আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع ومائة

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬৩৯


১০৭ হিজরীর সুচনা

এ বছরেই ইয়ামানে আব্বাদ আর রুআয়নী নামক এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে ৷ এরপর সে
খারিজী মতাদর্শের প্রচার শুরু করে এবং একদল লোক তাকে অনুসরণ করে ৷ পরবর্তীকালে
তারা যখন আক্রমণ করে বসে, তখন ইউসুফ ইবন উমর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং
উবৃবাদ ও তার অনুসারীদের হত্যা করেন ৷ আর তাদের সং খ্যা জ্জি তিনশ’ ৷ এ বছরেই শাম
দেশে তীব্র প্লেগমহামারী দেখা দেয় ৷ এ বছরেই মুআবিয়া ইবন হিশাম সাইফা আক্রমণ
করেন ৷ আর এ সময় শামের সেনাপতি ছিলেন মায়মুন ইবন মাহরান ৷ এরপর তারা সমুদ্রপথে
সইিপ্রড়াসে পৌছেন ৷ আর মাসলামাহ্ স্থুলপথে অন্য এক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ পরিচালনা
করেন ৷ এছাড়া এ বছর আসাদ ইবন আবদুল্লাহ আল-কসরী বানু আব্বাসের খিলাফতের
প্রচারক একটি দলকে বন্দী করেন ৷ তিনি তাদেরকে শুলবিদ্ধ করেন এবং তাদের পরিণতি
ব্যাপকভাবে প্রচার করেন ৷ এ বছরেই আসাদ আল-কাসরী তালকান পার্বত্য অঞ্চল সংলগ্ন
কারকীসিয়ানদের শাসক নামরুষের পার্বত্য রাজ্য আক্রমণ করেন ৷ তখন নামরুয তার সাথে
সন্ধি করেন এবং তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এ বছরই আসাদ হিরাতের পার্বত্য অঞ্চল
আলগাের আক্রমণ করেন ৷ তখন তার অধিবাসীরা তাদের সকল ধন-সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র এক
দুর্ভেদ্য গুহায় স্থানান্তরিত করে যা ছিল অত্যন্ত উচুতে অবস্থিত এবং যার নাগাল পাওয়ার কারও
মধ্যে ছিল না ৷ আসাদ তার বাহিনীর কতক যোদ্ধাকে বাক্সে বহন করে সেখানে পৌছে দিলেন ৷
তারপর সেখানে বিদ্যমান অর্থসম্পদ বাক্সে রাখার নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর তারা ঐ যােদ্ধাদের
উঠিয়ে নিল ৷ এভাবে তারা নিরাপদে শত্রুসম্পদ করায়ত্ত করে ৷ আর এটা ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত ৷
এ বছরেই আসাদ বলখের পার্শ্ববর্তী এলাকাসমুহ তার শাসনাধীন করার নির্দেশ দেন এবং
খালিদ ইবন বারমাকের পিতা বারমাককে তার প্রশাসক নিয়োগ করেন এবং তিনি তার
শাসনাধীন এই অঞ্চলকে উত্তম ও দৃঢ়ভ ৩াবে পুনর্নির্মাণ করেন এবং তাকে মুসলমানদের দুর্ভেদ্য
ঘাটিরুপে পড়ে তুলেন ৷ এছাড়া এবছর হারামায়নের আমীর ইব্রাহীম ইবন হিশাম লোকদের
হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ আর এ বছর যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন তাদের অন্যতম
হলেন :

সুলায়মান ইবন ইয়াসার১

তিনি আতা’ ইবন ইয়াসারের ভাই, বহু সংখ্যক হাদীসের রাবী ৷ ইবাদতগুযার এবং অতি
সুপুরুষ ৷ তিহাত্তর বছর বয়সে তিনি পবিত্র মদীনায় ইনৃতিকাল করেন ৷ একবার এক অনিন্দ
সুন্দরী রমণী তার কাছে প্রবেশ করে নিজেকে তার কাছে নিবেদন করে ৷ কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করে তাকে নিজ গৃহে রেখে তার থেকে পলায়ন করেন ৷ এরপর তিনি স্বপ্ন যােগে

১ তারীখুল ইসলাম ৪১২০, তারীখুল বুখারী ৪৪ ১ তাযকিয়রতৃল হুফ্ফায ১৮৫ , তাহযীবুল আসমা
ওয়াললুগাত প্রথম অংশ প্রথম খণ্ড ২৩৪, তাহযীবুৎ তাহযীব ৪২২৮, তাহযীবুল কামাল ৫৪৯,
আলজারহ ওয়াৎ তাদীল, প্রথম অংশ ২য় ভলিউম ১৪৯০, আলহিলইয়া ২১৯০ থুলাসাভু তাহযীবুত্
তাহযীব ১৫৫, শাজারাতৃবৃ যাহাব ১১৩৪, তাবাকাতৃ ইবন সা দ ৫১ ৭৪ তাবাকাতৃল হুফ্ফায আসসুয়ুতী
৩৫, তাবাকাতৃ খালীফা ২১৩১, পায়াতৃনৃ নিহায়াহ্ ১৩৯৬, আলমা রিফাত ওয়াৎ তারীখ ১৫৪৯, আনৃ
নুজুম আয্-যাহিরাহ্ ১২০২, ওয়িয়াতৃল আইয়ান ২৩৯৯ ৷


جَدًّا، فَأَمَرَ أَسَدٌ بِالرِّجَالِ فَجُعِلُوا فِي تَوَابِيتَ وَدَلَّاهُمْ إِلَيْهِ، وَأَمَرَهُمْ بِوَضْعِ مَا هُنَالِكَ فِي التَّوَابِيتِ، فَلَمَّا جَمَعُوا مَا هُنَالِكَ قَعَدَ الرِّجَالُ فِي التَّوَابِيتِ وَرَفَعُوهُمْ، فَسَلِمُوا وَغَنِمُوا. وَهَذَا رَأْيٌ سَدِيدٌ. وَفِيهَا أَمَرَ أَسَدٌ بِجَمْعِ مَا حَوْلَ بَلْخَ إِلَيْهَا، وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا بَرْمَكَ وَالِدَ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ وَبَنَاهَا بِنَاءً جَيِّدًا جَدِيدًا مُحْكَمًا، وَحَصَّنَهَا وَجَعَلَهَا مَعْقِلًا لِلْمُسْلِمِينَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ أَمِيرُ الْحَرَمَيْنِ. [مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ أَحَدُ التَّابِعِينَ. وَعِكْرِمَةُ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، أَحَدُ التَّابِعِينَ، وَالْمُفَسِّرِينَ الْمُكْثِرِينَ، وَالْعُلَمَاءِ الرَّبَّانِيِّينَ، وَالرَّحَّالِينَ الْجَوَّالِينَ. وَالْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصَّدِيقِ
পৃষ্ঠা - ৭৬৪০


আয়ুবে সুত্রে (একবার) এক ব্যক্তি ইকরিমাকে একটি আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ৷
ইকবিমা সালা পাহাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, তা ঐ পাহাড়ের পাদদ্যেশ অবকীর্ণ হয়েছে ৷
আবদুর রাযযাক তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেন, ইকরিম৷ যখন আলজুনদে আগমন করেন,
তখন তাউস তাকে এক উৎকৃষ্ট বাহনে আরোহণ করান এবং বলেন, আমি এই ব্যক্তির ইল্মৃ
খরিদ করেছি ৷ অন্য এক রিওয়ায়াতে আছে যে, তাউস তাকে ষাট দীনার মুল্যের এক অতি
উৎকৃষ্ট বাহনে আরোহণ করান এবং বলেন, আমরা কি এই ক্রীতদাসেব ইল্মের মুল্য ষাট
দীনারও নির্ধারণ করব না ৷
ইকরিমাহ্ এবং আয্যা প্রেমিক করি কুছায়য়ার এইে দিনে মৃত্যুবরণ করেন ৷ এরপর যখন
তাদের জানায৷ বের করা হয়, তখন লোকেরা বলে, (আজ) সবচেয়ে বিজ্ঞ ফর্কীহ্র এবং
সবচেয়ে বড় কবির মৃত্যু হলো ৷ ইকরিমাহ্ বলেন, ইবন আব্বাস আমাকে বলেন, যাও!
লোকদেবকে ফড়াত্ওয়া দাও ! যে তোমাকে তার সংশ্লিষ্ট বিষয় জিজ্ঞাসা করে, তাকে ফাত্ওয়া
দাও ৷ আর যে তোমাকে অসংশ্লিষ্ট বিষয় জিজ্ঞাসা করে তাকে ফড়াত্ওয়া দিও না ৷ তুমি আমার
দুই-তৃতীয়াৎশ বোঝা কমাতে পারবে ৷ সুফ্য়ান বলেন, আমর থেকে তিনি বলেন, আমি যখন
ইকরিমাকে মাগাযী সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করতে শুনতাম, তখন আমার মনে হতো যেন তিনি
নিজ্ব চোখে তাদেরকে প্রত্যক্ষ করছেন ৷ তারা কী করছে কীভাবে লড়ছে সব তাব নখ দর্পণে ৷
ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল বর্ণনা করেন আবদুর ৱাঘৃযাক সুত্রে ৷ তিনি বলেন, আমি মামারকে
বলতে শুনেছি (তিনি বলেন) আমি আয়ুবকে বলতে শুনেছি, আমি ইকরিমার সাথে সাক্ষাতের
জন্য কোন এক দুরতম স্থানে যেতে চাইতাম ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি বসরার বাজারে
ছিলাম, এমন সময় গাধায় আরোহী এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম ৷ এসময় বলা হলো ইনি
ইকরিমাহ্ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এসময় লোকজন তাকে ঘিরে ধরে বিভু আমি তাকে কোন কিছু
জিজ্ঞাসা করতে সমর্থ হলাম না ৷ আমার মন থেকে সকল বিষয় অন্তল্টি হলো ৷ আমি গিয়ে
তার গাধার পাশে দাড়ালাম ৷ লোকেরা তাকে প্রশ্ন করতে লাগল আর আমি তার উত্তর মুখস্থ
করতে লাগলাম ৷ গো বা বলেন জুতা বিক্রেত৷ খালিদ থেকে তিনি বলেন, একবার প্রশ্নকারী
এক ব্যক্তিকে ইকরিমাহ্ বললেন, তোমার কী হয়েছে, তুমি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে৷ ! যিয়াদ ইবন
আবু আয়ুব্রব বর্ণনা করেন ৷ আবু ছামীলা সুত্রে আবদুল আযীয ইবন আবু রাওয়াদ থেকে, তিনি
বলেন (একবার) আমি নীশাপুরে ইকরিমাকে প্রশ্ন করলাম, আল্পাহ্র নাম খোদাই করা আৎ
নিয়ে কেউ যদি শৌচাগারে যেতে চায়, তার কী করণীয় ? তিনি বললেন, যে তার আৎটির
পাথরাক হাতের তালুর দিকে করে নিবে, তারপর তাকে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখবে ৷ ইমাম আহমাদ
, বলেন উমায়্যা ইবন খালিদ সুত্রে ৷ তিনি বলেন, আমি গো বাকে বলতে শুনেছি, জুতাবিক্রেতা
খালিদ বলেন, ইবন আব্বাসের থেকে মুহাম্মদ ইবন সীরীন যা কিছু বর্ণনা করেছেনত তা তিনি
ইকরিমাহ্ থেকে শ্রবণ করেছেন ৷ মুখতারের সময়ে তিনি কুফায় তার সাক্ষাত লাভ করেন ৷
সুফয়ান ছাওরী বলেন, তে ৷মরা তোমাদের ইবাদত-বন্দেগী বিশেষত ৩হবুজ্জর বিধি-বিধান সাঈদ
ইবন জুবায়র, মুজাহিদ ও ইকরিমাহ্ থেকে গ্রহণ কর ৷ তিনি আরও বলেন, আর চার ব্যক্তি
থেকে তাফসীর গ্রহণ কর ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র, মুজাহিদ, ইকরিমাহ্ যাহ্হাক ৷ ইকরিমাহ্
বলেন, এই মসজিদে আমি দৃইশত সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ
আলফাবইয়ড়াবী বর্ণনা করেন ইসরাঈল সুত্রে ইকরিমাহ্ থেকে ৷ তিনি বলেন, সুলায়মান


كَانَ أَحَدَ الْفُقَهَاءِ الْمَشْهُورِينَ. وَكُثَيِّرُ عَزَّةَ الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ، وَهُوَ كُثَيِّرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ عَامِرٍ، أَبُو صَخْرٍ الْخُزَاعِيُّ الْحِجَازِيُّ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ أَبِي جُمُعَةِ وَعَزَّةُ هَذِهِ - الْمَشْهُورُ بِهَا الْمَنْسُوبُ إِلَيْهَا، لِتَغَزُّلِهِ فِيهَا - هِيَ أُمُّ عَمْرٍو عَزَّةُ - بِالْعَيْنِ الْمُهْمَلَةِ - بِنْتُ جَمِيلِ بْنِ حَفْصٍ مِنْ بَنِي حَاجِبِ بْنِ غِفَارٍ وَإِنَّمَا صُغِّرَ اسْمُهُ فَقِيلَ: كُثَيِّرٌ. لِأَنَّهُ كَانَ دَمِيمَ الْخَلْقِ قَصِيرًا، طُولُهُ ثَلَاثَةُ أَشْبَارٍ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ كَانَ يُقَالُ لَهُ: زَبُّ الذُّبَابِ. وَكَانَ إِذَا مَشَى يُظَنُّ أَنَّهُ صَغِيرٌ مِنْ قَصْرِهِ، وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يَقُولُ لَهُ: طَأْطِئْ رَأْسَكَ لَا يُؤْذِكَ السَّقْفُ. وَكَانَ يَضْحَكُ إِلَيْهِ، وَكَانَ يَفِدُ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَوَفَدَ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَيْضًا، وَكَانَ يُقَالُ: إِنَّهُ أَشْعَرَ الْإِسْلَامِيِّينَ. عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِيهِ تَشَيُّعٌ، وَرُبَّمَا نَسَبَهُ بَعْضُهُمْ إِلَى مَذْهَبِ التَّنَاسُخِيَّةِ، وَكَانَ يَحْتَجُّ عَلَى ذَلِكَ مِنْ جَهْلِهِ وَقِلَّةِ عَقْلِهِ إِنْ صَحَّ النَّقْلُ عَنْهُ، بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {فِي أَيِّ صُورَةٍ مَا شَاءَ رَكَّبَكَ} [الانفطار: 8] . وَقَدِ اسْتَأْذَنَ يَوْمًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: تَسْمَعُ بِالْمُعَيْدِيِّ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَرَاهُ. فَقَالَ: مَهْلًا يَا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৪১


কঠোর শান্তি দিবেন তোমরা তাদেরকে সদৃপদেশ দাও কেন ? ( ৭ : ১৬৪) ৷ তখন
নিষেধকারীরা বলেন, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দায়িতুমুক্তির জন্য এবং যাতে তারা
সাবধান হয় এইজন্য অর্থাৎ তারা শনিবার মৎস্য শিকার থেকে বিরত হবে ৷
ইকরিমাহ্ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি যখন ইবন আব্বাসকে বললেন, শিথিলতাকারীগণ
ৎস হয়েছে উদাসীনদের সাথে ৷ তখন তিনি তাকে এক জোড়া কাপড় উপহার দিলেন ৷
হাওছারাহ্ বর্ণনা করেন মুগীরাহ্ থেকে তিনি ইকরিমাহ্ থেকে ৷ তিনি বলেন, বানু ইসরাঈলে
তিনজন কাযী ছিল ৷ একজন মৃত্যুমুখে পতিত হবার পর অপর জনকে তার স্থুলবর্তী করা হয় ৷
তারা বেশ দীর্ঘকাল বিচার কার্য সম্পাদন করেন ৷ এরপর (ত তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য)
আল্লাহ পাক একজন অশ্বারোহী ৫ফরেশত৷ পাঠালেন ৷ সেই ফেরেশত৷ এক ব্যক্তিকে অতিক্রম
করলেন, যে বাছুর সমেত একটি গাভীকে পানি পান করাচ্ছিল ৷ ফেরেশতাহ্ বাছুরটিকে
ডাকলেন ৷ সে তার ঘোড়ার অনুসরণ করল ৷ তার মালিক তাকে ফিরিয়ে নিতে এসে বলল ৷ হে
আল্লাহর বান্দা৷ এতে৷ আমার বাছুর আমার গাভীর গর্ভজাত ৷ ফেরেশতাহ্ বললেন, না এটা
আমার বাছুর এটা আমার অশ্বশাবক ৷ এভাবে ফেরেশতাহ্ বাক্যুদ্ধে লোকটিকে পরাভুত
করলেন ৷ লোকটি বলল , তাহলে কাযী তোমার ও আমার মাঝে ফায়সালা করবেন ৷ ফেরেশতা
বললেন, আমি তাতে সম্মত আছি ৷ তারা দুইজন জনৈক কাযীর দরবারে তাদের অভিযোগ
উত্থাপন করল ৷ বাছুর মালিক বলল, এই ব্যক্তি আমাকে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় আমার
বাছুরকে ডেকে নেয় এবং সে তাকে অনুসরণ করে ৷ এখন যে তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার
করছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আর ফেরেশতার সাথে ছিল অতিমুল্যবান ও অভুতপুর্ব তিনটি মুক্তার
দানা ৷ সে তার একটি কাযীকে দিয়ে বলল , আমার অনুকুলে ফায়সালা করুন ৷ সে বলল, এটা
কিভাবে বৈধ হবে ? ফেরেশতাহ্ বলল, বাছুরটিকে আমরা পাভী ও ঘোটকীর পিছনে ছেড়ে দিব
যে যার অনুসরর্ভু৷ করবে তার শাবক রুপে তাকে গণ্য করা হবে ৷ তখন কাযী তাই করল আর
বাছুরটি ঘোটকীর অনুসরণ করল এবং সে তার অনুকুলে ফায়সালাহ্ করল ৷ বাছুর মালিক
বলল, আমি এ ফ যসালা মানি না, আমার ও তোমার মাঝে ফয়সালা করবেন অন্য কোন
কাযী ৷ এরপর তারা দুইজন পুর্বের ন্যায় করল এবং একই ফায়সালা পেল ৷ এরপর তারা তৃতীয়
কাযীর কাছে এসে তাদের কাহিনী বিবৃত করল ৷ এসময় ফেরেশত৷ ৷হ্ তাকে তভীয় মুক্তাটি
প্রদান করল ৷ কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করলেন না ৷ তিনি বললেন, আজ আমি তোমাদের মাঝে
বিচার করব না ৷ কেননা, আমি রজঃস্রাবগ্রস্ত ৷ ফেরেশতাহ্ বলল, সুবহানাল্লাহ্! কি আশ্চর্য!
পুরুষ মানুষ রজঃস্রাবগ্নস্ত ৷ কাযী বলল, সুরহানাল্লাহ্ কি আশ্চর্য! ঘোটকী কি কখনও পোবৎস
প্রসব করে ? এরপর তিনি গাভীর মালিকের অনুকুলে ফ ৷য়সাল৷ করলেন ৷ কেরেশতাহ্ বলেন,
তােমাদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন ৷ তোমার সঙ্গীদ্বয়ের
প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷

আবু বাকর ইবন আয়্যাশ বর্ণনা করেন আবু হামযা আছুছুমালী সুত্রে ইকরিমাহ্ থেকে যে,
কোন এক স্বৈরাচারী শাসক তার রাজ্যে ঘোষণা করল, আমি যদি কাউকে কোন দড়ান-সদকা
করতে দেখি, তাহলে তার হাত কেটে দিব ৷ এসময় জনৈক৷ ত্রীলোকে র কাছে এক প্রার্থী এসে
বলল, আমাকে কিছু দান করুন ৷ সে বলল, কিভাবে আমি তোমাকে দান করব, বাদশাহ তো
দানকারীর হাত কেটে দিবে ৷ লোকটি বলল, আল্পাহ্র ওয়াস্তে আপনি আমাকে কিছু দান
করুন ৷ সে তাকে দুটি রুটি দান করল ৷ এ খবর যখন বাদশাহর কানে পৌছল, সে লোক


الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّمَا الْمَرْءُ بِأَصْغَرَيْهِ قَلْبِهِ وَلِسَانِهِ، إِنْ نَطَقَ نَطَقَ بِبَيَانٍ، وَإِنْ قَاتَلَ قَاتَلَ بِجَنَانٍ، وَأَنَا الَّذِي أَقُولُ: وَجَرَّبْتُ الْأُمُورَ وَجَرَّبَتْنِي ... وَقَدْ أَبْدَتْ عَرِيكَتِيَ الْأُمُورُ وَمَا تَخْفَى الرِّجَالُ عَلَيَّ إِنِّي ... بِهِمْ لَأَخُو مُثَاقَبَةٍ خَبِيرُ تَرَى الرَّجُلَ النَّحِيفَ فَتَزْدَرِيهِ ... وَفِي أَثْوَابِهِ أَسَدٌ مَزِيرُ وَيُعْجِبُكَ الطَّرِيرَ فَتَجْتَبِيهِ ... فَيُخْلِفُ ظَنَّكَ الرَّجُلُ الطَّرِيرُ وَمَا عِظَمُ الرِّجَالِ لَهَا بِزَيْنٍ ... وَلَكِنْ زَيْنُهَا كَرَمٌ وَخِيرُ بُغَاثُ الطَّيْرِ أَطْولُهَا جُسُومًا ... وَلَمْ تُطُلِ الْبُزَاةُ وَلَا الصُّقُورُ وَقَدْ عَظُمَ الْبَعِيرُ بِغَيْرِ لُبٍّ ... فَلَمْ يَسْتَغْنِ بِالْعِظَمِ الْبَعِيرُ فَيُرْكَبُ ثُمَّ يُضْرَبُ بِالْهَرَاوَى ... وَلَا عُرْفٌ لَدَيْهِ وَلَا نَكِيرُ وَعُودُ النَّبْعِ يَنْبُتُ مُسْتَمِرًّا ... وَلَيْسَ يَطُولُ وَالْقَصْبَاءُ خَوْرُ وَقَدْ تَكَلَّمَ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ طَرَارٍ عَلَى غَرِيبِ هَذِهِ الْحِكَايَةِ وَشِعْرِهَا بِكَلَامٍ طَوِيلٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৪২


পাঠিয়ে তার হাত কাটাল ৷ এরপর এই বাদশাহ্ তার মাকে বলল, আমাকে কোন সুন্দরী
নারীর সন্ধান দিন আমি তাকে বিবাহ করব ৷ তার মা বললেন, আমার খোজে এক পরমারুপসী
নারী রয়োছত তবে তার একটি খুত আছে ৷ সে বলল, তা কী ? তিনি বললেন তার হাত দুটি
কাটা ৷ সে বলল, আপনি তার কাছে দুত পাঠান ৷ এরপর সে যখন তাকে ণ্দখল তখন তার
সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করল ৷ আর মেয়েটি প্রকৃত সুন্দরী ছিল ৷ এরপর প্রেরিত দুত তাকে বলল,
বাদশাহ্ আপনাকে বিবাহ করতে চান ৷ সে বলল, হ্যা, মহান আল্লাহ চান তো এরপর বাদশাহ্
তাকে বিবাহ করে সাদরে বরণ করে নিল ৷ এদিকে বাদশাহ্র বিরুদ্ধে আক্রমণের উদ্দেশ্যে
শত্রুদল অগ্রসর হলো ৷ সে তাদের উদ্দেশ্যে বের হলো ৷ তারপর তার মায়ের কাছে পত্র
মারফত লিংখ পাঠাল আপনি অমুককে দুেখেশুনে রাখবেন এবং তার সাথে ভাল আচরণ
করবেন ৷ অবশ্যই আপনি তাকে নেকনজরে রাখবেন ৷ এরপর দুত এসে প্রথমে তার সতিনদের
কাছে আপ্যায়ন গ্রহণ করল আর তারা তাকে হিংসা করত ৷ তাই তারা তার চিঠি নিয়ে তা
পরিবতনি করে তার মায়ের কাছে লিখল অমুকের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন, আমি জানতে
পােরছি কতক পুরুষ তার কাছে আসা-যাওয়া করে ৷ আপনি তাকে বের করে দিবেন এবং তার
বিরুদ্ধে শ ৷৷স্তিমুলক ব্যবস্থা নিবেন ৷ তার যা তার কাছে লিখল, তুমি মিথ্যা সংবাদ পােয়ছ সে
সভীনারী ৷ দুত এই পত্র নিয়ে আবার সেই সতিনদের কাছে গেল এবং তাদের আতিথেয়তা
গ্রহণ করল ৷ তারা এই পত্রটি নিয়ে তা পরিবর্তন করে লিখল, সে তাে ব্যভিচারিণী ৷
ইতোমধ্যেই সে এক জারজ সন্তানের জন্ম দিয়েছে ৷ এ পত্র পেয়ে বাদশাহ্তার মাকে লিখে
পাঠাল, আমার অমুক স্তীকে আমার অমুক সন্তান পালনের দায়িত্ব দিয়ে ৷র্দন্ এবং তাকে প্ৰহার
করে বের করে দিন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর বাদশাহ্র মায়ের কাছে পত্রটি আসল ৷ সে তার
ত্রীকে তা পাঠ করে ণ্শানাল এবং তাকে বলল, এখন তুমি বেরিয়ে পড় ৷ সেত তার শিশু
সত্তানকে কাধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল ৷ পথিমধ্যে পিপাসার্ত অবস্থায় সে একটি নদীর দেখা গেল ৷
সে শিশু ছেলেটিকে কাধে নিয়ে পানি পান করতে নামল ৷ এমন সময় হঠাৎ শিশুটি পানিতে
পড়ে ডুবে মারা গেল ৷ সে ছেলের শোকে নদীর তীরে বসে কাদতে লাগল ৷ এসময় দুই ব্যক্তি
তাকে অতিক্রম করল ৷ তারা বলল, তুমি কাদছ ক্যে৷ ? সে বলল, আমার কাধ থােক আমার
শিং ছেলে পানিতে পড়ে ডুবে মরেছে ৷ আর আমার এ দুর্দশার কারণ আমার উভয় হাত না
থাকা ৷ তখন তারা দুইজন তাকে বলল, তুমি কি চাও মহান আল্লাহ্ তোমার হাত দুটিকে
পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে কাি ৷ সে বলল, হী৷ চাই তারা দুইজন মিলে তার জন্য তাদের রব্ব মহান
আল্লাহর কাছে দুআ করল ৷ তার হাত দুইটি পুৰ্বাবন্থায় ফিরে আসল ৷ত তারপর তারা দুইজন
তাকেবলল, তুমি কি জান আমরা কারা ? সে বলল না ৷ তারা দুইজন বলল, আমরা হলাম ঐ
দুটি রুটি যা তুমি সাদকা করেছিলে ৷

আল্লাহ্ তা আলার বাণী৪ ৰুা; ৷ ৷ ,৬ (বাকে বাকে পাথী প্রেরণ করেন)-এর ব্যাখ্যার
ইকরিমা বলেন, এগুলো ছিল এমন সব পাখী যা সমুদ্র থেকে এসেছিল এবং যাদের ছিল হিংস্র
প্রাণীর ন্যায় মাথা ৷ তা তাদেরকে একের পর এক পাথর নিক্ষেপ করতে লাগল এমনকি তাদের ৰু
চামড়ার গুটি বসন্তের সৃষ্টি হলো ৷ ইতোপুর্বে এই গুটি বসন্তের কোন অস্তিত্ব ছিল না ৷ আর ঐ
পাখীও এ ঘটনার পুর্বে বা পরে কখনও দৃষ্টিগােচর হয়নি ৷

’ ৩ ’ শ্ # ’ ৩ ’ :

আর আল্পাহ্ তা আলার দুর্ভোগ
অ শীবাদীদের জন্য যারা যাকাত প্রদান করে না, (৬৪ ৭) এর ব্যাখ্যার তিনি বলেন, তারা লা


قَالُوا: وَدَخَلَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ يَوْمًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَامْتَدَحَهُ بِقَصِيدَتِهِ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا: عَلَى ابْنِ أَبِي الْعَاصِي دُرُوعٌ حَصِينَةٌ ... أَجَادَ الْمُسَدِّي سَرْدَهَا وَأَذَالَهَا قَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: أَفَلَا قُلْتَ كَمَا قَالَ الْأَعْشَى، لِقَيْسِ بْنِ مَعْدِ يَكْرِبَ: وَإِذَا تَجِيءُ كَتِيبَةٌ مَلْمُومَةٌ ... شَهْبَاءُ يَخْشَى الذَّائِدُونَ نِهَالَهَا كُنْتَ الْمُقَدَّمَ غَيْرَ لَابِسِ جُنَّةٍ ... بِالسَّيْفِ تَضْرِبُ مُعْلِمًا أَبْطَالَهَا فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَصَفَهُ بِالْخُرْقِ وَوَصَفْتُكَ بِالْحَزْمِ. وَدَخَلَ يَوْمًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ يَتَجَهَّزُ لِلْخُرُوجِ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا كُثَيِّرُ! ذَكَرْتُكَ الْآنَ بِشِعْرِكَ، فَإِنْ أَصَبْتَهُ أَعْطَيْتُكَ حُكْمَكَ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَأَنَّكَ لَمَّا وَدَّعْتَ عَاتِكَةَ بِنْتَ يَزِيدَ بَكَتْ لِفِرَاقِكَ، فَبَكَى لِبُكَائِهَا حَشَمُهَا فَذَكَرْتَ قَوْلِي: إِذَا مَا أَرَادَ الْغَزْوَ لَمْ تَثْنِ عَزْمَهُ ... حَصَانٌ عَلَيْهَا نَظْمُ دُرٍّ يُزَيِّنُهَا نَهَتْهُ فَلَمَّا لَمْ تَرَ النَّهْيَ عَاقَهُ ... بَكَتْ فَبَكَى مِمَّا عَرَّاهَا قَطِينُهَا قَالَ: أَصَبْتَ فَاحْتَكِمْ. قَالَ: مِائَةُ نَاقَةٍ مِنْ نُوقِكَ الْمُخْتَارَةِ. قَالَ: هِيَ لَكَ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৩


সম্প্রদায়ের আমার যখন ঘনিয়ে এলো তখন তিনি তার সম্প্রদায়কে বলেন, তোমাদের মধ্যে যে
ভারী বোঝা বহন করে দুরে যেতে চায়, সে ওমানে যাক; আর যে শরাব, রুটি, ফলের রস
ইত্যাদি চায়, সে বুসরা অর্থাৎ শামে যাক ৷ আর যে বৃষ্টি-কাদায় ন্থিত অবস্থা চায় এবং দুর্তিক্ষে
স্থায়ী নিবাস চায়, সে খেজুর গাছপুর্ণ ইয়াছরিবে যাক ৷ তখন একদল ওমানের উদ্দেশ্যে বের
হলো, আরেকল্দো শামের উদ্দেশ্যে বের হলো এরা হলো পাসসান ৷ আর কাব ইবন আমরের ,
বংশধর আওস, খাযরাজ এবং খুযাআ বের হয়ে ইয়াছরিবে অবস্থান গ্রহণ করল, যা ছিল খেজুর
উদ্যানে পুর্ণ ৷ পথিমধ্যে এরা যখন বাতনে মুররা নামক স্থানে পৌছল, তখন খুযাআ বলল, এটা
বেশ উপযোগী স্থান ৷ আমরা এর বিকল্প চাই না ৷ এরপর তারা যে স্থানেই অবস্থান গ্রহণ
করল ৷ এ কারণেই তাদেরকে খুযাআ বলা হয় ৷ কেননা, তারা তাদের সহযাত্রীদের পশ্চাতে
অবস্থান নিয়েছিল ৷ আর আওস ও খাযরাজ অগ্রসর হয়ে ইয়াছরিবে অবস্থান গ্রহণ করেছিল ৷
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা ইউসুফ আলায়হিস সালামকে বললেন, হে ইউসুফ!
ভাইদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার কারণে আমি ণ্ত মোর আৰ্লাচনাকে সমুন্নত করেছি
তিনি বলেন, হযরত লুকমান তার ছেলেকে বলেন, আমি বহুত তিক্তেৱ স্বাদ আস্বাদন করেছি,
কিন্তু দারিদ্রের চেয়ে তিক্ত কিছুর স্বাদ আস্বাদন করিনি এবং বহু ভারী বোঝা বহন করেছি ৷
কিন্তু মন্দ প্রতিবেশীর চেয়ে ভারী কোন বোঝা বহন করিনি ৷ কথা যদি রৌপ্য নির্মিত হয়,
তাহলে নির্বাক থাকা স্বর্ণমণ্ডিত ৷ ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বর্ণনা করেছেন সুফয়ান সুত্রে
ইকরিমাহ্ থেকে ’ট্রু এ ৷ ৰু;, £পুট্রু ণ্ট্রু হু) ছু ৷ হ্ ঠু হুট্রু ৷ হুট্রু আর তুমি যখন নিক্ষেপ
করেছিলে, তখন তুমি নিক্ষেপ কর নাই, আল্লাহ নিক্ষেপ করছিলেন’ (৮ ১ ৭) ৷ রাসুলের
নিক্ষিপ্ত ধুলার প্রতিটি অংশই৩ না তাদের কোন না কোন ব্যক্তির চোখে পতিত হয়েছিল ৷ আর তিনি
পবিত্র কুরআনের ৰুন্ ষ্টু শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন, যে হলো ইতর ও নীচ ব্যক্তি যাকে তার
নীচুতা দ্বারা চেনা যায় ৷
এছাড়া তিনি <টুঠুপ্রুট্রু ন্থএ ৷ ;-,;;ং;; ;,;fl: যারা আল্লাহ রাসুলকে পীড়া দেয়’ (৩৩ :
৫৭) ৷ এই আয়াতের ব্যাখায় বলেন, তারা হলে৷ প্রতিমাপ্রতিকৃতি নির্মাতা ৷ আর ,;ছুঠু ট্রু
ট্রুহৃাট্রু;শু৷ ৷ ;:, ’fl শাব্দিক অর্থ এবং তোমাদের হৃৎপিণ্ডসমুহ কণ্ঠাগত হয়েছিল (৩৩ষ্ক ১০) ৷
এর ব্যাখ্যার তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে যদি হৃৎপিণ্ড নড়াচড়া করত কিৎব ড়া স্থানচ্যুত হতো তাহলে
প্রাণবায়ু বের হয়ে যেত ৷ আসলে এখানে ভীতি ও অড়াতঙ্ক উদ্দেশ্য ৷ সুরা হাদীদে §:£;’;;
াতােমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ অখাৎ তােগাসক্তিসমুহ দ্বারা ৷
;’::;,:; তোমরা প্রতীক্ষা করেছ অর্থাং তাওবা দ্বারা ৷ ;া ১ ৷ ন্দ্বুইৰুছুট্রু অলীক
আকাভক্ষা তোমাদেরকে ৫মাহপ্রস্ত করে ব্লেখেছে ৷ অর্থাৎ নেকআমলে করি করব’ মনোভাব ৷
ধ্া৷ ৷ ’, ; ষ্টুাহু আল্লাহর হুকুম না আসা পর্যন্ত অর্থাৎ মৃত্যু ৷ এ্যাঙ্ fi<,£;
টুৰু,ঠুপু; ৷ এবং মহাপ্ৰতারক তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রভাবিত করেছে, অখাৎ শয়তান ৷
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি ট্রা£১৷ ৷ , ৷ ন্৷ ৷ এ ;?: পড়বে, যে ব্যক্তি সেদিন সন্ধ্যাকাল
পর্যন্ত আনন্দিত থা ৷কবে ৷
সালামা ইবন শু আয়ব বর্ণনা করেন, ইব্রাহীম ইবনুল হাকা ম সুত্রে আবান থেকে, তিনি
তার পিতা থেকে ৷ তিনি বলেন, একবার আমি ইকরিমার সাথে সমুদ্রের৩ তীরে বসা ছিলাম ৷ এ


فَلَمَّا سَارَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْعِرَاقِ نَظَرَ يَوْمًا إِلَى كُثَيِّرِ عَزَّةَ وَهُوَ مُفَكِّرٌ فِي أَمْرِهِ، فَقَالَ: عَلَيَّ بِهِ. فَلَمَّا جِيءَ بِهِ قَالَ لَهُ: أَرَأَيْتَ إِنْ أَخْبَرْتُكَ بِمَا كُنْتَ تُفَكِّرُ بِهِ تُعْطِينِي حُكْمِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَاللَّهِ؟ قَالَ: وَاللَّهِ. قَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: إِنَّكَ تَقُولُ فِي نَفْسِكَ: هَذَا رَجُلٌ لَيْسَ هُوَ عَلَى مَذْهَبِي، وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى قِتَالِ رَجُلٍ آخَرَ لَيْسَ هُوَ عَلَى مَذْهَبِي، فَإِنْ أَصَابَنِي سَهْمٌ غَرْبٌ مِنْ بَيْنِهِمَا خَسِرْتُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ. فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَاحْتَكِمْ. قَالَ: حُكْمِي أَنْ أَرُدَّكَ إِلَى أَهْلِكَ وَأُحْسِنَ جَائِزَتَكَ. فَأَعْطَاهُ مَالًا وَأَذِنَ لَهُ فِي الِانْصِرَافِ. وَقَالَ حَمَّادٌ الرَّاوِيَةُ، عَنْ كُثَيِّرِ عَزَّةَ: وَفَدْتُ أَنَا وَالْأَحْوَصُ وَنُصَيْبٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ وَلِيَ الْخِلَافَةَ، وَنَحْنُ نَمُتُّ إِلَيْهِ بِصُحْبَتِنَا إِيَّاهُ وَمُعَاشَرَتِنَا لَهُ لَمَّا كَانَ بِالْمَدِينَةِ فَكُلٌّ مِنَّا يَظُنُّ أَنَّهُ سَيُشْرِكُهُ فِي الْخِلَافَةِ، فَنَحْنُ نَسِيرُ وَنَخْتَالُ فِي رِحَالِنَا، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى خُنَاصِرَةَ وَلَاحَتْ لَنَا أَعْلَامُهَا، تَلَقَّانَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ: مَا أَقْدَمُكُمْ؟ أَوَمَا عَلِمْتُمْ أَنَّ صَاحِبَكُمْ لَا يُحِبُّ الشِّعْرَ؟ قَالَ: فَوَجَمْنَا لِذَلِكَ، فَأَنْزَلَنَا مَسْلَمَةُ عِنْدَهُ، وَأَجْرَى عَلَيْنَا النَّفَقَاتِ وَعَلَفَ دَوَابَّنَا، وَأَقَمْنَا عِنْدَهُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، لَا يُمْكِنُهُ أَنْ يَسْتَأْذِنَ لَنَا عَلَى عُمَرَ فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الْجُمَعِ دَنَوْتُ مِنْهُ لِأَسْمَعَ خُطْبَتَهُ فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: لِكُلِّ سَفَرٍ زَادٌ لَا مَحَالَةَ، فَتُزَوَّدُوا لِسَفَرِكُمْ مِنَ الدُّنْيَا إِلَى الْآخِرَةِ بِالتَّقْوَى، وَكُونُوا كَمَنْ عَايَنَ مَا أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ مِنْ عَذَابِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৪


সময় তারা ঐ সকল লোকের পুনরুথানের ব্যাপারে আলোচনা করল, যারা সমুদ্রে পানিতে
ডুবে মারা যাবে ৷ তখন ইকরিমা বললেন, যারা পানিতে ডুবে মারা যাবে, তাদের গোশত
মৎস্য কুল বণ্টন করে খাবে ৷ অস্থিসমুহ ছাড়া আর তাদের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না ৷ এরপর
তা পরিবর্তিত হয়ে উর্টের খাদ্যে পরিণত হয়ে তার লাদি হয়ে বের হয়ে আসে ৷ এরপর
লোকজন এসে সেই স্থানে অবতরণ করে ৷ তারপর সেই লাদ দিয়ে চুলা জ্বালায় ৷ ফলে তা
ছাইয়ে পরিণত হয় ৷ এরপর বাতাস এসে মহান আল্লাহর ইচ্ছা মাফিক পৃথিবীর জলে-স্থুলে তা
উড়িয়ে নিয়ে যায় ৷ এরপর যখন পুনরুথানের জন্য শিঙ্গায় কুক দেওয়া হবে, তখন এরা এবং
অন্যান্য সমাধিস্থ কবরবাসী একই সাথে পুনরুথিত হবে ৷ একই সুত্রে তার থেকে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা একজন জান্নাতবাসী-কে জান্নাত থেকে এবং একজন
জাহান্নামবাসীকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন ৷ এরপর জান্নাতবাসী কে প্রশ্ন করবেন, হে
আমার বান্দা! তুমি তোমার আরড়ামস্থুলকে কেমন পেয়েছ ? সে বলবে, অতি উত্তম ৷ তারপর
জাহান্নামবাসীকে বলবেন, হে আমার বান্দা তুমি তোমার অবন্থানস্থুল কেমন পেয়েছ ? সে
ণ্ বলবে, অতি জঘন্য এরপর সে সেখানকার সাপ-বিচ্ছু ও বোলতার কথা এবং সেখানে যে সকল
শাস্তি রয়েছে তার কথা উল্লেখ করবে ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআল৷ বললেন, হে আমার বান্দা!
আমি যদি তোমাকে জাহান্নাম থেকে অব্যাহতিমুক্তি দিই, তাহলে তুমি আমাকে কী দিবে ?
তখন বান্দা বলবে, আর ইলাহী, আমার কাছে কী আছে ? আমি আপনাকে কী দিব ? তখন
আল্লাহ তা আলা তাকে বলবেন, যদি তোমার কাছে স্বর্ণের একটি পাহাড় থাকত ,তাহলে কি
আমি তোমাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিলে তুমি তা আমাকে দিয়ে দিতে ? সে
বলবে, হ্যা তখন মহান আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ! আমি তো দুনিয়াতে
তামার কাছে এর চেয়ে সামান্য কিছু চেয়েছিলাম ৷ তুমি আমাকে ডাকবে আর আমি তোমার
ডাকে সাড়া দিব ৷ তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আর আমি তোমাকে ক্ষমা করব,
ব্মি আমার কাছে ঙুপ্রার্থনা করবে আর আমি তোমাকে প্রদান করব ৷ কিন্তু তুমি তো মুখ
ফিরিয়ে চলে যেতে ৷
এই সনদে তিনি বলেন, কাল কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তার যে বান্দাকেই হিসাব
গ্রহণের জন্য নিকটবর্তী করবেন, সেই মহান আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে আসবে ৷ একই সুত্রে তার
থেকে বর্ণিত আছে, প্রত্যেক বস্তুর একটি ভিত্তি বা মুল রয়েছে ৷ ইসলামের ভিত্তিমুল হলো
সদাচারউত্তম ব্যবহার ৷ একই সুত্রে তার থেকে বর্ণিত আছে, একবার এক নবী তার রবের
কাছে ক্ষুধা ও বস্ত্রহীনতার অভিযোগ করলেন, তখন মহান আল্লাহ তার কাছে এই মর্মে ওহী
প্রেরণ করলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমি তা দ্বারা তোমার থেকে পােশাক-পরিচ্ছদ
ও ক্ষুধাহীনতা থেকে উদ্ভুত অনিষ্টের দরয৷ বন্ধ ণ্রখেছি ৷ তিনি আরও বলেন, আসমানে
ইসমাঈল নামক এক ফেবেশত৷ রয়েছেন ৷ আল্লাহ তাআলা যদি তার কোন কানকে রহমানের
তাসবীহ পাঠ করার অনুমতি দিতেন, তাহলে আসমান-যমীনের সকল মাখলুক মৃত্যুমুখে
পতিত হতো ৷ তার থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সুর্যের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের
চারগুণ, আর চদ্রের আয়তন হলো পৃথিবীর আয়তনের দ্বিগুণ ৷ > সুর্য যখন অস্ত যায়, তখন তা
আরশের নিম্নদেশে অবস্থিত এক সাগরে প্রবেশ করে আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে ৷ এরপর যখন

১ সুর্য ও চশুন্দ্রর আয়তন সম্পর্কিত এই তথ্য সম্ভবত সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত অনুমান নিতরি, সুতরাং জ্যোতির্বিজ্ঞানের
মাপকাঠিতে এর সত্যাসত্য বিবেচনা নিম্প্রয়ােজ্যা অনুবাদক ৷


وَثَوَابِهِ فَتَرْغَبُوا وَتَرْهَبُوا، وَلَا يَطُولَنَّ عَلَيْكُمُ الْأَمَدُ فَتَقْسُوَ قُلُوبُكُمْ وَتَنْقَادُوا لِعَدُوِّكُمْ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا بُسِطَ أَمَلُ مَنْ لَا يَدْرِي لَعَلَّهُ لَا يُمْسِي بَعْدَ إِصْبَاحِهِ وَلَا يُصْبِحُ بَعْدَ إِمْسَائِهِ، وَرُبَّمَا كَانَتْ لَهُ بَيْنَ ذَلِكَ خَطَرَاتُ الْمَنَايَا، وَإِنَّمَا يَطَمْئِنُّ مَنْ وَثِقَ بِالنَّجَاةِ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ وَأَهْوَالِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، فَأَمَّا مَنْ لَا يُدَاوِي مِنَ الدُّنْيَا كَلْمًا إِلَّا أَصَابَهُ جَارِحٌ مِنْ نَاحِيَةٍ أُخْرَى، فَكَيْفَ يَطْمَئِنُّ؟ ! أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ آمُرَكُمْ بِمَا أَنْهَى عَنْهُ نَفْسِي فَتَخْسَرُ صَفْقَتِي وَتَبْدُو مَسْكَنَتِي فِي يَوْمٍ لَا يَنْفَعُ فِيهِ إِلَّا الْحَقُّ وَالصِّدْقُ. ثُمَّ بَكَّى حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ قَاضٍ نَحْبَهُ، وَارْتَجَّ الْمَسْجِدُ وَمَا حَوْلَهُ بِالْبُكَاءِ وَالْعَوِيلِ. قَالَ: فَانْصَرَفْتُ إِلَى صَاحِبَيَّ، فَقُلْتُ: خُذَا شَرْجًا مِنَ الشِّعْرِ غَيْرَ مَا كُنَّا نَقُولُ لِعُمَرَ وَآبَائِهِ، فَإِنَّهُ رَجُلٌ آخِرِيٌّ، لَيْسَ بِرَجُلِ دُنْيَا. قَالَ: ثُمَّ اسْتَأْذَنَ لَنَا مَسْلَمَةُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ثُمَّ قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، طَالَ الثَّوَاءُ، وَقَلَّتِ الْفَائِدَةُ، وَتَحَدَّثَ بِجَفَائِكَ إِيَّانَا وُفُودُ الْعَرَبِ. فَقَالَ: {إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ} [التوبة: 60]- وَقَرَأَ الْآيَةَ - فَإِنْ كُنْتُمْ مِنْ هَؤُلَاءِ أَعْطَيْتُكُمْ، وَإِلَّا فَلَا حَقَّ لَكُمْ فِيهَا. فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي مِسْكِينٌ وَعَابِرُ سَبِيلٍ وَمُنْقَطَعٌ بِهِ. فَقَالَ: أَلَسْتُمْ عِنْدَ أَبِي سَعِيدٍ؟ يَعْنِي مَسْلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقُلْنَا: بَلَى. فَقَالَ: إِنَّهُ لَا ثَوَاءَ عَلَى مَنْ هُوَ عِنْدَ أَبِي سَعِيدٍ. فَقُلْتُ: ائْذَنْ لِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي الْإِنْشَادِ. قَالَ: نَعَمْ، وَلَا تَقُلْ إِلَّا حَقًّا. فَأَنْشَدْتُهُ قَصِيدَةً فِيهِ:
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৫


ভারী হয়ে যায় ৷ আপনি অমুকের কাছে লোক পাঠান, তার কাছে শামী চাদর এসেছে, তার
থেকে বাকীতে এক জোড়া চাদর ক্রয় করুন ৷ দুত লোকটির কাছে এসে বলল, রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন, তুমি যেন বাকী মুল্যে
তার কাছে একজােড়া চাদর বিক্রি কর ৷ সে বলল, আমি বুঝতে তপােরছি, অ ল্লাহব কসম!
আসলে আল্লাহর নবীর উদ্দেশ্য হলো আমার চাদর দুটি হাত করা এবং তার মুল্য পরিশোধে
গড়িমসি করা ৷ সেই দুত আল্লাহ্র রাসুলের কাছে ফিরে তাকে বিষয়টি অবহিত করলেন ৷ তিনি
বলেন, যে মিথ্যা বলেছে ৷ সকলেই জানে সকলের চেয়ে আমি মহান আল্লাহ্কে বেশী ভয় করি
এবং সবঢিগ্ন আমানত আদায় করি ৷ এই দিনই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্পাম্৷
বলেন,
নিজের কাছে যা নেই তা ঋণ করে নেওয়ার চেয়ে তালিযুক্ত কাপড় পরা তোমাদের জন্য
উত্তম ৷ মহান আল্লাহ্সর্বাধিক অবগত ৷

আল কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু বাকর সিদ্দীক (বা)১

একজন বিশিষ্ট ফকীহ্ ৷ সাহাবাহ্ ও অন্যদের থেকে তার বহু সং খ্যক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷
তিনি পবিত্র মদীনায় শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি এবং সমকালীন লোকদের মাঝে সর্বাধিক জ্ঞানী ৷ তার
শৈশবে তার পিতা মিসরে শহীদ হন ৷ত তার খাল৷ তাকে লালন-পালন করেন ৷ তিনি বহু গুণ ও
কীর্তির অধিকারী ৷ এছাড়া আরেক জন হলেন, আবু রজা আল উতারিদী ৷

প্রসিদ্ধ করি আষ্যা প্রেমিক কুছায়য়ির২ৰু

কুছায়িয়র ইবন আবদুর রহমান ইবন আসওয়াদ ইবন আমির আবু সাখৃর আল খুযাঈ
আল হিজাঘী, যিনি ইবন আবুজুমুআহ্ নামে পরিচিত ৷ আর এই আয্যার নামে তার প্রসিদ্ধি
এবং পরিচিতির কারণ হলো, তার ব্যাপারে তার প্রেম কাব্য ৷ তার পরিচয় হলো যে, বানু
হাজির ইবন গিফারের সদস্য জামিল ইবন হাফসের কন্যা ৷ তার উপনাম উম্মু আমর ৷ তার নাম
কুছায়য়ির রাখার কারণ ৷ সে ছিল কদাকার ওবেটে ৷ আর উচ্চতা ছিল তিন বিঘত ৷ ইবন
খাল্লিকান বলেন, যে যখন হাটত তখন তার দেহাকৃতির ক্ষুদ্রতার কারণে মনে হতো যেন
কোন শিশু হাটছে ৷ সে যখন খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দরবারে সাক্ষাতে
প্রবেশ করত, তখন তিনি তাকে বলতেন, তোমার মাথা নীচু কর ৷ দেখ, ছাদে যেন ধাক্কা না
লাগে ৷ তিনি তার সাথে হাসি-ঠাট্ট৷ করতেন ৷ আর সে আবদুল মালিকের দরবারে
আনুষ্ঠানিকভাবে আগমন করত ৷ একাধিকবার সে তার দরবারে আগমন করেছে ৷ এছাড়া যে
উমর ইবন আবদুল আযীযের দরবারেও আগমন করেছে ৷ তার কাব্য-প্রতিভা সম্পর্কে বলা হয়
ইসলামী যুগের কবিদের মাঝে সেই শ্রেষ্ঠ ৷ যদিওত ৷র মাঝে শী আ প্রবণতা ছিল ৷ কেউ কেউ
আবার তাকে পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী বলে থাকে ৷ আর তার সম্পর্কে এই মত যদি সঠিক হয়,

তাহলে বলা হয় মুর্থত৷ ও নির্বুদ্ধিতার কারণে সো£ , ৷:ছু ঢু ,,পুং ; ৷ এ যেই
আকৃত্যিত ঢেয়েছেনত তিনি তোমাকে গঠন করেছেন এই আয়াত দ্বারা এ বিষয়ে প্রমাণ পেশ
১ সিয়ারু আ লামুনৃ নৃবালা ৫৫৩ ৷
২ সিয়ারু আলামুন নুবাল৷ ৫১৫ ২ ৷


وَلَيْتَ فَلَمْ تَشْتِمْ عَلِيًّا وَلَمْ تُخِفْ ... بَرِيًّا وَلَمْ تَقْبَلْ إِشَارَةَ مُجْرِمِ وَصَدَّقْتَ بِالْفِعْلِ الْمَقَالَ مَعَ الَّذِي ... أَتَيْتَ فَأَمْسَى رَاضِيًا كُلُّ مُسْلِمِ أَلَا إِنَّمَا يَكْفِي الْفَتَى بَعْدَ زَيْغِهِ ... مِنَ الْأَوَدِ الْبَادِي ثِقَافُ الْمُقَوِّمِ وَقَدْ لَبِسَتْ تَسْعَى إِلَيْكَ ثِيَابُهَا ... تَرَاءَى لَكَ الدُّنْيَا بِكَفٍّ وَمِعْصَمِ وَتُومِضُ أَحْيَانًا بِعَيْنٍ مَرِيضَةٍ ... وَتَبْسِمُ عَنْ مِثْلِ الْجُمَانِ الْمُنَظَّمِ فَأَعْرَضْتَ عَنْهَا مُشْمَئِزًّا كَأَنَّمَا ... سَقَتْكَ مَدُوفًا مِنْ سِمَامٍ وَعَلْقَمِ وَقَدْ كُنْتَ مِنْ أَجْبَالِهَا فِي مُمَنَّعٍ ... وَمِنْ بَحْرِهَا فِي مُزْبِدِ الْمَوْجِ مُفْعَمِ وَمَا زِلْتَ تَوَّاقًا إِلَى كُلِّ غَايَةٍ ... بَلَغْتَ بِهَا أَعْلَى الْبِنَاءِ الْمُقَدَّمِ فَلَمَّا أَتَاكَ الْمَلِكُ عَفْوًا وَلَمْ تَكُنْ ... لِطَالِبِ دُنْيَا بَعْدَهُ فِي تَكَلُّمِ تَرَكْتَ الَّذِي يَفْنَى وَإِنْ كَانَ مُونِقًا ... وَآثَرْتَ مَا يَبْقَى بِرَأْيِ مُصَمِّمِ وَأَضْرَرْتَ بِالْفَانِي وَشَمَّرْتَ لِلَّذِي ... أَمَامَكَ فِي يَوْمٍ مِنَ الشَّرِّ مُظْلِمِ وَمَا لَكَ إِذْ كُنْتَ الْخَلِيفَةَ مَانِعٌ ... سِوَى اللَّهِ مِنْ مَالِ رَغِيبٍ وَلَا دَمِ سَمَا لَكَ هَمٌّ فِي الْفُؤَادِ مُؤَرِّقٌ ... بَلَغْتَ بِهِ أَعْلَى الْمَعَالِي بِسُلَّمِ فَمَا بَيْنَ شَرْقِ الْأَرْضِ وَالْغَرْبِ كُلِّهَا ... مُنَادٍ يُنَادِي مِنْ فَصِيحٍ وَأَعْجَمِ يَقُولُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ظَلَمْتَنِي ... بِأَخْذِكَ دِينَارِي وَلَا أَخْذِ دِرْهَمِي وَلَا بَسْطِ كَفٍّ لِامْرِئٍ غَيْرِ مُجْرِمٍ ... وَلَا السَّفْكِ مِنْهُ ظَالِمًا مِلْءَ مِحْجَمِ وَلَوْ يَسْتَطِيعُ الْمُسْلِمُونَ لَقَسَّمُوا ... لَكَ الشَّطْرَ مِنْ أَعْمَارِهِمْ غَيْرَ نُدَّمِ فَعِشْتَ بِهَا مَا حَجَّ لِلَّهِ رَاكِبٌ ... مُلَبٍّ مَطِيفٌ بِالْمَقَامِ وَزَمْزَمَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৬

করত ৷ একদিন সে আবদুল মালিকের দরবারে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করল ৷ এরপর সে
যখন আবদুল মালিকের সাক্ষাতে প্রবেশ করল, তখন তিনি তাকে দেখে বললেন, তোমাকে
দেখার চেয়ে শোনাই ভাল ছিল১ ৷ তখন সে বলল-হে আমীরুল মু’মিনীন! দুই ক্ষুদ্রতম অঙ্গ
দ্বারাই মানুষের বিচার হওয়া উচিত ৷ হৃদয় ও জিহ্বা২ ৷ যদি সে কথা বলে, তাহলে সুস্পষ্ট ও
বিশুদ্ধ রুপে কথা বলে ৷ আর যদি লড়াই করে, তাহলে বীরত্বের সাথে লড়াই করে ৷ আমিই
ফ্লিক্ত পঙ্ক্তিসমুহের রচয়িতা :

, fl , , ণ্ , ষ্স্


আমি সকল বিষয় যাচাই করেছি আর বিষয়সমুহ আমাকে যাচইি করেছে এবং আমার
স্বতাব প্রকাশ করেছে ৷



আর লোকদের কাছে এ কথা গোপন নেই যে, আমি হলাম কঠোর প্রতিদ্বন্দী এবং তাদের
সম্পকে বিজ্ঞঅভিজ্ঞ ৷


শীর্ণকায় কোন ব্যক্তিকে দেখে তুমি তুচ্ছ করবে কিন্তু তারই পােশাকের আড়ালে রয়েছে
এক সাহসী সিংহ ৷


আর কোন পোফওয়ালা ওে তামাকে চমত্কৃত করবে ৷ এরপর যদি তুমি তাকে পরখ কর
তাহলে দেখবে এই গৌফওয়ালা তোমার ধারণাকে ক্তৃ৷ প্রমাণিত করেছে ৷


মাথার খুলিই পুরুষকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে না ৷ আসলে তার সৌন্দর্য হলো দীন ও কল্যাণ ৷

বুগাছ পাখী আকার-আকৃতিতে বিশাল ৷ কিন্তু ঈগল ও বাজপাখী এত দীর্ঘকায় নায় ৷

মাথার ঘিলু ছাড়াই উট এত বিশাল, তাই এই বড় হওয়া তার কোন কাজে আসেনি ৷
,ছুওঠুষ্াদ্ভু ব্ট্টএ

তাই তাতে আরোহণ করা হয় অতঃপর তাকে লাঠি দিয়ে প্রহার করা হয়, কিন্তু তার কাছে

১ এখানে উল্লিখিত আরবী প্রবাদ বাক্যটি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ, তাই ভাবানুবাদ করা হলো--অনুবাদক
২ অর্থাৎ মিঃ ভাবনার শক্তি ও বাককুশলতা ৷


فَأَرْبِحْ بِهَا مِنْ صَفْقَةٍ لِمُبَايِعٍ ... وَأَعْظِمْ بِهَا أَعْظِمْ بِهَا ثُمَّ أَعْظِمِ قَالَ: فَأَقْبَلَ عَلَيَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ: إِنَّكَ تُسْأَلُ عَنْ هَذَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ. ثُمَّ اسْتَأْذَنَهُ الْأَحْوَصُ فَأَنْشَدَهُ قَصِيدَةً أُخْرَى، فَقَالَ: إِنَّكَ تُسْأَلُ عَنْ هَذَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ. ثُمَّ اسْتَأْذَنَهُ نُصَيْبٌ، فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُ، وَأَمَرَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ دِرْهَمًا، وَأَغْزَى نُصَيْبًا إِلَى مَرَجِ دَابِقٍ. وَقَدْ وَفَدَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَلَى يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَامْتَدَحَهُ بِقَصَائِدَ، فَأَعْطَاهُ سَبْعَمِائَةِ دِينَارٍ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَ كُثِّيرُ عَزَّةَ شِيعِيًّا خَشَبِيًّا يَرَى الرَّجْعَةَ، وَكَانَ يَرَى التَّنَاسُخَ، وَيَحْتَجُّ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {فِي أَيِّ صُورَةٍ مَا شَاءَ رَكَّبَكَ} [الانفطار: 8] . وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: هُوِّلَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ لَيْلَةً فِي مَنَامِهِ، فَأَصْبَحَ يَمْتَدِحُ آلَ الزُّبَيْرِ وَيَرْثِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَكَانَ يُسِيءُ الرَّأْيَ فِيهِ: بِمُفْتَضِحِ الْبَطْحَاءِ ثَاوٍ لَوَ انَّهُ ... أَقَامَ بِهَا مَا لَمْ تَرُمْهَا الْأَخْاشِبُ سَرِحْنَا سُرُوبًا آمِنِينَ وَمَنْ يَخَفْ ... بَوَائِقَ مَا يَخْشَى تَنُبْهُ النَّوَائِبُ تَبَرَّأْتُ مِنْ عَيْبِ ابْنِ أَسْمَاءَ إِنَّنِي ... إِلَى اللَّهِ مِنْ عَيْبِ ابْنِ أَسْمَاءَ تَائِبُ هُوَ الْمَرْءُ لَا تُزْرِي بِهِ أُمَّهَاتُهُ ... وَآبَاؤُهُ فِينَا الْكِرَامُ الْأَطَايِبُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৭

ভাবতে দেখলেন ৷ তখন তিনি নির্দেশ দিলেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে আস ৷ তারপর তাকে
যখন আনা হলো, তিনি তাকে বললেন, ভেবে দেখ আমি যদি তুমি কী চিন্তা তা ৷বনা কবছিলে

তা বলে দিই, তাহলে কি তুমি আমার ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ? সে বলল হ্যা
তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ? সে বলল, হ্যা, আল্লাহর কসম ৷ আবদুল মালিক তাকে
বললেন, তুমি মনে মনে ভাবছিলে এ ব্যক্তি আমার মতাদর্শী (শীআপন্থী) নয় ৷ আর সে এমন
এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাচ্ছে, যে আমার মতাদর্শী নয় ৷ এদের দুইজনের মধ্য
থেকে যদি কোন অজ্ঞাত তীর আমাকে হত্যা করে, তাহলে আমি দুনিয়া-আখিরাত দৃই-ই
হারাব ৷ সে বলল, হী৷ ! আমীরপ্স মুমিনীন! আপনি ঠিকই বলেছেন আপনি আপনার সিদ্ধান্ত
প্রদান করুন ৷ তিনি বললেন, আমার সিদ্ধান্ত হলো তোমাকে উত্তম বখৃশিশ দিয়ে তোমার
স্বজ্যা-পরিজনের কাছে ফেরত পাঠানো ৷ এরপর তিনি তাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ প্রদান
করলেন এবং তাকে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন ৷

বিনিষ্টি রাবী হাষ্মাদ কুছায়ির থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয
যখন খিলাফতের দায়িতু গ্রহণ করলেন, তখন আমি, আহওয়াস এবং নুসায়ব (এই তিনজন)
তার সাক্ষাতে গমন করলাম ৷ আর ইরুত তাপুর্বে৩ তিনি যখন মদীনায় গভর্নর ছিলেন, তখন আমরা তার সাহচার্য ও সঙ্গ লাভ করতাম ৷ আমাদের প্রত্যেকের ধারণা ছিল তিনি আমাদেরকে তার দরবারে সমাদুর করবেন ৷ একথা ভেবে গর্বিত চালে চলতে থাকলাম ৷ এরপর আমরা যখন খুনাসিরার নিকট পৌছলাম এবং আমাদের দৃষ্টিতেত তার চিহ্নসমুহ তে সে উঠল, তখন মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক আমাদের সাথে দেখা করেন এবং বলেন, তোমরা কী উদ্দেশ্যে আগমন করেছে৷ ? তোমরা কি জানতে পারনি যে তোমাদের খলীফা কবিতা ও কবিদের পসন্দ করেন না ? কুহুায়য়ির বলেন, একথায় আমরা আশাহভ ও বিযগ্ন হলাম ৷ মাসলামাহ আমাদেরকে তার কাছে অবস্থান করলে এবং আমাদের ব্যয়ভার বহন করেন এবং আমাদের বাহনসমুহকে গো খাদ্য সরবরাহ করেন ৷ এভাবে আমরা চার মাস তার কাছে অবস্থান করি ৷ কিন্তু এ দীর্ঘ সময়ের মাঝে তার পক্ষে আমাদের জন্য উমর ইবন আবদুল ,আযীযের সাক্ষাতের অনুমতি লাভ করা সম্ভব হলো না ৷ এরপর কোন এক জুমুআতে আমি তার নিকটে অবস্থান নিলাম যাতে তার খুতবাহ্ ভালভাবে শুনতে পারি এবং নামায শেষে তাকে সালাম করতে পারি ৷ এসময় আমি তাকে খুতবায় বলতে শুনলাম, প্রত্যেক সফরের জন্য পাথেয় অপরিহার্য ৷ কাজেই, তোমরা দুনিয়া থেকে আখিরাতের সফরের জন্য তাক্ওয়া বা থােদাভীতির পাথেয় অবলম্বন কর ৷ আর ঐ ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যাও, যে ঐ শান্তি ও পুরস্কার প্রত্যক্ষ করেছে, যা মহান আল্লাহ তার জন্য প্রস্তুত করেছেন ৷ এ স্থলে তোমরা আগ্নহীও ভীত হয়ে ৷ তোমাদের কামনা-বাসনা যেন দীর্ঘ না হয় ৷ত তাহলে হৃদয়সমুহ কঠোর হয়ে যাবে এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের অনুগত হয়ে যাবে ৷ কেননা, আল্লাহর কসম, ঐ ব্যক্তির আশা-আকাক্ষে৷ বিস্তারে কী লাভ যে জানে না যে, হয়ত সকালের পর তার জীবনে পরবর্তী সন্ধ্য৷ আসবে না অথবা সন্ধ্যার পর তার জীবনে পরবর্তী সকাল আসবে না এবং এই দৃহয়ের মাঝে তার জন্য মৃত্যু ওত পেতে বসে আছে ৷ আশ্বস্ত হতে পারে সে, যে মহান আল্লাহর আমার ও কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির ব্যাপারে আস্থাবান হয়েছে ৷ আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার

وَقَالَ مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزَّبَيْرِيُّ: قَالَتْ عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ لِكُثَيِّرِ عَزَّةَ: مَا الَّذِي يَدْعُوكَ إِلَى مَا تَقُولُ مِنَ الشِّعْرِ فِي عَزَّةَ وَلَيْسَتْ عَلَى مَا تَصِفُ مِنَ الْحُسْنِ وَالْجَمَالِ؟ ! فَلَوْ قُلْتَ ذَلِكَ فِيَّ وَفِي أَمْثَالِي، فَأَنَا أَشْرَفُ وَأَفْضَلُ مِنْهَا، وَإِنَّمَا أَرَادَتْ أَنْ تَخْتَبِرَهُ وَتَبْلُوَهُ، فَقَالَ: صَحَا قَلْبُهُ يَا عَزُّ أَوْ كَادَ يَذْهَلُ ... وَأَضْحَى يُرِيدُ الصَّوْمَ أَوْ يَتَبَدَّلُ وَكَيْفَ يُرِيدُ الصَّوْمَ مَنْ هُوَ وَامِقٌ ... لِعَزَّةَ لَا قَالٍ وَلَا مُتَبَذِّلُ إِذَا وَصَلَتْنَا خُلَّةٌ كَيْ تُزِيلُنَا ... أَبَيْنَا وَقُلْنَا الْحَاجِبِيَّةُ أَوَّلُ سَنُولِيكِ عُرْفًا إِنْ أَرَدْتِ وِصَالَنَا ... وَنَحْنُ لِتِيكَ الْحَاجِبِيَّةِ أَوْصَلُ وَحَدَّثَهَا الْوَاشُونَ أَنِّي هَجَرْتُهَا ... فَحَمَلَهَا غَيْظًا عَلَيَّ الْمُحَمِّلُ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: لَقَدْ جَعَلَتْنِي خُلَّةً وَلَسْتُ لَكَ بِخُلَّةٍ، وَهَلَّا قُلْتَ كَمَا قَالَ جَمِيلٌ فَهُوَ وَاللَّهِ أَشْعَرُ مِنْكَ حَيْثُ يَقُولُ: يَا رُبَّ عَارِضَةٍ عَلَيْنَا وَصْلَهَا ... بِالْجِدِّ تَخْلِطُهُ بِقَوْلِ الْهَازِلِ فَأَجَبْتُهَا بِالْقَوْلِ بَعْدَ تَسَتُّرٍ ... حُبِّي بُثَيْنَةَ عَنْ وِصَالِكِ شَاغِلِي لَوْ كَانَ فِي قَلْبِي بِقَدْرِ قُلَامَةٍ ... فَضْلٌ وَصَلْتُكِ أَوْ أَتَتْكِ رَسَائِلِي فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أُنْكِرُ فَضْلَ جَمِيلٍ وَمَا أَنَا إِلَّا حَسَنَةٌ مِنْ حَسَنَاتِهِ. وَاسْتَحْيَا.
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৮

০০ মা৪ না :

৪০২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

মাঝে মাঝে যে নিম্প্রভ চোরা দৃষ্টি হানে এবং শিলাশুভ্র দীতে হাসে ৷
ট্রুকু৯ঠু;এে
কিন্তু আপনি এমন ৰিতৃষ্ণায়নি তাকে উপেক্ষা করলেন যেন সে আপনাকে বিষাক্ত পানীয়
পান করিয়েছে ৷

শ্ :

ণ্ৰুব্লুটু ৰু;টুট্রু৷ ৷াওড়ু
অথচ ইতোপুর্বে আপনি তার শক্ত আসে এবং ফেনিল সমুদ্রের ঢেউয়ে আটকে ছিলেন ৷

আজও আপনি প্রত্যেক চুড়ান্ত লক্ষে পৌছার

ণ্র্দুব্র; ষ্ব্র
কিভু এরপর যখন এমনিতেই আপনি বাদশাহীর অধিকারী হলেন, আর

শ্

যা নিঃশেষ হয়ে যাবে আপনি তা বর্জন করেছেন যদিও তা চিত্তাকর্ষক আর যা স্থায়ী তাকে
সুবিজ্ঞ রায় দ্বারা প্রাধান্য দিয়েছেন ৷
টুা;ঠু;
আপনি দুনিয়ারপার্থিব জীবনের ক্ষতি করেছেন এবং আপনার সামনে অকল্যাণের অন্ধকার
দিবস রয়েছে তার জন্য তৎপর হয়েছেন ৷
ব্লু১ ব্লাট্রু ৷১৷ ছুা৷হুট্রু
আপনি যখন খলীফা হলেন, তখন আপনার অধীনস্থ জানমালে স্বেচ্ছাচারিতা ৫খকে
আপনাকে বাধা দান কারী মহান আল্লাহ্ ছাড়া কেউ নেই ৷


াদ্বু“““শু
নিদ্রাদুরকারী এক চিন্তার উদয় হলো আপনার হৃদয়ে, যার কারণে আপনি মর্যাদার সােপান
যেয়ে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হলেন ৷


উদয়াচল ও অস্তাচলের মধ্যবর্তী গোটা পৃথিবীতে আরব-অনারব এমন কোন ণ্ঘাষকপ্রজা
নেই ৷


وَمِمَّا أَنْشَدَهُ ابْنُ الْأَنْبَارِيِّ، لِكُثَيِّرِ عَزَّةَ: بِأَبِي وَأُمِّي أَنْتِ مِنْ مَعْشُوقَةٍ ... طَبِنَ الْعَدُوُّ لَهَا فَغَيَّرَ حَالَهَا وَمَشَى إِلَيَّ بِعَيْبِ عَزَّةَ نِسْوَةٌ ... جَعَلَ الْإِلَهَ خُدُودَهُنَّ نِعَالَهَا اللَّهُ يَعْلَمُ لَوْ جُمِعْنَ وَمُثِّلَتْ ... لَاخْتَرْتُ قَبْلَ تَأَمُّلٍ تِمْثَالَهَا وَلَوَ انَّ عَزَّةَ خَاصَمَتْ شَمْسَ الضُّحَى ... فِي الْحُسْنِ عِنْدَ مُوَفَّقٍ لَقَضَى لَهَا وَأَنْشَدَ غَيْرُهُ لِكُثَيِّرِ عَزَّةَ: فَمَا أَحْدَثَ النَّأْيُ الَّذِي كَانَ بَيْنَنَا ... سُلُوًّا وَلَا طُولُ اجْتِمَاعٍ تَقَالِيَا وَمَا زَادَنِي الْوَاشُونَ إِلَّا صَبَابَةً ... وَلَا كَثْرَةُ النَّاهِينَ إِلَّا تَمَادِيَا وَقَالَ كُثَيِّرٌ أَيْضًا: فَقُلْتُ لَهَا يَا عَزُّ كُلُّ مُصِيبَةٍ ... إِذَا وُطِّنَتْ يَوْمًا لَهَا النَّفْسُ ذَلَّتِ هَنِيئًا مَرِيئًا غَيْرَ دَاءٍ مُخَامِرٍ ... لِعَزَّةَ مِنْ أَعْرَاضِنَا مَا اسْتَحَلَّتِ وَقَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ أَيْضًا، وَفِيهِ حِكْمَةٌ: وَمَنْ لَا يُغْمِضُ عَيْنَهُ عَنْ صَدِيقِهِ ... وَعَنْ بَعْضِ مَا فِيهِ يَمُتْ وَهُوَ عَاتِبُ وَمَنْ يَتَتَبَّعْ جَاهِدًا كُلَّ عَثْرَةٍ ... يَجِدْهَا وَلَا يَسْلَمُ لَهُ الدَّهْرُ صَاحِبُ وَذَكَرُوا أَنَّ عَزَّةَ بِنْتَ جَمِيلِ بْنِ حَفْصٍ - أَحَدِ بَنِي حَاجِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غِفَارٍ - أُمَّ عَمْرِو الضَّمْرِيَّةَ وَفَدَتْ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ تَشْكُو إِلَيْهِ ظُلَامَةً،
পৃষ্ঠা - ৭৬৪৯


০ ¢

সে বলে, আমীরুল মু’মিনীন, আপনি আমার প্রতি অবিচার করেছেন আমার একটি দীনার
ও একটি দিরহাম আত্মসাৎ করেহ্নে৷ ৷
ণ্ক্রুপু১-১ ন্এণ্
অপরাধী নয় এমন কারও প্রতি তার হাত প্রসারিত হয়নি এবং অন্যায়ভাবে তার দ্বারা
সামান্য পরিমাণ বক্তপাত হয়নি ৷

এএে
মুসলমানগণ যদি পারত, তাহলে বিনা দ্বিধায় আপনার জন্য তাদের অর্ধেক অ ৷য়ুষ্কাল বণ্টন
করে দিত ৷

মোঃ গ্

আর তার দ্বারা আপনি ততদিন জীবিত থাকবেন, যত দিন কোন আরােহী তাল্ৰিয়া
পাঠকারী, মাকাম ও যামযাম তাওয়াফকারী আল্পাহ্র উদ্দেশ্যে হজ্জ করবে ৷

ণ্ক্রো

আপনার এই চুক্তি অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে এবং আপনি বিরাট সৌভাগ্যের
অধিকারী হয়েছেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন উমর ইবন আবদুল আযীয আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, তুমি
তো কিয়ামত দিবসে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে ৷

এরপর আহওয়াস তার অনুমতি নিয়ে তাকে আরেকটি কবিতা আবৃত্তি করে ণ্শানায় ৷ তিনি
তাকে বলেন, তৃমি তো কিয়ামত দিবসে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে ৷ এরপর নুসায়ব তার
অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করলেন না ৷ আর প্রত্যেককে(তিন
জনকে) দেড়শ’ দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং নুসায়বকে মারাজ দাবাকের দিকে
যুদ্ধাতি যানে পাঠালেন ৷ আর পরবর্তীকালে কুছায়য়ির ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের দরবারে
গমন করে তার প্রশংসায় কাব্য রচনা করলে তিনি তাকে সাতশ’ দীনার প্রদান করেন ৷ যুবায়র
ইবন বাক্কার বলেন, কুছায়য়ির ছিল ইতর শ্রেণীর শীআহপন্থী ৷ সে পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী ছিল ৷
এমনকি সে এই আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করত ৷ মুসা ইবন উকবাহ্ বলেন, কোন এক রাত্রে
মুছায়য়ির ভীতিপ্রদ স্বপ্ন দেখল ৷ পরদিন সকালে সে যুবায়র পরিবারের প্রশং সার কাব্য রচনা
ৰু করল এবং আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়রের মৃত্যুস্মরণে শোকপাথা রচনা করল ৷ আর ইতোপুর্বে সে
তার ব্যাপারে মন্দ ধারণা পোষণ করত ৷

! শ্ ; ষ্ ; শ্ ; শ্ ! ; ন্ ;; শ্ ; ষ্ ’


فَقَالَ لَهَا: لَا أَقْضِيهَا لَكِ حَتَّى تُنْشِدِينِي شَيْئًا مِنْ شِعْرِهِ. فَقَالَتْ: لَا أَحْفَظُ لَهُ كَثِيرَ شِعْرٍ، لَكِنِّي سَمِعْتُهُمْ يَحْكُونَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ فِيَّ: قَضَى كُلُّ ذِي دَيْنٍ عَلِمْتُ غَرِيمَهُ ... وَعَزَّةُ مَمْطُولٌ مُعَنًّى غَرِيمُهَا فَقَالَ: لَيْسَ عَنْ هَذَا أَسْأَلُكِ، وَلَكِنْ أَنْشِدِينِي قَوْلَهُ: وَقَدْ زَعَمَتْ أَنِّي تَغَيَّرْتُ بَعْدَهَا ... وَمَنْ ذَا الَّذِي يَا عَزُّ لَا يَتَغَيَّرُ تَغَيَّرَ جِسْمِي وَالْخَلِيقَةُ كَالَّذِي ... عَهِدْتِ وَلَمْ يُخْبَرْ بِسِرِّكِ مُخْبَرُ فَاسْتَحْيَتْ وَقَالَتْ: أَمَّا هَذَا فَلَا أَحْفَظُهُ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُمْ يَحْكُونَهُ عَنْهُ، وَلَكِنْ أَحْفَظُ لَهُ قَوْلَهُ: كَأَنِّي أُنَادِي صَخْرَةً حِينَ أَعْرَضَتْ ... مِنَ الصُّمِّ لَوْ تَمْشِي بِهَا الْعُصْمُ زَلَّتِ صَفُوحٌ فَمَا تَلْقَاكِ إِلَّا بَخِيلَةً ... وَمَنْ مَلَّ مِنْهَا ذَلِكَ الْوَصْلَ مَلَّتِ قَالَ: فَقَضَى لَهَا حَاجَتَهَا وَرَدَّهَا، وَرَدَّ عَلَيْهَا ظُلَامَتَهَا، وَقَالَ: أَدْخِلُوهَا عَلَى الْحُرَمِ لِيَتَعَلَّمُوا مَنْ أَدَبِهَا. وَرُوِيَ عَنْ بَعْضِ نِسَاءِ الْعَرَبِ قَالَتْ: اجْتَازَتْ بِنَا عَزَّةُ فَاجْتَمَعَ نِسَاءُ الْحَاضِرِ إِلَيْهَا لِيَنْظُرْنَ حُسْنَهَا، فَإِذَا هِيَ حُمَيْرَاءُ حُلْوَةٌ لَطِيفَةٌ، فَلَمْ تَقَعْ مِنَ النِّسَاءِ بِذَلِكَ الْمَوْقِعِ حَتَّى تَكَلَّمَتْ، فَإِذَا هِيَ أَبْرَعُ الْخَلْقِ وَأَحْلَاهُ حَدِيثًا، فَمَا بَقِيَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৬৫০


আমি তো তোমার প্রেমাম্পৃদ নই ৷ করি জামীল যেমনটি বলেছে, তুমি তেমন বলতে পারতে ৷
আল্লাহর কসম, সে তোমার চেয়ে বড় কবি ৷ দেখ সে বলছে

হে পরিহাসকারীর কথাচ্ছলে আন্তরিকভাবে আমাদের প্রণয়াকাভফীপ্রু

০ fl ,


সসঙ্কোচে আমি তাকে উত্তর দিলাম বুছয়ন৷ র ৷প্রতি আমার ভালবাসা তোমার মিলন থেকে
আমাকে বিরত ব্লেখেছে ৷

আমার হৃদয়ে যদি নখাগ্ন পরিমাণ স্থান শুন্য থাক৩ ,তাহলে আমি তোমার সাথে সম্পর্ক

গড়তাম ৷ কিৎবা তোমার কাছে আমার পত্র আসত ৷

এই পঙক্তি শুনে সে বলল, আল্লাহ্র কসম, আমি জ্যমীর্লের গ্রেষ্ঠতৃ অস্বীক৷ ৷র করছি না ৷
আমি তো তারই শিষ্য ৷ এছাড়া ইবনুল আনব৷ ৷রী কুছায়য়িরের একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন-

০ : × :

গ্রাট্র১

আমার পিতামাত৷ উৎসর্গিত হোক ঐ প্রেমাস্পদের তবে, শত্রুর৷ যার পিছু নিয়ে তার
মনােভাবের পরিবর্তন ঘটিয়েছে ৷

, শ্ :

আর আমার কাছে কতক নারী এসেছে আযযাৱ দোষ নিয়ে সৃষ্টিকর্তা তাদের গণ্ডদেশকে
তার পাদুকা বানিয়ে দিন ৷


আল্পাহ্ জানেন তাদের সকলের সাথে যদি তার ভাস্কর্যকে ও একত্রিত করা হতো তাহলে
আমি চিন্তা-ভাবনার পুর্বেই তার ভাস্কর্যবেইি গ্রহণ করতাম ৷


আর আযযা যদি পুর্বাহ্নের সুর্যের সাথে সৌন্দর্য নিয়ে বিবাদ করে কাযী মুওয়াফুফাকের
ষ্ঠাং যেত, তা ৷৩হলে তিনি তার অনুকুলেই ফ ৷য়সালাহ্ করতেন ৷

তার রচিত আরও কয়েকটি পঙক্তি হলো




আমাদের মাঝে বিদ্যমান দুরতৃ কোন সান্তুন৷ সৃষ্টি করেনি এবং দীর্ঘ মিলন কোন বিদ্বেষের

, শ্ধ্ শ্ষ্


أَعْيُنَنَا امْرَأَةً تَفُوقُهَا حُسْنًا وَجَمَالًا وَحَلَاوَةً. وَذَكَرَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ: دَخَلَتْ عَزَّةُ عَلَى سُكَيْنَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ فَقَالَتْ لَهَا: إِنِّي أَسْأَلُكِ عَنْ شَيْءٍ فَاصْدُقِينِي، مَا الَّذِي أَرَادَ كُثَيِّرُ فِي قَوْلِهِ لَكِ: قَضَى كُلُّ ذِي دَيْنٍ فَوَفَى غَرِيمَهُ ... وَعَزَّةُ مَمْطُولٌ مُعَنًّى غَرِيمُهَا فَقَالَتْ: كُنْتُ وَعَدْتُهُ قُبْلَةً مَطَلْتُهُ بِهَا. فَقَالَتْ: أَنْجِزِيهَا لَهُ وَإِثْمُهَا عَلَيَّ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ أُمَّ الْبَنِينَ أُخْتَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَتْ لَهَا مِثْلَ هَذَا سَوَاءً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرُوِيَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ أَرَادَ أَنْ يُزَوِّجَ كُثَيِّرًا مِنْ عَزَّةَ فَأَبَتْ عَلَيْهِ، وَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَبَعْدَمَا فَضَحَنِي بَيْنَ النَّاسِ وَشَهَّرَنِي فِي الْعَرَبِ؟ ! وَامْتَنَعَتْ مِنْ ذَلِكَ كُلَّ الِامْتِنَاعِ. ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرُوِيَ أَنَّهَا اجْتَازَتْ مَرَّةً بِكُثَيِّرٍ وَهُوَ لَا يَعْرِفُهَا، فَتَنَكَّرَتْ عَلَيْهِ، وَأَرَادَتْ أَنْ تَخْتَبِرَ مَا عِنْدَهُ، فَتَعَرَّضَ لَهَا فَقَالَتْ لَهُ: فَأَيْنَ حُبُّكَ عَزَّةَ؟ فَقَالَ: أَنَا لَكِ الْفِدَاءُ، لَوْ أَنَّ عَزَّةَ أَمَةٌ لِي لَوَهَبْتُهَا لَكَ. فَقَالَتْ: وَيْحَكَ! لَا تَفْعَلْ، أَلَسْتَ الْقَائِلَ:
পৃষ্ঠা - ৭৬৫১

কুটনাবা আমার প্রেমাসক্তিকে বৃদ্ধি করেছে আর নিষেধকারীদের আধিক্য আমার প্রেম
অবিচলত ড়াবৃদ্ধি করেছে ৷

অন্য স্থানে তার এই পঙক্তিদ্বয় উদ্ধৃত হয়েছে
৮া-৷চুষ্লোঃ ঞ এ্যা

আমি তাকে বললাম, হে আয্যা! সকল ৰিপদই এমন যে একদিন যদি প্রাণ তাতে ন্থিত
হয়, তখন তা সহজ হয়ে যায় ৷

আয্যা আমাদের যে মানহানি ঘটিয়েছে তা তার জন্য সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় হোক ৷
এছাড়াও প্রজ্ঞাপুর্ণ কয়েকটি পঙক্তি রয়েছে

যে ব্যক্তি তার বন্ধু থেকে এবং বন্ধুর কিছু মন্দ স্বভাব থেকে চক্ষু বন্ধ করবে না, সে
বন্ধুহীনত ৷র আফসুস নিয়েই মারবে ৷


আর যে অন্যের প্রতিটি পদস্থালনের অনুসরণ করবে, সে তা পাবে ৷ কিন্তু কালের আবর্তে
তার কোন সঙ্গী থাকবে না ৷

ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, (একবার) বানু হাজির ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন গিফারের
এক সদস্য জাযীল ইবন হাফসের কন্যা উম্মু আমর আয্যাহ কোন এক যুলমের অভিযোগ নিয়ে
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দরবারে উপস্থিত হলো ৷ আবদুল মালিক তাকে বলেন, আমি
তোমার এ ব্যাপারে ফায়সালা করব না ৷ যতক্ষণ না তুমি কুছায়য়িরের কয়েকটি পঙ্ক্তি আমাকে
আবৃত্তি করে শোনাবে ৷ সে বলল, কুছায়য়িরের কোন কবিতা আমি মৃখস্থু করি না ৷ তবে আমি
লোকদেরকে তার সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, সে আমার ব্যাপারে এই পঙক্তিগুলি আবৃত্তি
করেছে :
আমার জানা সকল ঋণগ্নহীত৷ তার ঋণ আদায় করেছে আর আযযার প্রাপক উপেক্ষিত ৷

এই পঙক্তি শুনে আবদুল মালিক বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি না ৷
তুমি আমাকে তার নিম্নোক্ত পঙক্তিমালা আবৃত্তি করে গােনাও


শ্ ; ষ্ ;


তার দাবী তাকে ছেড়ে আসার পর আমি বদলে গিয়েছি ৷ হে আযযাৰু কে আছে পৃথিবীতে
যে বদলায় না ৷

আমার দেহ বদলে গেছে ৷ কিন্তু তোমার ভালবাসা যেমন জ্জি তেমনি রয়ে গেছে ৷ কিন্তু
সম্পর্কে কেউ তোমাকে অবহিত করেনি ৷


إِذَا وَصَلَتْنَا خُلَّةٌ كَيْ تُزِيلَنَا ... أَبَيْنَا وَقُلْنَا الْحَاجِبِيَّةُ أَوَّلُ فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتِ وَأُمِّي، أَقْصَرِي عَنْ ذِكْرِهَا وَاسْمَعِي مَا أَقُولُ. ثُمَّ قَالَ: هَلْ وَصْلُ عَزَّةَ إِلَّا وَصْلُ غَانِيَةٍ ... فِي وَصْلِ غَانِيَةٍ مِنْ وَصْلِهَا بَدَلُ قَالَتْ: فَهَلْ لَكَ فِي الْمُجَالَسَةِ؟ قَالَ: وَمَنْ لِي بِذَلِكَ؟ قَالَتْ: فَكَيْفَ بِمَا قُلْتَ فِي عَزَّةَ؟ فَقَالَ: أُقْلِبُهُ فَيَتَحَوَّلُ لَكِ. قَالَ: فَسَفَرَتْ عَنْ وَجْهِهَا وَقَالَتْ: أَغَدْرًا وَتَنَكُاثًا يَا فَاسِقُ؟ ! وَإِنَّكَ لَهَاهُنَا يَا عَدُوَّ اللَّهِ. فَبُهِتَ وَأَبْلَسَ، وَلَمْ يَنْطِقْ وَتَحَيَّرَ وَخَجِلَ، ثُمَّ قَالَتْ: قَاتَلَ اللَّهُ جَمِيلًا حَيْثُ يَقُولُ: لَحَا اللَّهُ مَنْ لَا يَنْفَعُ الْوُدُّ عِنْدَهُ ... وَمَنْ حَبْلُهُ إِنْ مُدَّ غَيْرُ مَتِينِ وَمَنْ هُوَ ذُو وَجْهَيْنِ لَيْسَ بِدَائِمٍ ... عَلَى الْعَهْدِ حَلَّافٌ بِكُلِّ يَمِينِ ثُمَّ شَرَعَ كُثَيِّرٌ يَعْتَذِرُ وَيَتَنَصَّلُ مِمَّا وَقَعَ مِنْهُ، وَيَقُولُ فِي ذَلِكَ الْأَشْعَارَ ذَاكِرًا وَآثِرًا. وَقَدْ مَاتَتْ عَزَّةُ بِمِصْرَ فِي أَيَّامِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ وَزَارَ كُثَيِّرٌ قَبْرَهَا وَرَثَاهَا، وَتَغَيَّرَ شِعْرُهُ بَعْدَهَا، فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ: مَا بَالُ شِعْرِكَ تَغَيَّرَ، وَقَدْ قَصَّرَتْ فِيهِ؟ فَقَالَ: مَاتَتْ عَزَّةُ فَلَا أَطْرَبُ، وَذَهَبَ الشَّبَابُ فَلَا أَعْجَبُ، وَمَاتَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ فَلَا أَرْغَبُ، وَإِنَّمَا الشِّعْرُ عَنْ هَذِهِ الْخِلَالِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ وَوَفَاةُ عِكْرِمَةَ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَلَكِنْ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَمِائَةٍ،
পৃষ্ঠা - ৭৬৫২


যখন কোন প্রেম নিবেদনকারিণী আমাকে আঘৃযার প্রেমাসক্তি থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে
মিলিত ৩হয় তখন আমি অস্বীকার করে বলি, সেই হাজিবী রমণী হলো আমার প্রথম কামনা ৷

এরপর সে বলল, আম র পিতা-মাতা তোমার জন্য উৎসর্গিত হোক, তার কথা বাদ দিয়ে
আমি যা বলি শ্যেনং :

১া৷ ওট্ট’এঞগ্র বুা১

আয্যার প্রেমবন্ধন তো এক সুন্দরী রমণীর প্রেম বন্ধন ছাড়া কিছু নয়, অন্য সুন্দরীর প্রেম

বন্ধন তার বিকল্প ৷
তার এ কবিতা পঙ্ক্তি শুনে সে বলল, তুমি কি এক সাথে বসতে আগ্রহী ? সে বলল, ণ্ক

আমাকে এমন সাহচর্য দািব ? সে বলল, তাহলে তুমি আয্যার প্রণয়াসক্ত হয়ে যা কিছু বলেছ
তার ব্যাপারে কি হবে ৷ সে বলল, আমি তা পরিরর্জা করে তোমার জন্য করে নিব ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তখন সে তার চেহারার আবরণ সরিয়ে বলল, হে ফাসিক দৃরাচার ! তুমি কি অঙ্গীকার
ভঙ্গ করে এবং বোকা দিয়ে তা করবে ৷ হে আল্লাহর দুশমন! তার প্রতি তোমার প্রেমড়াডিনয়ের
এই হলো আসল রুপ ৷ সে লজ্জিত নির্বাক, হতৰুদ্ধি ও নিরাশ হয়ে গেল ৷ তারপর আষ্যা
বলল, করি জামীলকে আল্পাহ্ রহম করুন ৷ সেই সত্য বলেছে


আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন, যার কাছে ভালবাসা কোন উপকার করে না এবং যার
ভালবাসার বন্ধন দৃবল ৷

শ্ :

আর যে দ্বিমুথী, সে তার অঙ্গীকারে স্থির থাকে না এবং কথায় কথায় শপথ করে ৷

এ ঘটনার পর কুছায়য়ির তার কৃত আচরণের কারণে অজুহাত পেশ করতে থাকে এবং
প্রসঙ্গে কবিতা রচনা করতে থাকে ৷ আবুদল আযীয ইবন মারওয়ানের শাসনকালে মিসরে
আঘৃযার মৃত্যু হয় ৷ কুছায়য়ির তার কবর যিয়ারত করে এবং তার শোকে ণ্শাকগাথা রচনা
করে ৷ তবে, তার মৃত্যুর পর তার কবিতা অন্য রকম হয়ে যায় ৷ এক ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করে,
তোমার কবিতার কী হয়েছে ? তা পরিবর্তিত হয়েছে, তুমি তাতে পিছিয়ে পড়েছ ৷ সে বলে
আয্যার মৃত্যু হয়েছে, তাই এখন আমি আর উচ্ছাস বোধ করি না ৷ যৌবন বিগত হয়েছে তাই
আর মুগ্ধ হই না, এবং আবদুল আযীয ইবন মারওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাই আমি কোন আগ্রহ
বোধ করি না ৷ তার কবিতা তো এ সকল উপকরণ থেকেই সৃষ্ট হয় ৷

একই দিনে কুছায়য়ির ও ইকরিমার মৃত্যু হয় ৷ তবে প্রসিদ্ধ মতানুসারে একশ’ পাচ
হিজরীতে ৷ আর আমাদের শায়খ যাহাবী তা এ বছরে অর্থাৎ একশ’ সাত হিজরীতে উল্লেখ
করেছেন ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক অবহিত ৷


عَلَى الْمَشْهُورِ. وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. أَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَمِائَةٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.