আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان ومائة

ثم دخلت سنة ثمان ومائة

ثم دخلت سنة ثمان ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৬৫৩

১ :৮ হিজরীর সুচনা

এ বছরই মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক রোম দেশের কায়সারিয়াহ্ জয় করেন এবং
ইব্রাহীম ইবন হিশাম ইবন আবদুল মালিক রোমের একটি দুর্গ জয় করেন ৷ এছাড়া এ বছর
থােরাসানের আমীর উসাযব্দ ইবন আবদুল্লাহ আলকাসরী যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করে
তাতারীদের চরমভাবে পর্বুদস্ত করেন ৷ অপরদিকে তাতারী সম্রাট খাকান আযারবায়জানের
দিকে অগ্রসর হয় এবং ওয়ারছান শহর অবরোধ করে মিনজানী ক দ্বারা তাতে পাথর ও
অগ্নিগােলক নিক্ষেপ করে ৷ তখন তার মুকাবিলার উদ্দেশ্যে সেই অঞ্চলের শাসক ও মাসলামাহ্
ইবন আবদুল মালিকের নায়েব হারিছ ইবন আমর অগ্রসর হন ৷ এরপর তিনি তুর্কী সীমান্তে
খাকানের মুখোমুখি হন ৷ এ যুদ্ধে তিনি তাকে পরাস্ত করেন এবং তার বহুসংখ্যক যোদ্ধা নিহত
হয় ৷ এ সময় থাকলে পলায়ন করে আর বিশিষ্ট মুসলিম যোদ্ধা হারিছ ইবন আমর শহীদ হন ৷
আর তা ঘটে মুসলমানদের হাতে বহুসংখ্যক তাতারী নিহত হওয়ার পর ৷ এছাড়া এ বছর
ঘুআবিয়াহ্ ইবন হিশাম ইবন আবদুল মালিক রোমান ভুখণ্ড আক্রমণ করেন এবং বিপুলসং খ্যক
ফৌজের নেত তু দিয়ে বাৎ তালকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি জানজারা জয় করেন এবং সেখান
থেকে প্রচুর গনীমত লাভ করেন ৷

এছাড়া এ বছর আরও যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন, এদের অন্যতম হলেন-

বাকর ইবন আবদুল্লাহ্ আলযুযানী আল বসরী১

তিনি আবিদ, যাহিদ, বিনয়ী ও স্বল্পবাক আলিম ৷ একাধিক সাহাবী ও তাবিঈ সুত্রে তার
বহুসংখ্যক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷ বাকর ইবন আবদুল্লাহ বলেন, যখন তুমি তোমার চেয়ে বয়স্ক
কোন মুসলমান দেখরে, তখন বলবে, নাফরমানীতে আমি তার চেয়ে অগ্রগামী ৷ কাজেই সে
আমার চেয়ে উত্তম ৷ আর তুমি যখন দেখবে তোমার ভইিয়েরা তোমাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে,
তখন ভাববে এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ ৷ আর তুমি যদি এ ব্যাপারে তাদের অবহেলা
দেখ, তাহলে বলবে, এটা আমার কোন পাপের কারণে ৷ তিনি বলেন, হে মানব সন্তান ৷
তোমার মত কে আছে ? তোমার সাথে পানি ও যেহরাবের অবাধ সম্পর্ক, যখন ইচ্ছা তুমি
পবিত্রত৷ অর্জন করে তোমার প্রতিপালকের সাক্ষাতে দাড়িয়ে যেতে পার ৷ তোমাদের মাঝে
কোন প্রহরী কিংবা দােভাষী নেই ৷ তিনি বলেন, বান্দা ততক্ষণ ষুত্তাকী গণ্য হবে না যতক্ষণ না
তার ক্রোধ ও কামনার মাঝে খােদাভীরুত৷ পাওয়া যাবে ৷ তিনি বলেন, যদি তোমরা কোন
ব্যক্তিকে দেখ যে নিজের দােষত্রুটি থেকে উদাসীন হয়ে মানুষের দোষত্রুটি অম্বেষণে ব্যস্ত,
তাহলে বুঝবে সে শয়তানের চক্রান্তের শিকার ৷ তিনি বলেন, বানু ইসরাঈলের কোন ব্যক্তি
যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ণ্ৰুনক আমল করে সিদ্ধি লাভ করত, তখন লোকসমান্থবশে ইাটার সময়
মেঘ তাকে ছায়া দিত ৷ তিনি বলেন, একবার এরুপ মেঘের ছায়াপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি অন্য এক
ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করে গেল ৷ ঐ ব্যক্তি মহান আল্লাহর দান নিআমতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে
শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে ৩দেখল ৷ আর মেঘের ছায়াপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাকে (হয় জ্ঞান করল ৷ মহান আল্লাহ

১ তারীখুল ইসলাম ৪৯৩, তারীখুল, বুখারী ২৯০, তাহষীবুত তাহষীব ১৪৮৪ , তাহযীৰুল কামাল ১৫৮,

আলজারহ ওয়াৎ তাদীল ১ম অংশ ১ম ভলিউম ৩৮৮, আল হিলইয়া ২২২৪ , খুলাসাতু তাহষীবুত

তাহষীব ৫১, শাযারাভুয যাহার্ব ১১৩৫, তাবাকাতইবন সাদ ৭২০৯, তাৰাকাতু খালীফা ১৬৮০, আল
ইবার ১১৩৩, অলেমাঅন্রিফ ৪৫৭ ণোণোণোপুোন্ব্রা৷৪ন্-০ওো৷৷

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَمِائَةٍ] فَفِيهَا افْتَتَحَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَيْسَارِيَّةَ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ وَفَتَحَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ حِصْنًا مِنْ حُصُونِ الرُّومِ أَيْضًا. وَفِيهَا غَزَا أَسَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ أَمِيرُ خُرَاسَانَ فَكَسَرَ الْأَتْرَاكَ كَسْرَةً فَاضِحَةً. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ أَمِيرُ الْحَرَمَيْنِ وَالطَّائِفِ. وَالْعُمَّالُ فِيهَا هُمُ الْعُمَّالُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا بِأَعْيَانِهِمْ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ. وَرَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ الْمَقْرَائِيُّ الْحِمْصِيُّ. وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ فِي قَوْلٍ. وَأَبُو نَضْرَةَ الْمُنْذِرُ بْنُ مَالِكٍ
পৃষ্ঠা - ৭৬৫৪


আবদৃল্পাহ্ ইবন মুবারক বর্ণনা করেন, মুসা ইবন উবায়দাহ্ সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন কাব
থেকে ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ্ যখন কোন বান্দার কল্যাণ চান, তখন তাকে তিনটি স্বভাব
বৈশিষ্ট্য দান করেন : ধ র্যজ্ঞান, দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি, নিজের দোষত্রুটির অবগতি ৷ তিনি
বলেন, দুনিয়া হলো উদ্বেঘা-উৎকষ্ঠার নিবাস স্থান ৷ সৌভাগ্যবানর৷ তার প্রতি নিরাশ ও নির্মোহ
হয়েছে এবং হতভাগাদের হাত থেকে তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷ ফলে দুনিয়ার প্রতি যে
সবচেয়ে বেশী আসক্ত, সে দুনিয়াতে সবচে বড় হতভাগড়া ৷ আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতি সর্বাধিক
নির্যোহ, সে দুনিয়াতে সবচেয়ে সৌভ৷ ৷গ্যবান ৷ যে তাকে খুইয়েছে তার জন্যত তা বিভ্রাম্ভকা রী,
আর যে তার অনুসরণ করেছে তার জন্য ধ্বং সকারী ৷ আর যে তার বশ্যতা স্বীকার করেছে তার
জন্য বিশ্বাসয়াতক ৷ তার জ্ঞান হলো মুর্থতার নামান্তর ৷ তার সচ্ছলতা দরিদ্রতা ৷ তার বৃদ্ধি
হলো হ্রাস ৷ তার দিনসমুহ হলো পরিবর্তনশীল ৷ (কখনও অনুকুল কখনও প্রতিকুল ৷ ইবনুল
মুবারক বর্ণনা করেন, দাউদ ইবন কায়স থেকে ৷ তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবন কাবকে
বলতে শুনেছিং পৃথিবী কারও কারণে’ কীদে, আবার কারও শোকে’ র্কীদে ৷ তার ণ্শাকে কাদে
যে তার (পৃথিবীর) বুকে আল্লাহর আনুগত্য করে চলত ৷ আর তার কারণে’ কাদে, যে তার
বুকে মহান আল্লাহ্র নাফরমানী করে বেড়াত ৷

তারপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করেন০ : পু,০,১৷ ৷ , ’ৰুা৷ ৷ খোা; ;;’$; (ণ্
আকাশ এবং পৃথিবী কেউই তাদের জন্য (শোকে) অশ্রুপাত করেনি ৪৪ ং ২৯ ৷ আর আল্লাহ

শ্শ্শ্শ্শ্

>দ্বু ৷ fl কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম
করলে তাও দেখবে ৯৯ং ৭-৮ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, যে কাফির অণু পরিমাণ ভাল কাজ
করবে, সে তার নিজের জান-মাল এবং পোষ্য-পরিজনের মাঝে তার বিনিময় লাভ করবে এবং
অবশেষে সে দুনিয়া থেকে এমন অবস্থায় নিক্রা ৷ন্ত হবে যে, তার প্রাপ্য বিনিময় থ৷ ৷কবে না ৷ আর
যে মু’মিন অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সে তার নিজের জান-মাল ও স্বজন পরিজনের
মাঝে তার শাস্তি ভোগ প্রত্যক্ষ করবে ৷ এভাবে এমন অবস্থায় সে দুনিয়া থােক নিক্রান্ত হবে যে,
তার প্রাপ্য কোন মন্দ কাজের শাস্তি বাকী থাকবে না ৷ তিনি বলেন, আমি তো নিজেকে নিরাপদ
প্ভাবি না, হতে পারে আল্লাহ্ তাআল৷ আমার মাঝে অপসন্দনীয় কোন কিছু অবগত হয়ে
আমাকে ঘৃণা করে বলেছেন, যাও, তোমাকে আমি ক্ষমা করব না ৷ উপরন্তু কুরআনের
বিস্ময়কর রহস্য ও জ্ঞানভাণ্ডার আমাকে এমন সব বিষয়ে মশপুল করে যে, আমি আমার
প্রয়োজনীয় ইবাদত-বন্দেগী করার পুর্বেই রাত্রি শেষ হয়ে যায় ৷ ণ্
হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয একবার মুহাম্মাদ ইবন কা বের কাছে পত্র লিখেন ৷
তাতে তিনি তার গোলাম সালিমকে তার কাছে বিক্রি করতে বলেন ৷ উল্লেখ্য যে, এই গোলাম
সালিম, নেককার আবিদ, যাহিদ ৷ত তার জবাবে তিনি তাকে (উমরকে) লিখেন, আমি তো
তাকে মুদাব্বার’ বানিয়েছি ৷ তিনি বলেন, সালিম তার কাছে আসেন, এ সময় উমর ইবন
আবদুল আযীয তাকে বলেন, দেখতেই পাচ্ছ আ ৷মি কী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি ৷ আমার তো
আশ ঙ্ক৷ হয় আ ৷মি হয়ত এর কারণে নাজাত পাব না ৷ স৷ ৷লিম তাকে বলেন, যদি আপনার প্রকৃত
মনোভাব এমন হয়, তাহলে তাই আপনার নাজাতের জন্য যথেষ্ট ৷ অন্যথায় তা ভীতিপ্রদ


بْنِ قِطْعَةَ الْعَبْدِيُّ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ".