার সঙ্গে আমি কথা বলব ৷ আমি মাসীহ ৷ পাদ্রী
বললেন, আপনি যদি মাসীহ হয়ে থাকেন, তাহলে আমার কাছে আপনার কোন প্রয়োজন নেই ৷
আপনি কি আমাকে ইবাদত করার আদেশ দেননি ? আপনি কি আমাকে কিয়ামতের ওয়াদা

দেননি ? আপনি আপনার মর্যাদা নিয়ে ফিরে যান ৷ আপনার নিকট আমার কোন প্রয়োজন
নেই ৷

ওয়াহ্ব বলেন, এই উত্তর পেয়ে শয়তান ব্যর্থ হয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ফিরে যায় ৷
ৰু তারপর আর পাদ্রীর নিকট আসেনি ৷

অপর এক সুত্রে ওয়াহ্ব থেকে বর্ণিত আছে য়ে, তিনি বলেছেন, ইবলীস এক পাদ্রীর নিকট

তার গির্জার এসে দরযা খুলতে বলে ৷ পদ্রী জিজ্ঞাসা করলেন, কে আপনি ? তাইবলীস বলল,
আমি মাসীহ ৷ পাদ্রী বললেন, আপনি যদি ইবলীস হয়ে থাকেন, তবেই আমি আপনার সঙ্গে

একান্তে বসব ৷ আর যদি মাসীহ হয়ে থাকেন, তাহলে আজ আপনার সঙ্গে আমার কোন কাজ
সেই ৷ আমাদের নিকট আপনার রবএর বার্তা এসে পৌছেছে, যা আমরা আপনার নিকট্ট থেকে
গ্রহণ করে নিয়েছি ৷ আপনি আমাদের জন্য শরীআত প্রদান করেছেন, আমরা তার উপর

€০া৷া

র্জ্য ,

ذَلِكَ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: نَدِمْتُ نَدَامَةَ الْكُسَعِيِّ لَمَّا ... غَدَتْ مِنِّي مُطَلَّقَةً نَوَارُ وَكَانَتْ جَنَّتِي فَخَرَجْتُ مِنْهَا ... كَآدَمَ حِينَ أَخْرَجَهُ الضِّرَارُ فَلَوْ أَنِّي مَلَكْتُ يَدِي وَقَلْبِي ... لَكَانَ عَلَيَّ لِلْقَدَرِ الْخِيَارُ وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: لَمَّا مَاتَتِ النَّوَارُ بِنْتُ أَعْيَنَ بْنِ ضُبَيْعَةَ الْمُجَاشِعِيُّ امْرَأَةُ الْفَرَزْدَقِ وَكَانَتْ قَدْ أَوْصَتْ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهَا الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ فَشَهِدَهَا أَعْيَانُ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَالْحَسَنُ عَلَى بَغْلَتِهِ وَالْفَرَزْدَقُ عَلَى بَعِيرِهِ فَسَارَا، فَقَالَ الْحَسَنُ، لِلْفَرَزْدَقِ: مَاذَا يَقُولُ النَّاسُ؟ قَالَ: يَقُولُونَ: شَهِدَ هَذِهِ الْجِنَازَةَ الْيَوْمَ خَيْرُ النَّاسِ. يَعْنُونَكَ، وَ: شَرُّ النَّاسِ. يَعْنُونِي. فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا فِرَاسٍ لَسْتُ بِخَيْرِ النَّاسِ، وَلَسْتَ بِشَرِّ النَّاسِ. ثُمَّ قَالَ لَهُ الْحَسَنُ: مَا أَعْدَدْتَ لِهَذَا الْيَوْمِ؟ قَالَ: شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، مُنْذُ ثَمَانِينَ سَنَةً. فَلَمَّا أَنْ صَلَّى عَلَيْهَا الْحَسَنُ مَالُوا إِلَى قَبْرِهَا لِدَفْنِهَا، فَأَنْشَأَ الْفَرَزْدَقُ يَقُولُ: أَخَافُ وَرَاءَ الْقَبْرِ إِنْ لَمْ يُعَافِنِي ... أَشَدَّ مِنَ الْقَبْرِ الْتِهَابًا وَأَضْيَقَا إِذَا جَاءَنِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَائِدٌ ... عَنِيفٌ وَسَوَّاقٌ يَسُوقُ الْفَرَزْدَقَا لَقَدْ خَابَ مِنْ أَوْلَادِ آدَمَ مَنْ مَشَى ... إِلَى النَّارِ مَغْلُولَ الْقِلَادَةِ أَزْرَقَا يُسَاقُ إِلَى نَارِ الْجَحِيمِ مُسَرْبَلًا ... سَرَابِيلَ قَطْرَانٍ لِبَاسًا مُخَرَّقَا
পৃষ্ঠা - ৭৬৭০

কাছে প্রচার হয়ে যায় ৷ এক পর্যায়ে কথাটা সে দেশের বাদশাহ্র কানে গিয়ে পৌছে ৷ বাদশাহ্
তার সঙ্গে সাক্ষাতেব উদ্দেশ্যে গমন করেন ৷ এভাবে বর্ণনাকারী পুরো ঘটনা উল্লেখ করেন ৷
মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

ওয়াহ্ব বলেন, সর্বাপেক্ষা দৃনিয়াবিমুখ যদিও সে দুনিয়ার জন্য প্রলুব্ধ হয় সেই ব্যক্তি যে
আমানত রক্ষা করার সঙ্গে উত্তম হালাল উপার্জন ছাড়া সন্তুষ্ট হয় না ৷ সর্বাপেক্ষা দৃনিয়া-আসক্ত
যদিও সে দুনিয়া থেকে বিমুখ হয় সেই ব্যক্তি যে উপার্জনে হালাল-হারাম বিবেচনা করে না ৷
জগতে সর্বাপেক্ষা বদান্য সেই ব্যক্তি যে মহান আল্লাহর হক আদায়ে বদানাতা দেখাল ৷ যদিও
অন্য ক্ষেত্রে মানুষ তাকে কৃপণ হিসেবে দেখুক ৷ দৃনিয়াতে সর্বাপেক্ষা কৃপণ সেই ব্যক্তি, যে
মহান আল্লাহর হকের ক্ষেত্রে কার্পণ্যকরল ৷ যদিও মানুষ তাকে অন্য ক্ষেত্রে বদান্য দেথুক ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ থেকে যথাক্রমে আ৩ ৷ ইবন মুসলিম, মুহাম্মদ ইবন আম্র ইবন ,
মুকসিম, আলী ইবনুল মাদীনী ও মুআয ইবনুল মুছান্ন৷ সুত্রে তাবারানী বর্ণনা করেন যে,
ওয়াহ্ব বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-এর সঙ্গে এক হাজার স্থানে কথা বলেছেন ৷
তিনি যখনই মহান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতেন, তিনদিন পর্যন্ত তীর চেহারায় নুর দেখা যেত ৷
আর মহান আল্লাহ যেদিন তার সঙ্গে কথা বলেছেন, সেদিন থেকে তিনি কোন নারীকে স্পর্শ
কঃবননি ৷

রবীআ ইবন আবু আবদুর রহমান থেকে যথাক্রমে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, আবদুল্লাহ
ইবনুল্ আজলাহ ও আবদুল্লাহ্ ইবন আমির ইবন যারারাহ সুত্রে উছমান ইবন আবু শায়বা বর্ণনা
করেন যে, রবীআ ইবন আবু আবদুর রহমান বলেছেন, আমি ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে বলতে
শুনেছি, নুবুওয়াত অত্যন্ত ভারী ও কঠিন, শক্তিশালী লোক ব্যতীত এটি বহন করতে পারে না ৷
আর ইউনুস ইবন মাত্তা একজন সৎ কর্মপরায়ণ বান্দা ছিলেন ৷ তার চরিত্রে কঠোরত৷ ছিল ৷
যখন তার উপর নুবুওয়াতের দ ৷য়িতৃ অর্পণ করা হলো, তখন তিনি তার ভাবে চলে পড়ে লাশের

গলে যাওয়ার ন্যায় তার নীচে গলে গেলেন ৷ ফলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে পালিয়ে গেলেন ৷
এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা জানা তার নবী (সা) কে বললেনং :

টুট্রু০০াট্র

কাজেই তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল দৃঢ়প্রতিও রাসুলগণ ৷ (৪৬৪ ৩৫) ৷
তিনি আরো বলেন,

() : :

ণ্প্রুা ,£ছু ,ট্রুস্,
কাজেইতু মি ধৈর্যধারণ কর তােমা র প্রতিপালকের নির্দোশ ৷র অপেক্ষায় তুমি মৎস্য-সহচরের
ন্যায় হয়ো না ৷ সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিল (৬৮৪ ৪৮) ৷
ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ হতে যথাক্রমে আবু ইসহাক ইবন ওয়াহ্ব সুত্রে ইউনুস ইবন
বুকায়র বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেছেন৪ মহান আল্লাহ বাতাসকে নির্দেশ প্রদান করেছেন,

সৃষ্টির কেউ পৃথিবীতে কোন কথা বললে যেন তা সুলায়মান (আ) এর কানে দেয় ৷ সে কারণেই
তিনিপ্ পিপীলিকার কথা শ্রবণ করেছেন ৷

আমর ইবন দীনার সুত্রে ওয়াহ্ব থেকে সুফিয়ান বর্ণনা করেছেন যে, ওয়াহ্ব বলেছেন,
বনী ইসরাঈলের কোন লোক চল্লিশ বছর ভ্রমণ করলে তাকে কোন একটি বস্তু দেখানো হতো ৷
তা তার ভ্রমণ কবুল্ হওয়ার আলামত বলে বিবেচিত হতো ৷


إِذَا شَرِبُوا فِيهَا الصَّدِيدَ رَأَيْتَهُمْ ... يَذُوبُونَ مِنْ حَرِّ الصَّدِيدِ تَمَزُّقَا قَالَ: فَبَكَى الْحَسَنُ حَتَّى بَلَّ الثَّرَى، ثُمَّ الْتَزَمَ الْفَرَزْدَقَ وَقَالَ: لَقَدْ كُنْتَ مِنْ أَبْغَضِ النَّاسِ إِلَيَّ، وَإِنَّكَ الْيَوْمَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ. وَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: أَلَا تَخَافُ مِنَ اللَّهِ فِي قَذْفِ الْمُحْصَنَاتِ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَلَّهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ عَيْنَيَّ اللَّتَيْنِ أُبْصِرُ بِهِمَا، فَكَيْفَ يُعَذِّبُنِي؟ ! وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ مَاتَ سَنَةَ عَشْرٍ وَمِائَةٍ قَبْلَ جَرِيرٍ بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: بِأَشْهُرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا الْحَسَنُ، وَابْنُ سَيْرَيْنَ فَقَدْ ذَكَرْنَا تَرْجَمَةَ كُلٍّ مِنْهُمَا مَبْسُوطَةً فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ". وَحَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. فَأَمَّا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ وَاسْمُهُ يَسَارٌ، أَبُو سَعِيدٍ الْبَصْرِيُّ مَوْلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَيُقَالُ: مَوْلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، وَأُمُّهُ خَيْرَةُ مُوَلَّاةُ أُمِّ سَلَمَةَ كَانَتْ تَخْدُمُهَا، فَرُبَّمَا أَرْسَلَتْهَا فِي الْحَاجَةِ فَتَشْتَغِلُ عَنْ وَلَدِهَا الْحَسَنِ وَهُوَ رَضِيعٌ، فَتُشَاغِلُهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِثَدْيِهَا، فَيَدُرُّ عَلَيْهِ فَيَرْتَضِعُ مِنْهَا، فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ تِلْكَ الْحِكْمَةَ وَالْعُلُومَ الَّتِي أُوتِيَهَا الْحَسَنُ مِنْ بَرَكَةِ تِلْكَ الرَّضَاعَةِ مِنَ الثَّدْيِ الْمَنْسُوبِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ كَانَ وَهُوَ صَغِيرٌ تُخْرِجُهُ أُمُّهُ إِلَى الصَّحَابَةِ فَيَدْعُونَ لَهُ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ يَدْعُو لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ: اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৭১

ওয়াহ্বকে দীনার ও দিরহাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ৷ তিনি উত্তরে বললেন,
দীনার-দিরহাম হলো, বিশ্ব-প্রতিপালকের সীলমােহর ৷ পৃথিবীটা হলো, মানব সন্তানের এমন
জীবনােপকরণ, যা খাওয়াও যায় না, পানও করা যায় না ৷ বিশ্ব-প্রতিপালকের সীলমােহরট৷
নিয়ে তৃমি সেখানেই যাবে, তোমার প্রয়োজন পুরণ করতে পারবে ৷ আর তা হলো মুনাফিকদের ন্
লাপাম, তা দ্বারা তাদেরকে প্রবৃত্তির দিকে হাকিয়ে নেওয়া হয় ৷

ওয়াহ্ব থেকে যথাক্রমে সা ৷ম্মাক ইবৃর্মুল মুফায্যল, মা’ মার ও ইবনুল ঘুবারক সুত্রে দাউদ
ইবন উমর আয্যাবী বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেছেন, যে ব্যক্তি আমল বিহীন দু আ করে
তার দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির ন্যায় যে ছিল৷ ছাড়াও তীর নিক্ষেপ করে ৷

ইবনুল মুবারক উমর ইবন আবদুর রহমান ইবন মাহরাব থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর
ইবন আবদুর রহমান বলেন, আমি ওয়াহ্বকে বলতে শুনেছি, জনৈক অভিজ্ঞজন বলেছেন, আমি
শুধু জান্নাতের আশায় মহান আল্লাহ্র ইবাদত করতে লজ্জাবােধ করি ৷ তখন তাে আমি মন্দ
মজুরের ন্যায় হয়ে যাব, যে যদি দান করা হয়, কাজ করবে, যদি না দেওয়া হয় কাজ করবে
না ৷ আর আমি শুধু জাহান্নামের ভয়েও মহান আয়াহ্র ইবাদত করতে লজ্জাবােধ করি ৷ তখন
তো আমি মন্দ গোলামের ন্যায় হয়ে যাব, যে যদি ভয় দেখানো হয়, কাজ করবে, ভয় না
দেখানো হাল কাজ করবে না ৷ আমার নিকট হতে যতটুকু আল্পাহ্প্রেম্ প্রকাশ পায়, অন্য কিছু
ততটুকু প্রকাশ পায় না ৷

সুররী ইবন ইয়াহইয়া বলেন০ ং ওয়াহ্ব ইবন মুন৷ ৷ব্বিহ মাকহুল এর নিকট পত্র লিখেনং :
আপনি তো ইসলামের বাহ্যিক ইলম দ্বারা মানুষের নিকট ভালবাসা ও মর্যাদা অর্জন করে
নিয়েছেন ৷ এবার মানুষের গুপ্ত ইলম দ্বারা মহান আল্লাহ্র নিকট ভালবাসা ও নৈকট্য অনেষণ
করুন ৷ আর জেনে রাখুন, দুই ভালবাসার একটি অপরটিকে প্রতিহত করে ৷ কিৎবা বলেছেন :
অচিরেই অপরটি তোমাকে বারণ করবে ৷

যাফির ইবন সুলায়মান আবু সিনান আশ-শায়বানী হতে বর্ণনা করেন যে, আবু সিনান
বলেন : আমাদের নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ বলেছেন : লুকমান তার
ছেলেকে বলেছেন : বৎস ! দুনিয়া ও আখিরাতের লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর আনুগত্যকে
ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ কর ৷ ঈমান হলো তোমার জাহাজ, যাতে তোমাকে বহন করা হবে ৷
মহান আল্পাহ্র উপর তাওয়াক্কুল হলো সেই জাহাজের পাল ৷ দুনিয়া হলো তোমার সমুদ্র ৷ “
দিনসমুহ তোমার ঢেউ ৷ লেক আমল তোমার ব্যবসা, তুমি যার লাভ আশা কর ৷ গনীমত হলো
তোমার হাদিয়া, যা দ্বারা তুমি তোমার মর্যাদা কামনা কর এবং তার ণ্লাভ তাকে হাকিয়ে নিয়ে
যায় ৷ মনকে তার প্রবৃত্তি হতে ফিরিয়ে রাখা হলো জাহাজের নােঙ্গর ৷ মৃত্যু হলো তার কিনারা ৷
মহান আল্লাহ্ তার স্বত্বাধিকারী এবং তাকে তার-ই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে ৷ যার মুলধন
যত বেশী এবং নিয়ত ৩যত পরিচ্ছন্ন, পন্থা যত খাটি, সে মহান আল্লাহ্র ৩৩ প্রিয়, শ্রেষ্ঠ ও
ভৈনকটব্রশীল ব্যবসায়ী ৷ পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ্র নিকট সবচেয়ে অপ্রিয় সেই ব্যবসায়ী, যার
পুজি কম, পথ পন্থা নিকৃষ্ট ৷ মন-মানসিকত৷ নােং রা যদিও ওে তামার ব্যবসা উত্তম হবে, লাভ
বৃদ্ধি পাবে ৷ যখন৫ তামার পথ পন্থা নিষ্ঠাপুর্ণ হবে তুমি সম্মান পাবে ৷

অপর এক বর্ণনায় আছে, ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ বলেছেনং : লুকমান (আ) তার ছেলেকে
বলেছেন : বৎস ! মহান আল্লাহ্র আনুগত্যকে পুজি বানাও; সবদিক থেকে ব্যবসা আসবে ৷


فِي الدِّينِ، وَحَبِّبْهُ إِلَى النَّاسِ. وَسُئِلَ مَرَّةً أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ مَسْأَلَةٍ فَقَالَ: سَلُوا عَنْهَا مَوْلَانَا الْحَسَنَ فَإِنَّهُ سَمِعَ وَسَمِعْنَا، فَحَفِظَ وَنَسِينَا. وَقَالَ ابْنُ مُرَّةَ: إِنِّي لَأَغْبِطُ أَهْلَ الْبَصْرَةِ بِهَذَيْنِ الشَّيْخَيْنِ الْحَسَنِ، وَابْنِ سِيرِينَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: مَا جَالَسْتُ رَجُلًا فَقِيهًا إِلَّا رَأَيْتُ فَضْلَ الْحَسَنِ عَلَيْهِ. وَقَالَ أَيْضًا: مَا رَأَتْ عَيْنَايَ أَفْقَهَ مِنَ الْحَسَنِ. وَقَالَ أَيُّوبُ: كَانَ الرَّجُلُ يُجَالِسُ الْحَسَنَ ثَلَاثَ حِجَجٍ مَا يَسْأَلُهُ عَنْ مَسْأَلَةٍ ; هَيْبَةً لَهُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ لِرَجُلٍ يُرِيدُ قُدُومَ الْبَصْرَةِ: إِذَا نَظَرْتَ إِلَى رَجُلٍ أَجْمَلِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَأَهْيَبِهِمْ فَهُوَ الْحَسَنُ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ: كَانَ الرَّجُلُ إِذَا نَظَرَ إِلَى الْحَسَنِ انْتَفَعَ بِهِ، وَإِنْ لَمْ يَسْمَعْ كَلَامَهُ وَلَمْ يَرَ عَمَلَهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৭২


যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে ভয় করে, আল্লাহ তার পথ করে দিবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত
উৎস হতে দান করবেন বিয্ক ৷ (৬৫০ ২ধ্৩)
ওয়াহ্ব বলেনং : মু ’মিনের জন্য বিপদাপদ হলো পশুর দড়ির ন্যায় ৷
আবু বিলাল আল-আশআরী আবু শিহাব আস-সানআনী ও আবদুস সামাদ সুত্রে ওয়াহ্ব
হতে বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বল্যেছন ষ্ক যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্তহলো, যে নবীদের পথে চলল ৷
আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল আবদুর রায্ষাক ও মুনযির সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, মুনষির বলেন : আমি ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে বলতে শুনেছি : আমি কোন এক
হাও য়ারীর কিতাবে পড়েছি : যখন তোমাকে কোন বিপদগ্নস্তের পথে পরিচালিত করা হয়,
তখন তুমি খুশী হও ৷ কেননা, তোমাকে নবী ও সৎকর্মশীলগণের পথে চালিত করা হয়েছে ৷
উছমান ইবন বাযদুৰিয়াহভ্রু থেকে যথাক্রমে উমায়্যা ইবন শাবৃল, ইবরাহীম ইবন খালিদ ও
, আহমাদ ইবন জাফর সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, উহমান ইবন বাযদুবিয়া বলেন :
আমি ওয়াহ্ব ও সাঈদ ইবন জুবায়র-এর সঙ্গে আরাফার দিন ইবন আমির-এর খেজুর তলায়
উপস্থিত ছিলাম ৷ তখন ওয়াহ্ব সাঈদকে বলেনং যেদিন তুমি হাজ্জাজের ভয়ে পলায়ন
করেছিলে, সেদিন তে ৷মার কী দশা ঘটেছিল হে আবু আবদুল্লাহ ? তিনি বলেনং আমার শ্রী
গর্ভাতী ছিল ৷ তার গর্ভন্থিত সন্তানের মুখমণ্ডল বেরিয়ে এসেছে ৷ ঠিক এমন সময় আমি আমার
ত্রীকে রেখে বেরিয়ে পড়েছি ৷ শুনে ওয়াহ্ব বলেনং তোমাদের পুর্বেকার মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত
হতে৷ তারা তাকে আশা গণ্য করত ৷ আর যখন তা ৷শাব্যঞ্জক কিছু আপতিত হভােত তাকে বিপদ
গণ্যকরত ৷
আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেছেন : আমি কোন এক কিভাবে
পড়েছি : আমার এমন কোন বান্দা নেই, যে জাদু করেনি কিংবা তাকে জাদু করা হয়নি, নিজে
অদৃষ্টের কথা বলেনি কিংবা তার অদৃষ্টের কথা বলা হয়নি, নিজে কুলক্ষণ গ্রহণ করেনি কিংব
তার কুলক্ষণ গ্রহণ করা হয়নি ৷ যে ব্যক্তি এমনটি হয়েছে তার উচিত আমাকে ছাড়া সবকিছু
ত্যাগ করা ৷ কেননা, সত্তা একমাত্র আমি ই এবং সব সৃষ্টি আমার-ই জন্য ৷
ওয়াহ্ব থেকে যথাক্রমে তায়মী, জা ফর ইবন মুহাম্মদ রিবাহ্ ও ইবরাহীম ইবন খালিদ
সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেনং বিত্তবানদের জান্নাতে প্রবেশ করা যতনা
সহজ, তার চেয়ে বেশী সহজ পুইয়ের ছিদ্রপথে উট প্রবেশ করা ৷ আমার মতে, এর কারণ
হলো, হিসাবের কঠিনতা এবং বিত্তবানদের কষ্টের মধ্যে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকা ৷ মহান
আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
বাক্কার থেকে আবদুর রায্যাক সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, বাক্কার বলেন :
আমি ওয়াহ্বকে বলতে শুনেছি : সমত৷ বর্জন করাও তাতফীফ’ (ওযনে কম দেওয়া) -এর
অন্তর্ভুক্ত ৷
ওয়াহ্ব থেকে যথাক্রমে মুহাম্মদ ইবন জাহাদাহ, মুহাম্মাদ ইবন তালহ৷ এবং হাজ্জাজ ও
আবুনৃ নাসর সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেন : যে ব্যক্তি ষ্ইবাদত করে
তার শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷ আর যে অলসত৷ করে, তার দৃর্বলত৷ বৃদ্ধি পায় ৷


وَقَالَ الْأَعْمَشُ: مَا زَالَ الْحَسَنُ يَعِي الْحِكْمَةَ حَتَّى نَطَقَ بِهَا، وَكَانَ أَبُو جَعْفَرٍ إِذَا ذَكَرَهُ يَقُولُ: ذَاكَ الَّذِي يُشْبِهُ كَلَامُهُ كَلَامَ الْأَنْبِيَاءِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: قَالُوا: كَانَ الْحَسَنُ جَامِعًا لِلْعِلْمِ وَالْعَمَلِ، عَالِمًا رَفِيعًا فَقِيهًا، ثِقَةً مَأْمُونًا، عَابِدًا نَاسِكًا، كَثِيرَ الْعِلْمِ وَالْعَمَلِ، فَصِيحًا جَمِيلًا وَسِيمًا، وَقَدِمَ مَكَّةَ فَأُجْلِسَ عَلَى سَرِيرٍ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَحَدَّثَهُمْ. وَكَانَ فِيهِمْ مُجَاهِدٌ، وَعَطَاءٌ، وَطَاوُسٌ، وَعَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ فَقَالُوا: لَمْ نَرَ مِثْلَ هَذَا قَطُّ. قَالَ أَهْلُ التَّارِيخِ: مَاتَ الْحَسَنُ عَنْ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً عَامَ عَشْرٍ وَمِائَةٍ، فِي مُسْتَهَلِّ رَجَبٍ مِنْهَا، بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ مِائَةُ يَوْمٍ. وَأَمَّا ابْنُ سِيرِينَ فَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ مَوْلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ النَّضْرِيِّ كَانَ أَبُو مُحَمَّدٍ مِنْ سَبْيِ عَيْنِ التَّمْرِ، أَسَرَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي جُمْلَةِ السَّبْيِ، فَاشْتَرَاهُ أَنَسٌ ثُمَّ كَاتَبَهُ، ثُمَّ وُلِدَ لَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ الْأَخْيَارِ جَمَاعَةٌ؛ مُحَمَّدٌ هَذَا، وَأَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، وَمَعْبَدٌ، وَيَحْيَى، وَحَفْصَةُ، وَكَرِيمَةُ وَكُلُّهُمْ تَابِعِيُّونَ ثِقَاةٌ أَجِلَّاءُ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وُلِدَ مُحَمَّدٌ لِسَنَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ خِلَافَةِ عُثْمَانَ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৭৩


ইদরীস ইবন ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ হতে যথাক্রমে আবু বাকর ইবন আয়্যাশ ও মুহাম্মদ
ইবন আয়ুবে সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন হাম্বল বর্ণনা করেন যে, ইদরীস ইবন ওয়াহ্ব
বলেন, আমার পিতা বলেছেন : সুলায়মান ইবন দাউদ (আ)-এর একশত ঘর ছিল, যার
উপরাৎশ ছিল সীসার এবং নিম্নাৎশ লোহার ৷ একদিন তিনি বাতাসে চড়ে এক কৃষকের উপর
দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ দেখে কৃষক সুলায়মান (আ)-এর রাজ্যের বিশালতা প্রকাশ করে ৷
লোকটি কাল ও অবশ্যই দাউদ বংশকে বিশাল রাজতু দান করা হয়েছে ৷ বাতাস কৃষকের
উক্তিটি বয়ে নিয়ে সুলায়মান (আ)-এর কানে দেয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন : ফলে সুলায়মান (আ)
আদেশ করলে বাতাস থেমে যায় ৷ তারপর তিনি নীচে অবতরণ করে পায়ে হেটে কৃষকের
নিকট গমন করে বললেন : আমি তোমার উক্তি শুনেছি এবং পায়ে হেটে এজন্য তোমার নিকট
এসেছি যেন মহান আল্লাহ অনুগ্নহপুর্বক আমাকে যে ক্ষমতা দান করেছেন, তৃট্রু৷ তার কামনা না
কর ৷ কারণ, তিনি-ই আমাকে এর জন্য নির্বাচন করেছেন এবং আমাকে সাহায্য করেছেন ৷
তারপর তিনি বলেন : আল্লাহর শপথ ! তুমি কিংবা কোন মু’মিন হতে মহান আল্লাহর কবুলকৃত
একটি তাসবীহ দাউদ বংশের রাজভৃ অপেক্ষা উত্তম ৷ কেননা, দাউদ বংশকে যা দান করা
হয়েছে, তা নিঃশেষ হয়ে যাবে আর তাসবীহ স্থায়ী থাকবে ৷ আর স্থায়ী বস্তু ধ্বংসশীল বস্তু
অপেক্ষা উত্তম ৷ শুনে কৃষক বলল, মহান আল্লাহ আপনার চিন্তা দুর করে দিন, যেমনটি আপনি
আমার চিন্তা দুর করে দিয়েছেন ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ্ থেকে আর্কীল ইবন মাকাল ও ইব্রাহীম ইবন আর্কীল ইবন
মাকাল সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব ইবন ঘুনাব্বিহ বলেন, আল্লাহ তাআলা
হযরত মুসা (আ)-কে একটি নুর দান করেছিলেন ৷ হারুন (আ) মুসা (আ)-কে বলেন,
ভাইজান৷ এটি আমাকে দিয়ে দিন ৷ ফলে মুসা (আ) সেটি হারুন (আ) কে দিয়ে দেন ৷
পরবর্তীতে হারুন (আ) সেটি দান করেন তার ছেলেকে ৷ অপরদিকে বায়তুল মুকাদ্দাসে একটি
পেয়ালা ছিল, যাকে নবী ও রাজা-বাদশাহগণ শ্রদ্ধা করতেন ৷ এক পর্যায়ে৷ হ রুন (আ) এর দুই
ছেলে তাতে মদ পান করতে শুরু করে ৷ ফলে আকাশ হতে আগুন নেমে এসে হারুন (আ) এর
উভয় ছেলেকে ছে৷ মেরে নিয়ে উপরে উঠে যায় ৷ দেখে হারুন (আ) ভয় পেয়ে যান এবং
আকাশ থানে মুখ করে অনুনয়-বিনয় করে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ মহান আল্লাহ
তার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন, হে হারুন! আমি যেখানে আমার অনুগত গোষ্ঠীর নাফরমান
লোকদের সঙ্গে এই আচরণ করি, সেখানে আমার অবাধ্য গোষ্ঠীর নাফরমান লোকদের সঙ্গে
আমার আচরণ কীরুপ হবে ?

হাকাম ইবন আবান বলেন, জনৈক সানৃআ নিবাসী আমার যেহমান হন ৷ তিনি বললেন,
আমি ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে বলতে শুনেছি, সপ্তম আকাশে আল্লাহ পাকের একটি ঘর
আছে, যার নাম আল-বায়যা’ ৷ মু ’মিনগণের রুহসমুহ সেখানে সমবেত হয় ৷ দুনিয়ার কোন
মানুষের মওত হলে রুহসমুহ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে দুনিয়ার খবরা-খবর জিজ্ঞাসা
করে ৷ প্রবাসী মানুষ যে রুপ আপনজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে পরিজনের খোজ খবর জিজ্ঞাসা করে
থাকে ৷

ওয়াহ্ব আরো বলেন, যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তিকে পদতলে রাখে, শয়তান তার যুলুমে
ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উঠে ৷ কাজেই যার ইলুম প্প্প্রপ্ৰু র জয়লাভ করে, সে বিজয়ী আ ৷লিম ৷


وَقَالَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ: هُوَ أَصْدَقُ مَنْ أَدْرَكْتُ مِنَ الْبَشَرِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا، عَالِمًا رَفِيعًا، فَقِيهًا إِمَامًا، كَثِيرَ الْعِلْمِ وَرِعًا، وَكَانَ بِهِ صَمَمٌ. وَقَالَ مُورِقُ الْعِجْلِيُّ: مَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَفْقَهَ فِي وَرَعِهِ، وَأَوْرَعَ فِي فِقْهِهِ مِنْهُ. وَقَالَ ابْنُ عَوْنٍ: كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ أَرْجَى النَّاسِ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَشَدُّ النَّاسِ إِزْرَاءً عَلَى نَفْسِهِ. قَالَ ابْنُ عَوْنٍ: لَمْ أَرَ فِي الدُّنْيَا مِثْلَ ثَلَاثَةٍ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ بِالْعِرَاقِ وَالْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ بِالْحِجَازِ وَرَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ بِالشَّامِ وَكَانُوا يَأْتُونَ بِالْحَدِيثِ عَلَى حُرُوفِهِ. وَكَانَ الشَّعْبِيُّ يَقُولُ: عَلَيْكُمْ بِذَاكَ الْأَصَمِّ. يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ. وَقَالَ ابْنُ شَوْذَبٍ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَجْرَأَ عَلَى الرُّؤْيَا مِنْهُ، وَلَا أَجْبَنَ عَنْ فُتْيَا مِنْهُ. وَقَالَ عُثْمَانُ الْبَتِّيُّ: لَمْ يَكُنْ بِالْبَصْرَةِ أَعْلَمُ بِالْقَضَاءِ مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৭৪


কিন্তু পরদিন তােরবেলা তারা মেহরাবের নিকট তার কাফন দেখতে পায় ৷ তাতে লিখাছিল :
তোমরা তাকে জীবিত অবস্থায় খুন করেছ আর মৃত অবস্থায় সদাচার করেছ ?

ইয়াহ্ইয়া বলেন : উক্ত লোকটি যে গ্রামে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল, আমি সেই গ্রামঢি
দেখছি ৷ কি ধনী, কি গরীব, প্রত্যেকের বাড়িতে একটি করে মেহমানখানা ৷

অপর এক সুত্রে বর্ণিত, বর্ণনায় একথাও উল্লেখ আছে যে, গ্রামবাসীরা ঘটনার সত্যতা
স্বীকার করত ৷ আর তখন হতেই তারা উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ে মেহমান ও গরীবদের
জন্য ণ্মহমানখানা তৈরী করে ৷

আবদুর রায্যাক বাক্কার সুত্রে ওয়াহ্ব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন৪ যখন দরযা
দিয়ে হা ৷দিয়৷ প্রবেশ করে, তখন দীপাধার হতে সত্য বেরিয়ে যায় ৷

ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহস্ক হতে ৩যথাক্রমে আবদুস সামাদ আবদুল মুনইম ইবন ইদরীস ও
ইব্রাহীম ইবন সা“ দ সুত্রে ইব্রাহীম ইবনুল জুনায়দ বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেন : কোন
এক নবী (আ) এক পাহাড়ের গুহায় ইবাদতরত এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ নবী
(আ) তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন৪ এখানে তুমি কতদিন
যাবত অবস্থান করছ ? লোকটি বলে৪ তিনশত বছর যাবত ৷ নবী (আ) বলেন : তোমার
জীবিকা কোখেকে আসে ? সে বলল : গাছের পাতা থেকে ৷ নবী (আ) বলেন : তোমার পানীয়
কোথা থেকে আসে ? সে বলল : কুপের পানি থেকে ৷ নবী (আ) বলেন : শীতের সময় তুমি
কোথায় থাক ? সে বলল : এই পাহাড়ের নীচে ৷ নবী (আ) বলেন : ইবাদতের উপর তোমার
ধৈর্য কিরুপ ? আমি কিভাবে অধৈর্য হবে৷ ? অথচ, ধৈর্যই আমার দিন, আমার রাত ৷ ণ্ গতকাল
তো তাতে যা ছিল, তা নিয়ে বিগত হয়ে গেছে ৷ আর আগামীকাল সে তাে এখনো আসেনি ৷
ওয়াহ্ব বলেন৪ লোকটির ধৈর্যই আমার দিন, আমার রাত’ কথাটা শুনে নবী (আ) বিমুগ্ধ হয়ে
পড়েন ৷

এই সুত্রে আরো বর্ণিত আছে যে, এক আবিদত ৷র শিক্ষককে বলে৪ আমি প্রবৃত্তিকে ছিন্ন
করে ফেলেছি ৷ ফলে এখন আমি দুনিয়ার কোন বস্তুর প্রতি প্রবৃত্ত হই না ৷ শুনে শিক্ষক তাকে
বলেন : তুমি নারী ও ত্তস্থে-জানােয়ারকে একসঙ্গে দেখলে তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পার
কি? আবিদ বলল : হীা, পারি ৷ শিক্ষক বলেন : তুমি কি দীনার-দিরহাম ও ঘুড়ি পাথরের
মাঝে পার্থক্য করতে পার ? লোকটি বলল : হীা, পারি ৷ শিক্ষক বলেন : বসাে তুমি তোমার
থেকে প্ৰবৃত্তিকে ছিন্ন করনি; তুমি বরং তাকে শক্ত করে নিয়েছ ৷ কাজেই তুমি তার ফসৃকে
যাওয়া ও বিবর্তন হতে নিজেকে রক্ষা কর ৷

ওয়াহ্ব হতে আকীল ইবন মাকাল সুত্রে গাওছ ইবন জাবির ইবন গায়লান ইবন মুনাব্বিহ
বর্ণনা করেন যে, ওয়াহ্ব বলেন : দীনের তিনটি দিকে আমল কর ৷ কেননা, দীনের তিনটি দিক
আছে ৷ যে ব্যক্তি সৎ কর্মগুলোকে একত্রিত করতে চায়, তার জন্য সেগুলো হলো সৎ কর্মের
মিশন কেন্দ্র ৷ প্রথমত, সকালের-সন্ধ্যার, প্রকাশ্য, গোপন, নতুন ও পুরাতন মহান আল্লাহর এই
বিপুল বিপুল নিআমতের কৃতজ্ঞ স্বরুপ আমল করবে ৷ মু’মিন এসবের কৃতজ্ঞতা ও পরিপুর্ণতার
আশায় আমল করে থাকে ৷ দীনের দ্বিতীয় দিকটি হলো জান্নাতের প্রতি আগ্রহ, যার কোন
মুলাও নেই, উপমাও নেই ৷ পাপিষ্ঠ নির্বোধ কিংবা মুনা ৷ফিক ও কা ৷ফির ছাড়া কেউ তার কাছে
এবং তার জন্য আমল করা হতে বিমুখ হয় না ৷ দীনের তৃতীয় দিকটি হলো, মু’মিন ৫সই

€০া৷া


قَالُوا: وَمَاتَ فِي تَاسِعِ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ الْحَسَنِ بِمِائَةِ يَوْمٍ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ الْيَمَانِيُّ وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، وَلَهُ مَعْرِفَةٌ بِكُتُبِ الْأَوَائِلِ، وَهُوَ يُشْبِهُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ وَكَانَ لَهُ صَلَاحٌ وَعِبَادَةٌ، وَيُرْوَى عَنْهُ أَقْوَالٌ حَسَنَةٌ وَحِكَمٌ وَمَوَاعِظُ، وَقَدْ بَسَطْنَا تَرْجَمَتَهُ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوفِّيَ بِصَنْعَاءَ سَنَةَ عَشْرٍ وَمِائَةٍ، وَقَالَ غَيْرُهُ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: بِأَكْثَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৭৫
৪৭৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

ওয়াহ্ব বলেন, মু’মিন মেলামেশা করে শিক্ষা লাভ করার জন্য, নীরবতা অবলম্বন করে
নিরাপদ থাকার জন্য, কথা বলে মানুষকে বুঝাবার জন্য এবং নির্জনতা অবলম্বন করে অবস্থান
গ্রহণের জন্য ৷

তিনি আরো বলেন৪ মু’মিন হলো চিন্তাশীল, উপদেশ প্রহণকারী ও সঞ্চয়কারী ৷ সে
উপদেশ গ্রহণ করে তাে৩ার উপর প্রশান্তি হেরে যায় ৷ শান্ত থাকল তাে নম্রতা প্রকাশ করল ৷
ফলে, সে অপবাদের উধের্ব থাকে ৷ প্রবৃত্তি বোড়ে ফেলল তাে সোধীন হয়ে গেল ৷ নিজ থেকে
হিংসা ছুড়ে মারল তাে তার জন্য ভালবাসা প্রকাশ পেল ৷ বিনাশী সকল বিষয়ে বিমুখতা
অবলম্বন করল তো যে জ্ঞান পরিপুর্ণ করে নিল ৷ সকল অবিনাশী বিষয়ে আগ্রহী হলো তো সে
মারিফত অর্জন করল ৷ তার অন্তর তার ভাবনার সঙ্গে ঝুলে থাকে এবং তার ভাবনা সম্পৃক্ত
থাকে তার পুনরুথানের সঙ্গে ৷ দুনিয়াবাসী যখন আনন্দিত হয়, তখন যে আনন্দিত হয় না ৷
সর্বদা সে চিন্তাযুক্ত থাকে ৷ তার চক্ষু যখন নিদ্রা যায়, তখনই সে আনন্দিত থাকে ৷ সে মহান
আল্লাহ্র কি ব তিলাওয়াত করে এবং তাকে তার অন্তরে বারবার উপস্থাপন করে ৷ কখন তার
হৃদয় সন্ত্রস্ত কখনো বা তার চক্ষু অশ্রু প্রবাহিত করে ৷ তার রাত অতিবাহিত হয়
তিলাওয়াতের মধ্য এবং দিন কাটে পাপের চিন্তা ও আমলকোল্প জ্ঞান করার মধ্য দিয়ে
, নির্জনে ৷ ওয়াহ্ব বলেন : এই চরিত্রের মু’মিনকে কিয়ামতের দিন সৃষ্টিকুলের উপস্থিতিতেসৈই
মহাসমাবেশে ডাক দিয়ে বলা হবে : উঠ হে মহানুভব৷ তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর ৷

ছাওব ইবন ইয়াযীদ হতে আবদুর রহমান ইবন মাসউদ সুত্রে ইবরাহীম ইবন সাঈদ বর্ণনা
করেন যে, ছাওব ইবন ইয়াযীদ বলেন, ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ বলেন : তোমাদের জন্য ধ্বংস
অবধারিত যখন মানুষ তােমাদেরকে নেক্কার বলে ডাকতে শুরু করবে এবং তার জন্য
তােমাদেরকে শ্রদ্ধা করবে ৷

আকীল ইবন মা কাল ইবন মুনাব্বিহ হতে যথাক্রমে গাওছ ইবন জাবির, হাম্মাম ইবন
সালামা ইবন উক্বা ও উবায়দ ইবন মুহাম্মদ আল কাশুরী সুত্রে তাবারানী বর্ণনা করেন যে,
আকীল ইবন মাকাল ইবন মুনাব্বিহ বলেন, আমি আমার চাচা ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহকে
বলতে শুনেছি৪ হে বৎস! তুমি মহৎ গোপন আমল দ্বারা মহান আল্লাহর অানুগত্যকে একনিষ্ঠ
করে তােল, যা দ্বারা মহান আল্লাহ তোমার প্রকাশ্য আমলকে সত্যায়িত করেন ৷ কেননা, যে
ব্যক্তি উত্তম কাজ করল, তারপর তাকে মহান আল্লাহ্ পর্যন্ত গোপন রাখল, তাে যে সেই
আমলকে যথাস্থুানে পৌছিয়ে দিল এবং তাকে হিফায৩ কারীর নিকট গচ্ছিত রাখল ৷ পক্ষান্তরে,
যে ব্যক্তি গোপনে কোন সৎকর্ম করল, মহান অাল্লাহ্ ব্যতীত কেউ তার খবর জানে না, তাে
এমন সত্তা-ই সে সম্পর্কে অবগত ৩হলেন, যিনি৩ার জন্য যথেষ্ট এবং যে সেই আমলকে এমন
সত্তার নিকট গচ্ছিত রাখল, যিনি তার প্রতিদান নষ্ট করবেন না ৷ কান্ডেইি, হে বৎস! যে বব্রক্তি
নেক আমল করে তাকে মহান আল্লাহর নিকট গোপন রাখল, তুমি তা নষ্ট হওয়ার ভয় কর না

বংতৃমি যুলুমের শিকার হওয়ারও ভয় কর না ৷ তুমি কখনো এই ধারণা কর না যে, প্রকাশ্য
আমল গোপন আমল অপেক্ষা বেশী সুফলদায়ক ৷ কেননা, গোপনীয়তার সঙ্গে প্রকাশ্যের উপমা
হলো গাছের মুলের সঙ্গে পাতার উপমা ৷ প্রকাশ্য হলো, গাছের পাতা এবং গোপনীয়তা হলো
তার মুল ৷ মুল যদি জ্বলে যায়, গাছটা সম্পুর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় ৷ মুল যদি ঠিক থাকে, বৃক্ষ ঠিক
থাকে ফল ও পাতা সব ৷ পাতা যখন ব্লুক্লেব্লুয়ুৰুড্রুর্ণব্লুদ্বুল্লা হয়ে যায়, তখন বায়ু তাকে উড়িয়ে



,



وَيَزْعُمُ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ قَبْرَهُ فِي بُصْرَى بِقَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: عُصْمٌ. وَلَمْ أَجِدْ لِذَلِكَ أَصْلًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.