আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৬৩৬


আল-কাত্তান বলেন, পবিত্র মদীনার ফকীহ্ হলেন দশজন ৷ এরপর তিনি আবান ইবন
উছযানকে তাদের অন্যতম উল্লেখ করেন ৷ অন্যরা হলেন খারিজা ইবন যায়দ, সালিম ইবন
আবদুল্লাহ, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব, সুলায়মান ইবন ইয়াসার, উবায়দুল্পাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
উতবা, উরওয়া, কাসিম, কাবীসা ইবন যুওয়ায়ব, আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান ৷ মুহাম্মাদ
ইবন সাদ বলেন, তিনি বধির ও শ্বের্তী রোগগ্রস্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর এক বছর পুর্বে
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন ৷ এছাড়া এক বর্ণনা মতে আরও যারা একশ’ পাচ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন
তাদের অন্যতম হলেন, আবু রজা আল উত ৷রদী, আমির শাবী, আর ইতোপুর্বে এ আলোচনা
বিগত হয়েছে ৷ অন্য এক বর্ণনা মতে, করি কুছায়য়ারও এদের অন্যতম ৷ অবশ্য অন্য এক বর্ণনা
মতে৩ তিনি এর পরের বছর ইনৃতিকাল করেন ৷ যেমন অচিরেই আসছে ৷

১০৬ হিজরীর সুচনা

এ বছরেই হিশাম ইবন আবদুল মালিক পবিত্র মদীনা, মক্কা ও তইিফের প্রশাসক পদ
থেকে আবদুল ওয়াহিদ ইবন আবদুল্লাহ্ আনৃ-নযরীকে অপসারণ করে তার স্থলে তার মামাতো
ভাই ইব্রাহীম ইবন হিশাম ইবন ইসমাঈল আল মাথয়ুমীকে নিয়োগ করেন ৷ এছাড়া এ
বছরেই সাঈদ ইবন আবদুল মালিক সাইফা আক্রমণ করেন ৷ এছাড়া এ বছর মুসলিম ইবন
সাঈদ ফারগানা আক্রমণ করেন ৷ সেখানে তিনি তাতারীদের সম্মুখীন হন ৷ তখন তাদের মাঝে
বিরাট রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ সে যুদ্ধে থাকা ৷ন স্বয়ং এবং বহুসংখ্যক তাতারী নিহত হয় ৷
এ বছর জাররাহ আল হাকামী খাযাবৃ ভুখণ্ডের অভ্যন্তরে আ ৷ক্রমণ পরিচ৷ ৷লনা করেন ৷ তারা তার
সাথে সন্ধি করে এবং তাকে জিয্য়া ও খারাজ প্রদান করে ৷ এ ছাড়া এ বছর হাজ্জাজ ইবন
আবদুল মালিক লান’ আক্রমণ করে বহু সংখ্যক শত্রু নিধন করেন এবং গনীমত লাভ করে
নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এ বছরই খালিদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল-কাসরী থােরাসানের গভর্নর
পদ থেকে মুসলিম ইবন সাঈদকে অপসারণ করেন এবং তার ভাই আসাদ ইবন আবদুল্লাহ
আল-কাসরীকে তার নতুন গভর্নর নিয়োগ করেন ৷ আযীরুল মু’মিনীন হিশাম ইবন আবদুল
মালিক এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন এবং আবুঘৃ-যিনাদকে পত্রযােগে নির্দেশ প্রদান করেন
পবিত্র মদীনায় প্রবেশের পুর্বে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে এবং তাকে হরুজ্জর বিধি-বিধান লিখে
দিতে ৷ তিনি তা করেন ৷ লোকজন পবিত্র মদীনা থেকে তাকে সংবর্ধনা জানিয়ে অর্ধেক পথ
সাথে যায় ৷ এদের সাথে আবুয্-যিনাদও ছিলেন ৷ যিনি খলীফার নির্দেশ পালন করছিলেন ৷ এ
সময় অন্যদের সাথে সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন ওয়ালীদ ইবন উছমান ইবন আফ্ফান তার
সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার গোষ্ঠীর লোকজন এ সকল
পুণ্যস্থলে আবু তুরাবকে অভিশাপ করে থাকে ৷ কাজেই, আপনিও তাকে অভিশাপ করুন ৷
আবুয যিনাদ বলেন, বিষয়টি হিশামের কাছে গুরুতররুপে দেখা দিল এবং৩ তিনি এটাকে দুর্বহ
মনে করে বলেন, কাউকে গালমন্দ করা কিত্রা অভিশাপ দেওয়ার জন্য আমি আগমন করিনি ৷
আমরা তো হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে আগমন করেছি ৷ তারপর তিনি সাঈদকে উপেক্ষা করে তার
কথা বন্ধ করেন এবং আবুয্ যিনাদের দিকে মনােযােগী হয়ে তার সাথে কথা বলতে শুরু
করেন ৷ তিনি যখন পবিত্র মক্কায় পৌছেন ইব্রাহীম ইবন তালহা তার সাথে সাক্ষাৎ করে
একখণ্ড ভুমির ব্যাপারে তার কাছে যুল্মের (শিকার হওয়ার) অভিযোগ করেন ৷ হিশাম তাকে
জিজ্ঞাসা করেন, আবদুল মালিক তােন্মুর ণোস্থুবুৰু,থুকুা০ত্নাণ্ডান্চরচ্৷ করেছেন ? তিনি বলেন, তিনি

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا عَزَلَ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ وَالطَّائِفِ عَبْدَ الْوَاحِدِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ النَّضْرِيَّ، وَوَلَّى عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ خَالَهُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيَّ. وَفِيهَا غَزَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الصَّائِفَةَ. وَفِيهَا غَزَا مُسْلِمُ بْنُ سَعِيدٍ مَدِينَةَ فَرْغَانَةَ وَمُعَامَلَتَهَا، فَلَقِيَهُ عِنْدَهَا التُّرْكُ فَكَانَتْ بَيْنَهُمْ وَقْعَةٌ هَائِلَةٌ، قُتِلَ فِيهَا الْخَاقَانُ وَطَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ التُّرْكِ. وَفِيهَا أَوْغَلَ الْجَرَّاحُ الْحَكَمِيُّ فِي أَرْضِ الْخَزْرِ فَصَالَحُوهُ وَأَعْطَوْهُ الْجِزْيَةَ وَالْخَرَاجَ. وَفِيهَا غَزَا الْحَجَّاجُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ اللَّانَ، فَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا وَغَنِمَ وَسَلِمَ. وَفِيهَا عَزَلَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ مُسْلِمَ بْنَ سَعِيدٍ، وَوَلَّى عَلَيْهَا أَخَاهُ أَسَدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَكَتَبَ إِلَى أَبِي الزِّنَادِ قَبْلَ دُخُولِهِ الْمَدِينَةَ لِيَتَلَقَّاهُ وَيَكْتُبَ لَهُ مَنَاسِكَ الْحَجِّ، فَفَعَلَ، وَتَلَقَّاهُ النَّاسُ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، وَفِيهِمْ أَبُو الزِّنَادِ قَدِ امْتَثَلَ مَا أُمِرَ بِهِ، وَتَلَقَّاهُ فِيمَنْ تَلْقَّاهُ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ أَهْلَ بَيْتِكَ فِي مِثْلِ هَذِهِ الْمَوَاطِنِ الصَّالِحَةِ لَمْ يَزَالُوا يَلْعَنُونَ أَبَا تُرَابٍ،
পৃষ্ঠা - ৭৬৩৭

বলেন, সংক্ষেপে প্রশ্ন কর ৷ আমি বলি, আপনি যদি আমাকে সাবগর্ভ ও সংক্ষেপ কথা বলেন,

তাহলে আমি আপনার সাথে সংদু ক্ষপণ অবলম্বন করব ৷ তিনি বলেন, তুমি কি চাও আমি
আমার এই মজলিসে তোমাকে তাওরাত ইনজীল ও কুরআনের জ্ঞান দান করি ৷ আবু
আবদুল্লাহ বলেন, আমি বললাম, হ্যা ! তিনি বলেন! আল্লাহ্কে সবচেয়ে বেশী ভয় করবে এবং
তার চেয়ে বেশী করে তার অনুগহের প্রত্যাশা করবে আর নিজের জন্য যা কামনা করবে সকল
মানুষের জন্য তা কামনা করবে ৷

তাবারানী বলেন, ইসহাক ইবন ইবরাহীম সুত্রে তাউস থেকে ৷ তিনি বলেন, কিয়ামতের
দিন ধনসম্পদ ও তার মালিককে উপস্থিত করা হবে ৷ তখন তারা বিবাদে লিপ্ত হবে ৷ এরপর
মালিক তার ধনসম্পদকে সম্বোধন করে বলবে, আমি তো তোমাকে অমুক বৎসরের অমুক
মাসের অমুক দিনে সঞ্চয় করেছি ৷ ধনসম্পদ বলবে, আমি কি তোমার প্রয়োজনাদি পুরণ
করিনি ৷ আমিই তো তোমার মাঝে এবং মহান আল্লাহ তোমাকে আমার প্রতি ভালবাসার যে
নির্দেশ দিয়েছেন তার মাঝে অস্তরায় হয়েছি ৷ তখন সম্পদের অধিকারী বলবে, এই যে
অর্থ-সম্পদ আমার কাছে নিঃৰ্:শষ হয়েছেত তা তো আমাকে বাধার দড়ি ৷ উছমান ইবন আবু
শায়বাহ বলেন, তার পিতার সুত্রে হাবীব ইবন আবু ছাৰিত থেকে ৷ তিনি বলেন, আমার কাছে
এমন পাচ ব্যক্তি (একবার) একত্র হয়েছেন, যাদের ন্যায় জামাআত কখনও একত্র হয়নি ৷ তারা
আতা, তাউস, মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র ও ইকরিমাহ ৷ সুফয়ান বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ
ইবন আবু ইয়াযীদকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কার সাথে ইবন আব্বাসের সাক্ষাতে প্রবেশ
করতেন ? তিনি বলেন, আতা এবং অন্যান্য সাধারণ লোকদের সাথে ৷ আর তাউস প্রবেশ
করতেন বিশেষ লোকদের সাথে ৷ হাবীব বলেন, তাউস আমাকে বলেন, আমি যখন তোমাকে
এমন কোন হাদীস বর্ণনা করি, যা আমি সুসাব্যস্ত করেছি, তাহলে সে সম্পর্কে অন্য কাউকে
প্রশ্ন করে৷ না ৷ অন্য রিওয়ায়াতে আছে, তাহলে সে সম্পর্কে আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রশ্ন
করে৷ না ৷

আবু উসামা বলেন, আ মাশ সুত্রে তাউস থেকে ৷ তিনি বলেন, আমি পঞ্চাশজন সাহাবীর
সাক্ষাৎ পেয়েছি ৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেন, আবদুর রায্যাক সুত্রে তাউসপুত্র থেকে, তিনি
বলেন, (একবার) আমি আমার পিতাকে বললাম, আমি অমুক নায়ীকে বিবাহ করতে চাই ৷
তিনি বললেন, যাও গিয়ে তাকে দেখে আস ৷ তাউসের ছেলে বলেন, তখন আমি গিয়ে আমার
মাথা ধুয়ে তেল যেখে আমার উৎকৃষ্ট কাপড় পরিধান করলাম ৷ এরপর তিনি যখন আমাকে এ
অবস্থায় দেখলেন, তখন বললেন, তুমি কোথাও যেও না, বাড়ীতেই অবস্থান কর ৷ আবদুল্লাহ
ইবন তাউস বলেন, আমার পিতা যখন (হজ্জ উপলক্ষে) পবিত্র মক্কা সফরে যেতেন, তখন
একমাস পথ চলতেন ৷ আবার যখন ফিরতেন তখনও এক মাসে ফিরতেন ৷ আমি তাকে এ
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার কাছে এই হাদীস পৌছেছে যে, কোন ব্যক্তি যখন
মহান আল্লাহর কোন আনুগত্য সম্পাদনে বের হয়, তখন স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের পুর্ব পর্যন্ত তাকে
মহান আল্লাহর পথের পথিক গণ্য করা হয় ৷ হামযাহ্ বলেন, হিলাল ইবন কা ব সুত্রে তিনি
বলেন, তাউস যখন ইয়ামান থেকে বের হতেন, তখন জাহিলিয়াতের চিহ্নিত ঐ সকল প্রাচীন
উৎস ব্যতীত পানি পান করতেন না ৷ একবার এক ব্যক্তি তাকে বলল, আমার জন্য মহান
আল্লাহর কাছে দুআ করুন ৷ তিনি বলেন, তুমি নিজেই নিজের জন্য দুআ কর ৷ কেননা, কোন
নিরুপায়৷ ব ৷ন্দ৷ যখন তাকে আহ্বান কনুেমোঃ তৰুনৃৰুাট্রুভুন্নি০ভুান্র আহ্বানে সাড়া দেন ৷

فَالْعَنْهُ أَنْتَ أَيْضًا. قَالَ أَبُو الزِّنَادِ: فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى هِشَامٍ وَاسْتَثْقَلَهُ، وَقَالَ: مَا قَدِمْتُ لِشَتْمِ أَحَدٍ وَلَا لِلَعْنَةِ أَحَدٍ، إِنَّمَا قَدِمْنَا حُجَّاجًا. ثُمَّ قَطَعَ كَلَامَهُ، وَأَقْبَلَ عَلَى أَبِي الزِّنَادِ يُحَادِثُهُ، وَلَمَّا انْتَهَى إِلَى مَكَّةَ عَرَضَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَلْحَةَ فَتَظَلَّمَ إِلَيْهِ فِي أَرْضٍ، فَقَالَهُ لَهُ: أَيْنَ كُنْتَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ؟ قَالَ: ظَلَمَنِي. قَالَ: فَالْوَلِيدِ؟ قَالَ: ظَلَمَنِي. قَالَ: فَسُلَيْمَانَ؟ قَالَ: ظَلَمَنِي. قَالَ: فَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ قَالَ: رَدَّهَا عَلَيَّ. قَالَ: فَيَزِيدَ؟ قَالَ: انْتَزَعَهَا مِنْ يَدِي وَهِيَ الْآنَ فِي يَدِكَ. فَقَالَ لَهُ هِشَامٌ: أَمَا لَوْ كَانَ فِيكَ مَضْرِبٌ لَضَرَبْتُكَ. فَقَالَ: بَلَى فِيَّ مَضْرِبٌ بِالسَّيْفِ وَالسَّوْطِ. فَانْصَرَفَ هِشَامٌ عَنْهُ وَهُوَ يَقُولُ لِرَجُلٍ مَعَهُ: مَا رَأَيْتُ أَفْصَحَ مِنْ هَذَا. وَفِيهَا كَانَ الْعَامِلَ عَلَى مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَعَلَى الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ. [مِمَّنْ تَوَفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تَوَفِّيَ فِيهَا: سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَحَدُ الْفُقَهَاءِ. وَطَاوُسُ بْنُ كَيْسَانَ الْيَمَانِيُّ، مِنْ أَكْبَرِ أَصْحَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ تَرْجَمْنَاهُمَا فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.